Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন বিকাশ মণ্ডল নামে নদিয়ার এক যুবক। লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিল পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বাংলায় সিএএ (CAA) হতে দেব না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সব কিছুকে ফুৎকারে উড়়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নির্দেশ মতো বুধবার থেকেই বাংলায় সিএএ চালু হয়ে গেল। রাজ্যের ৮ জন নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবার (CAA)

    বেশ কিছুদিন আগে নদিয়ার বিকাশ মণ্ডল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে নদিয়া কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশাননগর এলাকায় পরিবার নিয়ে চলে আসেন বিকাশবাবু। এরপরে যখন নাগরিকত্ব আইন পাস হল তারপর থেকেই তিনি চেষ্টায় ছিলেন এ দেশের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য। এরপর তিনি এপ্রিল মাসে অনলাইনে আবেদন করেন। ২৭ মে তাঁকে ভেরিফিকেশনের জন্য কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে তাঁকে ডাকা হয়। এরপর তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা করার পর বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পান। মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা।

    রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে চোরা পথে ভারতে চলে আসি

    এই বিষয়ে বিকাশ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশে সাইবার ক্যাফে ছিল আমার। সেখানে হিন্দুদের কোনও গুরুত্ব নেই। ওরা অত্যাচার করত। অল্প জমি ছিল। জলের দরে জমি বিক্রি করি দিই। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে চোরা পথে আমরা এই দেশে চলে আসি। নাগরিকত্ব কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মাথা উঁচু করে বাঁচব। আর এটুকু বলতে পারি, সিএএ (CAA) নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, আবেদন করলে সবাই নাগরিকত্ব পাবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ভারতবর্ষে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই, মোদিজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, বসবাস করা যায় না বাংলাদেশে

    বিকাশবাবুর স্ত্রী সাথী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে। সেখানে হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, সেখানে বসবাস করা যায় না। বাইরে বের হলে অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে হত। সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আর অত্যাচার তো ছিলই। সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই ২০১২ সালে সপরিবারে আমরা নদিয়ায় চলে আসি। এই দেশে আসার পর নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে অধীর আগ্রহে ছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি আমরা। মোদিজির প্রতি ভরসা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের ফোন নম্বর জোগাড় করতে সরকারি প্রকল্পে ফর্ম ফিলআপ করাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর সেই নম্বর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে আইপ্যাকের কাছে। রাজ্যে সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ইতিমধ্যে রাজ্যে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে নারী নির্যাতন নিয়ে তৃণমূল সরকার চাপের মধ্যে রয়েছে। বিজেপি নেতার এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “মহিলাদের তৃণমূল কুপ্রস্তাব যে দেবে না তার কী নিশ্চয়তা? দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে সরকারি প্রকল্পে ফর্ম ফিলাপের নামে মহিলাদের ফোন নম্বর এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কাজ করছে তৃণমূল। এই তথ্য এরপর তুলে দেওয়া হবে আইপ্যাকের কাছে। এই নম্বর এবং তথ্যকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের জনমতকে প্রভাবিত করবে তৃণমূল। তথ্যপাচারের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে তৃণমূল।”

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) একই ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “এই ভাবে এলাকায় এলাকায় মহিলাদের নম্বর নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণের কাজে লিপ্ত হবে না তো তৃণমূল? সন্দেশখালিতে যেমন মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছিল, এমন ঘটনা ঘটবে নাতো? আমার মনে হয় এইরকম ঘটনার ছক করছে তৃণমূল। আমাদের বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য তৃণমূলের চোরেরা প্রকাশ করে সম্ভ্রমহানির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল নেতা দেবাশু এই কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল সরকারের তথ্য তৃণমূল নেতার কাছে কীভাবে পৌঁছাল।

    প্রধানমন্ত্রী নিশান করেছেন তৃণমূলকে

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী কিন্তু তারপরেও জেলায় জেলায় নারী দর্শন, খুন, ধর্ষণ, হত্যার ঘটনায় বিজেপি বার বার সরব হয়েছে। সন্দেশখালির মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর পার্টি অফিসে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এই অভিযোগে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে একাধিক সময়ে। রাজ্যে মা-বোনদের নিরাপত্তা সুরক্ষা নিয়ে বুধবার কাকদ্বীপের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিশানা করেছেন তৃণমূল সরকারকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বুধবার থেকে নাগরিকত্ব (CAA) শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও অনেকে নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। যাঁরা শংসাপত্র পেয়েছেন, তাঁরা মূলত নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।

    রাজ্যে প্রথম দফায় ৮ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন (CAA)

    শেষ দফায় বারাসত, বসিরহাট, দমদম, জয়নগরের মতো আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। এই সব কেন্দ্রে মতুয়া পরিবারের বসবাস রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বুধবার এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রথম দফার যোগ্য আবেদনকারীদের নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করেছে। যোগ্যদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় মোট ৮ জন নাগরিকত্ব (CAA) পেলেন। তারমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৭ জন রয়েছেন। আর নদিয়া জেলায় একজন রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    প্রথম দফায় কারা পেলেন নাগরিকত্ব

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ৭ জন রয়েছেন। এরমধ্যে মৃণালকান্তি দাস ও তাঁর স্ত্রী শর্বরী দাস রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটি। অনলাইনে কিছুদিন আগেই তিনি আবেদন করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্ব পাওয়ার কাগজ তাঁরা হাতে পান। নিউ বারাকপুর লেলিনগড় এলাকার বাসিন্দা দেবপ্রসাদ গায়েনও বুধবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর কেষ্টনগরের বাসিন্দা শান্তিলতা বিশ্বাস বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পান। এছাড়া নাগরিকত্ব পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন অনির্বাণ নন্দী, নিলয় ঘোষ এবং অর্ণব ঘোষ। প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। আর নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশানগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডলও বুধবার নাগরিকত্বের (CAA) কাগজ হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানালেন সকলেই

    দেবপ্রসাদ গায়েন নামে এক যুবক বলেন, ১৫ দিন আগে আমি অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বুধবার আমি কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। এতদিন পর এই দেশের নাগরিক (CAA) হতে পেরে আমরা চরম খুশি। মোদিজি যে গ্যারান্টি দেন, তা রাখেন। আমাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ। মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানাই। আমি সকলকেই বলতে চাই, যাঁরা এখনও সিএএ নিয়ে ভাবছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করুন। মোদিজির ওপর ভরসা রাখুন, হতাশ হবেন না। ঠাকুরনগরের বাসিন্দা তারক বিশ্বাস বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে আবেদন করেছিলাম। স্ত্রী কাগজ হাতে পেয়ে গিয়েছে। আমি খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব। শান্তনু ঠাকুর আর নরেন্দ্র মোদিকে হাজার কোটি প্রণাম জানাই। তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব আমরা।

    মমতাকে আক্রমণ করলেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যে কবে থেকে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট সিএএ (CAA) রূপায়ণ হতে দেব না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই দাবি করুন না কেন, তিনি যে এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এক-এক করে যারা আবেদন করেছেন তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভার নির্বাচন। এর মধ্যেই শাসকদল তৃণমূলের দ্বারা আক্রান্ত হলেন এক বিজেপি কর্মী। এইবার আক্রমণের শিকার হলেন, আরামবাগের (Arambagh) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির সংখ্যালঘু বুথ সভাপতি। মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীরা রাতে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া দেয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে আক্রমণের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে আক্রান্তের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Arambagh)?

    হুগলিতে (Arambagh) বিজেপির আক্রান্ত সংখ্যালঘু বুথ সভাপতির নাম হল মইউদ্দিন মল্লিক। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনের দিনে বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছিলাম। আর ভোট মিটে যাওয়ার পর থেকে আমাকে অনেকবার হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে এসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। এরপর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” এই ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়ে বিজেপির প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “হারের ভয়ে তৃণমূল এই আচরণ করছে। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের জনমত ভোটে প্রকাশ পাবে।”

    আরও পড়ুনঃ সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, গুলি-বোমার আঘাতে আহত এক ব্যক্তি!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই প্রেক্ষিতে আরমাবাগের (Arambagh) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুরের বিষয়কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের নেতা শেখ মহম্মদ বলেন, “শুনেছি এই হামলার কথা। মদ্যপ অবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপির অপর আরেক এজেন্ট। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে এই সমস্ত করছে দুষ্কৃতীরা। তবে তৃণমূলের কেউ এই কাজে যুক্ত নয়।”  

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ও বুধবারে নির্বাচনী প্রচার করেন রাজ্যে। অপর দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ভোটের প্রচার করেন। শেষ দফা প্রচারে নির্বাচনী প্রচার রাজ্যে জমে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi:  “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সপ্তম দফা ভোটের আগে বাংলায় শেষ সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন মোদি। সেই সভায় বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মথুরাপুরের অশোক পুরকাইত, জয়নগরের অশোক কান্ডারি এবং ডায়মন্ড হারবারের অভিজিৎ দাস উপস্থিত ছিলেন।

    তৃণমূলের একটাই অস্ত্র এটা হতে দেবো না‘ (Narendra Modi)

    তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ কে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, “তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ বাংলাকে উল্টো দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির প্রতি বাংলার ভালবাসা তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। সেই জন্য ওরা ক্ষেপে গিয়েছে। কী সব বলে। বাংলার প্রতি তৃণমূলের ঘৃণা দেখতে পাওয়া যায়। ওদের কাছে একটাই অস্ত্র – ‘এটা হতে দেবো না’। উন্নয়নের জন্য মোদি যা করে, তৃণমূল হতে দেব না বলে বাধা দেয়।

    বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চায় তৃণমূলের

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘‘আমরা সত্তরোর্ধ্বদের জন্য আয়ুষ্মান প্রকল্প এনেছি। কিন্তু তৃণমূল বলছে, ‘‘বাংলায় এটা হতে দেবো না’। কেন্দ্র সরকার মৎস্যজীবীদের এত যোজনা চালাচ্ছে। কত টাকা দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূল সেই সব যোজনা হতে দেয়নি। তৃণমূলের মানুষের জন্য কোনও সহানুভূতি নেই। শুধু তোলাবাজ এবং কাটমানি নিয়েই ওদের যত ভাবনা। এই তৃণমূলকে কি সাজা দেবেন না? মথুরাপুরে নদী কাটা বন্ধ করতে কেন্দ্র টাকা পাঠায়। তৃণমূল সেই টাকা খেয়ে নিয়েছে। তৃণমূল সব কাজে কাটমানি চায়। বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চাই ওদের।’’

    মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দিচ্ছে তৃণমূল

    এদিনের সভা থেকে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল রামমন্দিরকে অপবিত্র বলে। এমন দল বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে না। তুষ্টিকরণের জন্য সংবিধানের ওপরও হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। আমাদের সংবিধান দলিতদের সংরক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু, বাংলায় তার লুট হয়েছে। মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।”

    তৃণমূল বাংলার অস্তিত্ব নষ্ট করতে চায়

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল মঠ এবং সন্তদের অপমান করে। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকনের মতো প্রতিষ্ঠানের সন্তদের অপমান করে গালিগালাজ দেই। তৃণমূলের গুণ্ডা এই সব মঠে হামলা চালাচ্ছে। মোদি আরও বলেন, “ভারত বিশ্বের পঞ্চম বড় অর্থনীতি থেকে তৃতীয় বড় অর্থনীতি হতে চলেছে। বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত বাংলা হওয়ার প্রয়োজন। চার জুন থেকেই বিকশিত ভারত নির্মাণ হবে। এই জন্য বাংলা থেকে বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে হবে। এই জন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।”

    এই নির্বাচন আলাদা!

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এই নির্বাচনে বাংলায় এটা আমার শেষ সভা। এরপর আমি ওড়িশা, পঞ্জাবে চলে যাব। আমার শেষ সভায় এই পবিত্র মাটিতে আসার সুযোগ পেয়েছি। এই নির্বাচন আলাদা এবং অদ্ভুত। মানুষ ১০ বছরের উন্নতি এবং ৬০ বছরে দুর্দশা দেখেছে। ভারতে অনাহারের ছিল। যে দেশ আমাদের থেকে ছোট ছিল, তারা কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের কাছে যুব সম্প্রদায় এবং এত বুদ্ধিমত্তা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সারা বিশ্বে ভারতের গুণগান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় প্রথম রোড-শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গল-সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে সূচনা হয়েছিল যে যাত্রার, সেই যাত্রাই শেষ হল আড়াই কিলোমিটার দূরে স্বামীজির বাড়ির সামনে গিয়ে, বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে এদিন রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই চলল প্রধানমন্ত্রী যান (PM Mod)

    রাজ্যের আরও আটটি আসনের সঙ্গে এই কেন্দ্রেও নির্বাচন হবে পয়লা জুন, সপ্তম তথা শেষ দফায়। রোড-শো শুরুর সময় প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে বঙ্গ বিজেপির দুই প্রধান সৈনিক – রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত-ও। রোড-শো শুরু হতেই তাপসকে এগিয়ে দিয়ে পিছনে চলে যান শুভেন্দু। যাত্রা পথের (PM Modi) পুরোটা জুড়েই ছিল ফুল ছড়ানো। সেই ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই ধীর লয়ে এগিয়ে চলে প্রধানমন্ত্রীর যান। প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেছিলেন লাখো জনতা। তাঁরা কেউ স্লোগান দিয়েছেন জয় শ্রীরাম, কাউকে আবার বলতে শোনা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হাতজোড় করে প্রণামও করতে দেখা গেল একজনকে।

    প্রধানমন্ত্রীর উদারতা

    রোড-শো শুরুর আগে বাগবাজারে সারদা দেবীর বাড়িতে গিয়ে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা করেন মহারাজদের সঙ্গে। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রসাদী শাল, ধুতি, চাদর, বই, সারদা মায়ের ছবি এবং নির্মাল্য। প্রধানমন্ত্রী তাঁর হয়ে সভা করতে আসায় যারপরনাই খুশি তাপস। বলেন, “এ হল প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এত বড় নেতা, দেশের নেতা, উনি আমার জন্য প্রচার করতে এসেছেন।” রোড-শোয়ের আগে এদিন নির্বাচনী সভা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    সেখানে বলেন, “আগে আপনাদের বলেছিলাম না, না খায়ুঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। কথা রেখেছি। গত দশ বছরে কেন্দ্রে কোনও দুর্নীতি হতে দিইনি। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বলছি, যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বের করে দেব। আর যাদের থেকে খেয়েছে, তাদের সব ফিরিয়ে দেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের নেতাদের কাছে যে নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে, সেই সব টাকার হিসেব হবে। কীভাবে ফেরত পাবেন, তা আমি দেখছি। আইন তৈরি করে সেই টাকা ফেরত দেব (PM Modi)।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। তবে এটাই দেশের একমাত্র পর্যটন গন্তব্য নয়। বিদেশিরা আকছার তাজমহল দেখতে আসেন। তবে ভারতে এছাড়াও আরও ছবির মতো সাজানো অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় রয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পর্যটকদের তিনি অনুরোধ করেন, “এই সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, পূর্ণ করুন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার ঝুলি। দেশের ৩৬০ ডিগ্রিই ঘুরে দেখুন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    ভারতের যে একটা নয়া ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জি২০ সামিটের সময় ভারত ও তার বৈচিত্রের প্রতি বিশ্বশক্তিকে কৌতুহলীও করে তোলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমরা জি২০ সামিটের আয়োজন করেছিলাম। এই সম্মেলন কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেওয়া যে কেবল দিল্লিই ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেই আবিষ্কার করা যাবে এই ভূমের বৈচিত্র।” তিনি বলেন, “শুধু তাজমহল দেখেই তামাম ভারতকে চেনা যায় না। এই দেশের অনেক শক্তি রয়েছে। আবিষ্কারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গন্তব্য।”

    জি২০ সম্মেলন

    জি২০ সম্মেলনের পরে যে ভারতে পর্যটকদের আনাগোনা আগের চেয়ে বেড়েছে, এদিন সাক্ষাৎকারে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলন কীভাবে ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করেছিল, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ সম্মেলনে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক লাখের বেশি নীতিনির্ধারক এই সব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অংশে হয়েছিল এই সব বৈঠক। অভ্যাগতরা কেবল ভারতের ওই সব লোকেশন আবিষ্কার করেনি, তাঁরা তাঁদের পরিবার এবং স্বদেশবাসীকেও ভারতের অতুলনীয় সৌন্দর্যের গল্প শুনিয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও উনিশটি দেশ মিলে গঠিত হয়েছে জি২০। ফি বছর এই জি২০-র সম্মেলন হয় এর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে। গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। সরকার বা রাষ্ট্রের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন এই সম্মেলনে। একেবারে শেষে হয় শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এমন ব্যবস্থা নেব, আগামী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে”, বাংলায় এসে তোপ মোদির

    PM Modi: “এমন ব্যবস্থা নেব, আগামী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে”, বাংলায় এসে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের শেষবেলার প্রচারে মঙ্গলবার বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। সপ্তম দফায় বাংলার নয়টি আসনে ভোট রয়েছে। ওই তালিকায় আছে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং বারাসত। আর শেষ দফা ভোটের আগে বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের সমর্থনে আশোকনগর হরিপুর মাঠে জনসভা (BJP Campaign in Barasat) করছেন মোদি। আর এই সভা থেকেই বাংলায় কর্ম সংস্থান সহ একাধিক প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন মোদি। 

    ‘একসময় লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর রোজগারের উৎস ছিল বাংলা’

    এদিন মোদি বলেন, “গত ১০ বছরে বিজেপি সরকার পূর্ব ভারতের জন্য যত টাকা খরচ করেছে, তা গত ৬০-৭০ বছরেও হয়নি।” একইসঙ্গে রেল, রাস্তা, বিমানবন্দর সহ একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি। এর ফলে আয়ের উৎস বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন। এরপর পশ্চিমবঙ্গের সম্পদের কথা বলতে গিয়ে, মোদি (PM Modi) বলেন, “বাংলা একসময় লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর রোজগারের উৎস ছিল। এখন কারখানা বন্ধ হয়ে আছে। শ্রমিকরা চলে যাচ্ছেন। বাংলার এমন দুর্দশা করল কারা? আমি জানতে চাই। প্রথমে কংগ্রেস, তারপর সিপিএম লুঠ করেছে। আর এখন তৃণমূল দু হাতে লুঠ করছে।” 

    বাংলাতে লুঠ হওয়া টাকা ফেরানোর আশ্বাস মোদির 

    এছাড়াও মোদি বাংলায় হওয়া দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে আরও বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় স্তরে ১০ বছরে একটাও দুর্নীতি হতে দিইনি। এখন দেশকে এবং পশ্চিমবঙ্গকে গ্যারান্টি দিচ্ছি যে দুর্নীতি করেছে, তাকে বাইরে বার করব। যাদের থেকে টাকা লুঠ হয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেব। এক এক টাকার হিসাব হবে। আমি আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। লুঠ হওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকা মানুষকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি। বাংলাতেও আপনাদের লুঠ হওয়া টাকা আপনাদের ফেরত পেতে সাহায্য করব। এমন ব্যবস্থা নেব যে এদের আগামী প্রজন্মও দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে।”  

    আরও পড়ুন: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    অন্যদিকে এদিন ওবিসি ইস্যুতে সরব হন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “ভোট ব্যাঙ্ককে তোষণ করাই বিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য। বাংলায় তৃণমূল ওবিসি-দের ধোঁকা দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে ৭৭ মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি ঘোষণা করা অসাংবিধানিক। অর্থাৎ তৃণমূল লক্ষ লক্ষ ওবিসি-র অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আর হাইকোর্টের নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন, তা তো শোনাই যাচ্ছে। বিচারপতিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। প্রশ্ন করতে চাই, বিচারপতিদের পিছনেও কি আপনারা গুণ্ডা লাগিয়ে দেবেন?” তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল সত্যিটা মেনে নিতে পারে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Roadshow: প্রধানমন্ত্রীর রোড-শোয়ের পথে কত ম্যানহোল, জানতে চাইল এসপিজি

    PM Modi Roadshow: প্রধানমন্ত্রীর রোড-শোয়ের পথে কত ম্যানহোল, জানতে চাইল এসপিজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন। এদিন নির্বাচন হবে এ রাজ্যের কয়েকটি আসনেও। তার আগে দু’দিনের বাংলা সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Roadshow)। ২৮ মে, মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে আয়োজিত রোড-শোয়ে অংশ নেবেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো (PM Modi Roadshow)

    এদিন সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত রোড-শো করবেন তিনি। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে থাকা নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই শুরু হবে রোড-শো। বিধান সরণি হয়ে শোভাযাত্রা যাবে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে। সেখানে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শেষ করবেন তিনি। যে পথ ধরে হবে প্রধানমন্ত্রীর রোড শো, সোমবার সেই পথ পরীক্ষা করে দেখতে বললেন স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) আধিকারিকরা। হকার থেকে ম্যানহোল সবই খতিয়ে দেখতে বললেন তাঁরা।

    এসপিজির প্রশ্ন

    রবিবার রাত থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজ্যে চলছে ঝড়-বৃষ্টি। চলবে সোমবার পর্যন্ত। মঙ্গলবার হবে আবহাওয়ার উন্নতি। এদিনই সন্ধ্যায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো (PM Modi Roadshow) কর্মসূচি। স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের তরফে পুরসভার নিকাশি দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে যে রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো হবে, সেই রাস্তায় কতগুলি ম্যানহোল রয়েছে, সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। ওই রাস্তায় কোথায় কোথায় হকার রয়েছেন, সেসবও জানতে চেয়েছেন তাঁরা।

    আর পড়ুন: ২৮ তারিখ কলকাতায় রোড-শো মোদির, আগে যাবেন বাগবাজারে সারদা মায়ের বাড়ি

    প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো হবে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত। এসপজির তরফে বার্তা পাওয়ার পরেই এই আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় সমীক্ষা করতে মাঠে নেমে পড়েছেন পুরসভার নিকাশি দফতরের কর্মীরা। নিকাশি দফতরের তরফে এক আধিকারিক বলেন, “শ্যামবাজার থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০টি ম্যানহোল আমরা চিহ্নিত করেছি। এসপিজিকে সেই তথ্যই জানিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু এটা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার প্রশ্ন, তাই আমরা কোনও ঝুঁকি নেব না।” তিনি জানান, ম্যানহোল পরিষ্কারের প্রয়োজনে জেটিং কাম সাকশান মেশিন ব্যবহার করা হবে (PM Modi Roadshow)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “মোদির সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক ভীষণ নিবিড়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “মোদির সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক ভীষণ নিবিড়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শৈশবে চায়ের কাপ-প্লেট ধুতে ধুতে কৈশোরে পৌঁছেছি। পরে চা পরিবেশন করেছি। মোদির সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক ভীষণ নিবিড়।” রবিবার উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে যে ভোট নষ্ট, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, “সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিয়ে কেউ তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। কেউই তাঁকে ভোট দেন না, যিনি ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন, যাঁর সরকার গড়াটা প্রায় নিশ্চিত।”

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডি’ জোট (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ ইন্ডি জোটের নেতাদের ভালো করে চিনে ফেলেছেন। এই মানুষগুলো ভয়ঙ্করভাবে সাম্প্রদায়িক। এরা নিদারুণভাবে বর্ণবাদী, চূড়ান্তভাবে পরিবারবাদী। যখনই তাদের সরকার গঠিত হয়, তখনই এসবের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।” এদিনের সভায় সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “যাদব সম্প্রদায়ের মধ্যেও অনেকেই রয়েছেন যাঁরা প্রতিশ্রুতিমান। কিন্তু তিনি (অখিলেশ) কেবল বেছে বেছে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরই নির্বাচনের টিকিট দিয়েছেন।”

    ‘মাফিয়াদের স্বর্গ ছিল’

    তিনি বলেন, “এই সমাজবাদী পার্টির লোকজন ধৃত জঙ্গিদেরও মুক্তি দিয়েছিল। যেসব পুলিশ কর্মী এটা করতে চাইতেন না, তাঁদের সাসপেন্ড করে দিত। তারা গোটা উত্তরপ্রদেশ ও পূর্বাঞ্চলকে মাফিয়াদের স্বর্গ বানিয়ে ফেলেছিল। সেটা জীবন-মাফিয়া হোক বা জমি-মাফিয়া। কেউ জানতেন না কখন কাকে কিংবা কার জমি মাফিয়ারা ছিনিয়ে নেবে। সমাজবাদী পার্টির সরকারের ভোটব্যাঙ্কই ছিল মাফিয়ারা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সাহসের সঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছিলেন। সমাজবাদী পার্টির সরকারের আমলে যারা ক্ষমা পেত, বিজেপি সরকারের জমানায় সেই মাফিয়ারাই ভয়ে কাঁপছে।”

    আর পড়ুন: “বিজেপি কখনওই সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলাবে না”, বললেন রাজনাথ

    তিনি বলেন, “আমাদের দেশের পবিত্র সংবিধানও তাদের (ইন্ডি জোটের) লক্ষ্য। এসসি-এসটি-ওবিসির সংরক্ষণ লুট করতে চায় তারা। আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হতে পারে না। অথচ ২০১২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সময় সমাজবাদী পার্টি ইস্তাহারে বলেছিল, দলিত এবং ব্যাকওয়ার্ড শ্রেণির মতো মুসলমানদেরও সংরক্ষণ আওতায় আনা হবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share