Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর মারে গুরুতর আহত কাঁথির বিজেপি নেতা! আনা হচ্ছে কলকাতায়

    Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর মারে গুরুতর আহত কাঁথির বিজেপি নেতা! আনা হচ্ছে কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগেই কাঁথিতে বিজেপি নেতার উপর ভয়াবহ হামলা করা হয়েছে। মূল অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আহত বিজেপি কর্মীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মোদির সভা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অবতরণ করতে পারেননি। একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলকে। একই ভাবে এই সভায় বিজেপি কর্মীদের ভোটের প্রচার ছিল জমজামাট।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Lok Sabha Election 2024)?

    আগামী ২৫ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ৫ দিন আগে কাঁথির ভূপতিনগরে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে চলে লুটপাট। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। আহত অর্জুননগরের বুথ সভাপতি বিজেপির নেতার নাম হল অবনি দে। তিনি এলাকার ২০৫ নম্বর বুথের সভাপতি। তাঁর সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ২ বিজেপি কর্মী। তাঁদের মধ্যে বুথ সভাপতির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি আরও ২ কর্মীকে কাঁথি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এই দুই কর্মীর নাম শুভঙ্কর দাস এবং অনিল মাইতি। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, মূলত এলাকায় বিজেপি কর্মী এবং ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এই ধরনের আক্রমণ করা হচ্ছে। তৃণমূল হারবে বলেই এই ভাবে আচরণ করছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    নির্বাচনী প্রচার জমজমাট

    লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কাঁথির প্রার্থী হয়েছেন সুমেন্দু অধিকারী। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তমলুকে প্রচার সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে অবতরণ করা সম্ভব হয়নি। আর তাই ঝাড়গ্রাম থেকে এক যোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন আকাধিক ইস্যুতে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের রেশন দুর্নীতি, চাকরি চুরি, বাংলার সাধু-সন্তদের আক্রমণ করা, রাজনৈতিক হিংসা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, জমি দখল সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে তীব্র নিশানা করেছিলেন মোদি। একই ভাবে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে মমতাকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টর নিট লাভ করল ৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বৃদ্ধির হার ৩৯ শতাংশ। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই  পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি একে অভিহিত করলেন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো’ বলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্যের এই উন্নতি আমাদের দেশের গরিব মানুষ, কৃষক এবং এমএসএমইদের ঋণ পাওয়া সহজলভ্য করতে সাহায্য করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় আসি (২০১৪ সালে) তখন দেনায় ডুবে ছিল আমাদের ব্যাঙ্কগুলি। এনপিএস ছিল চড়া। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ফোন ব্যাঙ্কিং নীতির জন্যই এসব হয়েছিল। সেই আমলে গরিবদের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।” ২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার। তার পর থেকেই স্বাস্থ্য ফিরছে দেশের অর্থনীতির।

    মোদি জমানায় স্বাস্থ্য ফিরেছে দেশের অর্থনীতির

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকারের অর্থনৈতিক নানা নীতির কারণে হাল ফিরছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরেরও। ২০১৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারতের নাম। গত দশ বছরে (মোদি জমানায়) ভারতের ঠাঁই হয়েছে পাঁচ নম্বরে। ব্রিটেনকে ছয়ে ঠেলে পাঁচ নম্বর জায়গাটি দখল করেছে ভারত। নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইওর দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যেই চার নম্বরে থাকা জাপানকে পাঁচ নম্বরে ঠেলে দিয়ে ভারত উঠে আসবে চার নম্বরে। সেক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান হবে আমেরিকা, চিন এবং জার্মানির পরেই।

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    ভারতের আর্থিক স্বাস্থ্য যে ফিরছে, তার প্রমাণ মিলেছে ২০২৪ অর্থবর্ষে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সম্মিলিত লাভের পরিমাণ ৩.১ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি লাভ করেছে ১.০৪ লাখ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ৩৪ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির লাভের হার ৪২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে নিট মুনাফা ১.৭ লাখ। এই নিট লভ্যাংশ দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত দেয়। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের এই লাভ ছাড়িয়ে গিয়েছে আইটি কোম্পানিগুলির মোট লভ্যাংশের পরিমাণকেও। ২০২৪ অর্থবর্ষে আই কোম্পানিগুলি মুনাফা অর্জন করেছে ১.১ লাখ কোটি টাকা (PM Modi)।

    আরও বড় কথা হল, পাবলিক ব্যাঙ্কগুলির নিট মুনাফা গত তিন বছরে বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। তাদের ব্যালেন্সশিট থেকেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। তাদের রোজগার যে বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে ওই ব্যালেন্সশিট থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

                

  • Attack On Ramakrishna Mission: “কাটারি, বন্দুক, রড নিয়ে ঢোকে ওরা”, বললেন রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক

    Attack On Ramakrishna Mission: “কাটারি, বন্দুক, রড নিয়ে ঢোকে ওরা”, বললেন রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রাজ্য জুড়ে নিন্দা ঝড় উঠেছে। এই আবহের মধ্যে এবার রামকৃষ্ণ মিশনের (Attack On Ramkrishna Mission) জলপাইগুড়ি শাখার শালুগাড়ায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেবক হাউস’-এ হামলার ঘটনায় তোলপাড় গোটা বাংলা।

    কাটারি, বন্দুক, রড নিয়ে দুষ্কৃতীরা মিশনে চড়াও হয় (Attack On Ramkrishna Mission)

    রামকৃষ্ণ মিশনের (Attack On Ramkrishna Mission) সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ বলেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে রামকৃষ্ণ মিশনের ওই জমিটি। সেবক রোডের ধারে অবস্থিত ওই জমি মিশনকে দান করেছিলেন প্রয়াত সুনীল কুমার রায় নামে এক ব্যক্তি। নিয়ম মেনে সুনীল রায় ওই জমি দিয়েছিলেন মিশনকে। সেখান থেকে নানা পরিষেবা দেওয়ার কাজ হয় বর্তমানে। ত্রাণ সামগ্রীও দেওয়া হয়। সেই কেন্দ্রেই রাতের অন্ধকারে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত ১৮ মে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ অন্তত ৩০-৩৫ জন লোক ঢোকেন মিশনের ওই ভবনে। অভিযোগ, তাঁদের হাতে ছিল কাটারি, বন্দুক, রড। হেলমেট পরেছিলেন তাঁরা, ফলে মুখ দেখা যায়নি কারও। বাংলাতেই কথা বলছিলেন। সেই সময় মিশনে দুজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তাঁদের হাত বেঁধে দেওয়া হয়, মোবাইল কেড়ে নিয়ে সিম বের করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই কর্মীরা সোজা চলে যান দোতলায়। সেখানে ৫ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। চিৎকার করতেই মারধরও করা হয় তাঁদের। এরপরই পাঁচজন কর্মী ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ম্যাজিক গাড়িতে তুলে নিয়ে দুষ্কৃতীরা চলে যায় বলে অভিযোগ। ৫ জনকে এনজেপি-র কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়, বাকিদের অন্য জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মিশনের তরফে।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    তালিবানি জমানা চলছে, সরব আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য

    মিশনের (Attack On Ramkrishna Mission) ওপর হামলা প্রসঙ্গে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভামঞ্চ থেকে তোপ দেগেছেন তৃণমূলকে নিশানা করে। এবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেন পুরো তালিবানি জমানা চলছে। তিনি লিখেছেন এটা তালিবানি জমানার থেকে কম কিছু নয়। সেই সঙ্গেই তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে দায়ের করা অভিযোগের কপি সংযুক্ত করেছেন।অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এটাই হয়তোবাংলায় সবথেকে নিকৃষ্টতম কাজ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘও ইসকনকে খোলা মঞ্চ থেকে হুমকি দেওয়ার পরে দুষ্কৃতীরা বন্দুক, ছুরি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে প্রবেশ করেছিল। তারা সাধুদের ওপর হামলা চালায়। সিসিটিভিভেঙে দিয়েছে। তারা বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছে,সাধুদের জোর করে আটকে রেখে রাস্তায় বের করে দেয়।

     

     

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে এবার প্রশ্ন উঠছে, কারা এই দুষ্কৃতী যারা রামকৃষ্ণ মিশনের ভেতর ঢুকে হামলা চালাতেও কুণ্ঠা বোধ করছে না। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা গৌতম দেব জানিয়েছেন, এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। তবে, বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। তারাই এই জায়গাটিকে দখল করার চেষ্টা করছে। ভোট পর্বে এভাবে রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর আঘাতকে কেন্দ্র করে শোরগোল তুঙ্গে। রামকৃষ্ণ মিশনের হাজার হাজার ভক্ত রয়েছেন। তাঁরা এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠদফার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তিন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠদফার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তিন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ষষ্ঠদফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের একবার তিন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মেদিনীপুরের কাঁথি, ভূপতি নগর এবং পটাশপুরের পুলিশ আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রথম পুলিশ আধিকারিকদের সরানো হয়নি। বহরমপুর, বেলডাঙাতেও পুলিশ আধিকারিকদের সারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য আগামী ২৫ মে কাঁথি, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোট, তাই এই পুলিশ আধিকারিকদের সরানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    কমিশন সূত্রে খবর (Lok Sabha Election 2024)

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক, পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুণ্ডুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে নতুন তিনজন আধিকারিকদের ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। এই জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ ছিলেন রাজ্যের শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। এই এলাকা এক কথায় অধিকারী পরিবারের বিশেষ গড় বলে পরিচিত। এই তিনজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আগেও নানা সময়ে একাধিক বার শাসকদল তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি।

    নতুন আধিকারিক কে কে হবেন?

    জানা গিয়েছে, কাঁথির পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসের পরিবর্তে নতুন এসডিপিও-কে হবেন তা এখনও নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করেনি। আবার ভূপতিনগর ও পটাশপুর থানার নতুন ওসি সোমবারই নিযুক্ত করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ভূপতিনগর থানার দায়িত্বভার সামলাবেন জয়ন্ত দাস। তিনি বীরভূমে সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন। অন্যদিকে পটাশপুর থানার দায়িত্বভার সামলাবেন রঞ্জিত বিশ্বাস। তিনি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন। ষষ্ঠদফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে একটি বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    আরও পড়ুনঃ “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    নির্বাচনী প্রচার জমজমাট

    লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কাঁথির প্রার্থী হয়েছেন সুমেন্দু অধিকারী। এলাকায় অনেক দিন ধরে উক্ত পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের কাজ করছেন বলে বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। অপরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তমলুকে প্রচার সভা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে অবতরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই ঝাড়গ্রাম থেকে একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন আকাধিক ইস্যুতে। শেষ সময়ে এই দুই কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চমদফা ভোটের দিনেই ষষ্ঠদফা নির্বাচনে প্রচারে ফের আসলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যদিও আজ প্রথমে তমলুকে প্রথমে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে পৌঁছনো সম্ভবপর হয়নি। তাই ঝাড়গ্রাম থেকে একযোগে প্রচার করে তৃণমূলকে নিশান করলেন তিনি। মোদি বলেন, “কাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসকে গালাগাল দিচ্ছিল, আজ বলেছে ইন্ডিজোটের অংশ। কংগ্রেস দুবন্ত জাহাজ, তৃণমূল কংগ্রেসের নৌকাতেও ছিদ্র হয়ে গিয়েছে, ডুবে যাবে।”

    গতকাল রবিবার পুরুলিয়া, মেদিনীপুর এবং বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সন্ন্যাসীর অপমানের বিরুদ্ধে মমতাকে কটাক্ষ করেছেন মোদি। একই ভাবে মুসলমান কট্টরপন্থীদের চাপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাজ করছেন এমন কথা বলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)?

    সোমবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এই নির্বাচন ভারতের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা ভারতকে দশকের পর দশক ধরে পিছনের দিকে নিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মানুষ বর্জন করেছেন। বিশ্বের বাকি দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে কিন্তু ভারতকে পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন তাঁরা। গত ষাট বছর ভারতকে দারিদ্র্যতা মুক্তির কথা বললেও কংগ্রেস সরকার তা করতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু বিশ্ববাসী আজ জেনে গিয়েছেন ভারত কীভাবে পঞ্চম অর্থ ব্যবস্থার দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের পুরাতন সকল সমস্যার সমাধান করবে মোদি। ধারা ৩৭০ বাতিল হওয়ায় জঙ্গি সংগঠন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পথে রয়েছে। পাকিস্তান ভারতের কাছ থেকে যোগ্য জবাব পেয়েছে। নকশাবাদীদের কোমর ভেঙে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতা কৌস্তুব বাগচীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা! অশান্তি একাধিক জায়গায়

    আর কী বললেন মোদি?

    সোমবার লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “একদিকে মোদি কাজের বিচারে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করছে, ওপর দিকে তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই আছে রেটকার্ড। তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেক চাকরির জন্য রেটকার্ড তৈরি করে রেখেছে। টাকা দাও চাকরি নাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তৃণমূলের নেতারা চাকরির নিলাম করেছেন। এই সবকিছু তৃণমূল শাসনের মধ্যেই হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল সরকার। ইডি-সিবিআই-কে ঠিক ভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এই রাজ্যে। প্রত্যেক দিন রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। বিজেপি কর্মীদের প্রকাশ্যে খুন করা হয় এখানে। বাংলায় পরিবর্তন দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের চাবি কোথায়? নবীনকে নিশানা মোদির

    PM Modi: জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের চাবি কোথায়? নবীনকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে জগন্নাথধামে গেলেন তিনি। আর পুজো দিয়ে বেরিয়েই জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Temple) রত্নভান্ডারের চাবি হারিয়ে যাওয়া নিয়ে নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন সরকারকে তোপ দাগলেন মোদি। তাঁর কথায় বিজেডি শাসনে নিরাপদ নয় পুরীর ঐতিহাসিক মন্দির।

    মোদির নিশানায় রত্নভান্ডারের ‘চাবি রহস্য’ (PM Modi)

    সোমবার পুরীতে পৌঁছে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেন মোদি। আর প্রচারের ফাঁকেই জগন্নাথধামে পুজো দিয়ে বেরিয়ে মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের চাবি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের দিকে প্রশ্ন ছুড়লেন মোদি। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের চাবি হারানোর ঘটনাকেও এ বার ভোটপ্রচারের হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরীর মন্দিরের (Puri Temple) সামনেই গ্রান্ড রোড ধরে রোড শো করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশ্ন তোলেন চাবি নিখোঁজ কেন? তিনি বলেন, “১২ শতাব্দীর এই পবিত্র জগন্নাথধাম বিজেডি সরকারের হাতে নিরাপদ নয়। বিজেডির শাসনকালে পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির নিরাপদে নেই। রত্ন ভান্ডারের চাবি গত ছয় বছর ধরে পাওয়া যায়নি। মহাপ্রভু জগন্নাথের মন্দিরে পুজো দিলাম। তাঁর আশীর্বাদ যেন সর্বদা আমাদের সকলের মাথার উপর থাকে। তিনি যেন আমাদের জীবনে চলার পথে উন্নতির দিকে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেন।”

    জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার

    ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Temple) ধর্মীয় তাৎপর্য কারও অজানা নয়। এই রত্নভান্ডারে বিগ্রহের জন্য নিবেদিত বহু মূল্যবান অলঙ্কার রয়েছে। জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার উদ্দেশ্যে এই অলঙ্কারগুলি নিবেদিত। এসব আজকের কথা নয়, যুগ-যুগ ধরে ভক্তকূল এবং একসময়ে রাজা-মহারাজারাও এই রত্ন ভান্ডারে অবদান করেছেন। শেষবার ১৪ জুলাই, ১৯৮৫ সালে খোলা হয়েছিল এই ভান্ডার।    

    আরও পড়ুন: ২ বছরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক থাকবে ভারতে! দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ওড়িশা হাইকোর্ট সরকারকে মন্দিরের (Puri Temple) রত্নভান্ডার খোলার নির্দেশ দেয়। যদিও রত্নভান্ডারের চাবি পাওয়া যায়নি বলে তা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় রাজ্যবাসী ক্ষুব্ধ হয়। আগামী শনিবার ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে পুরী, কটক, ভুবনেশ্বর-সহ ওড়িশার একাংশে ভোট রয়েছে। আর তার আগেই ভোটের মধ্যে রত্নভান্ডারের চাবি প্রসঙ্গকে আরও একবার সামনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এটা ভারতের সময়, এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “এটা ভারতের সময়, এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনি যদি বড় কিছু পেতে চান, তাহলে আপনার চিন্তাভাবনাটাও বড় করতে হবে।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, এমন পরিকল্পনা করতে হবে যা হাজার বছর পরেও লোকে মনে রাখে। তিনি বলেন, “এটা ভারতের সুসময়। এ সুযোগ হেলায় হারানো উচিত হবে না।” এ প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীনতার পরে ভারতের একশো বছরের পরিকল্পনার প্রসঙ্গও টানেন। তাঁর মতে, এটা ভারতের ভিত পোক্ত করে দিতে পারে।

    হাজার বছর…(PM Modi)

    উদাহরণ স্বরূপ তিনি উল্লেখ করেন দেশের আমলাতন্ত্রের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “কেবল প্রমোশনই লক্ষ্য হতে পারে না। নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং অফিসারদের প্রশিক্ষণে বদল জরুরি। তাঁদের জানা উচিত, তাঁদের জীবনের উদ্দেশ্য কী।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি আবারও বলছি, জীবনে কিছু ঘটনা ঘটে, যেগুলি আমাদের বেঁচে থাকতে বাধ্য করে আগামী হাজার বছর। আজ যা কিছু করা হচ্ছে, সেটা ভারতকে আগামী হাজার বছর ধরে একটা উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ উপহার দেবে। এটা ভারতের সময়। তাই সুযোগ হাতছাড়া করা আমাদের উচিত হবে না।” তিনি বলেন, “মানুষের জীবনেও যেমন টার্নিং পয়েন্ট থাকে, তেমনি থাকে রাষ্ট্রের জীবনেও। আমি মনে করি, এটাকে কাজে লাগাতে হবে।”

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা একটা বড় কাজ করছি, একটা বড় বুদ্ধিমত্তার অনুশীলন করছি। আমি এটা দীর্ঘদিন ধরে করছি। এবং সেই সব আধিকারিক, যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা অবসর নিয়েছেন। আমরা মন্ত্রী, সচিব এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি।” তিনি বলেন, “লক্ষ্যে পৌঁছতে আমি বিভিন্ন ধাপ অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি – ২৫ বছর, ৫ বছর, ১ বছর এবং ১০০ দিন। এর সঙ্গে আরও যুক্ত কিছু হবে, এক-দু’টো বাদও যেতে পারে। কিন্তু আমাদের সামনে একটা বড় পরিকল্পনা ছকা রয়েছে।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে আমরা পরিকল্পনা করতে শুরু করেছি। দেশের বয়স যখন একশো হবে, তখন পর্যন্ত তা কার্যকরী হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরের কথা ভাবছি না, ভাবছি একশো বছরের কথা। আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, দেশের বয়স একশো হলে আপনারা কী করবেন? আপনাদের প্রতিষ্ঠান থাকবে কোথায়? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নব্বই বছরের পরিকল্পনা রয়েছে। আমি বলেছিলেন, ঠিক আছে, তবে দেশের বয়স একশো হলে আপনারা কী করবেন?”

    যুবশক্তির সদ্ব্যবহার করা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি ছোট ছোট করে ভাবি না। মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যও আমি কাজ করি না। আগামিদিনে আমি জোর দিতে চাই কীভাবে যুবকদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করতে পারি, তাঁদের মধ্যে কীভাবে বড় কোনও স্বপ্নের বীজ বপন করতে পারি এবং সেই স্বপ্ন সফল করতে তাঁদের অভ্যাসে কী ধরণের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, তা তাঁদের বোঝাতে পারি। আমি বিশ্বাস করি (PM Modi), এই সব প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে।”

    দুয়ারে জয়

    ২০ মে, সোমবার দেশের ৪৯টি লোকসভা কেন্দ্রে চলছে নির্বাচন। অষ্টাদশতম লোকসভার নির্বাচন হবে সাত দফায়। এদিন চলছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। তার আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও তৃতীয়বার জয়ের বিষয়ে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এবার ৪০০ আসনে জিতে রেকর্ড গড়বে এনডিএ।” চারশো আসন পেলে এনডিএ সরকার সংবিধান বদলে দেবে বলে বিরোধীরা যা প্রচার করছেন, তা মিথ্যা বলেও দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    আর পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    তিনি বলেন, “চারশো আসন পাওয়ার সঙ্গে সংবিধান বদলে দেওয়ার ভাবনাটা বোকা বোকা। ওরা আসলে এসব ইস্যুতে গোলমাল পাকিয়ে হাউসের কাজকর্ম বন্ধ করে দেবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ৪০০ আসন পাবই। ২০১৯ থেকে ২০২৪ এই পাঁচ বছর বিজেপির নেতৃত্বে সরকার চলছে। গত নির্বাচনে এনডিএ জিতেছিল ৩৬০টি আসন। আর এবার চারশোর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরব আমরা (PM Modi)।” প্রসঙ্গত, সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    Mamata Banerjee: মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আইনি নোটিস পাঠালেন কার্তিক মহারাজ। উল্লেখ্য এই সন্ন্যাসী মহারাজ ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের মহারাজ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিভ্রান্তমূলক। সত্য প্রমাণ দিতে পারলে শাস্তি মাথা পেতে নেব।” তবে এটাও স্পষ্ট করলেন মমতা নিজের মন্তব্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি মামলা করব। এই প্রেক্ষিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন কার্তিক মহারাজ (Mamata Banerjee)?

    ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের মহারাজ স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলিনি। মমতা (Mamata Banerjee) পুরো মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি কোথাও কোনও জায়গায় এই কথা বলিনি। তৃণমূল কর্মীদের বুথ থেকে বের করে দেবো এই কথাও বিলিনি। আমি সন্ন্যাসী, আমি কোনও দল করিনা। প্রমাণ দিতে পারবেন না, এটাও সত্য কথা।” আবার ভারতসেবা আশ্রম সঙ্ঘের অধ্যক্ষ দিলীপ মহারাজ বলেন, “দেশ জুড়ে তো প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে মুখ খুলেছেন। আমি আর কী বলব, প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন।”

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    সন্ন্যাসীকে মিথ্যা অভিযোগ এবং বাক্য বাণে আক্রমণের বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করছেন। তিনি পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে বলেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের মাটিতে গিয়েছিলেন, যখন ভারতের কথা বলেছিলেন তখন লাখ লাখ মানুষ তাঁর ভক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি ভারতের প্রতি বিদ্বেষী ছিলেন। বিবেকানন্দকে ধমকিয়ে ছিলেন। এমনকি অপমানও করেছিলেন। এখন আবার এখানে সেরকম হচ্ছে। বাংলার মাটিতে এই রকম ঘটনা ঘটছে। নির্বাচনের সময়ে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো ধমকানো, হিংসা করানোর ঘটনায় তৃণমূল সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, মানুষের সেবা করা। নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এখন তাঁদেরকেই ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। লাখো মানুষের ভাবনার কথা ভাবছেন না”

    আরও পড়ুনঃ হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক অভিযোগ লকেটের

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত শনিবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থণে সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছিলেন, “সব সাধু সমান হন না। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেবেন না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।” এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা ইমামদের নির্দেশ বিষয়ে মমতার চুপ থাকার কথা বলে সরব হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটদানের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Lok Sabha Election 2024: ভোটদানের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পঞ্চম দফায় আজ, সোমবার আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৪৯টি আসনে ভোট শুরু হয়েছে ৷ তার আগে পাঁচ ভাষায় ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ বাংলাতেও ট্যুইট করেছেন মোদি৷ এদিন রাজ্যে মোট ৭টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।কেন্দ্রগুলি হল-হুগলি, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, বনগাঁ ও বারাকপুর। এদিন, মহিলা ও তরুণ ভোটেরদের উদ্দেশেও ভোটদানের আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ গত চার দফার নির্বাচনেও সকলকে ভোটে অংশগ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    মোদির আহ্বান

    পঞ্চম দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বিশেষত মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়কে শামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সকাল সকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁর বক্তব্য, “পঞ্চম দফায় আট রাজ্যের ৪৯টি আসনে লোকসভা নির্বাচন। আমি ভোটারদের অনুরোধ করব সকলে ভোট দিন। ভোটদানের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ুন। বিশেষত মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়কে অনুরোধ করব গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিন।” 

    শাহের বার্তা

    ভোট গ্রহণের (Lok Sabha Election 2024) দিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “আজ লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটে আমি জনগণকে আহ্বান জানাই বিপুল সংখ্যক ভোট দিয়ে এমন একটি সরকার নির্বাচন করুন, যারা আপনাকে দুর্নীতি মুক্ত শাসন, নিরাপদ পরিবেশ এবং আপনার নাগরিকত্বের অধিকার সুনিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে অনুপ্রবেশ রোধ করবে। এটি সব ভোটারদের জন্য এমন একটি সরকার বেছে নেওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ, যা সর্বাত্মক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে এবং আমাদের বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্নকে ত্বরান্বিত করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    Lok Sabha Election 2024: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) আবহের মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Lok Sabha Election 2024)

    শনিবার এক নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে সরব

    রবিবার বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘ আশ্রম সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি তাঁর কানে এসেছে বলে জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ। নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে রবিবার ধিক্কার জানিয়ে বেলডাঙায় মিছিল করেন কার্তিক মহারাজের ভক্তরা। ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে একটি ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করা হয়। বেলডাঙ্গা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে ছাপখানা হয়ে নেতাজি পার্ক হয়ে হরিমতি হয়ে আবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে শেষ হয়। ওই মন্তব্যেক মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করতে চলেছেন মহারাজের অনুগামী ও ভক্তরা।

    হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না

    রবিবার সংবাদমাধ্যমকে বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, ‘আমি কোথাও এরকম কোনও কথা বলিনি যে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী কার কাছে এসব শুনেছেন আমি জানি না। আমি তো রাজনীতির লোকই নই। আর্তের সেবা করা আমার কাজ। কিন্তু আমি একজন হিন্দু। আর হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। রেজিনগরে ওনার দলের বিধায়ক যখন বললেন ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব তখন উনি কোনও প্রতিবাদ করেননি কেন? ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন।’

    মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ মোদির

    এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “ভোটে যে তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, হিংসা করায় তারা এবার সব সীমা পার করে দিয়েছে। আজ দেশ ও দুনিয়ায় ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ সেবা ও সদাচারের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। তারা ভারতের নাম উজ্জ্বল করে। কিন্তু, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীদের খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছেন। খোলাখুলি হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। দুনিয়াজুড়ে এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ অনুগামী থাকেন। আর এদের উদ্দেশ শুধুমাত্র মানুষের সেবা করা। বাংলার সরকার তাদের দিকে আঙুল উঠিয়ে তাদের নাম নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এই দুঃসাহস কেবলমাত্র নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে। সেই লক্ষ্যে তৃণমূল এত নীচে নেমে গিয়েছে। এদের বাংলার মানুষের কোনও চিন্তা নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাবাবেগের কোনও চিন্তা নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share