Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Asansol: প্রার্থী ঘোষণা না হলেও লোকসভার প্রচার শুরু করে দিলেন ভোজপুরী তারকা দীনেশলাল

    Asansol: প্রার্থী ঘোষণা না হলেও লোকসভার প্রচার শুরু করে দিলেন ভোজপুরী তারকা দীনেশলাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই বিজেপির প্রচারে নেমে গেলেন ভোজপুরী তারকা তথা সাংসদ দীনেশলাল যাদব। আজ শুক্রবার আসানসোল রামবন্ধুতলা থেকে গড়াই রোড হয়ে সুকান্ত ময়দান পর্যন্ত রোড-শো করেন তিনি। একই সঙ্গে ঘাগর বুড়ি মন্দিরে পুজো দেন ভোজপুরী তারকা। আসন্ন লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে এলাকার প্রচুর বিজেপি কর্মী-সমর্থক অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, তিনি বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের সাংসদ। পবন সিং প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে।” 

    কী বললেন দীনেশলাল (Asansol)?

    আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে তৃণমূল প্রার্থী করেছে শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে। ২০১৪ সালে বিজেপির বাংলায় জেতা দুটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি ছিল আসানসোল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার প্রসঙ্গে ভোজপুরী তারকা তথা সাংসদ দীনেশলাল যাদব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তাঁর এই বয়সে মেডিটেশন যেমন করা উচিত, ঠিক আবার তেমনি জিম করা উচিত। তবে সেটা অবশ্য নিজের বয়সের দিকে নজর রেখে করতে হয়। সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। আরোগ্য কামনা করি।”

    আরও একবার মোদি সরকার হবে

    ভোজপুরী গায়ক দীনেশলাল যাদব নিজের প্রচারের বিষয়ে আসানসোলে আরও (Asansol) বলেন, “পার্টির আমি একনিষ্ঠ সৈনিক, একদিনের কর্মকাণ্ড ছিল তাই এসেছি। দেশকে শক্তিশালী করতে মোদিজির নেতৃত্ব একান্ত প্রয়োজন। আসানসোলে রেলের তরফ থেকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেই জমিতে চার লেনের রাস্তা হবে। দেখুন নির্বাচনে লড়াই করা, জয়-পরাজয় এক বিষয় এবং দেশের উন্নতি প্রসঙ্গে কাজ করা অন্য বিষয়। সারা বিশ্ব প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের দিকে নজর রেখেছে। ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন পাবে। আর একবার দেশে মোদির সরকার গঠন হবে। এই বাংলায় সিএএ লাগু হবেই। মমতা সরকারকে এই আইন কার্যকর করতে হবেই। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নাগরিকত্ব বাতিলের আইন নয়।”

    দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ

    উল্লেখ্য বিজেপির প্রচার কর্মসূচিতে শুক্রবার সকালে আসানসোলে (Asansol) আসেন এই বিজেপি তারকা দীনেশলাল যাদব। শুক্রবার দিনভর দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: সিএএ-র প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী!

    Mamata Banerjee: সিএএ-র প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি টাকারও বেশি সরকারি অর্থের কার্যত অপচয় করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়িতে দলের নেতা-কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে গেলেন দলের সুপ্রিমো। দু’দিনের প্রশাসনিক সফরে মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার পৌঁছে দীনবন্ধু মঞ্চে বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরে ঘোষণা করেন, বুধবার শিলিগুড়িতে সিএএ’র প্রতিবাদে মহামিছিল করবেন। সেই মিছিল শেষে উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যার পাশের মাঠে প্রশাসনিক সভার নামে প্রকাশ্য জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ সেই কর্মসূচি বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার উত্তরকন্যার অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক সভার নামে হাতে গোনা কয়েকজনকে জমির পাট্টা ও গরিবদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে দুপুরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।

    কোটি টাকা জলে! (Mamata Banerjee)

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ছবি দেওয়া ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড দিয়ে মঞ্চ, মাঠের চারদিক ও গোটা  রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রশাসনিক সভার আয়োজন সফল করার জন্য প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। বুধবার সকালে সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা নেমে আসে। ডেকরেটর কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্যান্ডেল খুলে ফেলার কাজে। প্রশাসনিক সভার জন্য বিপুল আয়োজন ছিল। মাঠ জুড়ে বিশাল মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি হয়েছিল। এতে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্স, হোর্ডিং বানাতেই ২০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্যান্ডেল, লাইট ও মাইকের জন্য বিশাল খরচ হয়েছে। প্রশাসনিক সভা ছিল তাই সবটাই সরকারের খরচ। কোটি টাকা জলে চলে যায়।

    আরও পড়ুন: দেড় বছর অপেক্ষা নয়, তার আগেই বিধানসভার ভোট, জনসভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মুষড়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

    মাঠ ভরানোর জন্য নির্দেশ মতো দলের নেতারা গাড়ি ভাড়া করে দলে দলে লোক আনার ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছিলেন। হঠাৎ করে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়ি সফরের পরপর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই সভা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে সফল করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লোক এনে মাঠ ভরানোর। গাড়ি ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আনার ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছিল। এভাবে হঠাৎ কোনও কারণ ঘোষণা না করেই সভা বাতিল হওয়ায় সেইসব মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। এর পরে মিটিং-মিছিলে লোক আনতে সমস্যায় পড়তে হবে। এভাবেই সরকারি অর্থ বাজে খরচের জন্যও ভোট প্রচারে দলকে কথা শুনতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে”, সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে”, সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ কার্যকরী হতেই জেলায় জেলায় খুশির বন্যা বইছে। মতুয়ারা রাস্তায় নেমে ডঙ্কা বাজিয়ে মিছিল করেছেন। এরমধ্যে তৃণমূল সিএএ নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে। নানাভাবে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এমনই অভিযোগ বিজেপির। আর তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিএএ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন। মঙ্গলবার তমলুকে তিনি বলেন, সিএএ কার্যকর হওয়ায় কোনও মুসলিম যদি বিপদে পড়েন তাঁর পাশে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুসলমানদের ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে না।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ সিএএ কার্যকর হওয়ায় কোনও অশান্তি হবে না। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বুঝেছেন এটা কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, স্বীকৃত পদে থেকে বলছি, একজন মুসলিমও যদি কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়েন আপনার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আছে। এই আইন সম্পূর্ণভাবে উদ্বাস্তু হিন্দুদের সম নাগরিকত্বের আইন। কারও কাছ থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে না। গতকাল রাতে লাগু হয়েছে। ১০ ঘণ্টা হয়ে গেছে। কার নাগরিকত্ব গেছে? এক জনকেও দেখাতে পারলে আমি নাকে খদ দেব’।

    মতুয়ারা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন

    সিএএ আইন কার্যকর হতেই সোমবারের মতো মঙ্গলবারও ঠাকুরনগরের উচ্ছ্বাস এবং আবেগে মেতে ওঠেন মতুয়ারা। একে উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সমাজের কাছে গৌরবের দিন বলে উল্লেখ করেছেন মতুয়া সমাজের মানুষ। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ঢাক-ঢোল, কাঁসর নিয়ে ঠাকুর বাড়ির মন্দিরে নেমে পড়েন। সকলে মিষ্টিমুখ করেন। পুরুষ-মহিলা সকলে এই আনন্দ উচ্ছ্বাসে যোগদান করেন। মতুয়া সমাজের ঠাকুরনগরের বাসিন্দারা বলেন, “আমরা ভীষণ খুশি, আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের মতো শরণার্থীদের কথা ভেবেই আইন করেছেন এবং তাকে বাস্তবায়িত করলেন। আমরা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। নাগরিকত্ব নিয়ে আমরা এখন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    Arjun Singh: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডে প্রার্থী ঘোষণার পর হ্যাংওভার কাটতে সময় নিলেন দুদিন। আর তারপরই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং (Arjun Singh) । তিনি যে শিল্পাঞ্চলে “বাঘ” আছেন তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। উপ নির্বাচনে প্রার্থী করে মন্ত্রীর ললিপপ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে ছিঁড়ে ভেজেনি। আর তাই মঙ্গলবার সকালে ভাটপাড়ায় মজদুর ভবনে অর্জুনের অফিস ঘর থেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।

    তৃণমূলের কাছে আনওয়ান্টেড হয়ে গিয়েছি (Arjun Singh)

    মমতার ছবি সরানোর প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতেই অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “মন থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কাছে আনওয়ান্টেড হয়ে গিয়েছি আমি। তার প্রমাণও পেয়ে গিয়েছি। তবে, বারাকপুরের মানুষের কাছে আমি ওয়ান্টেড আছি। আমার মনে হয় তৃণমূলে আমার গুরুত্বটাই নেই। আমার দেড় বছর নষ্ট করা হল। তৃণমূল নষ্ট করল। আর তৃণমূলে যারা কাজ করেছে পুরনো দিনের প্রায় সকলকেই এভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে আমার ছেলের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। ও তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিল। আমি শুনিনি। ও বলেছিল আমাকে টিকিট দেওয়া হবে না। সেটাই সত্যি হল।” অর্জুন পুত্র পবন সিং বলেন, “একজন বিধায়ক বাবার নামে এত কিছু বলত, দল কোনও ব্যবস্থা নিত না। বাবাকে বহুবার বলেছিলাম। দেরিতে হলেও তৃণমূল সম্পর্কে বাবার মোহভঙ্গ হয়েছে জেনে খুব ভাল লাগছে।” জানা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম অর্জুনকে ফোন করেছিলেন। বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রার্থী করে জেতার পর তাঁকে মন্ত্রী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে বরফ গলেনি।

    অর্জুনের মুখে মোদি স্তুতি

    মমতার ছবি ঘর থেকে সরতেই অর্জুনের (Arjun Singh) মুখে মোদি স্তুতি শোনা গেল। তিনি বলেন, “জনতার রায় মোদির দিকে রয়েছে। আর গতবারের তুলনায় রাজ্যে বিজেপি-র ফল অনেক ভাল হবে। আর বারাকপুরে ২০১৯ সালে বিজেপি-র দখলে ছিল। এবারও তাই হবে।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এবার কি তবে আবারও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অর্জুন সিং। ২০১৯-এর মার্চের পুনরাবৃত্তিই কি দেখতে চলেছে বারাকপুর-সহ গোটা রাজ্য? অর্জুন বলেন, “বিজেপিতে আমার সবাই বন্ধুবান্ধব। ফোন না আসার কথা বললে ঠিক হবে না। বিজেপিতে যখন ছিলাম, একটা জিনিস দেখতাম প্রতি মঙ্গলবার সাংসদদের মিটিং হত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীজী একটা কথা বলতেন, সম্পর্ক সকলের সঙ্গে রাখা উচিত। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়।”

    অর্জুনকে নিয়ে কী বললেন পার্থ?

    বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, “অর্জুন বুদ্ধিমান ছেলে। আমার মনে হয় না বার বার দল বদল করে ও নিজেকে অবিশ্বাসের পাত্র করে তুলতে চাইবে। এটা নিম্নরুচির পরিচয়। তবে, গোটাটাই ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি তো এনিয়ে কিছু বলতে পারি না। যা বলার রাজনৈতিকভাবে বলব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: “মমতা কি পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ তৈরি করেছেন?”, সিএএ বিরোধিতার পালটা জবাব শান্তনুর

    CAA: “মমতা কি পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ তৈরি করেছেন?”, সিএএ বিরোধিতার পালটা জবাব শান্তনুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ (CAA) লাগু হওয়ায় গতকালের পরে আজও ঠাকুরনগরের ঠাকুর বাড়িতে উৎসবের আবহ। ডঙ্কা, কাঁসর নিয়ে ঠাকুর বাড়িতে মেতে উঠেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তেরা। ঠাকুরবাড়িতে গেরুয়া আবিরের ঝড় বইল এক প্রকার। সিএএ চালুর আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন গোটা এলাকার উদ্বাস্তু হিন্দু নাগরিকেরা। এ যেন গেরুয়া হোলির আবহ। একই ভাবে আজ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর একাধিক ইস্যুতে বিঁধলেন মমতাকে। তিনি বলেন, “মমতা পশ্চিমবঙ্গকে কি আলাদা দেশ তৈরি করেছেন? সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারই সবটা দেখবে।”

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য (CAA)

    বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সিএএ (CAA) কার্যকর হওয়ার পর আজ ঠাকুরবাড়ি থেকে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। মতুয়া সমাজের মানুষের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আনন্দ ভাগ করে নেন তিনি। একই ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নাগরিকত্ব বিষয়ে জটিলতা তৈরি করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশাসকেরা পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন করার সময় ১৯৭১ সালের আগের কাগজ চান কেন? গত তিন পুরুষ ধরে মতুয়ারা নাগরিকত্ব নিয়ে আন্দোলন করছেন। বড় মা, পি আর ঠাকুরের আন্দোলনকে অস্বীকার করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষকে ভুল বোঝাতে আর পারবেন না। নাগরিকত্ব বিষয় রাজ্য সরকারের অধীনে নয়, এটা সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিষয়। মমতা মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। কেন্দ্রের মোদি সরকার নাগরিকত্ব দেবেই। আমাদের  সরকার অত্যন্ত বদ্ধ পরিকর এই বিষয়ে।”

    দুই ২৪ পরগনা জুড়েই রয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় সভা করে গিয়েছেন সম্প্রতি। তবে তিনি সিএএ চালু করার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য না করলেও  দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কয়েক দিন আগেই সংবাদ মাধ্যমে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন ভোটের আগে চালু হবে সিএএ (CAA)। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে বনগাঁ লোকসভার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও সিএএ চালুর ব্যাপারে আশ্বাস বাণী শুনিয়েছিলেন। অবশেষে চালু হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।  

    শিলিগুড়িতেও উচ্ছ্বাস

    অপর দিকে শিলিগুড়ির ঠাকুরনগর কলোনীতে বাড়ি কার্তিকবাবুর। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেই আনন্দে উল্লাসিত তিনি। শুধু কার্তিকবাবুই নন, শিলিগুড়িতে ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন ঠাকুরনগর এলাকায় সন্ধে থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের সকলের মধ্যেই এক উৎসবের আবহ লক্ষ্য করা গেল। কার্তিক বাবু বলেন, “কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমরা খুব খুশি। আমরাও আজ অধিকার পেলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA:“সিএএ আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, তোপ দাগলেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ

    CAA:“সিএএ আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, তোপ দাগলেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংসদে ২০১৯ সালে আমি প্রথম উদ্বাস্তু বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেবার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি খুব খুশি যে আজ সিএএ লাগু হয়েছে। সিএএ (CAA) আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, কেন্দ্র সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কার্যকর করার নির্দেশ জারি করতেই ঠিক এই ভাবে প্রতিক্রিয়া দিলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সেই সঙ্গে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই আবির খেলায় মেতে উঠলেন সাংসদ সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

    ২০১৯ সালে পাশ হয়েছিল সিএএ আইন (CAA)

    কয়েক দশক ধরেই নাগরিকত্ব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তরজা চলছিল। গত ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদি সরকার সংসদে এই সিএএ (CAA) বিল পাশ করায়। এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে দেশের আইনে পরিণত হয়। এরপর গতকাল কার্যকর করার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার। যদিও নির্দেশিকা জারি হতেই বিরোধিতা করতে দেখা গেল রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে এদিন সুবিশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে আবির খেললেন রানাঘাটের সংসদ তথা এবারে লোকসভার প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “এর আগে যখন সিএএ বিল পাস হয়, তখন কেন্দ্র সরকারের সংস্থাগুলিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রেল স্টেশন ভাঙচুর করা হয়েছিল, এমনকী ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন যারা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে এসেছে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-বিদ্রোহ করে সিএএ আইনকে কীভাবে বাতিল করা যায়। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তখনও আমি বলেছিলাম মমতার ক্ষমতা নেই ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে এই আইন বন্ধ করার। আমি কেন্দ্র সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছি। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে এদেশে বসবাস করছেন এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ, তাঁরা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব পাবেন, তার গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি।”

    আর উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে হবে না

    নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “সিএএ চালু হওয়ায় হিন্দু বাঙালিদের আর উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে হবে না। এই আইন চালু হওয়ায় আমরা সকলেই খুশি। এর আগেও কংগ্রেস কেন্দ্র সরকারে থাকাকালীন বহুবার আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কিছুই হয়নি। বিজেপি কথা দিয়েছিল, সেই কথা রেখেছে। আজ থেকেই সকলে নাগরিকত্ব পেতে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: ফের বাংলা পেল বন্দে ভারত, কোন রুটে চলবে এই এক্সপ্রেস?

    Vande Bharat: ফের বাংলা পেল বন্দে ভারত, কোন রুটে চলবে এই এক্সপ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া, গুয়াহাটির পর এবার এনজেপি থেকে পাটনা পর্যন্ত চালু হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। ১৫ মাসের মধ্যে তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেল এনজেপি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নটায় গুজরাত থেকে ভার্চুয়ালি এই ট্রেনের যাত্রা শুভারম্ভ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি রেলের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে দশটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন ছিল। পাশাপাশি চারটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ সম্প্রসারণে শুভারাম্ভ করেন তিনি। অন্যান্য প্রকল্পগুলির মধ্যে  বিভিন্ন স্টেশনে বৈদ্যুতিকরণ, সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের উদ্বোধন বেশি ছিল।

     কবে থেকে শুরু এনজেপি- পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? (Vande Bharat)

    বৃহস্পতিবার এনজেপি থেকে ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের বাকি সব দিন চলবে এনজেপি- পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। সকাল ৫:১৫ মিনিটে এনজিপি থেকে ছেড়ে বিহারের রাজধানী পাটনা পৌঁছবে বেলা ১২:১০ মিনিটে। পাটনা থেকে আবার বেলা ১ টায় ছেড়ে রাত ৮ টায় পৌঁছবে এনজেপিতে। স্টপেজ দেওয়া হয়েছে কিষাণনগঞ্জ এবং কাটিহারে। গত শুক্রবার এনজেপি থেকে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের  ট্রায়াল সফল হয়। ট্রেনটিতে ৫৩০টি সিটিং ক্যাপাসিটি-সহ ৮টি কোচ থাকবে। একটি এগজিকিউটিভ ক্লাস, পাঁচটি চেয়ার কার এবং দুটি ড্রাইভার ট্রেইল কোচ থাকবে।

    ভাড়া কেমন?

    নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা জংশনের মধ্যে ট্রেন ভ্রমণের ভাড়া ক্যাটারিং মাসুল ছাড়া এগজিকিউটিভ ক্লাসের জন্য ২০৮০ টাকা, চেয়ার কারের জন্য ১০৪০ টাকা এবং ক্যাটারিং মাসুল-সহ যথাক্রমে ২২৫০ টাকা ও ১১৮০ টাকা হবে। বিহার ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই অত্যাধুনিক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat) ট্রেনটির ফলে বিশেষভাবে উভয় রাজ্যের জনগণ বর্ধিত গতি ও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এক্সপ্রেস রেলের মাধ্যমে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করতে সক্ষম হবেন। যেহেতু এই সেমি হাই-স্পিড ট্রেনটি সমস্ত ধরনের বিশ্বমানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত, তাই যাত্রীরা নিজেদের ভ্রমণের সময় এই পার্থক্য ভালভাবেই অনুভব করতে পারবেন।

     স্বাগত জানাল বণিক মহল

    এনজেপি থেকে  হাওড়া, গুয়াহাটির পর বিহারের রাজধানী পাটনা পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে স্বাগত জানাল শিরিগুড়ির বণিক মহল। উত্তরবঙ্গ বণিক মহলের অন্যতম কর্মকর্তা সুরজিৎ পাল বলেন, বিহারের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হল। অল্প সময়ে মানুষ বিহারে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে দু’জায়গার ব্যবসা- বাণিজ্যে উন্নতি হবে।

     এনজেপি-র গুরুত্ব বাড়ছে

    এদিকে ১৫ মাসের মধ্যে তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat) চালু হওয়ায় এনজেপি  স্টেশনের গুরুত্ব আরও বাড়লো। এর জবাবে ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিজেপি নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রতিশ্রুতি মতো উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে বিজেপি প্রথম থেকেই এখানকার রেল পরিষেবা উন্নত করার উপর জোর দিয়েছে। সেই পরিকল্পনা মতো তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার পাশাপাশি এনজেপি স্টেশনকে বিশ্বমানের করে তোলারও কাজ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ি জংশন সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় এনে আধুনিকীকরণের কাজও চলছে। এর আগে এনজেপি- হাওড়া, এনজিপি -গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। তার মধ্যেই বার্তা ছিল যে এনজিবি থেকে আরও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে। তাই এনজেপি- পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

    CAA: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার সিএএ (CAA) কার্যকর করার কথা ঘোষণা হয়েছে। এই ঘোষণা করছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উল্লেখ্য কয়েক দিন আগেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন খুব দ্রুত লোকসভা ভোটের আগে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবে। আর আজ আইন কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে উচ্ছ্বাস এবং আবেগের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। একে উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সমাজের কাছে গৌরবের দিন বলে উল্লেখ করেছেন মতুয়া সমাজের মানুষ। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ঢাক-ঢোল, কাঁসর নিয়ে ঠাকুর বাড়ির মন্দিরে নেমে পড়েন। সকলে মিষ্টিমুখ করেন। পুরুষ-মহিলা সকলে এই আনন্দ উচ্ছ্বাসে যোগদান করেন।

    স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া (CAA)

    মতুয়া সমাজের ঠাকুরনগরের বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস সিএএ (CAA) কার্যকর হওয়ায় অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভীষণ খুশি, আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের মতো শরণার্থীদের কথা ভেবেই আইন করেছেন এবং আজ তাকে বাস্তবায়িত করলেন। আমরা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। নাগরিকত্ব নিয়ে আমরা এখন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করব।”

    উদ্বাস্তু হিন্দু নাগরিকের বক্তব্য

    উদ্বাস্তু হিন্দু নাগরিক দিলীপকান্তি মণ্ডল সিএএ (CAA) কার্যকর করা প্রসঙ্গে বলেন, “জয় হরি বোল, আমরা যাঁরা ওপার বাংলা থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে এই পশ্চিমবঙ্গের এসেছি তাঁদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার দেবে এই নাগরিকত্ব আইন। শরণার্থী উদ্বাস্তু হিন্দুদের অধিকারকে সুরক্ষা করতে এই আইন কার্যকর করা একান্ত প্রয়োজন। আমরা ভীষণ খুশি। মতুয়া সমাজের অনেক দিনের দাবি ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হোক। ঠাকুরবাড়ির বড়মা বীণাপাণি দেবী, প্রমথরঞ্জন ঠাকুর এবং সর্বভারতীয় মতুয়া সংগঠনের পক্ষ থেকে বার বার দাবি তোলা হয়েছে, আন্দোলন করা হয়েছে। এমনকী ঠাকুরবাড়িতে দু-দু’বার অনশন করেছি আমরা। মোদিজি এবং আমিত শাহ যে কথা দিয়েছেন, তা আজ কার্যকর হয়েছে। আমরা আজ খুব খুশি। এই আইন সারা দেশে বাস্তবায়ন হবে। অধিকার নিয়ে সম্মানের সঙ্গে বাঁচব আমরা।”         

    কী আছে সিএএ আইনে?

    এই সিএএ আইন (CAA) অনুযায়ী বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যদি কোনও হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষ যদি ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসেন তাহলে তাঁদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি রক্ষায় ভারত সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘এখানে মিনি ভারতের দর্শন হয়’, জনজোয়ার দেখে আপ্লুত মোদি

    Narendra Modi: ‘এখানে মিনি ভারতের দর্শন হয়’, জনজোয়ার দেখে আপ্লুত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ও সরকারি অনুষ্ঠানের সময়ের তাড়া ভুলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালি মাঠে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময় ধরেই বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তিনি সড়ক পথে রওনা হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাশে কাওয়াখালি মাঠের উদ্দেশ্যে। কিন্তু, বাগডোগড়া বিমানবন্দর থেকে বের হতেই প্রধানমন্ত্রী দেখেন রাস্তার দু’ধারে অগণিত মানুষ তাঁকে দেখার জন্য অধিক প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাই জেট গতিতে কনভয় না ছুটিয়ে ধীর গতিতে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়ি থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাত নেড়ে সৌজন্য বিনিময় করেন মোদি।

    মোদিকে দেখতে রাস্তার দুধারে জনজোয়ার (Narendra Modi)

    বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কাওয়াখালি মাঠ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার কনভয়ে ধীর গতিতে মোদি সভাস্থলে যান। ফলে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট পরে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন সভাস্থলে। সেখানেও  প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) দেখার জন্য লাখো মানুষের ভিড় ছিল। তাই, বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, রাস্তার ধারে মানুষ ভালোবাসার টানে অপেক্ষা করেছিলেন।  মানুষের ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। রাস্তা দিয়ে ধীর গতিতে আসতে গিয়ে এখানে পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তারজন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।

    মিনি ভারতবর্য!

    প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখা ও তাঁর বার্তা শোনার জন্য এদিন সকাল থেকে  নানা ভাষা ও বর্ণের মানুষ উত্তরবঙ্গের প্রতিটি প্রান্ত থেকেই মিলিত হয়েছিলেন এই কাওয়াখালির মাঠে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক পাহাড়ের প্রতিটি প্রান্ত থেকে সকাল হতেই গাড়ির মিছিল এসে মিলেছে কাওয়াখালি মাঠে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মাথাভাঙ্গা, ময়নাগুড়ি, দিনহাটা, ডুয়ার্সের চালসা মেটেলি থেকেও এসেছেন দলে দলে মানুষ। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের এই সমাবেশে কাওয়াখালির মাঠ কার্যত এদিন মিনি ভারতবর্ষের চেহারা নেয়। সমাবেশের ভিড় দেখে মিনি ভারতবর্ষের কথা বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, এখানে মিনি ভারতের দর্শন হয়।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি

    তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক (Narendra Modi)

    সকাল থেকেই দলে দলে মানুষ এসেছেন। মাঠে ঢোকার আগে সকলের মধ্যে ছিল বিজেপির পতাকা, নরেন্দ্র মোদির মুখোশ টুপি কেনার হিড়িক। সময় যত গড়িয়েছে জনসভায় ভিড় তত বেড়েছে। দল বেঁধে মতুয়ারা এসেছেন ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবের মেজাজে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। এদিন উত্তরবঙ্গের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ যে তৃণমূলকে উৎখাত করা শপথ নিতে এসেছিলেন তা তাদের প্রতিক্রিয়াতেই ধরা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী  তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসন নিয়ে সমালোচনায় সরব হলেই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে তৃণমূল বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের বার্তা এবং রাজ্যে তৃণমূলের অপশাসনের অবসানের শপথ নিতে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে সকলে নিজের নিজের মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বালান। শনিবার গোধূলি বেলায় কাওয়াখালির মাঠে অকাল দেওয়ালি নেমে আসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: “তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়”, শপথ নেওয়ার ডাক দিলেন অভিজিৎ

    Abhijit Gangopadhyay: “তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়”, শপথ নেওয়ার ডাক দিলেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটাও ভোট নয়, এই রাজ্য থেকে তৃণমূলের নাম মুছে দিতে হবে” কার্যত এই ভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে বিজপির মঞ্চ থেকে সোচ্চার হলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি শিক্ষা, খাদ্য, আবাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৪২ টা লোকসভা আসনে তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়।”

    কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতি (Abhijit Gangopadhyay)?

    হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) আজ শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, “আমি সদ্য বিজেপিতে একজন কর্মী হিসাবে যোগদান করেছি। আমার কিছু বলার আছে সেই প্রসঙ্গে। আমরা এমন এক রাজ্যে বসবাস করছি যেখানে এমন একটি দল শাসন করছে তার নাম উচ্চারণ করতে চাই না। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিদায় দিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। এই তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। এই রাজ্যের দল পুরোপুরি দুর্বৃত্ত দ্বারা গঠিত। আমি যখন মামলা শুনেছিলাম সেই সময় দেখতে পায়েছি, এই সরকারের দুর্নীতি কতটা ভয়ানক। ধরিয়ে না দিলে বুঝতেই পারবেন না। আজ বহু চাকরি প্রার্থী অনেক নম্বর পেয়েও চাকরি থেকে বঞ্চিত। তুলনায় কম নম্বর পেয়ে দুর্নীতি করে পকেটে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে অনেকেই। ফলে দুর্বৃত্তের দৌরাত্ম্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করার দিকে নিয়ে গিয়েছে।”

    দুর্নীতি নিয়ে আর কী বললেন?

    এদিন বিজপির সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমাদের প্রথামিক চাহিদা হল খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থান। খাদ্য দুর্নীতিতে তৃণমূলের খাদ্যমন্ত্রী জেলে রয়েছেন। শিক্ষা দুর্নীতিতে শিক্ষামন্ত্রী জেলে রয়েছেন। বাড়িতে কেউ নেই। আর বাসস্থানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ি চুরি করছে এই তৃণমূলের নেতারা। সামনেই নির্বাচন তাই দুর্নীতিগ্রস্ত দুর্বৃত্তদের একটা শিক্ষা দিতে হবে। তাঁদের উচিত শিক্ষা হবে পশ্চিমবঙ্গ উৎখাতের শিক্ষা। তৃণমূলের জালিয়াতির মূল্য তৃণমূলকেই দিতে হবে।”

    শথ নিতে বলেলেন অভিজিৎ

    অভিজিৎ (Abhijit Gangopadhyay) আজকের কাওয়াখালির সভা থেকে সকল পশ্চিমবঙ্গবাসীর উদ্দেশে বলেন, “আজকে এখান থেকে শপথ নিয়ে যান। এই তৃণমূলকে আর ভোট নয়। আমাদের ৪২ আসনের মধ্যে ৪২ আসন দখল করতে হবে। এই রাজ্য থেকে তৃণমূলের নাম মুছে দিতে হবে। তৃণমূলের বহু নেতা পালিয়ে যাচ্ছে। দলে কেউ থাকছে না। এলাকায় এলাকায় প্রচার করুন। ওরা নারী নির্যাতন করে, সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটায়। ২০২৬ সালের বিধানসভায় ওদের বিদায়ের পথ দেখিয়ে দিতে হবে। এই লোকসভা থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share