Tag: NASA

NASA

  • Artemis 1 Mission: আর্টেমিস ১ মিশনের প্রথম ধাপ! আজই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিতে চলেছে নাসার মহাকাশযান

    Artemis 1 Mission: আর্টেমিস ১ মিশনের প্রথম ধাপ! আজই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিতে চলেছে নাসার মহাকাশযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরেই আর্টেমিস ১ মিশনের (Artemis 1 Mission) চন্দ্র যাত্রা শুরু হতে চলেছে। সোমবার অর্থাৎ আজ নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার (NASA’s Kennedy Space Center) থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে এসএলএস রকেট। অর্থাৎ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ লঞ্চ প্যাড ৩৯ বি -এর মাধ্যমে নাসার ওরিয়ন স্পেসক্রাফট চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে।

    আর্টেমিস মিশনের তিনটি পর্যায় রয়েছে। সেগুলি হল আর্টমিস ১,২ এবং ৩। স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটেই থাকবে ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। বিশাল এসএলএস রকেট এবং ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল মহাকাশচারীদের চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে মহাকাশচারীদের চাঁদে নিয়ে যাবে।

    আগে ঠিক করা হয়েছিল যে আবহাওয়া পরিস্কার না থাকলে সেপ্টেম্বরে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আকাশ প্রধানত পরিস্কারই থাকবে, ৮০% সুযোগ থাকবে সফল উৎক্ষেপণের। ফলে আজই উৎক্ষেপণ করতে চলেছে রকেট। আর এই মুহূর্তেরই অপেক্ষা করে আছে গোটা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে, এই মিশনটি সফল হলেই ২০২৫ সালে মহাকাশচারীরাও পাড়ি দেবেন চাঁদে। সূত্রের খবর, পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে মহাকাশযানটি ৪২ দিন ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এরপর ৬ সপ্তাহ পর ফের পৃথিবীতে ফিরে আসবে এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরে এসে নামবে। এই রকেটের মধ্যে ওরিয়ন নামক স্পেসক্রাফটি রয়েছে, তাতে কোনও মানুষ থাকবে না। তবে এতে মানুষ না থাকলেও মানুষের ন্যায় রোবট থাকবে।

    প্রসঙ্গত, চাঁদে শেষবার মানুষ পাড়ি দিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনে (Apollo)। অ্যাপোলো মিশনের পাঁচ দশকের পর আবার চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা (NASA)। সে পরিকল্পনায় প্রথম বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশন। পরের বছর দ্বিতীয় ধাপে আবার রকেট পাঠানো হবে ও তৃতীয় ধাপে চাঁদের বুকে মানুষ নামবে বলে জানিয়েছে নাসা। ৩২২ ফুট লম্বা রকেটটি বানাতে খরচ হয়েছে ৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা নাসার সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। নাসার এ অভিযান সফল হলে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় পর আবারও চাঁদের বুকে পা রাখবে মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Artemis 1 Mission: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    Artemis 1 Mission: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে নাসা-র (NASA) আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম (Artemis 1 Program)। খুব শীঘ্রই নাসা লঞ্চ করতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশনের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS)  রকেট। আর বছর দুয়েক পর ফের চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে মানুষ। আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা  নাসা (NASA) চাঁদে সম্ভাব্য কোথায় অবতরণ করবে তাও ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    ২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। নাসা-র স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটটিকে ২৯ অগাস্ট লঞ্চ করা হবে। নাসা শুক্রবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্টেমিস থ্রি মিশনে মহাকাশচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অঞ্চলে অবতরণ করতে চলেছে। দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি ১৩ টি জায়গা নাসা বেছে নিয়েছে অবতরণ করার জন্য। আর্টেমিস থ্রি মিশনটি ২০২৫ সালে মহাকাশচারীদের নিয়ে শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। অ্যাপালো মিশন বন্ধ হওয়ার পর পাঁচ দশকের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: আর্টেমিস-১ মুন মিশনে ভারতীয় যোগ, প্রকল্পে যুক্ত হলেন বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে

    যেই ১৩ টি জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হল ফাউস্টিনি রিম এ, পিক নিয়ার শ্যাকলটন, কানেক্টিং রিজ, কানেক্টিং রিজ এক্সটেনশন, ডি গারলাচে রিম 1, ডি গারলাচে রিম 2, ডি গারলাচে-কোচার ম্যাসিফ, হাওর্থ, মালাপের্ট ম্যাসিফ, লিবনিটজ বিটা মালভূমি, নোবিল রিম 1, নোবিল রিমসেন 2। এই জায়গাগুলো চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অক্ষাংশের ৬ ডিগ্রির মধ্যে অবস্থিত। নাসা আরও জানায়, যেই জায়গাগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে নিয়ে বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল গবেষণা করছে। মূলত, ভূখণ্ড, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আলোর ব্যবস্থা, মহাকাশচারীদের অনুকূল পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অবতরণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে নাসা প্রথম চাঁদে মহিলা পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। নাসা থেকে জানানো হয়েছে, যদিও চাঁদের প্রতিটি অঞ্চলেই অবতরণের পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Indian in Artemis Mission: আর্টেমিস-১ মুন মিশনে ভারতীয় যোগ, প্রকল্পে যুক্ত হলেন বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে

    Indian in Artemis Mission: আর্টেমিস-১ মুন মিশনে ভারতীয় যোগ, প্রকল্পে যুক্ত হলেন বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জন্য আজ গর্বের দিন। নাসার আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্টেমিস-১ মুন মিশনে সিনিয়র গবেষক পদে যুক্ত হচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে। এই মিশনটির নাম ‘নিউ মুন প্রোগাম আর্টেমিস ১’ (New Moon Program Artemis I)। এই মিশনে চাঁদে রকেট পাঠানো হবে। মিশনটি নাসার আর্টেমিস প্রোগামের (Artemis Programme) বহু-প্রতীক্ষিত একটি মিশন।

    আরও পড়ুন: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    এই মিশনের জন্য চাঁদে পাড়ি দেবে নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) বা সংক্ষেপে এসএলএস (SLS) রকেট। চলতি বছরের ২৯ অগাস্ট মহাকাশে পাড়ি দেবে এই রকেটটি। অমিত পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৯৬০ সালে আমেরিকা যেমন অ্যাপোলো প্রোগাম শুরু করেছিল এবং নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন, তেমনি নাসার এই আর্টেমিস মিশনটি শুরু করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চাঁদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য গবেষণা করতে পারবেন ও এর পাশাপাশি চাঁদে বসবাসও করতে পারবেন।

    অমিত উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি উত্তরাখণ্ডে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে আইআইটি বিএইচইউ (IIT BHU) থেকে বিটেক (Btech) করেছিলেন। এরপরেই তিনি আমেরিকায় যান ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় (Arizona University) থেকে মাস্টার্স ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Maryland University) থেকে পিএইচডি করেন।

    বর্তমানে তিনি বিশ্বখ্যাত মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা তথা নাসার বিভিন্ন মহাকাশাভিযানের অন্যতম অংশীদার লকহিড মার্টিনে (Lockheed Martin) রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। অমিত শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানীই নন, তিনি কেরিয়ারপিডিয়া (Carrerpedia) নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে পড়ুয়াদের বিনা পয়সায় কেরিয়ার নিয়ে পরামর্শ দেন। সেখানে তিনি বলেন কোনও কোর্স বা প্রফেশনে যাওয়ার আগে কী কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় ইত্যাদি।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা 

    প্রসঙ্গত, সমগ্র চাঁদকে ঘুরে দেখার জন্য এবং কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষের অবতরণ করার পথকে আরও সহজতর করার জন্যই নাসার এই মিশন। আর এই মিশন সফল হলেই আর কয়েক বছরের মধ্যেই আবারও চাঁদে পাড়ি দিতে পারবে মহাকাশচারী। অ্যাপোলো মিশন বন্ধ হওয়ার পর প্রায় পাঁচ দশকের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে আর্টেমিস মিশনটি নতুন করে ফের চাঁদের মাটিতে মহাকাশচারীর পা রাখার আশা দেখাচ্ছে। ৩২২ ফুট লম্বা রকেটটি কোনও মানুষ ছাড়াই মহাকাশে তার প্রথম মিশনে যাত্রা করবে। নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের জন্য একে চাঁদে পাঠানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বলাই বাহুল্য এটি নাসা পরিচালিত আর্টেমিস মিশনের প্রথম ধাপ। 

  • Artemis 1 Mission: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    Artemis 1 Mission: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকটা দিনেরই অপেক্ষা। কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে নাসা-র (NASA) আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম (Artemis 1 Programme)। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেটটিকে ২৯ অগাস্ট লঞ্চ করা হবে। গত বুধবার রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই একে চাঁদে পাঠানো হবে।

    সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, ওরিয়ন স্পেসক্রাফ্টে কোনও মানুষ না থাকলেও, থাকবে তিনটি ম্যানেকিন অর্থাৎ মানুষের মত পুতুল, কিছু খেলনা এবং সঙ্গে অ্যামাজন অ্যালেক্সা। এছাড়াও এমন কিছু জিনিস যার সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগতমূলক গুরুত্ব আছে।

    মুনিকিন ক্যাম্পোস (Moonikin Campos) নামে ম্যানেকিনটি ওরিয়নের ভেতরে কমান্ডারের জায়গায় থাকবে। লঞ্চের সময় এটিকে ওরিয়ন সারভাইভাল সিস্টেম স্যুট (Orion Survival System suit) পরানো হবে। এই স্যুটটি মহাকাশচারীদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই ম্যানিকুইনটি সেন্সরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করবে। কমান্ডারের সিটটি সেন্সর দিয়ে তৈরি করা আছে যা মিশনের সময় গতিবেগ ও ভাইব্রেশনকে ট্র্যাক করবে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    হেলগা ও জোহার (Helga & Zohar) নামের অন্য দুটি ম্যানিকুইনের কাছে ৫৬০০টি সেন্সর ও ৩৪ টি রেডিয়েশন ডিটেক্টর রয়েছে যার মাধ্যমে তারা মিশনের রেডিয়েশন এক্সপোজার লেভেল (mission’s radiation exposure level) রেকর্ড করবে।

    আবার অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিসেন্ট অ্যালেক্সাও (Alexa) এই মিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অ্যালেক্সার অন্য ভার্সন ক্যালিস্টো (Callisto) নামের ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা হবে যে মহাকাশে এই ধরনের ডিভাইসের কাজ করার কতটা দক্ষতা রয়েছে। মহাকাশচারী এবং ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা কীভাবে তাদের কাজকে আরও দক্ষতার সঙ্গে এবং নিরাপদে করতে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে পারে তা দেখাই এর লক্ষ্য।

    এই স্পেসক্রাফটে স্নুপি (Snoopy) নামের একটি খেলনাও পাঠানো হবে। আমেরিকান কার্টুনিস্ট চার্লস এম শ্লুজ (Charles M. Schulz) এই খেলনাটিকে একেছিলেন। তিনি এটি প্রথম নাসা-এর অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সময় একেছিলেন এবং তারপর থেকেই স্নুপি মহাকাশ সংস্থার মিশনের সাথে যুক্ত। এদিকে স্নুপি খেলনাটি স্পেসক্র্যাফটের ভেতরে জিরো গ্র্যাভিটি ইন্ডিকেটর (Zero Gravity Indicator) হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

    প্রসঙ্গত, চাঁদে শেষবার মানুষ পাড়ি দিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনে। পাঁচ দশকের পর আবার চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা (NASA)। সে পরিকল্পনায় প্রথম বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর (Earth) দিকে এগিয়ে আসছে, এমন ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। আর বিগত কয়েক মাসে প্রতিনিয়তই এই ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে মহাকাশে। এবারও আবার একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ৯২ ফুট চওড়া গ্রহাণুটি অনেকটা বিমানের আকারের তিনগুণ বড়। এই গ্রহাণুটির নাম ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ (2020 QW3)।

    অগাস্টের প্রায় কয়েকটি দিন মহাকাশ গবেষকরা চিন্তায় ছিলেন। কারণ বিগত কয়েকদিনে কমপক্ষে ৫টি গ্রহাণু অত্যন্ত কাছ দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করছে। এই গ্রহাণুগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি বিশালাকার, যা মহাকাশ গবেষকদের মতে ‘উদ্বেগজনক’ ছিল। কারণ এগুলো পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেলেই অনেক বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবারের গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে না, পাশ দিয়ে চলে যাবে। ফলে এতে পৃথিবীর কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    নাসার (NASA) মতে ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ গ্রহাণুটি ২২ আগাস্ট, সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে ও পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ঘেঁষে চলে যাবে। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৬৪৮০০ কিমি এবং ২২ অগাস্ট সকালের দিকে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের ৩৩ লক্ষ কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে আসবে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুটি আগের গ্রহাণুগুলো থেকে আলাদা। কারণ এটি অ্যাপোলো গ্রুপের গ্রহাণু নয়, এগুলো আমোর গ্রুপের। সুতরাং এই গ্রহাণুটি সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। নাসা তরফে জানানো হয়েছে, যদিও এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়,কারণ এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এটি পৃথিবীর খুব পাশ দিয়ে উড়ে যাবে, তাই যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৃথিবীকে গ্রহাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নাসা এক মিশনের ওপর কাজ করছে। এই মিশনের নাম ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (Double Asteroid Redirection Test – DART)। এতে নাসার পাঠানো মহাকাশযান গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাবে। যাতে সেই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয়। এই মিশনের প্রধান লক্ষ্যই হল গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করানো। প্রায় ২৩ হাজার কিলোমিটার বেগে এটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করানো হবে। তবে নাসার এই মিশন সফল হয় কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Independence Day Wish: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    Independence Day Wish: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে মহাকাশ (Space) থেকেও এল স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আগাম শুভেচ্ছা! এই শুভেচ্ছা এসেছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (International Space Station) বা আইএসএসের (ISS) থেকে। শুভেচ্ছা বার্তার সেই ভিডিয়ো নিজেদের ট্যুইটার (Twitter) থেকে পোস্ট করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) বা ‘ইসরো’ (ISRO)। এর পাশাপাশি ‘ইসরো’-র (ISRO) তরফেও ট্যুইট (Tweet) করে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে আইএসএস-কে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইতালির মহাকাশচারী সামান্থা ক্রিস্টোফোরেত্তি (Italian astronaut Samantha Cristoforetti) ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মহাকাশ থেকেই ভারতের জন্য এই শুভেচ্ছাবার্তাটি পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইসরো কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার আরও উন্নতি এবং সফলতা কামনা করেছেন তিনি। আবার ২০২৩ সালে ভারতের ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের  ‘গগনযান’ (Gaganyaan) মিশন যেন সফল হয় সেই কথাও জানিয়েছেন সামান্থা। ভিডিওতে তিনি আইএসএ, নাসা এবং অন্যান্য সমস্ত আন্তর্জাতিক পার্টনারদের পক্ষ থেকেও ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তাঁদের লক্ষ্য হল ইসরোর সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করে একসঙ্গে মহাকাশের বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। এই ভিডিওটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরঞ্জিত সিং সাধুও শেয়ার করেছেন। তিনি এই ভিডিওটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার জনক, বিক্রম সারাভাইয়ের জন্মবার্ষিকীতে ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    এই এক মিনিট তেরো সেকেন্ডের ভিডিওতে সামান্থা পৃথিবীর উপর পর্যবেক্ষণ করার মিশনে ইসরো এবং নাসার একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলছেন। আবার মহাকাশ গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা যে ইসরোর সঙ্গে পার্টনারশিপ বাড়াচ্ছে, সে কথাও জানা গিয়েছে এই ভিডিও-এর মাধ্যমে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং গত মাসেই জানিয়েছেন, ‘গগনযান’-এর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং পরের বছরেই মহাকাশে মানুষ পাঠানো হবে। এই মিশনের আগে দুটো ট্রায়াল করা হবে, যার মধ্যে প্রথম ট্রায়ালে কোনও মানুষ থাকবে না, দ্বিতীয়টায় মহিলা রোবট পাঠানো হবে যার নাম ‘ব্যোমমিত্রা’ (Vyommitra)। এই ট্রায়াল সফল হলেই ফাইনাল মিশনে ভারতীয় মহাকাশচারীরা মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবেন। ২০২৩ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন যদি সফল হয়, তবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতের নাম যুক্ত হবে।

     

     

  • Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক গ্রহাণু (Asteroid) ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে যা পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে আসতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেছে নাসা (NASA)। বর্তমানে প্রায়ই একাধিক গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করছে। কিছুদিন আগেই দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এগুলো পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েনি, পাশ কেটে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফের নাসা কিছু মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে। নাসা থেকে কিছু গ্রহাণুর তালিকা বানানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনকি এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবী ধ্বংস পর্যন্ত হতে পারে।

    গ্রহাণু যে কোনও আকারের হোক না কেন তা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তবে নাসা যেসব গ্রহাণুকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হল-

    আমোর গ্রহাণু (Amore Asteroids)

    মঙ্গল গ্রহের পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় আমোর। আর্কিটাইপ অবজেক্ট ১২২১ আমোরের নামানুসারে এই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে। এগুলি পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। বেশিরভাগ অ্যামোর মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ অতিক্রম করে ও এগুলোর আকারও বড় হয়ে থাকে। আমাদের সৌরজগতে ৭৪২৭ টি পরিচিত আমোর গ্রহাণু রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫৩ টি গোনা সম্ভব হয়েছে ও বিজ্ঞানীরা এগুলোর মধ্যে ৭৫ টির নাম দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    অ্যাপোলো গ্রহাণু (Apollo Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলোর ১৮৬২ অ্যাপোলোর নামানুসারে নাম দেওয়া হয়েছে। অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলিও পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণুগুলির একটি গ্রুপ। ১৯৩০-এর দশকে, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল রেইনমুথ (Karl Reinmuth) এগুলো আবিষ্কার করেছিলেন। পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় অ্যাপোলো। এই গ্রহাণুগুলোর আকৃতি পৃথিবীর চেয়েও বড় হয়। বৃহত্তম অ্যাপোলো গ্রহাণু হল ১৮৬৬ সিসিফাস (1866 Sisyphus ) যার ব্যাস ৮.৫ কিলোমিটার ব্যাস।

    অ্যাটেন গ্রহাণু (Aten Asteroids)

    এগুলি একটি শক্তিশালী গ্রহাণুর গ্রুপ। এগুলোর কক্ষপথ পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। এগুলো আর্থ-ক্রসিং গ্রহাণু (Earth-crossing asteroids) নামেও পরিচিত। ২০৬২ অ্যাটেনের নামে এই জাতীয় গ্রহাণুর গ্রুপটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি ১৯৭৬ সালের ৭ জানুয়ারী প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এলেনর হেলিন (Eleanor Helin) এটি পালোমার অবজারভেটরিতে আবিষ্কার করেন। এখনও পর্যন্ত ১৮৪১ টি অ্যাটেন আবিষ্কার করা হয়েছে যার তেরোটির নাম রয়েছে।

    অ্যাটিরা গ্রহাণু (Atira Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলির কক্ষপথগুলি সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অ্যাটেন, অ্যাপোলো এবং আমোর গ্রহাণুর তুলনায়, অ্যাটিরা গ্রহাণুগুলি এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গ্রুপ।

     

     

  • NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা অনেকেই হয়তো উল্কা (meteor), ধূমকেতু (comet) দেখেছেন আর গ্রহাণুর (asteroid) কথা শুনেছেন। অনেকে আবার এগুলোকে একই মনে করেন। এগুলো এক বস্তু নয়। তবে এদের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে সম্প্রতি এই নিয়ে নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রহাণু

    গ্রহাণুকে ইংরেজিতে বলা হয় অ্যাস্টেরয়েড (asteroid)। এটি প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু। এগুলো সাধারণত সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের প্রাচীন টুকরো, বেশিরভাগই শিলা দ্বারা গঠিত। এরা সৌরজগতে অবস্থান করে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আকৃতিতে অনেক ছোট হওয়ার কারণে এদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এদেরকে অস্পষ্ট তারকার মত দেখা যায়। এদের আকৃতি কয়েক মিটার থেকে শুরু করে অনেক বড় হতে পারে। আবার এই গ্রহাণুগুলোতে এমন ধাতু থাকতে পারে যা তাদের উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এতে  কার্বন রয়েছে যার ফলে এগুলোর রঙ কয়লার মত কালো। বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রচুর সংখ্যক গ্রহাণু রয়েছে, যারা প্রায় ২ মিটার – ৫৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    ধূমকেতু

    ধূমকেতুর ইংরেজি শব্দ হল কমেট (comet)। এটি সাধারণত ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। প্রতিটি ধূমকেতুর কেন্দ্রে একটি বরফের নিউক্লিয়াস থাকে। যখন ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর বরফের শরীর গরম হয়ে যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি করে যা এর নিউক্লিয়াসের চারপাশে কোমা বা লেজ তৈরি করে। এছাড়াও সূর্য থেকে আসা সৌর ঝড়ের ফলে বিস্ফোরণ ঘটায় ধূমকেতুতে লেজের সৃষ্টি হয়। ধূমকেতুর  লেজ থাকে, তাই এরা উল্কার থেকে আলাদা হয়। এই লেজ হল আসলে পাতলা ও ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল। মানুষ বহুকাল থেকেই ধূমকেতু দেখে আসছে। একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। নাসা থেকে বলা হয়েছে মহাকাশে ৩৫৩৫ টির মত ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে সৌরজগতের মধ্যে সম্ভবত কোটি কোটি ধূমকেতু রয়েছে।

    উল্কা

    উল্কা বা Meteoroids আসলে ধূমকেতু আর গ্রহাণুর খণ্ডাবশেষ। উল্কাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। তখন একে উল্কাপাতবলে, যাকে আমরা তারাখসা নামেও জানি। আসলে এগুলো মোটেও নক্ষত্র নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে, উল্কাগুলি সাধারণত বড় হয়, কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় স্তরগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, তারা উত্তপ্ত হয়, আর এর বেশিরভাগ অংশই প্রচণ্ড তাপে পুড়ে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছানো বেশিরভাগ উল্কা ছোট পাথরের আকারের ন্যায় হয়ে থাকে।

     

     

  • Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? নাকি পৃথিবীর মত আরও গ্রহ আছে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবী ছাড়া আর কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এভাবেই নাসা আরও এক পৃথিবীর (Exoplanet) সন্ধান দিল এই মহাবিশ্বে। এই পৃথিবীকে নাসার বিজ্ঞানীরা ‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) তকমা দিয়েছে। একইসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই পৃথিবী আমাদের পৃথিবীর ভরের চার গুণ। আর আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান এই সুপার আর্থের।

    নাসা জানিয়েছে, নতুন যে পৃথিবী আবিষ্কার করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, তার নাম ‘রস ৫০৮বি’ (Ross 508b)। এই পৃথিবী এম টাইপ তারকার (M type Star) চারদিকে ঘুরছে। আর এই তারকাকে একবার পুরো ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ১০.৮ দিন। অর্থাৎ ১১ দিনের থেকেও কম। পৃথিবীর মতই এই গ্রহ এম টাইপ তারকাকে ঘিরে ঘুরে চলেছে। ফলে এই নতুন বিশ্বে ১১ দিনের কম সময়েই এক বছর হয়। সুপার আর্থ যে তারকাকে বা বামন গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে তা সূর্যের থেকে অনেক বেশি লাল, ঠান্ডা, ম্লান এবং আকারেও ছোট।

    ৫০৮বি নামের সুপার আর্থটি ৮.২ মিটারের সুবারু টেলিস্কোপে দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই টেলিস্কোপটি হাওয়াইয়ের মাউনা কেয়া অবজারভেটরিতে অবস্থিত। এই সুপার আর্থের সন্ধান পাওয়ার পরে নাসা থেকেও ট্যুইট করে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, এই সুপার আর্থটি বসবাসের যোগ্য হতে পারে। কারণ এটি তারকাটির habitable zone  বা বসবাসযোগ্য এলাকায় আছে। কিন্তু এটি প্রদক্ষিণ করার সময়ে কিছু সময়ের জন্য তার  বাসযোগ্য অঞ্চলের ভেতরে থাকে। আবার কিছু সময়ের জন্য তার বাইরে চলে যায়। গবেষণা অনুসারে এক্সোপ্ল্যানেট তার নক্ষত্রকে এমন দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে যা গ্রহের পৃষ্ঠে জল গঠনের অনুকূল। অর্থাৎ এই গ্রহের পরিবেশ জল তৈরি ও ধরে রাখার পক্ষে অনুকূল, ঠিক যেমন আমাদের পৃথিবীর অবস্থান। আবার ৫০৮বি এক্সোপ্ল্যানেটে পৃথিবীর মতই পাথুরে ভূখন্ড রয়েছে, যা প্রাণের অস্তিস্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে, এখনও কিছুই প্রমাণ হয়নি, এই সুপার আর্থ আদেও বসবাসের যোগ্য কিনা। তাই এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

     

     

  • NASA: পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ছায়াপথের ছবি পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    NASA: পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ছায়াপথের ছবি পাঠাল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের অনেক সুন্দর ছবি ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে এনেছে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope)। সম্প্রতি একটি কার্ট হুইল ছায়াপথের (Cartwheel Galaxy) ছবি পাঠিয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। দীর্ঘ সময় এবং বিপুল পরিমাণ ধূলিকণার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে এই অসাধারণ ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে স্কালপচার (Sculptor) নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত এই কার্ট হুইল ছায়াপথ। 

    কার্টহুইল আকৃতির এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে দুটো বলয় প্রসারিত হতে দেখা গিয়েছে। পুকুরে ঢিল ছুড়লে যেমন রঙ বা বলয় আকৃতিতে জল প্রসারিত হয়, এখানেও অনেকটা তেমনই হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। এই দুই স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে যে, এই ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি সাদা রঙের বলয় রয়েছে। আর বাইরের বলয়ের অংশে অনেক রঙের স্পোক দেখা গিয়েছে। মহাবিশ্বে প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন বছর ধরে এই বলয় প্রসারিত হচ্ছে। বাইরের অংশের বলয় প্রসারিত হলে তা গ্যাসে পরিণত হয় এবং নতুন নক্ষত্রের স্ফুলিঙ্গ গঠনের সহায়ক হয়।

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই টেলিস্কোপ লঞ্চ করা হয়েছিল। গত মাসে সাধারণ মানুষের সামনে প্রথম ছবি (টেলিস্কোপে তোলা) প্রকাশ করেছিল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। আগামী দিনে মহাবিশ্বের আরও অনেক অজানা রহস্যের উন্মোচন করবে এই টেলিস্কোপ, সেই ব্যাপারে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

LinkedIn
Share