Tag: NASA

NASA

  • Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু!  আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণুদের আসার বিরাম নেই। গত বছর ধরে দফায় দফায় গ্রহাণুরা পৃথিবীর আশপাশে ঘুরে গেছে। কেউ একেবারে কোল ঘেঁষে আবার কেউ একটু তফাৎ রেখে দূর দিয়ে। গত সপ্তাহে দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিল ৪০০ ফুট চওড়া, অন্যটি ৬০০ ফুট চওড়া। তবে এবার তার থেকে অনেক বড় অনুমান, কুতুব মিনারের চেয়ে ৬ গুণ বড় একটি গ্রহাণু আজই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। এবার কি তবে সত্যিই পৃথিবীর ধ্বংস আসন্ন? একথা উঠছে, কারণ, এই মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে নাসা (NASA)।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ পৃথিবীর, ভাঙল সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড

    যে কোনও আকারের গ্রহাণুই পৃথিবীর পক্ষে ভয়ের। কেননা, যে ভরবেগ নিয়ে তারা ছুটে আসে, তাতে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কোনও না কোনও বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু সাধারণ আকারের চেয়ে যদি ছুটে আসতে থাকা গ্রহাণুর আকার ও আকৃতি অনেকটাই বড় হয়, তাহলে বিপদ বেড়েই যায়। নাসা আগেই এই গ্রহাণু নিয়ে সতর্ক করেছিল। এই বিশাল গ্রহাণু (Asteroids) তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। আজ ৩ অগাস্ট পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসবে। এখন টক্কর লাগবে নাকি পৃথিবীর কোল ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা সর্বদা এর গতিপথের দিকে নজর রাখছে।

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    প্রায় ১২০০ ফুট বিস্তৃত ৩৬৫ মিটার চওড়া দীর্ঘ আকারের এই অ্যাস্টেরয়েড ভয়ংকর গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এটা। প্রদক্ষিণ করতে করতেই ক্রমশ সামনে চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে এই ভাবে বোঝাচ্ছেন, যে গ্রহাণু ধেয়ে আসছে, সেটি আকারে স্ট্যাচু অব লিবার্টির ৩ গুণ। এত বৃহৎ একটি পাথর যে কোনও ভাবেই আসুক না কেন তা যে কোনও সময়েই বিপদের বার্তা বহন করে আনে।  

  • NASA: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    NASA: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবী থেকে সূর্যগ্রহণের বিরল দৃশ্য চাক্ষুষ করতে চাই আমরা সবাই। তবে এক একবার এক একটি জায়গা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। আমরা ভিড় জমাই সেখানে। চোখ রাখি ক্যামেরায়। কিন্তু মহাকাশ থেকে যদি সূর্যগ্রহণ প্রতক্ষ্য করা যায়, তা কেমন দেখতে হবে? এবার মহাকাশ থেকে তোলা সূর্যগ্রহণের ছবি প্রকাশ করল নাসা (NASA)। গত ২৯ জুন   নাসা তার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি (NASA’s Solar Dynamics Observatory) থেকে সূর্যগ্রহণের এই ছবি তোলে। মহাশূন্যে নাসার এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত। ২০১০ সালে এর সূচনা।

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    চাঁদ যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে চলে যায়, তখন পৃথিবীতে একটি ছায়া পড়ে, কিছু এলাকায় সূর্যের আলো সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে যায়, এ ভাবে সূর্যগ্রহণ ঘটে। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের জন্য, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট রেখায় সারিবদ্ধ হতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সূর্যের ছায়া পৃথিবীর উপর পড়ে না, তাই সেই ক্ষেত্রে গ্রহণ মহাকাশ থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাশূন্যে দেখতে পাওয়া এই আংশিক সূর্যগ্রহণ লেন্সবন্দি করেছে নাসা। ৩৫ মিনিট ধরে এই আংশিক গ্রহণের ছবি ধরেছে নাসার ক্যামেরা।

    আরও পড়ুন: হয়ে গেল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ , ভারত তখন ঘুমিয়ে

    গত ১২ বছর ধরে সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি (এসডিও / SDO) সূর্যের ভিতরের অনেক কিছু জানতে সাহায্য করেছে। বিভিন্ন গ্রহে সূর্যাস্তের ছবি কেমন লাগে, সেই চিত্রও তুলে ধরেছিল এসডিও। সূর্যের পৃষ্ঠে ক্রমাগত নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার কারণে অতীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সূর্য থেকে অনেক সৌর তরঙ্গ বেরিয়ে এসেছিল। বড়সড় সৌর বিস্ফোরণে পৃথিবীর জন্যেও বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি, AR3032 থেকে একটি শক্তিশালী সৌর শিখা বিস্ফোরিত হয়েছিল। এই AR3032 একটি সক্রিয় সানস্পট, এই চিত্রও তুলে ধরেছিল এসডিও। সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি টানা ১২ বছর ধরে সূর্যের উপর নজরদারি করছে। এই ১২ বছরে সূর্য সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে, বলে জানিয়েছে নাসা।

  • Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ (NASA) শনিবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদের মাটিতে ‘আর্টেমিস-১ মিশনের’ (Artemis 1 Mission) রকেট উৎক্ষেপণের আরেকটি প্রচেষ্টা চালাবে। গত সোমবারই পৃথিবীর মাটি ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ রকেটের। কিন্তু লঞ্চ করার একেবারে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। নাসা থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে ‘আর্টেমিস-১ এর ইঞ্জিনে কিছু সমস্যার কারণে আজ লঞ্চ হচ্ছে না।‘

    নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক ছিল, ২৯ অগাস্ট ভারতীয় সময়ের সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এসএলএস (SLS) রকেটটিকে চাঁদের উদ্দেশে উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের ঠিক ৪০ মিনিট আগে হঠাৎ রকেটের প্রধান আরএস-২৫ চারটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে নাসার ইঞ্জিনিয়াররা তৎক্ষণাৎ মিশন থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইঞ্জিনে তাপমাত্রা জনিত সমস্যার কারণে সেদিন যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, জ্বালানির ট্যাঙ্কে হাইড্রোজেন ভরাট করার সময়  ট্যাঙ্কে ফুটোও ধরা পডড়েছিল। ফলে তড়িঘড়ি বিজ্ঞানীরা সেদিন মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    এরপরেই নাসা থেকে জানানো হয়েছিল যে, তারা এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পরবর্তী লঞ্চ করার তারিখ জানাবেন। এরপর মিশন ম্যানেজার মাইকেল স্যারাফিন একটি বিবৃতিতে জানান, ৩ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার সময় অনুযায়ী, বেলা ২টা ১৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। সোমবার, নাসা ফ্লোরিডার উপকূলের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযান ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রকেটের ইঞ্জিনে সমস্যা, হাইড্রোজেন লিক এবং খারাপ আবহাওয়া সহ বেশ কয়েকটি কারণে এটির উৎক্ষেপণ স্থগিত হয়ে যায়। তবে শনিবারই যে উৎক্ষেপণে সফল হবেন তেমন কোনও গ্যারান্টি দেননি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করবেন বলে জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, সেদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে অনুমান করা হয়েছে, শনিবার রকেট উৎক্ষেপণ করার জন্য ৬০ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার (Burj Khalifa) চেয়েও দ্বিগুণ বড় একটি গ্রহাণু! হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়ছেন। প্রায় ১.৮ কিমি চওড়া এই মহাজাগতিক বস্তুটি ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’ (Asteroid 7335) বা ‘১৯৮৯ জেএ’ (1989 JA) নামে পরিচিত। গ্রহাণুকে “সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA)। 

    ইতিমধ্যেই একটি ভার্চুয়াল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহাণুটির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রহাণুটি মহাকাশে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। রাশিয়ার সায়েন্স অ্যাকাডেমির কেলডিশ ইনস্টিটিউট (The Keldysh Institute of Applied Mathematics of Russia’s Academy of Sciences) গ্রহাণুটির গতিবেগ সম্পর্কে জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা

    এই গ্রহাণুটি ১৯৮৯ সালে এলিয়ানর হেলিন (Eleanor Helin) নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার করেন। আগামী ২৭ মে তেই পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে ‘১৯৮৯ জেএ’। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০২২ সালে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসা বৃহত্তম গ্রহাণু হতে চলেছে ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’। এরপর ২০৫৫ সালের ২৩ জুনের আগে পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে না এই গ্রহাণুটি।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটি “অ্যাপোলো” শ্রেণিভুক্ত । অ্যাপোলো শ্রেণির গ্রহাণুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পাশ দিয়ে কোনও ক্ষতি না করেই উড়ে যায়। এটি শ্রেণির গ্রহাণুগুলি মূলত মহাজাগতিক দেহ যা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। 

    আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলি (Apollo Asteroids) পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যায় এবং পৃথিবীর থেকেও এদের বড় কক্ষপথ থাকে। এই গ্রহাণুটির বিশাল আকারের জন্য পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। একটি ট্যুইটে ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ (Virtual Telescope) বলেছে, “অনেক রহস্য রয়েছে মহাবিশ্ব সেগুলিকে প্রকাশ করতে প্রস্তুত, যেমনটি আগে কখনও হয়নি। আগামী ২৭ মে একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।”

     

  • Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়।  বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী। 

    এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট  (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

    সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।

    চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা। 

  • Moon Rocket: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    Moon Rocket: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে চাঁদে পাড়ি দেবে নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেট। কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই একে চাঁদে উৎক্ষেপণ করা হবে। দীর্ঘ সময়ের পর আবার চাঁদে রকেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। চলতি বছরের ২৯ অগাস্ট এই রকেটটিকে লঞ্চ করা হবে। গত মঙ্গলবার রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং একে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    এই দীর্ঘ মুন রকেটটির দৈর্ঘ্য ৯৮ মিটার। চাঁদে রকেট পাঠানোর এই মিশনটি নাসার আর্টেমিস প্রোগামের (Artemis Programme) বহু-প্রতীক্ষিত একটি মিশন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম ফ্লোরিডায় নাসা- র কেনেডি স্পেস সেন্টারের (NASA’s Kennedy Space Center) বিল্ডিং ছেড়ে এটির লঞ্চপ্যাডের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, স্পেস লঞ্চ সিস্টেমটি গত দশ বছরে বোয়িং কোম্পানির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। এই রকেটটি রোলআউটটি করতে প্রায় ১১ ঘন্টা সময় লাগবে। যার গতি প্রতি ঘন্টায় ১.৬ কিমি।

    এই রকেটটির ওপরের দিকে একটি নাসা ওরিয়ন অ্যাস্ট্রোনট ক্যাপসুল ( NASA Orion astronaut capsule) বলে অংশ রয়েছে। এটি লকহিড মার্টিন কর্পোরেশন তৈরি করেছে। এটি মহাকাশে গিয়ে রকেট থেকে আলাদা হয়ে যাবে ও পরে মানুষকে চাঁদে পরিবহন করতে সাহায্য করবে। এবং মহাকাশচারীদের চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অন্য এক মহাকাশযানের সঙ্গে যুক্ত হবে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এটি পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ৪২ দিন ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। রকেটটিকে লঞ্চ করার আগেই একটি ব্যাকআপ তারিখ নাসা থেকে ঠিক করা হয়েছে। কারণ যদি ২৯ অগাস্ট খারাপ আবহাওয়ার জন্য রকেটটিকে লঞ্চ করা না যায়, তবে সেই দিনের বদলে ২ ও ৫ সেপ্টেম্বর লঞ্চ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। 

     

     

  • Asteroids: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে পরপর পাঁচটি গ্রহাণু, জানুন কবে আসবে…

    Asteroids: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে পরপর পাঁচটি গ্রহাণু, জানুন কবে আসবে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি-দুটি নয়, পাঁচটি গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে থাকে। আজ থেকেই শুরু হয়েছে গ্রহাণুর আসা। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে ঠিকই কিন্তু পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোবও সম্ভাবনা নেই। ফলে এতে কোনও চিন্তার বিষয়ও নেই। সম্প্রতি অনেক গ্রহাণুই পৃথিবার পাশ কেটে চলে গিয়েছে এবং এতে পৃথিবীর ওপর কোনও প্রভাবও পড়েনি। কোন গ্রহাণু কেন দিন পৃথিবীর দিকে আসতে চলেছে, জেনে নিন।

    এনইও ২০২২ কিউপি৪ গ্রহাণু(NEO 2022 QP4)

    আজ এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এটি প্রায় পৃথিবীর কক্ষপথের ১কোটি ৩৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ২২ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসবে ও পাশ কেটে উড়ে যাবে। এনইও ২০২২ কিউপি৪ গ্রহাণুটি প্রায় ৪০ ফুট চওড়া, প্রায় একটি বাসের আকারে সমান। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫০০০কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তীতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরেই মঙ্গল গ্রহের দিকে যাবে।

    এনইও ২০২২ কিউকিউ৪ (NEO 2022 QQ4)

    এই গ্রহাণুটি আগামীকাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে ও এর আকার আগের গ্রহাণুটির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ১১০ ফুট চওড়া গ্রহাণুটির গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৭ কিমি। নাসার মতে এই গ্রহাণুটি পুনরায় ২১৩১ সালের ১৬ অগাস্ট পৃথিবীর দিকেই ফিরে আসবে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    এনইও ২০২২ কিউপি৩ (NEO 2022 QP3)

    এই গ্রহাণুটি রবিবার অর্থাৎ ২৮ অগাস্ট পৃথিবীর কক্ষপথের ৫৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে চলে যাবে। তবে এর আকার আগের গ্রহাণুর আকারের সমান। কিন্তু এই গ্রহাণুর গতিবেগ আগের গ্রহাণুর থেকে একটু বেশি। এর গতিবেগ প্রায় প্রতি ঘন্টায় ২৯০০০ কিলোমিটার। এই গ্রহাণুটি আবার ২০২৫ সালের ১৬ অগাস্ট পৃথিবীর দিকে ফের চলে আসবে।

    ২০২২ কিউএক্স৪ ও ২০১৭ বিইউ(2022 QX4 and 2017 BU)

    এই দুটি গ্রহাণুই সোমবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে চলেছে। ১৪০ ফুটের সমান ২০২২ কিউএক্স৪ গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের ১৮ লক্ষ কিমির মধ্যে দিয়ে চলে যাবে। এর গতিবেগও প্রতি ঘন্টায় ২৯০০০ কিমি। এটি আবার ২০২৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে।

    ১০০ ফুট চওড়া ২০১৭ বিইউ গ্রহাণুটি ৬৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর পাশ কেটে চলে যাবে। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫কিলোমিটার। এটি আবার ২০৫১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর (Comet) সন্ধান দিল নাসার (NASA) হাবল টেলিস্কোপ (Hubble telescope)।  এতদিন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া ধূমকেতুগুলির মধ্যে এর দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। যা শুনলে চমকে উঠবে যে কেউ। 

    এই ধূমকেতুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে এতদিন যা ধারণা ছিল,তা ভেঙে গিয়েছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর মূল অংশটির ব্যাস প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর নাম C/2014 UN271। সাধারণ ধূমকেতুর যে দৈর্ঘ্য, তার থেকে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ গুণ বেশি! আমেরিকার দ্বীপ রোদে আইল্যান্ডের থেকেও বড় এটি। প্রায় ৩৫ হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে সেটিকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে সৌরজগতের সীমানার দিকে।
    কেবল দৈর্ঘ্য় নয়, ধূমকেতুটির ভরও চমকে দেওয়ার মতো। এর ভর প্রায় ৫০০ লক্ষ কোটি টন। এটিও এতদিন আবিষ্কৃত ধূমকেতুদের থেকে বহু গুণ বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অতিকায় ধূমকেতুকে দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। ২০০২ সালে দেখা গিয়েছিল C/2002 VQ94 নামের এক ধূমকেতু। সেটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত চেনা ধূমকেতুদের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ। কিন্তু এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। 

    এই ধূমকেতুটিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে। সেই সময় সূর্যের থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩০০ কোটি মাইল। তবে সেবার কেবল একে দেখা গেলেও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত খবর পাওয়া গেল প্রথম বার। আশ্চর্য এই ধূমকেতুকে নিয়ে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। 

    নাসা জানাচ্ছে, ২০৩১ সালে সেটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। তাহলে কি ওই অতিকায় ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে আমাদের পৃথিবীর। এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছে নাসা। জানা গিয়েছে, আমাদের নীল গ্রহের কাছে এলেও ধূমকেতুটি তার থেকে অনেক দূর দিয়েই চলে যাবে। তাই কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে রাতের আকাশের দিকে চোখ রেখে যে চমকে উঠবেন মহাকাশপ্রেমীরা, তাতে সন্দেহ নেই।

     

  • Solar Flare Hits Earth: পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল ‘সোলার ফ্লেয়ার’, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় রেডিও ব্ল্যাকআউট

    Solar Flare Hits Earth: পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল ‘সোলার ফ্লেয়ার’, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় রেডিও ব্ল্যাকআউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানার পর থেকেই সূর্যের ক্রিয়াকলাপ আবারও গতি পাচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যেই পৃথিবীতে ধেয়ে এসেছে ভূ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ! রবিবারই একটি সূর্য তরঙ্গাংশ এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় রেডিও যোগাযোগে বিপত্তি তৈরি করে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখানেই শেষ নয়, পৃথিবীকে আরও যন্ত্রণা দিতে আগামী এক সপ্তাহ জুড়ে সূর্যের নানা কার্যকলাপ চলতেই থাকবে। আর কী হতে পারে এই সপ্তাহ জুড়ে, আশঙ্কার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। 

    সূর্যের পূর্ব দিকের অংশ থেকে একটি সৌর তরঙ্গাংশ বা ফ্লেয়ার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে তরঙ্গ দু-একদিন আগে তৈরি হয়েছিল, তেমনই একাধিক তরঙ্গ তৈরি হতে পারে, কারণ একাধিক সান স্পট তার স্থান অদল-বদল করবে। সেই ফ্লেয়ার ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে।

    স্পেস ওয়েদার নামে একটি ওয়েবসাইটের দাবি, সপ্তাহের শুরুতে যে কাণ্ড ঘটেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এর পরেই একটি বড়সড় রেডিও অ্যাক্টিভ রিজিওন রয়েছে। সেটি ধরা পড়েছে রবিবার। সেটির প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতে। স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সূর্যের অগ্ন্যুৎপাতের পরে পৃথিবী-সহ সৌরমণ্ডলের অভ্যন্তরীণ গ্রহের দিকে অগ্নিশিখা আঘাত হানতে পারে।

    একটি সৌর শিখা সূর্যের পৃষ্ঠে আকস্মিক, দ্রুত এবং তীব্র বিস্ফোরণ ঘটায়। যখন চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ শক্তি হঠাৎ করে নির্গত হয় তখনই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ মহাবিশ্বের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থজুড়ে বিকিরণ নির্গত করে। সৌরজগতের গ্রহগুলির দিকে আঘাত করে। এই বিকিরণগুলিতে রেডিও তরঙ্গ, এক্স-রে এবং গামা রশ্মি থাকে।

    বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একটি সৌর শিখার তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম হল পূর্ববর্তী পর্যায়, যেখানে চৌম্বকীয় শক্তির মুক্তি নরম এক্স-রে নির্গমনের মাধ্যমে শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রোটন এবং ইলেকট্রন এক মিলিয়ন ইলেকট্রন ভোল্টের সমতুল্য শক্তিতে ত্বরাণ্বিত হয়। তৃতীয় পর্যায় হল এক্স-রেগুলির ধীরে ধীরে বিল্ড আপ এবং ক্ষয় হয়। উল্লেখ্য, সূর্য এখন তার একাদশতম সৌর চক্রে রয়েছে, যা পৃষ্ঠের উপর উচ্চ কার্যকলাপ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। 

    বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সৌর ঝড়ের ফলে প্লাজমা ছড়িয়ে পড়ে মহাশূন্যে। এর আগে পৃথিবীর দিকে নয়, পৃথিবীর থেকে দূরবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রভাব পড়েছিল পৃথিবীতে। এ বার সেটি পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকা অংশেই ঘটছে। তাই আশঙ্কা বেশি। এই ধরণের সোলার ফ্লেয়ার সাধারণত বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত করে পৃথিবীর দিকে। ম্যাগনেটিক ফিল্ডে আটকে থাকা সেই শক্তি হঠাৎ বাইরে বেরিয়ে পড়ে। এর ফলে তৈরি হয় বিকিরণ। যা থেকেই ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ।

     

  • Asteroid: কাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে গোল্ডেন গেট ব্রিজের মতো বড় গ্রহাণু

    Asteroid: কাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে গোল্ডেন গেট ব্রিজের মতো বড় গ্রহাণু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামীকাল আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবী। সানফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজের আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথে আসতে চলছোন ঘেঁষে চলে যাওয়ার কথা। ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিমি গতিতে গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে বলে জানিয়েছে নাসা।

    গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘৪১৮১৩৫(২০০৮এজি৩৩)’। সাধারণত পৃথিবীর পাশ দিয়ে এত বড় আকারের কোনও গ্রহাণু গেলে বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবে এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবীর কোনও বিপদের আশঙ্কা আপাতত নেই বলেই নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নাসা সূত্রে খবর, পৃথিবী থেকে ৩,২৪০,০০০ কিমি দূর দিয়ে চলে যাবে গ্রহাণুটি। এর ব্যাস ৪৫০ মিটার।  তবে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে গেলেও, সেটিকে খালি চোখে দেখা যাবে না বলেই নাসা সূত্রে খবর। তবে ছোট টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখা যেতে পারে।

    নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশে এখনও পর্যন্ত ১,০৩১,৪৮৮টি গ্রহাণু তৈরি হয়েছে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগৎ তৈরি হওয়ার শুরুর দিকে এই পাথুরে, বাতাসহীন গ্রহাণুগুলি তৈরি হয়। এই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর কক্ষপথে এলে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে এবার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে নাসা। শেষপর্যন্ত এর গতিপথের দিকে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে নাসার বিজ্ঞানীরা।

LinkedIn
Share