Tag: nation news

nation news

  • Su 57 Fighter Jets: এদেশেই ‘সু-৫৭’ উৎপাদন, ‘অ্যামকা’ তৈরিতে সহযোগিতা! ভারতকে প্রস্তাব রাশিয়ার

    Su 57 Fighter Jets: এদেশেই ‘সু-৫৭’ উৎপাদন, ‘অ্যামকা’ তৈরিতে সহযোগিতা! ভারতকে প্রস্তাব রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পৌঁছল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান ‘সু-৫৭ই’ (Su 57 Fighter Jets)। বেঙ্গালুরুতে বসতে চলেছে এরো ইন্ডিয়া ২০২৫-এর (Aero India 2025) আসর। বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান সেখানে অংশগ্রহণ করবে এবং প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। সেখানেই থাকবে এই অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধবিমান। ইতিমধ্যে, ভারতে এই যুদ্ধবিমান তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। তার পর থেকেই এই যুদ্ধবিমানকে ঘিরে আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে জনমানসে।

    ভারত বনাম আমেরিকা যুদ্ধবিমানের ডুয়েল!

    এশিয়ার বৃহত্তম এরোস্পেস প্রদর্শনী হল এরো ইন্ডিয়া (Aero India 2025)। এ বছর এই অনুষ্ঠান ১৫ বছরে পড়ল। বেঙ্গালুরুর ইয়ালাহাঙ্কা এয়ারবেসে আগামী ১০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনী ও মহড়া। এ বছর এই শোয়ের অন্যতম বড় আকর্ষণ হতে চলেছে সুখোই সু-৫৭ই যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets)। এই শোয়ে অংশগ্রহণ করার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ প্রঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমানের। কিন্তু, সূত্রের খবর অনুযায়ী, হয়ত মার্কিন জেট এবার অংশগ্রহণ করবে না। একইভাবে, আপগ্রেডেড এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেরও প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভবত আসছে না বলে খবর। ফলে, রাশিয়া বনাম আমেরিকার আধুনিকতম যুদ্ধবিমানকে একসঙ্গে চাক্ষুষ করার সুযোগ থাকছে না। যে কারণে, রুশ যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets) নিয়ে আগ্রহ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

    ভারতে সু-৫৭ যুদ্ধবিমান উৎপাদনের প্রস্তাব

    ইতিমধ্যেই, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ যুদ্ধবিমান (Su 57 Fighter Jets) ভারতেই উৎপাদন করার প্রস্তাব নয়াদিল্লিকে দিয়েছে মস্কো। তবে, ভারত নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’ (Indian FGFA) তৈরি করছে। সেই প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ফলে, ভারত কতটা এই প্রস্তাবে আগ্রহ দেখাবে তা নিয়ে সন্দেহ। আর এই বিষয়টা বিলক্ষণ জানে রাশিয়াও। তাই, অ্যামকা তৈরি করার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে রেখেছে মস্কো। রুশ সংবাদসংস্থা স্পুটনিকের দাবি, সু-৫৭ যুদ্ধবিমান রাশিয়ায় তৈরি করে ভারতে উড়িয়ে আনা বা পরে এদেশে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এবং অ্যামকা (Indian FGFA) তৈরি করার ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা— নয়াদিল্লিকে পাঠানো প্রস্তাবে জানিয়েছে মস্কো। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, অতীতে এই দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে এই যুদ্ধবিমানকেই (পিএকে-এফএ) তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল (Su 57 Fighter Jets)। কিন্তু, দাম, কার্যকারিতা, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও অংশীদারিত্ব নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায়, ওই প্রকল্প থেকে সরে আসে ভারত। ফলে, এত বছর পর, ভারতকে রাজি করানো সহজ নয় রাশিয়ার।

  • Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে ‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4)। ওই অভিযানে চাঁদের পাথর, মাটির নমুনা নিয়ে ফের পৃথিবীতে ফিরে আসবে মহাকাশযানটি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। একইসঙ্গে, ‘গগনযান’ (Gaganyaan Mission) ও ‘সমুদ্রযান’ (Samudrayaan Mission) মিশনের সময়ও ঘোষণা করেন তিনি। ফলে, আগামী তিন বছর ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সময় আসতে চলেছে (ISRO Future Projects)।

    চাঁদের পাথর-মাটি নমুনা সংগ্রহ

    জিতেন্দ্র জানান, চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযানে প্রথমবার ব্যবহার করা একটি নয়, দুটি হভি লিফ্ট এলভিএম ৩ রকেট (LVM3 Rocket)। দুই ভারী রকেটে করে পাঠানো হবে এই মিশনের জন্য প্রয়োজন পাঁচটি বিভিন্ন অংশকে। সেগুলি দুটি ভাগে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে সেখানে জুড়বে। চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) মিশনের লক্ষ্য হল চাঁদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসা। অন্যদিকে, গগনযান অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জিতেন্দ্র জানান, আগামী বছর মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। ওই মিশনে পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে চার ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। শুধু মহাকাশ নয়, সমুদ্রের গভীরেও বিশেষ অভিযান চালাবে ইসরো। সেটাও আগামী বছরেই। জিতেন্দ্র জানান, মিশন সমুদ্রযান-এর মাধ্যমে তিনজন বিজ্ঞানী বিশেষভাবে নির্মিত সাবমার্সিবল (ডুবো) ভেসেলে চেপে সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার গভীরে গিয়ে গবেষণা চালাবেন। সিং বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার লক্ষ্যে দেশের এই অগ্রগতি বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভারতকে একাসনে বসাবে।’’

    সমুদ্রযান অভিযানের গুরুত্ব অপরিসীম

    গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় সমুদ্রযানের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিন জিতেন্দ্র জানান, সমুদ্রযান অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হল সমুদ্রতলের মূল্যবান সম্পদ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের উন্মোচন করা যা আখেরে ভারতের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত লক্ষ্যপূরণের জন্য অপরিহার্য। গগনযান মিশন নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, চলতি বছর এই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে দেশে তৈরি হিউম্যানয়েড রোবট ‘বিয়োমিত্র’-কে মহাকাশে পাঠানো হবে এবং আবার ফিরিয়ে আনা হবে। এর পর, সামনের বছর মানব-অভিযান সম্পন্ন করা হবে (ISRO Future Projects)।

    মোদি জমানায় মহাকাশ সেক্টরে বিপুল উন্নতি

    জিতেন্দ্র সিংয়ের মতে, মোদি জমানায় গত এক দশকে মহাকাশ সেক্টরে (India Space Sector) প্রভূত পরিমাণ উন্নতি করেছে ভারত। পরিকাঠামোগত হোক বা বিনিয়োগ এই ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপকহারে অগ্রসর হয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ইসরো (ISRO) গঠন হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এর দুদশক পার করার পর ১৯৯৩ সালে দেশে প্রথম লঞ্চপ্যাড (রকেট উৎক্ষেপণের প্ল্যাটফর্ম) গড়ে তোলে ভারত। দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ হয় ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ‘‘এখন ভারী রকেট উৎক্ষেপণের জন্য আমরা প্রথমবার তৃতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ করছি। পাশাপাশি, শ্রীহরিকোটার চাপ কমাতে এবং ছোট রকেট উৎক্ষেপণের জন্য তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে নতুন উৎক্ষেপণকেন্দ্র গড়ে তুলছি।’’

    দেশের মহাকাশ ক্ষেত্রে বিনিয়োগর জোয়ার

    বর্তমানে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতির মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই গতিতে চললে, আগামী এক দশকে তা ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে। আর তেমনটা হলে, মহাকাশ-শক্তিধর হিসেবে বিশ্বের হাতে গোনা দেশগুলির সঙ্গে একই সরণিতে চলে আসবে ভারত। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, মোদি জমানায়, এই মহাকাশ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে বহু বেসরকারি সংস্থাও। যার ফলে, এখন ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের জোয়ার চোখে পড়ছে (ISRO Future Projects)।

  • Fort William Renamed: মুছে গেল ঔপনিবেশিকতার ছায়া, ফোর্ট উইলিয়ামের নতুন নাম ‘বিজয় দুর্গ’

    Fort William Renamed: মুছে গেল ঔপনিবেশিকতার ছায়া, ফোর্ট উইলিয়ামের নতুন নাম ‘বিজয় দুর্গ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম বদলে গেল শতাব্দী-প্রাচীন ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed)। সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও, ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) সদর দফতরের প্রশাসনিক কাজকর্মে এখন থেকেই নতুন নামে ডাকা হচ্ছে ২৫০ বছরের পুরনো এই সামরিক প্রতিষ্ঠানকে। এই নাম বদল নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে। তবে, কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, ঐতিহ্যের পুনঃস্থাপন এবং ব্রিটিশ যুগের প্রভাব সরিয়ে ফেলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ঔপনিবেশিকতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে…

    মুঘল এবং ঔপনিবেশিকতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে মোদি জমানায় দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে শুরু করে জায়গা ও প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করা হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। যেমন এলাহাবাদ শহরের নাম পাল্টে করা হয়েছে প্রয়াগরাজ। দেশের ব্যস্ততম মোগলসরাই রেল স্টেশনের নাম পাল্টে করা হয়েছে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। আবার রাজধানীর রাজপথের নাম পাল্টে করা হয়েছে কর্তব্য পথ। সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে এবার কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed) নাম বদলে দেওয়া হল।

    এখন থেকে ফোর্ট উইলিয়াম হল ‘বিজয় দুর্গ’

    এ প্রসঙ্গে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইং কমান্ডার হিমাংশু তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফোর্ট উইলিয়ামকে ‘বিজয় দুর্গ’ (Vijay Durg) নামেই ডাকা হবে। তিনি আরও জানান, গত ২ ডিসেম্বর নাম বদলের নির্দেশ আসে। শুধু ফোর্ট উইলিয়াম নয়, এর মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি জায়গার নামবদলও হয়েছে। যেমন ফোর্টের মধ্যে থাকা সেনা কমান্ডারের বাসভবন কিচেনার হাউসের নতুন নাম হয়েছে মানেকশ হাউস। দক্ষিণ প্রান্তের গেটের নাম ছিল সাউথ গেট বা সেন্ট জর্জ গেট। সেটি হয়েছে শিবাজি দ্বার। আবার পূর্ব প্রান্তের গেটের নাম রাখা হয়েছে স্বর্নিম বিজয় দ্বার। সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) এক সূত্রের মতে, ঔপনিবেশিকতা ছাপ মুছতেই ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed) নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ফোর্ট উইলিয়ামের ইতিহাস

    ১৭৭ একর জমির ওপর তৈরি ২৫০ বছরের পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম সেই তখন থেকেই কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে। জানা যায়, ১৬৯৬ সালে মূল দুর্গটি তৈরি করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এর নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটেনের তৎকালীন রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে। কিন্তু, সেই সিপাই বিদ্রোহের সময় এই দুর্গ আক্রমণ করেছিলেন সিরাজ-উদ-দৌলা। তাতে বিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুর্গটি। পরে, নতুন করে শুরু হয় নির্মাণ। প্রথমে ১৭৫৮ সাল থেকে তৈরি শুরু হয় এই সেনা ছাউনি তৈরির কাজ। পরে ১৭৮১ সালে লর্ড ক্লাইভ দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করেন।

    নতুন নামকরণের তাৎপর্য (Fort William Renamed)

    সেনা সূত্রে খবর, বিজয় দুর্গ নামকরণের নেপথ্যে বড় যুক্তি রয়েছে। মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গে রয়েছে বিজয় দুর্গ। যা ছত্রপতি শিবাজি মহাজারাজের নৌবহরের ঘাঁটি ছিল। বলা হয়, এই দুর্গ অভেদ্য ছিল। পুনর্নির্মাণের পর একবারের জন্যও আক্রমণ হয়নি এই ফোর্ট উইলিয়াম। নতুন আক্রমণ ঠেকাতে এখানে ৪৯৭টি তোপ মোতায়েন করেছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু, একবারের জন্যও তা চালাতে হয়নি। আবার কিচেনার হাউসের নাম পাল্টে মানকেশ হাউস করার নেপথ্যেও রয়েছে বড় ইতিহাস। এই বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়েছিল সেনা কমান্ডারদের থাকার জন্য। ফিল্ড মার্শাল হোরাশিও হার্বার্ট কিচেনার ছিলেন ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনার তৎকালীন সেনা কমান্ডার। তিনি ফোর্ট উইলিয়ামে ছিলেন ১৯০২-১৯১০ সাল পর্যন্ত। তাঁর নামেই নাম রাখা হয় বিল্ডিংটির (Fort William Renamed)। সেই নাম পাল্টে করা হয়েছে মানেকশ-র নামে, যিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল। শুধু তাই নয়। ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময়, তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান, যার আমলে পাকিস্তান পর্যুদস্ত হয়েছিল এবং জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। সেই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই ইস্টার্ন কমান্ড (Army Eastern Command)। এখানেই শেষ নয়। শোনা যায়, ভারতের কাছে ৯০ হাজার পাক সেনার আত্মসমর্পণের পর তাদের তৎকালীন কমান্ডার এএকে নিয়াজিকে এই কিচেনার হাউসেই এনে আটক রাখা হয়েছিল।

  • India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় সেনায় বিপুল জনপ্রিয় দেশে তৈরি পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারের (Pinaka MBRL System)। বিশ্বের নজর টানা এই আর্টিলারি রকেট সিস্টেমকে আরও ক্ষমতাশালী করতে সম্প্রতি ২টি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই এক জোড়া চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর ফলে, পিনাকা সিস্টেমের ধার ও ভার উভয়ই প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে (India Defence)।

    দু’ধরনের রকেট উৎপাদনের চুক্তি

    প্রথম চুক্তির মূল্য ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চুক্তিটি করা হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার পাল্লা সম্পন্ন হাই-এক্সপ্লোজিভ প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড রকেট অ্যামুনিশন কেনার জন্য। দ্বিতীয় চুক্তির মূল্য ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই চুক্তির আওতায় ৩৭ কিলোমিটার পাল্লার এরিয়া ডিনাইয়াল অ্যামুনিশন কেনা হবে, যেগুলি ব্যবহার করা হবে ভারতীয় সেনার ১০টি পিনাকা রেজিমেন্টের জন্য। এরিয়া ডিনাইয়াল মুনিশনের বিশেষত্ব হল এটি ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ও মাইন-বিধ্বংসী হিসেবেও অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিশেষত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (India Defence)।

    সেনায় আরও গুরুত্ব পিনাকা-কে

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মুনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ রকেট ও অস্ত্রগুলি উৎপাদন করবে নাগপুরস্থিত বেসরকারি সংস্থা সোলার গ্রুপ। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই মর্মে দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় ৪টি পিনাকা রেজিমেন্ট রয়েছে। এর একাংশ বর্তমানে দুর্গম চিন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। নতুন আরও ৬টি রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া চলমান।

    পিনাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারতের

    কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিনাকা সিস্টেমে (Pinaka MBRL System) ব্যবহৃত রকেটের একাধিক সংস্করণ তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। কোনওটার পাল্লা ৪৫ কিলোমিটার তো কোনওটার ৭৫ কিমি পর্যন্ত। অধিক দীর্ঘ পাল্লার (৭৫ কিমি) রকেটগুলি গাইডেড প্রকৃতির। তবে, এখানেই থামতে রাজি নয় ডিআরডিও। ভবিষ্যতে, এই রকেটের পাল্লা আরও বৃদ্ধি করে প্রথমে ১২০ কিমি এবং আরও পরে ৩০০ কিমি পর্যন্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মতে, একবার এই পাল্লা ভারতের হাতে চলে এলে, পিনাকা হয়ে উঠবে বাহিনীর অন্যতম প্রধান অস্ত্র (India Defence)।

    কারগিলে জাত চিনিয়েছিল পিনাকা

    পুরাণ মতে, দেবাদিদেব মহাদেবের ধনুকের নাম ‘পিনাক’। সেই অনুসারে এই রকেটের নামকরণ করা হয় ‘পিনাকা’। সাবেক সোভিয়েত আমলের ‘গ্রাদ বিএম-২১’ রকেট লঞ্চারের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয় পিনাকা। প্রথম এটি ব্যবহার করা হয়েছিল কারগিল যুদ্ধে। সেখানেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিল এই দেশীয় রকেট সিস্টেম। কারগিল যুদ্ধের সময় দুর্গম এলাকায় এই পিনাকা ব্যবহার করে পাক ফৌজকে পর্যুদস্ত করেছিল ভারতীয় সেনা (India Defence)। সেই সময় পাক সেনার ওপর মুহুর্মুহু আঘাত হেনেছিল পিনাকা রকেট। কার্যত রকেটের বর্ষণ হয়েছিল, যা পাক হামলার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। এখন পিনাকা মোতায়েন রয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া দুর্গম অঞ্চলে।

    পিনাকায় মজেছে পশ্চিমি দুনিয়া

    বর্তমানে পিনাকা বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্টিলারি সিস্টেম (India Defence)। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ১২টি রকেট নিক্ষেপ করা যায় এই সিস্টেমের দৌলতে। এখন এই সিস্টেমের সর্বাধিক পাল্লা ৬০ কিমি। দুর্গম এলাকার লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম পিনাকা। যে কারণে, পাশ্চাত্য দেশেও এটি ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আরমেনিয়া ইতিমধ্যে এই সিস্টেম কিনেছে এবং চুক্তি মোতাবেক প্রথম ব্যাচ তাজের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। ফ্রান্স সহ বিশ্বের একাধিক দেশ পিনাকা (Pinaka MBRL System) কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

  • Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল চলতি বছরের বাজেটে (Union Budget 2025)। শনিবার, সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৮১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ফলে, গতবারের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ৯.৫ শতাংশ।

    মূলধন ব্যয় কতটা বাড়ল, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ

    প্রতিরক্ষায় খরচের বিভিন্ন দিকের মধ্যে অন্যতম বড় হল মূলধন ব্যয়। এবারের বাজেটে (Union Budget 2025) মূলধন ব্যয় খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১২.৯ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের (Defence Budget Allocation) পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে (Union Budget 2025) পেশ করা নথি অনুযায়ী, এবছর বরাদ্দ হওয়া মূলধন ব্যয়ের মধ্যে ৪৮ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বিমান ও ইঞ্জিনের জন্য। ২৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ নৌসেনার জন্য। ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ অন্য সরঞ্জামের জন্য। অন্যদিকে, রাজস্ব খরচ বাবদ ধার্য করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকা, যার মধ্যে আবার পেনশন বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

    মোদি জমানায় মূলধন ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে, মূলধন ব্যয়ের খাতে বরাদ্দের পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। তথ্য বলছে, কোভিড-পূরবর্তী যুগ থেকে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০১৫-২০ সময়ে প্রতি বছরে মূলধন ব্যয়ের বরাদ্দের বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। সেখানে, ২০২০-২৫ সময়ে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১ শতাংশে। বিগত ১১ বছরে মোদি জমানায় প্রতিরক্ষায় মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে (Union Budget 2025)। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই খরচের বৃদ্ধির হার ২৭.৭ শতাংশ ছিল, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ২৫.২ শতাংশ।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ২০২৯-৩০ অর্থবর্ষ নাগাদ দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে ৩ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় মোদি সরকার। একইসময়ে, প্রতিরক্ষা রফতানিকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায় কেন্দ্র। গত ৫ বছর ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ ভারতের থেকে অস্ত্র কিনে চলেছে। মায়ানমার ও ভিয়েতনাম ভারতের দীর্ঘদিনের খদ্দের। এর সঙ্গে নাম লিখিয়েছে ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়াও। গত ১০ বছরে ভারতের অস্ত্র রফতানি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ১৯০০ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা (Union Budget 2025)।

  • India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    India Defence: ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স যাচ্ছেন মোদি, তখনই স্বাক্ষর রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি (India France Deal) করতে চলেছে ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর।

    নৌসেনার ‘গেমচেঞ্জার’ রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান

    যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র— প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কেনাকাটার দায়িত্বে রয়েছে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (India Defence)। সম্প্রতি, এই কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে একপ্রকার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি বা ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস)। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হতে পারে চুক্তি (India France Deal)। এর ফলে, ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লপ্তে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা (India Defence)। তাঁদের মতে, ভারতীয় নৌসেনার জন্য রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারে।

    মোদির প্যারিস সফরেই স্বাক্ষর হবে চুক্তি?

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ প্যারিস যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। সেখানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধা নিয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তারই ফাঁকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করার কথা মোদির। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সম্ভবত চুক্তি (India France Deal) সম্পন্ন হতে পারে। বর্তমানে তা একেবারেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, ফ্রান্সের থেকে ২২টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India Defence)। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত-এ মোতায়েন করার কথা। তারই সঙ্গে তিনটি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়েও অনুমোদন মিলেছিল।

    রাফাল-এম জেটের জন্য দুই দেশের সরাসরি চুক্তি?

    নৌসেনার প্রোজেক্ট ৭৫-এর আওতায় ফ্রান্সের নেভাল গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় ৬টি স্করপিন সাবমেরিন ভারতের মাঝগাঁও ডকইয়ার্ডে ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে। এখন অতিরিক্ত তিনটি সাবমেরিনের জন্য চুক্তি (India France Deal) স্বাক্ষরিত হতে চলেছে (India Defence)। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের সময় যেমন ইন্টার-গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট (দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি) হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হতে পারে। তেমনটা হলে, সবকটি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ফ্রান্সে নির্মিত হয়ে এখানে আসবে। এতে ভারতীয় নৌসেনা অত্যন্ত দ্রুত এই যুদ্ধবিমান হাতে পাবে।

    প্রতিরক্ষায় ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব…

    মোদি জমানায় ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা ও সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে, ভারত যেমন ফ্রান্সের থেকে যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক মিসাইল আমদানি করছে (India France Deal)। তেমনভাবেই, ভারতের নিজস্ব পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার কেনার বিষয়ে বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে ফ্রান্স। এর পাশাপাশি, দুই দেশ যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের জন্য অত্যাধুনিক জেট ইঞ্জিন যৌথভাবে নির্মাণ করার বিষয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (India Defence)।

  • ISRO 100th Mission: মহাকাশে ক্রমশ ডানা মেলছে ভারতের ‘নাবিক’, জিপিএস-এর বিকল্প হাতের মুঠোয়?

    ISRO 100th Mission: মহাকাশে ক্রমশ ডানা মেলছে ভারতের ‘নাবিক’, জিপিএস-এর বিকল্প হাতের মুঠোয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই অতীত হতে চলেছে এদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিপিএস-এর ব্যবহার? নির্ভুল দেশীয় নেভিগেশন সিস্টেম (NavIC Navigation System) কি হাতের মুঠোয় করে ফেলল নরেন্দ্র মোদির ভারত? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ বুধবার এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শততম উৎক্ষেপণে (ISRO 100th Mission) সফলভাবে মহাকাশে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করল এনভিএস-০২ উপগ্রহকে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভোর ৬টা ২৩ মিনিটে স্যাটেলাইটকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকল (জিএসএলভি-এফ১৫) রকেট। কিছুক্ষণ পরই, নির্দিষ্ট কক্ষপথে উপগ্রহটিকে প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়।

    মহাকাশ প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর ভারত (ISRO 100th Mission)

    জিএসএলভি-এফ১৫ হল ভারতের নিজস্ব জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের ১৭তম উৎক্ষেপণ এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক স্টেজ (ইঞ্জিন) ব্যবহৃত একাদশতম অভিযান। এদিনের সফল অভিযানের (ISRO 100th Mission) মাধ্যমে অত্যাধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরতার জায়গা ফের একবার মজবুত করল ভারত। সক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে এবারের উৎক্ষেপণে ৩.৪ ব্যাসের ধাতব বস্তু দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল রকেটের পেলোড ফেয়ারিং (রকেটের মাথায় রাখা স্যাটেলাইটের রক্ষাত্মক বর্ম)।

    ইসরো জানিয়েছে, এনভিএস-০২ উপগ্রহ ভারতের নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় (NavIC Navigation System) সহায়তা প্রদান করবে। এতে রয়েছে দেশে তৈরি এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা অ্যাটমিক ঘড়ির কম্বিনেশন, যার মাধ্যমে নির্ভুল সময় (গন্তব্যে পৌঁছনোর) উপলব্ধ হবে। এনভিএস-০২ উপগ্রহটি হল ভারতে তৈরি দ্বিতীয় প্রজন্মের নেভিগেশন সিরিজের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট। ২০২৩ সালের মে মাসে এই সিরিজের প্রথম উপগ্রহ এনভিএস-০১ উৎক্ষেপিত হয়েছিল।

    এনভিএস-০২ স্যাটেলাইট আদতে ঠিক কী?

    দীর্ঘদিন ধরেই ভারত মার্কিন নেভিগেশন সিস্টেম জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম)-এর মতো নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম তৈরি (NavIC Navigation System) করার কাজ করছে। ভারতের এই স্বাধীন আঞ্চলিক সিস্টেমের নাম— ইন্ডিয়ান নেভিগেশন উইথ ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন (সংক্ষেপে ‘নাবিক’)। ইসরো নির্মিত এই প্রকল্পের প্রথম উপগ্রহ ছিল এনভিএস-০১। এদিন এই সিরিজের দ্বিতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ (ISRO 100th Mission) হল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ‘নাবিক’ সিস্টেমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বুধবার যে উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, তার সক্ষমতা, নির্ভুলতা, পারফরম্যান্সের ধার ও ভার পূর্বসুরীর তুলনায় ঢের বেশি।

    জিপিএস-এর শক্তিশালী বিকল্প হয়ে উঠছে ‘নাবিক’

    নিজস্ব উপগ্রহ-ভিত্তিক নেভিগেশন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ভারত যে কতটা বদ্ধপরিকর তার প্রমাণ এদিনের এনভিএস-০২ অভিযান। আরও বেশি নিখুঁত, আরও বেশি নির্ভরযোগ্যতা এবং ক্ষমতাবৃদ্ধি— এই তিনের মিশেল রয়েছে নতুন স্যাটেলাইটে। এর ফলে, কৃষি থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা এবং জাতীয় নিরাপত্তা— সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ‘নাবিক’ (NavIC Navigation System)। এদিনের সফল উৎক্ষেপণের (ISRO 100th Mission) ফলে একদিকে ভারতের প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা আরও প্রতিষ্ঠিত হল। একইভাবে, মহাকাশ প্রযুক্তিতে বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতাও এক কদম এগলো।

  • Brahmos Export Deal: মাস্টারস্ট্রোক মোদির! ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ৩৮০০ কোটি টাকার ব্রহ্মোস চুক্তি ভারতের

    Brahmos Export Deal: মাস্টারস্ট্রোক মোদির! ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ৩৮০০ কোটি টাকার ব্রহ্মোস চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জমানায় প্রতিরক্ষায় ভারত এখন শুধুমাত্র আত্মনির্ভর নয়। ভারত এখন প্রতিরক্ষা-রফতানিতেও বিশ্বে নিজের ছাপ ছাড়তে শুরু করে দিয়েছে। কারণ, ফিলিপিন্সের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও একটি দেশ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (Brahmos Supersonic Cruise Missile) বিপুল বরাত পাচ্ছে মোদির ভারত (India Indonesia Missile Deal)। সূত্রের খবর, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ব্রহ্মোস চুক্তি (Brahmos Export Deal) নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। চুক্তির মূল্য, প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকা বা ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!

     

    বিমানবাহী রণতরী উৎপাদন নিয়ে আলোচনা

    রবিবার, প্রজাতন্ত্র দিবসে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো ভারতে আসেন প্রধান অতিথি হিসেবে। এই দিনেই, ভারতের থেকে বিমানবাহী রণতরী উৎপাদন নিয়ে সহযোগিতার বিষয়ে জোর ইচ্ছাপ্রকাশ করে জাকার্তা (Brahmos Export Deal)। দুদেশের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত হল বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায়, যাদের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করার। ইন্দোনেশিয়া এখন ভারতের থেকে এই বিষয়ে সহযোগিতা চাইছে। আর সোমবার এল বড় সুখবর। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত থেকে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেনার চুক্তি (Brahmos Export Deal) কার্যত পাকা করে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। শোনা যাচ্ছে, চুক্তিকে আরও আকর্ষণীয় করতে, ইন্দোনেশিয়াকে ‘লাইন অফ ক্রেডিট’ দিতেও রাজি নয়াদিল্লি (India Indonesia Missile Deal)।

     

    ব্রহ্মোস কেনার পাকা-কথা

    ২০২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সফরে এসে ব্রহ্মোস মিসাইল কেনার বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছিলেন। দীর্ঘ চার বছরের আলোচনার ফসল ফলছে এখন। সূত্রের খবর, ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান মহম্মদ আলি সম্প্রতি ব্রহ্মোস এরোস্পেসের সদর দফতরে গিয়ে সংস্থার সিইও জয়তীর্থ জোশির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Brahmos Export Deal)। সেই সময়ই নাকি ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি দলকে ব্রহ্মোসের যাবতীয় শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত করেন ব্রহ্মোস প্রধান (India Indonesia Missile Deal)। এর আগে, ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চুক্তি সই করেছিল ফিলিপিন্স। সেই প্রথম ভারতে তৈরি অস্ত্র বিদেশে রফতানি করা হয়।

  • Vikramaditya-Vikrant: প্রথমবার পাশাপাশি ‘ভি-২’! একসঙ্গে আরব সাগরে ঝড় তুলল ‘বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য’

    Vikramaditya-Vikrant: প্রথমবার পাশাপাশি ‘ভি-২’! একসঙ্গে আরব সাগরে ঝড় তুলল ‘বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। এবার সাক্ষাত হল সেই দৃশ্য। আরব সাগরের নীলাভ জলে ঢেউ তুলে প্রথমবার একসঙ্গে পাশাপাশি এগিয়ে চলল ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) দুই বিমানবাহী রণতরী— আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত (Vikramaditya-Vikrant)। 

    একা তো নয়! দুই দুই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারকে ‘এসকর্ট’ (Vikramaditya-Vikrant) করে সঙ্গে চলল তাদের নিজস্ব ‘ব্যাটল গ্রুপ’। কী নেই তাতে! দুই বিশাল জাহাজের ডেকে অভিযানে প্রস্তুত ৩৫টি ফাইটার জেট। বাঁয়ে-ডাইনে, আগে-পিছনে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, এএসডব্লু করভেট। জলের নিচ দিয়ে চলা সাবমেরিন ও আকাশে ভ্রাম্যমান নজরদারি বিমান। সাম্প্রতিক অতীতে, এত বড় আকারে শক্তি-প্রদর্শন করেনি ভারতীয় নৌসেনা। 

    আরও পড়ুন: সুরাটে মিলল আইএস মডিউলের সন্ধান! ধৃত ১ মহিলা-সহ ৪

    সাম্প্রতিক অতীতে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ক্ষমতার আস্ফালন করতে বার বার দেখা গিয়েছে চিনকে। যে হারে সমুদ্রে নিজেদের কায়েমি বৃদ্ধি করে চলেছে ড্রাগনের দেশ, তার মোকাবিলা করতে কোনও ভাবেই একটা অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত— উভয় দিকই সামন্তরালভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ, একসঙ্গে চিন ও তার ‘সব ঋতুর বন্ধু’ পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে পাশাপাশি, দুটি অপারেশনাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। এতদিনে সেটা বাস্তব রূপ পেল।

    এই প্রদর্শনের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই ছিল বিক্রান্ত ও বিক্রমাদিত্য (Vikramaditya-Vikrant)। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুই বিমানবাহী রণতরীকে তাদের নিজস্ব বহর নিয়ে এগোতে দেখে, দেশবাসী যে অনেকটাই নিরাপদ অনুভব করবেন, তা নিশ্চিত। বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য ক্যারিয়ারের ডেক থেকে এক-এক করে উড়ছে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান। কখনও আবার ল্যান্ডিং করছে এমএইচ-৬০আর, কামোভ, এএলএইচ হেলিকপ্টার। এই মহড়া বা প্রদর্শনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দুই বিমানবাহী রণতরীর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা। 

    গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রান্ত। অন্যদিকে দীর্ঘ রক্ষণাবেক্ষণের পর ফের জলে নেমেছে আইএনএস বিক্রমাদিত্য। নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেন, ৩৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে আরব সাগরে দুটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপের অপারেশন চালিয়েছে নৌসেনা। তিনি জানান, নৌসেনার ইতিহাসে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত (Vikramaditya-Vikrant)। জাতীয় স্বার্থ, আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্রে সুসম্পর্ক স্থাপন ও সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় নৌসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share