Tag: National Education Policy

National Education Policy

  • ICSE : ২০২৪-এই কি শেষ? ২০২৫ সাল থেকে উঠে যেতে পারে আইসিএসই, জানালেন বোর্ড সচিব 

    ICSE : ২০২৪-এই কি শেষ? ২০২৫ সাল থেকে উঠে যেতে পারে আইসিএসই, জানালেন বোর্ড সচিব 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুত্ব হারাতে চলেছে সিআইএসসিই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা অর্থাৎ আইসিএসই। কলকাতায় এসে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন বোর্ডের সিইও জেরি অ্যারাথুন। জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে এবার বদলে যেতে পারে পরীক্ষার ধরনও। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণির পরীক্ষা কার্যত অনিশ্চিয়তার মুখে বলেই আভাস দিল সিআইএসসিই। 

    কী কী পরিবর্তন

    দ্য কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট একজামিনেশনস (CISCE) এর দশম শ্রেণির পরীক্ষা আইসিএসই (ICSE), দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আইএসসি (ISC)। এই আইসিএসইর পরীক্ষা নিয়েই অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়েছে। কারণ, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ফলে সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হওয়ার কথা। তাই মন্ত্রকের নির্দেশের অপেক্ষায় এখনও অনিশ্চিত ২০২৫ সালের আইসিএসই। সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন বলেন, “২০২৪ সালে দু’টো পরীক্ষাই হবে। তবে ২০২৫ থেকে কী হবে আমরা নিশ্চিত নই। শিক্ষামন্ত্রক যা বলবে তার উপর নির্ভর করবে।” 

    বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে একাদশ শ্রেণিতে

    জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) চালু করা নিয়ে সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ দিন ধরে চলবে প্রশিক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরেই আইসিএসই অর্থাৎ দশম শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন জেরি। তিনি জানান, ২০২৫ সাল থেকে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা তুলে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেবল বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে একাদশ শ্রেণিতে উঠবে পড়ুয়ারা। দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম বোর্ড পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। যেমন, এখন সিবিএসই বোর্ডে হয়ে থাকে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    একইসঙ্গে জেরি জানান, ২০২৪ সালের পরীক্ষা থেকেই মূল্যায়ণ ব্যবস্থাতেও বদল আনা হচ্ছে। ২০২৪ সালের পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে যুক্ত হচ্ছে ১০ নম্বরের ‘ক্রিটিকাল থিঙ্কিং’। জেরি অ্যারাথুন বলেন, “ক্রিটিকাল থিঙ্কিং অন স্কিল বেসড সাবজেক্ট। এ ছাড়াও মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকবে। পড়ানোর ধরনে বদল আসবে, শেখার ধরনে আসবে বদল। একইসঙ্গে মূল্যায়ণ পদ্ধতিও বদলানো হচ্ছে।” তিনি জানান, গোটা প্রক্রিয়াই ধীরে ধীরে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের পাশ করা জাতীয় শিক্ষানীতিকেই (NEP) অবশেষে মান্যতা দিতে হল রাজ্যকে। কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, চার বছরের স্নাতক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

    মান্যতা না দিলে বিপদে পড়তেন ৭ লক্ষ পড়ুয়া?

    এই মর্মে, বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চার বছরের স্নাতক (NEP) পাঠক্রম চালু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কলেজগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, রাজ্য যে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে এবছর ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল, তা আপাতত হচ্ছে না। তাই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা যেভাবে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে থাকে সেই প্রক্রিয়াতেই ভর্তি হবে বলে জানানো হয়েছে। 

    এদিন উচ্চশিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘কমিটির সুপারিশ মেনেই স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠক্রম (NEP) চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতেন না। এক্ষেত্রে তাদের বাইরের রাজ্যে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যেত। যারা আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল, তারা বিপদে পড়তেন। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: আরএসএস পরিচালিত স্কুলে পড়ে আজ ইউপিএসসি-তে সফল এক ডজনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ ইউজিসি-র

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্দেশিকা আগেই পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম (NEP) কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে। এরাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে। প্রসঙ্গত, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা ৩ বছর থেকে বেড়ে ৪ বছর হওয়ার পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা ২ বছর থেকে কমে ১ বছর করা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরে পড়াশোনায় ভোকেশনাল ট্রেনিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইন্টার্নশিপ ইত্যাদিও যুক্ত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে সেই পথে হেঁটে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো বিশ্ববিদ্যালয়। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিও জানিয়ে দিয়েছে তাদের এই ঘোষণার কথা। দেশের অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি এই জাতীয় শিক্ষানীতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে গ্রহণ করেনি উপরন্তু এই নীতির বিরোধিতাও শোনা গেছে শাসকদলের বেশ কিছু কর্তা ব্যক্তির মুখে। শিক্ষা মহলের একাংশ বলছে, ‘‘শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’ যাদবপুর কলকাতা, প্রেসিডেন্সি বা রবীন্দ্রভারতীর মতো রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। যদিও সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল এখনও বের হয়নি তাই হাতে খানিকটা সময় আছে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই পথে না হেঁটে গ্রহণ করে নিল জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy)। ইতিমধ্যে তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর স্মরণে কলকাতায় পা রেখেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে দিনই তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করেছেন।’’ জাতীয় শিক্ষানীতিকে ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে বেশ কিছু রাজ্য তার মধ্যে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেগুলিতে বিজেপি সরকার নেই।

    রাজ্যে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে কমিটি রিপোর্ট

    ইতিমধ্যে, উচ্চশিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে বলা হয় যে চলতি বছরেই চালু করতে হবে চার বছরের অনার্স কোর্স। এই নির্দেশিকার পরেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষার সংসদ, উপাচার্যদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চেয়ে পাঠায়। সূত্রের খবর তাতে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই মত দিয়েছে যে জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) যেহেতু বেশিরভাগ রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে, তাই চলতি বছরেই এ রাজ্যেও শুরু করা হোক। ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট নাকি উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে জমাও পড়ে গিয়েছে কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে কিনা বা কবে থেকে হবে, এবিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আইএসসি, সিবিএসই-র পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে তাই ইংরেজি মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জাতীয় শিক্ষানীতিকে গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে যতক্ষণ না উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কিছু জানানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশ হলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Education Policy: শিশু পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ নয়! নয়া শিক্ষানীতি অনুসারে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে পরীক্ষা

    National Education Policy: শিশু পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ নয়! নয়া শিক্ষানীতি অনুসারে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল কেন্দ্রের পাঠ্যক্রম কমিটি। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির অনুসরণ করে তৈরি জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিকাঠামো (ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক বা এনসিএফ) অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায় এ বার নতুন পদ্ধতি আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

    নয়া নীতি

    এনসিএফের নয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, নয়া পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘‘পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশু পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ না পড়ে।’’ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এমন হওয়া উচিত যাতে পড়াশোনাটা কোনও পড়ুয়ার কাছেই অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে না মনে হয়। খসড়া অনুযায়ী, ফাউন্ডেশন পর্যায়ে, অর্থাৎ ৩ থেকে ৮ বছরের শিশুদের মূল্যায়ন করতে হবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। একজন শিশু কতটা শিখছে বা যোগ্যতা অর্জন করছে তার মূল্যায়ন করার অনেক উপায় থাকতে পারে।  প্রামাণ্য নথির মাধ্যমে শিশুদের অগ্রগতি রেকর্ড করা উচিত।

    সমীক্ষা করেই সুপারিশ 

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০২২ সালে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে এ সংক্রান্ত সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপের সুপারিশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুলাই মাসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। সেখানে প্রথম শ্রেণির আগে তিন বছরের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে নিশঙ্কের উত্তরসূরি ধর্মেন্দ্র প্রধান প্রাথমিক এবং প্রাক্‌ প্রাথমিক (অঙ্গনওয়াড়ি) স্তরের শিক্ষার খোলনলচে বদলানোর কথা জানিয়েছিলেন। 

    বদল আনতে চলেছে সিবিএসই

    এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বড় বদল আনতে চলেছে সিবিএসই। ২০২৪ সালের বোর্ড পরীক্ষার জন্য তৈরি প্রশ্নমালার প্যাটার্নও বদলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। জানানো হয়েছে, লম্বা উত্তররের প্রশ্নের বদলে এমসিকিউ-র ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করেই এই পদক্ষেপ করবে সিবিএসই।

    আরও পড়ুন: অচেনা সাজ! সুখোই-৩০ এমকেআই ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা  ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হলে শিশুরা শৈশবটা অনুভব করতে পারবে বলেও মনে করছেন অভিভাবকেরা। ছোট ছোট কাঁধগুলো বইয়ের ভারে হেলে যাওয়ার পরিবর্তে যদি হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া যায় তা গুরুত্বপূর্ণ ও শিশুর বিকাশে সহায়ক বলে মত শিক্ষাবিদদের। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ জরুরি। পরীক্ষা পদ্ধতি উঠে গেলে শিশুরা নিজেদের মতো করে বড় হয়ে উঠতে পারবে বলেই বিশ্বাস শিক্ষামহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে আজ একাধিক মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।” এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার উপর জোর দিতে বরাবরই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সেই কথাই আরও একবার শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP) মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মত একটি দূরদর্শী এবং ভবিষ্যতমূলক শিক্ষাব্যবস্থা (Futuristic Education System) তৈরি করা হচ্ছে।

    নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুলে দেশের ‘অমৃত মহোৎসব’র ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ভিডিও কনফারেন্স থেকে তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) সম্পর্কে বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর দেশে আইআইটি, আইআইএম এবং মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ভাল করেই জানেন যে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের বিদ্যমান শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই স্বাধীনতার এই অমৃত-কালে দেশের শিক্ষা পরিকাঠামো ও নীতির উন্নয়ন ঘটাতে আমরা প্রতিটি স্তরে কাজ করে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    তিনি আরও জানান, দেশে আজ আইআইটি, আইআইআইটি, আইআইএম এবং এইমসের মত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালের পর মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৬৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এরপরই নতুন শিক্ষানীতি (National Education Policy) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।”

    গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করলেন মোদি

    এদিন নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রাচীন ‘গুরুকুল’ শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তার প্রশংসা করলেন। তিনি জানান, সাধু ও আধ্যাত্মিক নেতারা দেশের হারানো গৌরব পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, “দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ভারতের প্রাচীন গৌরব এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে মহান গৌরবগুলি পুনরুদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু দাস মানসিকতার ফলে সরকার সেদিকে তাকায়নি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা উল্টো দিকে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবার আচার্য এবং সাধুরা নতুন করে দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ করতে শুরু করেছেন। তারই একটি উদাহরণ শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুল।”

    প্রধানমন্ত্রী আজ স্বামীনারায়ণ গুরুকুলের কাছে বিশেষ আবেদনও করেছেন। তিনি বলেন, “প্রতিবছর যেন গুরুকুল থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অন্তত ১৫ দিনের জন্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয় এবং সেখানকার যুবকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে যেন লেখে।”

  • PM Shri School: বদলে যাচ্ছে পঠন-পাঠনের ধারণা? মডেল স্কুল তৈরির ভাবনা কেন্দ্রের

    PM Shri School: বদলে যাচ্ছে পঠন-পাঠনের ধারণা? মডেল স্কুল তৈরির ভাবনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে যাচ্ছে পঠন-পাঠনের হাল হকিকত। ভবিষ্যতের পড়ুয়াদের জন্যে মডেল স্কুল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। নাম ‘পিএম শ্রী স্কুল’ (PM Shri School)।

    গুজরাতে আয়োজিত দুদিন ব্যাপী জাতীয়স্তরের শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে (National School Education Ministers’ Conference) বৃহস্পতিবার এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Union Education Minister) ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তিনি বলেন, “নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে (National Education Policy) পরীক্ষাগার হিসেবে দেখা হচ্ছে এধরনের স্কুলগুলিকে।” তিনি আরও বলেন, “স্কুল শিক্ষা হল শিশুদের ভিত্তি। যার উপর ভিত্তি করে ভারত আগামীতে জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত হবে। আমরা ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রী স্কুল’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছি। যা ভবিষ্যতের পড়ুয়াদের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে।”

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের ‘সংঘাতে’ রাজ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি 

    এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, “এই স্কুলগুলি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-র ল্যাবরেটরি হিসেবেও ব্যবহার করা হবে। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে, প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে সকলের যে দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে, তা প্রদান করবে স্কুলগুলি।”   

    তাই শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে এবং পিএম শ্রী স্কুলগুলিকে মডেল হিসেবে তুলে  ধরতে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছ থেকে পরামর্শও চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতির গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রি-স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে ৫+৩+৩+৪ নীতি অনুসরণ করে চলা হচ্ছে। যেখানে কম বয়স্কদের শিক্ষা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা, এই তিন দিকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জনের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত ‘নীট-পিজি ২০২২’-এর ফল, জেনে নিন কীভাবে দেখবেন

    ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “আগামী ২৫ বছর আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যেই ভারতকে জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত করতে হবে। এই লক্ষ্যে আমাদের মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একে অপরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তুলতে হবে।”  

    বুধবার গুজরাতের গান্ধীনগরে জাতীয় শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন শুরু হয়েছে। সেখানে নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের উপরই বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) প্রয়োজন অনুভব করে ৩৪ বছরের পুরোনো শিক্ষানীতিতে বদল এনেছেন। শিক্ষাই দেশের সব থেকে বড় সম্পদ। জাতীয় শিক্ষা নীতির (NEP 2020) প্রয়োজন উপলব্ধি করে বিভিন্ন রাজ্য নরেন্দ্র মোদির ভাবনার সাথে এক মত হয়েছে।”

     

LinkedIn
Share