Tag: National Flag

National Flag

  • Har Ghar Tiranga:  মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধে জড়াল নবান্ন। নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তাই ঘরে ঘরে এ রাজ্যে জাতীয় পতাকা তোলার ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানে সামিল হচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের মুখিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন। ১৪ অগাস্ট বাঙালির কাছে যতটা না আনন্দের তার চেয়েও বেশি দেশভাগের বেদনার।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলা  হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যকে এ নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যগুলির সহযোগিতা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশের ৩০ কোটি বাড়িতেই পতাকা উঠুক। ১৩-১৪-১৫ অগাষ্ট এই তিন দিন ধরে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বা প্রতি বাড়িতে তেরঙা তোলার আবেদন জানিয়েছে দিল্লি। ডাক বিভাগের তরফে দেশের প্রতিটি ডাকঘরে স্বল্পমূল্যে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের সবকটি রাজ্য এই অভিযানে সামিল হলেও পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় পতাকা উত্তোলের অভিযানে আলাদা করে সামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পর্যন্ত নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসপ্লে পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন, যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেউ সেই পথে হাঁটেননি।

    গত সপ্তাহে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান নিয়ে রাজ্যগুলিকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেন। কলকাতা ফিরে এসেও মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেননি। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এক কর্তা জানান, এ রাজ্যে প্রতি বছর যেমন স্বাধীনতা দিবস পালন হয় তেমনই হবে। সমস্ত সরকারি দফতরে জাতীয় পতাকা তোলা হবে। সেজন্য জেলাগুলিকে প্রয়োজনীয় জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। আলাদা ভাবে কোনও অভিযানে সামিল হয়ে বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা তোলার কর্মসূচি সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি।

    ডাক বিভাগের তরফেও জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত ডাকঘরে জাতীয় পতাকা মজুত করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর জাতীয় পতাকা কিনে নিয়ে গিয়েছে। বিএসএফ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফের মতো সংস্থাও হাজার হাজার জাতীয় পতাকা কিনেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বরাত আসেনি। ডাক বিভাগের তরফে বার বার রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগকে অনুরোধ করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। শুধুমাত্র পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের তরফে কিছু সংখ্যক জাতীয় পতাকা কেনা হয়েছে।

    নবান্নর কর্তাদের দাবি, শীর্ষস্তর থেকে প্রতি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিভিন্ন দফতরে জাতীয় পতাকা তোলার সরকারি কর্মসূচি যেমন প্রতিবার থাকে তেমনই হচ্ছে। বাড়তি পতাকার কোনও প্রয়োজন পড়েনি। যদি প্রয়োজন হয় জেলাশাসকেরা তা সংগ্রহ করে নিয়েছেন।

  • RSS: বদলে গেল আরএসএসের ট্যুইটারের ডিপির ছবি, গেরুয়ার বদলে সেখানেও তেরঙা

    RSS: বদলে গেল আরএসএসের ট্যুইটারের ডিপির ছবি, গেরুয়ার বদলে সেখানেও তেরঙা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল আরএসএসের (RSS) অফিশিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ডিপি (DP)। এতদিন সেখানে সংঘের গেরুয়া পতাকা ছিল। এখন সেখানেই উড়ছে তিরঙ্গা (Tricolor)। বদলেছে আরএসএসের সংঘচালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) ডিপির ছবিও। এর পাশাপাশি শনিবার আরএসএসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ডাক দেওয়া হয় আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে (Azadi ka Amrit Mahotsav)  অংশ নেওয়ার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশবাসী যাতে ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা তোলেন, তাও বলা হয়েছে।

    আরএসএস  কেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা ব্যবহার করছে না? প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তখনই তার জবাবও দিয়েছিলেন আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনার রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। আরএসএস ইতিমধ্যেই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচি সমর্থন করেছে।

    আরও পড়ুন :”রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    প্রসঙ্গত, গত মাসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অধীনে ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত আমরা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা ব্যবহারের অনুরোধও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার ডিপির ছবি বদলেছে আরএসএসও। শুক্রবার আরএসএসের প্রচার বিভাগের সহ তত্ত্ববধায়ক নরেন্দর ঠাকুর (Narender Thakur) বলেন, সংঘও তার প্রতিটি অফিসে স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। উত্তোলন করছে জাতীয় পতাকাও। তিনি বলেন, আরএসএস কর্মীদেরও সক্রিয়ভাবে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি প্রচার করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    এর আগে আম্বেকরও জানিয়েছিলেন, অমৃত মহোৎসব নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিটি কর্মসূচি আমরা সমর্থন করেছি। দেশবাসী এবং স্বয়ংসেবকদের কাছেও আজাদি কা অমৃত মহোৎসব মর্যাদার সঙ্গে পালনের আবেদন জানানো হয়েছে আরএসএসের তরফে।

     

  • RSS: “রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    RSS: “রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) কেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহার করছে না? এদিন এ প্রশ্নের জবাব দিলেন আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি বলেছেন, এই ধরনের ঘটনার রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। তিনি জানান, আরএসএস ইতিমধ্যেই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (Azadi ka Amrit Mahotsav) কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে। তিনি জানান, সরকারের এই কর্মসূচি সমর্থন করতে জুলাই মাসেই দেশবাসী এবং স্বয়ংসেবকদের বলেছিল সংঘ।

    রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানান। ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসকে ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত আমরা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    তবে আরএসএসের সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিতে কেন তিরঙ্গা ব্যবহার হয়নি, তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এদিন তারই জবাব দেন আম্বেকর। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এটা একটা পদ্ধতি। আমরাও ভাবছি কীভাবে এটা উদযাপন করব। অমৃত মহোৎসব নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিটি কর্মসূচিকে আমরা সমর্থন করেছি। দেশবাসী এবং স্বয়ংসেবকদের কাছেও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ মর্যাদার সঙ্গে পালনের আবেদন জানানো হয়েছে আরএসএসের তরফে। এজন্য চলছে প্রস্তুতিও। আম্বেকর বলেন, এই হল সংঘের অবস্থান। এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এরকম কোনও কঠিন প্রশ্ন করাই উচিত নয়। যেসব রাজনৈতিক দল এজাতীয় প্রশ্ন তুলছে, তারাই দেশভাগের জন্য দায়ী।

    আরও পড়ুন : কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

  • National Flag: অমৃত-মহোৎসবে বড়সড় বদল, কিভাবে উত্তোলন করবেন জাতীয় পতাকা?

    National Flag: অমৃত-মহোৎসবে বড়সড় বদল, কিভাবে উত্তোলন করবেন জাতীয় পতাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকা ওড়ানোর নিয়মে বদল। ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট রাতে আর নামাতে হবে না জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীতে গোটা দেশে ২০কোটি ঘরে ১০০কোটি মানুষ ওড়াবেন জাতীয় পতাকা। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তেরো থেকে পনের অগাস্ট দেশ জুড়ে উড়বে জাতীয় পতাকা। দিনে রাতে সর্বক্ষণ। রাতেও নামাতে হবে না পতাকা।  এতদিন নিয়ম ছিল সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্তই পতাকা দণ্ডের ওপর সুসজ্জিত থাকত জাতীয় পতাকা। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তা নামিয়ে আনা হত। আবার পরদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে উত্তোলন করা যেত জাতীয় পতাকা।

    স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকীতে আনা হল বদল। এই বদল অনেকটাই নাগরিকদের দেশের পতাকা সম্পর্কে সচেতন আর দায়িত্ববোধ সম্পন্ন করার জন্য। এই সপ্তাহের শুরুতেই জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত সংশোধনী আনা হল “দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া ২০০২”-র নিয়মাবলীতে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, “Where the flag is displayed in open or displayed on the house of a member of the public, it may be flown day and night”, অর্থাৎ (জাতীয়)পতাকাটি খোলা জায়গায় উড্ডীয়মান হয় বা যে কোন সাধারণে গৃহে বা বাড়িতে ওড়ানো হলে, সেখানে জাতীয়পতাকাকে দিনরাত ওড়ানো যেতে পারে। আগে নিয়ম ছিল, প্রকাশ্যে বা জনসাধারণের বাড়িতে ছাদে বা গৃহে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হলে, জাতীয় পতাকাকে, যে কোন আবহাওয়াতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উড্ডিয়মান রাখতে হবে। অর্থাৎ সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে ফেলতে হবে। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত

    এর আগে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর আরেক সংশোধনীতে আরও একটু উদারিকরণ করা হয়েছিল জাতীয় পতাকা ব্যবহারের বিধি নিষেধে। বলা হয়েছিল, জাতীয় পতাকার কোন রকম অসম্মান না করে, সাধারণ সরকারি ক্ষেত্র ছাড়াও, সাধারণ মানুষও, জাতীয় অনুষ্ঠান বা বিশেষ বিশেষ দিনে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাও পতাকা উত্তোলন করতে পারে। কিন্তু এমন ভাবে উত্তোলন করতে হবে যাতে, তা জাতীয় সম্মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। জাতীয় পতাকার যেন কোন রকম অসম্মান না করা হয়। তুলা, উল, সিল্ক, খাদি ছাড়াও পতাকার কাপড়ে পলিয়েস্টার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।  

    অতএব স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। নিজের বাড়িতে লাগান। জাতীয় রঙে সেজে উঠুন সাজিয়ে তুলুন নিজের পাড়া গ্রাম শহরকে। শুধু মনে রাখতে হবে। এই পতাকা ব্যবহারের এই স্বাধীনতা আসলে আপনার ভারতীয় মন আর শিক্ষাকে আরও বেশি দায়িত্ববোধ সম্পন্ন করার।

  • SSKM Hospital: ‘উত্তোলন’ না ‘উন্মোচন’, প্রবল বিতর্কে নয়া নির্দেশিকা এসএসকেএমের 

    SSKM Hospital: ‘উত্তোলন’ না ‘উন্মোচন’, প্রবল বিতর্কে নয়া নির্দেশিকা এসএসকেএমের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বিতর্কের জেরে ফের নয়া নির্দেশিকা জারি এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital) কর্তৃপক্ষের। স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) পতাকা উন্মোচনের (Flag Unfurled) কথা বলা হয়েছিল পুরানো নির্দেশিকায়। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কারণ প্রথা মেনে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন (Flag Hoist) করতে হয়। বিতর্কের জেরে জারি হয় নয়া নির্দেশিকা। সেখানেই বলা হয়েছে পতাকা উত্তোলনের কথা।  

    রীতি অনুযায়ী, যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিন একটি দণ্ডের নীচে জাতীয় পতাকা বাঁধা থাকে। পরে তা দণ্ডের শীর্ষে উত্তোলন করা হয়। যা আসলে স্বাধীনতা অর্জনের দ্যোতক হিসাবে ধরা হয়। অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উন্মোচিত করা হয়। সেদিন দণ্ডের শীর্ষেই গোটানো থাকে জাতীয় পতাকা। সেটি উন্মোচন করা হয় মাত্র। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় দেশে রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি নন। ১৯৫০-এ ২৬ জানুয়ারি শপথ নেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাই সেদিন পতাকা উন্মোচন করেন তিনি।

    রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। পালিত হচ্ছে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিও। ফি বারের মতো এবারও দেশের সর্বত্র মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিলেন সেখানে ১৫ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁদের সমবেত হতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় পতাকা উত্তোলনের(flag hoisting) কথা বলা হয়নি। বরং পতাকা উন্মোচিত(flag unfurled) হবে বলে জানানো হয়েছিল। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই নয়া নির্দেশিকা জারি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়। তার পরেই ইতি পড়ে বিতর্কে। একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই ‘ভুল’ করলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।  

     

  • Har Ghar Tiranga: নেপথ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি, দেশজুড়ে বিক্রি হল ৩০ কোটি জাতীয় পতাকা 

    Har Ghar Tiranga: নেপথ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি, দেশজুড়ে বিক্রি হল ৩০ কোটি জাতীয় পতাকা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা‘ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই কর্মসূচিতে ১৩-১৫ অগাস্ট এই দু দিন দেশের সব বাড়িতে জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন তিনি। আর তাতেই বিপুল ব্যবসা হল গোটা দেশজুড়ে। মোদির ডাক দেওয়া এই কর্মসূচীর কারণে এই কয়েকদিনেই দেশজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছে। আর তাতে ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে গোটা দেশে। স্বাধীনতার উৎসবে এই বিপুল লাভে খুশি ব্যবসায়ীরা।

      আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তো তুললেন, কিন্তু পতাকা ভাঁজ করার সঠিক নিয়ম জানেন কি?    

    ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির জেরে এক লাফে চাঙ্গা খুচরো বাজার। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবকে কেন্দ্রে করে বিপুল টাকার ব্যবসা হয়েছে গত ২০ দিনে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে ঘরে ধরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি। মোদির এই ডাকে সাড়া দিয়ে প্রায় প্রত্যেক দেশবাসীর হাতে উঠেছে জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকা আইনের সংশোধনীর পরেই এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য এবছর রেকর্ড পরিমাণে জাতীয় পতাকা তৈরি করা হয়। গত ২০ দিন ধরে মোদি সরকারের এই কর্মসূচির জন্য একাধিক জায়গায় অর্ডার হয়েছিল জাতীয় পতাকা তৈরির। গোটা দেশে প্রায় ৩০০০ জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া স্কুলের অর্ডার তো ছিলই। ফলে পতাকা প্রস্তুতকারকরা ব্যপক লাভের মুখ দেখেছেন।

    আরও পড়ুন: ৫ কোটিরও বেশি সেলফি ‘হর ঘর তিরঙ্গা’-র ওয়েবসাইটে, দাবি কেন্দ্রের 
     
    কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের (CAIT) হিসেব বলছে, এই অভিযানের ফলে ৩০ কোটিরও বেশি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছে। আয় হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।। মিটিং, মিছিল,‌ ব়্যালিসহ একাধিক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে। সেই মতই বিপুল সংখ্যক পতাকা উৎপাদন করা হয়েছিল। তাতেই এই ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প। অগাস্ট মাসের প্রথম থেকেই বিভিন্ন সংস্থাকে জাতীয় পতাকা তৈরির অর্ডার দেওয়া শুরু হয়।  

    জাতীয় পতাকা তৈরির ক্ষেত্রে এত বড় সাফল্যের পিছনে কেন্দ্রের পতাকা কোডের পরিবর্তন বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছে সিএআইটি। আগে শুধুমাত্র খাদি বা সুতির কাপড় জাতীয় পতাকা তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেত। কিন্তু এখন পলিয়েস্টার ও মেশিনে পতাকা বানানোর অনুমতি পাওয়ার কারণেই কম সময়ে এতগুলি পতাকা বানানো সম্ভব হয়েছে। পতাকা আইন সংস্কারের কারণে দেশে এখন ১০ লক্ষেরও বেশি লোকের কাজ জুটেছে। ঘরে, কম পুঁজি দিয়েই পতাকা তৈরির কাজ করতে পারেন অনেকেই। ছোটো ও মাঝারি সংগঠিত ক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক পতাকা তৈরি হয়। সিএআইটির জাতীয় সভাপতি বি.সি. ভারতিয়া এবং সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল এ বিষয়ে বলেন , “আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকার বার্ষিক বিক্রি ১৫০ থেকে ২০০ কোটির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির ফলে পতাকার বিক্রি অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।”   

  • Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’, কী ভাবে পোস্ট অফিস থেকে অনলাইনে অর্ডার করবেন দেশের পতাকা? 

    Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’, কী ভাবে পোস্ট অফিস থেকে অনলাইনে অর্ডার করবেন দেশের পতাকা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) পালন করবে গোটা দেশ। দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবস পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার আগেই এক নতুন চমক দিল ভারতীয় ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post)। ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) প্রচারের অংশ হিসাবে দেশজুড়ে পোস্ট অফিসগুলি ভারতের জাতীয় পতাকা (National Flag) বিক্রি শুরু করছে। জাতীয় পতাকা পাওয়া যাবে অনলাইনেও। পোস্ট অফিসের ইপোর্টালে। সম্প্রতি ভারতীয় পোস্ট বিভাগ http://www.epostoffice.gov.in – এই ইপোর্টালটির মাধ্যমে জাতীয় পতাকার অনলাইন বিক্রির ঘোষণা করেছে। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে ভারতীয় পতাকা বিক্রি।  

    আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন      

    এ বছর দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের দিন সোশ্যাল মিডিয়া ডিপি বদলে ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বদল এসেছে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়মেও। আগে সুর্যদয়ের পর উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের আগে পতাকা নামিয়ে নিতে হত। কিন্তু এবছর ২৪ ঘণ্টাই রাখা যাবে পতাকা। মানুষ তাঁদের বাড়িতে আগামী ১৩-১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

    যে পতাকাগুলি পোস্ট অফিসে বিক্রি করা হচ্ছে, তার মাপ ২০ ইঞ্চি x ৩০ ইঞ্চি। প্রতিটি পতাকা ২৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। জাতীয় পতাকায় কোনও জিএসটি ধার্য করা হয়নি। 

    আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    কিভাবে পোস্ট অফিস থেকে ভারতীয় পতাকা কিনবেন? 

    • www.epostoffice.gov.in -এ যান।
    • ePostoffice পোর্টালের হোম পেজে ভারতীয় জাতীয় পতাকার ছবিতে ক্লিক করুন।
    • ছবির নীচে “পতাকা কেনার জন্য ছবিতে ক্লিক করুন” লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন। 
    • ডেলিভারির ঠিকানা, পতাকার পরিমাণ (গ্রাহক প্রতি প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ৫টি পতাকা) এবং আপনার মোবাইল নম্বর দিন। 
    • অর্ডারটি সম্পূর্ণ করতে পেমেন্ট সারুন ৷
    • একবার অর্ডার দেওয়া হলে অর্ডার বাতিল করা যাবে না। 
    • পতাকাটি নিকটতম পোস্ট অফিস থেকে নিতে পারবেন। 
LinkedIn
Share