Tag: National Herald Case

National Herald Case

  • National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক আট দিন পরেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার ওই নির্বাচনে লড়াইয়ের (National Herald) ময়দানে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিরোধী ছাব্বিশটি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। এমনিতেই দীর্ঘদিন ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে থাকায় কংগ্রেসের কোষাগারের হাল হয়েছে হাঁড়ির।

    বিপাকে কংগ্রেস (National Herald)

    এমতাবস্থায় আরও বিপাকে পড়ল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পত্তি সাময়িক বাজেয়াপ্ত করায় সায় দিলেন পিএমএলএ বিষয়ক বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। গত নভেম্বরেই ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল কংগ্রেসের ওই সম্পত্তি। পিএমএলএ কর্তৃপক্ষের জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, যেসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ইক্যুইটি শেয়ার ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা অবৈধভাবে আয় ও অর্থ পাচারের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

    বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি

    ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্র, তার প্রকাশনা সংস্থা এজেএল এবং পরিচালন তথা মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার। সেই বন্ধ সংস্থাই অধিগ্রহণ করে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। এর পরেই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি চলে আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে। সঙ্গে আসে ৯০ কোটি টাকা দেনার দায়ও। এই দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় কারণ দর্শিয়ে কংগ্রেসের তরফে মকুব করে দেওয়া হয় দেনার টাকা। এই সময়ই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ফের চর্চায় আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল হেরান্ডের দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার মালিকানাধীন ছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড, বাজারে তাদের ঋণ ছিল ৯০ কোটি টাকা। এই টাকার বেশিরভাগটাই নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের কাছ থেকে। মালিকানা হাতবদলে বেআইনি কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত। এই মামলায় প্রথমে সোনিয়া এবং পরে রাহুল গান্ধীকেও দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল (National Herald) ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র মামলায় (National Herald case) ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, এই সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পরিচালক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া। এর পাশাপাশি রয়েছে লখনউয়ের নেহরু ভবনও। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া গান্ধী। ইডি তদন্তে উঠে এসেছে যে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের দখলে রয়েছে ৬৬১.৬৯ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি।

    সংবাদপত্র কংগ্রেস নেতাদের কাছে ঋণ নিয়েছিল

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানা যায়। মনমোহন সিং সরকারের আমলে ২০১৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald case) সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ঠিক তার পরেই ২০১৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। স্বামীর মতে, ‘‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড নামের সংস্থা হল ন্যাশনাল হেরাল্ডের (National Herald case) প্রকাশনা সংস্থা। এই সংস্থার বাজারে ৯০ কোটি টাকার দেনা ছিল। এই দেনার বেশির ভাগই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।’’

    ২০১৫ সালেই তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রটি (National Herald case) ২০০৮ সালেই বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় এটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার মধ্যে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও। এর ফলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে চলে আসে। স্বভাবতই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কংগ্রেস নেতাদের কাছে নেওয়া ৯০ কোটি টাকা ঋণের সেই বোঝাও চাপে ইয়ং ইন্ডিয়ার ওপর। ঠিক এই সময়ের মধ্যেই দেনার টাকা আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঋণের টাকা মকুব করে দেয়। এখানেই আপত্তি তোলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর যুক্তি ছিল, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। কোনও রাজনৈতিক দলকে কর দিতে হয় না। আবার কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে (National Herald case) কোনও রাজনৈতিক দলের ঋণ দেওয়াটা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে।’’ ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা হস্তান্তরের সময় কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই তদন্তের জন্য ২০১৫ সালের শুরুর দিকেই নির্দেশ দেয় দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁদের দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নন ইডির (ED) আধিকারিকরা। তাই ফের ইডির জেরার মুখে পড়তে পারেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) তাঁদের ফের জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে ঠিক কবে গান্ধী পরিবারের এই দুই সদস্যকে ফের ইডির মুখোমুখি হতে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়িয়েছে কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য রাহুলকে তলব করেছিল ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। ওই মামলায় দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিস সহ দেশের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে চালানো হয় তল্লাশিও।

    আরও পড়ুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেসের যাঁদের ওই মামলায় জেরা করা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ থাকায় অর্থনীতি সংক্রান্ত যা কিছু সিদ্ধান্ত তা নিতেন দলের কোষাধ্যক্ষ প্রয়াত মতিলাল ভোরা। প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন বনশল এবং সুমন দুবেকে এখনও পর্যন্ত জেরা করেছে ইডি। এঁরাও প্রত্যেকেই ভোরার নাম নিয়েছেন। তবে এখনও অব্দি তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পায়নি ইডি। সোনিয়া এবং রাহুলের জবাবেও সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। সেই কারণেই ফের করা হতে পারে জেরা। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়া ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড যে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেটাও গান্ধীদের ফের জেরা করার একটা কারণ।

    আরও পড়ুন :ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) নাম নিয়েছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার (Motilal Vora)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case ) ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভোরার নাম নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। তবে ওই মামলায় যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাঁদের কেউই কংগ্রেসের প্রয়াত কোষাধ্যক্ষ ভোরার যুক্ত থাকার পক্ষে কোনও নথিই পেশ করতে পারেননি বলে ইডি সূত্রে খবর।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ায় কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য সাংসদ কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। ওই মামলায় দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিস সহ দেশের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে তল্লাশি চালানো হয় ওই দিন।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেসের যাঁদের ওই মামলায় জেরা করা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ থাকায় অর্থনীতি সংক্রান্ত যা কিছু সিদ্ধান্ত তা নিতেন ভোরা। প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন বনশল এবং সুমন দুবেকে এখনও পর্যন্ত জেরা করেছে ইডি। এঁরাও প্রত্যেকেই ভোরার নাম নিয়েছেন। তবে ভোরা ছেলের দাবি, ওই ঘটনায় ভোরা কোনওভাবেই জড়িত ছিলেন না। খাড়গেকে ফের জেরা করা হবে। কারণ তিনিই একমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার কর্মী। তাই তাঁকে জেরা করে সত্য উদ্ঘাটন করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    ইডি সূত্রে খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে যুক্ত ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে কলকাতা ও মুম্বইয়ের একাধিক হাওয়ালার লেনদেন হত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসে তল্লাশি চালানোর পর আরও তথ্য মিলবে বলে অনুমান ইডির। তবে ওই সংস্থার কোনও আধিকারিক উপস্থিত না থাকায় সংস্থার দফতরে এখনও তল্লাশি চালানো হয়নি। তাই আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে অফিস।

    আরও পড়ুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

  • ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আরও সক্রিয় হল ইডি (ED)। সিল করে দেওয়া হল ইয়ং ইন্ডিয়ার (Young India) অফিস। বুধবার বিকেল থেকে কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতর ২৪ আকবর রোড এবং ১০ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাড়ির সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    বুধবার বিকেলে ইডি আধিকারিকরা ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে যান। তার পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বেআইনি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো অফিসটাই সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো দফতর সিল করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার যে দফতর ছিল সেটা সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে তল্লাশির সময় ইয়ং ইন্ডিয়ার দফতরে সংস্থার পদস্থ কর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই চালানো হয়নি তল্লাশিও। তাই সিল করা হয়েছে অফিস। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়ার আধিকারিক মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করা হয়েছে। তিনি এসে গেলেই তল্লাশি চালানো হবে এবং খুলে দেওয়া হবে সিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ হল ইয়ং ইন্ডিয়া। ইডির অভিযোগ, এই ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি দখল করেছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা। এই সংস্থার বেশিরভাগের অংশীদার রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    এদিকে, অফিস সিল করে দেওয়ার পর ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে লটকে দেওয়া হয় একটি নোটিশ। তাতে লেখা ইডির আগাম অনুমতি ছাড়া এটা খোলা যাবে না। ইডির এক আধিকারিক বলেন, কেবলমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়েছে। হেরাল্ড হাউসের বাকি অফিসগুলিতে কাজ হবে আগের মতোই। এদিন কেবল ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়নি, কংগ্রেসের সদর দফতর ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এক ট্যুইটবার্তায় বলেন, দিল্লি পুলিশ এআইসিসির সদর দফতরের পথ রুদ্ধ করেছে। এটা একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার। তারা কেন এটা করেছে, তা রহস্যজনক।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

  • National Herald case: দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    National Herald case: দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সামনে হাজির হলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। গতকাল নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান থাকায় ইডির কাছে হাজিরা স্থগিত রাখা হয়েছিল। একাধিকবার দিন পরিবর্তনের পর ২১ জুলাই দিল্লিতে ইডি দফতরে প্রথমবার হাজিরা দেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী। এদিন ইডি দফতর পর্যন্ত সোনিয়ার সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।

    গতমাসে একই মামলায় রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সোনিয়াকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গত সপ্তাহে। ইডি সূত্রের খবর, রাহুলের তুলনায় সোনিয়া তাদের প্রশ্নের জবাব অনেক দ্রুত দিয়েছেন। একবারও বয়ান বদল করেননি। রাহুল একাধিকবার শুধু মৌখিক বয়ান বদল করেছেন তাই-ই নয়, তিনি আইনজীবীর পরামর্শে লিখিত বয়ানও বদলান।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে দলনেত্রীকে ইডির তলবের প্রতিবাদে এদিন ফের দিল্লি সহ সারা দেশে কংগ্রেস সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা বিভিন্ন শহরে ইডি অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। দিল্লিতে কংগ্রেস রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিস্থলে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের আটকে দিয়েছে। রাহুল গান্ধী-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে আটক করা হয়। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা সকলেই প্রায় দিল্লিতে। রাজঘাটে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেন, আমরা দেশের প্রধান বিরোধী দল। আমাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে ইডি ডেকে পাঠাচ্ছে। অথচ প্রতিবাদও করতে দেবে না সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্থা সোনিয়া গান্ধীকে হেনস্থা করছেন এই অভিযোগে সংসদ চত্বরে সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল করেছে কংগ্রেস কর্মীরা। এই প্রতিবাদ মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে সংসদ টু সড়ক। 

    আরও পড়ুন: আল-কায়দা যোগ! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার আসামের যুবক

    এদিকে কংগ্রেসের এই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেছেন, ‘দেশ জুড়ে যে আর্থিক দুর্নীতিতে বিরোধীরা যুক্ত তা নিয়ে তদন্ত হওয়াই উচিত।’ তিনি প্রশ্নও করেন বিরোধীদের এই বিষয়টি পছন্দ নয় বলে কি এই নিয়ে তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ বন্ধ থাকবে। কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবাদের নামে কংগ্রেস আসলে নাটক করে। রাজপথে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ তাদের কাজ করেছে।

  • Rahul Gandhi: ফের ১২ ঘণ্টা জেরা, মধ্যরাতে ইডি দফতর ছাড়লেন রাহুল

    Rahul Gandhi: ফের ১২ ঘণ্টা জেরা, মধ্যরাতে ইডি দফতর ছাড়লেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারও দু দফায় প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হল কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত চার দিন ধরে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। মঙ্গলবার ছিল পঞ্চম দিন। এদিন প্রথম দফায় প্রায় সাড়ে ন ঘণ্টা জেরা করা হয় রাহুলকে। পরে চলে যান বাড়ি। তারপর ফের তলব করার হয় ইডি দফতরে। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে ওয়েনাডের সাংসদকে। চলতি সপ্তাহে ফের একপ্রস্ত জেরা করা হতে পারে রাহুলকে। বৃহস্পতিবার সোনিয়াকে জেরা করার কথা ইডির। 

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চলতি মাসের শুরুর দিকে ইডি তলব করেছিল রাহুলকে। তখন তিনি বিদেশে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। বিদেশ থেকে ফিরে গত সপ্তাহের সোমবার থেকে ইডি দফতরে হাজিরা দেন এই কংগ্রেস নেতা। সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিনে রাহুলকে ইডি জেরা করেছে ৩০ ঘণ্টা। ‘ক্লান্ত’ রাহুল একদিনের বিরতি চান। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন ইডির আধিকারিকরা। শুক্রবার ফের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। মা সোনিয়ার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শুক্রবার ইডি দফতরে যাননি রাহুল। সোমবার যথারীতি ইডি দফতরে হাজির হন তিনি। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। মঙ্গলবারও তলব করা হয় রাহুলকে। এদিন টানা ন ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে। এর পরে পরেই ফের ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয় রাহুলকে। আবারও চলে একপ্রস্ত জেরা। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় রাহুলকে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    ইডি সূত্রে খবর, জেরা নয়, রাহুলের বয়ান সংশোধনেই নষ্ট হচ্ছে সময়। ইডির একটি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের বিষয়ে রাহুল আগে যে বয়ান দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে বর্তমান বয়ান মিলছে না। তাই দীর্ঘায়িত হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া।

    এদিকে, রাহুলকে বারংবার ইডি দফতরে তলব করে জেরা করাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই দেখছে কংগ্রেস। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অভিযোগ, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে হেনস্থা করতেই এসব করছে কেন্দ্র।

     

  • Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়েছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠায় বসে ছিলেন ইডির আধিকারিকদের সামনে। জবাবও দিয়েছেন একের পর এক প্রশ্নবাণের। তবে ইডি (ED) সূত্রে খবর, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইডি তলব করেছিল রাহুলকে। বিদেশ থাকায় নির্ধারিত দিনে হাজিরা দিতে না পারলেও, পরে ইডি দফতরে হাজিরা দেন এই কংগ্রেস নেতা। পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবারও দু দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকে টানা ন ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় রাহুলকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে। এর পরে পরেই ফের ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয় রাহুলকে। আবারও চলে একপ্রস্ত জেরা। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় কংগ্রেস সাংসদকে।

    আরও পড়ুন : কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    ইডি সূত্রে খবর, রাহুল বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিলেও, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব দেননি। ইডির এক আধিকারিক বলেন, তিনি প্রায় ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। ওই প্রশ্ন গুলির সময় তিনি জানান, তিনি খুবই ক্লান্ত। রাহুলকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা করে জেরা করা হয়েছে। ইডির এক আধিকারিক বলেন, রাহুল যে উত্তরগুলি দিয়েছেন, সেগুলি তিনি আবার খুঁটিয়ে দেখেছেন, তাই সময় লেগেছে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় সপ্তাহখানেক ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। সম্প্রতি পান ছাড়া। এর পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন সোনিয়া। এমতাবস্থায় ইডির কাছে হাজিরা দিতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি। বুধবার সোনিয়া নিজেই ইডি আধিকারিকদের চিঠি লিখে এই আর্জি জানিয়েছেন। ইডি তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। সূত্রের খবর, সোনিয়া হাজিরা দিলে রাহুল এবং সোনিয়াকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।

     

  • Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চল্লিশ ঘণ্টা জেরা করা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও সন্তুষ্ট নয় ইডি (ED)। সেই কারণেই আজ, মঙ্গলবারও ফের ইডির জেরার মুখে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। গত সপ্তাহে তিন দিন টানা জেরা করা হয় রাহুলকে। সোমবার জেরা করা হয় আরও এক প্রস্ত। ইডির দাবি, তার পরেও মেলেনি সন্তোষজনক উত্তর। তাই মঙ্গলবার ফের জেরা করা হচ্ছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (national herald case) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত সপ্তাহে পরপর তিনদিন রাহুলকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিদিন প্রায় দশ ঘণ্টা করে জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবার বিরতি নিয়েছিলেন ‘ক্লান্ত’ রাহুল। সোমবার ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। এদিনও ঘণ্টা দশেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিল ইডি। বিদেশে থাকায় প্রথমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। নির্ধারিত সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি সোনিয়াও। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাজির হতে পারেননি তিনি। দেশে ফেরার পর ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে, সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন সোনিয়া। ২৩ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির তরফে।

    আরও পড়ুন : রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন এই তিনটি সংবাদপত্র অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে অধিগ্রাহণ করে রাহুল ও সোনিয়ার মালিকানাধীন ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক সংস্থা। রাহুল ও সোনিয়া ওই সংস্থার ৭৬ শতাংশের মালিক। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ ও মতিলাল ভোরা। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, এই অধিগ্রহণ নিয়ম মেনে হয়নি। ঘুরপথে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।এর পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। জেরা করা হয় রাহুলকে। বৃহস্পতিবার জেরা করা হবে সোনিয়াকে।

     

  • Rahul Gandhi: হেরাল্ড কাণ্ডে তলব ইডির, আর কী কী মামলা রাহুলের বিরুদ্ধে?

    Rahul Gandhi: হেরাল্ড কাণ্ডে তলব ইডির, আর কী কী মামলা রাহুলের বিরুদ্ধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ন্যাশনাল হেরাল্ড (Natiaonal Herald) মামলায় বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কিন্তু বিদেশে থাকার জন্য ২৪ ঘণ্টার নোটিসে তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়, বলে জানিয়ে দেন রাহুল। শুক্রবার রাহুলকে নতুন নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। আগামী ১৩ জুন তাঁকে ইডি-র দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। বুধবার পাঠানো ইডি-র (ED) ওই নোটিসে আগামী ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধীকে (Sonia Gandhi)। কিন্তু তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত নোটিস পাঠানো হচ্ছে না বলে ইডি সূত্রের খবর।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কী কী মামলা রয়েছে—

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: 

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে, মনমোহন সিংয়ের সময় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশিরভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।

    ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সোনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছু দিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয়। এখানেই আপত্তি তোলে বিজেপি।

    তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। তাদের কোনও কর দিতে হয় না। কোনও বাণিজ্যক সংস্থাকে ঋণ দেওয়াও তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। ২০১৫-র গোড়ায় মামলার তদন্তের ভার যায় ইডি-র হাতে। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়া অলাভজনক সংস্থা। এই সংস্থা কোনও মালিককে ডিভিডেন্ট (মুনাফার ভাগ) দিতে পারে না। কোনও সম্পত্তির হাতবদল বা আর্থিক লেনদেনও হয়নি। বস্তুত, প্রথম দফার তদন্তের পর ইডি কংগ্রেসের দাবিকেই মান্যতা দিয়ে মামলাটি বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে তড়িঘড়ি ইডি-র তৎকালীন অধিকর্তা রাজন কাটোচকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আবার তদন্ত শুরি করে ইডি।

    আরও পড়ুন: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    ভিওয়ান্ডির আদালতে মামলা:

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে রাহুল গান্ধীর নামে। মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুর জন্য দায়ী রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সঙ্ঘ (RSS)! ২০১৪ সালে এক বক্তৃতায় এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন আরএসএস কর্মী রাজেশ কুন্তে। ভিওয়ান্ডি আদালতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যদিও সেই মামলাতে মামলাকারীকেই ১ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় আদালত।

    সুরাট আদালতে মামলা:

    ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এপ্রিল মাসে কর্নাটকের একটি নির্বাচনী জনসভায় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন যে, “সব চোরেদেরই পদবি মোদি”। তাঁর (Rahul Gandhi) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুরাট আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতে (Modi surname) আদালতে হাজিরা দিয়ে নিজের পক্ষে যুক্তি দেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের ভোটের প্রচার চলাকালীন তৎকালীন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি কর্নাটকের কোলারের এক সভায় ছড়া কেটে বলেছিলেন, “নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি। এদের প্রত্যেকের নামেই মোদি আছে কেন? সব চোরেদের নামেই মোদি কেন থাকে?” কংগ্রেস নেতার সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন একাধিক বিজেপি নেতা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই মন্তব্য করে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি গোটা মোদি (Modi) সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন। পাটনায় বিহারের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি (Sushil Modi) এবং সুরাটে বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।  কয়েক বছর ধরে সেই মামলা চলছে সুরাটের আদালতে।

    রাফাল (Rafale) চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে রাহুল গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তুলেছিলেন । রাহুলের এই স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন BJP সাংসদ মীনাক্ষী লেখি । রাহুলকে এই ধরনের মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।

    আসানসোল আদালতে মামলা:

    ‘হিন্দু বনাম হিন্দুত্ববাদী’ মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি বিপাকে পড়েছেন রাহুল গান্ধী। পীযূষকান্তি গোস্বামী নামক আসানসোলের এক আইনজীবী রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।  পীযূষকান্তির অভিযোগ, গত ১২ এবং ১৯ ডিসেম্বর রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের দুটি সভায় হিন্দুত্ববাদীদের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেছিলেন, ক্ষমতার লোভে হিন্দুত্ববাদীরা সত্যকেও ভুলে যায়। দেশের দুর্দশার জন্য এরা দায়ী। ওয়েনাড়ের সাংসদের এই মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে বলে অভিমত পীযূষের। আসানসোল আদালতে এই মামলাটি চলছে।

LinkedIn
Share