Tag: national investigation agency

national investigation agency

  • NIA Terror Probe: ভূস্বর্গকে ফের আশান্ত করতে তৎপর পাকিস্তান! এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

    NIA Terror Probe: ভূস্বর্গকে ফের আশান্ত করতে তৎপর পাকিস্তান! এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে কি ফের ফিরছে নাশকতার কালো মেঘ (Terrorism in Jammu Kashmir)? প্রশ্নটা উঠছে কারণ সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি সে-জঙ্গি এনকউান্টারের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা। বাহিনী সজাগ থাকায় (NIA Terror Probe) জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল হলেও, প্রাণ গিয়েছে একাধিক বীর সেনানীর। অনন্তনাগ হোক বা রাজৌরি— জঙ্গিরা যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে এদেশে নাশকতার জাল বিছোতে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ঠিক যেমন বেশ কিছুদিন চুপ করে থাকার পর ফের কাশ্মীর দিয়ে সীমান্তপার সন্ত্রাস চালাতে তৎপর হয়েছে পাকিস্তান।

    পাকিস্তান থেকে লাগাতার অনুপ্রবেশ

    জঙ্গি-নেতারা যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে কাশ্মীরে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Terrorism in Jammu Kashmir) করে চলেছে এবং সেখান থেকেই যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, এটা আগে তো জানা ছিলই। তবে, এই মর্মে নতুন তথ্যপ্রমাণও হাতে পেয়েছেন এদেশের গোয়েন্দারা (NIA Terror Probe)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজৌরির ধাংরি গ্রামে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আইইডি বিস্ফোরণে ৭ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। এর পর এপ্রিল মাসে পুঞ্চে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলায় পাঁচ জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তথা অনুসন্ধানকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, এই দুই ঘটনাতেই একই জঙ্গিরা জড়িত ছিল। 

    স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল জঙ্গিরা!

    এনআইএ তদন্তে উঠে আসে, জঙ্গিরা স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল। হামলার পর তারা আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিসার আহমেদ ও মুস্তাক হোসেন নামে দুজনকে পাকড়াও করে এনআইএ। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, পুঞ্চের বাসিন্দা এই দুজনই ধাংরি হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সাহায্য করেছিল। ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে এনআইএ-র হাতে (NIA Terror Probe)। জানা যায়, নিসারের সঙ্গে লস্কর হ্যান্ডলার আবু কতল ওরফে কতল সিন্ধির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। নিসারকে আগও গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২ বছর জেলে কাটিয়ে ২০১৪ সালে সে ছাড়া পায়। 

    গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে জঙ্গিদের ইনফর্মার হিসেবে নাকি কাজ করত এই নিসার (Terrorism in Jammu Kashmir)। ধাংরিতে হামলার ঘটনায় তাকে ডেকেও পাঠিয়েছিল পুলিশ। এনআইএ-কে নিসার জানিয়েছে, দুই জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল আবু কতল। এর পর মুস্তাক হোসেনকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ওই ২ জঙ্গির জন্য গুহার মধ্যে একটি গোপন আস্তানা তৈরি করে দিতে। ওই জঙ্গিদের বাড়িতে তৈরি খাবার দিয়ে আসত নিসার। 

    নির্দেশ দিয়েছিল পাক হ্যান্ডলাররা

    এনআইএ জানিয়েছে (NIA Terror Probe), জেরায় নিসার দাবি করেছে, এপ্রিলে সেনার ওপর হামলার ২ দিন আগে ওই জঙ্গিরা ২২টি রুটি চেয়ে পাঠায়। সেই মতো, সে রুটি পৌঁছে দেয়। এর পর জঙ্গিরা তাকে না জানিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এনআইএ জানিয়েছে, এর পরই পুঞ্চের ভিম্বর গলি-সুরানকোট সড়কের ওপর ভাট্টা দুরিয়াঁর কাছে ঘটা হামলার খবর আসে (Terrorism in Jammu Kashmir)। গোয়েন্দাদের মতে, পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তৈবা হ্যান্ডলারদের নির্দেশ অনুযায়ী এই হামলাগুলো চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সইফুল্লাহ ওরফে সাজিদ জট্ট, আবু কতল এবং মহম্মদ কাসিম নামে তিন লস্কর হ্যান্ডলার পাকিস্তান বসে জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Alert: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা, মোদি স্টেডিয়াম ওড়ানোর হুমকি-ইমেল এনআইএ-কে! দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি

    NIA Alert: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা, মোদি স্টেডিয়াম ওড়ানোর হুমকি-ইমেল এনআইএ-কে! দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাণনাশের হুমকি-চিঠি পাঠানো হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র কাছে। এর পরই দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি (NIA Alert) করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

    কী বলা হয়েছে হুমকি-ইমেলে?

    ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছুদিন আগে এনআইএ-র কাছে একটি হুমকি-ইমেল পাঠানো হয়। চিঠিতে অবিলম্বে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর মুক্তির দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০০ কোটি টাকা দিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। চিঠি অনুযায়ী, এটা না করলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা (Threat to PM Modi) করা হবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশ তথা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম— আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ইমেলে (NIA Alert)। 

    হুমকি-চিঠির জেরে সতর্কতা বৃদ্ধি

    হুমকি-চিঠি পাঠানো হয় এনআইএ-র মুম্বই দফতরে। এর পরই সঙ্গে সঙ্গে এনআইএ-র তরফে যোগাযোগ করা হয় মুম্বই পুলিশের সঙ্গে। চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুলিশকে অবগত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেহেতু জড়িত এবং চিঠিতে যেহেতু তাঁর প্রাণনাশের হুমকি (Threat to PM Modi) দেওয়া হয়েছে, তাই কালক্ষেপ না করে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত সকল গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করে এনআইএ (NIA Alert)। তাদের পুরো বিষয়টার ‘ব্রিফ’ দেওয়া হয়। পাশাপাশি গুজরাট পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে এআইএ সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

    ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর নিরাপত্তায় জোর

    একইসঙ্গে, ক্রিকেট স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হমকিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশে এই মুহূর্তে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আর বলা বাহুল্য, নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ফলে, যে কোনও ধরনের নাশকতামূলক হামলার চেষ্টা ও তার সম্ভাবনার বিষয়টিকে চূড়ান্ত গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই হুমকি-চিঠি প্রাপ্তির পরই, দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম নয়, মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে সহ বিশ্বকাপের সবকটি স্টেডিয়ামের সুরক্ষা-বলয় আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। নিরাপত্তাকে আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে (NIA Alert)। 

    চিঠির উৎস কোথায়? খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা

    ২০১৪ সাল থেকে জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তবে, অভিযোগ, জেলের ভিতর থেকেই সে তার নেটওয়ার্ক সক্রিয় রেখেছে। তার বিরুদ্ধে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার মামলা চলছে। মুসওয়ালার উপর হামলার দায় স্বীকার করেছিল বিষ্ণোই। তার আগে, বলিউড তারকা সলমন খানকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল এই গ্যাংস্টার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুমকি চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, হিন্দুস্তানে সব কিছু পাওয়া যায়, এবং তারা সেই সব জিনিস কিনেও ফেলেছে। তাদের দাবি, যতই সুরক্ষা বাড়ানো হোক, কেউ নিস্তার পাবে না। হুমকি-চিঠির (Threat to PM Modi) উৎস খুঁজতে দেশের সবকটি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করছে (NIA Alert)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir: জঙ্গি নিশানায় কাশ্মীরের জি-২০ সম্মেলন! উপত্যকায় অভিযান এনআইএ-র

    Kashmir: জঙ্গি নিশানায় কাশ্মীরের জি-২০ সম্মেলন! উপত্যকায় অভিযান এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলন! তার জন্যই চলছে জঙ্গিদের অর্থ সংগ্রহ ও অস্ত্র মজুতের কাজ। জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল করতে তৎপর নিরাপত্তা বাহিনী থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার দক্ষিণ কাশ্মীরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থায়নের মামলায় পুলওয়ামা ও সোপিয়ানের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    জি-২০র পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠক

    প্রসঙ্গত, মে মাসের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত শ্রীনগরের মাটিতে জি-২০র পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠক হবে। দেশের নানা প্রান্তেই জি-২০ সম্মেলনের একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু শ্রীনগরের মতো স্পর্শকাতর কেন্দ্রে এই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন হবে। শ্রীনগর ছাড়া লেহ ও লাদাখেও এই সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। পাকিস্তান সব সময় এর বিরোধিতা করছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানের মদতে কয়েকটি গোষ্ঠী ছদ্মনাম নিয়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উসকানি দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, “পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিরা ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র, বোমা, মাদক ইত্যাদি সরবরাহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কাশ্মীর উপত্যকায় তাদের কর্মী এবং ক্যাডারদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তা কখনওই সফল হবে না।”

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর ঘুরতে যাচ্ছেন? জানুন উপত্যকার ৭ মোহময়ী স্থান সম্পর্কে

    জোরদার নিরাপত্তা 

    জি-২০ সম্মেলনকে নজরে রেখে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গত ১১ মে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কানসিপোরাতে আব্দুল খালিক রেগুর বাসবভবনে তল্লাশি চালানো হয়। এর পাশাপাশি বারামুল্লা জেলার সাংরি কলোনিতে সোয়েব আহমেদ চুরের বাড়িতে এবং সৈয়দ করিমে জাভেদ আহমেদ ধোবির বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে আদালতের নির্দেশে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তিন অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করেছিল এনআইএ। এবার নতুন করে অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় ধরণের অভিযানে নামল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি। এবারে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের পর্দা ফাঁস করল এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেতেই দেশের একাধিক জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান সহ দেশের ৭২টি জায়গায় মঙ্গলবার একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।

    আটটি রাজ্যে এনআইএ অভিযান

    এনআইএ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে তল্লাশির সময় একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং নীরজ বাওয়ানা গ্যাংয়ের বেশ কয়েক জন সদস্যকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাঁদের জেরা করেই দেশের বেশ কয়েকটি জায়গার হদিশ পেয়েছিল এনআইএ। আর তার পরই আজ, মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

    এদিন সকালে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে এনআইএ অভিযান শুরু করে। পাঞ্জাবের অন্তত ৩০ টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবের গিদ্দারবাহায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য, আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগসাজশের মামলায় এই নিয়ে চতুর্থ বার অভিযানে নামল এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থাটির এক সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই ধৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও ওই সূত্রের দাবি।

    এর আগেও গত বছরের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাসী, গ্যাংস্টার এবং মাদক পাচারকারীদের যোগসাজশ লক্ষ্য করে দেশের পাঁচটি রাজ্যের ৫০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। এনআইএর তরফে তখনই জানানো হয়েছিল যে, এই নেটওয়ার্ক যত দিন না ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

  • STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে মরিয়া কলকাতার এসটিএফ। নতুন বছরের শুরুতেই আইএস জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। এদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। এখানেই শেষ না, কলকাতা এসটিএফের জালে আসে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। মধ্যপ্রদেশ থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। আর এদেরকে জেরা করতেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম ও কুরেশির সঙ্গে এক যোগ-সূত্র রয়েছে এবং তাদের এক বড়সড় হামলার ছক ছিল। ফলে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার জন্য একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

    কে এই আব্দুল রাকিব কুরেশি ও কীভাবে তার সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ হয়?

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সিমি সদস্য। ২০০৯ সালে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের চেষ্টার অভিযোগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তিনিই আবার তালিবানের পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন আদালতে। এসটিএফ-এর আধিকারিকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সাদ্দাম ও কুরেশির যোগাযোগ রয়েছে। এসটিএফ আধিকারিকদের দাবি, ২০১৯ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পরেও কুরেশি হাওড়া আইএস মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। এর পর সে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তার মত লোকজনকে খুঁজে বেড়াত। মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য সে এইভাবে সংগঠনে নতুন করে নিয়োগ করত। এদিকে সেই সূত্র ধরেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার সঙ্গে হাওড়ার আইএস অপারেটিভ মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে তার আলাপ হয়। এর পর তারা দুজনেই যুব সমাজের ব্রেন ওয়াশ করে আইএস মডিউলে নাম লেখানোর চেষ্টা করত। এর কিছু নজিরও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তারা ঠিক কোথায় যাতায়াত করত, আর কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    আবার সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছে, সে অস্ত্রের জন্য কুরেশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই পুরানো কিছু চ্যাট সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। অস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কুরেশির পুরানো কোনও মামলা রয়েছে কি না, আর কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখত এসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গি মডিউলের সম্পর্কেও আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করে চলেছে এসটিএফ। এর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সাদ্দাম ও কুরেশির বিষয়ে আরও বেশি তথ্য জানার জন্য এসটিএফ আধিকারিকরা তাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করেছেন।

    জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় চার্জশিট জমা এনআইএ-এর

    একদিকে এসটিএফ যেমন সন্ত্রাস দমনে তৎপর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে এনআইএ এদিন ২০২২ সালে দাখিল হওয়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা করল। এই মামলায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৬ জন সহ মোট ১০ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকার একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালানোর পর সেখানে ১৭ জন বিদেশী সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে এনআইএ জানিয়েছিল যে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতেও এমনই করার চেষ্টা করছিল।

  • Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কোয়েম্বাতুরে মন্দিরের সামনে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এএনআই (NIA)। তারা ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে কেরালা লিংকের দিকে ইঙ্গিত করেছে। তার পরেই গাড়িগুলিতে নাকাচেকিং শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। কোয়েম্বাতুরে যে ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে অন্যান্য রাজ্যেও। এই মর্মে রাজ্যগুলিকে সতর্কও করে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    রবিবার সকালে কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা বছর পঁচিশের যুবক জামেজা মুবিনের। ওই ঘটনার পরে পরেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের অনুমান, ভবিষ্যতে বড় ধরনের নাশকতার ছক ছিল। বছর কয়েক আগেও একবার মুবিনকে জেরা করেছিল এনআইএ। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন মহম্মদ তালকা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াজ, ফিরোজ ইসমাইল এবং মহম্মদ নওয়াজ ইসমাইল। প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ। গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডেরও তদন্তে নেমেছে এনআইএ।  

    এক প্রবীণ তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, এনআইএ নিশ্চিত করেছে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অন্যান্য রাজ্যেও জনবহুল এলাকাগুলিতে এরকম হামলা হতে পারে। এনআইএর তরফে এ ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বাড়াতে বলা হয়েছে পুলিশি নজরদারি। ওই আধিকারিক বলেন, রাজ্যের সন্দেহভাজন বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর নজর রাখছি আমরা। তার মধ্যে কয়েকটি গোষ্ঠীর ওপর আমরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) পর রাজ্যের গাড়িগুলিতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তামিলনাড়ুর এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িগুলিতে চেকিং চালানো হচ্ছে। হঠাৎ করে গাড়ি পরীক্ষার জন্যও স্পেশাল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারি চালাতে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবে সেগুলি এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাবে না।

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Coimbatore Blast) গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরোজ ইসমাইল নামে একজনকে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বিতাড়িত হয়ে এসেছেন। এক আধিকারিক বলেন, কেরালার কয়েকজন যুবককে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে তাড়ানো হয়েছে। আইএস কাজের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ। ঘটনা প্রবাহের ওপর আমরা কড়া নজর রাখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mominpur Violence: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    Mominpur Violence: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ড (Mominpur Violence) নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। একবালপুর-মোমিনপুর সংঘর্ষের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা নিয়ে আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দাবি উঠেছিল এনআইএ তদন্তের। রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার মোমিনপুরে তদন্ত শুরু করল এনআইএ (NIA)। সূত্রের খবর, মোমিনপুর মামলার সমস্ত নথি চেয়ে বুধবার এনআইএ-এর স্পেশ্যাল কোর্টে আবেদন করল এনআইএ (NIA)। কলকাতা পুলিশের থেকে সমস্ত কেস ডায়েরি ও নথি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এই মামলা পুনরায় দাখিল করা হয়েছে। মামলা দায়ের নথিও কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫২, ৩০৭, ৩৩২, ৩৫৩, ৪২৭, ৪৩৬, ও ৪,৫,৬, ২৪, ২৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডে রাজ্যের পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও আগেই উঠেছিল। এমনকি অভিযোগ উঠেছিল, সেখানকার ঘটনা ঠেকাতে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)। লক্ষ্মী পুজোর আগের রাত থেকে এই হিংসা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের দিকে বারবার ব্যর্থতার আঙুল তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ায় বিজেপি ট্যুইটে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে ও এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল এই ঘটনাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। ভোট ব্যাংক বাঁচাতে মরিয়া শাসকদল কোনওভাবে এই মামলা শেষ করতে চেয়েছিল, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে এমনটা অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।  হাইকোর্টও এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মোমিনপুরের ঘটনায় পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনআইএ সূত্রের খবর, আইনি প্রক্রিয়া সাড়া হয়েছে এবার কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে তদন্তকারী অফিসাররা। এরপরই দ্রুত কেস ডায়েরি হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • NIA Raid: দেশব্যাপী এনআইএ হানায় প্রকাশ্যে এল দেশী গ্যাংস্টার-পাক জঙ্গি আঁতাত

    NIA Raid: দেশব্যাপী এনআইএ হানায় প্রকাশ্যে এল দেশী গ্যাংস্টার-পাক জঙ্গি আঁতাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল। এছাড়াও কিছু অবৈধ অস্ত্র, বেআইনি নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকালই গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড়সড় তল্লাশি অভিযানে নামে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড় এবং দিল্লি-এনসিআরের ৫০ টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালানোর পর এইসব উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্যাংস্টার ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে, এবিষয়েও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

    সূত্রে খবর অনুযায়ী, সংস্থাটি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর করেছে। গ্যাংস্টারদের দৌরাত্ম ও গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সম্পর্ক ভাঙতে গত আট মাস ধরে  এনআইএ সহ আন্যান্য সরকারি তদন্তকারি সংস্থাগুলি তৎপর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এনআইএ-র যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র, নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্যাংস্টার বীরেন্দ্র প্রতাপ সিং ওরফে কালা রানার যমুনানগরের বাড়ি থেকে ছয়টি অবৈধ অস্ত্র, ৯০টি কার্তুজ এবং ১০টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গোল্ডি ব্রারের মুক্তসারের বাড়িতেও প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। এনআইএ দল তার বাড়ি থেকে একটি মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করেছে। এনআইএ গৌরব পাতিয়াল ওরফে লাকির বাড়ি থেকে কিছু নথিও নিজেদের দখলে নিয়েছে। একইভাবে, কারাগারে থাকা জগ্গু ভগবানপুরিয়ার বাটালার গুরুদাসপুরের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন সেট এবং কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। জেল বন্দী লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দুতারনওয়ালী ও আবোহারের বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল সেট এবং দুটি মোবাইল সিমকার্ড উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এমনকি এইসব গ্যাংস্টারদের বাড়ি থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরও নিয়ে গিয়েছে এনআইএ আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ, দিল্লি-সহ দেশের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র

    এই অস্ত্র, নথি ও মোবাইল সেট ছাড়াও এনআইএ-এর আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, পাকিস্তানের আইএসআই গোষ্ঠী পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সম্পর্ককে কাজে লাগাচ্ছে। তদন্তে আরও জানা গেছে যে পাকিস্তান-ভিত্তিক খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং গ্যাংস্টাররা এখানেই থেমে থাকেনি। তারা অল্প পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দিয়ে বেকার যুবকদের লোভ দেখিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করানোর চেষ্টা করছিল।

    সূত্র অনুযায়ী, গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী, হরবিন্দর সিং রিন্দা, যে বর্তমানে পাকিস্তানে আছে, সে দেশের কিছু গ্যাংস্টার সহ এক হাজারেরও বেশি অপরাধীর সাথে যোগাযোগ করেছে বলে মনে করা হয়। যে গ্যাংস্টাররা তার সংস্পর্শে আছে বলে মনে করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছে হরজিন্দর সিং আকাশ, প্রদীপ চানা, জয়পাল ভুল্লর এবং দিলপ্রীত দাহা।

    এদিকে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি আসন্ন উৎসবগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এমন খবর এসেছে, ফলে ভারত-পাক সীমান্ত সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখাও গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সংযোগের বিষয়ে আলাদাভাবে তদন্ত করছে। পাঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব বলেছেন, “আমরা এই অপরাধীদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখছি এবং জেলা পুলিশ প্রধানদের সেই অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

     
  • NIA Raids: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ, দিল্লি-সহ দেশের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র

    NIA Raids: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ, দিল্লি-সহ দেশের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে এবারে গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড়সড় তল্লাশি অভিযানে নামল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। দেশের গ্যাংস্টারদের দৌরাত্ম্য থামাতে এবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্যাংস্টারদের ধরতে আজ সকাল থেকেই দিল্লি সহ পুরো উত্তর ভারত জুড়ে অভিযান শুরু করেছে এনআইএ। পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার কয়েক মাস পর থেকেই  জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) উত্তর ভারত জুড়ে প্রায় ৫০ টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যের গ্যাংস্টারদের ধরতেই এই পদক্ষেপ। তবে শুধু ভারতই নয়, বিদেশ থেকেও যেসমস্ত গ্যাংস্টাররা নিজেদের কার্যকলাপ চালায় এদেশে, তাদের বিরুদ্ধেও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি যারা সিধু মুসেওয়ালার খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, যেমন- কানাডা-ভিত্তিক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এবং জগ্গু ভগবানপুরিয়া, এদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-পাক সীমান্তে সিধু মুসেওয়ালার গান বাজাল পাকিস্তানি সেনা, নেচে উঠলেন ভারতীয় জওয়ানরা

    আরও জানা গিয়েছে দেশের কিছু গ্যাংস্টাররা সন্ত্রাসী মামলা ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গেও জড়িত রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের মূল ষড়যন্ত্রী হিসাবে উঠে এসেছে এর নাম। লরেন্সকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তারপর দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু জানা গিয়েছে জেলের ভিতর থেকেও পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন দুষ্কর্ম।

    সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদী এবং পাঞ্জাব-ভিত্তিক গ্যাংস্টারদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নজরে এসেছিল। ফলে এই গ্যাংস্টারদের ধরতেই আজ অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। এনআইএ-এর কর্মকর্তাকরা জানিয়েছেন, রাজ্য-ভিত্তিক গ্যাংস্টারদের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক সম্পর্কে কেন্দ্র গত দুই মাসে পাঞ্জাব পুলিশকে একাধিক সতর্কতা পাঠিয়েছিল।

    উল্লেখ্য, গত ২৯শে জুন পাঞ্জাবের মানসা জেলার মুসার গ্রামের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয় গায়ককে। আর তাঁর মৃত্যুর পরেই গোল্ডি ব্রার একটি ফেসবুক পোস্টে স্বীকার করেছিলেন যে তিনি অন্য গ্যাংস্টারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে এটি পরিকল্পনা করেছিলেন। আর গোল্ডি ব্রার হলেন লরেন্স বিষ্ণইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ফলে এই গোল্ডি ব্রার সহ অন্যান্য গ্যাংস্টার ধরতে মরিয়া এনআইএ।

  • NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের তিন রাজ্যের ছ’ জায়গায় হানা দিলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে হানা দেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh) জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের (JMB) ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সেই সূত্রেই ওই ছয় জায়গায় হানা দেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে চার জায়গায়, বিহারের কাটিহারে এবং উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে একযোগে হানা দেন তদন্তকারীরা।

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানান, জেএমবি-র ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ভোপালের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। তিনি জানান, তারা জেএমবি-র আদর্শ প্রচার করছিল। ভারতে জিহাদি কাজকর্ম চালানোর জন্য তারা তরুণদের উৎসাহিতও করছিল। এদিনের তল্লাশিতে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড এবং মেমরি কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জিহাদি পুস্তিকাও। হদিশ মিলেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও।  

    আরও পড়ুন : আইএস জঙ্গি মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এনআইএ আদালতের

    এদিকে, রাজ্যের সাম্প্রতিক অশন্তির ঘটনার নেপথ্যেও বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে দিন কয়েক আগে অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা এবং সলপে ব্যাপক অশান্তি হয়। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে জেএমবি-র স্লিপার সেলের হাত।

    আরও পড়ুন : নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এ রাজ্যে যখন সিএএ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছিল, তখনও রাজ্যের যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল। সেবারও মূলত অশান্তি হয়েছিল হাওড়া, উলুবেড়িয়া সাবডিভিশন এবং মুর্শিদাবাদের একাংশে। তার পিছনেও জেএমবির স্লিপার সেলের হাত রয়েছে বলে অনুমান।

    সূত্রের খবর, মাসখানেক আগেও হাওড়া, উলুবেড়িয়া মহকুমার একাধিক জায়গায় জেএমবির প্রথম সারির কয়েকজন জঙ্গি নেতা রাত কাটিয়েছে। কেবল জেএমবি নয়, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার যে সব জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে তার পিছনেও ছিল পড়শি বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের দীর্ঘ হাত।

     

LinkedIn
Share