Tag: NDA

NDA

  • BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Amendment) বিল ২০২৪ অনুমোদন করেছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। এনডিএ সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী-সহ অনুমোদিত হল বিলটি। সংসদে বিলটি পাশ করানোর ক্ষেত্রে এটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারে বিজেপির (BJP)। কারণ এর আগে বিল নিয়ে দ্বিমত ছিল এনডিএর কয়েকটি শরিকের মধ্যে। সংশোধনী খসড়া পেশ করার পর কাটল জট। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হবে বিলটি। তার আগে এনডির ঐক্যের চেহারা দেখল গোটা দেশ। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই ছবি হলে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হবে বিজেপি।

    এনডিএ-র পক্ষে রায় (BJP)

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ২৪০টি আসনে। ২৭ জানুয়ারি ১৪টি সংশোধনী অনুমোদন করেছে জেপিসি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী খারিজ করা হয়েছে। কারণ ভোটাভুটিতে এনডিএর পক্ষে রায় গিয়েছে ১৬:১০ ব্যবধানে। এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল যেমন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলুগু দেশম পার্টি কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল।

    এনডিএ দলগুলোর সম্মতি

    এই প্রস্তাবগুলি সমর্থন করেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। এ থেকেই স্পষ্ট হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সংশোধিত সংস্করণের প্রতি এনডিএ দলগুলোর সম্মতি রয়েছে। গত অগাস্টে এই বিল নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান (BJP) নিয়েছিল জেডি(ইউ), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) এবং চন্দ্রবাবুর টিডিপি। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল গত বছরের অগাস্ট মাসে। সেই সময় এনডিএর দুটি শরিক দল মুসলমানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্বেগগুলোর সমাধানের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছিল। প্রায় ছ’মাস পরে দেখা গেল, এনডিএর সব শরিক দল ওয়াকফ বিল নিয়ে একজোট হয়েছে। সংশোধনীগুলির পক্ষেও ভোট দিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এজন্য শরিক দলগুলির কাছে আবেদন করেছেন সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন হবে ১৬ জন টিডিপি সদস্য, ১২ জন জেডিইউ সদস্য এবং ৫ জন এলজেপি (আরভি) সদস্যের ভোট। এনডিএর ছোট শরিক দলগুলির মধ্যে আরএলডির ২, জেডিএসের ২, এবং আপনা দল (এস)-এর একটি ভোটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রসঙ্গত, সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment) নয়া নাম হবে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট (BJP)।

  • Waqf Amendment Bill: পাশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ১৪টি নিয়মের সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত জেপিসি-র

    Waqf Amendment Bill: পাশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ১৪টি নিয়মের সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত জেপিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ নিয়মের (Waqf Amendment Bill) সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত দিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। জেপিসি-তে পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ সংশোধনী বিলের খসড়া। এই খসড়া বিলে কেন্দ্রের তরফে আনা ১৪টি সংশোধনীই গৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের পেশ করা সবকটি সংশোধনী ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।

     

    সংসদে কবে আসছে ওয়াকফ বিল

    আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। আসন্ন অধিবেশনের প্রথম পর্বেই সংসদে এই বিলটি (Waqf Amendment Bill) আনতে পারে সরকার। গত বছরের ২৯ নভেম্বরই এই খসড়া বিল জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধের শেষদিন পর্যন্ত করা হয়। সূত্রের খবর, ওয়াকফ বিলে বিরোধীরা যে সংশোধন করতে বলেছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। জেপিসি-র এই খসড়া রিপোর্ট ২৮ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে ও ২৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে। এরপর নিয়মাফিক সংসদের দুই কক্ষে পেশ করা হবে বিল। পাশ হওয়ার পর, রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলেই বদলে যাবে ওয়াকফ আইন। নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’।

     

    ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্র বদল নয়

    যে-সব সম্পত্তি ওয়াকফ না হওয়া সত্ত্বেও ওয়াকফের (Waqf Amendment Bill) মর্যাদা পেয়ে আসছিল, সেগুলির পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছিল সংসদে পেশ হওয়া বিলে। বিলের সেই ধারা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সংশোধনী আনেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি সংশোধনীতে বলেন, যেগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার চরিত্র বদলের চেষ্টা না করে বরং বিল পাশের পরে ভবিষ্যতে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি-না তা ভালো করে খতিয়ে দেখা হোক। নিশিকান্তের আনা ওই সংশোধনীটি আজ পাশ হয়। এর ফলে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত বা ব্যবহার করা হচ্ছে এমন কোনও সম্পত্তির চরিত্র পরিবর্তন হওয়ার আশু কোনও বিপদ থাকছে না।

     

    প্রক্রিয়া মেনেই বিল পাশ

    বিজেপি সাংসদ তথা যুগ্ম সংসদীয় কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল বলেন, “ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) আইনের ৪৪টি ধারা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ৬ মাস ধরে আলোচনার পর চূড়ান্ত বৈঠকে ১৪টি সংশোধন গ্রহণ করা হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে। বিরোধীরাও সংশোধনের সুপারিশ করেছিল। প্রতিটি প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা ও ভোটাভুটি হয়েছে। তাদের প্রস্তাবের পক্ষে ১০টি ভোট পড়েছে, বিরোধিতায় ১৬টি ভোট পড়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এই কমিটির বৈঠক নিয়ে বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে শাসক পক্ষের বিরোধ চরমে ওঠে।

     

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল কী

    ১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী (Waqf Amendment Bill) এনে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বার বার প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। বর্তমানে ওয়াকফ আইনের ধারা ৪০ অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মালম্বী ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

     

    কী কী সংশোধনের প্রস্তাব ওয়াকফ বিলে?

    নতুন আইনে ওয়াকফ কাউন্সিল যেকোনও জমিতে দাবি জানাতে পারবে না বলা হয়েছিল।
    কমপক্ষে ৫ বছর ইসলাম ধর্ম পালনের পরই ওয়াকফে সম্পত্তি দান করা যাবে।
    ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য ও অন্তত দুইজন মহিলা সদস্য যোগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
    কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তিনজন সাংসদ, দুইজন প্রাক্তন বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সদস্য যোগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
    মূলত সম্পত্তিতে মুসলিম মহিলা ও শিশুদের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই ওয়াকফ আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

  • PM Modi: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    PM Modi: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন আর শুধু ভারতের নেতা নন, তিনি এখন বিশ্বের নেতা।” দিন দশেক আগে কথাগুলি বলেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)। আর শনিবার সেই চন্দ্রবাবুই জানিয়ে দিলেন, মোদির নেতৃত্বে ২০৪৭ সালের মধ্যে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের ঠাঁই হবে এক কিংবা দু’নম্বরে।

    মোদির নেতৃত্ব (PM Modi)

    এদিন কড়াপা জেলার মাইডুকুরে একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে এনডিএ ২৫টির মধ্যে ২১টি লোকসভা আসন জিতেছে, তা যেন ‘সঞ্জীবনী’ হয়ে উঠেছে। যদিও তেলেগু দেশম পার্টি এক কোটি সদস্যসহ একটি আঞ্চলিক দল, তবুও এটি সব সময় একটি জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে এসেছে।” তিনি বলেন, “আমরা আগেও ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এনডিএর সঙ্গে কাজ করেছি।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমার কোনও সন্দেহ নেই যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত এক নম্বর বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে। আমার লক্ষ্য হল তেলেগু জনগণকে বিশ্বব্যাপী এক নম্বর স্থানে দেখতে পাওয়া।”

    ‘ডবল ইঞ্জিন সরকারে’র প্রশস্তি

    এদিন চন্দ্রবাবুর মুখেও ‘ডবল ইঞ্জিন সরকারে’র (PM Modi)  প্রশস্তি শোনা যায়। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব কেবলমাত্র ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ থাকার মাধ্যমে, যা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে দ্বিগুণ উন্নয়ন হার নিয়ে আসবে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পোলভারম সেচ প্রকল্পসহ একাধিক প্রকল্পের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশাখাপত্তনম স্টিল প্ল্যান্টের জন্য একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করছি যে পোলভারম সেচ প্রকল্প আগামী দু’বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের জন্য ১২,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ডায়াফ্রাম ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো নথি ব্যবহার করে মুসিবুল হল প্রদীপ, একত্রবাস হিন্দু মেয়ের সঙ্গে, গ্রেফতার

    চন্দ্রবাবুর মুখে মোদি-স্তুতি শোনা গিয়েছে আগেও। কিছুদিন আগেই তিনি (Chandrababu Naidu) বলেছিলেন, “আমি সব সময় আপনার কাছ থেকে কিছু না কিছু অনুপ্রেরণা পাই। আপনার কাছ থেকে শিখি। আপনার নেতৃত্বে ভারত উন্নতির শিখরে পৌঁছবে। আমরা সবাই আপনার জন্য গর্বিত (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা (জেডিইউ) ভুল করে দু’বার ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গেই থাকব এবং উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করব।” সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব বলেছিলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তাঁরও উচিত দরজা খুলে রাখা। এতে উভয়পক্ষের যাতায়াত সহজ হবে।”

    ভুল ‘কবুল’ নীতীশের (Nitish Kumar)

    এই প্রসঙ্গেই ভুল ‘কবুল’ নীতীশের। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভুল করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার পুরানো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অবস্থা আগে কেমন ছিল? আমরা যখন ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম – মহিলারা খুশি হয়েছিলেন। যখনই তাঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাঁদের সাহায্য করা হয়।” এর পরেই ভুল স্বীকার নীতীশের। তিনি বলেন, “তারা (বিরোধী) মহিলাদের জন্য কোনও কাজ করেছে? আমরা সকলের জন্য কাজ করেছি – হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পশ্চাদপদ, দলিত বা মহিলা – যেই হোক না কেন। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত।”

    লালু সরকারের সমালোচনা

    লালুপ্রসাদ সরকারের সমালোচনা করে নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “২০০৫ সালের আগে বিহারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ ছিল। শিক্ষার অবস্থা ভালো ছিল না। রাজ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর পাওয়া যেত।” ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জোটই সরকার গঠন করেছিল বিহারে।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ২০১৭ সালে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে ফিরে যান নীতীশ। ২০২২ সালের অগাস্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ওই জোটে ফিরে যান তিনি। পরে ফেরেন এনডিএ-তে। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর যে বিহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন নীতীশ। পরে বলেন, “আগে বিহারের যে কোনও প্রান্ত থেকে মানুষের পাটনা পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে ৫ ঘণ্টা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য (Bihar) সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে (Nitish Kumar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: দেশজুড়ে উপনির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, শক্তি বাড়াল বিজেপি, হতাশাব্যঞ্জক ফল কংগ্রেস জোটের

    BJP: দেশজুড়ে উপনির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, শক্তি বাড়াল বিজেপি, হতাশাব্যঞ্জক ফল কংগ্রেস জোটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু মহারাষ্ট্র নয়, দেশের ৪৮টি বিধানসভা উপনির্বাচনে দূর্দান্ত ফল করল বিজেপি (BJP)। একইসঙ্গে কংগ্রেস তথা বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ফল যথেষ্ঠ হতাশাব্যঞ্জক। বিধায়করা লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় দেশের বেশ কয়েকটি আসনে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Elections) অনুষ্ঠিত হয়। কিছু আসনে অবশ্য বিধায়কদের মৃত্যু কিংবা দলবদলের কারণেও এই ভোটগ্রহণ হয়। কংগ্রেস এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে একেবারে কোণঠাসা করে কিস্তিমাত করল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। দেশজুড়ে বহু আসনে, জেতা সিট মাঝপথে খুইয়ে চাপে পড়ল কংগ্রেস, এসপি, আরজেডির মতো বিরোধী শিবিরের দলগুলি।

    যোগী রাজ্যে বিপুল জয় বিজেপির (BJP)

    যোগী রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ৯টি আসনে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। নয় আসনের মধ্যে ছ’টিতে জিতল বিজেপি (BJP)। একটিতে বিজেপির জোটসঙ্গী দল আরএলডি জিতেছে। মাত্র দু’টিতে জিততে সক্ষম হয়েছে অখিলেশের এসপি। উল্টে এসপি-র হাতে থাকা দু’টি আসন ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। শনিবার যোগী আদিত্যনাথ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-এনডিএ-এর এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফল নেতৃত্ব ও নির্দেশনার প্রতি মানুষের অটল বিশ্বাসের প্রমাণ।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও লিখেছেন, ‘‘এই জয় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুরক্ষা, সুশাসন ও জনকল্যাণমূলক নীতি এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। আমি উত্তর প্রদেশের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা উত্তর প্রদেশের সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছেন এবং সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই! বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে। এক রেহেঙ্গে-সেফ রেহেঙ্গে।’’

    অসম থেকে বিহার সর্বত্র বিজেপির জয়জয়কার

    অসমে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি তিনটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে। একটি আসন কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। রাজস্থানেও অব্যাহত বিজেপির ঝড় ও কংগ্রেসের শক্তিক্ষয়। সেখানে সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে পাঁচটি নিজেদের দখলে রেখেছে বিজেপি। বিহারে চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল। চারে চার দখল করেছে এনডিএ জোট। চারটি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করেছে দুটি আসন। অন্যদিকে বাকি দুটি আসনের মধ্যে একটি পেয়েছে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। আরেকটি জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা (হাম)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    NDA: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে উপনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার (Bihar)- সর্বত্র উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছে গেরুয়া ঝড়। বিহারে চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল। চারে চার দখল করল এনডিএ জোট। চারটি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করেছে দুটি আসন। অন্যদিকে বাকি দুটি আসনের মধ্যে একটি পেয়েছে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। আরেকটি জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা (হাম)।

    বিহারের তারারি আসনে  (NDA) জয়ী বিজেপি

    বিহারের তারারি আসনে বিজেপির বিশাল প্রশান্ত ৭৮,৭৫৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-এর রাজু যাদব পেয়েছেন ৬৮,১৪৩ ভোট। ওই একই আসনে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টির (জেএসপি) প্রার্থী কিরণ সিং ৫,৬২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।

    রামগড়ে জয়ী  (NDA) বিজেপি

    রামগড় আসনে বিজেপির অশোক কুমার সিং ১,৩৬২ ভোটে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সতীশ কুমার সিং যাদবকে পরাজিত করেছেন। বিজেরি ঝুলিতে গিয়েছে ৬২,২৫৭ ভোট এবং বহুজন সমাজ পার্টির সতীশ সিং পেয়েছেন ৬০,৮৯৫ ভোট।

    বেলাগঞ্জে জনতা দল (ইউনাইটেড)

    বেলাগঞ্জ আসনে জনতা দল (ইউনাইটেড) এর মনোরমা দেবী ২১,৩৯১ ভোটে জয়ী হয়েছেন (NDA)। এই আসনে আরজেডির প্রার্থী ছিলেন বিশ্বনাথ কুমার সিং। তিনি পেয়েছেন ৫১,৯৪৩ ভোট।

    ইমামগঞ্জ আসনে (Bihar) জয়ী হিন্দুস্তানী আওয়ামী মোর্চা

    ইমামগঞ্জ আসনে (NDA) হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার দীপা কুমারী ৫৩,৪৩৫ ভোট পেয়েছেন এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দী আরজেডির রৌশন কুমারকে ৫,৯৪৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। দীপা কুমারী হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জির পুত্রবধূ।

    উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনেও ভালো ফল বিজেপির

    উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা উপনির্বাচনেও এনডিএ জয়জয়কার। ৯টি আসনের মধ্যে জোট জিতেছে ৭টিতে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৬টি আসন, শরিক আরএলডি জিতেছে একটিতে। বিজেপির (NDA) ভালো ফলের জন্য খুশি ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শনিবার যোগী আদিত্যনাথ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-এনডিএ-এর এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফল নেতৃত্ব ও নির্দেশনার প্রতি মানুষের অটল বিশ্বাসের প্রমাণ।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও লিখেছেন, ‘‘এই জয় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুরক্ষা, সুশাসন ও জনকল্যাণমূলক নীতি এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। আমি উত্তর প্রদেশের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা উত্তর প্রদেশের সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছেন এবং সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই! বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে। এক রেহেঙ্গে-সেফ রেহেঙ্গে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না”, ইন্ডি জোটকে তোপ মোদির

    PM Modi: “যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না”, ইন্ডি জোটকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) নির্বাচনী প্রচারে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে বোকারোতে জনসভা করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে ইন্ডি জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘ এনডিএ-র একটাই মন্ত্র। আমরা ঝাড়খণ্ড তৈরি করেছি, রাজ্যের উন্নয়ন আমরাই করব।’’

    ছোটনাগপুরের মালভূমিও বলছে, রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, বিজেপি সরকার

    তিনি আরও বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) বিজেপির পক্ষে ঝড় শুরু হয়েছে। ছোটনাগপুরের মালভূমিও বলছে, রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, বিজেপি সরকার।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী আলমগির আলমের উদাহরণ টেনে আনেন। যাঁকে ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বাড়ি থেকে অবৈধভাবে ৩৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকারকে আক্রমণ করেন এবং বলেন, ‘‘রাজ্যের জনগণ যেখানে জীবন-জীবিকার জন্য সংগ্রাম করছেন, সেখানে আলমগির আলমের মতো নেতারা বালি পাচার করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন।’’

    পাঁচ বছরে কোনও পরিষেবাই দেয়নি ঝাড়খণ্ডের সরকার

    নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বদাই চায় যে দরিদ্ররা ভালো বাড়ি পাক, তাঁদের জন্য ভালো রাস্তা তৈরি হোক। উন্নত শহর এবং গ্রাম তৈরি হোক। বিদ্যুৎ পরিষেবা আসুক। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে জলের পরিষেবা পৌঁছে যাক। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক থাকুক। তাঁদের সন্তানদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক থাকুক। কিন্তু বিগত পাঁচ বছর ধরে এই সমস্ত পরিষেবাগুলি দিতে পারেনি ঝাড়খণ্ডের সরকার।’’ ইন্ডি জোটকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তারা ঝাড়খণ্ডকে নামমাত্র টাকা দিত উন্নয়নের জন্য। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে আমরা চারগুণ বরাদ্দ বাড়িয়েছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়বে এনডিএ”, দাবি জিতন রামের

    NDA: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়বে এনডিএ”, দাবি জিতন রামের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়বে এনডিএ (NDA)।” এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝি (Jitan Ram Manjhi)। তিনি বলেন, “ইন্ডি জোট যখন জোটের বাঁধন মজবুত করতেই ব্যস্ত, তখন বিজেপি জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রচারও শুরু করে দিয়েছে।”

    ‘এনডিএ সরকার গড়বে’ (NDA)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা (হাম) নেতা বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই এনডিএ সরকার গড়বে। আমাদের এনডিএতে সব কিছুই একটা স্ল্যাবে হয়ে যায়। অথচ ইন্ডি জোটে এখনও আলোচনা চলছে। শুরুতেই যদি তারা এটা করে, তার অর্থ হল, তারা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।” 

    কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী সীতা সোরেন

    ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীতা সোরেনও ২০ অক্টোবর দাবি করেছিলেন, পরিবর্তন আনতে ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়বে বিজেপি। তিনি বলেন, “দল আমার ওপর আস্থা রেখেছে। জামতাড়া আসনে প্রার্থীও করেছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে জিততে আমি কঠোর পরিশ্রম করব। ঝাড়খণ্ডবাসী বিজেপি সরকারকেই (NDA) পছন্দ করবেন।”

    সীতা আরও বলেন, “রাজ্যের বর্তমান সরকার কেবল দুর্নীতি এবং অপরাধ করেই চলেছে। রাজ্যের সব প্রধান শহরে দিনের আলোয় চলছে অপরাধমূলক কাজকর্ম। আমাদের সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে এবং পরিবর্তন আনবে।” তিনি বলেন, “প্রথমে তারা (শাসক দল) যুবকদের ব্যবহার করেছিল। এখন তারা ‘মাইয়া সম্মান যোজনা’র মাধ্যমে মহিলাদের ভোলাতে চাইছে। ডিসেম্বরের পরে এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। মহিলাদের অ্যাকাউন্টে কেবল তিন মাস পয়সা জমা হবে।”

    আরও পড়ুন: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    সীতা রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি হেমন্ত সোরেনের প্রয়াত দাদার স্ত্রী। গত ১৯ মার্চ বিজেপিতে যোগ দেন সীতা। লোকসভা নির্বাচনে দুমকায় প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। হেরে যান। এবার তাঁকেই জামতাড়ায় প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির। প্রসঙ্গত, শনিবারই বিজেপি ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় নাম রয়েছে ৬৬ জন প্রার্থীর। বিজেপির এই তালিকায় (Jitan Ram Manjhi) ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন এবং বাবুলাল মারান্ডির নামও রয়েছে (NDA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভারত মোদির মতো একজন মহান নেতা পেয়েছে”, প্রশংসায় কাঞ্চির শঙ্করাচার্য

    Narendra Modi: “ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভারত মোদির মতো একজন মহান নেতা পেয়েছে”, প্রশংসায় কাঞ্চির শঙ্করাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঈশ্বরের আশীর্বাদে মোদির (Narendra Modi) মতো একজন মহান নেতা পেয়েছে ভারত।” ঠিক এই ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন কাঞ্চির শঙ্করাচার্য (Kanchi Shankaracharya)। দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা বুঝতে পারেন এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন মোদি। একই ভাবে দেশের সঙ্কট, বিপত্তি এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদাকে বড় করে দেখেন দেশের এই নেতা। হিন্দু সনাতন ধর্মগুরুর একাধিক মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সুখ্যাতি আরও বৃদ্ধি হল বলে মনে করেছেন একাংশ মানুষ।

    ২০১৪ সাল থেকে দেশের উন্নয়নে এনডিএ (Narendra Modi)

    রবিবার বারাণসীতে একটি চক্ষু হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে ওই রাজ্য এবং দেশের জন্য একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের শুভ সূচনা করেন। বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাসও করেছেন এদিন। একই ভাবে এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চির শঙ্কারাচার্য (Kanchi Shankaracharya)। তিনি মোদিকে প্রশংসা করে বলেন, “২০১৪ সাল থেকে দেশের এনডিএ জোট উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। মোদিজি (Narendra Modi) সুচারু ভাবে এই কাজে বিশেষ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।” একই ভাবে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল।

    আরও পড়ুনঃ ইতিহাস তৈরি বিজেপির, সদস্য সংখ্যা পৌঁছল ১০ কোটির ঘরে, এবার লক্ষ্য ১১ কোটি

    মডেল এনডিএ সরকার

    শঙ্করাচার্যদের মধ্যে দক্ষিণ ভারতের কাঞ্চির এই জগতগুরু শঙ্করাচার্য (Kanchi Shankaracharya) শঙ্করা বিজয়েন্দ্র সরস্বতী স্বামীগল আরও বলেন, “করোনা অতিমারির সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা গভীর ভাবে অনুভব করেন। গরিব মানুষের জন্য গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা শুরু করেছিলেন, এটা খুব মানবিকতার প্রতীক। মোদির মাধ্যমে ঈশ্বর ভাল কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। দেশের অগ্রগতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি (Narendra Modi)। বিশ্বজুড়ে সুশাসনের মডেল হয়েছে কেন্দ্রের জাতীয়তাবাদী এনডিএ সরকার। এই মডেলকে যে কোনও দেশ অনুসরণ করতে পারে। সার্বিক ভাবে ভারত বিশ্বগুরুর আসনে অধিষ্ঠান হবে। দেশ বিকশিত ভারতের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand Assembly Election: ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে এনডিএ-র আসন রফা চূড়ান্ত, বিজেপি লড়বে ৬৮ আসনে

    Jharkhand Assembly Election: ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে এনডিএ-র আসন রফা চূড়ান্ত, বিজেপি লড়বে ৬৮ আসনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসনরফা চূড়ান্ত করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। শুক্রবার তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট ৮১টি আসনের মধ্যে সিংহভাগ কেন্দ্রেই লড়বেন বিজেপি প্রার্থীরা। ভোট যুদ্ধে সংগ্রামের জন্য বিজেপির আসন সংখ্য়া ৬৮। তবে, প্রাথমিকভাবে এদিন প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে দেওয়া হলেও তাতে প্রয়োজনে বদল আনা হতে পারে।

    কে কত আসনে লড়বে

    বিজেপির তরফে যে আসনরফা ঘোষণা করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আগের বারের তুলনায় এবার গেরুয়া শিবির ১১টি কম আসনে লড়বে। ৮১ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দেবে ৬৮টিতে। ১০টি আসন ছাড়া হচ্ছে জোট সঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অর্থাৎ আজসুর জন্য। বিহার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে বিহারের দুই জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং এলজেপি রামবিলাসকেও জায়গা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নীতীশ কুমারের দল লড়বে দুই আসনে। একটি আসনে লড়বে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (রামবিলাস)। গত মঙ্গলবারই ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই অনুসারে, দুই দফায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। আর, দ্বিতীয় দফার ভোট হবে আগামী ২০ নভেম্বর।

    আসন-রফা নিয়ে সহমত জোট শরিকেরা

    এদিন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা উপলক্ষে রাঁচিতে অবস্থিত রাজ্য বিজেপির সদর কার্যালয়ে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেই বৈঠকে বিজেপির পাশাপাশি আজসুর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আসন ভাগাভাগি নিয়ে সকলে সহমত হয়েছি। সেই অনুসারে, স্থির করা হয়েছে, আজসু ১০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জেডিইউ লড়াই করবে দু’টি আসন থেকে। আর এলজিপি প্রার্থী দেবে একটি আসনে। বাকি সবক’টি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা ভোটে লড়বেন।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অন্যতম হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর পাশেই ছিলেন আজসু প্রধান সুদেশ মাহাত। সেইসঙ্গে, ঝাড়খণ্ডে এনডিএ-র অন্য়ান্য শরিকদলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share