Tag: Nepal and Sri lanka nationals

  • Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাহায্যে আবার এগিয়ে এল ভারত। এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতি। ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel conflict) মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের জেরে, পশ্চিম এশিয়ায় আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে ভারত শুরু করেছে ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। এই উদ্ধার অভিযানে ভারত শুধু নিজ দেশের নাগরিকদের নয়, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরানের ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধে, ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের উদ্ধার কার্যক্রমে এই দুই দেশের নাগরিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের জন্য একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বরও প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস।

    জোর কদমে চলছে উদ্ধার অভিযান

    এদিকে ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর আওতায় তেহরানের সামরিক ও পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলার প্রেক্ষিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করে। শুরু হয় ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। ইতিমধ্যেই ৫১৭ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার মাশহাদ, ইরান থেকে বিশেষ বিমানযোগে ২৯০ জন ভারতীয় পড়ুয়া দিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপদে এসে পৌঁছান। দেশের মাটিতে পা রেখে ভারত ‘মাতা কি জয়’ স্লোগানে বিমানবন্দর চত্বর মুখরিত করলেন উদ্ধার হওয়া ভারতীয়রা। এদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপদে ফেরত আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবারগুলি।

    প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    তবে, শুধু ভারতের নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে দুই রাষ্ট্র নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ইরান থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। জানা গিয়েছে, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে ভারত সরকারের কাছে। এরপরেই ইরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

    ন্ধের বিমানে ফিরবেন আরও অনেকে

    ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে প্রথম বিমানটি শুক্রবার রাত ১১টায় দিল্লিতে অবতরণ করে। ওই বিমানে ছিলেন ২৯০ জন ভারতীয়। শনিবার সকালে আরও একটি বিমান নেমেছে দিল্লিতে। আজ সন্ধেয় আরও একটি বিমান দিল্লিতে নামার কথা। দিল্লি থেকে ওই নাগরিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাবেন সেই সেই রাজ্যের সরকার। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীকে আর্মেনিয়ার স্থলপথে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে দিল্লি আনা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জানিয়েছেন, আরও শিক্ষার্থীদের আর্মেনিয়ার মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান

    শুরুর দিকে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সমস্যা হচ্ছিল কারণ ইরানের আকাশসীমা বন্ধ ছিল। এবার ইরান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে। ফলে এরপর অনেক দ্রুত অবশিষ্ট ভারতীয়দের ফেরানো যাবে বলে আশাবাদী দিল্লি। ভারতে অবস্থিত ইরান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন মোহাম্মদ জাভেদ হোসেইনি বলেন, “আমরা ভারতীয়দের আমাদের নিজেদের লোক মনে করি। বর্তমানে ইরানের আকাশসীমা বন্ধ থাকলেও, এই বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আমরা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে যাওয়ার জন্য এটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।” যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে দেশে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে ভারতীয় পড়ুয়া এবং তীর্থযাত্রীরা। তড়িঘড়ি দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় পতাকা হাতে ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের

    নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি

    শনিবার ভোর ৩টেয় তুর্কমেনিস্তানের আশগাবাত থেকে আরেকটি বিমান দিল্লি পৌঁছায়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ৫১৭ জন ভারতীয় ‘অপারেশন সিন্ধু’র আওতায় দেশে ফিরেছেন। ভারতীয় দূতাবাস সোমবার একটি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ইরানে অবস্থানরত সমস্ত ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে চলতে, সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও দূতাবাসের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেও ইরান সরকার বিশেষ অনুমতি দিয়ে ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ সহজ করেছে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত। সরকারি নজরদারিও তুঙ্গে।

LinkedIn
Share