Tag: Nepal

Nepal

  • Déjà Vu: শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর এবার নেপাল, দুবাই পালানোর প্রস্তুতি অলির!

    Déjà Vu: শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর এবার নেপাল, দুবাই পালানোর প্রস্তুতি অলির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর এবার উত্তপ্ত ভারতের আরও এক পড়শি দেশ নেপাল (Déjà Vu)। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা অলি। আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নিহত হন ১৯জন তরুণ (Nepal)। আন্দোলনকারীদের রোষের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ডর বাড়ি। ভাঙচুর করা হয়েছে শের বাহাদুর দেউবার বাড়ি। পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁর তিন মন্ত্রীকে।

    দুবাই পালানোর প্রস্তুতি! (Déjà Vu)

    জানা গিয়েছে, চিকিৎসার নাম করে দেশ ছেড়ে দুবাই পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় এই দৃশ্য নতুন নয়। ২০২২ সালে এমন আন্দোলন শুরু হয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। তার ঠিক দুবছর পরে আন্দোলনকারীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। এই নাটকেরই তৃতীয় অঙ্ক শুরু হয়েছে নেপালে।

    প্রথমে আগুন জ্বলে শ্রীলঙ্কায়

    ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রথম বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করল শ্রীলঙ্কায়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তাঁকে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। তাঁর পুলে শ্রীলঙ্কাবাসীর সাঁতার কাটার ছবি এবং তাঁর রান্নাঘরে রান্না করার দৃশ্য বিশ্বজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। “আরাগালয়া” (সংগ্রাম) আন্দোলন শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া পরিস্থিতির মধ্যে একটি রাজনৈতিক রাজবংশের পতন ঘটিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে দুই নেতাকে।

    “বাংলা স্প্রিং”

    দুবছর পরে ২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশ তার নিজস্ব “বাংলা স্প্রিং”-এর সাক্ষী হল। প্রতিবাদের সূত্রপাত হয়েছিল একটি বিতর্কিত চাকরির কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন হিসেবে। দ্রুত তা দেশব্যাপী হিংসায় পরিণত হয়। ৫ অগাস্ট পতাকা হাতে প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দিয়ে চিৎকার করছিল, দখল নেওয়া ট্যাংকের ওপরে উঠে নাচছিল এবং শেষমেশ শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে ঢোকে। তার আগেই অবশ্য বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান তাঁর পদত্যাগ নিশ্চিত করেন। দেশের রাশ হাতে যায় অন্তর্বর্তী সরকারের। জানা গিয়েছে, হাসিনার হেলিকপ্টার আগরতলায় অবতরণ করে। কারণ নয়াদিল্লি তাঁকে জরুরি প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছিল। প্রতিবাদকারীরা তাঁর বাসভবন ভেঙে লুটপাট করে সমস্ত জিনিসপত্র। ঘটনাটিকে তারা “অবৈধভাবে নাগরিক হত্যা আদেশ জারি করার স্থান থেকে প্রাসাদ পুনঃঅধিকার” বলে অভিহিত করল। হিংসার মাত্রা ছিল আকাশ ছোঁওয়া। মাত্র এক রবিবারেই ৯১ জন নিহত হন। জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর অগাস্টের প্রথম দিকে অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয় (Nepal)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন হাসিনার ছেলে সাজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুরোধ করেন তাঁর মায়ের ১৫ বছরের সরকারের পতন রোধ করার জন্য। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “আপনাদের আমাদের মানুষ ও দেশকে নিরাপদ রাখতে হবে এবং সংবিধান রক্ষা করতে হবে।” যদিও সেনা ২০০৭ সালের মতো অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করে। সেবারের মতো এবারও বেছে নেয় জনতার পাশে দাঁড়ানোর পথ (Déjà Vu)।

    নেপালেও শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের প্রতিধ্বনি!

    ফেরা যাক ২০২৫ সালে। কাঠমাণ্ডুতে (নেপালের রাজধানী) এখন ঝংকৃত হচ্ছে কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) ও ঢাকার (বাংলাদেশের রাজধানী) সুর। প্রতিবাদকারীরা শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, কারফিউ ভেঙেছে। দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে উত্তাল করেছে দেশ। অলি, যাঁকে এক সময় অটল মনে করা হত, তিনিও এখন হাসিনা এবং রাজাপক্ষের মতো কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার এই তিন দেশেই আন্দোলনের সূত্রপাত মূলত এক। শ্রীলঙ্কায় এর সূচনা হয়েছিল অর্থনৈতিক দেউলিয়া থেকে, বাংলাদেশে তা ছিল বিতর্কিত চাকরি কোটা ব্যবস্থা, আর নেপালে সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা (Nepal)। এই তিনটি দেশের অশান্তিতে অভূতপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়েছিল। কলম্বোয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস আক্রমণ, ঢাকায় শেখ হাসিনার বাসভবনে লুটপাট, এবং ভক্তপুরে কেপি শর্মা ওলির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ (Déjà Vu)।

    তামাম বিশ্ব এগুলিকে গণতান্ত্রিক বিপ্লব আখ্যা দিচ্ছে। কিন্তু এই অঞ্চলের জন্য এগুলি আসলে অস্থিরতার একটি চক্র এবং বহিরাগত প্রভাবিত রূপান্তরের প্রতীক। তাই নেপালের সংকট কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খলার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ অধ্যায় মাত্র (Déjà Vu)।

  • Nepal: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল! গণবিক্ষোভে পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ওলির, ছাড়ছেন দেশ? জল্পনা

    Nepal: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল! গণবিক্ষোভে পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ওলির, ছাড়ছেন দেশ? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল। প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলেন নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবারই তিনি ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল মঙ্গলবার ওলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগের অনুরোধ জানান। এর পর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান তিনি। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওলি (KP Sharma Oli)। সেখানে তিনি লিখেছেন, “সমস্যার সহজ ও রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার স্বার্থে আমি পদত্যাগ করছি।”

    মনে করাল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার গণ-অভ্যুত্থান

    অনেকটা বাংলাদেশ বা তার আগে শ্রীলঙ্কা মডেলেই নেপালে ওলি সরকারের পতন হল। দুর্নীতি, বেকারত্ব নিয়ে, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুনটা ধিকিধিকি জ্বলছিলই। কর্মহীনতার অন্ধকার গ্রাস করছিল দেশটাকে, সেই সঙ্গে ক্রমাগত নিম্নগামী হচ্ছিল সাধারণ মানুষের অবস্থা। তার মধ্যেই, সোশাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তই ঘি ঢালে। তারপরই এই গণবিদ্রোহ বড় আকার ধারণ করে। সম্প্রতি নেপালের শেষ রাজা জ্ঞানেন্দ্র বিক্রম দেশে ফেরার পর থেকে তাঁকে ঘিরে উৎসাহ তৈরি হয়। ফের একবার নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি উঠতে শুরু করে। ফের নেপালকে হিনদু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন গড় উঠতে শুরু করে। কয়েক মাস আগেই রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কাঠমান্ডুতে। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয়েছিল সেনা। সেই বিক্ষোভের আগুনই জ্বলছিল ধিকিধিকি করে, যা ফের জ্বলে উঠল।

    ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকেই পালাতে পারেন ওলি

    এদিকে, সূত্রের দাবি, দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনাও করছেন ওলি। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই, যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়।দেশ ছাড়তে ওলি ত্রিভুবন বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সব উড়ান বাতিল হয়েছে। ওলি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩০০-র বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বিমানবন্দরে (Nepal)।

    মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা, রাস্তায় তাড়া করে পেটানো হল উপপ্রধানমন্ত্রীকে

    প্রধানমন্ত্রী ওলি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ললিতপুর জেলার খুমালতারে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ি। দেশের যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের সুনাকোঠী বাড়িও ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়ে। ওলি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও বিক্ষোভের আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি এবং ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে রাস্তায় তাড়া করে পেটালেন সেদেশের বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁর বাড়িও আক্রান্ত। মঙ্গলবার দুপুরে সেই ঘটনার অসংখ্য ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির দফতরেও চলে হামলা। ললিতপুরে যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনিই সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগের পর মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়িতেও আগুন ধরায় বিক্ষোভকারীরা।

    নেপালের সংসদ ভবনে আগুন, হামলা কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে

    বিক্ষোভকারীদের (Nepal) লাগানো আগুনে জ্বলে ওঠে নেপালের সংসদ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি ক্রমে আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে ওলি প্রথমে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন (KP Sharma Oli)। মঙ্গলবার সকালে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে সন্ধ্যায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খুঁজবেন। কিন্তু তীব্র বিক্ষোভের চাপে বৈঠক হওয়ার আগেই তাঁকে ইস্তফা দিতে হল। বিক্ষুব্ধ জনতা নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় দফতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভবন থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে দলের পতাকাও।

    নেপালের (Nepal) সুপ্রিম কোর্টে হামলা! কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

    কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা নেপালের সংসদে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর চালায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ও। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দর বন্ধ করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মন্ত্রীদের নিরাপদে সরাতে বাসভবনে হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে বলে খবর (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের ছড়ায় অস্থিরতা। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরানোর পাশাপাশি সনেপায় অবস্থিত নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

    ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি, বিবৃতি দিল দিল্লি

    নেপালের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে ভারতের পাঁচ সীমান্তবর্তী রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিহারের সাতটি জেলা—পশ্চিম ও পূর্ব চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল ও কিষাণগঞ্জে এসএসবি ও পুলিশ টহল বাড়িয়েছে। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই তল্লাশি চলছে। সীমান্তে যাতে অশান্তির প্রভাব না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিয়ে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নেপালের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। দিল্লির বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, নেপালে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সাবধান থাকতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

    বিদ্রোহের সূত্রপাত

    এই সংকটের সূত্রপাত হয় নেপাল সরকারের সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। বহুদিনের জমে থাকা অসন্তোষে ঘৃতাহুতি দেয় সেই পদক্ষেপ। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে ছাত্র-যুব সমাজ। সোমবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী কাঠমান্ডু। পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারান অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারী। এর পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়। চাপে পড়ে রাতেই সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওলির পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

  • Nepal Unrest: গণবিদ্রোহের জেরে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল ভারত, জারি হাই অ্যালার্ট

    Nepal Unrest: গণবিদ্রোহের জেরে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল ভারত, জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নেপালে (Nepal Unrest)। প্রবল চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বাংলাদেশ মডেলেই নেপালে ওলি সরকারের পতন হল। সংসদ ভবনে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। উপ প্রধানমন্ত্রী-সহ একের পর মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। মন্ত্রীদের সেনা হেলিকপ্টারে দ্রুত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্ধ বিমানবন্দর। বাতিল সমস্ত উড়ান। এই আবহে পড়শি দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল ভারত। মঙ্গলবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে নেপালে বসবাস করা ভারতীয়দের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    ভারতের সতর্কবার্তা

    নেপালকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী’ বলে উল্লেখ করে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান হবে বলে ভারত আশাবাদী। ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা নেপালের পরিস্থিতির উপর নিবিড় ভাবে নজর রেখেছি। বহু তরতাজা প্রাণের মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশে নয়াদিল্লির বার্তায় বলা হয়েছে, “কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডু এবং আরও কয়েকটি শহরে অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি করেছেন। নেপালে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং নেপাল প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে বলা হচ্ছে।”

    পানিট্যাঙ্কিতে সীমান্ত বন্ধ

    নেপালে হিংসায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ভারতীয় ট্রাকচালক। গুলিবিদ্ধ সেই ট্রাকচালক নেপালে ট্রাক ফেলে ভারতে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে পানিট্যাঙ্কিতে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে অশান্তির জেরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্তে কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে ওপারের অশান্তির জন্য। এদিকে পানিট্যাঙ্কিতেও দোকানপাট বন্ধ। এদিকে সীমান্তে সোমবার দুপুর থেকেই কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। পরিচয়পত্র পরীক্ষা ছাড়া সীমান্ত পারাপার কঠিন। এপাশে এসএসবি, ওপাশে নেপালি সেনা সতর্ক রয়েছে। রাজ্যের তরফেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জানানো হয়েছে, সামনে দুর্গা পুজো নেপালের পরিস্থিতি অস্থির থাকলে পর্যটনে বড় প্রভাব পড়বে, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

    ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া প্রহরা

    নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাঁচ রাজ্যেই সীমান্তে তৎপরতা বেড়েছে। বিহারের নেপাল সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় নজরদারি বাড়িয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং বিহার পুলিশ। পশ্চিম চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জে টহলদারি বেড়েছে। পাশাপাশি, আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও রাখা হচ্ছে কড়া নজর। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে সীমান্তে যৌথ টহলদারি শুরু করেছে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের  ‘হাই অ্যালার্ট’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’। ভারতের তরফে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বেশির ভাগ সীমান্তে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কিতেও থমথমে পরিবেশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে নাকাতল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে দিনে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ পারাপার করত, সেখানে এদিন যেন থমথমে পরিবেশ। হাতেগোনা দু-একটি গাড়ি পারাপার করছে। প্রত্যেক গাড়ির চালকের নাম, যাত্রীর নাম-সহ অন্যান্য তথ্যসংগ্রহ করছে পুলিশ। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড। সীমান্তের দু’পারেই আটকে রয়েছে শয়ে শয়ে ট্রাক। ভারতের প্রায় শতাধিক ট্রাক চালক নেপাল সীমান্তে আটকে রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা সচল কন্ট্রোল রুম

    নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য ২৪ ঘণ্টা সচল কন্ট্রোল রুমও চালু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। ওপার থেকে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে ভারতীয়দের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। আন্দোলনকারীদের চাপ, পুলিশের গোলাগুলি, লাঠিচার্জ, জলকামান এসব উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখে যতদ্রুত সম্ভব নেপাল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছেন সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়রা। মঙ্গলবার সকালে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের পরিস্থিতি যাচাই করেন দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তে নাকাতল্লাশি শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত এ পারে কোনও অশান্তি নেই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি৷ নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’ এসএসবি-র মুখপাত্র ডিসি অমিত কুশওয়াহা বলেন, ‘‘আপাতত সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগের কিছু নেই। এসএসবি সর্বক্ষণ সজাগ রয়েছে এবং নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আমরা আশা করি, শীঘ্রই সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’’ নেপাল যে যুবদের আন্দোলনে জ্বলছে, তা সীমান্ত থেকেই স্পষ্ট। নেপালের বিরতামোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। যে কারণে কোনরকম ঝুঁকি না-নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়েছে।

  • Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু-প্রধান রাষ্ট্র নেপাল—সেখানে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।
    শনিবার, নেপালের (Nepal News) জনকপুরধামে (Janakpurdham) গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। সেই সময়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণেশের মূর্তিটি একটি মুসলিম-প্রধান এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় কিছু মানুষ শোভাযাত্রা থামিয়ে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

    গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর নিক্ষেপ (Nepal News)

    এরপর মৌলবাদীরা গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর ছুড়লে পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
    নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়। নেপালের ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দুইজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

    থমথমে পরিবেশ মোতায়েন পুলিশ

    জানা যাচ্ছে, এর পরেও ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে প্রায় ২০০ জন নেপাল পুলিশ এবং অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার বাহাদুর সিং জানিয়েছেন, জনকপুরধাম (Janakpurdham) থেকে দেবপুরা এবং যাতাহি থেকে জনপ্রধান যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে (Nepal News) পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়, বিশেষ করে মূর্তি বিসর্জনের সময়, তখনই কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বছর গণেশ চতুর্থীর প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও সেই পুরনো চিত্রেরই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার কিছু জেহাদি মানসিকতার মানুষ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে থাকে।

  • Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকে পড়েছে তিন জইশ জঙ্গি (Jaish Terrorists)। গোয়েন্দাদের তরফে বিহার পুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক (High Alert) করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বিহার পুলিশ। ভারতে ঢুকে পড়া তিন পাক জঙ্গিকেই শনাক্ত করা গিয়েছে। এরা হল রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা হাসনাইন আলি, উমরকোটের বাসিন্দা আদিল হুসেন এবং বহওয়ালপুরের মহম্মদ উসমান।

    জইশ-ই-মহম্মদের ৩ জঙ্গি (Jaish Terrorists) 

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গিরা অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছয়। সম্প্রতি তারা ঢোকে ভারতে। তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযানও। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু দেখলেই যেন খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার পর থেকে আঁটসাঁট করা হয়েছে বিহারে ভারত-নেপাল সীমান্তের নিরাপত্তা।

    ভায়া নেপাল ভারতে ঢুকেছে পাক জঙ্গিরা!

    বিহারের দিকে ভারতের সঙ্গে নেপাল সীমান্তের প্রায় ৭২৯ কিলোমিটার উন্মুক্ত। তাই এই জায়গাগুলিই অনুপ্রবেশের হটস্পট হয়ে উঠেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, সহজেই সীমান্ত পারাপার হয় এই অঞ্চল দিয়ে। গোয়েন্দাদের অনুমান, সীমান্তবর্তী জেলাগুলির কোনও একটি হয়েই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করেছে বিহারে। চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, তার আগে বিহারে একটি বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। এই তিন জঙ্গিকেই গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। চলছে জেরাও। যদিও সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি তিন জঙ্গির গ্রেফতারির খবর। এই জঙ্গিদের (Jaish Terrorists) জেরা করে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, তাদের সঙ্গে আর কোনও জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে কিনা। নাশকতার ছকের এই জাল কতদূর বিস্তৃত, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, মাত্র তিন মাস আগেই ২০ দিনের মধ্যে বিহারে ঢুকেছিল ১৮ জন সন্দেহভাজন। তাদের (High Alert) মধ্যে একজনকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ (Jaish Terrorists)।

  • Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুকে এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে নেপাল থেকে ইজরায়েলে গিয়েছিলেন নেপালের হিন্দু তরুণ শিক্ষার্থী বিপিন জোশী (Bipin Joshi)। তিনি গিয়েছিলেন ইজরায়েলে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির তালিম নিতে। গত অক্টোবরে হামাস (Hamas) জঙ্গিরা হামলা চালায় কিবুটজে। হামাসের গুলি বর্ষণের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন ১৭ জন নেপালি হিন্দু ছাত্র। তাঁদের মধ্যে ১০জনকেই সেখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাকিরা প্রাণভিক্ষে করেছিলেন। সেই দলে ছিলেন বিপিনও। জঙ্গিরা তাঁকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল তাদের ডেরার। নভেম্বরে প্রকাশিত এক ভয়ঙ্কর ভিডিওতে দেখা যায়, অপহরণকারীরা গাজার শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বিপিনকে। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই নেপালি এই হিন্দু পড়ুয়ার।

    অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত (Bipin Joshi)

    বিপিনের মতো হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তামাম বিশ্ব। হলুদ ফিতে পরে জানিয়েছে সমবেদনা। অথচ বিপিন হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত। যখন ইহুদি শিল্পীরা মহাদেশজুড়ে বন্দিদের জন্য ক্যাম্পেন চালাচ্ছেন, তখন ভারতের শিল্পী, চলচ্চিত্র তারকা এবং তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীরা। এখানেই উঠেছে মোক্ষম প্রশ্নটি। বিপিন যদি ভারত কিংবা নেপালের একজন মুসলিম যুবক হতেন, তবে কি একই রকম প্রতিক্রিয়া হত? জেএনইউ থেকে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত কি মোমবাতি মিছিল হত না? গলা ফাটাতেন না মানবাধিকার কর্মীরা? এখন তাঁরা কোথায় গেলেন? কিন্তু বিপিন হিন্দু হওয়ায় তাঁকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই তথাকথিত এলিট শ্রেণির।

    বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়

    নয়াদিল্লির প্যালেস্তাইন দূতাবাসের সামনে কোনও প্রতিবাদ নেই, নেই কোনও আন্তর্জাতিক ক্ষোভও (Bipin Joshi)। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলতেন, “যে কোনও জায়গার অবিচার মানেই সর্বত্র অবিচার।” তবে একজন হিন্দু যখন ইসলামি জেহাদি সন্ত্রাসের শিকার হয়, তখন কেন এই সত্য প্রযোজ্য হয় না? বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়, এটা আমাদের সকলের সামনে ধরা একটি আয়না (Hamas)। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সনাতন ধর্ম অসংখ্য আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, তবুও আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা শত্রুর তলোয়ার নয়, বরং হিন্দুর হিরন্ময় নীরবতা। তাই একজোট হতে হবে হিন্দুদের। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে আওয়াজ তুলতে হবে ‘বিপিন জোশীকে (Bipin Joshi) মুক্তি দাও’।

  • Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই বিহারে ভোট (Bihar Election)। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষায় ধরা পড়ল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে, নেপাল, বাংলাদেশ, এমনকি মায়ানমারের বহু নাগরিক বর্তমানে বিহারে বসবাস করছেন এবং তাঁরা অবৈধভাবে নিজেদের নামে আধার কার্ড, স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র এবং রেশন কার্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরকারি আধিকারিকরা ব্লক ধরে ধরে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। এই সমীক্ষার মাধ্যমে বহু বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে এই অবৈধ ভোটারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত ও অভিযান চালানো হবে। যাচাই-বাছাই শেষে যাঁরা অবৈধ প্রমাণিত হবেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে

    বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের (Bihar Election) সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বহু বাংলাদেশি, নেপালি ও মায়ানমারের বাসিন্দা বেআইনিভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন।নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে এদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা।

    মোট ভোটার ৭ কোটি ৮০ লাখ (Bihar Election)

    ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ অভিযান, যা চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মোট ৭.৮ কোটি ভোটারের বৈধতা যাচাই করবে বলে জানানো হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য শুধুমাত্র আধার কার্ড বা রেশন কার্ড যথেষ্ট নয়। জন্ম সনদ বা সরকারি স্বীকৃত জন্ম-পরিচয়ের নথি দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর অর্থ, এবার আরও বেশি  কঠোর নির্বাচন কমিশন।

  • Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন (Terrorists), বিশেষত লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। এই মর্মে ভারতকে সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। নেপালি আধিকারিকদের সতর্কবার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নেপাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট আয়োজিত একটি সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতকে এই বার্তা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা সুনীল বাহাদুর থাপা।

    ভারত-নেপাল সীমান্ত (Terrorists)

    ভারতের সঙ্গে নেপালের স্থলসীমান্ত বিস্তৃত ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার। এটি একটি উন্মুক্ত সীমান্ত, ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে দুই দেশের নাগরিকরাই নিয়মিতভাবে চাকরি কিংবা অন্য কোনও কাজে নিত্য সীমান্ত পারাপার করেন। এই দুই দেশের মধ্যে একটি দৃঢ় সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে।  নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টার আশঙ্কা, এটাকেই কাজে লাগাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পরিচয় গোপন করে কিংবা ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে তারা।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গ্রেফতার

    ২০১৭ সালে সশস্ত্র সীমা বল পাক মদতপুষ্ট এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। নেপালের রুট ব্যবহার করেই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই সামরিক ও কৌশলগত সাফল্যের প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের সব সীমান্তেই সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে অনায়াসেই রোধ করা যায় কোনও অবৈধ কার্যকলাপ এবং সুরক্ষিত থাকে জাতীয় নিরাপত্তা (Terrorists)।

    মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও অস্থির শাসন ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিবেশও ভারতের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। এহেন আবহে এল নেপালি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সতর্কবার্তা। কাঠমাণ্ডুর ওই সেমিনারে নেপালের কর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত সার্ক-এর ঐক্য ও সমগ্র অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নেপালি কর্তাদের এহেন মন্তব্যে ফের একবার মান্যতা পেল ভারতের দাবি। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবারই দাবি করে আসছে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান (Terrorists)।

  • Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেন নেকের (Chicken Neck) খুব কাছেই ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল জেল পালানো খালিস্তানি জঙ্গি-নেতাকে। অপারেশন সিঁদুরের আবহেই নিরাপত্তা এজেন্সির জালে ধরা পড়ল কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর সিং গালওয়াদ্দি ওরফে বলবীর সিং। যার মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর শুরু হতেই বাড়তি তৎপরতা শুরু হয় উত্তরবঙ্গ করিডরে। নেপাল-পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন অমিত শাহ। গত সপ্তাহেই নেপাল-বিহার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে চার চিনা নাগরিককে গ্রেফতারের করা হয়। এবার গ্রেফতার করা হল এই কুখ্যাত জঙ্গিকে। নেপালে বসেই ভারত-বিরোধী নানা কাজ করত কাশ্মীর, এমনটাই জানা গিয়েছে। এনআইএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের লজিস্টিক সাপোর্ট এবং হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পাঞ্জাবের একটি জেল ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা কাশ্মীর বব্বর খালসা ইন্টার ন্যাশানাল ও রিন্দা নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাসীরা নেপাল সীমান্ত ব্যবহার করেই বারবার কেন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে! এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

    কেন অনুপ্রবেশের জন্য উত্তর-পূর্ব করিডর (Chicken Neck) বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বাংলা ও বিহারের বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে নেপাল সীমান্ত। সহজেই নেপালে আশ্রয় নিয়ে থাকা যায় এবং প্রয়োজনে বাংলা ও বিহারে আসা যায়। এই জায়গাটাই কাজে লাগাতে চায় সন্ত্রাসীরা। সেই উত্তর-পূর্বের এই এলাকাকে (Chicken Neck) বেছে নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে চিন-পাক যোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়েও ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেছেন, “অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এই অনুপ্রবেশকারীরাই সীমান্তে জঙ্গিকার্যকলাপে নিযুক্ত হয়। আমাদের কাছে এমনও তথ্য রয়েছে যে, সেটা পাকিস্তানি সেনাও হতে পারে, যারা আমাদের পোস্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।” ভারতের ডিজিএমও-র এমন মন্তব্যের ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কুখ্যাত জঙ্গি গ্রেফতার হল চিকেন নেকের (Chicken Neck) কাছ থেকে।

    ২০১৬ সালে জেল ভেঙে পালায় কাশ্মীর

    পাঞ্জাবের পাতিয়ালার নাভাতে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যত তাণ্ডব চালায় খালিস্তানপন্থীরা। ওই দিন সকাল ৯ টা নাগাদ ২৪ জন সশস্ত্র জঙ্গি পাতিয়ালার উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন নাভা জেলে হামলা করে। এরপর গার্ডদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। সেদিন মোট ৬ কুখ্যাত অপারেটিভ, গ্যাংস্টারকে জেল থেকে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, যে ৬ জন সেদিন জেল ভেঙে পালিয়েছিল তারমধ্যে ছিল কুখ্যাত খলিস্তানি কাশ্মীর সিংও। ঘটনার সাড়ে ৮ বছর পরে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হল।

    খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য কাশ্মীর সিং

    জানা গিয়েছে, খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য হল এই কাশ্মীর সিং। তাকে গত ৮ বছর ধরে খুঁজে চলেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংক্রান্ত ঘটনায় রয়েছে এই খলিস্তানির যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। বহুদিন ধরেই দেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির কাছে সে ছিল ওয়ান্টেড। উল্লেখ্য, গ্রেফতার করার পরে ফের তাকে নাভা জেলেই আনা হচ্ছে বলে খবর।

    নেপালে সক্রিয় বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল গ্যাং

    ২০১৬ সালে নাভা জেল ভাঙা কাণ্ডে মোট ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। এদের মধ্যে ২ জন ছিল অফিসার পদ মর্যাদার। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল রমনজিৎ সিং রোমিকে। কুখ্যাত রোমিকে ২০২৪ সালে হংকং থেকে প্রত্যর্পণ করা হয় । তাকেও নাভা জেলে রাখা হয়েছে। তবে প্রথমে তাকে অমৃতসরের জেলে রাখা হয়। এর মাঝেই ২০২৫ সালে এল কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতারির খবর। নাভার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মনদীপ কৌর কাশ্মীরের গ্রেফতারির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা যাচ্ছে, জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার (Khalistani Militant) পরেই বহু খলিস্তানি নেতার সঙ্গে সংযোগ করতে থাকে কাশ্মীর। তাদের মধ্যে অন্যতম হল বিদেশে থাকা বব্বর খালসা নেতা হরবিন্দর সিং সান্ধু ওরফে রিন্দা। এক্ষেত্রে বলা দরকার, বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল শিবিরের রিন্দা গ্যাং খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতা চালিয়ে থাকে।

    খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং

    এই গ্যাং বর্তমানে নেপালে খুবই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। এরকম গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতার হল। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ঘটনা এনআইএর কাছে বড় সাফল্য। খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং। এমন খবর গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছিলেন বলে খবর। পাঞ্জাবের গোয়েন্দা হেডকোয়ার্টারে হামলার ঘটনাতেও উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। এছাড়া ভারত বিরোধী নানা কাজে উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। ২০২২ সালে খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতার ষড়যন্ত্রেও উঠে আসে তার নাম (Khalistani Militant)। এবার ফের তাকে ফিরতে হচ্ছে নাভা জেলে।

  • Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal)। শুক্রবারই সেদেশে উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২ জনের। নেপালের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টে (Nepal Crackdowns) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবারের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নেপাল পুলিশ ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির সহ সভাপতি রবীন্দ্র মিশ্র, সাধারণ সম্পাদক ধাওয়াল সমশের রানা, স্বাগত নেপাল, শেফার্ড লিম্বু এবং সন্তোষ তামাংয়ের মতো নেতারা। জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুর বেশ কিছু অংশে বর্তমানে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার সন্দেহে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে (Nepal) জরিমানা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গৃহবন্দী আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদী

    ওই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদীকে বর্তমানে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এরপাশাপাশি নেপালের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দুর্গা প্রসাইক নামের এক নেতাকে খুঁজছেন। এনিয়ে নেপালের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী কাঠমান্ডু পোস্টকে (Nepal) জানিয়েছেন জানিয়েছে, দুর্গা প্রসাইকের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে এবং তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

LinkedIn
Share