Tag: Nepali

Nepali

  • Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু-প্রধান রাষ্ট্র নেপাল—সেখানে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।
    শনিবার, নেপালের (Nepal News) জনকপুরধামে (Janakpurdham) গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। সেই সময়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণেশের মূর্তিটি একটি মুসলিম-প্রধান এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় কিছু মানুষ শোভাযাত্রা থামিয়ে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

    গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর নিক্ষেপ (Nepal News)

    এরপর মৌলবাদীরা গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর ছুড়লে পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
    নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়। নেপালের ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দুইজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

    থমথমে পরিবেশ মোতায়েন পুলিশ

    জানা যাচ্ছে, এর পরেও ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে প্রায় ২০০ জন নেপাল পুলিশ এবং অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার বাহাদুর সিং জানিয়েছেন, জনকপুরধাম (Janakpurdham) থেকে দেবপুরা এবং যাতাহি থেকে জনপ্রধান যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে (Nepal News) পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়, বিশেষ করে মূর্তি বিসর্জনের সময়, তখনই কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বছর গণেশ চতুর্থীর প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও সেই পুরনো চিত্রেরই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার কিছু জেহাদি মানসিকতার মানুষ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে থাকে।

  • Agnipath Scheme: নেপালি এবং গোর্খাদেরও সেনায় নিয়োগ করা হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে

    Agnipath Scheme: নেপালি এবং গোর্খাদেরও সেনায় নিয়োগ করা হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) সাতটি গোর্খা রেজিমেন্টে (Gorkha regiment) নেপালিদের (Nepali) এবং গোর্খাদের অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের ভারতীয় সৈন্যদের নিয়োগের শর্ত এখানেও মানা হবে। অন্যান্যদের মতো নেপালিদেরও চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে, যার পরে ২৫ শতাংশ সেনাকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য রাখা হবে। নিয়োগের তারিখ নির্ধারণের জন্য ভারতীয়, নেপাল ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা চলছে। নেপাল থেকে গোর্খাদের নিয়োগ পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে অবস্থিত দুটি গোর্খা রিক্রুটমেন্ট ডিপো (GRD)-এর মাধ্যমে হবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা  
     
    ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের ৪৩ ব্যাটালিয়নে নেপালের আবাসিক এবং ভারতের সৈন্য রয়েছে। এই রেজিমেন্টে ৬০% নেপালিদের নেওয়া হয়, বাকি ভারতীয়দের নেওয়া হয়ে থাকে। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, দার্জিলিং, আসাম এবং মেঘালয় থেকে গোর্খাদের নিয়োগ করা হয় এই রেজিমেন্টে। ভারতীয় গোর্খাদের নিয়োগ এই রাজ্যগুলিতে অবস্থিত আর্মি রিক্রুটমেন্ট অফিসের (ARO) মাধ্যমে করা হয়।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    ভারত, নেপাল এবং ব্রিটেনের সেনাবাহিনী প্রথমে নিয়োগ সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করে। এই বিশেষ দিনে, তিনটি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা নেপালের একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি লিখিত এবং শারীরিক পরীক্ষা পরিচালনা করে। এক সূত্র জানিয়েছে, “ধরা যাক, ১০০ জন প্রার্থী সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন এবং ব্রিটিশরা ২০, ভারত ৪০ এবং নেপাল সেনা ৫০ চায়। শীর্ষ ২০ জন নিয়োগপ্রাপ্তদের ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের পছন্দ দেওয়া হয়। এদের বেতন এবং ভাতা সর্বোচ্চ। পরবর্তী লট ভারত নেয় ভারত। ভারত নেপাল সেনাবাহিনীর ২.৫ গুণ বেতন ও ভাতা দেয়। ভারতীয়-আবাসিক গোর্খাদের নিয়োগের সময় সেনাবাহিনীকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। নেপাল থেকে গোর্খা রেজিমেন্টে যথেচ্ছ নিয়োগ হয়। একবার নেপালি সৈন্যরা ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করলে, থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলি তাদের পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার জন্য অবসরপ্রাপ্তদের নিযুক্ত করে। যারা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং পরিষেবা দিয়েছে তাঁদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সমস্যা হয় ভারতীয়-আবাসিক গোর্খাদের নিয়ে। সম্প্রতি ভারতীয়দের জন্য সংরক্ষিত ৪০ শতাংশের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের ঘাটতি লক্ষ্য করেছে সেনাবাহিনী। এই ঘাটতি পূরণের জন্যে সেনাবাহিনীতে কুমাওনি এবং গাদওয়ালীদের নিয়োগ শুরু হয়েছে। যদিও এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। সেনাবাহিনীর ধারনা, যখন গোর্খারা দেখবে তাদের কোটা অন্যদের কাছে যাচ্ছে তাহলে গোর্খারা সেনায় যোগদানের বিষয়ে আরও আগ্রহী হবে।     

     

LinkedIn
Share