Tag: new Guinness World Record

  • Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) ‘প্রজেক্ট হিমাংক’ আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করল। বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guinness World Record) ভেঙে তৈরি করেছে এই ইতিহাস (Ladakh)। সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী, লেহ জেলার লিকারু-মিগ লা-ফুকচে সড়কপথে ১৯ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মিগ লা পাসে সফলভাবে পৌঁছেছে বিআরওর দল, যা এর আগে উমলিং লা-এ থাকা ১৯ হাজার ০২৪ ফুটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    মিগ লা পাসে উড়ল তিরঙ্গা (Ladakh)

    উল্লেখ্য, স্থানীয় লাদাখি ভাষায় ‘লা’ শব্দের অর্থ ‘পাহাড়ি গিরিপথ’। লাদাখের প্রেক্ষাপটে “লা” শব্দটি তিব্বতি ভাষা থেকে এসেছে, যা স্থানীয় লাদাখিদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। “লাদাখ” নামটিও এসেছে এই “লা” (গিরিপথ) এবং “দাখ” (দেশ বা ভূমি)-এর সংমিশ্রণ থেকে, যার অর্থ দাঁড়ায় “উচ্চ গিরিপথের দেশ”। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের খবর এল বুধবার, যখন প্রজেক্ট হিমাংকের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার বিশাল শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বিআরও দল মিগ লা পাসে পৌঁছে জাতীয় পতাকা এবং বিআরওর পতাকা উত্তোলন করেন।

    কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    লিকারু থেকে মিগ লা পাস হয়ে ফুকচে গ্রাম পর্যন্ত এই সংযোগ কৌশলগত ও পরিকাঠামোগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হানলে সেক্টর থেকে ইন্দো-চিন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত ফুকচে সীমান্ত গ্রাম পর্যন্ত তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ হিসেবে কাজ করবে (Ladakh)। উল্লেখ্য, হানলে এমন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার যেখানে নানান বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছুদিন আগে এটি পরিদর্শন করেছিলেন।

    বিআরও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতগিরিপথগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিকে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ মোটরচালিত গিরিপথের মধ্যে ১১টিই তাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    কৌশলগত গুরুত্বের বাইরে মিগ লা গিরিপথ লাদাখের পর্যটনে বড় ধরনের উন্নতি সাধন করবে বলেই আশা কর্তৃপক্ষের। বিআরও জানিয়েছে, সিন্ধু উপত্যকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট ও পাস পর্যন্ত রোমাঞ্চকর যাত্রা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও এই পথ ভ্রমণকারীদের জন্য ভয়াবহ (Guinness World Record) চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করে। এটি একইসঙ্গে অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দুঃসাহসিক অভিযানের অভিজ্ঞতা দেয় (Ladakh)।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মহা শিবরাত্রি পর্যন্ত ৬০ কোটি মানুষ এখানে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করবেন বলে অনুমান উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। ঢেলে সাজানো হয়েছে কুম্ভ মেলার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে ঘন ঘন মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন করেছেন যোগী সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ১৪৪ বছর পরে সম্পন্ন হওয়া মহাকুম্ভ প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। যেমন গত সোমবারে মহাকুম্ভ স্পর্শ করে এক নয়া রেকর্ড। সোমবার, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে মহাকুম্ভস্থল পরিষ্কার করতে মাঠে নামেন। আর এই ইভেন্টই নাম তুলে ফেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। জানা গিয়েছে এর আগে এক সঙ্গে এত সাফাই কর্মীর স্বচ্ছ অভিযানের রেকর্ড (Guinness World Record) ছিল কুম্ভমেলারই। ২০১৯ সালে যে অর্ধ কুম্ভ হয়েছিল, তখন একসঙ্গে ১০ হাজার সাফাই কর্মী স্বচ্ছতা অভিযানে নামেন।

    লন্ডন থেকে এসেছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তারা

    এ নিয়ে প্রয়াগরাজের মেয়র গণেশ কেসারওয়ানি, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আকাঙ্খা রানা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে লন্ডন থেকে পাঠানো হয় ঋষি নাথকে এবং তিনি এই মহাকুম্ভের ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর একসঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানকে খতিয়ে দেখেন।

    চারটি জায়গায় হয় স্বচ্ছতা অভিযান (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, স্বচ্ছ মহাকুম্ভ অভিযান যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বড় পদক্ষেপ। এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা অভিযান হিসেবে উঠে এল। এই স্বচ্ছতা অভিযানে (Mahakumbh) সাফাই কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদেরকে নির্দেশ দিতে দেখা যায় গঙ্গা সেবা দূত এবং সেক্টর এর দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের। সাফাই কর্মীদের এই স্বচ্ছতা অভিযান চলে মহাকুম্ভের দুই নম্বর সেক্টরের হেলিপ্যাডে, সালোরি নাগবাসুকি ক্ষেত্র, আড়াইল এবং ঝুন্সি ক্ষেত্রে।

    কী জানালেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী

    এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের শহর পরিকল্পনা ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী একে শর্মা জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্টে। এই এত বড় কর্মযজ্ঞের পিছনে আসল হিরো হলেন সাফাই কর্মীরা। তাঁরাই এবার সফল হলেন গিনেস ওয়ার্ল্ডে নাম তুলে।

LinkedIn
Share