Tag: new income tax bill

  • New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। আয়কর আইন ১৯৬১-এর বদলে আনা হচ্ছে এই বিল (New Income Tax Bill)। ভারতের কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ করাই এর লক্ষ্য। নয়া বিলটি আইনি ভাষাকেও সহজ করবে যাতে করদাতারা সহজে বুঝতে পারেন বিধানগুলি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া আইনটি বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে। এর প্রধান লক্ষ্য হল মামলার সংখ্যা কমানো। বিলটিকে যাতে করদাতা-বান্ধব করে তোলা যায়, তাই বিলটিতে কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে কর জরিমানার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (New Income Tax Bill)

    ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই বিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “১৯৬১ সালের আয়কর আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সংশোধিত আয়কর আইনটি সরল, স্পষ্ট ও সহজে বোধগম্য হবে।” ২০২১-২৬ অর্থবর্ষ থেকে নয়া কর কাঠামো লাগু হবে। আয়করদাতারা এই সিস্টেমের আওতায় আসবেন ২০২৬-’২৭ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারে। এবারের বাজেটে বার্ষিক আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা এক লাফে পাঁচ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১২ লাখ টাকা করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ, কারও আয়কর এক লাখ টাকার মধ্যে হলে এক পয়সাও আয়কর দিতে হবে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই চাঙা হবে অর্থনীতি (New Income Tax Bill)।

    নয়া বিলের সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া বিলের সুবিধাগুলি –

    নতুন করের প্রয়োজন নেই: বিলটিতে কোনও নতুন কর প্রবর্তন করা হবে না। তবে চালু কর আইন সরলীকরণের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    সরলীকৃত ভাষা: আইনি ভাষা আরও সহজলভ্য করা হবে। এতে করদাতারা জটিলতা ছাড়াই বিধানগুলি বুঝতে পারবেন।

    সংক্ষিপ্ত আইন: অপ্রয়োজনীয় বিধান বাদ দিয়ে এবং অস্পষ্টতা হ্রাস করে নতুন আইনটি বিদ্যমান আইনের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কম শাস্তি: কর ব্যবস্থাকে আরও করদাতা-বান্ধব করে তুলতে কিছু অপরাধের জন্য কম শাস্তি প্রবর্তনের বিধান থাকতে পারে।

    মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস: অপব্যবহার-বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তগুলি স্পষ্ট করে এবং পুরানো ধারাগুলি অপসারণ করে। নতুন বিলের লক্ষ্যই হল কর বিরোধ হ্রাস করা।

    নয়া আয়করের স্ল্যাব

    নয়া আয়কর স্ল্যাবটা একবার দেখে নেওয়া যাক।

    বার্ষিক ৪ লাখ পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না।

    ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ৫ শতাংশ। ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১০ শতাংশ, ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১৬ লাখ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ, ২৪ লাখের ওপর হলে ৩০ শতাংশ।

    প্রত্যাশিত সংস্কার

    নয়া কর বিলে প্রত্যাশিত যে সব সংস্কার করা হয়েছে, সেগুলি হল –

    একীভূত কর ব্যবস্থা: বর্তমানে, ব্যক্তি, এইচইউএফ, এওপি, বিওআই এবং কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর ব্যবস্থা প্রযোজ্য। নয়া বিলটি এগুলিকে একটি একক কর কাঠামোর মধ্যে প্রবাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কমবে সম্মতির বোঝা। নিশ্চিত করবে কর নিশ্চিতকরণ।

    উইথহোল্ডিং ট্যাক্স রেশেনালাইজেশন: ব্যবসা ও ব্যক্তিদের জন্য সম্মতি সহজ করার জন্য একটি সরলীকৃত কর উইথহোল্ডিং কাঠামো চালু করা যেতে পারে (Union Cabinet)।

    ব্যবসা করা হবে সহজ: নতুন আইনে প্রকৃত লেনদেনের অপ্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই রোধ করতে অপব্যবহার বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রম নির্দিষ্ট করা যেতে পারে (New Income Tax Bill)।

    অপ্রয়োজনীয় বিধান বাতিল: কর আইনকে আরও সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ঠ করতে পুরানো এবং যেসব ধারা প্রয়োগ করা হয় না, সেগুলি অপসারণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, নয়া কর ব্যবস্থা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এটি ২০২৬-২৭ মূল্যায়ন বছর থেকে করদাতাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    এই আপডেটগুলির মাধ্যমে, সরকার আরও স্বচ্ছ এবং দক্ষ কর ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিরোধ হ্রাস পাবে, তেমনি ব্যবসা এবং ব্যক্তি উভয়ের সম্মতির সহজতা উন্নত করবে (New Income Tax Bill)।

    প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে ২২টি বিশেষ সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। আয়কর আইন পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে আয়কর বিভাগ সাড়ে ৬ হাজারটি পরামর্শ পেয়েছে (Union Cabinet)।

  • Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় এবার বড়সড় সংস্কার আনতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। আজ শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কারের কথা স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, নতুন আয়কর বিল তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড (New Income Tax Bill) আগামী সপ্তাহে সংসদে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, নতুন এই কর আইনটি আয়কর সংক্রান্ত জটিলতা একেবারেই কমাতে সক্ষম হবে। এর পাশাপাশি, দেশের বিপুল সংখ্যক করদাতাদের জন্য এটি আরও সহজবোধ্য হবে। পাশাপাশি, নয়া এই আইনের লক্ষ্য হতে চলেছে কর সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা হ্রাস করা। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ক আইনের কিছু অস্পষ্টতা দূর করাও এই সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য বলেই মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

    কেন প্রয়োজন নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধি (Budget 2025)?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আমাদের দেশে ১৯৬১ সালের আয়কর আইন কার্যকর রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কর দেন দেশের নাগরিকরা। জানা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংশোধনের মাধ্যমে অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে এই আইনটি (Budget 2025)। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এই আইনে ২৩টি অধ্যায় ও ২৯৮টি ধারা রয়েছে, যা সাধারণ করদাতাদের জন্য বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে, নতুন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে আয়কর আইনের পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ কমানো হবে। এছাড়া, নয়া আয়কর আইন আনার উদ্দেশ্য হল দেশের কর ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল উপযোগী করে তোলা। নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি ঠিক কী কী। সেই নিয়েই আমাদের আলোচনা।

    নয়া বিধির মূল বৈশিষ্ট্য (Budget 2025)

    ১. আয়কর কাঠামো সরল করা

    বর্তমানে আয়কর ব্যবস্থায় (Budget 2025) দুই ধরনের কর ব্যবস্থা চালু রয়েছে (পুরনো কর ব্যবস্থা ও নতুন কর ব্যবস্থা) রয়েছে। তবে নতুন বিধি চালু হলে দুটি বিকল্প ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে দেশের সব নাগরিকদের করদাতাদের জন্য একটি অভিন্ন কর কাঠামো কার্যকর হবে।

    ২. অর্থবর্ষ ও হিসাববর্ষের বিভ্রান্তি দূর করা

    বর্তমান ব্যবস্থায় আর্থিক বছর (FY) এবং হিসাব বর্ষ (AY) রয়েছে। এটা নিয়ে অনেক করদাতাই বিভ্রান্ত হয়ে যান। নতুন প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় খুব সম্ভবত এই আলাদা আলাদা বছরের ব্যাখা বিলুপ্ত করা হবে, এরফলে কর প্রদানের সময়ে করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

    ৩. করের হার সংক্রান্ত পরিবর্তন (Budget 2025)

    নতুন বিধি অনুযায়ী, উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে করের হার কমানোও হতে পারে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে? সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি হল—

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে (বর্তমানে ৩০ শতাংশ + সারচার্জ রয়েছে)।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম (যা বর্তমানে করদাতার আয়ের সঙ্গে যোগ করে স্ল্যাব অনুযায়ী কর নির্ধারণ করা হয়) ১৫ শতাংশ নির্দিষ্ট হার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে

    ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের জন্য পৃথক মূলধনী লাভ কর (Capital Gains Tax) কাঠামো বাতিল করে অভিন্ন করহার চালু করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪. বিমা নীতির আয়ের ওপর বসতে পারে কর

    বর্তমানে এলআইসি-র মতো জীবন বিমা একেবারে আয় করমুক্ত। তবে নতুন বিধিতে এই আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে কর বসানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৫. কর নিরীক্ষার দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে

    বর্তমানে কর নিরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে (Tax Audit) শুধুমাত্র চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টরাই (CA) করতে পারেন। তবে নতুন আইনে কোম্পানি সেক্রেটারি (CS) এবং কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (CMA) জন্যও কর নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সরকার কীভাবে নতুন আইন তৈরি করছে?

    জানা গিয়েছে, এই আইন প্রণয়নের আগে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটির অধীনে ছিল ২২টি সাব-কমিটি। এরাই বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করেছে। এছাড়া, গত বছরের অক্টোবর মাসে এবিষয়ে সরকার সাধারণ জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতও আহ্বান করে। জানা গিয়েছে, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে ৭,০০০টির বেশি পরামর্শ জমা পড়ে।

    নতুন আয়কর আইন: কী প্রভাব ফেলবে?

    সাধারণ করদাতাদের জন্য সহজতর হতে চলেছে কর ব্যবস্থা

    কর দাখিলের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সরল হবে

    ব্যবসা ও করপোরেট সংস্থাগুলোর জন্য কম জটিলতা

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে করের বোঝা বাড়তে পারে

    এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়িত হলে ভারতের আয়কর ব্যবস্থায় বৃহৎ পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এরফলে, করদাতাদের অভিজ্ঞতা সহজ করবে ও আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।

LinkedIn
Share