Tag: news in bengali

news in bengali

  • Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে নয় কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এমনই দাবি করলেন।। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র তৃণমূলকে তালিবানি মানসিকতার বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের মারার ঘটনার প্রসঙ্গে রাজ্যের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

    কেন গিয়েছিলেন মমতা?

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতে, লোক দেখাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক মিনিটের কম সময় থাকেন। আর বাইরে বেরিয়ে এসেই ভিডিও শুট করে বলেন, কেবল কানের নীচে একটু চোট লেগেছে। আসলে চোখের নীচের কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বেই হাড় ভেঙেছে, চোখটা নষ্ট হয়ে যেতে পারত।” শেহজাদ বলেন, “আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘৃণ্যভাবে মারা হয়েছে। ওনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। ওনার পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক, চোখটা নষ্ট হতে বসেছিল। কোনওভাবে রক্ষা করা গিয়েছে। আইসিইউ তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মুখে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আরেকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা

    পুরো হামলার নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলে আরও একবার অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ। তিনি বলেন, “গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা। উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা হল। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তালিবানি সংস্কৃতি পালন করছে। শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষও বলেছেন, কীভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত হামলা ছিল। কেন্দ্রীয় জওয়ানরাও রক্ষা পাননি।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এমন দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেন। একই দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই হামলার পিছনে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিরা জড়িত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

    এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্তরা

    বর্তমানে শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খগেন। ওষুধের ও বিশ্রামের মাধ্যমে আপাতত তাঁর চোখের নীচের হাড় জোড়ার চেষ্টা চলছে। চার সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি তাতে উন্নতি না হয়, তাহলে অপারেশন করে পাত বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে দিল্লির এইমসেও নিয়ে যাওয়ার হতে পারে খগেনকে। ইতিমধ্যেই ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। কিন্তু ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

  • Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনা দিবসে বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

    বুধবার সকালে সমাজ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত বিমান যোদ্ধা, প্রবীণ সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এক্স মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। আমাদের বিমান যোদ্ধারা আমাদের আকাশ রক্ষা করে ও দুর্যোগ এবং মানবিক অভিযানের সময় অক্লান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবা করে। আমাদের বায়ুসেনা শক্তি এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি দিয়ে দেশকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতের সমস্ত প্রচেষ্টায় সাফল্যের জন্য আমি ভারতীয় বায়ুসেনাকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।”

    শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর…

    এক্স পোস্টে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত সাহসী বিমান যোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় বায়ুসেনা সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক। বায়ুসেনা ভারতের আকাশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাঁদের প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং অদম্য মনোবল প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করে।”

    এদিন গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বুধবার অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় বায়ুসেনার ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএস, স্থলবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানরা। ঐতিহ্যবাহী বিমানগুলির দুর্দান্ত আকাশ প্রদর্শন এবং তিন বাহিনীর মার্চপাস্ট মন কেড়েছে উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা আজ প্রযুক্তি, দক্ষতা ও সক্ষমতার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। আমি গর্বিত যে এমন এক বাহিনীর অংশ, যা কেবল আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত নয়, সাহস ও সমর্পণেও অতুলনীয়।” তিনি স্মরণ করান ১৯৪৮, ১৯৭১, ১৯৯৯-এর যুদ্ধ থেকে শুরু করে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ও সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর মতো অভিযানে বায়ুসেনার অনন্য ভূমিকার কথা। তিনি বলেন, “আমাদের বীর সেনারা প্রতি ক্ষেত্রেই ইতিহাস তৈরি করেছেন। ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা এবং সম্মানের নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে।”

    এয়ার চিফ মার্শাল সিং জানান, ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এ ভারতীয় বায়ুসেনার সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ দেশের কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি বলেন, “এই অভিযান প্রমাণ করেছে যে নিবিড় প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে কত বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।” বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “নিয়মিত প্রশিক্ষণই আমাদের সক্ষম রাখে। প্রতিটি বায়ুযোদ্ধাকে অঙ্গীকার করতে হবে—পরিস্থিতি যাই হোক, আমি দুর্বল হব না, এবং আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।” ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সতর্কতা ও অবিরাম অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি।”

  • Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় (Nagrakata Case) বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির এক সাংসদ ও বিধায়ক। তার পর কেটে গিয়েছে আস্ত দুটো দিন। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকেই। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ‘স্নেহচ্ছায়া’য় বেড়ে চলায় পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। সেই কারণেই এবার পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শিলিগুড়িতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

    সুকান্তর হুঁশিয়ারি (Sukanta Majumder)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদেও থেকেছেন। শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক। এঁরা ছাড়াও সেদিন যাঁরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেও অভিযোগ সুকান্তর। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, “খগেন মুর্মুর মুখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। কথা বলতে পারবেন না চার সপ্তাহ। যারা ওঁকে আক্রমণ করেছিল, তারা প্রকাশ্যে বলেছে, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজে আমায় এ কথা বলেছেন। এখানে বিজেপি কেন আসবে, তা-ই নিয়ে ঝামেলা। আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যাদের নাম ও ছবি দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বিজেপির মতো করেই ট্রিটমেন্ট করবে।”

    দুষ্কৃতীদের পোস্টার টাঙানো হবে

    সুকান্ত বলেন, “এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হবে, আর কেউ গ্রেফতার হবে না! এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, নয়তো পাল্টা মারব আমরা।” তিনি বলেন, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের পোস্টার বড় বড় করে টাঙানো হবে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ির রাস্তায় রাস্তায়। আমাদের ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। আমরা চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকাতে পারি। পাঁচ হাজার লোক দিয়ে ঘেরাও-ও করতে পারি। কিন্তু আমরা এসব করি না (Nagrakata Case)।” ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের দায় চাপানো হয় বিজেপির ঘাড়ে। এদিন সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন সুকান্ত। বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল আছে নাকি? কংগ্রেস থেকে কয়েকজন টিকিট না পেয়ে তৃণমূল সেজে রয়েছে। আমরা কোথাও দলীয় অফিস ভাঙচুর করি না। এটা আমাদের স্বভাব নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে কী হবে? ওখানে ওদের তো কেউ নেই।”

    নিশানা মমতাকেও

    জখম সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন (Sukanta Majumder) তাঁকেও নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে নাটক করছেন, উনি এখানে থাকা সত্ত্বেও এমন হবে কেন? আদিবাসী সমাজের মানুষকে এমন আক্রমণ করা হবে কেন?” সুকান্ত বলেন, “৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ক্যামেরায় হামলাকারীদের মুখও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী করছে তারা?” মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “এমন পুলিশমন্ত্রী থাকার চেয়ে তাঁকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হয়!” এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে।”

    ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    এদিকে, মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Nagrakata Case) খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন (Sukanta Majumder) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ছাব্বিশে এই রক্তের বদলা হবে সুদ সমেত। উশুল করবে বাংলা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা হবে। জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। স্পিকারের কল আসবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, খগেন মুর্মুকে দেখতে এলেও, আর এক আহত বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, খগেন মুর্মুর চোট প্রসঙ্গে মিথ্যেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর বক্তব্য, “বিজেপি সাংসদকে দেখতে এসে মমতা জিজ্ঞেস করেছেন, লাগল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল, মারল কীভাবে, মারলই বা কারা?” তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক (Nagrakata Case)।”

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই (Sukanta Majumder) এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যকে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে হবে, তা না হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

  • Amit Shah: ‘মাওবাদীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নেই’, সাফ জানালেন শাহ

    Amit Shah: ‘মাওবাদীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নেই’, সাফ জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের (Maoists) সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নাকচ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করে সরকারের আকর্ষণীয় আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি গ্রহণ করতে হবে। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার সদর জগদলপুরে অনুষ্ঠিত ‘বস্তার দুর্গা উৎসব’ ও ‘স্বদেশি মেলা’য় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “৩১ মার্চ, ২০২৬-কে মাওবাদী সমস্যার অবসানের সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।”

    কী বললেন অমিত শাহ? (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “আমি আমার সমস্ত আদিবাসী ভাই-বোনেদের বলতে চাই, আপনারা আপনাদের গ্রামের তরুণদের বোঝান যেন তারা অস্ত্র ত্যাগ করে। তারা যেন হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূলধারায় ফিরে আসে এবং বস্তার অঞ্চলের উন্নয়নের অংশীদার হয়।” মাওবাদীদের সতর্ক করে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাওবাদীরা যদি বস্তারে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তবে তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে সিআরপিএফ ও ছত্তিশগড়ের পুলিশের মতো নিরাপত্তা বাহিনী।” তিনি জানান, তিনি এখানে মা দন্তেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং প্রার্থনা করেছেন যাতে নিরাপত্তা বাহিনী আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে পুরো বস্তার অঞ্চলকে লাল সন্ত্রাস মুক্ত করার শক্তি অর্জন করে।

    অস্ত্র নামিয়ে রাখুন

    উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ছত্তিশগড়ে মাওবাদবিরোধী অভিযান জোরদার হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী একাধিক অভিযানে ৪৫০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে হত্যা করেছে, যার বেশিরভাগই ঘটেছে বস্তার অঞ্চলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কিছু মানুষ মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ছত্তিশগড় ও কেন্দ্র – উভয় সরকারই বস্তার ও মাও-প্রভাবিত সমস্ত অঞ্চলের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোচনার মতো কী আছে? আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসনের জন্য আকর্ষণীয় একটি নীতি চালু করা হয়েছে। সামনে আসুন এবং আপনারা অস্ত্র নামিয়ে রাখুন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে

    তিনি আরও (Amit Shah) বলেন, “দিল্লির কিছু মানুষ বহু বছর ধরে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন যে মাওবাদ জন্মেছিল উন্নয়নের জন্য লড়াই হিসেবে। কিন্তু আমি আমার আদিবাসী ভাইদের বলতে এসেছি গোটা বস্তারকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এর মূল কারণই হল নকশালবাদ।” শাহ বলেন, “আজ ভারতে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, রাস্তা, ঘরে ঘরে শৌচাগার, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা এবং ৫ কেজি করে বিনামূল্যের চাল দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে, কিন্তু বস্তার এমন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে (Amit Shah)।”

    তিনি বলেন, “ছত্তিশগড় সরকার দেশের মধ্যে সর্বোত্তম আত্মসমর্পণ নীতি প্রণয়ন করেছে। এক মাসের মধ্যেই ৫০০ জনের বেশি আত্মসমর্পণ করেছে। সবারই আত্মসমর্পণ করা উচিত। একটি গ্রাম মাওবাদ মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকার সেই গ্রামকে উন্নয়নের জন্য ১ কোটি টাকা দেবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার গত ১০ বছরে ছত্তিশগড়কে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর পর মাওবাদ আপনার এলাকার উন্নয়নকে আর থামাতে পারবে না। তারা আপনাদের অধিকারও (Maoists) কেড়ে নিতে পারবে না (Amit Shah)।”

  • Success Story: বাবার পানের দোকান, মা আশা কর্মী! আইটিআই-তে পূর্ব ভারতে প্রথম ক্যানিংয়ের সায়ন

    Success Story: বাবার পানের দোকান, মা আশা কর্মী! আইটিআই-তে পূর্ব ভারতে প্রথম ক্যানিংয়ের সায়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার পানের দোকান রয়েছে। মা আশাকর্মী ছেলে আইটিআই (IT) তে ৬০০-তে ৬০০ নম্বর পেয়ে চমকে দিলেন সকলকে (Success Story)। ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের বয়সিং গ্রামের সুব্রত নস্কর ও রিনা নস্করের এক মাত্র সন্তান সায়ন নস্কর (Sayan Naskar) আইটিআই কম্পিউটার অপারেটর অ্যান্ড প্রোগ্রামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড ফর গভর্নমেন্ট-এ এবারে পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। শংসাপত্র নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাত থেকে। গর্বে বুক ভরে গিয়েছে বাবা-মা-এর।

    সায়নের সাফল্যে (Success Story) অবাক সকলে

    তালদি রেল স্টেশনের কাছে একটি ছোট্ট ঠান্ডা পানীয়ের দোকান রয়েছে সুব্রতর। মা রিনা নস্কর আশা কর্মী। পরিবার যে খুব স্বচ্ছল এমনটা নয়। আইটিআইতে কম্পিউটার অপারেটর অ্যান্ড প্রোগ্রামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেডে এবার পূর্ব ভারতের এক নম্বর স্থানটা দখল করেছে তাঁদেরই ঘরের এক মাত্র ছেলেটা। খুশির হাওয়া গোটা পরিবারে (Success Story)। ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী বলে পরিচিত সুব্রত। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ক্যানিং থানার তালদি মোহনচাঁদ স্কুল থেকে। তারপর ক্যানিং বঙ্কিম সর্দার কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর আইটিআই-তে পা। আইটিআই নিয়ে ট্যাংরাখালি আইটিআই গভর্মেন্ট কলেজ থেকে পড়াশোনা। ছেলে পড়াশোনায় ভাল, ছেলেকে নিয়ে উচ্চাশাও ছিল মা-বাবার। কিন্তু রেজাল্টে (Success Story) যে এক্কেবারে ফুল মার্কস এসে যাবে তা ভাবতে পারেননি কেউই।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত থেকে সম্মান গ্রহণ

    সায়নের অভাবনীয় ফল তাঁকে নিয়ে গিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে। খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়ায় খুশির রেশ গোটা এলাকা, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেও। তাঁর এই কৃতিত্ব (Success Story) তাঁর বা মা ও কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ শিক্ষকদের সঙ্গেও ভাগ করেছেন সায়ন। তাঁদেরই এই রেজাল্ট উৎসর্গ করতে চান বলেও জানিয়েছেন সায়ন। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরষ্কার পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। এর পিছনে সবথেকে বড় অবদান আমার পরিবারের, আমার শিক্ষকদের। আগামীতে আমি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ডিপ্লোমা করতে চাই। রেলের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেব।”

  • World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার জায়গা ধরে রাখবে ভারত (India)। এর পেছনে রয়েছে শক্তিশালী ভোগব্যয়ের বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদনের উন্নতি এবং গ্রামীণ মজুরি বৃদ্ধি। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) এক প্রতিবেদনেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, শক্তিশালী গ্রামীণ পুনরুদ্ধার এবং কর সংস্কারের ইতিবাচক প্রভাব।

    বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি (World Bank)

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৬ অর্থবর্ষে ৪.৮ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভুটানের ক্ষেত্রে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে দেরির কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে ২৬ অর্থবর্ষে নির্মাণের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। নেপালে সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ২.১ শতাংশে নেমে আসবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

    দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি

    শ্রীলঙ্কায় পর্যটন ও সেবা খাতে রফতানির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৩.৫ শতাংশ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি এই বছর ৬.৬ শতাংশে শক্তিশালী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৬ সালে তা কমে ৫.৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। এটি এপ্রিলের পূর্বাভাসের তুলনায় ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। সম্ভাব্য নেতিবাচক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা, আঞ্চলিক সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং এআইয়ের মতো প্রযুক্তির কারণে শ্রমবাজারে অস্থিরতা।

    বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার সহ-সভাপতি জোহানেস জুট বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিপুল এবং এটি এখনও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অঞ্চল। তবে প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিগুলির মোকাবিলায় দেশগুলির সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “দেশগুলি এআইয়ের সুবিধা সর্বাধিক ব্যবহার এবং বিশেষ করে মধ্যবর্তী পণ্যের বাণিজ্য বাধা কমিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত এবং দ্রুত সম্প্রসারিত শ্রমশক্তির জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে (World Bank)।”

    বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়াতে এআইয়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করেছে। এআইয়ের দ্রুত বিকাশ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে এবং শ্রমবাজারকে পুনর্গঠন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমশক্তি মূলত কম দক্ষ, কৃষিভিত্তিক ও হাতের কাজ নির্ভর হওয়ায় এআই গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ততা সীমিত। তবে মাঝারি (India) শিক্ষিত তরুণ শ্রমিকরা, বিশেষত ব্যবসা, পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরতরা তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। রিপোর্টে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির গতি ত্বরান্বিত করতে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংস্থাগুলির প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন নিয়মনীতিগুলির সরলীকরণ, উন্নত পরিবহণ এবং ডিজিটাল সংযোগ, আবাসন অনুসন্ধানে আরও স্বচ্ছ বিকল্প, দক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরির মিল খুঁজে দেওয়া, এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া (World Bank)।

  • Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ তার বদলা নেবে মানুষ। শাসক দল তৃণমূলকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নাগরাকাটার ঘটনায় (Nagrakata Incident) পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করছে বিজেপি। নাগরাকাটার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি এই মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    এনআইএ তদন্তের দাবি

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির হাসপাতালে আহত সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি বলেন, ‘ছাব্বিশে (election 2026) এই রক্তের বদলা হবে, সুদ সহ উসুল করবে বাংলার মানুষ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। এসটি কমিশন, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করেছেন। জলপাইগুড়ির এসপি আর ডিজি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। ডাক আসবেই। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সিবিআই অথবা এনআইএ তদন্তের যে দাবি জানিয়েছেন, তাকে আমি সমর্থন করি।’

     মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের কড়া সমালোচনা

    এদিনই শিলিগুড়ির হাসপাতালে গিয়ে বিজেপি-র আহত সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও ওই হাসপাতালেই আহত বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে যাননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণেরও কড়া সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, তা নিয়ে আমাদের দলের অনেক কর্মী সমর্থকই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সৌজন্য বজায় রাখতে বলেছি। উনি একজনের সঙ্গে দেখা করেছেন একজনের সঙ্গে করেননি। উনি এখানে এসে প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে লাগল? অথচ যারা অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার করছেন না।’

    শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বললেন শুভেন্দু

    নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident) বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে চোখের নীচে হাড় ভেঙে গিয়েছে খগেন মুর্মুর। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, দুর্গত এলাকায় ৩০-৪০টা কনভয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “৮ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ ছিলেন, পাঁচ খানা গাড়ি ছিল, আর ১২টা মিডিয়ার গাড়ি ছিল।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “কে বলছেন! যাঁর জন্য চার ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে, দড়ি ঘেরা থাকে, আর যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন। যাঁর জোড়া হেলিকপ্টার রয়েছে, জোড়া চার্টার্ড ফ্লাইট রয়েছে, তারপরও যখন রাস্তায় বের হন, রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাঁর মুখ থেকে এসব কথা মানায় না।” এই ঘটনার পিছনে শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বলে জানান বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদের ওপর হামলার ২৪ ঘণ্টা পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ‘শূন্য’ গ্রেফতারি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির।

  • Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ভারত (India) সফরে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। তাঁর সঙ্গে ব্রিটেন থেকে এ দেশে এসেছেন ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধির একটি দল। এটি ব্রিটেন থেকে ভারতে এ পর্যন্ত পাঠানো সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল বলেই সূত্রের খবর। এই প্রতিনিধিদলের ঘোষিত লক্ষ্য হল ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে ২০২৫ সালের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে (Free Trade Deal) আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।

    ভারতে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)

    বুধবার নির্ধারিত বৈঠকের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মুম্বইয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে। স্টার্মার ও তাঁর প্রতিনিধিদলকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পওয়ার এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। চলতি ভারত সফরে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার ইঙ্গিতও দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যবসা ও বাণিজ্যচুক্তি এবং বিনিয়োগই গুরুত্ব পাবে।” ভিসা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা পরিকল্পনার অংশ নয়। ব্রিটেনের অভিবাসন নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।” ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বজুড়ে শীর্ষ প্রতিভাদের সন্ধান করে ব্রিটেন। কিন্তু ট্রাম্পের অধীনে এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের জন্য এখনই কোনও নতুন পথ খোলার কোনও পরিকল্পনাই নেই আমাদের।”

    মোদির সঙ্গে বৈঠক

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে (India) এলেন স্টার্মার। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি এখনও ঝুলেই রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে নয়াদিল্লির। এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি। এহেন আবহে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারতে আগমন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মুম্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি আলোচনাচক্রেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে স্টার্মারের। সেখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোগপতিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দিতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই লন্ডন থেকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি (India) ও স্টার্মার। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ব্রিটেনে তৈরি বা ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম, বিমান সরঞ্জাম ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য আগের চেয়ে সস্তা হয়ে যাবে। ভারতীয়দের জন্য সহজলভ্য হবে ব্রিটেনে তৈরি সফট ড্রিঙ্কস, চকোলেট, প্রসাধনী সামগ্রী, বিস্কুট এবং স্যামন মাছ। এই সব পণ্যে এত দিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক কার্যকর ছিল। মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে তা কমে দাঁড়াবে তিন শতাংশে। বৈদ্যুতিক গাড়ির শুল্ক ১১০ শতাংশ থেকে নেমে আসবে ১০ শতাংশে।

    সিইও ফোরামে অংশ নেবেন দুই রাষ্ট্রনেতা

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) শহরে সিইও ফোরাম এবং গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের ষষ্ঠ সংস্করণে অংশ নেবেন। তাঁদের বৈঠকের সময় মোদি এবং স্টার্মার ইন্ডিয়া-ইউকে যৌথ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির মূল্যায়ন করবেন। এই মূল্যায়ন হবে ভিশন ২০৩৫ রোডম্যাপের ভিত্তিতে, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, জলবায়ু ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মতো ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে।

    ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা

    দুই রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্টার্মার ভারত-ব্রিটেন (India) যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তির সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পখাতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই চুক্তিকে ভবিষ্যতে ভারত-ব্রিটেন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করবেন। এছাড়াও, উভয় নেতা শিল্প বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন (Keir Starmer)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন স্টার্মার। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, জ্বালানি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে তাঁদের। এর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বৈঠকে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর জুলাই মাসেই ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ওই সফরেই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। আগামী বছর থেকেই কার্যকর হবে এই চুক্তি (Keir Starmer)।

  • SIR: বাংলায় এসআইআর ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা! বুধ-বৃহস্পতিতে রাজ্যে একগুচ্ছ বৈঠক কমিশনের বিশেষ দলের

    SIR: বাংলায় এসআইআর ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা! বুধ-বৃহস্পতিতে রাজ্যে একগুচ্ছ বৈঠক কমিশনের বিশেষ দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ বা এসআইআর (SIR)  নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুজো মিটতেই বাংলায় এসআইআর নিয়ে বুধবার বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার রাতে বাংলায় এসেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম। সেই টিমে রয়েছেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী-সহ চার কমিশন কর্তা। বুধ ও বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে কমিশনের বিশেষ টিমের। প্রতিটি জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার, ওসি (ইলেকশন)-দের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।

    কোথায় কোথায় বৈঠক কমিশনের

    বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) পর ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এসআইআর (SIR) নিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার রাতে বাংলায় এসেছে কমিশনের বিশেষ টিম। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিশেষ নজর দিচ্ছে তারা। ওই তিন জেলার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন জ্ঞানেশ ভারতীরা। এছাড়া রাজারহাট-গোপালাপুরে সব আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের কারণে পরিস্থিতি খারাপ। তাই বুধবার সকাল দশটা থেকে উত্তরবঙ্গ বাদে সব জেলার জেলাশাসক, ইলেক্ট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(ERO)-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন জ্ঞানেশ ভারতীরা। বৈঠক শেষে প্রথমে রাজারহাট-গোপালপুর তারপর বারাসত যাবেন। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় কোলাঘাটে পৌঁছবেন। সেখানে তিন জেলা-পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা

    কমিশন সূত্রে খবর, ৮ দফা বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

    ১) ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, বর্তমান তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে কী না, তা দেখা হবে।

    ২) বিএলও নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ

    ৩) বিএলও-দের সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবক চিহ্নিত করা

    ৪) বিএলও-দের কিটে কী কী থাকবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া

    ৫) এসআইআর-এর ফর্ম তৈরি করতে হবে এ-ফোর সাইজের পাতার ম্যাপে

    ৬) সাম্প্রতিককালে ফর্ম ৬ অর্থাৎ ভোটার তালিকায় কত আবেদন জমা পড়েছে, কতজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং কতজন ঠিকানা বদল করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন, তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৈরি করা

    ৭) এসআইআর সংক্রান্ত বিস্তারিত ইস্যু

    ৮) বিএলও নিয়োগ বা বুথ পুনর্গঠন নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

    কেন তিন জেলাকে গুরুত্ব

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। তাই এই জেলায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে, বলে অনুমান। সূত্রের খবর, বিজেপি অভিযোগ করেছে, সরকারি কর্মীদের বাদ দিয়ে বেসরকারি কর্মীদের বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এতে ভোটার তালিকায় গরমিল হতে পারে। এর মধ্যে বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম নিয়ে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি ছিল। কমিশনের আধিকারিক জানাচ্ছেন, বাঁকুড়ায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের অনেকের নাম ২০২৫ সালের তালিকায় পাওয়া যায়নি। সবকিছু খতিয়ে দেখবে কমিশন। সূত্রের খবর, রাজারহাট গোপালপুর নিয়েও তৎপর কমিশন। রাজারহাটের ডিস্ট্রিক্ট অফিসার (ডিইও), আইটি সেল, ইআরও-দের নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন। রাজারহাট-গোপালপুর এবং রাজারহাট-নিউটাউন, এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব বিএলও-দের নিয়ে বৈঠক আছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার ইআরও-দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কমিশন। বাংলায় এসআইআর-এর (SIR) আগে সবদিক খুঁটিয়ে দেখে এগোতে চায় কমিশন।

  • Auto Immune Disease: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরকেই কাবু করবে না তো! তিন নোবেলজয়ীর কাজ ফের আলোচনায়

    Auto Immune Disease: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরকেই কাবু করবে না তো! তিন নোবেলজয়ীর কাজ ফের আলোচনায়

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) জরুরি। তবে নিজের দেহের শক্তির রাশ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বাড়বে বিপদ! নিজের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করবে জটিল সমস্যা। যার জেরে সুস্থ জীবন যাপন ব্যাহত হবে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাতে বাড়তি বিপদ তৈরি না করে, এই শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে, অসুখের মোকাবিলা করা যায়, এ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে চর্চা দীর্ঘকালের। গত প্রায় দু’দশক ধরে এই নিয়ে লাগাতার চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন তিন বিজ্ঞানী। ম্যারি ই ব্রুঙ্কো, ফ্রেড র‌্যাম্‌সডেল এবং শিমন সাকাগুচি, এই তিনজন মানব শরীরের ‘অটোইমিউন’ ডিজিজ নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণার জন্যই ২০২৫ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখায় এই তিনজন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (Nobel Prize in Medicine) হয়েছেন।

    অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) কী?

    ক্যান্সার কিংবা রিউমাটোয়েড আর্থারাইটিস, মানুষের শরীরে এমন নানান রোগ রোগ রয়েছে, যা অটোইমিউন ডিজিজ নামে পরিচিত। অর্থাৎ, নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তির জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। নিজের শক্তির দ্বারাই জীবন শক্তি ক্ষয় হয়। অর্থাৎ নিজের দেহের বিভিন্ন সুস্থ কোষকে শরীর নিজেই আক্রমণ করে। ফলে নানান জটিল অসুখ দেখা দেয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে এই ইমিউনিটি পাওয়ার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) থেকে মানব দেহকে বাঁচাতেও এই সম্পর্কে জ্ঞান অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ দুই দশক ধরে এই তিন বিজ্ঞানী তাই চর্চা চালিয়েছেন মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে!

    কী বলছে গবেষণা?

    মানুষের শরীরকে প্রতি মুহূর্তে আক্রমণ করছে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকটি জীবাণুর গঠন আলাদা রকম। মানুষের শরীরের ভিতরে থাকা রোগ প্রতিরোধ শক্তি এই আক্রমণ প্রতিহত করছে। তার ফলেই আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারছি। কিন্তু বেশ কিছু জীবাণু এমন রয়েছে, যার গঠন সম্পূর্ণ নয়। কিংবা যার গঠন অনেকটাই আমাদের শরীরের ভিতরে থাকা প্রয়োজনীয় কোষের মতোই! ফলে তখন মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দ্বিধায় পড়ছে। আর তখন তৈরি হচ্ছে অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease)। অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধকারী শক্তি ভুলবশত নিজের কোষের ক্ষয় করছে। ভাইরাস আর কোষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছে না।‌

    তবে এই তিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর (Nobel Prize in Medicine) গবেষণায় দেখা যায়, মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রক্রিয়ায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে টি-সেল নামে এক ধরনের কোষের! কোনটি ভাইরাস আর কোনটি শরীরের নিজস্ব কোষ, কার ক্ষয় জরুরি, এটি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে এই টি-সেল (T-Cell)। অর্থাৎ, টি-সেল কিংবা রেগুলেটরি টি-সেল জাতীয় কোষ দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে ঠিকমতো কাজে লাগানোর পথ দেখায়। যাতে নিজের শক্তি ভুলভাবে ক্ষয় না করে, প্রয়োজনীয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে লাগাতে পারে।

    এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার মূল বিষয় ছিল পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স (Peripheral Immune Tolerance)! অর্থাৎ, শরীরের কিছু রোগ প্রতিরোধ শক্তিধারী কোষ বোন ম্যারো থেকে তৈরি হওয়ার সময় বুঝতে পারে, তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কোথায় ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কিছু রোগ প্রতিরোধ শক্তিধারী কোষ তৈরি হয় শরীরের অন্যান্য অঙ্গে যেমন লিম্ফ গ্ল্যান্ডে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় পেরিফেরাল ইমিউন সিস্টেম। সেখানে বেশ কিছু কোষ থাকে, যা নিজের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে না। ফলে অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই সিস্টেম সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল করেছে এই গবেষণা।

    চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য কেন নতুন দিশা?

    ক্যান্সার সহ একাধিক জটিল অটোইমিউন ডিজিজের চিকিৎসা কোন পথে হবে, এ নিয়ে নয়া দিশা দেখায় এই গবেষণা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নিজস্ব শক্তি যখন শরীরের বিপক্ষে চলে যায়, তখন কীভাবে বাইরে থেকে ওষুধ কাজ করবে, এ নিয়ে বহু ধোঁয়াশা ছিলো। কিন্তু এই গবেষণা পথ দেখিয়েছে। কীভাবে কোন কোষগুলোর সক্রিয়তা বাড়ালে এই ধরনের অটোইমিউন রোগের (Autoimmune Disease) মোকাবিলা করা যাবে। তাই এই গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন পথ তৈরি করেছে!

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share