Tag: NIA Chargesheet

NIA Chargesheet

  • Rohingya Infiltration: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    Rohingya Infiltration: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ (Rohingya Infiltration) করেছে বিভিন্ন সময়ে, তা আগেই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। রোহিঙ্গারা যে এ রাজ্যে ঘাঁটি গেড়েছে, তা অনেক বার বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তাঁদের দাবি যে নিছক গল্পকথা কিংবা কষ্টকল্পনা নয়, তার প্রমাণ মিলল এনআইএ রিপোর্টে।

    এনআইএর চার্জশিটে দাবি

    জানা গিয়েছে, মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে এ রাজ্যে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এনআইএ-র চার্জশিটেই এই দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটে আরও দাবি (Rohingya Infiltration) করা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছে মানবপাচার। এই পাচার চক্রের৩৬ জনের বিরুদ্ধে দু’রাজ্যের দু’টি মামলায় এনআইএ চার্জশিট দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ জন বাংলাদেশি, একজন রোহিঙ্গাও। 

    মামলা দায়ের অসম পুলিশের

    ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। তার পরেই উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মায়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা (মায়ানমারের মুসলমানরা)। এর পরেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। সেই মামলায়ই অসমের এনআইএ আদালতে পেশ করা হয় ওই চার্জশিট। এনআইএর পেশ করা চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৩৬ জনকে। এরা পশ্চিমবঙ্গের কাছে বাংলাদেশের বেনাপোল ও যশোর দিয়ে এবং ত্রিপুরার কাছে বাংলাদেশের আখাউড়া দিয়ে ভারতে ঢুকেছে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ভুয়ো নথি, ব্যাঙ্কের নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস।

    আরও পড়ুুন: অশান্তির আগুন মায়ানমারে, দেশে ফিরুন, প্রবাসীদের আবেদন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ভালো কাজ ও উন্নত জীবন যাপনের টোপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ঢোকানো হচ্ছে এ দেশে। কয়েকজন রোহিঙ্গা মহিলাকে বিয়ের নামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বয়স্ক পুরুষদের কাছে। পাচার চক্রের লোকজনই অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিচ্ছে। সেই পরিচয়পত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা (Rohingya Infiltration)।

    ভারতে রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে যে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অনেক আগেই দাবি করেছিল এনআইএ। এদের মূলে পৌঁছতে ১১টি রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল (Rohingya Infiltration)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Tablighi Jamaat: পয়গম্বর মন্তব্যের বদলা নিতে অমরাবতীর কেমিস্ট খুন করেছে তাবলিঘি জামাত, চার্জশিটে দাবি এনআইএ- র

    Tablighi Jamaat: পয়গম্বর মন্তব্যের বদলা নিতে অমরাবতীর কেমিস্ট খুন করেছে তাবলিঘি জামাত, চার্জশিটে দাবি এনআইএ- র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে কেমিস্ট উমেশ কোলহে খুনের মামলায় চার্জশিট (NIA Chargesheet) পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন হয়েছে উমেশ। তদন্তকারীদের দাবি, নুপূর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন উমেশ। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এনআইএ তদন্তকারীদের অভিযোগ, উমেশের উপর বদলা নিতে রীতিমতো সন্ত্রাসবাদী গ্যাং পরিকল্পনা করে খুন করে। ধৃত ১১ জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ- এর আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি এই খুনে যোগ রয়েছে ইসলাম মৌলবাদী দল তাবলিঘি জামাতের। জুন মাসে অমরাবতীতে খুন হয়ে যান কেমিস্ট উমেশ কোলহে। 

     কী জানিয়েছে এনআইএ? 

    নুপূর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। চার্জশিটে (NIA Chargesheet) এনআইএ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ পোস্টে নুপূরের মন্তব্যের সমর্থন করেন উমেশ কোলহে। ২১ জুন সাড়ে দশটা নাগাদ ওষুধের দোকন বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। অমরাবতীর শ্যামচক এলাকায় গলা কেটে খুন করা হয়েছিল উমেশকে। তদন্তে নেমে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিষয়টি সামনে আসে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা যায় বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ শেয়ার করেন উমেশ। এর পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই তদন্তের দায়িত্ব পায়।

    উমেশ কোলহে খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (NIA Chargesheet) দায়ের করেছেন গোয়েন্দারা। দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের এখনও ধরা যায়নি বলে জানিয়েছে এনআইএ। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করেছে শুধু ওই কেমিস্টকে খুন নয়, স্থানীয়দের মনে ভীতি তৈরি করাও ওই মৌলবাদী গোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল। সেই কারণে রীতিমতো পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালালকে খুন করা হয়।  

    আরও পড়ুন: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি 

    ২ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে অমরাবতীর উমেশ হত্যা (NIA Chargesheet) মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় এনআইএ। সেই তদন্তেই ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। খুন, প্রমাণ লোপাট, অপরাধমূলক ষড়য়ন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১১ জনের বিরুদ্ধে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

LinkedIn
Share