Tag: NIA court

NIA court

  • NIA: আনসারুল্লা বাংলা জঙ্গিদের আশ্রয়, তিন বাংলাদেশিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিল এনআইএ আদালত

    NIA: আনসারুল্লা বাংলা জঙ্গিদের আশ্রয়, তিন বাংলাদেশিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিল এনআইএ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দার সহযোগী সংগঠন বলে পরিচিত আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা দিয়েছে মুম্বইয়ের এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত।আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT) হল বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠন এবং উপমহাদেশে তারা আল-কায়দা সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের ওই আশ্রয় দানের জন্য ওই তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হল মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব (ওরফে রাজ জেসুব মণ্ডল), হান্নান আনোয়ার হুসেন খান (ওরফে হান্নান বাবুরালি গাজী), এবং মহম্মদ আজরালি সুবহানাল্লাহ্ (ওরফে রাজা জেসুব মণ্ডল)।

     

    আনসারউল্লা বাংলা টিমকে সাহায্য করত ধৃতরা

    এনআইএ (NIA) যে প্রেস বিবৃতি দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করা, তাদেরকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা, নকল ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকে পুণেতে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া। এটা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরেও দুই বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Infiltrators), রিপেন হোসেন (ওরফে রুবেল) এবং মহম্মদ হাসান আলি মহম্মদ আমের আলিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে 

    প্রসঙ্গত, এই মামলার (NIA) তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। তখনই পুণে পুলিশ জানতে পারে, সে শহরে অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে। গোপন সূত্রে তখন উঠে আসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের নামও। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব নামের একজনকে। মহারাষ্ট্রের ধোবিঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে একে একে অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।

    ২০১৮ সালের মে মাসে মামলা যায় এনআইএ-র (NIA) হাতে

    ২০১৮ সালের মে মাসে মামলাটি মহারাষ্ট্র পুলিশের হাত থেকে যায় এনআইএ-র হাতে। তখনই এনআইএ তদন্তে উঠে আসে যে অভিযুক্তরা বেআইনিভাবে এবং জালিয়াতি করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদেরকে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড- সমস্ত কিছু বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবার জঙ্গিদের গতিবিধি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে! সাধারণভাবে জিপিএস সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় কোনও বস্তুর অবস্থান এবং গতিবিধি। এবার এই সিস্টেমকে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, তাও আবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনের ক্ষেত্রে। জামিনে মুক্তি পাওয়া এক জঙ্গির গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য তার পায়ে পরানো হল ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet)। 

    কী এই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’?

    আদতে ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) হল অনেকটা নুপূরের মতো। পায়ের গোড়ালিতে তা পরিয়ে দেওয়া হয়। এই যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় ওই ব্যক্তি কোথায় যাচ্ছে? কী তার গতিবিধি রয়েছে? ইত্যাদি। কোনও ব্যক্তি যদি এটা খুলে ফেলতে চায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সংকেত চলে আসে পুলিশের কাছে। যে স্থানে সে এটা খুলছে, সেই অবস্থানও জানতে পারে পুলিশ। জামিনে মুক্তি পাওয়া গুলাম মহম্মদ ভাটের পায়ে শনিবারই জিপিএস পরিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আগামী দিনে এই যন্ত্রের আরও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ভূ-স্বর্গের প্রশাসন। ভারতে এই যন্ত্র প্রথমবারের জন্য ব্যবহার করা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে জামিনে মুক্ত আসামিদের কিংবা গৃহবন্দীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে জিপিএস সিস্টেম (GPS Anklet) ব্যবহার করা হয়।

    গুলাম মহম্মদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, জঙ্গি গুলাম মহম্মদ ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সন্ত্রাসবাদীদের আড়াই লাখ টাকা তহবিল দেওয়ার। সেই টাকা দিতে যাওয়ার আগেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয় গুলাম মহম্মদকে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগসূত্রের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, গুলাম মহম্মদ সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের। ওই সংগঠনের নির্দেশেই সে সন্ত্রাসবাদকে ফান্ডিং করত বলে অভিযোগ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দিল্লির পাতিয়ালা হাউসের এনআইএ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর গুলাম মহম্মদ জামিনের আবেদন করে। সেই মামলার শুনানি মুলতবি থাকাকালীন সে অন্তবর্তী জামিনে মুক্তি চায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। তবে শনিবার তাকে মুক্তি দেওয়ার সময়ই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) পরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পায়ে।

    কী বলছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন?

    জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, সম্প্রতি এনআইএ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইউএপিএ আইনে জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর শর্তাবলী আরোপ করার। মুক্তির পরেও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর কড়া নজর রাখা উচিত বলে পর্যবেক্ষণে জানায় আদালত। তারপর এনআইএ আদালতের নির্দেশেই অভিযুক্তের পায়ে জিপিএস পরানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জঙ্গি দমনে নতুন প্রযুক্তির (GPS Anklet) ব্যবহার দেখা গেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yasin Malik: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

    Yasin Malik: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত (Convicts) হলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik)। দিল্লির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র বিশেষ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। আগামী ২৫ মে তাঁর কী ধরনের সাজা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    ইয়াসিনকে নিয়ে এই হাইভোল্টেজ মামলা গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে। ‘আন লফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএর আওতায় ইয়াসিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। এদিন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির এনআইএ আদালত। জানা গিয়েছে ইয়াসিন মালিক নিজেই জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের (Terror funding)কথা স্বীকার করেছেন। আর সেই বক্তব্যের ভিত্তিতেই ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, পরবর্তী শুনানির আগেই ইয়াসিন মালিককে তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামাও জমা দিতে বলেছে আদালত। সেই হলফনামায় তাঁর আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ জানাতে হবে ইয়াসিনকে। তার ওপর ভিত্তি করে ইয়াসিনের সাজার অঙ্কও নির্ধারিত হতে পারে বলে,বিশেষজ্ঞদের মত। মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাশ্মীর উপত্যকায় ২০১৭ সালে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছিলেন তিনি। এর আগের শুনানির দিনই মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, এই মামলায় তিনি আর লড়াই করবেন না। মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের ধারা ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২০-তে মামলায় দায়ের হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি এবং ১২৪ এ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়। 

    গত ১০ মে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন (ইউএপিএ)-এর অধীনে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন কাশ্মীরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। ইয়াসিনের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র, জঙ্গি দলের সদস্য, দেশদ্রোহ এবং ফৌজদারী ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। এনআইএ আদালত আগেই জানিয়েছিল, ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর নামে একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন ইয়াসিন। সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন। ইয়াসিন ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে ।

LinkedIn
Share