Tag: NISAR

NISAR

  • ISRO: ইসরোর ব্যস্ততম বছর হতে চলেছে ২০২৫! তালিকায় রয়েছে ছ’টি বড় অভিযান, কী কী?

    ISRO: ইসরোর ব্যস্ততম বছর হতে চলেছে ২০২৫! তালিকায় রয়েছে ছ’টি বড় অভিযান, কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সাল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রেখে তামাম বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। তার পরের বছরও একাধিক সফল অভিযান করেছে এই গবেষণা সংস্থা। দেশ পৌঁছেছে ২০২৫-এ। এ বারটাই হতে চলেছে ইসরোর জন্য ব্যস্ততম বছর। জানা গিয়েছে, এ বছরও পরিকল্পনায় রয়েছে একাধিক প্রকল্প। জোর কদমে চলছে কাজও।

    কী বললেন মহাকাশ মন্ত্রী? (ISRO)

    কেন্দ্রীয় মহাকাশ প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “২০২৫ সালে ইসরোর পরিকল্পনায় রয়েছে ছ’টি বড় বড় প্রকল্প। বছরের প্রথম দিকেই হবে এই অভিযান। এর মধ্যে যেমন রয়েছে মহাকাশে মহিলা রোবট পাঠানোর পরিকল্পনা, তেমনি রয়েছে গগনযান (Gaganyaan Vyommitra) ও ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট নিসার পাঠানোর পরিকল্পনাও। এটিই হতে চলেছে বিশ্বের সব চেয়ে দামী স্যাটেলাইট।” মন্ত্রী বলেন, “জানুয়ারি মাসে ইসরো (ISRO) অ্যাডভান্সড নেভিগেশন স্যাটেলাইট এনভিএস-০২ উৎক্ষেপণ করবে। জিএসএলভি উৎক্ষেপণ হবে ইসরোর শততম মিশন। এরপর ইসরো (ISRO) মহাকাশে পাঠানো হবে মহিলা রোবট ‘ব্যোমমিত্র’-কে (Gaganyaan Vyommitra)। এটি গগনযানেরই একটি অংশ। ব্যোমমিত্র অভিযান সফল হলে মহাকাশে পাঠানো হবে মহাকাশচারী।”

    আরও পড়ুন: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    নিসার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

    জানা গিয়েছে, ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে নিসার (NISAR) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে মার্চ মাসে। এটি প্রতি ১২ দিনে প্রায় সমস্ত ভূমি ও বরফ স্ক্যান করবে। পাঠাবে হাই রেজোলিউশনের ছবি। এলভিএম৩-এম৫ মিশন রূপায়ণ হবে প্রথম ত্রৈমাসিকে। এই মিশনটি একটি আন্তর্জাতিক গ্রাহকের জন্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। এটি মহাকাশ অর্থনীতিতে ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এর পর রয়েছে গগনযান মানব মিশন। এই অভিযানের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ব্যোমমিত্র মিশনের (Gaganyaan Vyommitra) সাফল্য প্রশস্ত করবে ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযাত্রার পথ।

    ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, “২০২৫ সাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর হতে চলেছে। ইসরো চারটি জিএসএলভি রকেট লঞ্চ করবে। এছাড়াও তিনটি পিএসএলভি এবং একটি এসএসএলভি রকেট লঞ্চ করবে (ISRO)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • NASA-ISRO: পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতির উপর নজর রাখতে যৌথ উদ্যোগে উপগ্রহ পাঠাবে নাসা-ইসরো

    NASA-ISRO: পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতির উপর নজর রাখতে যৌথ উদ্যোগে উপগ্রহ পাঠাবে নাসা-ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটছে প্রতিনিয়ত। এবার তাকে নজর রাখতে ইসরো এবং নাসার (NASA-ISRO) যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হবে উপগ্রহ। সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছর ২০২৪ সালেই উৎক্ষেপণ করা হবে এই উপগ্রহ। উপগ্রহ থেকে পৃথিবীর উপর নজর রাখা হবে। উপগ্রহের নাম রাখা হয়েছে নিসার (NISAR)।

    কীভাবে নিসার উপগ্রহ কাজ করবে (NASA-ISRO)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উপগ্রহটি প্রত্যেক ১২ দিনে একবার করে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ এবং বরফে ঢাকা এলাকাগুলিকে নজরদারি চালাবে। ‘নিসার’-এ দুটি সিনটেকটিক অ্যাপ্রেচার রাডার থাকবে। দুটি ওয়েবলেথিং দিয়ে পৃথিবীর উপর নজর রাখা হবে। এর মধ্যে এলব্যন্ড সার তৈরি করবে নাসা এবং এসব্যন্ড তৈরি করবে ইসরো (NASA-ISRO)। সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রোপালশান ল্যাবরেটরিতে ‘নিসার’-এর প্রোজেক্ট সায়েন্টিস্ট পল রোজেন হালেই বলেন, “উপগ্রহটিতে যে রেডার ব্যবহার করা হবে তা আমাদের গ্রহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরবে। পৃথিবীর মাটি এবং বরফের স্তর কীভাবে পরিবর্তন হয়েছে তার চিত্র তুলে ধরা হবে।”

    আর কীকী বিষয় নজর রাখবে উপগ্রহ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ‘নিসার’ (NASA-ISRO) সম্পর্কে বিজ্ঞানী পল রোজেন হালে বলেছেন, “বনভূমি এবং জলাভূমির উপর নজর রাখবে ‘নিসার’। এই দুই বিষয়ে পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে ভালো ভাবে জানা দরকার। এই বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে ‘কার্বন সিল্ক’-এর গুরুত্ব ভালো করে বোঝা একান্ত দরকার। নগরায়নের ফলে বনভূমি এবং জলাভূমির পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে। ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত জরুরি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বিশ্বে মোট কার্বন ডাই অক্সসাইড নির্গমনের ১১ শতাংশের নেপথ্যে প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে।”

    বাস্তুতন্ত্রের গবেষকের বক্তব্য

    নিসার (NASA-ISRO) টিমের সহকারী প্রধান বাস্তুতন্ত্রের গবেষক অনুপ দাস বলেন, “নিসার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পরিবেশ বুঝতে সাহায্য করবে। উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে। অভিযান সফল হলে ইসরোর মুকুটে আরও এক পালক যুক্ত হবে।”

    উল্লেখ্য ভারত চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাঠিয়ে ভারতের নাম বিশ্বের কাছে নতুন ভাবে উঠে এসেছে। এছাড়াও সূর্যের উপর নজর রাখতে আদিত্য এল-ওয়ান সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে এক ভারতীয় নভোচারীকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    কী বলল নাসার প্রশাসক?

    নাসার (NASA-ISRO) প্রশাসক বিল নেলসন মুম্বইতে শুক্রবার ভারতের চন্দ্রযান ৩ নিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতকে আমার অভিনন্দন। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম অবতরণ করেছে ভারত। আগামী বছর আমাদের একটি বাণিজ্যিক ল্যান্ডার অবতরণ করবে। তবে ভারত এই বিষয়ে প্রথম ছিল। অন্যরা চেষ্টা করেছে তবে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু একমাত্র ভারত সাফল্য পেয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share