Tag: Nitin Gadkari

Nitin Gadkari

  • Nitin Gadkari: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?

    Nitin Gadkari: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ সফরে এসে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সূত্রের খবর, সম্ভবত সুগার ফল হয়েছিল তাঁর। তড়িঘড়ি মঞ্চ থেকে নামিয়ে গ্রিন করিডর (Green Corridor) করে সেখানেই নিয়ে আসা হয় চিকিৎসককে। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর চিকিৎসায় চালানো হয়েছিল স্যালাইনও। তবে এখন তিনি সুস্থ আছেন ও বর্তমানে তিনি এখন খড়গপুরে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদীকে ফোন করে তাঁর খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন তিনি শিলিগুড়ির ক্যান্টনমেন্ট রোড থেকে সেবক পর্যন্ত চার লেনের দীর্ঘ রাস্তার শিলান্যাস করতে উত্তরবঙ্গে আসেন নিতিন গড়কড়ি। শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ের কাছে দাগাপুর ফুটবল মাঠে শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিছুক্ষণ পর‌ই ভাষণ দিতে ওঠেন তিনি। কিছুটা ভাষণ দেওয়ার পর‌ই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি। এরপরই তৎক্ষণাৎ তাঁকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে এসে গ্রিন করিডর করে সেখানেই নিয়ে আসা হয় চিকিৎসক। এরপর সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তের বাড়িতে আর সেখানেই মন্ত্রীর (Nitin Gadkari) চিকিৎসা চলে।

    এদিন শিলিগুড়ির অনুষ্ঠান শেষ করে তাঁর ডালখোলায় অন্য একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথাও ছিল (Nitin Gadkari)। এছাড়াও খড়গপুর ও রায়গঞ্জে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আর‌ও দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল গড়কড়ির। কিন্তু তাঁর হঠাৎ অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিত না হলেও ভার্চুয়ালি বিভিন্ন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। রাজু বিস্তা জানিয়েছিলেন যে, ” মন্ত্রী ডালখোলার কর্মসূচীতে যোগ দেবেন না, ভিডিও কনফারেন্সে সূচনা করবেন অনুষ্ঠানের।” 

     

  • Toll Tax: জাতীয় সড়কে টোল-ফি এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাচ্ছে, জানেন কত?

    Toll Tax: জাতীয় সড়কে টোল-ফি এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাচ্ছে, জানেন কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়কে টোল ফি কমছে অনেকটাই। ৪০ শতাংশ টোল ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিতিন গড়কড়ির (Nitin Gadkari) কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক। সড়কপথে কোথাও যাত্রা করলে টোল ট্যাক্সের (Toll Tax) জন্য  ভাল রকম টাকাই গুণতে হত এতদিন। গাড়ি অনুযায়ী আলাদা আলাদা টোল ট্যাক্স জমা দিতে হত। এবার পকেটের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যসভার সাংসদ পি উইলসন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পগুলোতে টোল ফি ৪০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। রাজ্যসভার এই সাংসদের আরও সংযোজন, “আমি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা বন্ধ করে, রেজিস্ট্রেশন বাবদ এককালীন টাকা নেওয়া হোক। তার উত্তরে পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন, পাবলিক ফান্ডেড প্রকল্পগুলোতে টোল ফি ৪০ শতাংশ কমানো হবে।”

    কেন কমল টোল ট্যাক্স

    টোল ট্যাক্স (Toll Tax) সংগ্রহ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের পথে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। টোল সংগ্রহ পদ্ধতি সহজ করতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি (Modi) সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হল, ফাস্ট্যাগ (Fastag) ব্যবস্থা চালু। লাইন এড়িয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল সংগ্রহ করার জন্যই চালু হয়েছে এই পদ্ধতি। প্রিপেড থেকে টাকা সরাসরি জমা পড়ে টোল প্লাজায়। বাণিজ্যিক গাড়ি হোক বা ব্যক্তিগত গাড়ি, টোল ফি বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়, তা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এই প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের অগাস্ট মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পি উইলসন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়িকে চিঠি লেখেন। যে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, সারা দেশে এক হাজারের বেশি টোল প্লাজা রয়েছে। সেখানে টোল দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতিবছরই বাড়ছে টোল ফি। এমনকী রাজ্য সরকারের বাসেও টোল নেওয়া হচ্ছে। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা বন্ধ করে, রেজিস্ট্রেশন বাবদ এককালীন টাকা নেওয়া হোক। 

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?

    টোল ট্যাক্স সংগ্রহ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ

    টোল ট্যাক্স (Toll Tax) সংগ্রহ পদ্ধতি আধুনিকীকরণের অন্যতম ব্যবস্থা হল স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম। এই আধুনিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে টোল ট্যাক্স সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার। বিষয়টি কেমন? কী ভাবে কাজ করবে? তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ব্যবস্থায় নজর রাখা হবে গাড়ির গতিবিধিতে। জাতীয় সড়কে কোনও গাড়ি যত কিলোমিটার যাবে তার উপর নির্ভর করে টোল ট্যাক্সের টাকা নির্ভর করবে। হাইওয়েতে যত বেশি গাড়ি চলবে টোলের পরিমাণও তত বাড়তে থাকবে। এর জন্য গাড়িটিকে স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের আওতায় থাকতে হবে। এখন জাতীয় বা রাজ্য সড়কে অথবা কোনও সেতুর মুখে টোল গেট থাকে। সেখানে ক্যাশ টাকা দিয়ে অথবা ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ হয়। আধুনিক এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে টোল গেটের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nitin Gadkari: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের

    Nitin Gadkari: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করলে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। এই মুহূর্তে তিন দিনের আসাম সফরে রয়েছেন তিনি। আর গুয়াহাটি থেকেই শুক্রবার করেন এই ঘোষণা। এছাড়াও এদিন এই রাজ্যগুলিতে আগে ঘোষণা করা ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলেও এদিন বলেন তিনি।

    কোন রাজ্যে কত বরাদ্দ?  

    সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, আসামে নতুন প্রকল্পের জন্যে বরাদ্দ হয়েছে ৪৬,২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১,০২০ কিমি রাস্তা এবং ব্রিজ, ৫টি রোপওয়ে, ১০টি ওভারব্রিজের কাজ হবে। ইতিমধ্যেই ৫,৮৯০ কোটি টাকা খরচ করে ১,১১৩ কিমি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। এছাড়াও জানান, ৬৩২ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।

    এছাড়া নিতিন গড়করি ত্রিপুরার জন্য নতুন ৭টি প্রকল্পের অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেন ৷  এই জন্য রাজ্যকে ১৩,৩৫৩ কোটি টাকা অনুমোদনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অনুমোদিত নতুন সাতটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে –  চুরাইবাড়ি-আগরতলা এন‌এইচ-০৮ (১৭১ কিমি) চার লেন (৩,২৩৩ কোটি টাকা), আগরতলা বাইপাসের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় অংশ (৩৫ কিমি) (৩,১৬১ কোটি টাকা), খোয়াই-  তেলিয়ামুড়া-অমরপুর-হরিনা এনএইচ ২০৮ (২,৪২১ কোটি টাকা), উদয়পুর-শ্রীমন্তপুর সড়কের চার লেনিং (৩৪ কিমি) (৪৮০ কোটি টাকা)৷ চারটি রোপওয়ে প্রকল্প (মহারানি- ছবিমুড়া, উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির, জম্পুই  হিলস, কমলপুরের সুরমাছড়া) (৬৯২ কোটি টাকা), তিনটি রেলওয়ে ওভারহেড ব্রিজ (৩৫ কোটি টাকা) এবং শহরাঞ্চলে সিমেন্ট কংক্রিট রাস্তা নির্মানে (২০০ কোটি টাকা)।

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই পারদ পতন! শীতের প্রবেশ রাজ্যে

    ত্রিপুরা রাজ্যে জাতীয় সড়কে কাজের অগ্ৰগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)- কে রাজ্যে চলমান ২৮০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের কাজগুলি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন।  এক‌ই সঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারকে প্রকল্পের অগ্রগতির স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ, বনভূমির ছাড়পত্র, বিদ্যুৎ, জলের লাইনের স্থানান্তর ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    এছাড়াও মেঘালয়ের জন্যে ১২,৫৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প, নাগাল্যান্ডের জন্যে ৪,৯২১ কোটি টাকার প্রকল্প, অরুণাচল প্রদেশের জন্যে ৪৫,৮৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প, মণিপুরের জন্যে ১৬,৬৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প, মিজোরামের জন্যে ৮,৬১৪ কোটি টাকার প্রকল্প এবং সিকিমের জন্যে ৫,০৭০ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Uttar Pradesh Road: উত্তরপ্রদেশের রাস্তা হবে আমেরিকার থেকেও ভালো! কী বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী?

    Uttar Pradesh Road: উত্তরপ্রদেশের রাস্তা হবে আমেরিকার থেকেও ভালো! কী বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে উত্তরপ্রদেশের রাস্তা (Uttar Pradesh Road) আরও উন্নতমানের করার জন্যে এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gaadkari)। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ইন্ডিয়া রোড কংগ্রেসের ৮১ তম অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন নিতিন গড়করি। তিনি সেখানে বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের রাস্তাগুলি আমেরিকার রাস্তার মত ভালো ও সুন্দর করা হবে। তিন দিনের এই অধিবেশনে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের ইঞ্জিনিয়ার, সড়ক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও (Yogi Adityanath)।

    তিনি বলেন, “আমি যোগিজিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, ২০২৪ সাল শেষের আগেই উত্তরপ্রদেশের রাস্তাগুলোকে (Uttar Pradesh Road) আমেরিকার রাস্তার মত গড়ে তোলা হবে।” এই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি উত্তর প্রদেশের সড়ক উন্নয়নের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে উত্তর প্রদেশের সড়কগুলিকে আমেরিকার থেকে ভাল বানাতে হবে। এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য মোদি সরকার আগামী দিনে ৫ লক্ষ কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা করবে”। ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করে তিনি বলেন, “এই টাকা দিয়ে শাহবাদ-হরদোরহ বাইপাস, শাহজাহানপুর থেকে শাহবাদ অবধি বাইপাস, মোরাদাবাদ-ঠাকুরদ্বার-কাশিপুর বাইপাস ও গাজিপুর-বালিয়া বাইপাস তৈরি করা হবে। এছাড়াও ১৩টি সড়ক প্রকল্পে কাজ করার জন্য এই টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে”।

    তিনি অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করেন যে, ভালো রাস্তা নির্মাণে সরকারের কাছে অর্থের কোনও অভাব নেই। তবে তিনি সেদিন শুধু রাস্তা নির্মাণের কথাই বলনেনি, রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়াও এই সড়ক নির্মাণের কাজে যারা থাকবেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও বলেছেন তিনি। অন্যদিকে রাস্তা তৈরিতে উন্নত প্রযুক্তি, রাস্তা উন্নতমানের করা, দ্রুতগতিতে কাজ করার দিকেও বিশেষ নজর দিতে বলেছেন।

    আরও পড়ুন: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    অধিবেশনে নিতিন গড়করি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ তৈরি করার স্বপ্নকে সত্যি করতে ভালো ও টেকসই রাস্তা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর এই স্বপ্নকে সত্যি করতে এটিই সুবর্ণ সুযোগ। এই অধিবেশনের পর কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি লখনউয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনে একটি বৈঠকও করেন।

  • Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন থেকে গাড়িতে বসা পিছনের যাত্রীকেও সিট বেল্ট পরতে হবে। তাই এর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব জারি করা হল, যেখানে বলা আছে, গাড়ির পেছনের সিটবেল্টের জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। জনগণের মতামত জানানোর শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর। এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।

    টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন। কিন্তু সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তিনি। সিটবেল্ট না পরার কারণেই তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ও তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরেই গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরেই নিতিন গড়করি ও কেন্দ্র সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে এই মাসের শুরুতেই, ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে গাড়ির সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিভাইস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবছরই সমস্ত গাড়িতে বাধ্যতামূলক ছয়টি এয়ারব্যাগের জন্য খসড়া তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এতদিন পর্যন্ত সবাই জানতেন যে, শুধুমাত্র গাড়িতে সামনে বসা চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর জন্যই সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক ছিল ও নিয়ম না মানলে জরিমানাও দিতে হত। কিন্তু কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে তাঁকেও জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। নয়তো ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।” কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও এই নিয়ম মানেন না ও যাত্রীদের থেকে জরিমানাও নেন না।

    উল্লেখ্য, একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। সড়ক মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিট বেল্ট না পরার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন।

  • Amazon: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের 

    Amazon: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিটেল জায়ান্ট অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিজাইস বন্ধ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি বলেন, “লোকেরা সিটবেল্ট পরা এড়াতে অ্যামাজন থেকে ক্লিপ কিনে নেয়। আমরা অ্যামাজনকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছি এগুলি বিক্রি বন্ধ করার জন্য।”

    এখন অবধি এই ধাতব ক্লিপগুলি বিক্রি করা বেআইনি নয়। কিন্তু সম্প্রতি টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়্যারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির (Cyrus Mistry) মৃত্যুর এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বদল আসতে পারে আইনে। পিছনের সিটে বসে থাকা সাইরাস মিস্ত্রি এবং জাহাঙ্গির পান্ডোলে গাড়ির সিট বেল্ট পরেছিলেন না। দ্রুত গতিতে চলছিল গাড়িটি। ডিভাইডারে ধাক্কা লাগায় অত্যন্ত ঝাঁকুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। বিজনেস টাইকুনের দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ট্রাফিক রুলে আসতে চলছে আরও কড়াকড়ি। 

    আরও পড়ুন: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের  

    নিতিন গড়কড়ি এদিন আরও বলেন, “গাড়ি নির্মাতাদের জন্যে সিট বেল্ট অ্যালার্ম গাড়িতে তৈরি করা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা চলছে।” এখন শুধুমাত্র সামনের সিটে বসা যাত্রীদের জন্যেই সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক। যদিও পিছনের সিটের যাত্রীরা সিট বেল্ট না পরেন তাদের সেন্ট্রাল মোটর ভেইকেলস রুলস (CMVR)- এর নিয়মে ১৩৮ (৩) এর অধীনে ১০০০ জরিমানা করা যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেই নিয়ম জানেন না। বা জানলেও তা উপেক্ষা করে যান। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও পিছনের সিটে বসা যাত্রীরা সিট বেল্ট না পরলে জরিমানা করেন না। 

    প্রসঙ্গত, গাড়িতে সামনের সিট বেল্টের সঙ্গে একটি সেন্সর যুক্ত থাকে। যতক্ষণ না সিটবেল্ট পরা হচ্ছে, গাড়িতে একটি অ্যালার্ট বাজে। তাতেই বিরক্ত হন চালক ও যাত্রীরা। তাই সিটবেল্ট পরা এড়াতে বাজারে বিশেষ ধরণের ক্লিপ পাওয়া যায়। সেটা অনেকেই লাগিয়ে নেন। যাতে সেন্সর বন্ধ থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র সিট বেল্ট না বাঁধার কারণে ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন। 

    আরও পড়ুন: ত্রুটিপূর্ণ সেতু সাইরাসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, বলছে ফরেন্সিক রিপোর্ট

    নিতিন গড়কড়ি এবিষয়ে বলেন, “২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেক করার লক্ষ্য রাখছে কেন্দ্র। এছাড়াও সরকার এই বছর সমস্ত গাড়িতে ছয়টি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করে একটি নির্দেশিকা জারি করবে।” 
     
    কিছুদিন আগেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন। আমি চারজন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চড়েছি, নাম জিজ্ঞেস করবেন না। আমি গিয়ে সামনের সিটে বসলাম। দেখলাম, একটি ক্লিপ এমনভাবে লাগানো, যাতে বেল্ট না পরলেও কোনও শব্দ না হয়। আমি তবুও চালককে বেল্ট কোথায় তা জিজ্ঞেস করে পরে নিয়েছিলাম।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Seat Belt: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের

    Seat Belt: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়্যারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যু শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রী সিট বেল্ট না বাঁধলেই জরিমানা করা হত। কিন্তু এখন থেকে গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীকেও সিট বেল্ট বাঁধতে হবে। নিয়ম না মানলে জরিমানা করা হবে। সোজা বাংলায় সিট বেল্ট বাঁধার ক্ষেত্রে আরও কড়া হচ্ছে ট্রাফিক আইন (Traffic Law)। এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।    

    সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকলস রুল বা সিএমভিআরকে (CMVR) সামনে রেখে আগামী তিন দিনের মধ্যে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, “এখন গাড়ির চালক এবং তাঁর পাশের যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে জরিমানা করা হয়। পিছনের আসনে বসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে সেরকম নিয়মের কোনও কড়াকড়ি নেই। এবার থেকে পিছনের আসনের যাত্রীদেরও সিট বেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রয়োজনে আইনও সংশোধন করা হবে।” 

    আরও পড়ুন: এবার আরএসএসের দিল্লির দফতরের নিরাপত্তায় সিআইএসএফ  

    যদিও কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী এখনও পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলেও তাঁকে জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। একইসঙ্গে চালকের দিকে অর্থাৎ গাড়ির অভিমুখে সামনের দিকে মুখ করে পিছনের সিটে বসা যাত্রীকেও সিট বেল্ট বাঁধতে হবে। না হলে ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।”

    কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র সিট বেল্ট না বাঁধার কারণে ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন। 

    সাইরাস মিস্ত্রির মর্মান্তিক প্রয়াণের পর, এই বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। সোমবার তিনি বলেন, “লোকে ভাবেন পিছনের সিটে বেল্ট লাগে না। এটাই সমস্যা। আমি এই দুর্ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না। কিন্তু আমাদের এটা বোঝা দরকার যে, সামনের সিটের মতোই, পিছনের সিটে বসলেও সিটবেল্ট পরা উচিত।”

    আরও পড়ুন: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন। আমি চারজন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চড়েছি, নাম জিজ্ঞেস করবেন না। আমি গিয়ে সামনের সিটে বসলাম। দেখলাম, একটি ক্লিপ এমনভাবে লাগানো, যাতে বেল্ট না পরলেও কোনও শব্দ না হয়। আমি তবুও চালককে বেল্ট কোথায় তা জিজ্ঞেস করে পরে নিয়েছিলাম।”

    প্রসঙ্গত, গাড়িতে সামনের সিট বেল্টের সঙ্গে একটি সেন্সর যুক্ত থাকে। যতক্ষণ না সিটবেল্ট পরা হচ্ছে, গাড়িতে একটি অ্যালার্ট বাজে। তাতেই বিরক্ত হন চালক ও যাত্রীরা। তাই সিটবেল্ট পরা এড়াতে বাজারে বিশেষ ধরণের ক্লিপ পাওয়া যায়। সেটা অনেকেই লাগিয়ে নেন। যাতে সেন্সর বন্ধ থাকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Nitin Gadkari: বহরে বড় জাতীয় সড়ক! নয়া প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির

    Nitin Gadkari: বহরে বড় জাতীয় সড়ক! নয়া প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরে বাড়বে জাতীয় সড়ক। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে মোট জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য হতে চলেছে ২লক্ষ কিলোমিটার। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির। তিনি জানান, ২০২১ সালে দেশে জাতীয় সড়কের (national highway network length)মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৩৭ কিলোমিটার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত ৫০ কিলোমিটার করে নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। এখন প্রতিদিন ৩৫ কিলোমিটার করে নতুন রাস্তা তৈরি হয়। এর ফলে ২লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা শেষ হতে ২০২৪ সাল লেগে যাবে।  

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! খুন নাকি আত্মহত্যা, বাড়ছে রহস্য

    এদিন টোলপ্লাজাগুলিতে দীর্ঘ যানযট দূর করতে স্বয়ংক্রিয়  লিঙ্কযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টোল কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা সারা দেশ জুড়ে বাস্তবায়নের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী। এই ব্যবস্থা সারা দেশে চালু করতে পারলে টোল প্লাজা গুলি দীর্ঘ যানযটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। গড়কড়ি বলেন,  “২০১৯ সালে, সরকার একটি নিয়ম চালু করে যে গাড়িগুলি কোম্পানির লাগানো নম্বর প্লেটের সঙ্গে আসবে। তাই গত চার বছরে যেসব গাড়ি বাজারে এসেছে সেগুলোর নম্বর প্লেট আলাদা। এখন, টোল প্লাজা সরিয়ে ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা এই নম্বর প্লেটগুলিকে চিহ্নিত করবে এবং টোল সরাসরি অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: ভুল করেই পাক ভূখণ্ডে ব্রহ্মোস! বরখাস্ত বায়ুসেনার তিন অফিসার

    নিতিন গড়কড়ির মতে, টোলপ্লাজা দেশের অনেক সমস্যার কারণ। লম্বা লাইনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। যানজট তৈরি হয়। তাই বিকল্প উপায় খোঁজা হচ্ছে। সরকার দুটি বিকল্প পথ খুঁজছে। উপগ্রহভিত্তিক জিপিএস ব্যবস্থার কথা ভাবছে সরকার।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে জিপিএস ব্যবহার করতে চাই ফাস্ট্যাগের বদলে। নয়া পদ্ধতি চালু করার প্রক্রিয়ায় আছি আমরা এবং এর ভিত্তিতে আমরা টোল নিতে চাই। নম্বর প্লেটেও প্রযুক্তি পাওয়া যায় এবং ভারতেও অন্যান্য আরও ভালো প্রযুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নির্দিষ্ট প্রযুক্তি বেছে নেব। যদিও আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিইনি। ছয় মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nitin Gadkari: বাড়াতে হবে গাড়ির সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য, কী কী প্রস্তাব দিল কেন্দ্র?

    Nitin Gadkari: বাড়াতে হবে গাড়ির সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য, কী কী প্রস্তাব দিল কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনা কমাতে গাড়ির সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য় নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাত্রীদের সুরক্ষা বাড়াতে ভারত সরকার এক নতুন নিয়ম জারি করার চিন্তা করেছেন। ভারতে যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য তৈরি হচ্ছে সেফটি রেটিং সিস্টেম (Safety Rating System)। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি (Nitin Gadkari)। ‘কার ক্র্যাশ টেস্ট’ (Car Crash Test)-এর সময়ে স্পিড বাড়িয়ে টেস্ট করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। পরের সপ্তাহের মধ্যেই ‘সেফটি রেটিং সিস্টেম’ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা জারি করার ড্রাফ্টটি তৈরি করা হবে।

    প্রসঙ্গত, রাস্তায় দুর্ঘটনার জন্য বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে ভারত এগিয়ে রয়েছে। তাই যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ভারতে ৩,৫৫,০০০ রাস্তার দুর্ঘটনায় ১,৩৩,০০০ মানুষ মারা গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ছবি তুলে পাঠালেই ৫০০ টাকা পুরস্কার! অবৈধ পার্কিং রুখতে দাওয়াই গড়কড়ির

    সড়ক পরিবহণ মন্ত্রালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, ভারতে রাস্তার উন্নতি করা হয়েছে। ফলে রাস্তার পরিস্থিতি উন্নত থাকায় সাধারণ মানুষের স্বভাবতই অনেক স্পিডে গাড়ি চালানোর প্রবণতা দেখা যাবে। তাই গাড়িগুলোকেও হাই স্পিডে টেস্ট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্র্যাশ টেস্ট-এর স্পিড বাড়নো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৫৬ কিমি বেগে করা হয়, কিন্তু এখন থেকে এটিকে বাড়িয়ে ৬৪ কিমি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়াও নিতিন গডকড়ি জানিয়েছেন, আটজন লোক বহনকারী গাড়ির জন্য ছয়টি এয়ারব্যাগ (Airbag) লাগানো বাধ্যতামূলক। এর সঙ্গে স্টার-রেটিং সিস্টেম (Star Rating System) তৈরি করার প্রক্রিয়াও চলছে। এই নতুন নিয়ম কার্যকর হলে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোও গাড়িতে উন্নতমানের বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করবে, এমনটাই আশা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নতুন পদ্ধতিগুলো পরের বছরের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI 

  • NHAI Guinness Record: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    NHAI Guinness Record: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গিনেস বুকে (Guinness World Records) নাম উঠল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (National Highway Authority of India) বা সংক্ষেপে এনএইচএআই (NHAI)। পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে মাত্র ১০৫ ঘণ্টা। পাঁচ দিনেরও কম সময়ে ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি করে ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’— এ নাম উঠল NHAI-এর। এত কম সময়ে এই দীর্ঘ হাইওয়ে তৈরি করেছে বলেই রেকর্ড গড়েছে।

    দীর্ঘ ৭৫ কিমি হাইওয়ে তৈরির কাজ সফল হওয়ার কথা প্রথম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি বলেন, অমরাবতী (Amaravati) থেকে আকোলা (Akola) জেলার মধ্যে ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়কে বিটুমিনাস কংক্রিটের (Bituminous concrete) ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা ১০৫ ঘণ্টা এবং ৩৩ মিনিটে তৈরি করে গিনেস (Guinness) বুকে নাম উঠেছে NHAI-এর।  

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত হাইওয়ে তৈরির কাজ শেষ করার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে কাতারের (Qatar)। ১০ দিনে ২৫.২৭৫ কিলোমিটার একটি রাস্তা তৈরির রেকর্ড রয়েছে তাদের। সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর স্মরণে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) কর্তৃক ঘোষিত ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের’ (Azadi ka Amrut Mahotsav) তত্ত্বাবধানে এটি তৈরি করা হয়েছে।

    রাস্তা তৈরির কাজটি ৩ জুন সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে শুরু হয়েছিল, যা ৭ জুন বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে। বিটুমিনাস কংক্রিট দিয়ে নির্মিত ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক-লেন বিশিষ্ট রাস্তাটি দুই লেন বিশিষ্ট ৩৭.৫ কিমি রাস্তার সমান। এর নির্মাণে প্রায় ১৫২০ জন কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। গড়কড়ির মতে, এই রাস্তাটি কলকাতা, রায়পুর, নাগপুর, আকোলা, ধুলে, সুরাট শহরগুলিকে একত্রিত করবে। তিনি অবশেষে NHAI-এর ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সংস্থা ও কর্মীদের প্রশংসা করেছেন এত বড় সাফল্যের জন্য।

    আরও পড়ুন:স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কয়েনের বিশেষ সিরিজ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

LinkedIn
Share