Tag: nitish kumar

nitish kumar

  • Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে কোনও সুস্থ মাথার মানুষ যাঁরা রাজনীতি এবং মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চান, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এসে কাজ করতে হবে।” রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রসঙ্গ টেনে ইন্ডি জোটকে কড়া সমালোচনা করে মমতাকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের টেট এবং শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক বিষয়ে সরকারকে নিশানা করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের বক্তব্য শোনার পর নন্দীগ্রামে আজ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ইন্ডি জোট হল ছন্নছাড়া দশা।” বিহাররের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ দলের জাতীয় স্তরে দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই এই বিষয়ে দেখছেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলাটা ঠিক হবে না। সুস্থ রাজনীতি করতে গেলে মোদিজির সঙ্গে কাজ করতে পারেন। দেশকে যাঁরা ভালোবাসেন, পরিবারবাদ, দুর্নীতি এবং তোষণনীতিকে যাঁরা মান্যতা দেন না, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির কাছেই এসে কাজ করতে হবে। এটাই একমাত্র ভবিতব্য।”

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে কী বললেন?

    এদিন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “নবান্নে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদব এবং নীতীশ কুমারের সাংবাদিক বৈঠকটা ছেড়ে দেবো। সব রেডি করা আছে। সুপ্রিম কোর্টে প্যানেল জমা পড়লেই তৎপরতা বাড়ে। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় কত জন চাকরি পেয়েছে? ১৫০ টাকার ফর্ম হয়েছে ৫০০ টাকা। বেকারদের কাছ থেকে এই তৃণমূল সরকার ২৭ কোটি টাকা তুলেছে। ২ কোটি টাকা খরচ করেছে পরীক্ষার জন্য। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ফিস দিতে খরচ করা হচ্ছে। বেকারদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে তৃণমূল। ২০২২ সালের টেট আবেদনকারী ছিলেন ১০ লাখ আর ২০২৩ সালে সেই টেট আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ লাখ। চাকরি যে নেই সেটা বাংলার যুবক যুবতীরা ধরে ফেলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: চার দশকেরও বেশি সময় রাজনীতিতে রয়েছেন নীতীশ, কীভাবে হল উত্থান?

    Nitish Kumar: চার দশকেরও বেশি সময় রাজনীতিতে রয়েছেন নীতীশ, কীভাবে হল উত্থান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বিহারের ক্ষমতায় রয়েছেন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সভাপতি নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর দল কখনও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিহারে। অথচ বিভিন্ন দলের সমর্থন নিয়েই তিনি বরাবর মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ৭২ বছর বয়সী এই নেতা রাজনীতিতে রয়েছেন বিগত চার দশক ধরে।

    ১৯৫১ সালে জন্ম নীতীশের, প্রথমবার বিধায়ক হন ১৯৮৫ সালে

    ১৯৫১ সালের ১ মার্চ পাটনার উপকণ্ঠে বখতিয়ারপুর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পিতা ছিলেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীও। নীতীশ কুমার নিজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। বিহার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যা কিনা বর্তমানে পরিচিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি পাটনা নামে, সেখানেই পড়তেন নীতীশ। এই সময় থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে। সে সময়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে তাঁর অন্যতম সহকর্মী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব এবং বর্তমানে বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদি। নীতীশ কুমার প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন ১৯৮৫ সালে। সে সময়ে কংগ্রেস বিহারে ব্যাপক ফল করলেও লোকদলের প্রতীকে হারনৌথ আসনটি ধরে রাখতে সমর্থ হন নীতীশ। ঠিক পাঁচ বছর পরেই তিনি সাংসদ হয়ে দিল্লিতে যান। পরবর্তীকালে তিনি জর্জ ফার্নান্ডেজের সঙ্গে সমতা পার্টিতে যোগদান করেন এবং মণ্ডল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীকালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রীত্বে তিনি কেন্দ্রে জোট শরিক হিসেবেও কাজ করেন। সমতা পার্টি পরবর্তীকালে জনতা জলের সঙ্গে মিশে যায়।

    ২০০৫ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নীতীশ 

    ২০০৫ সাল থেকে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁর প্রথম পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ লালপ্রসাদ জমানায় বিহারের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সারা দেশে চর্চার বিষয় হয়েছিল। ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি এনডিএ ছাড়েন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের বাইরে থেকে সমর্থন নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন লড়ে নীতীশের (Nitish Kumar) দল। ব্যাপক ভরাডুবি হয় লোকসভাতে জেডি(ইউ)-এর। হারের দায় নিয়ে সেই বছরেই নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ ছেড়ে দেন তিনি এবং জিতিন রাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রী করেন। কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গেজোট করে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন নীতীশ ২০১৫ সালে। ২০১৭ সালে নীতীশ ফের এনডিএ-তে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে ফের মহাজোটে সামিল হন তিনি। আগামী বছরের বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে । তার আগে পুনরায় আবার মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে এলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: জল্পনা হল সত্যি, ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার

    Nitish Kumar: জল্পনা হল সত্যি, ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিল, তা সত্যিও হল। ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। রবিবারই বিহারের রাজ্যপালের হাতে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দেন নীতীশ। জানা গিয়েছে, বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকার আপাতত নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন, যতদিন না পর্যন্ত নতুন সরকার তৈরি হচ্ছে।

    কী বললেন নীতীশ কুমার? 

    ইস্তফা দেওয়ার পরে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) যে বিবৃতি দেন তাতে তিনি বলেন, ‘‘আমি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলাম এবং এই সরকারের এখানেই শেষ হচ্ছে। পদত্যাগের আগে আমি আমার ঘনিষ্ঠ মহলে পরামর্শ নিয়েছিলাম এবিষয়ে। আমি আগের জোট ছেড়ে নতুন একটি জোটে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। তাই আমি ইস্তফা দিলাম।’’ এরপরে তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী পদক্ষেপ আলোচনা করে ঠিক করা হবে।’’ এদিন ইস্তফা দেওয়ার পরে আরজেডি জোটের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নীতীশ কুমার। এবং বলেন, ‘‘জোটে (আরজেডি) কাজ করতে আমার খুবই সমস্যা হচ্ছিল। যখন আমি দলের কর্মী-সমর্থকদের সে কথা জানালাম, তারা তখন আমাকে পরামর্শ দিল ইস্তফা দিতে।’’

    মুখ থুবড়ে পড়ল ইন্ডি জোট

    প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী ইন্ডি জোটে প্রথম উদ্যোগ নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) নিতে দেখা গিয়েছিল। এ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য তিনি প্রথমেই আসেন নবান্নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান যে নীতীশ কুমারের পুনরায় এনডিএ শিবিরে ফিরে যাওয়াতে চরম ধাক্কা খেল ইন্ডি জোট। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সকালে বিহারের রাজ্য বিজেপি নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। সেখানে হাজির ছিলেন দলের সমস্ত বিধায়কও। এর কিছু পরে রাজভবনে পৌঁছান নীতীশ কুমার। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে বলেন, ‘‘নীতীশ কুমারের দলের সাথে বিজেপির পুনরায় জোট হচ্ছে। সমস্ত বিজেপির বিধায়ক বিধানসভায় নীতিশের দলের পাশে থাকবে। এবং এই সরকার সামগ্রিকভাবে বিহারের মানুষদের উন্নতির জন্য কাজ করবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDIA Bloc Meet: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    INDIA Bloc Meet: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। মাত্র একটি রাজ্যে জয় পেয়ে কোনওভাবে মুখ রক্ষা করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এহেন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের উপায় কী, তা স্থির করতে ইন্ডি জোটের বৈঠক (I.N.D.I.A Bloc Meet) ডাকা হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর, বুধবার। সেই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব গরহাজির থাকতে পারেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। তার পরেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। তবে ওই বৈঠক কবে হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

    পিছল ইন্ডি জোটের বৈঠক

    তিন রাজ্যে গৈরিক নিশান ওড়ায় ছত্রখান বিরোধী জোট! ইন্ডি জোটের অন্দরে ক্রমেই চওড়া হতে শুরু করেছে ফাটল। সোমবার জোটের অন্যতম অংশীদার তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি ওই বৈঠকে (I.N.D.I.A Bloc Meet) থাকছেন না। এর পর আজ মঙ্গলবার, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবও ৬ ডিসেম্বর ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির থাকতে পারেন বলে খবর পান উদ্যোক্তারা। তার পরেই পিছিয়ে দেওয়া হয় বৈঠক। নতুন বছরের মার্চ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির দিল্লির তখতে ফেরা রুখতে ইন্ডি জোট গড়ে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। শুরু থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধরেছে ফাটল। সম্প্রতি চওড়া হয়েছে সেই ফাটল।

    জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন

    রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসকে গোহারা হারিয়ে গৈরিক নিশান উড়িয়েছে বিজেপি। ভোটে হারের কারণ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী রণনীতি আলোচনা করতে বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছিল। এখন তিন দলের প্রধান উপস্থিত থাকবেন না জেনে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈঠক (I.N.D.I.A Bloc Meet)। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও আমন্ত্রণ পাননি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও জানিয়েছেন, বৈঠকে যাচ্ছেন না তিনি। গরহাজির থাকছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও। প্রত্যাশিতভাবেই ইন্ডি জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। 

    আরও পড়ুুন: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    তিন রাজ্যে কংগ্রেস কুপোকাত হতেই হারের দায় ঝাড়তে উঠেপড়ে লেগেছেন ইন্ডি জোটের নেতাদের একাংশ। মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়। আসন সমঝোতা হলে এই ফল হত না।” ইন্ডি জোটের (I.N.D.I.A Bloc Meet) আর এক শরিক কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লা বলেন, “রাজ্যগুলির নির্বাচনে ইন্ডি জোটের যা অবস্থা, ভবিষ্যতেও যদি একই রকম চলতে থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পারব না।” তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পারেনি কংগ্রেস।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের প্রধান শক্তি কংগ্রেস। কারণ একমাত্র এই দলটিরই অস্তিত্ব রয়েছে গোটা দেশে। সেই কংগ্রেসকেও দুষছেন জেডিইউ মুখপাত্র কেসি ত্যাগী। তিনি বলেন, “এটা কংগ্রেসের পরাজয়। ওরা জোটের কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, সাহায্য চায়নি। ওরা নিজেদের ক্ষমতায় বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। যা আসলে ছিল দিবাস্বপ্ন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে কখনও বিজেপির হাত ধরেছেন নীতিশ (Nitish Kumar) তো কখনো বা আরজেডির। বর্তমানে আরজেডির সঙ্গে জোটে থাকা নীতিশের কি দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে? কারণ বৃহস্পতিবার বিহারের মতিহারিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে বিজেপির প্রশংসা করতে শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। তার সঙ্গে নিতীশের আরও বার্তা ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশে, যে তাঁর সঙ্গে এখনও বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায়নি বিজেপির। এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে সারা দেশজুড়ে। 

    মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিশ

    রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মূর পাশে বসে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা শানিয়েছেন নীতিশ (Nitish Kumar)। এর পাশাপাশি বর্তমান মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকার বিহারে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারের কাছে আমি আবেদনও জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য। তবে সেসময় আমার কোনও আবেদনই মান্যতা পায়নি। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবেদন মান্যতা পায়। ২০১৬ সালে মতিহারিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়।’’ এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিহারের বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশে নীতিশ বলেন যে যতদিন বেঁচে থাকবো সবার সম্পর্কে বজায় থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজও করব।

    দূরত্ব বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে?

    নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার পদ্ম শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম নিয়েই প্রথম থেকে ক্ষুদ্ধ ছিলেন নীতিশ (Nitish Kumar)। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নাম ঠিক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  বিরোধী জোট করার ক্ষেত্রে প্রথমে তৎপর হয়েছিলেন নীতিশই এবং সেই মতো তিনি কলকাতাতে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাও সারেন নবান্নে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নীতিশের নাম ঘোষণা না হওয়াতেও তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ‘‘‘আর কোথাও যাব না’’, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বললেন নীতীশ

    Nitish Kumar: ‘‘‘আর কোথাও যাব না’’, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বললেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ শিবিরে ভিড়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহারে ফের তৈরি হয়েছে বিজেপি জোটের সরকার। পুরনো ঘরে প্রত্য়াবর্তন করতেই শপথের দিনে তাঁকে (নীতীশ কুমার) অভিনন্দন জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করলেন নীতীশ। বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সাক্ষাতের পর নীতীশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, আর কখনও এনডিএ ছাড়বেন না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জেডিইউ প্রধান। সেখানেই নীতীশ জানান, ১৯৯৫ সাল থেকেই বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিল তাঁর দল। ২০১৩ সালের পর দু’বার বিচ্ছেদ হলেও, তিনি আর কখনও এনডিএ ছেড়ে যাবেন না। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৫ সাল থেকে এনডিএ জোটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। এর আগে আমি দু’বার জোট ছেড়েছি ঠিকই, কিন্তু এ বার আমি চিরকালের জন্য এনডিএ-তে যোগ দিলাম। আর আমি কোথাও যাব না।’’ নীতীশ জানান, বিহারের সরকার ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। বুধবার নীতীশের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি ও বিজয় সিনহা।

    ইন্ডি জোটের কাণ্ডারী ছিলেন নীতীশ

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজ প্রথম শুরু করেন নীতীশ কুমারই (Nitish Kumar)। কলকাতাতে তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে করে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকও করেন নীতীশ। এরপর পাটনাতে তাঁরই তাঁরই উদ্যোগে প্রথম বৈঠক হয় জোটের। কিন্তু ক্রমশ দূরত্ব ও মতবিরোধ বেড়েই চলছিল আরজেজির সঙ্গে। গত মাসেই বিহারের সরকারে ফের পালাবদল হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন।

    ১২ ফেব্রুয়ারি আস্থা ভোট বিহারে

    প্রসঙ্গত, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিহারের বিধানসভায় আস্থাভোট রয়েছে। বিজেপির সমর্থনে বিধানসভায় নীতীশের জেতা কেবল সময়ের অপেক্ষা। বিজেপির সমর্থনে নতুন সরকার গঠন করার পর নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে ৮ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিজেপির দুই ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীও ছিল। বাকি মন্ত্রী পরিষদ গঠন এখনও বাকি। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের শরিক বিজেপি ও জেডি(ইউ) ১৭টি করে আসনে লড়েছিলেন। লোক জনশক্তি দল ৬টি আসনে লড়েছিল। মিলেছিল অভুতপূর্ব সাফল্য। ৪০ আসনের মধ্যে ৩৯ আসন জিতেছিল বিজেপি জোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ১০ ফেব্রুয়ারি নীতীশের আস্থা ভোট, আনা হবে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থাও

    Nitish Kumar: ১০ ফেব্রুয়ারি নীতীশের আস্থা ভোট, আনা হবে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় আস্থা ভোটের সম্মুখীন হবেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিহার বিধানসভায় স্পিকার পদটি রয়েছে আরজেডির। জানা গিয়েছে, ওই দিনই বিধানসভার স্পিকার তথা আরজেডি নেতা আবধবিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। সূত্রের খবর, দু’টি প্রস্তাব একই দিনে আনা হবে তবে তা উঠবে পৃথকভাবে।

    সোমবার রাতেই বৈঠকে বসেন নীতীশ

    রবিবার সকালেই আরজেডি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ কুমার। ওই দিন বিকালেই এনডিএ-এর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতীশ (Nitish Kumar)। ঠিক তার ১ দিন পরেই সোমবার রাত ৮টায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১ অ্যান মার্গে নীতীশ কুমারের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় কুমার সিনহাও। সোমবার রাতের ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্পিকার স্বেচ্ছায় ইস্তফা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।

    নীতীশের পক্ষে ১২৮ বিধায়ক

    এর আগে রবিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) জানিয়েছিলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি বিহার বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হবে। তবে সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই বৈঠক ডাকা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। প্রসঙ্গত, এনডিএ শিবির থেকে গত ২৮ জানুয়ারি স্পিকার অবধবিহারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেননি। জানা গিয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথমে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। তাঁকে পদ থেকে সরানোর পরেই নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সরকার সদনে আস্থা ভোট চাইবে। প্রসঙ্গত, সদনে নীতীশ কুমারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাঁর পক্ষে রয়েছেন ১২৮ বিধায়ক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা অটূট থাকছে ধরে নেওয়া হলে, সদনে সহজেই আস্থা ভোটে জিততে চলেছেন নীতীশ কুমার।

    আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনে যোগ, রাজ্যসভার ১১ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেন ধনখড়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নীতীশকে শুভেচ্ছা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: নীতীশকে শুভেচ্ছা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগটবন্ধন ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার নবমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন। এদিন বিকেলেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া বার্তায় তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং দুই উপমুখ্যমন্ত্রীকে।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা নীতীশকে

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী, বিহারে নবগঠিত এনডিএ সরকার রাজ্যের উন্নয়ন ঘটাবে এবং মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সব রকম চেষ্টা করবে। প্রসঙ্গত, এদিনই নীতীশের সঙ্গে সঙ্গে শপথ নিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয় কুমার সিংহ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিহারে আমাদের পরিবারের সদস্যদের সেবা করবে এই টিম। এ বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।” গত এক দশকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য দল বদল করলেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নবম বার। তাঁর এই ভোল বদলের জেরে নয়া উপাধিও পেয়ে গিয়েছেন নীতীশ – পল্টু কুমার বা পল্টুমার।

    কী বললেন প্রশান্ত কুমার?

    ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কুমার বলেন, “আমি প্রথম থেকেই বলে (PM Modi) আসছি নীতীশ কুমার যে কোনও সময় ভোল বদল করতে পারেন। এটা তাঁর রাজনীতিরই অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনা দেখিয়ে দিল, বিহারের সব দল এবং নেতা পল্টুমার।” তিনি বলেন, “বিজেপি-সঙ্গ ছাড়ায় পদ্ম নেতারা বলেছিলেন নীতীশের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধ হয়ে গেল। শনিবারও তাঁকে (নীতীশকে) গালমন্দ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁরাই তাঁকে এখন সুশাসনের প্রতীক বলে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন। আরজেডি, যারা তাঁকে ভবিষ্যতের নেতা আখ্যা দিয়েছিলেন, তাঁরা এবার বিহারে দুর্নীতি খুঁজে পাবেন।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে এ নিয়ে পাঁচ বার শিবির বদলালেন ৭২ বছরের নীতীশ (Nitish Kumar)। শেষ বার, ২০২২ সালে এনডিএ ছেড়ে মহাজোটে যোগ দেন তিনি। লালুর দল আরজেডির সঙ্গে সরকার গড়েন। তার দু’বছর আগেই মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ বার ফের মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এদিন পদত্যাগ করেই ফের এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতীশ। অথচ বিজেপি-বিরোধী ইন্ডি জোট গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা তিনিই। সেই তিনিই বিজেপি জোটে ফেরায়, বিহারে কার্যত চোখে অন্ধকার দেখছেন (PM Modi) ইন্ডির নেতারা।

    আরও পড়ুুন: “শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা বিকশিত ভারতের অংশ”, সুপ্রিম কোর্টের জন্মদিনে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nitish Kumar: পদ্ম শিবিরে ফিরছেন নীতীশ, মন্ত্রিসভায় কারা?

    Nitish Kumar: পদ্ম শিবিরে ফিরছেন নীতীশ, মন্ত্রিসভায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগটবন্ধন সরকারের ঘাটের জল খেয়ে ফের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ভিড়তে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রবিবার সকালের মধ্যেই ভোল বদলাতে পারেন নীতীশ। ইতিমধ্যেই সরকার থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির মন্ত্রীদের সরিয়ে বিজেপির কাদের মন্ত্রী করা হবে, তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ইন্ডি জোট দুরমুশ

    নীতীশের সঙ্গে পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে পারেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়কও। যদি তা হয়, তাহলে বিহারে যে নির্বাচনের আগেই ইন্ডি জোট দুরমুশ হয়ে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। তাঁরা যে নীতীশের (Nitish Kumar) পক্ষেই, তা জানিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন বিহারের বিজেপি বিধায়করা। ২০২২ সালের অগাস্টে বিজেপি-সঙ্গ ছেড়ে নীতি নির্বাসনে দিয়ে নীতীশ যোগ দিয়েছিলেন মহাগটবন্ধনে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি আবারও ফিরছেন এনডিএ শিবিরে।

    ধরলেন না সোনিয়ার ফোন!

    নীতীশের দলবদল এই প্রথম নয়। ২০১৩ সাল থেকে বারে বারে তিনি দল বদলেছেন পোশাক বদলের মতো। রাজনৈতিক মহলে তিনি ‘বদলুরাম’ নামে পরিচিত। রবিবার নীতীশ দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন। তার পরেই ঘোষণা করতে পারেন দলবদলের বিষয়টি। দল বদলের বিষয়ে বছর বাহাত্তরের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। বিজেপিকে পরাস্ত করতে পদ্ম-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ইন্ডি জোট গড়ার অন্যতম কারিগর নীতীশই। সেই নীতীশই যখন এনডিএ শিবিরে ফিরছেন বলে খবর ছড়ায়, তখনই তড়িঘড়ি তাঁকে ফোন করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, সোনিয়ার সেই ফোন ধরেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, ইলেকশন ইন-চার্জ ঘোষণা নাড্ডার, বাংলার দায়িত্বে কে?

    সূত্রের খবর, রবিবারই নবম বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বিজেপির সুশীল মোদিকে। নীতীশ নতুন করে শপথ নিলে মন্ত্রী হতে পারেন হাওড়ার বধূ রেণু দেবী। বেতিয়ার এই বিজেপি নেত্রী বিবাহ সূত্রে দীর্ঘদিন ছিলেন হাওড়ায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর ফিরে যান বেতিয়ায়। সূত্রের খবর, ২০২৫ সাল পর্যন্ত নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দিতে চায় বিজেপি। ওই বছরের শেষের দিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। সে পর্যন্ত নীতীশেই আস্থা রাখছে বিজেপি (Nitish Kumar)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বিহারে রাজনৈতিক সংকট, বাংলা সফর বাতিল করলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: বিহারে রাজনৈতিক সংকট, বাংলা সফর বাতিল করলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতিল হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাংলা সফর। রবিবারই তাঁর কলকাতায় পা রাখার কথা ছিল। সোমবার একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শাহের। যারমধ্যে সায়েন্স সিটির নাগরিক কনভেনশন, বারাসাত ও মেচেদাতে কর্মীসভাও ছিল। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে সেই সভা বাতিল হল। তার কারণ ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এবং সেখানে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আবার বিজেপির সহযোগী হতে পারেন বলে খবর ছড়িয়েছে।

    বিহার সফরে অমিত শাহ?

    শোনা যাচ্ছে, আজ শনিবারই বিহারের রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা করতে পারেন নীতীশ। সুত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে, রবিবার জেডি(ইউ) পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ কুমার। মনে করা হচ্ছে সোমবারই বিজেপির সমর্থন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন তিনি। বিহারের এমন পরিস্থিতিতে সে রাজ্যে সফর করতে পারেন অমিত শাহ এবং সে কারণেই তাঁর বাংলা সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর সবটাই অনুমান। তার কারণ অমিত শাহের (Amit Shah)  বঙ্গ সফর বাতিল নিয়ে কোনও রকমের কারণ এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।

    গত ২৯ নভেম্বর কলকাতায় সভা করেন অমিত শাহ

    এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। সে সময়ে ধর্মতলায় এক বড় জনসভায় বক্তব্য রাখেন শাহ। লোকসভা ভোটের আগে এমনিতেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি ও সন্ত্রাস ইস্যুতে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। ঠিক এই আবহে দলীয় কর্মীদের অক্সিজেন দিতে ফের আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah) । তবে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হল। তবে লোকসভা ভোটের আগে বেশ কয়েকবার তিনি বাংলা সফর করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share