Tag: nitish kumar

nitish kumar

  • Nitish Kumar: রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই বিহারে বদলি করা হল ৪৭৮ জন আমলাকে

    Nitish Kumar: রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই বিহারে বদলি করা হল ৪৭৮ জন আমলাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টালমাটাল বিহারের (Nitish Kumar) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় ৪৭৮ জন আমলাকে বদলি করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এঁদের মধ্যে সার্কেল অফিসার এবং রাজস্ব দফতরের পদস্থ কর্মীরাও রয়েছেন। ট্রান্সফারের এই কাজটি করেছে রাজস্ব ও ভূমি রাজস্ব দফতর। সূত্রের খবর, বদলির কাজটি হয়েছিল গত জুন মাসে।

    নীতীশ ফিরছেন এনডিএ শিবিরে!

    যদিও নানা সমস্যায় এতদিন কার্যকর হয়নি সেই নির্দেশ। ঘটনার পরেই জল্পনা ছড়ায় ‘মহাগটবন্ধন’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ। হাত মেলাতে পারেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে। বছর দেড়েক আগে এই জোট ছেড়েই নীতীশ ভিড়েছিলেন মহাগটবন্ধনে। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার নীতীশ হাত ধরতে পারেন বিজেপি নেতৃ্ত্বাধীন জোটের। শুক্রবারই ২২ জন আইএএস, ৭৯ আইপিএস এবং বিহার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভের ৪৫ জন আধিকারিককে বদলি করেছিল রাজ্য সরকার (Nitish Kumar)। পাঁচ জেলাশাসককেও বদলি করা হয়েছিল। তার পর শনিবার বদলি করা হল ৪৭৮ জনকে।

    কাকে কোথায় বদলি 

    জানা গিয়েছে, পাটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংকে স্পেশাল সেক্রেটারি করে নিয়ে আসা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে। তিনি ২০১০ ব্যাচের আইএএস অফিসার। কিছুদিন আগে স্টেট এডুকেশন দফতরের সঙ্গে বিবাদের জেরে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ২০১১ ব্যাচের আইএএস অফিসার কপিল অশোককে। তিনি কারা দফতরের আইজি। ২০১৩ ব্যাচের আইএএস অফিসার নওল কিশোর চৌধুরী। তিনি গোপালগঞ্জের জেলাশাসক। তাঁকে ভাগলপুর জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আবার ভাগলপুরের জেলাশাসক সুব্রত কুমার সেনকে দেওয়া হয়েছে মুজফফরপুরের দায়িত্ব। তিনি ২০১৩ ব্যাচের আইএএস।

    আরও পড়ুুন: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’ তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    এনডিএ শিবির ছেড়ে আসা নীতীশের দল বদলের ‘অভ্যাস’ বহু পুরানো। ২০১৫ সালে আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেছিলেন নীতীশ। পরে হাত ধরেন বিজেপির। সেবার এভাবেই তিনি বাঁচিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে গিয়েছিলেন বিজেপিকে আঁকড়ে ধরে। পরে ফের শত্রুতা ভুলে হাত ধরেন লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির। আবারও ভিড়েন বিজেপি শিবিরে। বছর দেড়েক আগে বিজেপির পাট চুকিয়ে মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তিনি (Nitish Kumar) ঝুঁকছেন বিজেপির দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: নীতীশ নিয়ে বিপাকে ‘মহাজোট’, সরকার বাঁচাতে সপ্তাহান্তে ছোটাছুটি আরজেডির

    Nitish Kumar: নীতীশ নিয়ে বিপাকে ‘মহাজোট’, সরকার বাঁচাতে সপ্তাহান্তে ছোটাছুটি আরজেডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার ফের বিপাকে আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেস ‘মহাজোট’। গত কয়েকদিন ধরে বিহার-জুড়ে জোর জল্পনা, মহাজোটের সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে ফিরতে চলেছেন জেডিইউ-র সর্বেসর্বা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এই নিয়েই বিহারের রাজনীতিতে (Bihar Politics) এখন তোলপাড়। চারদিকে ছোটাছুটি পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। কোথাও সরকার বাঁচানোর চেষ্টা, তো কোথাও নতুন সরকার গড়ার প্রয়াস।

    আসনেই লুকিয়ে রসায়ন…

    বিহারে বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। আরজেডির রয়েছে ৭৯টি আসন। জেডিইউয়ের হাতে রয়েছে ৪৫টি আসন। বিজেপির রয়েছে ৭৮টি আসন। এছাড়াও বিহারে কংগ্রেসের ১৯ ও বামেদের ১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন (Bihar Politics)। এনডিএ শরিক জিতেন রাম মানঝির হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার ৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। আরজেডির সঙ্গে যদি কংগ্রেস ও বামেদের বিধায়ক সংখ্যা যোগ করা যায়, তাহলে মোট সংখ্যা ১১৪-তে পৌঁছে যায়, যা ম্যাজিক ফিগারের থেকে আট কম। অন্যদিকে, নীতীশ (Nitish Kumar) যদি এনডিএ-তে যোগ দেন, সেক্ষেত্রে বিজেপির ৭৮-এর সঙ্গে জেডিইউ-এর ৪৫ ও হাম-এর ৪ যোগ করলে সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ১২৭-এ। যা ম্যাজিক ফিগার থেকে পাঁচ বেশি। এদিকে, জিতেন রাম মানঝির সঙ্গে কথা বলে লালু প্রসাদ যাদব তাঁর ছেলেকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও জিতেন রাম মানঝি বলেছেন, তিনি এনডিএ-র সঙ্গে আছেন, তাদের সঙ্গেই থাকবেন।

    রাজনৈতিক নেতাদের ছোটাছুটি…

    এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহান্তে পর পর বৈঠক ও কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত বিহারের রাজনৈতিক দলগুলি (Bihar Politics)। একদিকে, নীতীশকে (Nitish Kumar) আটকানোর রণকৌশল নির্ধারণ দলের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা ও লাল-পুত্র তেজস্বী যাদব। আজ, শনিবার ও রবিবার— এই দুদিন মহাজোটের কাছে ‘অ্যাসিড-টেস্ট’ হতে চলেছে। সূত্রের খবর, আরজেডির শীর্ষ নেতৃত্ব তেজস্বীর বাসভবনে মিলিত হতে চলেছেন। শুক্রবারের বৈঠকে তেজস্বী দলীয় নেতাদের জানান যে, গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেন। মহাজোট থেকে আরজেডি-র সমর্থন তুলে নেওয়া উচিত বলে প্রস্তাব পেশ করেন কয়েকজন নেতা। কিন্তু, তেজস্বী নেই প্রস্তাব খারিজ করেন। পরিস্থিতি বিচার করতে বৈঠকে ব্যস্ত বিজেপিও। শনিবার ও রবিবার কার্যনির্বাহী বৈঠক ডেকেছে বিহার বিজেপি। অন্যদিকে, বিহার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ণিয়াতে শনির দুপুরে বৈঠকে বসছে দলের বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়করা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: মোদির হাত ধরেই ফিরবেন? নীতীশের এনডিএ-যোগ নিয়ে জল্পনা তীব্র

    Nitish Kumar: মোদির হাত ধরেই ফিরবেন? নীতীশের এনডিএ-যোগ নিয়ে জল্পনা তীব্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের এনডিএতেই যোগ দিচ্ছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রাজনৈতিক মহলে এমনই গুঞ্জন।  সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে নাকি আসনরফাও হয়ে গিয়েছে বিজেপি এবং নীতীশের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর। যোগদান এখন সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যেতে পারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের বেতিয়ায় প্রচার র‌্যালি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা যেতে পারে নীতীশ কুমারকে। সেখান থেকেই হয়তো ফের শিবির বদলের ঘোষণা করতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

    ইন্ডি জোট ছাড়ছেন নীতিশ

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা এবং পাঞ্জাবে একাই লড়বে তাঁদের দল। এমতাবস্থায় ইন্ডি জোট ছাড়ার পথে নীতীশও (Nitish Kumar)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পাটনায় নিজের দলের সকল বিধায়ককে ডেকে পাঠিয়েছেন নীতীশ (JDU-NDA  Alliance)। সেখানে বসেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। নীতীশ এনডিএতে যোগ দিলে দু’টি সম্ভাবনা খোলা থাকবে। এক, বিধানসভা ভেঙে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বিহারে আবারও বিধানসভা নির্বাচন করানো। নয়তো, নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দেওয়া। বিহারে বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। আরজেডির রয়েছে ৭৯টি আসন। জেডিইউয়ের হাতে রয়েছে ৪৫টি আসন। বিজেপির রয়েছে ৮২টি আসন। বিজেপির হাত ধরলে অনায়াসেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যেতে পারে নীতীশের দল।

    আরও পড়ুন: ইউপিআই কী? ‘চায়ে পে চর্চা’য় মাক্রঁকে বোঝালেন মোদি

    ফের এনডিএ-তে যোগ

    ২০১৩ সাল থেকে এই নিয়ে পাঁচ বার শিবির বদলালেন ৭২ বছরের নীতীশ (Nitish Kumar)। শেষ বার, ২০২২ সালে এনডিএ ছেড়ে মহাজোটে যোগ দেন তিনি। লালুর দল আরজেডির সঙ্গে সরকার গড়েন। তার দু’বছর আগেই মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ বার ফের মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে। বিজেপি সূত্রে খবর, বিহারের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। সুশীল মোদি ও সম্রাট চৌধুরী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তারপরই হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Slams Nitish: পুজোর ছুটিতে কাঁচি, ইদে তিনদিন স্কুলে ছুটি! বিহারকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’ কটাক্ষ বিজেপির

    BJP Slams Nitish: পুজোর ছুটিতে কাঁচি, ইদে তিনদিন স্কুলে ছুটি! বিহারকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’ কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুজোতে স্কুলের ছুটির দিনে কাটছাঁট করে দিল বিহারের স্কুল শিক্ষা দফতর। উল্টোদিকে, দুই ইদে তিনদিন করে ছুটির (School Holidays) কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মুসলিমদের দুই পরবে মোট ছয়দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP Slams Nitish) নেতৃত্ব। রাজ্যের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, লালু প্রসাদ ও নীতীশ কুমার মিলে রাজ্যটিকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অফ বিহার’ বানিয়ে ফেলছেন। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে নীতীশকে ‘তোষণ সম্রাট’ বলে কটাক্ষ করেন।

    ভোটের জন্য তোষামোদ

    বিহার সরকারের শিক্ষা দফতরের বক্তব্য, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ২২০ দিন স্কুল খোলা রাখতেই ছুটির তালিকায় অদলবদল করতে হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট বিহার সরকারের আর একটি সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তখন শিক্ষা দফতর বছরের বাকি দিনগুলিতে প্রাপ্য কুড়িটি ছুটি কমিয়ে আটটি করে দিয়েছিল। বিতর্কের মুখে সেই নির্দেশিকা বাতিল করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের স্কুলের ছুটির ক্য়ালেন্ডার প্রকাশ্য়ে এসেছে। এরপরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য ভেসে আসছে। এই নতুন ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছ সব মিলিয়ে ৬০দিন ছুটি রয়েছে। (BJP Slams Nitish) তার মধ্য়ে তিনদিন করে ঈদ আর বকরিদের জন্য। দুর্গাপুজো আর ছটের জন্য় যেমন ছুটি তেমন ওই পরবের জন্য়ও ছুটি। অন্যদিকে, দুটি হিন্দু পরব হরতালিকা তিজ এবং জিতিইয়ার ছুটি কমানো হয়েছে।

    রাজনৈতিক মহলের দাবি, নীতীশ কুমারের সরকার ভোটের জন্য একটা সম্প্রদায়কে তোষামোদ করছে। বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদির দাবি, হিন্দুদের সেন্টিমেন্টকে আঘাত করা হয়েছে। মুসলিমদের উৎসবে ছুটির দিন এভাবে বাড়িয়ে দেওয়া আর হিন্দুদের উৎসবে কমিয়ে দেওয়া এর পেছনে কোনও যুক্তি নেই (BJP Slams Nitish)।

    আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে এসি কোচ! ডিসেম্বরেই শিয়ালদা শাখায় চালু নতুন পরিষেবা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: জন্মনিয়ন্ত্রণ-নারীশিক্ষা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন নীতীশ কুমার

    Nitish Kumar: জন্মনিয়ন্ত্রণ-নারীশিক্ষা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন নীতীশ কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মনিয়ন্ত্রণ ও নারীশিক্ষা নিয়ে বলতে গিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। বুধবার বিধানসভায় বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখেও পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। শেষমেশ বাধ্য হন ক্ষমা চাইতে। নীতীশ বলেন, “আমার কথায় যদিও কারও আঘাত লেগে থাকে, তাহলে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আর যাঁরা আমার ভুল ধরিয়ে দিয়ে সমালোচনা করেছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই।”

    কী বলেছিলেন নীতীশ?

    নীতীশের মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের জন্ম হয় বিধানসভায়, মঙ্গলবার। এদিন জন্ম নিয়ন্ত্রণে নারীশিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে অকৃতদার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিয়ের পর থেকে পুরুষরা রোজ রাতে সঙ্গমে ইচ্ছুক থাকে। মেয়েরাই পারেন তাঁদের সংযত করতে। তাতেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ।” তিনি (Nitish Kumar) বলেন, “বিহারে নারীশিক্ষার প্রসার হয়েছে। শিশুকন্যা যদি শিক্ষিত হয়, তাহলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণও সহজ হবে। মেয়েদের বিয়ে হলে স্বামীরা রোজ রাতে সঙ্গমে মিলিত হতে চায়। তাতে করে একটি করে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু পড়াশোনা জানা মেয়েরা সেটা আটকাতে পারে। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকানো অনেক সহজ হয়ে পড়বে।” এর পরেই সভায় শুরু হয় হট্টগোল।

    কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির 

    বিজেপির মহিলা নেত্রী নিক্কি হেমব্রম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একটু পরিশীলিত ভাষায় বললে কী ক্ষতি হত! মহিলাদের সম্পর্কে কোনও সম্মানজ্ঞান নেই তাঁর।” মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “নারী স্বাধীনতা ও মহিলাদের পছন্দ-অপছন্দের ক্ষেত্রে এই জাতীয় মন্তব্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।” নীতীশের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানায় কমিশন। দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের চেয়ারপার্সন স্বাতি মালিওয়ালও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন।

    ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে এদিন বিধানসভায় নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “আমি আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। আমার মন্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি শুধু নারীশিক্ষার কথা বলেছি। আমার বক্তব্যে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

    আরও পড়ুুন: এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ জয়ের, কী জানালেন থানায়?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Narendra Modi: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Narendra Modi: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা চলছে। সোমবার গোয়লিয়রে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এই অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁর কথায়, আগেও  দেশকে জাতপাতের নামে ভাগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও তা চলছে। দেশকে জাতপাতের ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা মহাপাপ।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে জনসভা থেকেই বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে মোদি বলেন, ‘‘বিরোধীরা জাতের নামে দেশকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। বর্ণের মাধ্যমে বিভাজনের চেষ্টা চালানো পাপ।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা দরিদ্রদের অনুভূতি নিয়ে খেলত। আজও একই খেলা খেলছে। আগেও তারা জাতির নামে দেশভাগ করছে এবং আজও একই পাপ কাজ করছে। আগে ওরা দুর্নীতিতে দোষী হয়েছিল এবং আজ আরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।’’ এই ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব মোদি বলেন, “মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই জাতির ভিত্তিতে সমীক্ষা করবে এবং ওবিসিদের সংখ্যা জানবে…।” এর ফলে ওবিসিদের সংরক্ষণ কমতে পারে বলেও আশঙ্কাবার্তা দেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: লাইনে পাথর, লোহার রড! চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়াল বন্দে ভারত

    কেন এই মন্তব্য মোদির

    উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীনই সোমবার বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। নীতীশ কুমারের রাজ্যে অতি পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে পড়েছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ, পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে রয়েছেন ২৭.১ শতাংশ। সবেমিলিয়ে রাজ্যে পিছিয়েপড়া মানুষ রয়েছে ৬৩.১ শতাংশ। বিহারের ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে তপসিলি জাতির মানুষ রয়েছেন ১৯.৭ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও তপসিলি উপজাতিভূক্ত মানুষ রাজ্যের ১.৭ শতাংশ। রাজ্যে জেনালের ক্যাটিগোরির মানুষ মাত্র ১৬ শতাংশ। রাজ্যে ভূমিহারের হার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, মুখ্যমন্ত্রী জাতি কুড়মিরা রয়েছেন ২.৮৭ শতাংশ।  এর পরেই নাম না করে বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) নরেন্দ্র মোদি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Poll: ‘প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, দেশের ভালই লক্ষ্য’! অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক শেষে দাবি নীতীশের

    Loksabha Poll: ‘প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, দেশের ভালই লক্ষ্য’! অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক শেষে দাবি নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, দেশের জন্য ভাল করাই লক্ষ্য। সোমবার লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। দেশের ‘গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Poll) যৌথভাবে কাজ করার বার্তা দিলেন অখিলেশও।

    নীতীশের বার্তা 

    তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে নিয়ে লখনউ-এ যান নীতীশ। আগামী লোকসভা ভোটে (Loksabha Poll) বিরোধী জোটের বার্তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করলেন তাঁরা। বৈঠকের পর নীতীশ বলেন, ‘‘আমার ক্ষমতা ও পদের কোনও লোভ নেই, দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে যাব আমি। আজ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, আমি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার নই।’’ তাহলে বিরোধী জোটের মুখ কে? এই প্রশ্নের উত্তরে জেডি (ইউ) নেতা বলেন, ‘‘যে দিন আমরা এক মঞ্চে আসব, সে দিন আমাদের নেতাও বেছে নেব।’’

    অখিলেশের কথা 

    সমাজবাদী পার্টির প্রধান বলেন, “আমরা অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একসঙ্গে কাজ করব। বিশেষত, আসন্ন লোকসভা ভোটের (Loksabha Poll) প্রস্তুতিতে আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে কাজ করব।” এরপরই জেডি (ইউ) প্রধানের জোট-বার্তাকে স্বাগত জানিয়ে অখিলেশের মন্তব্য, “গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে আমরা আপনার সঙ্গে আছি।” 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    মমতার মত 

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে নবান্নে বৈঠক শেষে মমতা এবং নীতীশ-তেজস্বী বিরোধী ঐক্য আরও জোরদার করার ডাক দেন। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নীতীশজিকে অনুরোধ করছি, আপনি পাটনায় একটা বিরোধী বৈঠক ডাকুন।” আগামী বছর লোকসভা ভোটে (Loksabha Poll) বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে কাউকে মেনে নিতে তাঁর যে আপত্তি নেই, সে ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও ইগো নেই। আমরা সবাই এক।” তবে, রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিরোধী ঐক্য নিয়ে যতই প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করুন মমতা-নীতীশ-অখিলেশ, বাস্তবে তা কতটা প্রতিফলিত হবে তা- সময় বলবে। অতীতেও বহুবার জোট-জল্পনা শেষ সময়ে এসে ভেস্তে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে ফের বৈঠকে মমতা-নীতীশ, দোসর তেজস্বী

    Nitish Kumar: বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে ফের বৈঠকে মমতা-নীতীশ, দোসর তেজস্বী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের মধ্যে কোনও ইগো নেই। আমরা সবাই এক। সোমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, আমরা সবাই এক সঙ্গে আছি। আমি নীতীশজিকে বলেছি, সব বিরোধী দলকে নিয়ে বিহারে একটি বৈঠক ডাকতে। তিনি বলেন, প্রচার, সভা সেসব তো পরে হবে, আগে একটা ঘরোয়া বৈঠক করে বার্তা দিতে হবে যে সবাই এক সঙ্গে রয়েছি।

    নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) বলেন…

    তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, নীতীশজিকে আমি বলেছি, আমি চাই বিজেপি শুধু শূন্যে নেমে যাক, আর কিছু চাই না। এখানে ব্যক্তিগত কোনও ইগোর লড়াই নেই। দেশের মানুষ বিজেপির সঙ্গে লড়বে। সব দল এক সঙ্গে লড়বে। শুধু মিথ্যে প্রচার, ভিডিও বানিয়ে হিরো হয়ে আছে। নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, সব দলের একজোট হয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। নিজেদের মধ্যে কথা বলা উচিত, যাতে দেশের ভাল হয়। তিনি বলেন, যাঁদের হাতে এখন ক্ষমতা রয়েছে, দেশের ভালয় তাঁদের কিছু যায় আসে না। এখন দেশের উন্নয়ন কিছু হচ্ছে না। নীতীশ বলেন, আজ খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এর পরে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা অন্য দলগুলির সঙ্গেও আলোচনায় বসব।

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    এর আগেও একাধিকবার বিজেপিকে হারাতে একজোট হওয়ার চেষ্টা করেছেন বিরোধীরা। প্রতিবারই তা ভেঙে গিয়েছে নেতৃত্ব কে দেবেন, সেই প্রশ্নে। তৃণমূল নেত্রী মমতাও বারংবার চেষ্টা করেছেন বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার। নবীন পট্টনায়েক, অখিলেশ যাদবদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। তার পরেও দানা বাঁধেনি বিরোধী জোটের ধারণা। মমতার পরে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে উদ্যোগী হয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশও (Nitish Kumar)। দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গেও। এদিন মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে নীতীশের। তবে নীতীশের নেতৃত্ব মেনে বিরোধীরা একজোট হবেন কিনা, তা বলবে সময়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিষমদের জেরে বিহারে (Bihar) মৃত্যু মিছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে মতিহারি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এই জেলার লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর ও হরিসিদ্ধির মতো গ্রামগুলিতে অনেকে বিষ মদ পান করেন বলে অভিযোগ। বিষমদ খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৮। মদ নিষিদ্ধ রাজ্যে এই ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নীতীশ কুমারের জোট সরকার।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    বিহার (Bihar) সরকার ২০১৬ থেকে ওই রাজ্য়ে মদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও এভাবে বিষাক্ত মদ খেয়ে এতজনের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে ইতিমধ্যেই তির ছুঁড়তে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন সম্প্রতি বিহারের সরন জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ঘটনা। 

    তদন্তে বিশেষ দল

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই এলাকার হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিহার প্রশাসনের। মতিহারির বিষমদকাণ্ডের তদন্ত করছে পাঁচ পুলিশ অফিসারের একটি বিশেষ টিম। দুইজন ডিএসপি ও তিনজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সেই দলে রয়েছেন। অসুস্থদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কয়েকজন মিলে এই মদের আসর বসিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    গত বছরের ডিসেম্বরে ছাপরা ও সিওয়ানে বিষ মদ পানের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ছাপরায় প্রাণ হারান ৫০ জন। অন্যদিকে সিওয়ানে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। এর পরই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে সিট গঠন করে নীতীশ কুমারের সরকার। সম্প্রতি বিহার সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সরকারে লালুপ্রসাদ যাদবের মতো মানুষ থাকলে সুশাসন আসা সম্ভব নয়। বিহারে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।” বিষমদ-কাণ্ডে বিহারে দাবি, নামেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা ওপেন সিক্রেট যে বাড়ির দরজায় মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    Nitish Kumar: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হতে চলেছে মধুচন্দ্রিমা পর্ব! দূরত্ব বাড়ছে বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav)। এমনও শোনা যাচ্ছে, লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে নীতীশ ফের হাত ধরতে পারেন বিজেপির (BJP)। জল্পনার পালে হাওয়া দিয়েছে ইদানিং ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা।

    নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)…

    গত বছর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ছেড়ে বিহারে মহাজোটের সরকার গড়েন জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। এজন্য লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে হাত মেলান নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন তেজস্বী যাদব। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নানা বিষয়ে তেজস্বীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে নীতীশের। এহেন আবহে বিজেপির তরফে সম্পর্ক মেরামতের সংকেত দেওয়া হয় নীতীশকে। কিন্তু তাতে নীতীশ (Nitish Kumar) সাড়া না দেওয়ায় বিজেপি নিশানা করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। পাল্টা আক্রমণ করেন নীতীশও।

    দিন কয়েক আগে বিহারের বাল্মীকি নগর লোকসভা কেন্দ্রে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, প্রতি তিন বছর অন্তর নীতীশ কুমার একবার করে প্রধানমন্ত্রী হতে চান। সেজন্য তিনি দল বদল করেন। নীতীশ সুযোগ সন্ধানী। তিনি বলেন, তবে অনেক আয়া রাম, গায়া রাম হয়ে গিয়েছে। বিজেপির দরজা নীতীশের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিরদিনের মতো।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    এহেন আবহেও জল্পনা ছড়িয়েছে, নীতীশ ফের বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। দিন কয়েক আগে নীতীশকে ফোন করেছিলেন অমিত শাহ। রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকারকে বিহারের নয়া রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে জানিয়ে ফোন করেন শাহ। গলওয়ানে শহিদ জয় কিশোর সিংয়ের বাবা সরকারি জায়গায় একটি শহিদ বেদি তৈরি করেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নীতীশ তাঁকে ছাড়িয়ে দেন। এনিয়ে তেজস্বীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় নীতীশের।

    ১ মার্চ নীতীশের জন্মদিন। সেদিন তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির অনেকেই। এনিয়েও আরজেডি-জেডিইউয়ের দূরত্ব তৈরি হয়। শনিবার কাটিহারে একটি শ্রাদ্ধবাসরে হাজির ছিলেন নীতীশ (Nitish Kumar)। বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা কিশোর প্রসাদের বাবার শ্রাদ্ধ ছিল সেদিন। তারা কিশোর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদস্য। এই অনুষ্ঠানে নীতীশ হাজির হওয়ায় রাজনীতিকদের একাংশের ধারণা নীতীশ ফের হাত ধরতে পারেন বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
LinkedIn
Share