Tag: North bengal

North bengal

  • Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিশালী বিজেপি, সুকান্তর হাত ধরে পাঁচ জেলার মতুয়াদের হল যোগদান

    Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিশালী বিজেপি, সুকান্তর হাত ধরে পাঁচ জেলার মতুয়াদের হল যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ লাগু হতেই বাজিমাৎ! লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে বিজেপি আরও শক্তিশালী হল। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিজেপিতে যোগদান করেন। বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এদিন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মতুয়া মহা সংঘের কার্যকর্তারা বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপিতে যোগদানের পর মতুয়া মহাসংঘের উত্তরবঙ্গ জোনের পর্যবেক্ষক জানান, পরবর্তীতে জেলায় মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষজনকে তাঁরা বিজেপির পতাকা তুলে দেবেন। আজকের যোগদানের ফলে উত্তরবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের এবং নমঃ শূদ্র সম্প্রদায়ের ভোট লোকসভায় বিজেপির পক্ষে যাবে তা বলাই বাহুল্য।

    মতুয়াদের যোগদানে আরও শক্তিশালী হল বিজেপি (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এদিন এই যোগদান কলকাতায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ভোট প্রচারের কারণে জেলায় থাকায় এদিন বালুরঘাটে মতুয়া মহাসঙ্ঘের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কার্যকর্তাগণ বিজেপিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন জেলায় জেলায় বিজেপিতে যোগদান করানো হবে। এর ফলে দল অনেকটাই শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের কর্মসূচি অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই তৃণমূল সরকারের  বোনাস ঘোষণা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,এই মুহূর্তে কোনও পুজো নেই, সামনে হয়তো ইদ আছে। পুজোর বোনাস কেন এখন ঘোষণা করা হল আমি সেটা বুঝতে পারছি না। এইটা হতে পারে যেহেতু সামনে ভোট, ভোটের আগে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এখনই বোনাস ঘোষণা করে দেওয়া হল।

    সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরাতে কী বললেন সুকান্ত?

    ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় ঝরল রক্ত! নদিয়ার খুন তৃণমূল কর্মী। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majundar) বলেন, নদিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। চাপড়ার বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের লড়াই চলছে। আমরা চাই, যে রক্ত শূন্য ভোট হোক। এক ফোঁটা যেন রক্ত না ঝড়ে এই ভোটে। লোকসভা ভোটেও যেন আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না বাংলার। আতঙ্ক নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ সন্দেশখালির মায়েরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সন্দেশখালির মহিলারা তো এখনও অত্যাচারিত হচ্ছেন। তাঁরা তো বলছেন, শেখ শাহজাহান ভেতরে। কিন্তু, তাঁর ভাই সহ দলবল অত্যাচার করে যাচ্ছে। শেখ শাহজাহান ভেতরে যাওয়াতে তাঁরা কোনওভাবে দমেনি। প্রত্যেককে গ্রেফতার করলে সন্দেশখালিতে শান্তি ফিরবে, না হলে শান্তি ফিরবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শনিবার ফের রাজ্যে মোদি, শিলিগুড়ির সভায় কী বার্তা দেন, অধীর অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গবাসী

    Siliguri: শনিবার ফের রাজ্যে মোদি, শিলিগুড়ির সভায় কী বার্তা দেন, অধীর অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) সফরে এসে উত্তরবঙ্গবাসীকে আরও একটি নতুন ট্রেন উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে শিলিগুড়িতে প্রস্তুতি তুঙ্গে। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের দিকে রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নতুন কী বার্তা দেন, তা শোনার জন্য অধীর প্রতীক্ষায় উত্তরবঙ্গবাসী।

    প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়ি সফরে কী কর্মসূচি?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কাছে কাওয়াখালি মাঠে শনিবার বিকেলে সরকারি অনুষ্ঠানের পর জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকেল তিনটেয় বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে সড়ক পথে যাবেন কাওয়াখালি ময়দানে। প্রথমে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ি জংশন-রাধিকাপুর ডেমু ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রেলের আরও আটটি বিভিন্ন প্রকল্পেরও (Siliguri) উদ্বোধন করবেন। এই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষপুকুর-ধুপগুড়ি পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা এবং ইসলামপুরে জাতীয় সড়কের বাইপাসের উদ্বোধন করবেন। আধ ঘন্টার এই সরকারি অনুষ্ঠানের পর জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য কাওয়াখালির মাঠে দুটি মঞ্চ করা হয়েছে। একটি মঞ্চ সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য, অপরটিতে হবে জনসভা। জনসভা করে সড়ক পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাবেন তিনি।

    নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা (Siliguri)

    নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি জন্য দুদিন আগেই এসপিজি’র একটি দল পৌঁছে গিয়েছে। মঞ্চ তৈরি ও যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ তারা তদারকি করছে। শুক্রবার স্নিফার ডগ দিয়ে মঞ্চ ও গোটা মাঠ তল্লাশি চালায় তারা। রয়েছে রাজ্য পুলিশও। শনিবার দুপুর দুটোর মধ্যেই সকলকে জনসভার মাঠে (Siliguri) উপস্থিত হতে হবে। তারপর থেকে রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরে উজ্জীবিত উত্তরবঙ্গ বিজেপি (Siliguri)

    গতবার  লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করেছে। আটটি আসনের মধ্যে সাতটি জিতেছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনেও ভালো ফল হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সফরে প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গবাসীর উদ্দেশে নতুন কী বার্তা দেন, তা নিয়ে সব মহলেই উৎসাহ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা সফল করতে বিজেপির প্রচার তুঙ্গে। উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকেই (Siliguri) লোক আসবে বলে এদিন জানান দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তাঁর দাবি, দুই লাখ লোক হবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে বিজেপির সব বিধায়ক, সাংসদ এবং জেলা নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার আবেদন জানিয়েও পঞ্চায়েত ভোটে  কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির জ্বালানির তেলের  টাকা দেয়নি রাজ্য। আর তাতে তৈরি হয়েছে সমস্যা। কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বকেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতেই পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) ধর্মঘট করলেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গের পাম্প মালিকেরা। সেই সুযোগে কোচবিহারে চলল তেলের কালোবাজারি। এক লিটার তেল বিক্রি হল ১৫০ টাকায়। কোথাও আরও বেশি টাকা দিয়ে তেল কিনলেন গ্রাহকেরা।

    বকেয়া নিয়ে সরব পেট্রল মালিকরা (Petrol Pump)

    পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময়ে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছিল। যে টাকা এখনও বকেয়া থাকার অভিযোগ তুলে সূত্রের খবর, পেট্রল পাম্পগুলি (Petrol Pump) তাদের বকেয়া টাকা চেয়েছে রাজ্যের কাছ থেকে। এ দিকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে। ফলে, বকেয়া টাকা কে মেটাবে তা নিয়ে চলছে টানাপডেন। ‘উত্তরবঙ্গ পেট্রল মালিক সমিতি’র কোচবিহার জোনের দায়িত্বে রয়েছেন দীপঙ্কর বণিক। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে শুধু কোচবিহারেই ৯০ লক্ষ টাকার তেল দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সে বকেয়া কেউ মেটাচ্ছে না। এ ছাড়া, একাধিক ব্লক অফিসের লক্ষ-লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এমন হলে পেট্রল পাম্প চালানো কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।”

    পাম্প ধর্মঘটে শুরু হয়েছে কালোবাজারি

    আলিপুরদুয়ারেও ধর্মঘটের জেরে বন্ধ পেট্রল পাম্প বন্ধ ছিল গোটা দিন। আলিপুরদুয়ার শহর-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাম্পের সামনেই পেট্রলের কালোবাজারি চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কোথাও লিটার প্রতি পেট্রল কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হল বাড়তি কুড়ি টাকা, তো কোথাও আবার তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। কোচবিহার স্টেশন মোড়ে একটি পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) রয়েছে। সে পাম্প এ দিন বন্ধ ছিল। পেট্রল পাম্পের পাশেই রাস্তার ধারে ছোট-ছোট পাত্রে জ্বালানি তেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন যুবক। লিটার প্রতি কেউ তিরিশ টাকা কেউ চল্লিশ টাকা বেশি নিয়ে পেট্রল বিক্রি করছিলেন। খোলা জায়গায় প্রায় সর্বত্র পেট্রল বিক্রির অভিযোগ রয়েছেই। এ দিন তা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দিনহাটা-মাথাভাঙা প্রধান সড়কের ধারে বোতলে পেট্রল ভরে তা বিক্রি করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    কালোবাজারির বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি প্রশাসন বা পুলিশকে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কালোবাজারির কোনও অভিযোগই আমাদের কাছে কেউ করেননি। জেলা পুলিশের এক কর্তাও বলেন, আমাদের কাছে তেমন অভিযোগ যায়নি। তবে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়ে জেলায় দুটি পেট্রল পাম্প সকালের দিকে খুলে রাখা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় ও হিমালয় পাদদেশের পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শিলিগুড়ির বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা। দীর্ঘ ৪০ বছরের গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছেন। এই আনন্দের দিনেও পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের শুভেচ্ছা আসার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে। আনন্দের এই আবহেও  তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে ছেলেখেলা করা ঠিক হচ্ছে না। সম্প্রতি সিকিমের যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, পাহাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। এর চরিত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া মারাত্মক ভুল এবং বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    কীভাবে উত্তোরণ? (Padma Shri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কাকা কে সামনে রেখে একলব্য শর্মার পথ চলা শুরু। কাকা টিকারাম শর্মা ছিলেন খ্যাতনামা পরিবেশবিদ। পরিবেশ রক্ষায় তিনি গবেষণা করেছেন। কাজেই ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে থেকে দেখেছেন। এই আবহে কাকাকে আদর্শ করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন একলব্য শর্মা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে, তাঁর জন্ম কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ের সেন্ট আলফানসো স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে পিএইচডি করেন। তারপর নেপালের কাঠমান্ডুতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তারপর সিকিমের জিবি পন্থ ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের মুখ্য গবেষক পদে যোগ দেন। একলব্য শর্মা ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাকাদেমির একজন অন্যতম গবেষক। পরে তিনি দিল্লির টেরি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরাখন্ডের জিপি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।

     বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের অভিনন্দন

    একলব্য শর্মাকে (Padma Shri) তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই কৃতি বিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা খুব খুশি। কারণ, উত্তরের এক বিজ্ঞানী তথা পরিবেশবিদ পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। হিমালয় তথা হিন্দুকুশ পর্বতের উপর তাঁর গবেষণা এক অনন্য নজির। আগামীতে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকবে।

    কী বললেন একলব্য শর্মা?

    হিমালয়ের ওপর সামগ্রিক আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁর গবেষণা। কোথাও প্রাকৃতিক কারণে হিমালয়ের ক্ষতি। কোথাও বা মানুষের দ্বারা ভূমি, বন, জীবজন্তুর ওপর আঘাত তিনি মেনে নিয়ে পারেননি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর হিমালয়কে রক্ষা করার জন্যই তিনি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সবাই “হিমালয়ের পাহারাদার” বলে ডাকেন। একলব্য শর্মা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে আমার লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা। পদ্মশ্রী সম্মান পাব ভেবে ভালো লাগছে। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উত্তরবঙ্গবাসীকে রাম মন্দির দর্শন করাবে সঙ্ঘ পরিবার, তালিকায় কারা?

    Ram Mandir: উত্তরবঙ্গবাসীকে রাম মন্দির দর্শন করাবে সঙ্ঘ পরিবার, তালিকায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে দেশ জুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। মন্দির দর্শন করার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্ত অযোধ্যায় ভিড় করছেন। রাম মন্দির সংক্রান্ত যে কোনও কর্মসূচিকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ গুরুত্ব দিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাইছে। এবার সেই ঐতিহ্যপূর্ণ রাম মন্দির দর্শন করাতে উদ্যোগী হল সঙ্ঘ পরিবারের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    তালিকায় কারা রয়েছেন? (Ram Mandir)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে অযোধ্যার পূজিত চাল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। উত্তরবঙ্গের ২২ লক্ষ পরিবারে চাল পৌঁছে দিয়ে জনসংযোগ করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। সেই সূত্র ধরে সঙ্ঘ নেতাদের একাংশের ধারণা, তাঁরা সফল হয়েছেন। এবার রাম মন্দির নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার থেকে ছাড়ার কথা। পরের ধাপে এনজেপি থেকে ছাড়বে আরও একটি ট্রেন। প্রথম ধাপে উত্তরবঙ্গ থেকে দু’হাজারেরও বেশি মানুষকে অযোধ্যায় নিয়ে যাবে তারা। সে জন্য একটি ট্রেনও ভাড়া করা হয়েছে বলে খবর। অযোধ্যায় যেতে আগ্রহী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযাগ করছেন। তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন করসেবকেরা। উত্তরবঙ্গে এখনও একশো জনের মতো করসেবক রয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। করসেবক ছিলেন, কিন্তু মৃত্যু হয়েছে, সে রকম পরিবারের অন্তত দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হবে রাম মন্দির দর্শন করাতে। একই সঙ্গে রয়েছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারাও। পরের ধাপে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক কী বলেন?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক (সংগঠন) অনুপকুমার মণ্ডল বলেন, করসেবকদের মন্দির দর্শন করিয়ে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাকিদের নিজেদের খরচেই যেতে হবে। দক্ষিণবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আপাতত একটি করে ট্রেন ধরা হয়েছে। তবে, এখন রাম মন্দিরে (Ram Mandir) ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। তাই, ভিড় থাকলে প্রয়োজনে রাম মন্দির যাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: উত্তরবঙ্গ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে গরু-মহিষ পাচার! কোন পথে জানেন?

    North Bengal: উত্তরবঙ্গ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে গরু-মহিষ পাচার! কোন পথে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে এই পাচারচক্র ততটা এখন সক্রিয় না হলেও উত্তরবঙ্গ (North Bengal) জুড়ে রমরমিয়ে শুরু হয়েছে মহিষ এবং গরু পাচার। পুলিশের একটা অংশকে হাতিয়ার করে এই পাচারচক্র চলছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ।

    কোন পথে পাচার? (North Bengal)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত উত্তরবঙ্গের (North Bengal) উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলার বিধাননগর, ঘোষপুকুর পেরিয়ে ফুলবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, বানারহাট, বীরপাডা হয়ে বারোবিষা সীমান্ত দিয়ে অসমে ঢুকে পড়ছে বেআইনি গরু ও মহিষ বোঝাই গাড়িগুলি। অসমের কয়েকটি জেলা পার হয়ে সোজা মেঘালয়ে চলে যায় গাড়িগুলি। উত্তরের ছয়টি জেলা পার হতে পারলে কেল্লাফতে এই পাচারকারীদের। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে মহিষ এবং গরু নিয়ে এসে পাঞ্জিপাড়ায় সেগুলোকে নামানো হয়। সেখান থেকে কন্টেনার গাড়ি করে (যে গাড়িগুলি চারদিক বন্ধ) অসম এবং মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা করা হয়। একেবারে অস্বাস্থ্যকর এবং দমবন্ধ পরিবেশে গাড়িগুলিতে ওই মহিষগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে ওই গাড়ি গুলিতে গরু-মহিষ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতি গাড়িতে ২৪-২৬ টি মহিষ নিয়ে যাওয়া হয়। যার অধিকাংশেরই বৈধ কাগজ নেই। গাড়িগুলিরও লাইভ স্টক পারমিট নেই বলেই জানা গেছে।

    কীভাবে সম্ভব এই পাচার?

    সম্প্রতি, বীরপাড়ায় একটি স্পেশাল চেকিংয়ে ৬ টি কন্টেনার গাড়ি থেকে ২৩৮ টি মহিষ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জিপাড়া ও আসামের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু, কীভাবে সম্ভব এই পাচার? পাঞ্জিপাড়া থেকে গাড়ি লোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গাড়ির নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে, যে থানার অধীনের রাস্তা ব্যবহার করে গাড়িগুলি পার হবে। এই এলাকাগুলি পেরিয়ে গেলে বারোবিষা বা বক্সিরহাট সীমান্তে সেই গাড়িগুলির নম্বর মিলিয়ে দেখা হয় এবং বিনা চেকিং করেই গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়। পাঞ্জিপাড়া থেকে অসম রাজ্য বিনা বাধায় গাড়ি প্রতি একটা পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ হয়। সেই অর্থই সংশ্লিষ্ট থানা এবং কিছু আধিকারিকের কাছে পৌঁছে যায়। প্রতিদিন প্রায় ৩৫-৪০ টি গাড়ি করে এই ভাবেই গরু-মহিষ পাচার হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। তাই, এবার উত্তরবঙ্গ চষে বেড়াবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও চাঙা করাই লক্ষ্য বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আগামীকাল ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

    সভার পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের লোকসভা আসনগুলিকে পুনরায় ধরে রাখার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আরও আসন বাড়াতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি জনসভার পাশাপাশি দলীয় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী ৩ তারিখ উত্তর দিনাজপুর, ৪ তারিখ আলিপুরদুয়ার, ৫ তারিখ কোচবিহার এবং ৬ তারিখ জলপাইগুড়ি জেলা সফর করবেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ৭ জানুয়ারি তিনি কলকাতা ফিরে যাবেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সভাপতি তাঁর ম্যারাথন কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন দল ছেড়ে বহু কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন।

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,লোকসভা নির্বাচন সামনে চলে এসেছে। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামীকাল থেকে আমার উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হবে। প্রথমে রায়গঞ্জ তারপর আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি সব জায়গাতেই যাব।  রেশন ডিলারদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেশন ডিলারদের নির্দিষ্ট কোনও দাবি আছে। ধর্মঘট কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। এক জায়গায় বসে আলোচনার মধ্যে সমস্যা মেটানো ভালো। এক সময় রেশন ডিলারদের প্রচুর সুযোগ সুবিধা ছিল। কিন্তু, আসতে আসতে তাঁদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ক্ষীণ হয়ে উঠছে। আগামীদিনে রেশন ডিলারদের আয় যেন ঠিক থাকে আমরা এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে জানাব।

    নির্বাচনে ভিভিপ্যাড ব্যবহার নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    লোকসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাডের দাবি বিরোধী জোটের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই ভিভিপ্যাড থাকলে। কিন্তু, অতগুলো ভিভিপ্যাড নির্বাচনের অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোথায় থেকে পাবে? তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে। তাহলে আমাদের নরেন্দ্র মোদী আরো কয়েকদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবে তা কি আমাদের বিরোধীরা মেনে নেবে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠান্ডার কামড় কী, তা এই ভরা শীতের মরশুমেও মানুষ ভুলতে বসেছে। বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরই বর্ষশেষের উন্মাদনায় গা ভাসিয়ে দেবে আপামর জনতা। একই সঙ্গে চলবে ইংরাজি নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। সবার মনেই একটা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। তা হল, ওই সময় কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া (Weather Update)। শীত কি ফের ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি এমনটাই চলবে আরও কয়েক দিন। এসবেরই উত্তর মিলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

    কী জানালেন আবহাওয়া অফিসের কর্তা? (Weather Update)

    সঞ্জীববাবু যা জানিয়েছেন, তাতে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না (Weather Update)। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, অর্থাৎ বৃষ্টি হবে না। ওই ৫ দিন পর সামান্য তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ৩১ শে ডিসেম্বর থেকে ১ লা জানুয়ারির মধ্যে রাতের তাপমাত্রা খুব সামান্য কমতে পারে। সেটা এক ডিগ্রির বেশি নয়। মোটের উপর একই রকম আবহাওয়া থাকবে আগামী সাতদিন। একই সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আটকে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া। তাই আগামী ৭ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামার সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রাও বেশি থাকার কারণে শীতের পোশাক হয়তো গায়ে তুলতে হবে না। এর পাশাপাশি পূবালি হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে। আর তার ফলে খুব ভোরে বা সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা (Weather Update) থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে।

    ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিঙে (Weather Update)

    উত্তরবঙ্গেও দুটি জেলা ছাড়া সর্বত্র আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। তবে রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তুষারপাতের সম্ভাবনা (Weather Update) রয়েছে দার্জিলিঙে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পয়ে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saffron Cultivation: কাশ্মীরের মতো এবার বাংলায় চাষ হবে কেশর, জানালো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

    Saffron Cultivation: কাশ্মীরের মতো এবার বাংলায় চাষ হবে কেশর, জানালো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু কাশ্মীরে নয় এবার থেকে বাংলায়ও চাষ হবে কেশর (Saffron Cultivation)। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণায় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে চাষিদেরকে এই ফলনের জন্য দিশা দেখাবে সেন্টার অফ ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা কোফাম বিভাগ। চাষিরাও কেশর চাষে অত্যন্ত উৎসাহী বলে জানা গিয়েছে।   

    কোফাম বিভগের উদ্যোগ (Saffron Cultivation)

    উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ে এই কেশরের (Saffron Cultivation) চাষ বিশেষ উপযুক্ত হবে। বিশেষ করে কালিম্পংয়ে পরীক্ষালব্ধ ভাবে চাষের সাফল্য পেয়েছে। কাশ্মীর থেকে বীজ এনে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগে চাষ করা হচ্ছে। যদিও বাংলার জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে কেশর চাষ করা খুব একটা উপযুক্ত নয়। কিন্তু এই অসাধ্য কাজকে সাধন করেছে কোফাম বিভাগ।

    মাত্র ১০০ বর্গ ফুট ছোট্ট জমিতে করা যাবে চাষ

    খুব বেশি বড় জায়গা দরকার নেই স্যাফ্রন বা কেশর (Saffron Cultivation) চাষের জন্য। মাত্র ১০০ বর্গ ফুটের মধ্যে ঘর থাকলেই কেশর চাষ করা যাবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খুব কম জায়গায় বেকার যুবক-যুবতীরা চাষ করেও ব্যাপক আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন। মাত্র ১৫ দিনেই চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পংয়ের দাঁড়াগাঁও এলাকায় আশিটি বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়।

    তিনটি পদ্ধতিতে চাষ করা হবে

    সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশর (Saffron Cultivation) চাষ তিনটি ক্ষেত্রে পদ্ধতি মেনে চাষ করা হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে, দ্বিতীয়টি কালিম্পংয়ে এবং তৃতীয়টি হল হাইড্রোফোনিক পদ্ধতিতে চাষ করা হবে। এই কেশর চাষের প্রশিক্ষণ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হবে। সাধারণত অক্টোবর মাসে কেশরের বীজে ফলন ফলানো হবে। ফুল পেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ দিন।

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

    উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের বায়ো টেকনিস্ট অমরেন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, “১০০ বর্গফুট জায়গায় ১০০০ গাছ লাগানো যাবে। বাজারে ১ কেজি কেশরের দাম ৩ লাখ টাকা। পাহাড়ে এই কেশরের চাষ ভালো হবে। পরীক্ষায় আরও সফলতা আসলে সমতলেও চাষের চেষ্টা করা হবে।”এই প্রসঙ্গে কৃষক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, “কেশর (Saffron Cultivation) খুব লাভ জনক ফলন শুনেছি। আগেও চাষের কথা ভেবে ছিলাম। কিন্তু বীজ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় বীজ দিয়েও আমাকে সাহায্য করেছে। চাষের সাফল্যে আমি আরও খুশি হবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় দিনের আগেই পর্যটকদের জন্য সুখবর। চালু হয়ে গেল সিকিমের জাতীয় সড়ক। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরমতির পর এবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যেতে আর কোনও বাধা নেই। সিকিমের পর্যটন (Sikkim Tourism) ব্যবসায়ীরা এবার আশার আলো দেখছেন।

    সিকিম প্রশাসনের বক্তব্য (Sikkim Tourism)

    সিকিম রাজ্যের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞাপন জারি করে জানানা হয়েছে যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু করা হয়েছে। এবার খুব সহজেই সিকিমে যাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত বাকি রাস্তাগুলিও সারাই করা হয়েছে। পর্যটক (Sikkim Tourism) এবং ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই রাস্তা দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। সিকিম এখন পুরোপুরি নিরাপদ। এই শীতে পর্যটনের জন্য  বেশ উপযুক্ত। 

    সিকিমের পর্যটন দফতরের সচিব বন্দনা ছেত্রি বলেন, “সোমবার থেকেই পর্যটনের জন্য সিমিক প্রবেশের জন্য সড়ক পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। সিকিমে বেড়াতে এলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে উত্তর সিকিমের বেশ কিছু জায়গায় যেতে নিষেধ আজ্ঞা রয়েছে।”

    ভ্রমণ নিরাপদ

    সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে উত্তর সিকিমের কিছু কিছু এলাকা এখনও বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই অংশ ছাড়া বাকি অংশগুলিতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ। ফলে শীতের আগেই পর্যটকদের (Sikkim Tourism) টানতে এই বিপর্যয়কে অতিক্রম করতে সিকিম সরকার বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন। গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, গেজিং, পাকিয়ং ইত্যাদি এলাকা এখন সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ। তাই শীতের মরসুমে বেড়াতে যাওয়াতে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানা গিয়েছে।

    হড়পা বানে বিপর্যস্ত ছিল সিকিম

    দুর্গাপুজোর আগে অক্টোবর মাসের প্রথমের দিকে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ ভেঙে গিয়েছিল। তিস্তার জলের স্রোতে ভেঙে পড়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাড়িঘর, গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছিল তিস্তা নদীর পাড় সংলগ্ন জলপাইগুড়ির এলাকায়। বিপর্যয় মোকাবেলায় উদ্ধার কাজে তৎপর হয়েছিল সুরক্ষা বাহিনী। আটকে পড়েছিলেন প্রচুর পর্যটক (Sikkim Tourism)। কেন্দ্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিশেষ অনুদান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share