Tag: North Dinajpur

North Dinajpur

  • North Dinajpur: ‘‘জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর”! প্রাণভয়ে ভারতে দুই বাংলাদেশি বৃদ্ধা

    North Dinajpur: ‘‘জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর”! প্রাণভয়ে ভারতে দুই বাংলাদেশি বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। মৌলবাদীদের লাগাম ছাড়া অত্যাচার চলছে। কয়েকদিন আগে চোপড়ায় বাংলাদেশি নাবালিকার প্রাণভয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা মনে আছে? সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এবার উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালিয়াগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফের হাতে আটক হলেন দুই বৃদ্ধা। লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি ও অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা ভারতে এসেছে বলে দাবি করেছেন। সীমান্তে বিএসএফ আটক করার পর তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর, মেয়েদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে! (North Dinajpur)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই বৃদ্ধার নাম আধো বর্মন (৮০) ও কাঞ্জু বালা (৭৪)। আধো বর্মনের বাড়ি বাংলাদেশের পীরগঞ্জ এলাকায়। আর কাঞ্জু বালার বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর এলাকায়। তাঁদের রাধিকাপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটক করে কালিয়াগঞ্জ থানার (North Dinajpur) পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পরে,তাঁদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরেই লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। তাঁরা বলেন, “ওই এলাকায় অনেক সংখ্যালঘু মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির মেয়েদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, বাড়িঘর লুটপাট ও গবাদি পশুও নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। এলাকায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। এলাকায় মিছিল করে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আর ওদেশে ফিরব না। চরম আতঙ্কে প্রাণ হাতে নিয়ে এদেশে চলে এসেছি। এখানে আমাদের সন্তানরা রয়েছে।” আদো বর্মনের ছেলে  সুরেন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, “আমার মা খুব আতঙ্কে ছিলেন। ওখানে থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। ওপারে সব ঠিক কবে হবে জানি না। তাই মা সব ছেড়ে আমার কাছে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অপর ধৃত বৃদ্ধা কাঞ্জু বালা বলেন, “ওখানে খুব অত্যাচার চলছে। বাড়ি ঘর ভেঙে দিয়েছে। থাকার জায়গা নেই। তাই এদেশে চলে এসেছি। এখানে মেয়ের বাড়ি।”  এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রী সরকার বলেন, “অনুপ্রবেশের দায়ে দুই বৃদ্ধাকে আটক করা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের  সুজালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মজিবুর রহমান (৬০)। তাঁর বাড়ি সুজালি গ্রামে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় তৃণমূল নেতা শেখ ফরাজুলসহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল নিহত ওই তৃণমূল কর্মী মজিবুর রহমানের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যা হুসনেরা খাতুনের স্বামী শেখ ফরাজুলের মধ্যে। মজিবুরের নামে কয়েক বিঘা জমি ছিল। ক্ষমতার জোরে সেই জমি জোর করে দখলে রেখেছিলেন ফরাজুল। পরে, মজিবুর সেই জমি নিজের দখলে আনার চেষ্টা করলে বিবাদ (TMC Conflict) শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ফরাজুল দলবল নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মজিবুর একাই তাঁদের বাধা দেন। জমির মধ্যেই তৃণমূল নেতা ফরাজুলের নেতৃত্বে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর (North Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে একটি বিবাদ চলছিল। মজিবুর রহমান একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। বুধবার সেই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষ হয়। তাতে মজিবুর রহমানকে খুন করা হয়। আমরা দলগতভাবে এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে (North Dinajpur) জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “চোপড়ায় চলছে তালিবান শাসন”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোপড়ায় চলছে তালিবান শাসন”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় রাস্তায় ফেলে যুবক-যুবতীকে লাঠির গোছা দিয়ে নির্মমভাবে মারধরের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়় গোটা রাজ্য। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি।

    চোপড়াকে তালিবান বানিয়ে দিলেন, সরব সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের প্রচারে রবিবার সন্ধ্যায় পায়রাডাঙায় গিয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারের মাঝেই চোপড়ার ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনায় সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোপড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা আরও একবার প্রমাণ করল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মহিলাদের সুরক্ষা কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। যেভাবে গণপিটুনি হচ্ছে। তালিবানের মতো শাসন তো এটা। এখন তো দেখছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাকে তো লন্ডন করতে পারলেন না, চোপড়াকে তালিবান বানিয়ে দিলেন।”

    ভাইরাল ভিডিওতে কী রয়েছে?

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি দেখছে একদল মানুষ। যে ব্যক্তি ওই তরুণ ও তরুণীকে মারধর করছে, কেউই তাকে বাধা দিচ্ছেন না। নিরস্তও করার চেষ্টাও করছেন না কেউ। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। দেখা যাচ্ছে, এক তরুণও ওই তরুণীর পাশে পড়ে পড়ে কাতরাচ্ছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ওই তরুণকেও।

    নিগৃহীতা অসামাজিক কাজ করছিলেন

    চোপড়ার (Chopra) ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত তাজমুল ওরফে জেসিবিকে। এদিকে রবিবারের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।  প্রসঙ্গত, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। চোপড়ার এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, “নিগৃহীতা অসামাজিক কাজ করছিলেন। তবুও, সমস্ত বিষয়টি জানতে জেসিবিদের ডেকে পাঠিয়েছি। প্রকৃত ঘটনা কী দেখতে হবে তো। সবাই তৃণমলের।  এটিকে তিল থেকে তাল করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন অকাল দীপাবলি! মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। এমনই চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের কুমোর পাড়ায়। সাধারণত দীপাবলির সময়ে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু, এ বছরে অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করেই মাটির প্রদীপ তৈরিতে বেজায় ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।

    মৃৎশিল্পীরা কী বললেন? (Ram Mandir)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান করেছেন। তারই অঙ্গ হিসাবে জোর প্রস্তুতির দেখা মিলল রায়গঞ্জের কুমোরপাড়ায়। বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। অন্যান্য বছরে এই সময়ে তাঁরা সাধারণত প্রদীপ তৈরি না করলেও এবছরের চিত্রটা একটু ভিন্ন। পঙ্কজ পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে আমরা মাটির অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে থাকি। তবে এ বছরে চাহিদা অনেক থাকায় মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত। সাধারণত দীপাবলীর সময়েই প্রদীপ তৈরি করার চাহিদা থাকে। কিন্তু এবছর রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রদীপ কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অপর এক মৃৎশিল্পী কমল পাল বলেন, অন্যান্য বার এই সময় আমরা সাধারণত টব তৈরি করে থাকি। তবে এবছর প্রদীপ তৈরি করতেই সময় চলে যাচ্ছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা কর্মীরাও।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ যোশি বলেন, আগামী ২২ তারিখে ঐতিহাসিক রাম মন্দিরে (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান করেছেন। সেই কারণে আমরা মাটির প্রদীপের অর্ডার দিয়েছি। তবে, মাটির প্রদীপের এত চাহিদা যে শিল্পীরা আর নতুন করে অর্ডারও নিতে চাইছেন না।

    নতুন অর্ডার নিচ্ছেন না মৃৎশিল্পীরা

    সুকুমার দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে প্রদীপ কিনতে এসেছি। আগে কিছু কিনে নিয়ে গিয়েছি। এখন আর নতুন করে অর্ডার দিয়ে প্রদীপ পাচ্ছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Card: রাস্তার পাশে ঝোপে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড, উঠল তদন্তের দাবি

    Ration Card: রাস্তার পাশে ঝোপে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড, উঠল তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এই দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে বর্তমান রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড (Ration Card) রয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছে। এরই মাঝে বেশ কিছু ডিজিটাল রেশন কার্ড রাস্তার পাশে থাকা ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর এলাকার পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডে। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ration Card)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখতে পান, রাস্তার ধারে থাকা একটি ঝোপের আড়ালে বেশ কিছু ডিজিটাল রেশন কার্ড (Ration Card) পড়ে রয়েছে। কিন্তু, ওই রেশন কার্ড কাদের তা জানা যায়নি। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা রায়গঞ্জ থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পড়ে থাকা ডিজিটাল রেশন কার্ডগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু, এই রেশন কার্ডগুলি কীভাবে রাস্তার ধারে এল, তা পরিষ্কার নয়। আর এই ঘটনা থেকে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কে বা কারা এই রেশন কার্ড রাস্তায় ফেলে গেল, তা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু দাস বলেন, প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে আমরা দেখতে পাই রাস্তার পাশে জঙ্গলের মধ্যে ডাঁই হয়ে বহু ডিজিটাল রেশন কার্ড (Ration Card) পড়ে আছে। এমন প্রয়োজনীয় জিনিস রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তী সময়ে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। আমরা চাই, এই রেশন কার্ডগুলো যাদের, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই ঘটনায় রহস্য ভেদ করুক পুলিশ।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন পর কালীপুজো শুরু। তার আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহ গ্রামের বাসিন্দারা মেতে ওঠেন দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023)। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা এই পুজো করেন। লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’। চারদিন ধরে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।

    দশমীর আটদিন পর শুরু হয় এই পুজো (Durga Puja 2023)

    উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহের বাসিন্দারা দশমীর আটদিন পর দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) আনন্দে মেতে ওঠেন। এখানে ‘সোনামতি কুম্ভরানি’ হিসেবে পূজিত হন দেবী দুর্গা। করণদিঘির অন্যত্র যখন বিষাদের সুর, তখনই দেবীর বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভেসে গিয়েছে গোটা গ্রাম। দুর্গাপুজোর সঙ্গে এই পুজোর মিল রয়েছে অনেকটাই। যেমন দুর্গাপুজোর মতোই সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী পূজিত হন এখানে। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে গ্রামে। মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এখানে। প্রচলিত আছে পশু বলিও। কয়েকশো বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল। পুজোর প্রায় এক সপ্তাহ পর এই পুজো শুরু হওয়ায় এই গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে এর গুরুত্বই আলাদা। তাই এখানকার পুজোতে ভক্তির টানে ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। মায়ের নামে বেশ কয়েক বিঘা জমি আছে। জমির ফসলের লাভ থেকে এই পুজো হয়।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    পুজো কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত সিনহা বলেন, সঠিক কবে এই পুজো শুরু হয়েছিল, তা জানা নেই। তবে, কয়েক পুরুষ ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোয় (Durga Puja 2023) প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা এসে ভিড় করেন। শুধু তাই নয়, এই পুজো দেখতে পাশের বিহার, বাংলাদেশ এবং নেপালের মানুষও সামিল হন। পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা হয়। মায়ের কাছে মানত রাখেন। দুর্গাপুজো নয়, আমরা সারা বছর এই পুজোর জন্যই মেতে অপেক্ষায় থাকি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে একদিকে যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া, ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের খাদিমপুর গ্রামে। দশমীতেই শুরু এখানকার দুর্গাপুজো (Durga Puja)। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন বসে মেলাও।

    দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা (Durga Puja)

    রায়গঞ্জ থানার ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে। তবে, কত বছরের পুরানো এই পুজো, তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গার পুজো। দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলবে তিনদিন। এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সরা বছর আমরা এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। সবাই যখন মা দুর্গাকে (Durga Puja) নিরঞ্জন করে মুখ ভার করে ঘরে ফেরেন, আমরা তখন মায়ের পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠি।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তা কী বললেন?

    খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা নির্মল বর্মন বলেন, পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। আর এই বালাইচন্ডীরূপী দুর্গাপুজোই (Durga Puja) খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। এখানকার  বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গা খুবই জাগ্রত মেনে বহু দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যেখানে শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে, আর তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুরে আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছেন গোটা গ্রামের মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Accident: মঙ্গলবারই শেষ কথা, সিকিমে দুর্ঘটনার পর খোঁজ নেই দুই ভাই সহ তিনজনের, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Accident: মঙ্গলবারই শেষ কথা, সিকিমে দুর্ঘটনার পর খোঁজ নেই দুই ভাই সহ তিনজনের, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটরবাইক নিয়ে সিকিমে (Sikkim Accident) ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ রায়গঞ্জ শহরের একই পরিবারের দুই ভাই ও তাঁদের এক বন্ধু সহ তিন যুবক। বুধবার সিকিমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁদের পরিবার। নিখোঁজ যুবকের নাম স্বর্ণদীপ মজুমদার ও শ্রীকান্ত মজুমদার। তাদের বাড়ি রায়গঞ্জের উকিল পাড়া ও সেবকপল্লিতে। আর অন্যজনের নাম ঈশান। তাঁর বাড়ি রাঁচি।

    সিকিম ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ! (Sikkim Accident)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর স্বর্ণদীপ মজুমদার তাঁর খুড়তুতো দাদা শ্রীকান্ত মজুমদার এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা এক যুবক সিকিমের গুরুদংমার লেকের উদ্দেশ্যে বাইক নিয়ে রওনা দেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা সিকিমের লাচুংয়ের একটি হোটেলে রাতে থাকেন। বুধবার ভোরে তাঁদের নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য রওনা দেওয়ার কথা টেলিফোনে পরিবারের লোকেদের জানিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাদের। বুধবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। সিকিমে ভয়াবহ দুর্যোগ (Sikkim Accident) নিয়ে আশঙ্কায় নিঁখোজ দুই  পরিবারের লোকজন। রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন দুই পরিবারের লোকজনেরা। সিকিমের ভয়াবহ দুর্যোগের খবর জানতে পেরে পরিবারের লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাঁদের। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণদীপ মজুমদার ও তাঁর রাঁচির বন্ধু কলকাতায় আইটি সেক্টরে কর্মরত। আর শ্রীকান্ত মজুমদার কলকাতায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নিখোঁজ শ্রীকান্তের বাবা কমল মজুমদার বলেন, গতবছরেও ছেলেরা বাইক নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল। তবে, এ বছর ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। সিকিমে ২৩ জন সেনা কর্মী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। নিখোঁজ স্বর্ণদীপের মা মিঠু মজুমদার বলেন, মঙ্গলবার রাতেই ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। এদিন সিকিমের দুর্ঘটনার (Sikkim Accident) কথা জানতে পেরে ছেলের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু, আর যোগাযোগ করতে পারিনি। সব মিলিয়ে কতক্ষণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে সেই আশায় দিন গুণছেন তাদের পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Card: চোপড়ার চা বাগানের রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড, কী করছে প্রশাসন?

    Ration Card: চোপড়ার চা বাগানের রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড (Ration Card)। কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় স্কুল পড়ুয়ারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কস্তুরি চা বাগান এলাকায়। করোনা অতিমারীর সময়ে রেশন পেতে প্রচণ্ড হয়রানি পোহাতে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক সহ অনেককেই। কার্ড না থাকায় রেশন পাননি অনেকেই। ফলে, রেশন কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী করে পথেঘাটে লুটোপুটি খাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ration Card)

    বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের যে কোনও নথি এখন প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ। সে আধার কার্ডই হোক বা প্যান কার্ড হোক বা ভোটার কার্ড অথবা রেশন কার্ড। এই চারটি কার্ডই জীবনের নানান ক্ষেত্রে কাজে দরকার পড়ে। অথচ সেই কার্ডই গড়াগড়ি খাচ্ছে রাস্তায়। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষের। বুধবার এই ঘটনা তীব্র চাঞ্চলের ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কস্তুরি চা বাগান এলাকায়। রাস্তায় ও চা বাগানের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রচুর রেশন কার্ড (Ration Card)। আর সেই কার্ডগুলি খেলার জন্য কুড়িয়ে নিয়ে যায় এলাকার কচিকাঁচারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কয়েকশো প্যাকেট ভর্তি রেশন কার্ড পড়ে ছিল। সেই কার্ডগুলি এলাকার কচিকাঁচারা খেলার জন্য কুড়িয়ে নিয়ে যায়। বুধবার নজরে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অনুমান কার্ডগুলি বিলি না করে কেউ বা কারা এখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। শুধু মাঝিয়ালি এলাকার কার্ড নয়, চোপড়া ব্লকের বেশ কিছু এলাকার কার্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাস্তায় প্যাকেটবন্দি অবস্থায় রেশনকার্ডগুলি ছিল। এলাকার কচিকাঁচাদের নজরে পড়তেই প্যাকেট ছিড়ে সেই রেশন কার্ডগুলি তারা নিয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত বিপুল পরিমাণ রেশন কার্ড কী করে পথে গড়াগড়ি খেল? নাকি কার্ডগুলি পোস্ট অফিস থেকে এনে এখানে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গিয়েছে? তবে, এই ঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি?

    এবিষয়ে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি ফজলুল হককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি চোপড়া খাদ্য দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ, এই রেশন কার্ডগুলি (Ration Card) পোস্ট অফিস থেকে বিলি করার কথা। কিন্তু, সেখানে কী করে কার্ডগুলো এল তা তদন্ত করে দেখার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরত্ব বিচারে ব্যবধান খুবই কম। কোথাও সাত কিলোমিটার, কোথাও আবার আট কিলোমিটার। সামান্য এই পথে রেল পথ সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র জমি জটের কারণে। এরমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নতুন রেল পথের শুভ সূচনা করেছিলেন। তার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর থেকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ সহ এই জেলার আরও বেশ কয়েকটি রেল পথও রয়েছে। কিন্তু, জমি জটের কারণে  এই সব রেল পথের মেইন লাইনের কাজ এখনও থমকে রয়েছে। সম্প্রতি, রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে এই বিষয়ে উদ্যোগী রেল সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারকে জমি জট কাটানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন।

    জমি জটে কোন কোন প্রকল্পে থমকে রয়েছে? (Railway Minister)

    জানা গিয়েছে, বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ। রায়গঞ্জ থেকে ইটাহার। ইটাহার থেকে বুনিয়াদপুর এবং গুঞ্জরিয়া থেকে গাজোল এই সব এলাকায় রেল সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কাজ শুরু হলেও, পরবর্তী সময়ে জমি-জটের কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। মূলত এটি সম্পূর্ণ হলে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা এই তিন জেলার মানুষের পরিবহণ এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে উন্নতি হবে বলে ব্যবসায়ী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই রেলপথ সম্প্রসারণ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। শুনেছি রেল দফতর পুনরায় এ প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ  গ্রহণ করেছে। তাতে আমরা খুশি।

    ব্যবসায়ীরা কী বলছেন?

    এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য অঞ্জন রায় বলেন,আমরা বারংবার এই দাবি জানিয়ে এসেছি। আমি হাইকোর্টে একটি মামলাও করেছি জমিজট নিরসনের জন্য। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে আমরা রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছেও এই প্রকল্পটি চালু করার দাবি জানিয়েছি। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাও নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করা। তাহলে তিন জেলার মানুষেরই উপকার হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, আমরা চাই এই প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন হোক। জমিজটের কারণে প্রকল্পটি আটকে গেছে। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে তথা জেলার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, সামান্য রাস্তা শুধু জমিজটের কারণে রেল সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগ না নেওয়া এর প্রধান কারণ। তাই, আমরা রেলমন্ত্রীর (Railway Minister) সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন। জমিজট কেটে গেলেই রেল সম্প্রসারণে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share