Tag: North Dinajpur

North Dinajpur

  • North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার বিএড, ডিএলএড কলেজগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য শিক্ষা দফতরে আবেদন জানালেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। এতদিন এই সব কলেজগুলি পরিকাঠামো ছাড়াই রমরমিয়ে চলেছে। তাহলে কি কলেজগুলি শাসকদলের নেতাদের একাংশকে কাটমানি দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছিল? তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলায় বিএড এবং ডিএলএড মিলিয়ে ২২টি কলেজ রয়েছে। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো মন্ত্রীর লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, জেলার সব বিএড এবং ডিএলএড কলেজে সঠিক পরিকাঠামো নেই। বেশি ফি নেওয়ার অভিযোগ। ভালো শিক্ষক নেই। ঠিকমত ক্লাসও হয় না। এই নিয়ে গোটা জেলার কলেজগুলির নামও উল্লেখ রয়েছে তাঁর অভিযোগপত্রে। তার মধ্যে আটটি কলেজ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিধানসভায় আরও একাধিক এই কলেজ রয়েছে। এই সব কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকরা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের তদন্তের জন্যই শিক্ষা দফতরে দরবার করলেন মন্ত্রী।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ২২টি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতর তদন্ত শুরু করবে। তদন্তে গুণগত মাণ সঠিক না থাকলে কলেজ বন্ধ করে দেব।

    মন্ত্রীর তালিকাভুক্ত কলেজের এক অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মন্ত্রীর অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত একটি কলেজের অধ্যক্ষ সংঘমিত্রা ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর ওই লিখিত অভিযোগপত্রের কথা জানতে পেরেছি। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিত সমস্ত পরিকাঠামো আমাদের উপযুক্ত রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। কেন তিনি আমাদের কলেজের নাম তালিকায় রাখলেন তা জানা নেই। আমরা যে কোনও সময় এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য প্রস্তুত আছি। তবে, এই অভিযোগের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে আমার ধারণা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার সাফল্যে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দারা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত। কারণ, চন্দ্রযান-৩ এর ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী। অনুজ নন্দীর ক্যামেরার তোলা ছবি দেখল গোটা বিশ্ব। অনুজের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা ইসলামপুর তথা জেলাবাসী।

    চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর ছেলের সঙ্গে কী কথা হল মায়ের? (Chandrayaan 3)

    বুধবার চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার আগে কোথাও দেখা গিয়েছে মানুষ প্রার্থণা করছেন, কোথাও বা হয়েছে হোম-যজ্ঞ। আবার কোথাও দেখা গেছে মানুষ টিভির পর্দায় নজর রেখেছেন। তবে, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের সাথে চাঁদে অবতরণ দেখতে সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন অনুজের পরিবারও। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে সরাসরি দেখে এবং এই সাফল্যের পিছনে যারা রয়েছেন তাদের একজন যে তাঁদের পরিবারের ছেলে তা ভেবেই আনন্দাশ্রু গোটা নন্দী পরিবারের চোখে। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর শুধু অনুজের পরিবারই নয়, পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে গোটা ইসলামপুরবাসীর কাছেই এটা গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানী অনুজ নন্দীর মা শোভারানি নন্দী বলেন,’অনেকদিন পর ছেলের সঙ্গে কথা হল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সৌজন্য বিনিময়ের পরই চন্দ্রযান-৩ নিয়ে কথা হল। চাঁদের মাটিতে পা রাখল চন্দ্রযান। আর এই সাফল্য তার কথাতে বার বার ফুটে উঠছিল।’

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। সঞ্জয় দত্ত নামে এক প্রতিবেশী  বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনুজ নন্দী একজন সাধারণ ঘরের ছেলে হয়ে আজ এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে, যা কিনা গোটা ইসলামপুর তথা পশ্চিমবঙ্গের নাম গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। আমরা খুবই আনন্দিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Garden: চোপড়ায় চা বাগানে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন শ্রমিক, অভিযুক্ত তৃণমূল মদতপুষ্ট মালিকপক্ষ

    Tea Garden: চোপড়ায় চা বাগানে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন শ্রমিক, অভিযুক্ত তৃণমূল মদতপুষ্ট মালিকপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা বাগান (Tea Garden) দখলকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষ ও আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সংঘর্ষের জেরে ছড়রা গুলি চালানোর অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ১৩ জন চা শ্রমিক। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল মদতপুষ্ট চা বাগানের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি এলাকার পিয়ারেলাল চা বাগানে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tea Garden)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়ারেলাল চা বাগানের (Tea Garden) আগের মালিক বাগানটি স্থানীয় কিছু লোকেদের কাছে বিক্রি করে দেন। নতিন চা বাগানের মালিক পক্ষ তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ। আর শাসক দলের নেতাদের মাথায় হাত থাকায় তারা শ্রমিকদের উপর জুলুমবাজি করছে বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই কর্মরত শ্রমিকরা ওই বাগানের পাশেই অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আর তৃণমূল মদতপুষ্ট বাগানের নতুন মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে বাগান দখলকে কেন্দ্র করে ঝামেলা চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার আন্দোলনেও নামে আদিবাসীরা। সোমবার সেই বাগান দখল করতে গেলে নতুন মালিকপক্ষ ও আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে ছড়রা গুলি চালানোর অভিযোগ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন ছড়রা গুলিতে আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চোপড়ার দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    কী বললেন আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির নেতা?

    আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির নেতা রহিদা ওরাও বলেন, পুলিশের সামনেই মালিকপক্ষের লোকজন আমাদের ওপরে গুলি চালায়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদের ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘স্ক্রাব টাইফাস’, জেলায় আক্রান্ত কত জানেন?

    North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘স্ক্রাব টাইফাস’, জেলায় আক্রান্ত কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যের পাশাপাশি  উত্তর দিনাজপুরেও (North Dinajpur) দেখা দিয়েছে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত। প্রতিবারই এই সময় ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়ে। যার জেরে এবারেও রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু, এর পাশাপাশি জেলায় বাড়ছে ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের প্রকোপ। ফলে, জেলাজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। জেলার রায়গঞ্জেও ‘স্ক্রাব টাইফাস’ চোখ রাঙাচ্ছে।

    কী বললেন রোগীর পরিবারের লোকজন?

    জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত একমাসে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলায় রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমা মিলিয়ে ৪৬ জন ‘স্ক্রাব টাইফাস’-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় ১১ জনের শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল-সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পেটের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগীদের ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। সুবীর বর্মন নামের এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ওয়ার্ডে ক্রমশই বাড়ছে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বরের পাশাপাশি গা,হাত পা ব্যাথাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা চলছে। অপর এক রোগীর আত্মীয় পঙ্কজ বর্ধন বলেন, আমার দাদা ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। ওয়ার্ডে প্রচুর রোগীর চাপ বাড়ছে। ফলে, বেড পাওয়া মুশকিল। মেঝেতে কিংবা বারান্দায় রাখা হচ্ছে রোগীদের। বেশীর ভাগই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া কিংবা স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে আমরা চরম উদ্বেগে রয়েছি।

    হাসপাতালের চিকিৎসকের কী বক্তব্য?

    হাসপাতালের চিকিৎসক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসময় জ্বর একটু বেশি হয়। তবে, অন্যান্য জেলার তুলনায় উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) রোগীর সংখ্যা কম। আপাতত হাসপাতালে ১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছেন।  এছাড়াও ২৬ জন স্ক্রাব টাইফাস পজিটিভ রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত, বর্ষাকালে মশার কামড়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া এবং পোকার কামড়ে ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই, দফতরের তরফে প্রশাসনিক সহযোগিতায় জেলার নয়টি ব্লকে মশা ও পোকার বংশবিস্তার রুখতে আবর্জনা সাফাই, জমা জল পরিস্কার-সহ বাসিন্দাদের নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম, শোরগোল

    Scam: ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) মামলায় ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকায় উত্তর দিনাজপুরের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম। আর ঘটনায় গোটা জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধীরাও এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি করার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের বিদায়ী সভাধিপতির বিরুদ্ধে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় ওই তালিকায় ৩০০ নম্বরে নাম রয়েছে বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। এরপর ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে বালিজোল হাইস্কুলে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন তিনি। বুধবার ৯০৭ জনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। এনিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    কী বললেন তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি?

    এ বিষয়ে তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০১৮ সালে চাকরি পেয়েছি। নিয়মনীতি মেনেই চাকরি হয়েছে। কোনও দুর্নীতি (Scam) করা হয়নি। কী কারণে এই তালিকায় আমার নাম এল, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। কবিতা বর্মনের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা প্রফুল্ল বর্মন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আমি মর্মাহত। ছোট থেকেই ভালো ছাত্রী ছিলেন আমার স্ত্রী। নিয়ম নীতি মেনেই তাঁর চাকরি হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দলের পক্ষ থেকে কবিতা বর্মনের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে বৈধ কাগজপত্র পেয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা দলের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় বিজেপির রায়গঞ্জ উত্তর শহর মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ যোশি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। বিজেপি বরাবর বলে এসেছে যে তৃণমূল নেতাদের বাড়ির বাইরের রেট চার্ট ঝোলানো হোক, যে কোনও চাকরিতে কত টাকা লাগে। যেখানে সাধারণ মানুষ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাচ্ছে না অথচ তৃণমূল নেতা নেত্রীর আত্মীয়রা চাকরি পাচ্ছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। সমস্তটাই অনৈতিক। আমরা ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের সন্ত্রাসে পুরুষশূন্য গ্রাম, আক্রান্ত নির্দলদের পাশে আব্দুল করিম চৌধুরী

    TMC: তৃণমূলের সন্ত্রাসে পুরুষশূন্য গ্রাম, আক্রান্ত নির্দলদের পাশে আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত ইসলামপুরে। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সন্ত্রাসের জেরে এলাকা পুরুষশূন্য রয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই নির্দল প্রার্থী এবং তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট চালানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের বুধাগছ, দিঘিরপাড় সহ অন্যান্য গ্রামের সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল কর্মীরা?

    উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরোধ ‘ওপেন সিক্রেট’। দুজনের মধ্যে বিরোধিতা আরও বাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক করিম অনুগামীদের প্রার্থী করেননি বলে অভিযোগ। তার জন্য পঞ্চায়েত ভোটে করিম চৌধুরীর অনুগামীরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা করিম অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর, মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়ে মহিলারা আতঙ্কিত। এদিকে বিধায়ক করিম চৌধুরী ভুজাগছ গ্রামে পার্শ্ববর্তী গ্রামে যেতে চাইলে জাকির হোসেনের অনুগামীরা বাধা দিলে বিধায়ক সেখান থেকে ফিরে আসেন।  বিধায়ক অনুগামী নির্দল কর্মী সালমা খাতুন, ফরিদা বানুদের বক্তব্য, আমরা সকলেই তৃণমূল কর্মী ছিলাম। এবার টিকিট না পাওয়ার কারণে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলাম। আর তার জন্যই ভোট হওয়ার পর থেকেই লাগাতার বাড়িতে এসে তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলা সত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এই অত্যাচার বন্ধ না হলে তিনি সরকারের কাজকর্মের বিরোধিতা চালিয়ে যাবেন। ভোটের দিন থেকেই সন্ত্রাসবাদী জাকির হোসেনের লোকেরা আমার অনুগামীদের মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, যারা বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে আছে ভোটের দিন তারা এলাকায় গুলি চালিয়ে ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই অভিযোগে পুলিশ তাদের খুঁজছে। গ্রেফতার এড়াতেই তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বিধায়ক না জেনে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: ভিডিও কলে আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল, চাপে পড়ে আত্মঘাতী যুবক

    Raiganj: ভিডিও কলে আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল, চাপে পড়ে আত্মঘাতী যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও কলের ফাঁদে পা। তারপরই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার নাম করে ব্ল্যাকমেল। এই ব্ল্যাকমেলের চাপেই আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। এমনই অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) শহর লাগোয়া শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের ইকর গ্রামে। পুলিশের কাছে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম সুশান্তচন্দ্র দাস। তিনি রায়গঞ্জের (Raiganj) একটি শপিং মলে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার কাজ থেকে বাড়ি ফিরে রাতের খাবার খেয়ে সাধারণ ভাবেই শুতে গিয়েছিলেন। শনিবার শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সুশান্তর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবার লোকজনের বক্তব্য, মৃত ওই যুবকের ফোনে এদিন সকাল সাড়ে ৮ টার পর থেকে লাগাতার অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসতে থাকে। সেই ফোন ওই মৃত যুবকের পরিবারের লোকেরা ধরলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে হিন্দিভাষী কেউ ৪-৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে। অন্যথায় এক মহিলার নগ্ন ভিডিও কলের সঙ্গে ওই যুবকের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই মৃত যুবকের মোবাইল ঘেঁটে ওই রকম একটি ফেক এডিট করা ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যেই ভিডিও যুবককে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে কেউ পাঠিয়েছিল। এর পরেই আরও দেখা যায় মৃত যুবক দেড় হাজার টাকা ওই নম্বর পাঠিয়েছিলেন। এই সব কিছু দেখেই আমাদের মনে হচ্ছে, ভিডিও কলের মাধ্যমেই ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল যুবককে। আর ব্ল্যাকমেলের চাপে পড়েই আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন এক সমাজকর্মী?

    রায়গঞ্জের (Raiganj) সমাজকর্মী তথা শিক্ষক মৃণালকান্তি সিংহ বলেন, এই ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই সামনে আসছে৷ বেশিরভাগ সময় লজ্জায় কেউ মুখ ফুটে কারও সাহায্য চাইতে পারেন না। ফলে, এইরকম সব মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসে। আমরা বলব, এই রকম ফাঁদ এড়িয়ে চলাই ভালো। আর যদি কেউ ভুল করে ফাঁদে পা দিয়েও ফেলেন, তবে দ্রুত পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া উচিত। এখন সব জায়গায় সাইবার ক্রাইম থানা আছে। আর সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই বিষয়গুলিতে ভালো কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC:”‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    TMC:”‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধ না হলে রাজ্যসভার ভোটে অংশ নেব না। সাফ জানিয়ে দিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চোধুরী। এমনকী তিনি বিধানসভার কোনও বিলকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়ে দেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের এই বিস্ফোরক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ পঞ্চায়েতে তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের দল অনুমোদন করেনি। বাধ্য হয়ে তাঁর নির্দেশে সকলেই নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করেন। নির্বাচনের দিন অধিকাংশ বুথে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে করিম সাহেবের দেওয়া নির্দল প্রার্থীদের লড়াই হয়। এদিন করিমসাহেব বলেন, তৃণমূল ভোট করতে দিল না। সকালের দিকে দুঘণ্টার মধ্যে ২৮টি বুথে ভোট হয়ে গেল। এটা কি সম্ভব? আমরা প্রশাসনের কাছে ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কী বললেন করিমসাহেব?

    ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে ইসলামপুরে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্বেও পুলিশ আমার কথায় গুরুত্ব দেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত হলেও দল তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

    নির্দলদের জমি দখল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    করিমসাহেব বলেন, সিপিএমের আমলে দেখতাম বিরোধীদের  জমিতে পতাকা টাঙিয়ে তা দখল করে নিত। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারত না। প্রশাসনও কিছু করত না। এখন যারা নির্দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্দলদের সমর্থন করেছিলেন, তৃণমূলের (TMC) লোকজন তাঁদের জমিতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দিয়ে জোর করে জমি দখল করে নিচ্ছে। ফসল কেটে নিচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না।

    মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন করিমসাহেব?

    নির্বাচনে অশান্তির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও পরিবার প্রতি একজনের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতার এই প্রলোভনের জন্য আগামীতে মানুষ মরনঝাঁপ দেবে। এগুলো না করে মমতা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। নির্বাচনে জেতার পরই নির্দল সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এরপরই নির্দলরাও পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল এবং নির্দল সমর্থকদের এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন। তাঁদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের সুরুন-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডামডোলিয়া গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিন থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বুধবার তৃণমূল ডামডোলিয়া এলাকায় একটি বিজয় মিছিল করে। রাতে হঠাৎই নির্দল সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (TMC) টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থন করেছিলেন। ভোটে জেতার পর নির্দলকে সমর্থন করায় স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তার মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদকে বাড়িতে ঢুকে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। বাবাকে বাঁচাতে আসলে মেয়ে নাসিমা খাতুনকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল সমর্থক?

    আক্রান্ত নির্দল সমর্থক মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্দলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে ওরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমার মেয়েকে বেধড়ক মেরেছে। অপর এক নির্দল সমর্থক রেফাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোটে জিতেই নির্দল সমর্থকদের ওপরে আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লোকেরা। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী মুজাহিদ আলমের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) কর্মী?

    এই সংঘর্ষে জখম তৃণমূল (TMC) কর্মী কাজিমুল হক বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে নির্দল সমর্থকরাই আমাদের উপরে হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইটাহার থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোর্টের নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার। মানেনি নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে সিভিক, কনস্টবলদের দিয়ে রাজ্য জুড়ে ভোট করানো হল। আর অসুরক্ষিত বুথে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে বেঘোরে প্রাণ গেল বহু রাজনৈতিক কর্মীর। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশাহকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     শনিবার ভোট চলাকালীন চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।  সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশানগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।  শাহেনশার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিদ্যানন্দপুর। খুনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কবুতরখুপি সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসর টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ শাহেনশা। ভোটের দিন কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নির্বাচনে পরিবারের সদস্যকে হারানোর ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না নিহত শাহেনশার পরিবার।

    কী বললেন মৃতের মা?

    ছেলের শোকে ভেঙ্গে পড়েছেন মৃতের মা সহ অন্যান্যরা। মৃতের মা আকরিবা খাতুন  বলেন, “আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।” অপরদিকে নিহত শাহেনশার ভাতৃবধূ খুশবু বেগম বলেন,”এই ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী প্রশাসন। বুথে একটি মাত্র পুলিশ ছিল। বুথে না ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ, না কেন্দ্রীয় বাহিনী। একজন পুলিশ কর্মী কি একা গন্ডগোল থামাতে পারেন? দোষীদের চরমতম শাস্তি চাই।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোজাফফর মহম্মদ  বলেন, এমন তরতাজা প্রাণ অকালেই চলে যাবে তা কেউ ভাবতেই পারছে না। কংগ্রেস শাসিত দুষ্কৃতীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।  নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে এমন ঘটনা এড়ানো যেত। এর ঘটনার জন্য প্রশাসন দায়ী।

    রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে হেমতাবাদে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন

    হেমতাবাদের তৃণমূল (TMC) কর্মী নারায়ণ সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহন করেনি অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার  হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ি মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষজন এবং পরিবারের সদস্যরা।  আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গিয়াশীলের বাসিন্দা নারায়ন সরকারকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ এখনও কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। উল্টে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা মানতে রাজি নন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে দোষীকে খুঁজে বের করে তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট চলাকালীন হেমতাবাদের ধোয়ারই এলাকায় পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় নারায়ণ সরকারের মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভোট দিতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়েছিলেন তিনি তারপরই তার মৃত্যুর খবর এসে পৌছয় পরিবারের কাছে। ঘটনায় শোকে ভেঙে পরে গোটা পরিবার।

    কী বললেন মৃতের ছেলে?

    এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের ছেলে বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিন বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ চলার পর অবরোধ স্থলেই পুলিশের কাছেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share