Tag: North Dinajpur

North Dinajpur

  • Panchayat Poll: অগ্নিগর্ভ চাকুলিয়া, সরকারি বাস ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, অবরোধ, গোয়ালপোখরে ফের খুন

    Panchayat Poll: অগ্নিগর্ভ চাকুলিয়া, সরকারি বাস ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, অবরোধ, গোয়ালপোখরে ফের খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Poll) পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার রামপুরে বিরোধীরা রামপুর-চাকুলিয়া রাস্তা অবরোধ করে। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা রামপুরে ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। একটি সরকারি বাস সহ একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, ভোটের দিন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বুথ দখল করেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিনের বিক্ষোভ। অন্যদিকে, গোয়ালপোখর-১ ব্লকে শনিবার রাতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সামসুল হুদা। অন্য একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    চাকুলিয়া থানার রামপুর বুথে শনিবার ভোট (Panchayat Poll)  চলাকালীন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বুথের মধ্যে গ্রামবাসীরার লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। সেখানে বহু মহিলা ছিলেন। দুষ্কৃতীরা দুটি গাড়িতে করে আসে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথে ঢোকে। এলোপাথারি বোমাবাজি করে। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। বিজেপির পোলিং এজেন্ট সুখুকমার দাসকে মারধর করে। বুথ দখল করে ভোট লুট করে। এরপরই গ্রামের লোকজন ছুটে এসে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করতে করতে এলাকা ছেড়ে পালায়। তবে, তারা যে দুটি গাড়ি করে ঘটনাস্থলে এসেছিল, সেই গাড়ি দুটি ফেলে রেখে পালায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জখম হন। শনিবারের ঘটনার পর রবিবার দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া গাড়ি দুটির উপর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। গাড়ি দুটিতে আগুন ধরানো হয়। সরকারি বাস সহ একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। সরকারি বাসের এক যাত্রী বলেন, আমি মালদা যাচ্ছিলাম। আচমকা আমাদের বাসে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়ির চালক আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপির পোলিং এজেন্ট?

    বিজেপির পোলিং এজেন্ট সুখুকুমার দাস বলেন, তৃণমূল ভোট (Panchayat Poll) লুট করেছে। গ্রামের মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। মানিকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এই বুথে ফের ভোটের দাবি জানাচ্ছি।

    গোয়ালপোখরে ফের এক ব্যক্তি খুন

    অন্যদিকে, এই জেলার গোয়ালপোখর ১ ব্লকের সাহাপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগিরবস্তির নয়াহাঁট এলাকার সামসুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরের দিকে মহম্মদ জামেরুদ্দিন নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর সামসুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। সামসুল হকের মৃতদেহটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাফুজ আলম নামে অপর এক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও এদের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস প্রার্থী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকের চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তৃণমূল প্রার্থীর নাম মহম্মদ শাহেনশা। এই ঘটনায় আরও ১৫ জন জখম হয়েছেন। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ভোটের দিনও জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  তবে, এদিন দিনভর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটলেও তৃণমূল প্রার্থী খুন হওয়ার নজির নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই ভোটে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশার বাড়ি চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামে। তিনি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। সকাল থেকে ওই এলাকায় ভোট ঠিক মতোই চলছিল। ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশা যান। তৃণমূল প্রার্থী পৌঁছাতেই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধে যায়। এরপরই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন মহম্মদ শাহেনশা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি প্রথমে তাঁকে চাকুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মহম্মদ শাহেনশার অবস্থা অবনতি হয়। পরে, তাঁকে কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল  বলেন, “বুথ চত্বরে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থী শাহেনশাকে কুপিয়ে খুন করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দল না মানলে পঞ্চায়েতে “গোঁজ” প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: দল না মানলে পঞ্চায়েতে “গোঁজ” প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শুরু থেকেই প্রস্তুত বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলীদের (TMC) বাধার মুখে পড়লেও জেলায় জেলায় বিজেপি সহ বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু, তৃণমূল এখনও মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করেনি। দল কাকে প্রার্থী করবে বা কে টিকিট পাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নীচু তলার তৃণমূলের (TMC) কর্মী সমর্থকরা। আর এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের বিরুদ্ধে ফের বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    করিম সাহেব বলেন, “আমি ইসলামপুরে তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক। এই ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হবেন তা আমি নির্ধারণ করব। এখানে অন‍্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আমার পছন্দের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে আজ‌ই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দেব। তিনি যদি আমার বাছাই করা প্রার্থীদের অনুমোদন করেন তো ভালো, না করলেও কোনও সমস্যা নেই। ওরা আমার সমর্থনে আমার প্রতিনিধি হিসেবে নির্দল থেকে পঞ্চায়েত ভোট লড়বে। ইসলামপুর ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেওয়া হবে। তাদের জিতিয়ে পঞ্চায়েতগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করে গড়ে তোলার আমার লক্ষ্য।” দলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে ‘আদমখোর’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, “অতীতে ইসলামপুরে অনেক অত্যাচার করেছেন জাকির। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই বিধায়কের এই হুঁশিয়ারিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    দলের বিরুদ্ধে গোঁজ দাঁড় করানোর এই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপত্তি জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “প্রার্থী কে হবে তা দল ঠিক করবে। তবে যে কেউ দলের নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী তালিকা জমা দিতেই পারেন।” অপরদিকে এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “বিধায়ক হিসেবে প্রার্থী তালিকা দেওয়ার অধিকার তাঁর আছে, তিনি তালিকা দিতেই পারেন। দল ঠিক করবে কাকে প্রার্থী করবে, কাকে করবে না”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা দিয়েও কথা রাখেননি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইসলামপুর শহরে মিটিং করলেও দলীয় বিধায়কের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি যুবরাজ। দিনভর অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করে আশাহত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের সামনে তিনি অপমানিতও হয়েছিলেন। তারপর অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েও যোগ দিলেন না ইসলামপুরের এই বিধায়ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী নিয়ে বৈঠক?

    সোমবার ইটাহারের দুর্গাপুর ফুটবল ময়দানে রাত্রিবাস করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার সেখানে দলীয় পদাধিকারী ও জেলার সমস্ত বিধায়কদের থাকার কথা ছিল। সাংগঠনিক বৈঠকে পঞ্চায়েতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সকল বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্বকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অভিষেক নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে সমস্ত দলীয় নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েও ছিলেন। শুধু ছিলেন না ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এ নিয়ে দলের মধ্যেই জোর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিন ধরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় একাধিক সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের সভায় যাওয়ার জন্য করিমসাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে প্রকাশ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। শুধু ইসলামপুর নয়, অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  কোনও জনসভাতে করিমসাহেব যোগ দেননি। এবার অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জেলা সভাপতির সঙ্গে কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আমাকে অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দিয়েছে বিষয়টা দেখবার জন্য।  বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। আমরা বিষয়টা মিটিয়ে নেব।”  যদিও এ বিষয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে ফিল্মি কায়দায় দিনে দুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার  রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের এনএস রোডের একটি সোনার দোকানে। দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় শহরের (Raiganj) ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর পরই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। দোকানের মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী ভাবে সোনার দোকানে ঢুকল দুষ্কৃতীরা?

    নববর্ষের জন্য সোনার দোকানে অলংকারে ঠাসা ছিল। এদিন দোকান খোলার পর পরই দুজন ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকে। কিছুক্ষণ পর আরও তিনজন আসে। পরে, আগ্নেয়াস্ত্র বের করে স্বমূর্তি ধরে তারা লুঠপাট চালায়। দোকানের কর্মী জীবেশ ভৌমিক বলেন, প্রথমে দুজন ক্রেতার মতোই দোকানে আসে। ফলে, আমরা অলংকার দেখানোর জন্য তাদের জিজ্ঞাসা করি। সঙ্গে সঙ্গে  আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে বলে। আমাদের কাছে থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। তাদের সহযোগিতা করতে বলে। আমরা যদি তা না করি তবে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।  দুজনে এসব কথা বলতে বলতে আরও তিনজন ভিতরে ঢোকে। সকলেই হিন্দিতে কথা বলছিল। আর যার কাছে মোবাইল পায়, কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেয়। আমাদের সকলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা দোকানের জিনিসপত্র লুঠ করতে থাকে। আমাদের দোতলা নিয়ে গিয়ে ক্যান্টিনের মধ্যে আটকে রেখে ওরা চলে যায়। আমরা ৪৫ মিনিট সেখানে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকি। এরমধ্যে তারা সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয়।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তারা কথা বলে।

    দিনের বেলায় সোনার দোকানে ডাকাতি নিয়ে কী বললেন চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক?

     উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শংকর কুন্ডু বলেন, শহরে (Raiganj) এই ধরনের ঘটনা এর আগে কোনওদিন ঘটেনি। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই আতঙ্কের। দিনের বেলায় সোনার দোকানে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে পালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ইডি-র চার্জশিটে কুন্তলের এজেন্ট হিসেবে নাম রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষকের! চাঞ্চল্য

    Scam: ইডি-র চার্জশিটে কুন্তলের এজেন্ট হিসেবে নাম রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষকের! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) এবার কুন্তল-যোগ উত্তর দিনাজপুর জেলায়! কুন্তল ঘোষকে জেরার পর ইডির পেশ করা চার্জশিটে নাম এল এক শিক্ষকের। তাঁর নাম গৌতম তান্তিয়ার। তিনি আবার একজন  সমাজকর্মী। আর রায়গঞ্জের এক পশুপ্রেমী সংগঠনের তিনি সম্পাদকও। কুন্তল ঘোষকে জেরা করে যে এজেন্টদের নাম পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে নাম রয়েছে গৌতমবাবুর। এমনই একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক প্রতিবেশী নিবারণ দেবনাথ বলেন, গৌতমবাবুর এনজিও-র সঙ্গে আমি যুক্ত রয়েছি। আর তাঁর একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আমি ব্যবসা করি। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির তালিকায়  তাঁর নাম দেখে অবাক লাগছে।

    কুন্তল ঘোষের এজেন্ট প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম তান্তিয়া কী বললেন?

    নিজের নামের তালিকাকে ভুয়ো বলে দাবি করেন শিক্ষক গৌতমবাবু। তিনি বলেন, আমি কুন্তল ঘোষের নাম সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। তার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। কেন আমার নাম জড়ানো হল তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া আমার কাছে লিখিত কোনও কাগজপত্র আসেনি। ফলে, এটা ভুয়ো বলে মনে হচ্ছে। আর এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আমাকে বদনাম করাতে এসব কেউ করতে পারে। আর এই দুর্নীতির (Scam)  বিষয় নিয়ে যদি ইডি তলব করে, আমি সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    কুন্তল ঘোষের এজেন্ট হিসেবে নাম সামনে আসতেই সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, এই সরকারের আমলে শিক্ষকরাও দুর্নীতির (Scam)  সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। কুন্তলকে জেরা করে এই জেলায় শুধু গৌতম তান্তিয়ার নাম উঠে আসলেও এমন আরও অনেক গৌতমবাবু এই জেলায় রয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে তাদের নামও বেরিয়ে আসবে। আসলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam)  জাল প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। ইডি তদন্ত করলেই সব অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। আমরা চাই, নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইডি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River:  নদীর জমি চুরি করে এভাবে চলছে চাষাবাদ! জানেন কোথায়?

    River: নদীর জমি চুরি করে এভাবে চলছে চাষাবাদ! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অবাস্তব মনে হলেও সত্যি। আস্ত একটি নদী (River) বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বলা ভাল, নদীর জমি চুরি করে নিজেদের নামে করে নিয়েছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। আর সেই নদী(River)  এখন পরিণত হয়েছে চাষের জমিতে। রমরমিয়ে সেখানে চলছে চাষবাস। এমনকি চাষ করার জন্য বৈধ কাগজ পেয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। একসময়ে জল টল টল করা শ্রীমতি নদীর(River)  এমনই বেহাল ছবি ধরা পড়েছে। ধীরে ধীরে নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এই নদী এখন পুরোপুরি চরে পরিণত হয়েছে। জলা জমি ডাঙা জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, নদী দখল করে চলছে চাষাবাদ। বেশ কিছু এলাকায় রীতিমতো কংক্রিটের  নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নদীর (River)  জমি দখল করা চাষিদের বক্তব্য, চাষের জমির নিজস্ব দলিল আমাদের কাছে রয়েছে।  তবে, কে তাঁদের আস্ত এই নদী বিক্রি (River)  করল, সে বিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    কেমন ছিল শ্রীমতি নদী? River

    একসময় বাংলাদেশ থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা এই নদী (River)  ইটাহার ব্লকের মারনাই এলাকায় মহানন্দা নদীতে মিশেছে। জল থৈ থৈ করত এই নদী (River) । দুপারের বাসিন্দারা এই নদীর জল ব্যবহার করতেন। দুপারে যে সব জমি ছিল, নদীর জলের চাষাবাদ হত। কিন্তু, গরম কালে নদীতে (River)  জল কম থাকার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষের হাত ধরে ধীরে ধীরে নদী দখল হতে শুরু করে। ভূমি দপ্তরকে হাত করেই নদীর জমি নিজের নামে করে নেয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এমনকী তাঁরা নদীর জায়গা বলে মানতে নারাজ। তাঁরা  রায়ত জমি হিসাবে প্রয়োজনীয়  কাগজপত্রও দেখিয়ে দেন। নদী বাঁচাও কমিটির সদস্য প্রসূণ কুমার দাস বলেন, আমরা সংগঠন তৈরি করে নদী (River)  বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা দরবার করেছিলাম। কয়েক বছর আগে জেলাশাসকের নির্দেশে বিডিওর উদ্যোগে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে নদী সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কাজ করতে গিয়ে জানা যায়, নদী বলে কিছু নেই। নদী (River)  বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সব ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এই ঘটনার আমরা তদন্ত দাবি করছি।

    কালিয়াগঞ্জ শহরের  বিজেপি নেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমলে শ্রীমতি নদীর সংস্কারের কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাম সরকারের উদাসীনতায় তা সম্ভবপর হয়নি। পরবর্তীকালে সরকারের পক্ষ থেকেও নদীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রাম নিবাস সাহা বলেন,  মহকুমা শাসক ও বিএলআরওকে বিষয়টি জানিয়েছি। সেখানে ভোগ দখলকারী অনেকের কাছে বৈধ কাগজও রয়েছে বলে শুনেছি। নতুন করে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, এভাবে নদী (River)  দখল করে চাষবাস চলতে থাকলে একদিন নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলবে। নদী (River)  গতিপথ পরিবর্তন করবে। এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হবে। এই বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ভূমি রাজস্ব দপ্তরকে জানাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শনিবার রাত থেকে চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করেন। রবিবার হিমঘর থেকে চাষিদের আলুর বন্ড দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন। রাত গড়িয়ে সকাল হতেই কয়েক হাজার চাষি সেখানে আলুর বন্ড নেওয়ার জন্য হাজির হন। কিন্তু, বহু চাষি আলুর বন্ড না পেয়ে পুলিশের (Police) হাতে মার খেয়ে হতাশ হয়ে শুকনো মুখে বাড়ি ফিরে যান। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুর হিমঘরে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে অনেকে জখম হন। যদিও পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, হিমঘরের সামনে প্রচুর জমায়েত হয়েছিল। হিমঘরের ভিতরে ঢোকা নিয়ে গন্ডগোলও হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতেই লাঠি উঁচিয়ে তাড়়া করা হয়েছিল।

    বন্ড না পেয়ে রাজ্য সরকারকেই কেন দুষছেন চাষিরা? Police

    রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের হিমঘরে আলু রাখার জন্য এবার সংরক্ষণ ঘোষণা করে। কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যে সব চাষির নাম রয়েছে তারা বন্ড নিতে পারবেন। সরকারের এই ঘোষণায় চাষিরা মুখে হাসি ফুটেছিল। কারণ, এতদিন হিমঘরের বন্ড এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা দিয়ে বন্ড কিনে নিতেন। সেখানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আলু রাখার মতো ক্ষমতা ছিল না। সরকারি এই সিদ্ধান্তে চাষিরাও নিজেদের জমির আলু হিমঘরে রাখার স্বপ্ন দেখেন। কারণ, এমনিতেই খোলা বাজারে আলুর দাম কম। তাই, চাষিরা হিমঘরে আলু রাখার জন্য বন্ড নিতে আসেন। আগের দিন রাত থেকে তাঁরা লাইন দেন। সারা রাত ধরে হিমঘরের সামনে পিল পিল করে চাষিদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। রবিবার সকালে হিমঘরের গেট খুলতে বিস্ফোরণ হয়। চাষিদের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে তা সামাল দিতে পুলিশকে (Police) বেধড়ক লাঠি চার্জ করতে হয়। নজরুল ইসলাম নামে এক আলু চাষি বলেন, রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু, বন্ড পাইনি। পুলিশ (Police) লাঠিচার্জ করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চাষিদের বক্তব্য, বন্ড বিলির নির্দিষ্ট নিয়ম থাকবে। সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এই সুযোগে বন্ড নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে। যাদের টাকা রয়েছে, তারা বন্ড কিনে রেখে দিচ্ছে। আর আমাদের মতো চাষিরা পুলিশের (Police) হাতে মার খাচ্ছে। এদিন হাজার হাজার চাষি রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ (Police) চাষিদের সুষ্ঠুভাবে বন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা না করে লাঠিচার্জ করে এলাকা ছাড়া করেছে। বহু চাষি জখম হয়েছেন। রাজ্য সরকারের ভুল নীতির জন্য হাজার হাজার চাষি নাকাল হচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suspend: গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার! ঘর সামলাতে প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, কোথায় দেখে নিন

    Suspend: গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার! ঘর সামলাতে প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরে গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। ইসলামপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বিরোধ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমনিতেই ইসলামপুরে মাটিকুন্ডা এলাকায়  ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দলেরই দুই নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে গন্ডগোল। মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকাবাসীদের দাবি, শাহনওয়াজ আলম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। আর মেহেবুব আলম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালয়ের অনুগামী। ৮ মার্চ রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তাঁর লোকজনেরা  হামলা চালায় বলে অভিযোগ।চলে গুলি ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় শাহনওয়াজের ভাই সাকিব আকতারের।তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনার পর পরই মেহেবুব আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারপরও দলের একাংশে মধ্যে বিদ্রোহ থামছিল না। বিশেষ করে বিধায়ক অনুগামীরা মেহেবুবের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় খুশি হননি। তাঁরা রীতিমতো ক্ষোভ ফুঁসছেন। বিধায়ক প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের বেআব্রু চেহারা আরও বেশি করে প্রকট হচ্ছে। তাই, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের পঞ্চায়েত প্রধান মেহেবুব আলমকে দল থেকে বহিষ্কার (Suspend) করে দিলেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির তিনি দাবি জানালেন। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের এই কোন্দল নতুন করে আর মাথাচাড়া না দেয় তারজন্য তড়িঘড়ি ওই প্রধানকে বহিষ্কার করা হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূলীদের কাছে বোমা, গুলি মজুত থাকা নিয়ে কী বললেন জেলা সভাপতি ? Suspend

    ইসলামপুরে প্রকাশ্যে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল। সেই জের কাটতে না কাটতেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারুদের স্তূপের মধ্যে রয়েছে এই জেলা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বোমা, গুলি মজুত রয়েছে শাসক দলের কাছে। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জেলায় সবাই তৃণমূল। তাই কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে তৃণমূলের নাম উঠে আসছে। জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অবিলম্বে জেলায় যারা অপরাধী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বোমা, গুলি বাজেয়াপ্ত করবে। কারণ, যে বা যারা দোষী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পুলিশ প্রশাসন সেটা করবে। আর দলের পক্ষ থেকে যেখানে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Migratory Bird: রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে ভিড় শুরু হল পরিযায়ী পাখিদের

    Migratory Bird: রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে ভিড় শুরু হল পরিযায়ী পাখিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা দেরিতে আসায় পাখির আগমনও এবার দেরিতে শুরু হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কুলিকে। মূলত মে-জুন মাসে পাখি চলে আসে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে। কিন্তু, এবছর বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ায় পাখিদের আগমনে বিলম্ব হয়েছে বলেই মনে করছে বন দফতর থেকে শুরু করে পরিবেশ ও পাখি প্রেমী মানুষজন। তবে, পাখির আগমন দেরিতে হওয়ায় এবারে পাখির সংখ্যা কম হওয়ার আশঙ্কা  পরিবেশ ও পাখি প্রেমীদের। যদিও এই পাখিদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার সহ অন্যান্য ব্যবস্থা বন দফতর থেকে করা হয়েছে। তবে পাখির পরিমাণ কম না বেশি তা বোঝা যাবে গণনার পরই।

    কোন ধরনের পরিযায়ী পাখি এই পক্ষীনিবাসে আসে

    উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুলিক পক্ষীনিবাস। প্রতিবছর হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে পরিযায়ী পাখিরা বাসা বাঁধে কুলিক বনাঞ্চলের গাছগুলিতে। উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত সোহারই, ভট্টদিঘি ও আব্দুলঘাটা – এই তিনটি মৌজার প্রায় ১৩০ হেক্টর জায়গা জুড়ে  গড়ে উঠেছে কুলিক পক্ষীনিবাসটি। উত্তর-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে জুন মাসের শেষের থেকে মূলত  ইগ্রেট, কর্মোর‍্যান্ট, নাইট হেরন ও ওপেন বিল স্টর্ক  প্রজাতির পাখিরা এই পক্ষীনিবাসে আসে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকেরা আসেন পাখিদের দেখতে। কুলিক পক্ষীনিবাস পরিযায়ী পাখিদের আগমনের নিরিখে বর্তমানে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। এছাড়াও লিমকা বুক অফ রেকর্ডসেও প্রথমে জায়গা করে নিয়েছে এই পক্ষীনিবাস। শুধু মাত্র রায়গঞ্জ কিংবা এ জেলা নয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সারা বছরই মানুষজন এই পক্ষীনিবাসে ঘুরতে আসেন। প্রকৃতির কোলে সবুজের আবহে বসে পাখিদের গতিবিধি অনুভব করতে ভালোবাসেন সকলেই। তবে পাখি আসার সময়সীমার মধ্যে ভিড় অনেকটাই বেশী হয়। সাধারণত বছরের মে-জুন মাসে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানে থেকেই প্রসব, শাবকদের লালন পালন এবং তাদের উড়তে শেখানো সহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করে জানুয়ারির দিকে আবার ফিরে যায়। তবে এবছর অন্যান্যবারের তুলনায় একটু দেরিতে পাখির আগমন শুরু হয়েছে কুলিক পক্ষীনিবাসে।

    পরিযায়ী পাখি নিয়ে পরিবেশ প্রেমীদের কী বক্তব্য?

    পাখি আসা শুরু হতেই পক্ষী নিবাসে আনাগোনা শুরু হয়েছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজনদের। মূলত ওপেন বিল স্টর্ক, নাইট হেরন, ইগ্রেট ও কর্মরেন্ট এই ৪ প্রজাতির পাখি আসে এখানে। এছাড়াও পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য  রয়েছে দেশি ও বিদেশি মাছের পৃথক ২টি অ্যকুরিয়াম। বিদেশি মাছের মধ্যে রয়েছে উন্নত প্রজাতির রেড টেল ক্যাট ফিস, প্যারোট ফিস, অ্যাঞ্জেল ফিস প্রভৃতি। এছাড়াও পক্ষীনিবাসকে আরও আকর্ষণীয় করতে সেখানে রয়েছে অ্যাভিয়ারি বা মাইক্রো বনাঞ্চল যেখানে প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে ফিন্স, ককটেল, জাভা সহ নানান প্রজাতির পাখি। সেই সঙ্গে রয়েছে নীলগাই ও টার্টল পণ্ড। পরিবেশ ও পাখিপ্রেমী গৌতম তান্তিয়া বলেন, অন্যান্য বারের চেয়ে এ বছর প্রায় এক মাস দেরিতে পাখি আসা শুরু হয়েছে। মূলত বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ার কারণেই পাখিদের আসার সময়টা পিছিয়েছে। যদিও বন দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এবছর পাখিদের সংখ্যা কম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    বন বিভাগের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই পক্ষীনিবাসে প্রায় ৯৯ হাজার ৩৯৩ পাখি এসেছিল। বিভাগীয় বনাধিকারিক দাওয়া এস. শেরপা জানিয়েছেন, এবছর বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ায় পাখি আসতে একটু দেরি হয়েছে। তবে পাখিদের যেন কোনওরকম অসুবিধা না হয় তারজন্য সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগস্ট মাসে পাখি গণনার কাজ শুরু হবে। তারপরই বোঝা যাবে এবছর কত পাখি এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share