Tag: north sikkim

north sikkim

  • North Sikkim: ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই খুলে গেল উত্তর সিকিমের দুয়ার, পর্যটকদের মানতে হবে একাধিক নিয়ম

    North Sikkim: ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই খুলে গেল উত্তর সিকিমের দুয়ার, পর্যটকদের মানতে হবে একাধিক নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের প্রথম দিনে রবিবার থেকে পর্যটকদের (Tourist) জন্য খুলে গেল উত্তর সিকিমের (North Sikkim) দুয়ার। ভ্রমণবিলাসী দর্শকদের জন্য খুশির খবর। তবে এবার থেকে ভ্রমণে যেতে পর্যটকদেরকে মানতে হবে একাধিক নিয়ম। কয়েকদিন ধরেই রাস্তা খুলে দেওয়ার একটা বিরাট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। পর্যটনকে (Tourist) ঘিরে এখন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    খুলে গেল টুং নাগা রুট (North Sikkim)

    ২০২৩ সাল থেকেই নানা সময়ে ধস, বন্যা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রাজ্যটি। সিকিমের (North Sikkim) সব থেকে বড়সড় প্রভাব পড়েছে মঙ্গন জেলায়। মূল ভূখণ্ড থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এই জেলা। লোনার্ক হ্রদ বিপর্যয়ের পরে উত্তর সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার রবিবার থেকেই খুলে গেল টুং নাগা রুট। এই রাস্ত দিয়েই উত্তর সিকিমের চুংথাং, লাচেন, লাচুংয়ের মতো অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গাগুলিতে যেতে হয়। তবে রাস্তা খুললেও একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টার মধ্যে গাড়িগুলিকে মঙ্গন বাজার এলাকা অতিক্রম করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ উত্তর-পূর্ব ভারতে ৮টি ‘আইকনিক’ পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে ৮০০ কোটির প্রকল্প কেন্দ্রের

    সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পাস সংগ্রহ করতে হবে

    সংস্কার কাজে কোনও রকম বাধাপ্রদান করলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে সিকিম (North Sikkim) সরকার। তবে এখন মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় শুধুমাত্র গাড়ি চলাচল করতে পারবে। মূলত যানজট এড়াতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, বেড়াতে গেলে একদিন আগে অথবা যেদিন বেড়াতে যাবেন সেদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পাস সংগ্রহ করতে হবে। পর্যটকদের এসইউভি গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছোট গাড়ি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে উত্তর সিকিম। রাস্তা মেরামতির কাজ অনেকটাই হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে দরজা খুলে যাওয়ায় পর্যটক মহলে খুশির হাওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Landlside in North Sikkim: সড়কপথে বিচ্ছিন্ন উত্তর সিকিম! চুংথাং থেকে লাচেন যাওয়ার রাস্তায় ধস

    Landlside in North Sikkim: সড়কপথে বিচ্ছিন্ন উত্তর সিকিম! চুংথাং থেকে লাচেন যাওয়ার রাস্তায় ধস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস নামল উত্তর সিকিমে। মঙ্গলবার সিকিমের মুন্সিথাংয়ে (Munshethang) বড় ধরনের ধস (Landslide) নামে। ফলে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় চুংথাং-লাচেন রাস্তার (Chungthang-Lachen road) একটা বড় অংশ। আপাতত গ্যাংটক থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উত্তর সিকিমের লাচেন। এর ফলে (Landlside in North Sikkim) ভরা মরশুমে সিকেমে পর্যটন পুনরায় ধাক্কা খেল।

    বন্ধই থাকছে উত্তর সিকিম!

    মঙ্গলবার সকালে চুংথাং থেকে লাচেন যাওয়ার রাস্তায় পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসে (Landlside in North Sikkim) পাথর এবং মাটি। এই মর্মে ধসের একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। অবরুদ্ধ হয়ে যায় গোটা রাস্তাই। এই ধস নামার কারণে গোটা উত্তর সিকিম বাকি রাজ্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি ভাবে উত্তর সিকিমে পর্যটকদের যেতে দেওয়া হয় না। তবে পূর্ব সিকিম হয়ে উত্তর সিকিমের কিছু দ্রষ্টব্য স্থানে যেতেন পর্যটকেরা। তবে এই পথ ছিল যেমন দুর্গম, তেমনই ব্যয়সাপেক্ষ। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছিল, বহু দিন পরে চলতি বছরের শেষে ফের উত্তর সিকিমে যাওয়ার রাস্তা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে নতুন করে ধস নামায় সেই সম্ভাবনা কার্যত রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by The Voice Of Sikkim (@thevoiceofsikkim)

    ব্যাহত পর্যটন

    ইতিমধ্যেই সিকিমে শুরু হয়েছে তুষারপাত সেই কারণে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রচুর পর্যটক। পর্যটনের ভরা মরশুমে রাস্তায় ধস পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ অক্টোবর সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয়ের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় উত্তর সিকিম। ওই সময় থেকেই প্রায় এক বছর ধরে উত্তর সিকিমে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু গত মাসেই এক বৈঠকে উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুংয়ের মত জায়গাগুলিতে ফের পর্যটকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিকিম প্রশাসন। সেই বৈঠকে ঠিক হয়, লাচেন, লাচুং খুলে দেওয়া হলেও পর্যটকদের গাড়ির সংখ্যা বেধে দেওয়া হবে। উত্তর সিকিম খুলে যাবে এই খবরে আশার আলো দেখা দিয়েছিল পর্যটন মহলে। কিন্তু সেই আশায় বাধ সাধল এই ধস (Landlside in North Sikkim)। ধসের ব্যাপকতা দেখে অনেকেরই অনুমান ধ্বংসস্তূপ সরাতে সময় লাগবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: উত্তর সিকিমে আটকে থাকা শেষ ১৫৮ পর্যটককেও উদ্ধার করল প্রশাসন

    Sikkim: উত্তর সিকিমে আটকে থাকা শেষ ১৫৮ পর্যটককেও উদ্ধার করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বৃষ্টিতে বিধ্বংস্ত সিকিমে (Sikkim) সাত দিনের বেশি সময় আটকে থাকার পর অবশেষে বাড়ির পথে রওনা হলেন সব পর্যটকেরা। বুধবার সকাল থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বিকেলের মধ্যে শেষ ১৫৮ জন পর্যটককে গ্যাংটকে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অসুস্থ তিন জনকে স্ট্রেচারে করে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের সেনা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়।

    সব পর্যটকদের সুস্থভাবে উদ্ধার

    উত্তর সিকিমের (Sikkim) মংগনের জেলা শাসক হেমকুমার ছেত্রীর কথায়, ‘পর্যটকদের সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। একাধিক দফতর, স্থানীয় মানুষজন, সেনা ও প্রশাসনের মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বিঘ্নে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।’ লাচুং ও চুংথাং এলাকাতেই মূলত বেশির ভাগ পর্যটক আটকে ছিলেন। অনেকে আবার আশ্রয় নিয়েছিলেন গুরুদ্বারে।  এ নিয়ে গত তিন দিনে মোট ১,৪৪৭ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজের প্রথম দিন ৬৪ জন, দ্বিতীয় দিন ১,২২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এদিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, সিকিমের কোনও প্রান্তে নতুন করে পর্যটকদের আটকে থাকার খবর আপাতত নেই। তেমন কোনও খবর মিললে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    স্থানীয় বাসিন্দারাও নিরাপদ স্থানে

    লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয় সিকিম। কোথাও রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, কোথাও সেতু ভেঙে পড়ে, কোথায় আবার ধস (Sikkim Landslides) নেমে সংযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়। একটানা বৃষ্টির জেরে মংগন ও সিংতাম সহ উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। বন্ধ হয়ে গিয়েছে মংগন থেকে গ্যাংটক, চুংথাং, লাচেন, ডিকচুর সহ একাধিক এলাকার রাস্তা। টানা বৃষ্টি হওয়ার পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হয়। চুংথাংয়ের স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।

    বেড়েছে তিস্তার জলস্তর, বিপর্যস্ত কালিম্পঙ

    সিকিম (Sikkim) লাগোয়া কালিম্পং জেলায়ও একটানা বৃষ্টি চলছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভালুখোলা ও লিকুভিরের পরিস্থিতিও তথৈবচ। দুই এলাকাতেই পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে পড়তে থাকে। টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে তিস্তার জলস্তর। প্লাবিত হয়েছে তিস্তাবাজার এলাকার দার্জিলিংগামী রাস্তা। বুধবার বিকেল থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রিত ভাবে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বড় ও ভারী গাড়ি চলবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অন্যদিকে ছোট গাড়ি সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

    আরও পড়ুন: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    উত্তরে কেন এত বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ থেকে সিকিম পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত একটি নতুন নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় রয়েছে। বুধবার থেকেই বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের উপরে তৈরি হয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবে আগামী চার-পাঁচ দিন পাহাড় এবং সংলগ্ন পাদদেশের পাঁচ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের (Sikkim Landslides) ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তরবঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প টেনে আনছে বলেই পাহাড় ও তার পাদদেশে এত বৃষ্টি হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Landslide: যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার, বাড়ির পথে উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকরা

    Sikkim Landslide: যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার, বাড়ির পথে উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা সাতদিন আটকে থাকার পর বাড়ির পথে রওনা দিলেন সিকিমে বন্দি পর্যটকেরা। আবহাওয়ার একটু উন্নতি হতেই উত্তর সিকিমে আটকে থাকা বেশির ভাগ পর্যটককে উদ্ধার করল প্রশাসন। সিকিম প্রশাসনের তরফে খবর, লাচুংয়ে আটকে থাকা ১১৭৮ জন পর্যটককেই মঙ্গলবার বার করে আনা গিয়েছে। বাকিদের বুধবার সকালে বার করে আনা হয়। 

    দফায় দফায় চলে উদ্ধার কাজ

    সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার আবহাওয়রা সামান্য উন্নতি হওয়ায় ৬৫ জন পর্যটককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার লাচুং ও আশপাশের এলাকা থেকে পর্যটকদের সরানোর কাজ শুরু হয়। লাচুং থেকে চুংথাংয়ের পথে রওয়া হন শয়ে শয়ে পর্যটক।  মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১২৩৭ পর্যটককে টুং-নাগা-মংগন সড়ক পথে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাচুংয়ে আটকে থাকা ১১৭৮ জন পর্যটককেই মঙ্গলবার বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।  বুধবার সকালে আরও ৯১ জনকে উদ্ধার করা হয়।  টানা বৃষ্টি এবং বার বার ধসের কারণে টানা উদ্ধারকাজ না-চালিয়ে দফায় দফায় কাজ করছিলেন কর্মীরা।

    পর্যটকদের নিারপদে বার করাই লক্ষ্য

    গত ১১ জুন থেকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক পথ। ডিকচু-সংকলন-টুং, মংগন-সংকলন, সিংথাম-রাংরাং এবং রাংরাং-টুং সহ উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিম এবং জংগু অঞ্চলে প্রাথমিক সংযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সংকলন সেতু। সেই সেতুই ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠে। তার উপর খারাপ আবহাওয়ার দরুণ আটকে থাকা পর্যটকদের বার করে আনার সমস্যা তৈরি হয়। আবহাওয়া মন্দের ভাল হতেই  উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে যত পর্যটক আটকে রয়েছেন, সবাইকে নিরাপদে বার করে আনতে সচেষ্ট হয় সিকিম সরকার। উদ্ধার কাজে একযোগে হাত লাগান বিআরও, এনডিআরএফ, এসএফআরএফ (BRO, NDRF, SFRF) ও স্থানীয়রা। তবে বৃষ্টি পুরোপুরি না থামায় একাধিক জায়গায় নতুন করে ধসে নামে। সেই কারণে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয় উদ্ধার অভিযান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চলছে উদ্ধার কাজ

    Sikkim: উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চলছে উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির জেরে বেহাল সিকিম (Sikkim)। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমে আরও বেশ কয়েকদিন যে দুর্যোগ চলবে সেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। একাধিক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধসের কারণে। তাই সিকিমে আটকে থাকা অন্তত ১২০০ পর্যটককে উদ্ধার করতে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলকে। তবে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২ দিনে ৬০ জনের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে। মঙ্গলবার সিকিমের লাচুং এবং মঙ্গন  (North Sikkim) জেলা থেকে ১৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করে গ্যাংটক নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার ৫০ জনকে গ্যাংটক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

    উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন

    প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেই বিআরও-র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ফের একবার ধসে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (North Sikkim) সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে। মংগন জেলার গুয়াহাটি বেসের ডিফেন্স পাবলিক রিলেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বলেন, ‘রাস্তা থেকে বড় বড় পাথরের টুকরো সরাতে একাধিক মেশিন এবং শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। অধিকাংশ রাস্তায় বর্তমানে সাফ করা গিয়েছে।’ বিআরও প্রায় দু’দিনের মধ্যে ভেঙে যাওয়া সেতু পুনর্নির্মাণ করে ফেলেছে ৷ ফলে আবার উত্তর সিকিমের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনও সম্ভব হয়েছে ৷ তবে এখনও গাড়ি চলাচল স্থগিত রয়েছে। উত্তর সিকিমের বিপদসংকুল পাহাড়ি পথ টুং থেকে মঙ্গন পর্যন্ত পায়ে হেঁটেই আসতে হচ্ছে পর্যটকদের। 

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছেই

    মঙ্গলবারও নতুন করে সিকিমের (Sikkim) বহু এলাকায় ধস নামার কারণে পরিবহণ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় আটকে পড়া অনেক পর্যটককে এয়ারলিফ্ট করে উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছে না।সিকিমে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দুর্যোগ। এতদিনেও পরিস্থিতির সেরকম উন্নতি হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর,  গ্যাংটকে রাখা হয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। প্রয়োজনে বাগডোগরা থেকেও সেনাবাহিনীর কপ্টার আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি এবং মেঘ থাকার কারণে হেলিকপ্টার চালানো যাচ্ছে না। তাই উদ্ধারকাজে যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে। এই প্রেক্ষিতে সড়কপথই পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sikkim: পায়ে হেঁটে সমতলের পথে আটকে পড়া পর্যটকেরা, সিকিমে শুরু উদ্ধার কাজ

    Sikkim: পায়ে হেঁটে সমতলের পথে আটকে পড়া পর্যটকেরা, সিকিমে শুরু উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর সিকিমে (Sikkim) আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার কাজ শুরু করল প্রশাসন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত টুং থেকে মোট ন’জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সোমবার দুপুরে পর্যটকদের উত্তর সিকিমের বিপদসংকুল পাহাড়ি পথ টুং থেকে মংগন পর্যন্ত হেঁটে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। তাঁরা সকলেই চুংথাংয়ের গুরুদ্বারে আটকে পড়েছিলেন। তবে, এখনও পর্যন্ত লাচুংয়ে (Lachung) আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি।

    প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উদ্ধারের চেষ্টা

    সোমবার জেলা প্রশাসনিক দল, পর্যটন ও অসামরিক বিভাগ এবং সিকিমের পর্যটন সংস্থা উদ্ধারকাজ শুরু করে। বৃষ্টির পাশাপাশি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক দুর্গম পথ পার করে পর্যটকদের সমতলের দিকে হেঁটে আসতে হয়েছে। প্রথম ব্যাচে অপেক্ষাকৃত তরুণ পর্যটকরা ছিলেন। যে পর্যটকেরা চুংথাংয়ে আটকে ছিলেন, তাঁদের দুপুর ১২টা নাগাদ উদ্ধার করা হয়েছে। টুং থেকে মঙ্গন হয়ে তাঁদের বার করে আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটন এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর একত্রে হাত লাগিয়েছে যাতে নির্বিঘ্নে সমস্ত পর্যটককে উদ্ধার করে আনা যায়। টানা বৃষ্টি এবং একের পর এক ধসে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ওই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাই একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে, দফায় দফায় উদ্ধারের কাজ করছে প্রশাসন।

    বেহাল অবস্থা সিকিমে

    লাগাতার বৃষ্টির জেরে বেহাল অবস্থা সিকিমে (Sikkim)। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন। একের পর এক ধস নামছে। ডিকচু-সংকলন-টুং, মঙ্গন-সংকলন, সিংথাম-রাংরাং এবং রাংরাং-টুং সহ উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিম এবং জংগু অঞ্চলে প্রাথমিক সংযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সংকলন সেতু। সেই সেতুই ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠে।নতুন করে ধসের জেরে সিকিমের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে মংগন জেলার সড়ক সংযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। কোনও দিক দিয়েই সড়ক পথে মংগনে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। বিপদসংকুল সড়কপথে হেঁটে সমতলের পথে পর্যটকরা।

    পরিস্থিতি উন্নতির চেষ্টা

    স্থানীয় প্রশাসনের (Sikkim) তরফে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তা মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করে পুনরায় সংযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধস নামার কারণে উত্তর সিকিমে একাধিক এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক রাস্তা। রাস্তাগুলি মেরামতি করে দ্রুত ওই সব এলাকার সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করতে ও সেখানকার আটকে থাকা মানুষজনদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sikkim: ওষুধ-টাকা নিঃশেষিত! আবহাওয়া খারাপ, সোমে হচ্ছে না সিকিমে আটক পর্যটকদের উদ্ধারকার্য

    Sikkim: ওষুধ-টাকা নিঃশেষিত! আবহাওয়া খারাপ, সোমে হচ্ছে না সিকিমে আটক পর্যটকদের উদ্ধারকার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিকূল আবহাওয়ায় (Hostile Weather) ব্যাহত উদ্ধার কাজ। প্রবল বৃষ্টি ও ধসের জেরে উত্তর সিকিমে এখনও আটকে ১২১৫ জন পর্যটক। সোমবার থেকে তাঁদের নামানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেল আবারও৷ মঙ্গলবার থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে রবিবার রাতে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন। আগামী ২৪ ঘণ্টা আটকে পড়া পর্যটকদের পাহাড়ি রাজ্যেই নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয় সেজন্য হোম স্টে, হোটেল মালিক ও ট্যুর অপারেটরদেরও কড়া নির্দেশ দিয়েছে সিকিম (Sikkim) সরকার।

    আতঙ্কে দিন গুজরান পর্যটকদের

    উত্তর সিকিমে (Sikkim) আটকে থাকা পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে প্রায় শতাধিক শিশু ও বয়স্ক মানুষ। তাঁদের কারও ওষুধ নেই, তো কারও পকেটে অর্থ নিঃশেষিত। এই অবস্থায় যত দিন বাড়ছে ততই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পাহাড়ের ওপরে খাবারেরও সংকট দেখা গিয়েছে। মোবাইলের নেটওয়ার্কও না-থাকায় যোগের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। পে-টিএম বা জি-পেও করা যাচ্ছে না। চারিদিকে জল কিন্তু পানীয় জলের অভাবের কথা শোনা যাচ্ছে। সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছ, মঙ্গলবার আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে উদ্ধার কাজ শুরু হবে। 

    পায়ে হেঁটেই নামতে হবে!

    প্রশাসনের ঘোষণায় আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। টানা বৃষ্টিতে (Hostile Weather) পর্যটকদের এয়ারলিফট করে উদ্ধারের কথা ছিল বায়ুসেনার। কিন্তু পাহাড়ে টানা বৃষ্টি ও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে এয়ারলিফট করা কোনওভাবে সম্ভব নয়। এরপর সিকিম প্রশাসন রবিবার সকালে ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল মালিক ও ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে ৷ সেই বৈঠকের পরই আটকে থাকা পর্যটকদের টুং হয়ে মঙ্গন পর্যন্ত পায়ে হেঁটে নিয়ে আসার কথা জানানো হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি। সঙ্গে ঘন কুয়াশা। দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে কোথাও একশো কিংবা দু’শো মিটার। এই পরিস্থিতিতে লাচুংয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরাতে হেলিকপ্টারের উপরে ভরসা করা যাচ্ছে না। লাচুং (Sikkim) থেকে পর্যটকেরা গাড়িতে টুং পর্যন্ত আসবেন। সেখান থেকে ১৭ কিলোমিটার পথ হেঁটে তাঁদের পৌঁছতে হবে মঙ্গনে। তারপর পর্যটন সংস্থার গাড়িতে চেপে তাঁদের গ্যাংটকে ফিরতে হবে। পাহাড়ি রাস্তায় ১৭ কিলোমিটার হেঁটে মঙ্গনে ফেরা আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

    আরও পড়ুন: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    নতুন করে ধস

    গত ১০ জুন থেকে সিকিমে (Sikkim) ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উত্তর সিকিমে সেতু ভেসে গিয়েছে। ধস নেমে বাড়ি ভেঙেছে। শতাধিক মানুষ নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছে। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছেন উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়া ১২১৫ জন পর্যটক। তার মধ্যে অন্তত সাতশো বাঙালি রয়েছেন। যাঁরা লাচুংয়ে ছিলেন, তাঁরা হোটেলে রাত কাটিয়েছেন। যাঁরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে মাঝপথে আটকা পড়েছেন, তাঁরা হোটেল না-পেয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন চুঙথাঙের একটি গুরুদ্বারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের গ্যাংটক শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিমের আবহাওয়ার দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা কম। পাহাড়ের একাধিক জায়গায় নতুন করে ধস নেমেছ। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সিকিমে বৃষ্টির লাল সঙ্কেত জারি করা হয়েছে।

    দার্জিলিঙেও ধস

    ভারী বৃষ্টি (Hostile Weather) হচ্ছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙেও। শিলিগুড়িতে মহানন্দা ও বালাসন নদী ফুলে উঠেছে। গোটা দার্জিলিং পাহাড়ি এলাকা জুড়েই বিক্ষিপ্ত ভাবে ধস নেমেছে। কার্শিয়ঙের সিটংয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ। এই অবস্থায় আপাতত পাহাড়ে যাওয়া থেকে পর্যটকদের কয়েকদিন বিরতি নিতে অনুরোধ করছেন বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থা ও প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Sikkim: বিপদসীমা ছুঁতে পারে তিস্তার জল! সিকিমে এখনও আটকে ১২০০ পর্যটক

    North Sikkim: বিপদসীমা ছুঁতে পারে তিস্তার জল! সিকিমে এখনও আটকে ১২০০ পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বিপদসীমার কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। প্রবল বিপর্যয়ে (Flood situation) বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। একের পর এক ধসের জেরে উত্তর সিকিমে (North Sikkim) আটকে পড়েছেন বিপুল পরিমাণ পর্যটক। জানা গিয়েছে সিকিমে ১২০০ পর্যটক এখনও সেখানে আটকে রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের। তা ছাড়া রয়েছেন ১৫ জন বিদেশি। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রংপোতে পর্যটকদের সহায়তার জন্য হেল্পডেস্ক চালু করা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। 

    সিকিমের পরিস্থিতি (North Sikkim) 

    সিকিম (North Sikkim) আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে উত্তর সিকিমে প্রায় ২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনও বৃষ্টিপাতের একই পরিস্থিতি (Flood situation) থাকবে বলেই জানিয়েছে সিকিম হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ছোট বড় ধস নেমেছে। আটকে বহু পর্যটক। পরিস্থিতি এমন যে, পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুংয়ের সঙ্গে গোটা রাজ্যেরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থাও। 

    চালু হেল্পডেস্ক 

    সিকিমে (North Sikkim) আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পডেস্ক। সেখানে দুজন অফিসারের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। নম্বর দুটি হল—রবি বিশ্বকর্মা (৮৭৬৮০৯৫৮৮১) এবং পুষ্পজিৎ বর্মণ (৯০৫১৪৯৯০৯৬)। তবে আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। পর্যটকরা সুস্থ আছেন বলেই খবর।

    আরও পড়ুন: সমাজমাধ্যম থেকে কেজরির ভিডিয়ো সরাতে বলে স্ত্রী সুনীতাকে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের

    বানভাসী পরিস্থিতি গোটা উত্তরবঙ্গে (Flood situation) 

    ইতিমধ্যেই এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল ফুলে উঠেছে। বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গে। তিস্তা পার সংলগ্ন নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিচু এলাকায় কিছু জায়গায় প্রশাসনের তরফে ত্রিপল খাটিয়ে স্থানীয়দের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে এমত অবস্থায় সিকিমের (North Sikkim) মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আটকে থাকা বিপুল পরিমানে পর্যটকদের বিমান পথে উদ্ধার করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে চলছে চিন্তাভাবনা। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের কাছেও চাওয়া হয়েছে সাহায্য। তবে তিস্তায় সেতু তলিয়ে যাওয়ার কারণে পর্যটকদের উদ্ধার করা আরও কঠিন হয় পড়েছে।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কালিম্পঙের বহু অংশ, উত্তর সিকিমে আটকে হাজারেরও বেশি পর্যটক

    Sikkim: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কালিম্পঙের বহু অংশ, উত্তর সিকিমে আটকে হাজারেরও বেশি পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি চলছেই সিকিমে (Sikkim)। ধস নেমে একের পর এক পাহাড়ি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন উত্তর সিকিম। লাচুং, চুংথাম, জঙ্গুতে এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় ১২০০ পর্যটক। সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। কালিম্পং-এর (Kalimpong) বিভিন্ন অঞ্চল অবরুদ্ধ। ফুঁসছে তিস্তা, রঙ্গীত-সহ ছোট বড় পাহাড়ি নদীগুলি। একটানা বৃষ্টিতে তিস্তার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। তিস্তাবাজার সংলগ্ন বহু এলাকা জলের তলায়।

    নতুন করে ধস

    শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে উত্তর ও দক্ষিণ সিকিমে (Sikkim)। এদিন টুং, দক্ষিণ সিকিমের লিঙ্গসে, লিঙ্গে ও পাইয়ংয়ের মূল রাস্তা এবং কাওখোলা ও সুন্তালে এলাকাতেও ধস নামে। যার ফলে সিংথামের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মূল সড়ক ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আটকে রয়েছে উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার রাতে সিকিম থেকে লাচেন যাওয়ার মূল রাস্তার উপর থাকা সাঙ্গেকেলাংয়ের সেতু ভেঙে পড়েছে। ফলে লাচেন সহ অন্যান্য এলাকায় আটকে থাকা পর্যটকদের টুং চেকপোস্ট পর্যন্ত নামিয়ে আনার পর আর নিচের দিকে আনা যায়নি। 

    আকাশপথে পর্যটকদের উদ্ধারের ভাবনা

    এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের গ্যাংটকে (Sikkim) ফেরাতে হলে আকাশপথ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এয়ারলিফটও করা সম্ভব হচ্ছে না। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে ভারতীয় সেনার কাছে সাহায্যের আবেদন জানাতে চলেছে সিকিম প্রশাসন। আবহাওয়া ভাল হলে যাতে পর্যটকদের বিমানে উদ্ধার করা যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সিকিম প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লাচুংয়ে আটকে রয়েছে ১২০০ ভারতীয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন তাইল্যাণ্ড, নেপাল এবং বাংলাদেশের ১৫ জন পর্যটক। সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে পর্যটকেরা সকলেই সুরক্ষিত আছেন, এমনকী খাবারও মজুত রয়েছে, তবে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নিষেধ করা হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম বলেন, “নর্থ সিকিমের মঙ্গনের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আটকে থাকা পর্যটকেরা সুরক্ষিত আছেন। রংপোয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম সীমানায় ট্যুরিস্ট হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে। পর্যটকেরা সীমানায় পৌঁছলে কালিম্পং (Kalimpong) জেলা প্রশাসন পর্যটকদের উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাতে প্রস্তুত”।

    বাড়ছে তিস্তার জলস্তর

    সিকিমে (Sikkim) প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বাড়ছে বৃষ্টির প্রভাব। শুক্রবার কালিম্পংয়ের (Kalimpong) তিস্তাবাজার, মাল্লির প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে তিস্তা নদীর জল । কোথাও কোথাও বাড়ির ভিতরে জমে গিয়েছে পলি। এদিনও কালিম্পং, দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। বড় কোনও গাড়ি চলছে না। ঘুরপথে বিরিকধারা-মংপু-সিটং-তাকদা হয়ে চলছে ছোট গাড়ি। বৃষ্টি আরও বাড়লে উত্তরের সমতলও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে তিস্তার জলস্তর। এদিন সকালে তিস্তার বাঁধ থেকে ১৭৬৩.৪২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, ফলে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা নদীর। বিপদের আশঙ্কায় জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বসিয়েছে পুলিশ। নদীতে নেমে কাঠ সংগ্রহ করতে বারণ করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: বৃষ্টি-ধসে বিপর্যস্ত সিকিম, বিপর্যস্ত লাচুং-লাচেন, আটকে ১৫০০ পর্যটক, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

    Sikkim: বৃষ্টি-ধসে বিপর্যস্ত সিকিম, বিপর্যস্ত লাচুং-লাচেন, আটকে ১৫০০ পর্যটক, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না। ফুঁসছে তিস্তা, রঙ্গীত, জলঢাকা। লাগাতার বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। বিপর্যস্ত পর্যটকদের প্রিয় উত্তর সিকিম (Sikkim)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, গোটা দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে লাচুং, লাচেন-সহ বহু এলাকার। সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও খারাপ (Sikkim Rain and Landslides) আবহাওয়ার জন্য ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। 

    ধস বিভিন্ন অঞ্চলে

    প্রবল বৃষ্টির জেরে সিকিমের (Sikkim) বিভিন্ন অঞ্চলে ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার মঙ্গন এলাকায় হড়পা বানে ৫ জন ভেসে যাওয়ার খবর মিলছে। সন্ধে পর্যন্ত তাঁদের কারও খোঁজ মেলেনি। একইভাবে ধসে গেইথাং, নামপাথাং এলাকাতেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গনের জেলাশাসক হেমকুমার ছেত্রী বলেন, ‘‘পাকশেপ ও অম্ভিথাং গ্রাম মিলিয়ে মোট ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গন ও চুংথাংয়ের সংযোগকারী বেইলি সেতুটি ভেঙে গিয়েছে। ধসের জেরে বহু রাস্তা বন্ধ। বহু বাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। 

    আটক পর্যটকরা

    ধস নেমে সেতু ভেঙে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে লাচুং, লাচেন-সহ সিকিমের বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে (Sikkim)। বিভিন্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তাটি আপাতত বন্ধ রয়েছেয ফলে পর্যটকদের উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং অবশ্য দুর্গতদের সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে সব জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসনিক কর্মীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন। ধসের নিচে কেউ চাপা পড়েন আছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    উদ্ধারে বিকল্প পথ (Sikkim)

    এই পরিস্থিতিতে পর্যটকের যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ বলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পঙের জেলা প্রশাসন। জানানো হয়েছে, ছোট গাড়ি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। তুলনামূলক বড় এবং ভারী গাড়িগুলি পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ওই দুটি রাস্তা দিয়ে সিকিমে (Sikkim Rain and Landslides) আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে দুই রাজ্যের প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share