Tag: northeast india

  • Islamic State: দুই বাংলা, উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে ‘আইএস বেঙ্গল প্রভিন্স’ গড়ার ভয়াবহ ছক করছে আইসিস!

    Islamic State: দুই বাংলা, উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে ‘আইএস বেঙ্গল প্রভিন্স’ গড়ার ভয়াবহ ছক করছে আইসিস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিস জঙ্গি সংগঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল খিলাফতকে প্রতিষ্ঠা এবং সারা বিশ্বব্যাপী ইসলামের রাজত্ব কায়েম করা। কিন্তু বর্তমানে বেশ কোনঠাসা এই জঙ্গি সংগঠন (Islamic State)। তারা সেই অবস্থায় নেই যে সারা পৃথিবীর জুড়ে খিলাফত ঘোষণা করতে পারে। সেই জন্য তারা চিহ্নিত করেছে পৃথিবীজুড়ে বেশ কিছু অঞ্চল, যেগুলিতে তারা প্রবেশ করতে পারবে, সংগঠনের জাল ছড়াতে পারবে এবং নিজেদের খিলাফতের আদর্শকে তারা স্থাপন করতে পারবে। প্রসঙ্গত, আগেই এই জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছিল যে তারা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেছে ইরাক এবং তার প্রতিবেশী অঞ্চলগুলিতে। এর পাশাপাশি, তারা আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কিছু দেশেও খিলাফত প্রতিষ্ঠার কথা বলে।

    বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত টার্গেট আইসিসের!

    ২০২৫ সালের জানুয়ারির শুরুতেই খবর ভেসে আসে অল বেঙ্গলি মিডিয়া থেকে। এখানেই বার্তা দেওয়া হয় যে তারা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুতি চালাচ্ছে ‘ইসলামিক স্টেট বেঙ্গল প্রভিন্স’ গড়ে তোলার জন্য। যে বার্তা দিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন তা হালকা ভাবে নিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। কারণ এই ধরনের যে পরিকল্পনা অল বেঙ্গলি মিডিয়া প্রচার করেছে, তা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এখানে প্রতিফলিত হচ্ছে তাদের দীর্ঘদিনের যে উদ্দেশ্য সেটাই। ইসলামিক স্টেট বেঙ্গল প্রভিন্সে কোন কোন অঞ্চল থাকবে তাও তারা ঘোষণা করে দিয়েছে। এখানে থাকবে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ (Bangladesh), পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। অল বেঙ্গলি মিডিয়ার মতে, এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে আগামী দিনে খিলাফত প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। খিলাফতের পথে যে কোন ধরনের বাধা এলে তা প্রতিরোধ করতেও প্রস্তুত তারা বলে দাবিও করা হয়েছে অল বেঙ্গলি মিডিয়ায়।

    কী বলছেন গোয়েন্দা কর্তা (Islamic State)

    ভারতের গোয়েন্দা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক (Islamic State) অর্গানাইজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, এদের পরিকল্পনাই হল বিভিন্ন মডিউল গড়ে তোলা। এই জঙ্গি মডিউলগুলির মাধ্যমে তারা কাজ চালাতে চায়। এরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অঞ্চলকে তাদের ইসলামিক স্টেট বেঙ্গল প্রভিন্স-এর অংশও বানাচ্ছে। তবে এদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশকে তাদের ইসলামিক স্টেট প্রভিন্স গড়ে তোলা। ইতিমধ্যে তারা এই বার্তাও দিতে শুরু করেছে যে যদি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠী এক হয়ে যায়, তাহলে তারা এটা করতে পারবে।

    বাংলাদেশের অচলাবস্থায় সুযোগ নিতে চাইছে জঙ্গি গোষ্ঠী

    এই আবহে ইসলামিক স্টেট (Islamic State) জঙ্গিগোষ্ঠী মনে করছে যে বর্তমানে সবচেয়ে ভালো সময় চলছে তাদের। কারণ বাংলাদেশের এই অচলাবস্থা। এই অচলাবস্থাকেই তারা কাজে লাগাতে চাইছে। সবার আগে, বাংলাদেশে ফিলাফত কায়েম করা। তার পর সেখান থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে তারা মৌলবাদকে সর্বদাই ছড়িয়ে দেওয়া। বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে ইসলামি মৌলবাদ এবং জিহাদিদের আয়ত্তে চলে যাচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে সাম্প্রতিককালে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পাকিস্তানিদের জন্য ফ্রি ভিসা পাস চালু করেছে। এর ফলে বাংলাদেশে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির কাজ আরও সহজ হয়েছে। ধরা যাক, কোন জঙ্গি বা মৌলবাদী সংগঠনের কেউ ভারতে অপরাধ সংঘঠিত করল। তারপরে চোরা পথে তারা বাংলাদেশে চলে গেল। সেখানে গিয়ে তারা শান্তিতে ঘুমাল এবং পরবর্তীকালে ভিসা নিয়ে তারা পাকিস্তান বেরিয়ে গেল। অর্থাৎ জঙ্গিগোষ্ঠীদের ভারতে প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক দিক থেকে একটি সেফ করিডোরে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।

    সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসেন ডোভাল

    ইতিমধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলি এ নিয়ে যথেষ্ট ভাবনা চিন্তা করছেন। কারণ গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জিহাদিদের মুক্তাঞ্চলে (Islamic State) পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে একের পর এক উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। হামলার খবর আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। উচ্চ পর্যায়ের একটি মিটিংয়ে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তাঁর ওই মিটিংয়ে মালদা, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু মাদ্রাসাকে নিয়ে তারা আলোচনা করেন। এই মাদ্রাসাগুলির গতিবিধির সন্দেহজনক এবং এগুলি দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট বিপজ্জনক।

    আইসিসের কাজ দেখার দায়িত্বে কে?

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি (Islamic State) সংগঠনের কাজ চালানোর জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে মহম্মদ সাইফুল্লাহ উজাকি ওরফে আবু ইব্রাহিম আল হানিফকে। সূত্রের খবর, এই ব্যক্তি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। প্রথম জীবনে তাঁর নাম ছিল সজীবচন্দ্র দেবনাথ এবং তিনি একজন অর্থনীতিবিদ ছিলেন। কিন্তু বিশ্বাস রাখতেন ইসলামিক স্টেট-এর আদর্শে। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে তিনি বেশ কয়েকমাস সিরিয়াতে চলে যান এবং সেখানেই প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীকালে তাঁকে বাংলাদেশের কাজ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি ফিরে আসেন। ২০১৬ সালের ঢাকা হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী বলে মনে করা হয় তাঁকে।

LinkedIn
Share