Tag: November

November

  • Weather Update: ১২৩ বছর পর দ্বিতীয় উষ্ণতম নভেম্বর পেল দেশ, বলছে মৌসম ভবনের রিপোর্ট

    Weather Update: ১২৩ বছর পর দ্বিতীয় উষ্ণতম নভেম্বর পেল দেশ, বলছে মৌসম ভবনের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের নভেম্বর মাস গত ১২৩ বছরে দ্বিতীয় উষ্ণতম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া (Weather Update) বিভাগ (আইএমডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২৩ বছরের মধ্যে এবছরের নভেম্বর দ্বিতীয় উষ্ণতম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ১৯০১ সালে নভেম্বর এরকম উষ্ণতম ছিল। তার পর এবছরের নভেম্বর দ্বিতীয় উষ্ণতম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক কী বললেন? (Weather Update)

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, তার থেকে ২০২৪ সালে তাপমাত্রা বেশি রয়েছে। গত ৩০ বছরের গড়ের তুলনায় ২০২৪ সালের নভেম্বরের দেশব্যাপী গড় সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন এবং গড় তাপমাত্রা যথাক্রমে ০.৬২ ডিগ্রি, ১.০৫ ডিগ্রি এবং ০.৮৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে নভেম্বর সর্বাধিক তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের দ্বিতীয় উষ্ণতম এবং গড় তাপমাত্রার নিরিখে তৃতীয় উষ্ণতম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার জন্য সপ্তম উষ্ণতম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য দুটি কারণের কথা জানিয়েছেন মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অনুপস্থিতি। সারা দেশে ঘূর্ণিঝড়ের অভাব। এই কারণে সারা মাসে বৃষ্টির পরিমাণও কম হয়েছে। নভেম্বর মাসে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাত্র তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সংগঠিত হয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে মাত্র দুটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল। সাধারণত, নভেম্বরে আরও সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় সংঘঠিত হতে দেখা যায়, যা বৃষ্টিপাত আনতে সাহায্য করে। কিন্তু এই বছর এটি ছিল না। তাই এটি ভারতের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। সুতরাং, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমভূমিতে খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়নি।

    দেশে বৃষ্টির পরিমাণ

    হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। বৃষ্টির পরিমাণ মাত্র ২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৯.৯ শতাংশ কম। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত উত্তর-পূর্ব বর্ষা থেকে উপকৃত হয়। এছাড়াও ৩৭.৯ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হয়েছে। আইএমডি প্রধান উল্লেখ করেছেন, ২০০১ থেকে ২০২৪ সালের ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে যে ভারতে গত ২৪ বছরে নভেম্বর মাসে মাত্র ছয় বার স্বাভাবিক বা গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে। মহাপাত্র উল্লেখ করেছেন যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দ্বারা সৃষ্ট বৃষ্টিপাত ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calendar: ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি কীভাবে? ইংরেজি বছরের মাসের নামকরণের কারণ জানেন?

    Calendar: ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি কীভাবে? ইংরেজি বছরের মাসের নামকরণের কারণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের হিসেব যেমন রাখা জরুরি, ঠিক তেমনই সারা বছরে দিন ও মাসের হিসেব রাখতে হয়। আর এই হিসেব জানতে আমাদের চোখ রাখতে হয় ক্যালেন্ডারের দিকে। সেই ক্যালেন্ডারে (Calendar) চোখ রাখলেই আমাদের নজরে আসে বারোটি মাসের নাম। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই বারোটি মাসের নামের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? প্রত্যেক বাড়িতে বা অফিসে যে ক্যালেন্ডার আমাদের চোখে পড়ে, তা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। এখানে বছরের শুরু হয় জানুয়ারি মাস থেকে। বছরের হিসেব এই জানুয়ারির ১ তারিখ থেকেই ধরা হয়। এছাড়াও গোটা বিশ্বে আরও অনেক ধরনের ক্যালেন্ডার আছে। কিন্তু সমস্ত ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে এই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।

    কী এর ইতিহাস? (Calendar)

    এই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি হয় ১৫৮২ সালে। রাশিয়ার জুলিয়ান নামক ক্যালেন্ডার (Calendar) সারা বিশ্বে প্রচলিত ছিল, যেখানে দশ মাসে এক বছর ধরা হত, যেখানে বড়দিনের জন্য নির্দিষ্ট কোনও দিন নির্ধারিত ছিল না। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমেরিকার আলোসিয়াস লিলিয়াস ১৫৮২ সালের ১৫ অক্টোবরকে বড়দিনের জন্য বেছে নেন। এর পরে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার আসার পর থেকে ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে বড়দিন হিসেবে উদযাপিত করা শুরু হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, বাকি মাসের নামগুলির উৎপত্তি কীভাবেে হল? আসুন সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।

    কীভাবে নামকরণ হয় প্রত্যেক মাসের? (Calendar)

    বছরের প্রত্যেকটি মাসের নামকরণের পিছনে আছে আলাদা আলাদা কারণ। আসুন দেখে নিই সেই কারণগুলি।

    জানুয়ারি: এই মাসের নামকরণ করা হয়েছিল রোমান দেবতা জানুসের নাম অনুসারে। যাকে ল্যাটিন ভাষায় জেনারিস বলে সম্বোধন করা হত। আর এই জেনারিস থেকেই জানুয়ারি নামের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।

    ফেব্রুয়ারি: বছরের দ্বিতীয় মাস হল ফেব্রুয়ারি যা ল্যাটিন শব্দ ফ্যাবরা থেকে এসেছে। আবার অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের নামকরণ হয়েছে রোমান দেবী ফেব্রুয়ারিয়ার নাম অনুসারে।

    মার্চ: বছরের তৃতীয় মাস হল মার্চ। মনে করা হয়, রোমান দেবতা মাস্র-এর নাম অনুসারে এই মাসের নামকরণ করা হয়। আর রোমানে বছরের শুরু হয় এই মার্চ মাস থেকেই। 

    এপ্রিল: বছরের চতুর্থ মাস হল এপ্রিল, ল্যাটিন শব্দ অ্যাপিরিয়ার থেকে এপ্রিল মাসের উৎপত্তি। এই অ্যাপিরিয়ার শব্দের অর্থ হল ফুলের কুঁড়ি। রোমে বসন্ত ঋতু সূচনা হয় এই মাসেই, যেখানে ফুল ও ফুলের কুঁড়ি ফুটতে দেখা যায়।

    মে: রোমান দেবতা মার্কারির নাম অনুসারে বছরের পঞ্চম মাস মে মাসের উৎপত্তি হয়েছে।

    জুন: রুমের শ্রেষ্ঠ দেবতা জিউস-এর স্ত্রীর নাম ছিল জুনো। তা এই জুন মাসের উৎপত্তি হয়েছে (Calendar)।

    জুলাই: রোমান সাম্রাজ্যের এক শ্রেষ্ঠ শাসক জনপ্রিয় জুলিয়াস সিজারের নাম থেকেই জুলাই মাসের নামকরণ করা হয়। এই মাসেই জুলিয়াস সিজারের জন্ম ও মৃত্যু হয় বলে কথিত আছে।

    অগাস্ট: সেন্ট অগাস্টাস সিজারের নাম থেকে অগাস্ট মাসের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

    সেপ্টেম্বর: ল্যাটিন শব্দ সেপ্টম থেকে সেপ্টেম্বর মাসের উৎপত্তি।

    অক্টোবর: ল্যাটিন শব্দ অক্টো থেকে অক্টোবর মাসের নামকরণ করা হয়।

    নভেম্বর: ল্যাটিন শব্দ নবম থেকে নভেম্বর শব্দটি আসে। 

    ডিসেম্বর: শব্দ ডিসেম থেকে উৎপত্তি হয় ডিসেম্বর নামের (Calendar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share