Tag: Obesity

Obesity

  • Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী ভাত! যত রকমের লোভনীয় পদ থাকুক না কেন, ভাত ছাড়া বাঙালির খাওয়া অসম্পূর্ণ! বৈশাখের তীব্র গরমে আবার কেউ কেউ দিনে একাধিকবার ভাত (Boiled rice) খাচ্ছেন। অনেকেই আবার গরম এড়াতে পান্তা ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এতে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনের একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। অনেক সময়েই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ ভাত খাওয়া হয়‌। এর ফলে কিছু জটিল রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। দেখে নেওয়া যাক, একাধিকবার ভাত খেলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে?

    স্থূলতার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে (Boiled rice)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তে পারে ক্যালোরি। যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত দু’বেলা ভাত খেলে শরীরের ওজন অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষত, যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য দুবেলা ভাত যথেষ্ট বিপজ্জনক। অতিরিক্ত ওজন সুস্থ জীবন যাপনের পথে বাধা। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়ার আগে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, বাড়তি উদ্বেগ ডায়াবেটিসের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত (Boiled rice) বারবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কোনও ভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়া উচিত নয়। ভাত শরীরের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নিয়মিত বারবার ভাত খেলে নানান শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে।
    তবে শুধুই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য নয়, নিয়মিত বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস বিপদ বাড়াতে পারে সকলেরই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নন। তবে ডায়াবেটিস প্রবণ। তাঁদের জন্যও বাড়তি বিপদ তৈরি করে।

    অতিরিক্ত ঘুম কাজের ক্ষতি করতে পারে (Boiled rice)

    ভাত খেলে অতিরিক্ত ঘুম হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত বারবার ভাত খেলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার ফলেই অতিরিক্ত ঘুম হয়। তাই কাজ করার ইচ্ছে কমে। ক্লান্তি বোধ বাড়ে। এর জেরেই কাজের ক্ষতি হয়।

    পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি

    তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার না খেলেও দিনে অন্তত একবার ভাত (Boiled rice) খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ সেদ্ধ চালের ভাত খান। আর এই ভাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান। পাশপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হয়। তাই নিয়মিত এক কাপ ভাত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান‌ ঠিকমতো হয়‌। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বারবার জানাচ্ছেন, ভাতের পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া (Overeating) বিপদ ডাকতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Raw mangoes: বৈশাখের শুরুতেই চড়া রোদের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম! কতখানি উপকারী জানেন?

    Raw mangoes: বৈশাখের শুরুতেই চড়া রোদের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম! কতখানি উপকারী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের শুরুতেই তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল বাঙালি! চড়া রোদে দুপুরে বাইরে থাকা যথেষ্ট কঠিন! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। তাই নানান শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে! হঠাৎ অস্বস্তি, মাথা ঘোরা কিংবা বমি ভাব দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই এই ধরনের নানান শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। তবে গরমের একাধিক সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে কাঁচা আম। বাঙালির রান্নাঘরে আম পোড়া সরবৎ কিংবা কাঁচা (Raw mangoes) আম দিয়ে ডাল খুবই পরিচিত পদ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই স্বাদে নয়, বাঙালির এই চিরাচরিত রান্নার পুষ্টিগুণ প্রচুর। একাধিক রোগের মোকাবিলা সহজেই হয়ে যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন রোগের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম?

    হজমে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম হজমের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে (Raw mangoes) থাকে প্রাকৃতিক হজমকারক উপাদান। তাই নিয়মিত ভারী খাবারের পরে শেষ পাতে কাঁচা আমের তৈরি খাবার খেলে সহজেই হজম হয়ে যায়। গরমে শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন‌। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

    হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী

    গরমে অনেকের রক্তচাপ ওঠানামা করে। পাশপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নানান কারণে বেড়ে যায়। এই দুই কারণে হার্টের উপরে চাপ পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম (Raw mangoes) হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন বি। এই দুই উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

    লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী

    কাঁচা আম লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আবার লিভারের ফ্যাট জমতেও দেয় না। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে লিভার সুস্থ থাকে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে

    কাঁচা আমে (Raw mangoes) বিশেষ ক্যালরি নেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে স্থূলতার সমস্যার ভুগলে অতিরিক্ত পাকা আম খাওয়া বিপজ্জনক। কিন্তু কাঁচা আমে সে সমস্যা নেই। কাঁচা আম খেলে দেহে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্থূলতা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    যে কোনও রক্তের অসুখ রুখতে সাহায্য করে!

    রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, রক্তাল্পতা কিংবা রক্ত সঞ্চালনের মতো যে কোনও সমস্যা সমাধানে কাঁচা আম খুব উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আমের নানান পুষ্টিগুণের জেরে কোলাজেন সংশ্লেষে বিশেষ সাহায্য করে। তাই রক্তের নানান অসুখের ঝুঁকি কমায় কাঁচা আম।

    চুল, ত্বকের জন‌্য বিশেষ উপকারী

    গরমের শুষ্ক আবহাওয়ায় অনেকেই চুল ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম এই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করবে। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া এবং ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতে নিয়মিত কাঁচা আম (Raw mangoes) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে ত্বক ও চুলের নানান সমস্যা সহজেই কমবে। শুষ্কতাও কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজঃ আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আর গরমের এই আবহাওয়ায় চটজলদি আরাম পেতে অনেকের সঙ্গী হয় নরম ঠান্ডা পানীয়‌। বোতলবন্দী বা প্যাকেটজাত কার্বোনেটেড (Calcium Deficiency) ওয়াটার গরমের অস্বস্তিতে তৃপ্তি এনে দেয়।‌ অনেকের আবার বিরিয়ানি কিংবা বার্গারের সঙ্গে এই নরম পানীয়তে চুমুক না দিলে স্বাদ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই কার্বোনেটেড ওয়াটার বা নরম পানীয়ের প্রতি অনেকেই এক ধরনের আসক্তি অনুভব করেন। যে কোনও খাবার খাওয়ার পরেই, তাদের এক গ্লাস নরম পানীয় (Cold Drinks) না হলে চলে না। আর এই আসক্তি জানান দেয়, শরীরে বাসা বাঁধছে নতুন রোগ! সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে চারটি রোগের দাপট মারাত্মক ভাবে বেড়েছে, যার পিছনে মূল কারণ মাত্রাহীন কার্বোনেটেড ওয়াটারের প্রতি আসক্তি।

    কেন নরম ঠান্ডা পানীয়তে আসক্তি বাড়ে (Calcium Deficiency)?

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি প্রৌঢ়দের মধ্যেও এই নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি মারাত্মক বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ঘটনা একে অন্যের পরিপূরক। অর্থাৎ, অতিরিক্ত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে হাড় ক্ষয় হয়, আবার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত এই নরম ঠান্ডা পানীয় খান, তাদের অধিকাংশই ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) অভাবে‌ ভুগছেন। আবার তাঁরা এতটাই এই পানীয়তে (Cold Drinks) আসক্ত, যে এগুলো ছাড়া খাবার খেতেই পারছেন।

    কোন চারটি রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে নরম ঠান্ডা পানীয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে অধিকাংশ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ, জীবন যাপনের অভ্যাস। গত এক দশকে যে সমস্ত রোগ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সেগুলোর অধিকাংশের কারণ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন‌ যাপনের অভ্যাস। মূলত চারটি অসুখ মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার পিছনে নরম ঠান্ডা (Cold Drinks) পানীয়কে দায়ী করছেন চিকিৎসক মহল!

    হাড়ের ক্ষয় রোগ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। আর নরম ঠান্ডা পানীয় এই রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কার্বোনেটেড ওয়াটারে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডা। আর এই উপাদান হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।‌ সোডা হাড়কে ভিতর থেকে ফাঁপা করে দেয়। তাই নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে দেহে মারাত্মক ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) ঘাটতি দেখা দেয়। হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমনকি যে কোনও সময় হাড় (Cold Drinks)  ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়‌।

    ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি!

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকা নানান উপাদান লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। খুব কম বয়স থেকেই নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমে। যার ফলেই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কসে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ রাসায়নিক। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এই অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ উপাদান এবং চিনি শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে তাই ওবেসিটি বা স্থূলতার (Calcium Deficiency) ঝুঁকিও বাড়ে।

    বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর এক রিপোর্টে কয়েক বছর আগে স্পষ্ট করা হয়েছিল, একাধিক নরম পানীয়তে অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসপার্টেম হল এক ধরনের কৃত্রিম মিষ্টি। বোতলবন্দি নরম পানীয়ের স্বাদ বাড়াতেই এই ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। আর এই অ্যাসপার্টেম শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিশেষত ক্যান্সারের (Calcium Deficiency) ঝুঁকি বাড়ায় এই উপকরণ। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয়তে অভ্যস্থ হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়তি ওজনের ঝামেলা কিংবা কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্তে দুশ্চিন্তা! সব মুশকিল সহজেই মেটাতে পারে এক চামচ চিয়া বীজ। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কম বয়সিদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো নানান রোগ দেখা দিচ্ছে। যার ফলে খুব‌ কম বয়স থেকেই শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চল্লিশের চৌকাঠে যাওয়ার আগেই হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা বাড়ছে। পাশপাশি মহিলাদের হাড়ের সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরে তিরিশের আগেই মহিলারা হাঁটু ও কোমরের সমস্যায় ভুগছেন। তবে এই ধরনের নানান রোগের মোকাবিলা করতে পারে চিয়া (Chia seeds)! এখন দেখা যাক, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ সাহায্য করে। চিয়া বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। চিয়ার বীজ খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এই খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। পাশপাশি চিয়া বীজে থাকে ওমেগা থ্রি। এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ থাকে। এর ফলে নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হাড় মজবুত হয়। হাড়ের ক্ষয়রোগ কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে বিশেষত মহিলারা হাড়ের ক্ষয় রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিয়া‌ বীজ তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    স্থূলতা ভারতের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থূলতা একটা বড় সমস্যা। এই স্বাস্থ‌্য সমস্যা একাধিক রোগের জন্ম দিচ্ছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের কারণ হিসেবেও স্থূলতাকে দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আর এই কাজে সাহায্য করে চিয়া (Chia seeds)। ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান শরীরের অপ্রয়োজনীয় মেদ তৈরি করে না। বরং ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।

    হজম শক্তি বাড়ায় চিয়া বীজ

    অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং লিভার, পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে চিয়া বীজ। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এই খাবার হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হজমের গোলমাল কমে যায়। লিভার এবং পাকস্থলীও সুস্থ থাকে‌।

    কীভাবে খাবেন চিয়া বীজ (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে একাধিক উপকার হয়। তাঁদের পরামর্শ, সারারাত এক চামচ চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া, যে কোনও খাবার, যেমন দুধ কিংবা ফলের রসের সঙ্গেও ভেজানো চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে দুধ কর্নফ্লেক্স খান। তাঁরা কাজু, কিসমিস জাতীয় নানান ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে সেটা খান। সেই খাবারেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া যে কোনও রকম স্যালাডের সঙ্গে চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। শশা, গাজর, টমেটোর উপরেও এক চামচ চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার স্যান্ডুইচের ভিতরেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Cancer: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    Cancer: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স আর কোনও সীমানা নয়! বরঞ্চ কম বয়সিদের মধ্যেই বাড়ছে ঝুঁকি। ক্যান্সার (Cancer) নিয়ে তাই আরও বেশি সচেতনতা জরুরি বলেই জানালেন বিশেষজ্ঞ মহল! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, খুব কম বয়সিদের মধ্যে মারাত্মক ভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুস, লিভার, কোলন, জরায়ু এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে অনেকেই তরুণ প্রজন্মের। আর এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে নয়া রিপোর্ট? (Cancer)

    সম্প্রতি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আর সেই রিপোর্ট ক্যান্সার নিয়ে আরও বেশি উদ্বেগ তৈরি করছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গড়ে প্রতি পাঁচ জন ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে একজনের বয়স ৩৫ বছরের কম। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের দাপট বাড়ছে। আর তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে ফুসফুস, মুখ ও গলা, স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সারের দাপট বেশি। আর এই ক্যান্সারে আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশ তরুণ প্রজন্ম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত কয়েক বছরের ক্যান্সার আক্রান্তদের নিয়ে একাধিক গবেষণায় দেখা দিয়েছে, কম বয়সিদের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের (Cancer) ক্ষেত্রে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি‌ জরুরি। প্রথমত, প্রিভেনশন অঙ্কোলজি! ক্যান্সার রুখতে হলে এই ব্যাপারে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরের লিভার, পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রকোপ ৮ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ হয়েছে। অধিকাংশ রোগীরা বয়সে তরুণ! জীবন যাপনের ধরন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। প্রিভেনশন অঙ্কোলজি হল এমন ভাবেই জীবন যাপন করা, যাতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তামাক সেবন না করা, ধূমপান বর্জন, মদ্যপান না করার মতো অভ্যাস এক্ষেত্রে জরুরি। এগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পাশপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 
    ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ‘আর্লি ডিটেকশন’! অর্থাৎ ক্যান্সারের (Cancer) উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক থাকা। এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা। তাহলেই ক্যান্সারকে কাবু করা সহজ হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পেট ফুলে থাকা ইত্যাদি নানান উপসর্গ জরায়ুর ক্যান্সার, জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের মতো রোগের উপসর্গ। পাশপাশি লাগাতার কাশির সমস্যা, কাশি থেকে রক্তক্ষরণ, মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ, ফুসফুস, লিভারের ক্যান্সারের মতো রোগের উপসর্গ হতে পারে। এ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। তাহলেই দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে।

    কীভাবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো‌ যাবে? (Cancer)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন হল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Risk) কমানোর প্রধান হাতিয়ার।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ও এখন প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত দেওয়া হয়। বার্গার, হটডগের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে যে ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তাতে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে একাধিক ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাছাড়া, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস বাড়ছে। যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। ফুসফুস, লিভার, পাকস্থলীর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তাছাড়া, মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ঠিকমতো স্তন্যপান না করানো। সন্তান জন্মের পরে স্তন্যপান না করালে স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। শিশুর পাশপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ও স্তন্যপান করানো জরুরি। কিন্তু এখনও বিশ্ব জুড়ে এই নিয়ে (Cancer) সচেতনতা খুবই কম। 
    খাদ্যাভাসের দিকে নজর দেওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন‌। স্থূলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ফলে, কী খাবার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে, কতখানি পরিমাণ খাওয়া হয়, এগুলোতে নজর দেওয়া দরকার। শরীরে যাতে অতিরিক্ত মেদ না জমে, নিয়মিত যাতে হাঁটাচলা হয়, ওজন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্কতা দরকার। তবেই ক্যান্সারের ঝুঁকি (Risk) কমবে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি! বাদ নেই ভারত। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর সময়ের আগেই ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হৃদরোগ। বিশেষত ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ বেড়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তাই এ বছর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্কতাই পারবে হৃদরোগের বড়‌ ঝুঁকি রুখতে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সময় মতো হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে পারলে, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই অসচেতনতার জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

    তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কেন বাড়তি উদ্বেগ? (Heart Disease)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে ৫৫ বছর বয়সের আগেই ৫০ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বিশেষত করোনা পরবর্তীকালে এই সমস্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। দেড় দশক আগেও‌ এই ধরনের শারীরিক সমস্যা ৫০ বছর বয়স পার করেই দেখা দিত। তার সঙ্গে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সমস্যা দেশের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে দেশ জুড়ে নানান কর্মসূচি নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মানুষকে হৃদরোগ (Heart Disease) সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছেন তাঁরা। জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর থাকলে হার্ট অ্যাটাক মোকাবিলা সহজ, এই সব কর্মশালায় সে সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে সজাগ করা হচ্ছে। তবে, বংশানুক্রমিক হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে, নিজের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষাও জরুরি। যাতে হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা হলে প্রথম পর্বেই রোগ চিহ্নিত হয়। তাহলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে।

    তরুণ প্রজন্মকে কোন ‘তিন মন্ত্রে’ হৃদযন্ত্রের যত্ন শেখাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কসরত এবং ঘুম-এই তিনটি দিকে তরুণ প্রজন্ম নজর দিলেই হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি কয়েকগুণ কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছর কুড়ির চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে অভ্যাস করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকে ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় নির্ধারণ করতেই হবে। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। স্কুল জীবনে রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া এবং ভোরে ওঠার অভ্যাস থাকলেও পরবর্তীতে অনেকেই সেই অভ্যাস ধরে রাখতে পারেন না। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এবং অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, প্রাতঃরাশ না করার মতো একাধিক অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা কিংবা অন্য কোনও শারীরিক কসরত করার অভ্যাস শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম হাতিয়ার (High blood pressure)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস আটকানোর সহজ পথ শরীরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং যোগাভ্যাস। এর পাশপাশি খাবারেও নজরদারি জরুরি। বিশেষত তেলজাতীয় খাবার যে কোনও রকম ভাজা কিংবা অতিরিক্ত রাসায়নিক দিয়ে তাজা রাখা মাংস খাওয়া একেবারেই চলবে না। প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব্জি এবং ফল নিয়মিত খেতে হবে। খাওয়ার পরিমাণেও সতর্কতা জরুরি। রক্তের শর্করা, দেহের ওজন এবং কোলেস্টেরল-এই তিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই তরুণ প্রজন্ম হৃদরোগকে সহজেই মোকাবিলা করবে বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সুস্থ জীবনের একমাত্র পথ!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল। আর ঠিক তার পরেই রাতের ভেজানো ছোলা। এই খাবার খেয়েই কি দিন শুরু করেন? তাহলে কিন্তু একাধিক রোগকে সহজেই কাবু করা সম্ভব! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার উপরে খালি পেটে ভেজা ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত ভিজে ছোলা খেলে কোন রোগকে কাবু করা সম্ভব?

    স্থূলতা কাবু সহজেই (Chickpeas Benefits)

    সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা খেলে স্থূলতা সহজেই কাবু হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। পাশপাশি ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই অল্প পরিমাণ ছোলা খেলেও পেট ভরে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি কমে (Empty Stomach)। স্থূলতার সমস্যাকেও সহজেই এড়ানো যায়।

    কাবু ডায়াবেটিসও

    ছোলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। এর জেরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এর জেরেই টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ যেমন কমে, তেমনি ডায়াবেটিস আক্রান্তরাও নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে তাঁদের সহজেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মহিলাদের আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়‌। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আয়রনের ঘাটতির জেরে কার্যক্ষমতাও কমে। নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে (Empty Stomach) আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গর্ভবতী মহিলারা এবং সদ্যোজাতের মায়েরা নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে বাড়তি উপকার পাবেন‌। অ্যানিমিয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (Chickpeas Benefits)

    ভেজানো ছোলা সকালে নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এই ধরনের উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে‌।

    চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায়। হজম শক্তি বাড়ায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হজমের গোলমালের জেরেই অধিকাংশের চুল ও ত্বকের সমস্যা হয়। শরীরে নানান রকম অ্যাসিড তৈরি হয়। তার ফলেই ত্বকে নানান সমস্যা হয়‌। চুল পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে এই ধরনের সমস্যা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তাল-ফুলুড়ি কিংবা তালের পিঠে! বাঙালি বাড়িতে জন্মাষ্টমীর ভোগে (Janmashtami Festival) এমন নানান পদ তৈরির রীতি রয়েছে! শ্রাবণ মাসে বাজারে সহজেই তাল পাওয়া যায়! বর্ষার মরশুমে এই ফলের চাহিদাও অনেক। কিন্তু তাল খেলে কী হয়, শরীরের জন্য কতখানি উপকারী এই ফল? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    ডায়ারিয়া রুখতে বিশেষ সাহায্য করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কচি তালের শাঁস দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে‌। আর দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা পেলে ডায়ারিয়ার মতো রোগকে সহজেই কাবু করা যায়। পাশপাশি কচি তালের শাঁস বমি ভাব কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর (Janmashtami Festival)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তাল সহজেই দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগানে সাহায্য করতে পারে। এর জেরে ক্যান্সারের মতো রোগের প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    তাল লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, তালে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস সহ একাধিক উপাদান থাকে।  এই সব উপাদান লিভারের রোগ কমাতে সাহায্য করে (Janmashtami Festival)।

    বাতের সমস্যার মোকাবিলা করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বাতের সমস্যা মোকাবিলায় তাল (Taler Bora) বিশেষ সাহায্য করে! তালের রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব সহজেই পূরণ হয়। তাই বাতের সমস্যা কমে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    তাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। তাই এই খাবার খেলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।

    জেলাটিন কমাবে স্থূলতার ঝুঁকি (Janmashtami Festival) 

    তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে জেলাটিন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জেলাটিন থাকার কারণে অল্প পরিমাণে তাল খেলেও পেট ভরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। আর সেই কারণেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এতে স্থূলতার মতো রোগের ঝুঁকি কমে! 

    তবে, তাল টাটকা কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, পাকা তাল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাজা তাল না খেলে নানান সমস্যা হতে পারে। পেটের অসুখ, হজমের গোলমাল সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই তাল পেকে গেলে (Taler Bora) একদিনের বেশি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ, পাকা তাল সতেজ না থাকলে সেই খাবারে কোনও পুষ্টিগুণ থাকবে না। বরং আরও সমস্যা বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weight Loss:  জানেন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে

    Weight Loss: জানেন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্থূলতা বা শরীরে অতিরিক্ত ওজনের (Weight Loss) কারণে মারা যান। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকলে বেশ কিছু দুরারোগ্য এবং জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এ বিষয়ে একমত। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার জেরে শরীরে বাড়তে থাকে মেদের পরিমাণ। যা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনার মেজাজও হয়ে যায় খিটখিটে।

    গবেষকদের দাবি

    অতীতে ধারণা ছিল স্থূলকায় ব্যক্তিরা উদার হয়, তাঁদের মেজাজ (Weight Loss) সবসময় খুব ভালো থাকে। কিন্তু বর্তমান গবেষণায় দেখা যাচ্ছে শরীরে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। আবার ওজন কমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানসিক সুস্থতা। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন জার্মান ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান নিউট্রিশন পটসডাম-রেহব্রুকের বিজ্ঞানীরা। কমবয়সে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে সরাসরি যোগ রয়েছে স্থূলতার। দেহের অতিরিক্ত মেদ থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের পরিমাণ ব্যাহত হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা অন্যান্য বহু রোগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের মতো কাজ করে। শরীরে যত কম পরিমাণ ফ্যাট থাকবে শরীর তত বেশি ভালো থাকবে।

    ওবেসিটি বিপাক হারে বাধা

    ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যা আছে কি না, তা বোঝার এক মাত্র পদ্ধতি হল ‘বডি মাস ইনডেক্স’(বিএমআই)। ওবেসিটি গ্রাস করলে শরীরে বিপাক হার কমতে থাকে। ফলে ইনসুলিন সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। টাইপ টু ডায়াবিটিস, পিসিওডি(পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম), হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন হ্রাস (Weight Loss) বিপাকীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। শরীর যদু স্থূলকায় হয়, বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়, দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য সংকেত প্রদান করতে পারে না। জার্মানির ওই ইনস্টিটিউটে  ডিসিশন অ্যান্ড নিউট্রিশনের নিউরোসায়েন্স বিভাগের ছাত্ররা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৬২ জনের মধ্যে ১০ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা করেন তাঁরা। দেখা যায়, যাঁদের স্থূলতা কমেছে, তাঁরা অনেক বেশি অ্যাক্টিভ এবং সিদ্ধআন্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। বয়ঃসন্ধিকালে স্থূলতা শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাই সৃষ্টি করে না বরং কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।

  • Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের চা হোক কিংবা হঠাৎ সন্ধ্যার খিদে, অথবা বাসে-ট্রেনে সফরের সঙ্গী, সবেতেই রয়েছে বিস্কুট (Biscuits)। ছোট থেকে বড়, সব বয়সীদের বিস্কুট নিত্যসঙ্গী। চা, দুধের সঙ্গে কিংবা এমনিতেই অনেকে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিস্কুট কিছু ক্ষেত্রে আদৌ স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। বরং বিস্কুটের উপকারের তুলনায় অপকার অনেক ক্ষেত্রে বেশি। নয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটের তুলনায় অনেক বেশি‌ ভালো বাঙালির মুড়ি।

    কী বলছে নয়া গবেষণা?

    সুইডেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দল গবেষক বিস্কুট নিয়ে গবেষণা চালান। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে বেশ কিছু তথ্য। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিস্কুটের একাধিক উপাদানে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং তাতে শরীরে নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন প্রতিদিন পাঁচটি বিস্কুট খেলে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্ক, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা কয়েক গুণ কমে যায়। বিশেষত ডায়বেটিস আক্রান্তদের বিস্কুট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ওই গবেষকেরা। এবার দেখা যাক, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বিস্কুট?

    ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় (Biscuits)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে মূলত ময়দা ও চিনি থাকে। তাই নিয়মিত একাধিক বিস্কুট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় (Serious Disease)। অনেক সময়েই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খিদে পায়। আর চটজলদি খাবার হিসেবে, তাঁরা বিস্কুট খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতে শরীরে বেশি ক্ষতি হয়। কারণ এর জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বিস্কুটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা মুড়ি খেতে পারে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    স্থূলতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট (Biscuits) দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিস্কুটে থাকে তেল এবং ময়দা।‌ এই দুই উপাদান‌ শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর ওজন বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে বিস্কুট এড়িয়ে চলতে হবে।

    স্মরণশক্তি!

    নতুন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিস্কুট অতিরিক্ত খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে স্মৃতিশক্তি বা স্মরণশক্তি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বিস্কুটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য (Biscuits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ময়দা ব্যবহার হয়। আর অতিরিক্ত ময়দা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পাশপাশি পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল হতে পারে।

    কোলেস্টেরল

    বিস্কুটে রয়েছে ক্ষতিকারক ফ্যাট। আর তার জেরেই অতিরিক্ত বিস্কুট (Biscuits) খেলে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আবার আরেকদিকে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অত্যাধিক বিস্কুট কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি

    বিস্কুটের জেরে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আরেকদিকে বিস্কুট কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিকারক ফ্যাটের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, এই দুই সমস্যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আর এর জেরেই বলা হয়, অত্যাধিক বিস্কুট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে (Serious Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share