Tag: odisha train accident

odisha train accident

  • Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়েন্ট-সিগন্যালের সমস্যায় তিন ট্রেনের সংঘর্ষে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৩ জুন। ওড়িশার বাহানাগার রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদেহের স্তূপ থেকে শনাক্ত করা হয়েছিল মোট এই রাজ্যের ৯০ জনের মৃতদেহকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পরিবারের একজন করে স্পেশাল হোমগার্ডে চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল খড়্গপুরের হীরা নায়েকের। আজ এক বছর অতিক্রম করলেও চাকরি মেলেনি হীরার মেয়ে ভবানীর। দরিদ্র অসহায় পরিবার দিন কাটাচ্ছেন আর্থিক সঙ্কটে।

    রেল দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন(Odisha Train accident)?

    গত বছর ৫ জুন হুগলির টোল প্লাজায় রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি ঠিক করেছি মৃত পরিবারকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেব, সঙ্গে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেব।” এরপর থেকে কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। খড়্গপুরের প্রশাসনের লোকেরা হীরার বাড়িতে গিয়ে চাকরির জন্য নথি দিতে বলেছিলেন। কিন্তু লাভ কিছুই মেলেনি মৃতের পরিবারগুলির। চাকরি আজও মেলেনি। প্রশ্ন করলে বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসক যোগেশ আশোকরাও বলেন, “ওই রেল দুর্ঘটনার অনেক পরে আমি এখানে দায়িত্বে এসেছি। আমার কাছে কেউ এই বিষয়ে সরাসরি এসে এখনও পর্যন্ত কেউ কিছু বলেননি। যদি এমন কোনও ঘটনা থাকে, তা হলে ৪ জুনের পরে আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চই পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

    আরও পড়ুনঃ “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    পরিবারের বক্তব্য

    খড়্গপুরের আম্বেডকর রেলবস্তির বাসিন্দা হলেন ভবানী। গত বছর ২ জুন মৃত্যু হয়েছিল হীরা নায়কের। যশবন্তপুরের ইঞ্জিন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হীরার দেহ। মা কশিতা দাসকে চিকিৎসা করে কটক থেকে এই যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেই ফিরছিলেন হীরা। কিন্তু পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Odisha Train accident) ঘটেছিল। রাজ্য সরকারের সাহায্য বা চাকরির কোনও সুবিধাই পাননি তাঁরা। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের। দুবেলা খাবার ঠিক মতো জোটে না ভাল ভাবে। হীরার পরিবারের তরফ থেকে মেয়ে ভবানী বলেছেন, “বার বার ঘুরেও নতুন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নের শ্রমদফতরে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু চাকরি হয়নি। মাননীয়া চাকরি দেবেন বলায় আমরা চেয়েছিলাম, কিন্তু চাকরি হল কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Odisha train Accident: মর্গে স্তূপাকার মৃতদেহ, তার মধ্যেই অচৈতন্য ছেলেকে খুঁজে পেলেন বাবা!

    Odisha train Accident: মর্গে স্তূপাকার মৃতদেহ, তার মধ্যেই অচৈতন্য ছেলেকে খুঁজে পেলেন বাবা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃতদেহের স্তূপের মধ্যে পড়ে ছিলেন তিনি। কোনওক্রমে শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে বলে ফোনে জানিয়েছিলেন বাবাকে। তারপর বাবা বালেশ্বরে গিয়ে অস্থায়ী মর্গের ভিতর থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনলেন কলকাতায়। রক্তাক্ত মরদেহের স্তূপের মধ্যে থেকে অচৈতন্য ছেলেকে শনাক্ত করে খুঁজে বের করাটা খুব কঠিন কাজ ছিল, বললেন বাবা।

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) খবর পেয়েই ছুটে যান বাবা

    বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক মানুষ মারা গেছেন বলে জানা গেছে। অস্থায়ী মর্গের মধ্যে শতাধিক মৃতদেহের মধ্যে থেকে হাওড়ার বাসিন্দা হেলারাম মালিক তাঁর ২৪ বছরের ছেলে বিশ্বজিৎ মালিককে জীবন্ত অবস্থায় খুঁজে বের করেন। বাবা গত শুক্রবার শালিমার স্টেশনে গিয়ে ছেলেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছেড়ে দিয়ে আসেন। কিন্তু কিছু সময় পরই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চিন্তায় পড়েন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বুঝতে পারছিলেন না, কী করবেন! কয়েকবার ফোন করেন ছেলেকে। কিন্তু ফোন লাগছিল না। কিন্তু পরে ছেলেই বাবাকে দুর্বল স্বরে জানান, তিনি আহত হয়েছেন। হাত-পায়ে চেতনা নেই বললেই চলে। এরপর হেলারাম এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন।

    কীভাবে মর্গের ভিতরে খুঁজে পেলেন?

    ঘটনাস্থলে পৌঁছেই প্রথমে বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) হাসপাতালে হন্যে হয়ে খোঁজ করেন ছেলের। কিন্তু কোনও সন্ধান পাননি। মনে মনে ভাবছিলেন, আর মনে হয় ছেলেকে পাবো না! এতক্ষণে আহত ছেলে বেঁচে আছে না মারাই গেছে, কে জানে? অবশেষে মনে সাহস নিয়ে বাহানাগা স্কুলের অস্থায়ী মর্গের ভিতরে ঢোকেন। সেখানে সাদা কাপড়ে ঢাকা সারি সারি মৃতদেহ। চারদিকে রক্তাক্ত আর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। হঠাৎ মৃতদেহের স্তূপের একটি জায়গা থেকে নড়ে উঠল হাত। সেখানে চোখ পড়ল হেলারামের। কাছে যেতেই দেখলেন বিশ্বজিৎ। বুঝলেন, ছেলের এখনও শুধু প্রাণটুকুই শরীরে রয়েছে। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সে করে বালেশ্বর থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান ছেলেকে। হেলারামবাবু বলেন, ভাবতে পারিনি ছেলেকে মর্গ থেকে এই অবস্থায় জীবন্ত ফিরে পাব। ভগবানের আশীর্বাদ ছিল বলে ওকে ফিরে পেলাম। এরকম দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেই কামনাই করি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: “আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!” আক্ষেপ মৃত বাদলের মায়ের

    Train Accident: “আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!” আক্ষেপ মৃত বাদলের মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট কাটার টাকা ছিল না বলে ক’টা দিন পরে যেতে বলেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু যাওয়ার জেদ চেপে বসেছিল ছেলের। নিজের মোবাইল বিক্রি করে যেতে চাইলে, শেষমেশ বাধ্য হয়ে আড়াই হাজার টাকা ধার করে বাদলের (২০) হাতে দিয়েছিলেন বাবা বরুণ বিশ্বাস। নিজে টোটো চালিয়ে হাই রোড পর্যন্ত এগিয়েও দিয়েছিলেন ছেলেকে। বাদল আর তাঁর প্রতিবেশী বন্ধু অমিত রায়ের (২১) নিথর দেহ ওড়িশা (Train Accident) থেকে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে রবিবার মাঝরাতে এসে পৌছায় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির কাঁঠালহাট গ্রামে। সঙ্গে ছিলেন দুই পরিবারের লোকজন।

    কেন যেতে হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Train Accident)?

    দীর্ঘ পাঁচ বছর ভিন রাজ্যে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে অমিতের। দরিদ্র বাবার একমাত্র ছেলে অমিত, দিদির বিয়ের জন্য বৈশাখ মাসে বাড়ি এসেছিলেন। বিয়েতে খরচও করেছেন তিনি। ফের রোজগারের আশায় চেন্নাইয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যাওয়ার জেদ ধরেছিলেন বাদলও। আর তাই বাদল বাবা-মায়ের বারণ উপেক্ষা করেই অমিতের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর পথে যেতেই ওড়িশায় (Train Accident) ঘটল ট্রেন দুর্ঘটনা।

    অমিতের পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার রাতে যখন বাড়িতে খবর আসে, সেই থেকে অমিতের মা কল্পনা রায় খানিকক্ষণ পরপর অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। খাওয়াদাওয়া বন্ধ, বলছেন না কোনও কথাও। অমিতের মৃতদেহের সামনে বসে দিদি নমিতা বলতে থাকেন, একটাই ভাই ছিল! আমার বিয়ের জন্য ভাই এসেছিল। ওর বিয়ে দেব, বাড়িঘর সাজাব, কত স্বপ্ন ছিল! সব শেষ হয়ে গেল। শনিবার অমিতের বাবা নকুল রায়, বাদলের মামা এবং জামাইবাবুরা বালেশ্বরে (Train Accident) যান। শনিবার সারাদিন বিভিন্ন মর্গে ঘুরে অবশেষে রবিবার দিন রাতে দেহ খুঁজে পান তাঁরা।

    বাদলের বাবা-মায়ের বক্তব্য

    অমিতের সঙ্গে যাওয়াটা যে শেষ যাওয়া হবে, বুঝিনি! ভাঙাচোরা মাটির বাড়ির দরজায় বসে এই কথাই বারবার বলছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) মৃত বাদলের বাবা বরুণ রায়। কাঁঠালহাটের বাসিন্দা বাদলের বাড়িতে বাবা, মা ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছোট ভাই রয়েছে। বাবা টোটো চালক। বাদলের মা পলিদেবী ফুঁপিয়ে কেঁদে বললেন, কত বার বললাম, কিছু দিন পরে যা। কিন্তু শুনল না। আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!

    প্রশাসনের বক্তব্য এবং আরও ১ মৃতদেহ আশার অপেক্ষায়

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, কুশমণ্ডির দুজনের দেহ রাতে এসেছে। আমরা নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছে। এদিকে, গঙ্গারামপুরের লালচন্দনপুরের নিখোঁজ সুমন রায়ের দেহ সোমবার শনাক্ত (Train Accident) করেছেন তাঁর বাবা রমাকান্ত রায়। বাবা বলেন, প্রশাসন থেকে মৃতদের ছবি পাঠিয়েছিল। ছবি দেখে চিনতে পেরেছি আমার ছেলেকে। সুমনের দেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে (Odisha Train Accident) করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলের তিন আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই তিন আধিকারিকের কাজকর্মের জেরেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এদিন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মোহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। সিবিআই জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ২০১ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনকে।

    করমণ্ডল দুর্ঘটনা 

    গত ২ জুন বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) বাহানগা স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইনের পরিবর্তে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে থাকা আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। ওই লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। তার পিছনে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। এরই কয়েকটি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই সময় ওই লাইনে আসছিল ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ২৮৮ জন। আহত হয়েছিলেন এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ। 

    তদন্ত শুরু রেলের

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে রেলের সেফটি কমিশন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জানা যায়, সিগন্যালের ভুলের কারণেই ঘটেছিল মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। মূলত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একাধিক ভুলের জন্য মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এএম চৌধুরীও তাঁর রিপোর্টে দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্তরে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে খড়্গপুর ডিভিশনের বাঁকড়া নয়াবাজ স্টেশনেও এই একই ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছিল সিগন্যালিংয়ে। যার জেরে ভুল করে ট্র্যাকে ঢুকে পড়েছিল ট্রেন। এই রিপোর্টটি সিবিআইকে দেওয়ার কথা। কারণ এই দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) নেপথ্যে অপরাধমূলক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত করছে সিবিআই-ও। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নয়া মোড়, সিগন্যালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ‘নিখোঁজ’

    Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নয়া মোড়, সিগন্যালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ‘নিখোঁজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) কি ষড়যন্ত্র? বালেশ্বরের সোরো সেকশনের রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পলাতক। তাঁর বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই। তাঁর অন্তর্ঘাতের জেরেই কি তবে এত বড় বিপর্যয়? রাতদিন এক করে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। পলাতক রেল কর্মী আমির খানের খোঁজে এবার ওড়িশার সীমানা পেরিয়ে বাংলায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    বাংলায় তল্লাশি সিবিআইয়ের

    ওই রেল কর্মী খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল বিভাগের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রেলে কর্মরত ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই ছিল ওড়িশার সোরো, ধান্দপারা, বাহানাগা বাজার স্টেশনের সিগন্যাল রুমের দায়িত্ব। কিন্তু, ২ জুনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। তাঁর খোঁজেই ওড়িশার পাশাপাশি বাংলার দুই জেলায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে হুগলির ডানকুনি এবং পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায়। 

    ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি সিল

    রেলের ওই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের নাম আমির খান। তিনি সোরো সেকশনে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। সোমবার তাঁর বাড়িতে তাঁকে খুঁজতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। ফলে বাড়ি সিল করে দিয়ে আসে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই বাড়ির উপর তারা আলাদা করে নজর রেখেছে। করমণ্ডল দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর রেলের একাধিক কর্মীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময় এই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকেও এক বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে ওড়িশায় থাকলেও আমির আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, সিগন্যালের ত্রুটিতেই এমন দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু পরে রেলের তরফেও জানানো হয়, এ ক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রেলমন্ত্রী নিজে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া শুধু প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে এত বড় দুর্ঘটনা সম্ভব নয়। বাহানাগা বাজার স্টেশন মাস্টারের বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছিল বলে খবর। এদিকে, এর আগেই বাহানাগা বাজার স্টেশনের মাস্টার সহ পাঁচজনকে আটক করেছিল সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। তাঁদের একটি অজ্ঞাত পরিচয় স্থানে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয়েছে সিগন্যাল রুম, স্টেশন মাস্টারের ঘর সহ গোটা বাহানাগা বাজার স্টেশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • ICC Test Championship Final: ওভালে করমণ্ডল দুর্ঘটনা স্মরণ! এক মিনিট নীরবতা পালন রোহিতদের

    ICC Test Championship Final: ওভালে করমণ্ডল দুর্ঘটনা স্মরণ! এক মিনিট নীরবতা পালন রোহিতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার। সময়ের ফারাক প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা। তবুও, বুধবার সকালে ওড়িশার বালাসোরের সঙ্গে কোথাও যেন মিলে গেল লন্ডন। মিলিয়ে দিল একটা বিপর্যয়। মিলিয়ে দিল সমবেত দুঃখ। মিলিয়ে দিল সমগ্র মানবিকতা।

    ওড়িশার করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ছায়া পড়ল সুদূর লন্ডনে। এদিন থেকেই কেনিংটন ওভালে শুরু হয়েছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল (ICC Test Championship Final)। খেলার আগে, ওভাল মাঠের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে উল্লেখ করা হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা সম্পর্কে। 

    গত শুক্রবার ওড়িশার বাহানগা বাজারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা হয়। সেই ঘটনায় ২৮৮ জন মারা গিয়েছেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের আগে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। হাতে কালো ব্যান্ড পরে নেমেছেন ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। টেস্টের (ICC Test Championship Final) পাঁচদিনই কালো ব্যান্ড পরে খেলবে দুই দলের ক্রিকেটাররা।

    এদিন ওভালের বেল বাজিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের (ICC Test Championship Final) সূচনা করেন দীনেশ কার্তিক। এদিন টস জিতে ওভালের ঘাসে ঢাকা উইকেট দেখে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভারতীয় দল এরকম— রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্ক রাহানে, শ্রীকর ভরত, রবীন্দ্র জাডেজা, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, মহম্মদ সিরাজ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express: ২৭৫ নয়! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ফের ২৮৮, জানাল ওড়িশা সরকার

    Coromandel Express: ২৭৫ নয়! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ফের ২৮৮, জানাল ওড়িশা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭৫ নয় বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ২৮৮। ওড়িশা সরকার মৃত্যুর পরিসংখ্যান পুনরায় পর্যালোচনা করে এই সংখ্যা জানিয়েছে। ওড়িশা সরকারের মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, হাসপাতালে কয়েকজন আহতের মৃত্যু এবং জেলাশাসকের কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হল। প্রসঙ্গত গত রবিবার রেল জানিয়েছিল যে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express) মৃতের সংখ্যা ২৮৮ জন। পরে এই তথ্য পর্যালোচনা করে সেদিনই ওড়িশা সরকার জানায়, প্রকৃত সংখ্যা ২৭৫। মঙ্গলবার ওড়িশার মুখ্য সচিব জানা বলেন, ‘‘সোমবার পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত করেছি দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার স্থল থেকে যে দেহ মিলেছে এবং হাসপাতালে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংখ্যা যোগ করে আমরা বালাসোরের জেলাশাসককে জানাতে বলেছিলাম। এই দুই সংখ্যা যোগ করে এই জেলাশাসক জানিয়েছেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮৮ টির মধ্যে ২০৫ দেহ ইতিমধ্যে শনাক্ত করে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮৩ টি দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে।

    আরও পড়ুন: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    পশ্চিমবঙ্গের মৃত কতজন?

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে ওড়িশার হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন ৯৭ জন বাংলার বাসিন্দা। সূত্রের খবর, বাংলায় ১০৩ জনের দেহ শনাক্ত করা গেছে।

    দুর্ঘটনার দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু অন্তত ৪০ জনের

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। দুর্ঘটনার তদন্তে জানা গেছে যে ৪০ জনের দেহে কোনও রকমের ক্ষতের চিহ্ন নেই। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁদের মৃত্যু ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রেলের তরফে একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে রেলের এক আধিকারিক জানান, বগিগুলি যখন ইঞ্জিন থেকে আলাদা হয়ে ছিটকে যায়, তখনই বগির মধ্যে থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে যাত্রীদের। রেল সূত্রে খবর, মালগাড়িতে ধাক্কা খাওয়ার পর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) বগিগুলি বিক্ষিপ্তভাবে ছিটকে যায় তখন ওভার হেডের তারের সঙ্গে সংস্পর্শে চলে আসে বগিগুলি। এর ফলে বগির মধ্যে থাকা বহু যাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বলে জানা যাচ্ছে। ‌ ট্রেন দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই ১০ জন সদস্যের একটি সিবিআই প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর থমকে গিয়েছিল যাত্রা। পাঁচদিন পর বুধবার থেকে ফের চলতে শুরু করবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। আগের মতোই নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, দুপুর ৩টে ১৫ নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রেনটি। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগের রুটেই চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। অর্থাৎ, বাহানগা বাজার স্টেশন হয়েই যাবে ট্রেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ এই স্টেশনের কাছেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ২৭৫ জনের। আহত হন ৯০০ জনের বেশি।

    ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা

    উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর শনিবার রাত থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করে রেল। রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রায় ১০০০ জন এই পুনরুদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন। দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) প্রায় ৫১ ঘণ্টা পরে বাহানাগা স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রবিবার রাতে, দুটি মালগাড়ি পাঠানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত ডাউন লাইন দিয়ে। এরপর রাত ১২টা নাগাদ, আপ লাইন দিয়ে একটি ট্রেন চালানো হয়। এরপর সোমবার সকালে ওই লাইনে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অবশ্যই, এখানে তার গতি মন্থর ছিল। এর পর যায় ফলকনামা এক্সপ্রেসও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এই লাইন দিয়ে মোট ৪০টির মতো ট্রেন গিয়েছে। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করে, সবকটির গতিবেগ রাখা হয়েছিল ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি।

    আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মঙ্গল-বুধেও বাতিল বহু ট্রেন

    তবে, এই লাইন দিয়ে এখনই পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। সোমবার এই শাখায় বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও তাই। এমনকি, বুধুবারও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেলের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাহানগা বাজারে রেললাইন (Odisha Train Accident) মেরামতির কাজের জন্য আগামী ৬ ও ৭ জুন অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল থাকবে। এই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে- আপ ও ডাউন পুরী-বাংরিপোসি এক্সপ্রেস, ভদ্রক-বালাসোর এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-বালাসোর স্পেশাল, সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা স্পেশাল, পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস, ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন ভুবনেশ্বর-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-জলেশ্বর এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-হাওড়া ফলকনামা এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-খুরদা রোড এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সাঁতরাগাছি-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার-পুরী এক্সপ্রেস, পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস। তবে, আগ বাতিলের ঘোষণা করা হলেও, নির্ধারিত সময় ছাড়বে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় গড়াচ্ছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) জোরালো হচ্ছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। প্রকৃত সত্যের উদঘাটনে সোমবার থেকেই আসরে নেমেছে সিবিআই।

    দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির বিষয়টি রবিবারই স্বীকার করে নিয়েছে রেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ত্রুটি কি নিছক যান্ত্রিক গোলযোগ, নাকি দায়ী কোনও মানুষ? এটা কোনও মুহূর্তের ভুল নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও পরিকল্পনা? অর্থাৎ, জোর করে কেউ এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলযোগ বাঁধিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়নি তো? সত্যিকারে গাফিলতি ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায়? নাকি কারচুপি করে তাকে অকেজো করে রাখা হয়েছিল? যার জেরে প্রাণ গেল ২৭৫ জনের!

    কীভাবে সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল?

    রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সিগন্যালিং সমস্যার জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল কি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি ষড়যন্ত্র? রেলের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেস আপ মেইন লাইনে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল সবুজ ছিল। কিন্তু, তারপরই সিগন্যাল অফ করে দেওয়া হয়। আপের লুপলাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। আবার সেই সময়ে মেনলাইন থেকে লুপলাইনে ট্রেন ঢোকানোর জন্য আগে থেকেই পয়েন্ট সেট করা ছিল। ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে চলে যায় এবং মালগাড়িতে ধাক্কা মারে।

     মেইন লাইন ছেড়ে কেন লুপ লাইনে?

    রেলের তদন্তকারী আধিকারিকদের আরও দাবি, লুপলাইনে ঢোকার জন্য পয়েন্ট সেট করা থাকলে তার অনেক আগে থেকেই হোম সিগন্যাল হলুদ থাকার কথা। এটা রেলের একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। নিয়ম অনুসারে, হোম সিগন্যাল হলুদ থাকলে চালককে প্রথমে ট্রেনটিকে থামাতে হয়। তারপর খুব ধীর গতিতে, মোটামুটি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিবেগে লুপলাইনে ঢোকার কথা ছিল করমণ্ডলের। কিন্তু এক্ষেত্রে লুপলাইনে পয়েন্ট সেট করা থাকলেও হোম সিগন্যাল সবুজ ছিল। যে কারণে, ট্রেন ছুটছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২৮ কিলোমিটার গতিবেগে। দ্রুত গতিতে লুপলাইনে ঢুকে পড়ে লোহাচুর বোঝাই মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Odisha Train Accident)।

    আরও পড়ুন: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    অকেজো ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা?

    রেলকর্তাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময়ে যে কোনও কারণেই হোক ওই এলাকায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো হয়ে ছিল। সাধারণত কোথাও সিগন্যালের মেরামতি করতে হলে এটা করা হয়ে থাকে। সিগন্যালিংয়ের এই গণ্ডগোলের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। রেলের ডিআরএম বলেন, “এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল বলেই গতকাল থেকে রিলে রুম বন্ধ করে রেখেছে। কারণ কোনও ত্রুটি হয়েছে কি না তা একমাত্র ওই রিলে রুমে থাকা হার্ডওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। ওই ঘরে সিগনালিং এবং টেলি কমিউনিকেশনের সব কাজ হয়। তাই অন্তর্ঘাত তো কিছু না কিছু ভাবে হয়েছেই।” 

    ট্যাম্পারিং করা হয়েছিল ইন্টারলকির সিস্টেমে?

    রেল কর্তাদের দাবি, তাদের ইন্টারলকিং সিস্টেম খুবই নিরাপদ এবং এখানে ত্রুটির সুযোগ কম। একটা সিগন্যালিং ব্যবস্থা এতটাই স্পর্শকাতর হয় যে, তার ত্রুটি মেরামত করার পর অন্তত ছয় থেকে সাতবার উন্নতমানের মেশিন এনে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে এত কম সময়ে বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত ০.০১ শতাংশ। ডিআরএম জানান, এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা কিছুদিন আগেই মেরামত করা হয়েছিল। তাহলে, সেখানে এই ধরনের বিপর্যয়ের অবকাশই নেই। ফলে, প্রাথমিক তদন্তের সঙ্গে রেলকর্তারা একমত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে বদল ঘটানো বা ট্যাম্পারিং না হলে ইন্টারলকির সিস্টেমে পরিবর্তন করা যায় না। যে কারণেই এখানে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে আসছে। ইন্টারলকিং সিস্টেমে হস্তক্ষেপের পিছনে উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতেই সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত।

     অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের সিবিআই টিম

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকাণ্ডে (Odisha Train Accident) রেলের নিজস্ব তদন্তের পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই অনুযায়ী, সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ১০ সদস্যের টিম পৌঁছে গিয়েছিল বালাসোরে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি, কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ দল। বালাসোর স্টেশনের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার-সহ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যেকের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

    কী হয়েছিল সেই সময়? জানতে চায় সিবিআই

    এছাড়া, খড়্গপুর জংশন থেকেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতিবিধি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার (এসডিওএম), ডিওএম, ট্র্যাক লোকো কন্ট্রোলার (টিএলসি), সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালকের কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া লগবুক, স্পিডোমিটার, ওয়াকিটকি, সিইউজি ফোন (কমন ইউনিফায়েড গ্রুপ), পিএমইউ (পিরিয়োডিক্যাল মেডিক্যাল একজামিনেশন মেমো), রিফ্রেশার মেমো (ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট)– এই সব সামগ্রী রেলের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Odisha Train Accident) চালক ও সহকারী চালকের সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Odisha Train Accident) কেড়েছে ২৭৫টি প্রাণ। আর কোনওদিনও বাড়িতে ফিরবেন না তাঁরা। একদিকে প্রিয়জনকে হারানোর শোক, তার ওপর নিহতদের অনেকেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। ফলে, সব মিলিয়ে আতান্তরে নিহতদের পরিবারবর্গ। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমরাও। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৮০০ পার করেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের জখম গুরুতর। অনেকে জীবনভর কিছু করার ক্ষমতা হারিয়েছেন। বহু যাত্রীর অঙ্গহানি ঘটেছে। কারও কাটা পড়েছে হাত, কারও বা পা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতে কিছুটা মলমের প্রলেপ এনে দিতে পারে ক্ষতিপূরণের টাকা। 

    কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণ?

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পরই রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। প্রতি মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুত্ব আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা জানিয়েছিল রেল। কিন্তু, কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণের টাকা? অনেকের কাছে এই পদ্ধতি জানা নেই। তার ওপর, প্রিয়জনের দেহ এখনও অনেকে পাননি। যে পরিবার দেহ পেয়েছে, তাদের মানসিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক নয়। সকলে শোকে বিহ্বল। বাড়িতে শোকের ছায়া। অনেক পরিববার বুঝেই উঠতে পারছে না, এই সময়ে ঠিক কী করণীয়। 

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    মানতে হবে কিছু নিয়ম

    এমন অবস্থায়, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল রেল। ক্ষতিপূরণের (Odisha Train Accident) অর্থ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে চাইতে হবে, সেই পদ্ধতিও জানানো হল। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল ক্ষতিপূরণ দাবি করার প্রক্রিয়াটি জানিয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিপূরণ পেতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারের সদস্যরা কিংবা আহতরা বালাসোর স্টেশন কিংবা হাসপাতালে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। সঙ্গে ক্ষতিপূরণের সমস্যা এবং তার সমাধানের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল ৯৪৩৯৯ ৮১৯৯৯, ৭৯৭৮৪ ১৮৩২২ এবং ৮২৪৯৫ ৯১৫৫৯। এছাড়া ৬৪৮১০ নম্বরে ফোন করে ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নথিপত্র রেলকে দেখিয়ে পরিচয়ের প্রমাণ দিতে হবে।

    টিকিট না কাটলেও মিলবে ক্ষতিপূরণ

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮৫ জন যাত্রীকে মোট ৩.২২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ও ৫০ জন গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফে আপাতত সাতটি জায়গা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এগুলি হল-সোরো, খড়্গপুর, বালাসোর, খন্তপারা, ভদ্রক, কটক ও ভুবনেশ্বর। রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, কার টিকিট ছিল অথবা টিকিট ছিল না এই ঘটনা নির্বিশেষে সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা হবে।

    প্রিয়জনের খোঁজ পেতে হেল্পলাইন ১৩৯

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর এখনও পর্যন্ত বালাসোর, সোরো এবং বাহানগা বাজার থেকে মোট ৭৭টি মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সেগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে। অন্যদিকে ১৮২টি দেহ এখনও সনাক্ত করা যায়নি। এখনও মৃত পরিজনদের দেহ পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। তাদের পরিবারকে সহায়তা করতেই ১৩৯-এই হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মৃত ও আহদের পরিবার ১৩৯ নম্বরেও ফোন করতে পারেন। এই নম্বরে ফোন করলে, জোনাল রেলওয়ে ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। ২৪/৭ এই হেল্পলাইন নম্বর চালু রাখা হচ্ছে। ফোনের এ প্রান্তে থাকবেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share