Tag: odisha train derailment

odisha train derailment

  • Coromandel Express: দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের শনাক্তকরণের আবেদন, লিঙ্ক প্রকাশ করল রেল

    Coromandel Express: দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের শনাক্তকরণের আবেদন, লিঙ্ক প্রকাশ করল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্ধ্যায় বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কিন্তু দুশ্চিন্তার বিষয় হল, এখনও বহু মৃতদেহ শনাক্তই করা যায়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের একাংশের সঙ্গেও যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি তাঁদের আত্মীয়রা। এই অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ প্রেস বিবৃতি জারি করেছে ভারতীয় রেল। যেখানে যাত্রীদের চেনার জন্য লিঙ্ক প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভারতীয় রেলের (Coromandel Express) পক্ষ থেকে দেওয়া লিঙ্ক

    কটকে এসএসবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের তালিকা

    https://www.bmc.gov.in/train-accident/download/Un-identified-person-under-treatment-at-SCB-Cuttack.pdf

    বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যাত্রীদের নামের তালিকার লিঙ্ক

    https://www.bmc.gov.in/train-accident/download/Lists-of-Passengers-Undergoing-Treatment-in-Different-Hospitals_040620230830.pdf

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনদের যোগাযোগের জন্য রেল একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে, যা হল ১৩৯। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে এই হেল্পলাইন। শীর্ষ আধিকারিকরা এই হেল্পলাইনে নজরদারি করছেন। এছাড়াও বিএমসি হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ০৬১/১৯২৯। ভুবনেশ্বরের মিউনিসপ্যাল কমিশনারের অফিসে খোলা হয়েছে এই কন্ট্রোল রুম। যা গাড়ি দিয়ে সাহায্য করছে সাধারণ মানুষকে। এই গাড়িগুলি হাসপাতাল বা মর্গে পৌঁছে দিচ্ছে দুর্গতদের পরিজনদের।

    আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের চালকদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল

    করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) দুই চালকের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। সোমবার এক চালককে আইসিইউ থেকে বের করে আনা হয়েছে। অন্য চালক বেহেরার মাথায় অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, উভয় চালকের পরিবারই গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছে। এর আগেই অবশ্য রেলমন্ত্রক দুই চালককে ক্লিনচিট দিয়েছে। অন্যদিকে ৫১ ঘণ্টা পরে বালাসোরের দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনের চাকা গড়িয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    Train Accident: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টার লড়াই শেষ। বালাসোরের রেল ট্র্যাকে গড়াল ট্রেনের চাকা। এমন একটি মুহূর্তে চোখে জল এল রেলমন্ত্রীর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই রেলপথ দিয়ে রবিবার রাতে ডাউন লাইনে ট্রায়াল রান শুরু করল রেল। রাত দশটা চল্লিশ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালান রেলের আধিকারিকরা। এরপর রাত ১১:৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২:০৫ মিনিটে। দুর্ঘটনার রাত থেকেই রেলমন্ত্রী একের পর এক উচ্চপদস্থ বৈঠক করতে থাকেন। পরের দিন সকালেই হাজির হয়ে যান বালাসোরের ময়দানে। কামরার ভিতরে ঢুকে উদ্ধারকাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখা, লাইন মেরামতি সহ সব কিছুই করেছেন তিনি। টানা ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দুর্ঘটনাস্থলে (Train Accident) রয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেন ছোটার পর হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে দেখা যায় আইআইটি পাশ রেলমন্ত্রীকে।

    ট্রেন চালুর পর কী বললেন রেলমন্ত্রী

    রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন কর্মীদের কাজে গতি বাড়ানোর জন্য। ৫১ ঘণ্টার চেষ্টায় লাইন মেরামত করে আপ-ডাউন লাইনে তিনটি মাল গাড়ি চালানো হয়েছে। সোমবার সাতটি গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ এই সময় দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় রেলমন্ত্রীর চোখে জল দেখা যায়। এদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘‘দায়িত্ব এখনও শেষ হয়ে যায়নি। যেসব পরিবার এখনও তাদের প্রিয়জনদের খোঁজ পায়নি, তারা যাতে তাড়াতাড়ি তাদের খুঁজে পেতে পারে, তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’’ প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনায় (Train Accident) ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় রেলের তরফ থেকে। যদিও রবিবার ওড়িশা সরকার জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ২৭৫‌। মৃতদেহ গণনার সময় একই দেহ একাধিকবার গোনার ফলে এই সংখ্যা ২৮৮ তে পৌঁছে যায়।

    আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    শুক্রবার রাতেই পাল্টে যায় গোটা বালাসোর জেলার চিত্র

    হাহাকার, আর্তনাদ, লাশের স্তূপে শুক্রবার রাতেই বদলে যায় সমগ্র বালাসোর জেলার চিত্র। জানা গিয়েছে, এখনও শতাধিক মৃতদেহ চিহ্নিত করা যায়নি এবং তাদের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই মৃতদেহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বরে। ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যে ছবি প্রকাশ করেছে। এই ছবি দেখে কেউ নিকটাত্মীয়দের শনাক্ত করতে পারলে ১৯২৯ হেল্প ডেস্ক নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই বাহানাগা হাইস্কুল যেন পরিণত হয়েছিল আস্ত একটা মর্গে।এছাড়াও ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল এই মৃতদেহগুলিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ রেলমন্ত্রীর!

    Train Accident: দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ রেলমন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরের রেল দুর্ঘটনার (Train Accident) তদন্তের ভার সিবিআই-কে দেওয়ার সুপারিশ করল রেল। এদিন সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বরের রেল সদনে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী। সেখানেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালে, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের নাশকতার ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার, বালেশ্বরের ঘটনারও সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করা হল। রেলমন্ত্রী এদিন বলেন, “এই ঘটনার গুরুত্ব মাথায় রেখে এবং প্রশাসনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তার ভিত্তিতে রেলওয়ে বোর্ড এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করেছে।”

    রবিবার দুপুরেই দুর্ঘটনার কারণ জানান রেলমন্ত্রী

    রবিবার সকালে, এই দুর্ঘটনার পিছনে চালকের কোনও ত্রুটি থাকা বা রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থায় সিস্টেমের ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করে দেন রেলমন্ত্রী। ওড়িশার এই ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পিছনে ‘নাশকতা’ রয়েছে বা ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে কেউ কারসাজি করেছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, রেলের প্রাথমিক তদন্তে দুর্ঘটনার ‘মূল কারণ’ এবং এর জন্য দায়ী ‘অপরাধীদের’ চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁর মতে, “ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং এবং পয়েন্ট মেশিনে করা পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”

    করমণ্ডলের চালককে ক্লিনচিট রেলের

    রেল সূত্রে খবর, ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমটিতে কোনও ত্রুটি ছিলনা। করমন্ডল এক্সপ্রেসের চালককেও তারা ক্লিনচিট দিয়েছে। রেল জানিয়েছে, সবুজ সঙ্কেত দেখেই তিনি এগিয়েছিলেন এবং ট্রেনটি অতিরিক্ত গতিতেও ছিল না। এই ক্ষেত্রে বাইরের কারও হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি রেলওয়ে বোর্ড। তারা জানিয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে বাহানাগা বাজার স্টেশনে মেইন লাইন দিয়ে যাওয়া জন্য সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ট্রেনটি মেইন লাইন ছেড়ে লুপ লাইনে ঢুকেছিল। সেখানে একটি লৌহ আকর বোঝাই পণ্যবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বেঁচে আছে মানবতা! ট্রেন দুর্ঘটনায় রক্তদানের লম্বা লাইন স্থানীয়দের

    Train Accident: বেঁচে আছে মানবতা! ট্রেন দুর্ঘটনায় রক্তদানের লম্বা লাইন স্থানীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বালাসোর। শুক্রবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Train Accident) মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস, হাওড়া-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় এখনও অবধি কমপক্ষে ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১০০০ ছাড়িয়েছে। আহতরা ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। একদিকে যেখানে হাসপাতালের বেড, মেঝেতে শুয়ে রোগীদের কাতরানির দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সেখানেই দেখা মিলল মানবতা ও মুল্যবোধের। হাসপাতালের বাইরে লম্বা লাইন। আহতদের চিকিৎসার জন্য রক্তদানের জন্য ভিড় সাধারণ মানুষের। সেবাকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘও, শনিবার অবধি ৬০০ ইউনিট রক্তদান করেছে তারা।

    রক্তদান জীবনদান.. 

    অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সঙ্কটজনক। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। সেই কাজেই এগিয়ে এসেছেন ওড়িশার স্থানীয় বাসিন্দারা। আশেপাশের যে সমস্ত হাসপাতালে আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে, সেখানেই তাঁরা লাইন দিচ্ছেন রক্তদানের জন্য।

    কী বললেন স্থানীয় যুবক….

    বিপদের মুহূর্তেই মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে,এটাই মানবতা। যাঁরা রক্তদান করতে এসেছেন, তাঁদের মুখ থেকেই শোনা গেল একথা। জনৈক সুধাংশু নামের এক স্থানীয় যুবক, যিনি এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রক্তদান করতে এসেছিলেন, তিনি বলেন, “আহতদের এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার মনে হল যে রক্তদান করা উচিত। আশা করছি আমার রক্তদান করায় অন্তত কয়েকজনের প্রাণ রক্ষা হবে। আমি বাকিদের কাছেও আবেদন করছি, সকলে এসে যেন রক্তদান করেন।”

     

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    Train Accident: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরের মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) দুঃখ প্রকাশ করলেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্র নেতারা। দিলেন সাহায্যে আশ্বাসও। শনিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন যে ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনার (Train Accident) কথা শুনে তিনি মর্মাহত। দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা।

    কী বললেন বাইডেন?

    এদিন বাইডেন বলেন, ‘‘আমি এবং ফার্স্ট লেডি দুজনেই মর্মাহত হয়েছি এই ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে। সমবেদনা জানাচ্ছি নিহতদের পরিবারবর্গকে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।’’

    কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘‘এই মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। সমবেদনা জানাচ্ছি যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারবর্গকে এবং যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’

    কি বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

    নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ঋষি সুনক লেখেন, ‘‘আমি প্রার্থনা করছি ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত মানুষদের জন্য। যাঁরা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছেন।’’

    বার্তা পাঠিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্টও

    ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে চীনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং শোক বার্তা পাঠিয়েছেন।

    শোকপ্রকাশ জাপানের প্রধানমন্ত্রীরও

    জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এদিন লেখেন, ‘‘সমস্ত জাপানের মানুষ ভারতের এই ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনায় শোকাহত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • LIC: রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা সহজেই পাবেন বিমার টাকা! জানাল এলআইসি

    LIC: রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা সহজেই পাবেন বিমার টাকা! জানাল এলআইসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহজেই বিমার টাকা হাতে পান, তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানাল এলআইসি (LIC)। নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি এদিন দুঃখ প্রকাশ করেছেন এলআইসি-র চেয়ারপার্সন সিদ্ধার্থ মোহান্তি। পাশাপাশি, এলআইসির (LIC) বিভিন্ন পলিসি এবং প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার টাকা সহজেই দেওয়ার জন্য বেশ কিছু ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘দোষীদের শাস্তি হবে, ঘটনার তদন্তও হবে’’, বালাসোরে বললেন মোদি

    কী বললেন এলআইসির (LIC) চেয়ারপার্সন?

    সিদ্ধার্থ মোহান্তি বলেন, “রেজিস্টার্ড ডেথ সার্টিফিকেটের পরিবর্তে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, পুলিশ বা যে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত হতাহতের তালিকাকেই মৃত্যুর প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা হবে। দাবি-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং দাবিদারদের সহায়তা প্রদানের জন্য বিভাগীয় এবং শাখা পর্যায়ে বিশেষ সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।”তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রত্যেক দাবিদারের কাছেই পৌঁছানোর চেষ্টা করবে এলআইসি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির দাবির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চেষ্টা করা হবে। এলআইসির তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও রকম সহায়তার জন্য, বিমায় লগ্নিকারীরা তাদের নিকটতম এলআইসির শাখা বা বিভাগে যোগাযোগ করতে পারবেন। ০২২৬৮২৭৬৮২৭ নম্বরে ফোন করেও সহায়তা পেতে পরেন বিমার টাকার দাবীদাররা।

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    মৃত্যুপুরী বালাসোর

    প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনার (Train Accident) পর থেকেই যেন গোটা বালাসোর পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। ১৩০ কিমি বেগে থাকা এই ট্রেনের বগি চলে আসে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির ট্রাকে। শেষ খবর পাওয়া অবধি, নিহতের সংখ্যা ২৮৮। উদ্বারকারীদের আশঙ্কা এখনও বহু দেহ আটকে রয়েছে কামরার মধ্যে। ড্রোন, স্নিফার ডগ, হেলিকপ্টার সবকিছু নিয়েই চলছে উদ্ধারকাজ।

    আরও পড়ুন: হৃদয়বিদারক! বাহানাগা হাইস্কুল যেন পরিণত হয়েছে আস্ত মর্গে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: হৃদয় বিদারক! বাহানাগা হাইস্কুল যেন পরিণত হয়েছে আস্ত মর্গে

    Train Accident: হৃদয় বিদারক! বাহানাগা হাইস্কুল যেন পরিণত হয়েছে আস্ত মর্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাহানাগা হাইস্কুল যেন পরিণত হয়েছে মর্গে। সারি দিয়ে রাখা দেহ। ওড়িশা প্রশাসনের এক আধিকারিক অরবিন্দ আগরওয়ালের কথায়, ‘‘১৬৬টি দেহ রয়েছে এই স্কুলে। যার মধ্যে ৩০টি দেহ শনাক্ত করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘দোষীদের শাস্তি হবে, ঘটনার তদন্তও হবে’’, বালাসোরে বললেন মোদি

    হৃদয়বিদারক ছবি বাহানাগা হাইস্কুলে

    কিন্তু দেহ রাখতে স্কুলকে কেন বাছা হল? স্থানীয় প্রশাসনিক এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাস্থল থেকে স্কুলটি অত্যন্ত কাছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের হল এবং ঘরগুলোও বেশ বড়।’’ নিহতদের পরিবারের লোকজন আসছেন, সাদাকাপড় সরিয়ে শনাক্ত করছেন দেহগুলি। এমনই হৃদয়বিদারক ছবি ধরা পড়ল ওই স্কুলে। নির্দিষ্ট প্রমাণ দেওয়ার পরে ওড়িশা সরকার পরিবারের লোকের হাতে দেহ তুলে দিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের প্রায় ১০০ এর বেশি লোক তত্ত্বাবধান করছেন এই কাজে।

    মৃত্যুপুরী বালাসোর

    প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনার (Train Accident) পর থেকেই যেন গোটা বালাসোর পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। ১৩০ কিমি বেগে থাকা এই ট্রেনের বগি চলে আসে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির ট্রাকে। শেষ খবর পাওয়া অবধি, নিহতের সংখ্যা ২৮৮। উদ্বারকারীদের আশঙ্কা এখনও বহু দেহ আটকে রয়েছে কামরার মধ্যে। ড্রোন, স্নিফার ডগ, হেলিকপ্টার সবকিছু নিয়েই চলছে উদ্ধারকাজ। ট্রেনের এক যাত্রী তো নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছেন। তিনি বলেন, ‘‘তখন ঘুমাচ্ছিলাম ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠে দেখি প্রায় ১০-১৫ জন আমার উপরে পড়ে আছে। আমি হাত ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন আমি ট্রেন থেকে নামলাম দেখি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। একটি পা এখানে, একটি হাত সেখানে। কারও মুখ বিকৃত।’’  

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express: রেল দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Coromandel Express: রেল দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনায়  শেষ খবর পাওয়া অবধি মৃত কমপক্ষে ৩০। দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

    ট্যুইটে কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট লেখেন, ‘‘ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ। মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সম্ভাব্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’

    রাষ্ট্রপতির শোকপ্রকাশ

    রাষ্ট্রপতি এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে লেখেন, ‘‘ওড়িশার বালাসোরে এই রেলদুর্ঘটনায় খবরে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি।’’

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ

    অমিত শাহ তাঁর ট্য়ুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘রেল দুর্ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। এনডিআরএফ এর দল ওখানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’’

    নিহত এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা কেন্দ্রের
     

    দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁরা পাবেন ২ লাখ টাকা এবং বাকি আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

     

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    হাওড়া স্টেশনের জন্য:০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়গপুর স্টেশনের জন্য: ৮৯৭২০৭৩৯২৫,৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর স্টেশনের জন্য: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯,৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার স্টেশনের জন্য: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর থমকে গিয়েছিল যাত্রা। পাঁচদিন পর বুধবার থেকে ফের চলতে শুরু করবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। আগের মতোই নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, দুপুর ৩টে ১৫ নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রেনটি। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগের রুটেই চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। অর্থাৎ, বাহানগা বাজার স্টেশন হয়েই যাবে ট্রেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ এই স্টেশনের কাছেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ২৭৫ জনের। আহত হন ৯০০ জনের বেশি।

    ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা

    উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর শনিবার রাত থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করে রেল। রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রায় ১০০০ জন এই পুনরুদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন। দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) প্রায় ৫১ ঘণ্টা পরে বাহানাগা স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রবিবার রাতে, দুটি মালগাড়ি পাঠানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত ডাউন লাইন দিয়ে। এরপর রাত ১২টা নাগাদ, আপ লাইন দিয়ে একটি ট্রেন চালানো হয়। এরপর সোমবার সকালে ওই লাইনে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অবশ্যই, এখানে তার গতি মন্থর ছিল। এর পর যায় ফলকনামা এক্সপ্রেসও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এই লাইন দিয়ে মোট ৪০টির মতো ট্রেন গিয়েছে। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করে, সবকটির গতিবেগ রাখা হয়েছিল ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি।

    আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মঙ্গল-বুধেও বাতিল বহু ট্রেন

    তবে, এই লাইন দিয়ে এখনই পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। সোমবার এই শাখায় বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও তাই। এমনকি, বুধুবারও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেলের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাহানগা বাজারে রেললাইন (Odisha Train Accident) মেরামতির কাজের জন্য আগামী ৬ ও ৭ জুন অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল থাকবে। এই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে- আপ ও ডাউন পুরী-বাংরিপোসি এক্সপ্রেস, ভদ্রক-বালাসোর এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-বালাসোর স্পেশাল, সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা স্পেশাল, পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস, ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন ভুবনেশ্বর-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-জলেশ্বর এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-হাওড়া ফলকনামা এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-খুরদা রোড এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সাঁতরাগাছি-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার-পুরী এক্সপ্রেস, পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস। তবে, আগ বাতিলের ঘোষণা করা হলেও, নির্ধারিত সময় ছাড়বে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় গড়াচ্ছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) জোরালো হচ্ছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। প্রকৃত সত্যের উদঘাটনে সোমবার থেকেই আসরে নেমেছে সিবিআই।

    দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির বিষয়টি রবিবারই স্বীকার করে নিয়েছে রেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ত্রুটি কি নিছক যান্ত্রিক গোলযোগ, নাকি দায়ী কোনও মানুষ? এটা কোনও মুহূর্তের ভুল নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও পরিকল্পনা? অর্থাৎ, জোর করে কেউ এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলযোগ বাঁধিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়নি তো? সত্যিকারে গাফিলতি ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায়? নাকি কারচুপি করে তাকে অকেজো করে রাখা হয়েছিল? যার জেরে প্রাণ গেল ২৭৫ জনের!

    কীভাবে সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল?

    রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সিগন্যালিং সমস্যার জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল কি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি ষড়যন্ত্র? রেলের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেস আপ মেইন লাইনে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল সবুজ ছিল। কিন্তু, তারপরই সিগন্যাল অফ করে দেওয়া হয়। আপের লুপলাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। আবার সেই সময়ে মেনলাইন থেকে লুপলাইনে ট্রেন ঢোকানোর জন্য আগে থেকেই পয়েন্ট সেট করা ছিল। ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে চলে যায় এবং মালগাড়িতে ধাক্কা মারে।

     মেইন লাইন ছেড়ে কেন লুপ লাইনে?

    রেলের তদন্তকারী আধিকারিকদের আরও দাবি, লুপলাইনে ঢোকার জন্য পয়েন্ট সেট করা থাকলে তার অনেক আগে থেকেই হোম সিগন্যাল হলুদ থাকার কথা। এটা রেলের একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। নিয়ম অনুসারে, হোম সিগন্যাল হলুদ থাকলে চালককে প্রথমে ট্রেনটিকে থামাতে হয়। তারপর খুব ধীর গতিতে, মোটামুটি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিবেগে লুপলাইনে ঢোকার কথা ছিল করমণ্ডলের। কিন্তু এক্ষেত্রে লুপলাইনে পয়েন্ট সেট করা থাকলেও হোম সিগন্যাল সবুজ ছিল। যে কারণে, ট্রেন ছুটছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২৮ কিলোমিটার গতিবেগে। দ্রুত গতিতে লুপলাইনে ঢুকে পড়ে লোহাচুর বোঝাই মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Odisha Train Accident)।

    আরও পড়ুন: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    অকেজো ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা?

    রেলকর্তাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময়ে যে কোনও কারণেই হোক ওই এলাকায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো হয়ে ছিল। সাধারণত কোথাও সিগন্যালের মেরামতি করতে হলে এটা করা হয়ে থাকে। সিগন্যালিংয়ের এই গণ্ডগোলের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। রেলের ডিআরএম বলেন, “এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল বলেই গতকাল থেকে রিলে রুম বন্ধ করে রেখেছে। কারণ কোনও ত্রুটি হয়েছে কি না তা একমাত্র ওই রিলে রুমে থাকা হার্ডওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। ওই ঘরে সিগনালিং এবং টেলি কমিউনিকেশনের সব কাজ হয়। তাই অন্তর্ঘাত তো কিছু না কিছু ভাবে হয়েছেই।” 

    ট্যাম্পারিং করা হয়েছিল ইন্টারলকির সিস্টেমে?

    রেল কর্তাদের দাবি, তাদের ইন্টারলকিং সিস্টেম খুবই নিরাপদ এবং এখানে ত্রুটির সুযোগ কম। একটা সিগন্যালিং ব্যবস্থা এতটাই স্পর্শকাতর হয় যে, তার ত্রুটি মেরামত করার পর অন্তত ছয় থেকে সাতবার উন্নতমানের মেশিন এনে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে এত কম সময়ে বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত ০.০১ শতাংশ। ডিআরএম জানান, এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা কিছুদিন আগেই মেরামত করা হয়েছিল। তাহলে, সেখানে এই ধরনের বিপর্যয়ের অবকাশই নেই। ফলে, প্রাথমিক তদন্তের সঙ্গে রেলকর্তারা একমত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে বদল ঘটানো বা ট্যাম্পারিং না হলে ইন্টারলকির সিস্টেমে পরিবর্তন করা যায় না। যে কারণেই এখানে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে আসছে। ইন্টারলকিং সিস্টেমে হস্তক্ষেপের পিছনে উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতেই সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত।

     অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের সিবিআই টিম

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকাণ্ডে (Odisha Train Accident) রেলের নিজস্ব তদন্তের পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই অনুযায়ী, সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ১০ সদস্যের টিম পৌঁছে গিয়েছিল বালাসোরে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি, কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ দল। বালাসোর স্টেশনের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার-সহ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যেকের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

    কী হয়েছিল সেই সময়? জানতে চায় সিবিআই

    এছাড়া, খড়্গপুর জংশন থেকেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতিবিধি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার (এসডিওএম), ডিওএম, ট্র্যাক লোকো কন্ট্রোলার (টিএলসি), সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালকের কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া লগবুক, স্পিডোমিটার, ওয়াকিটকি, সিইউজি ফোন (কমন ইউনিফায়েড গ্রুপ), পিএমইউ (পিরিয়োডিক্যাল মেডিক্যাল একজামিনেশন মেমো), রিফ্রেশার মেমো (ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট)– এই সব সামগ্রী রেলের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Odisha Train Accident) চালক ও সহকারী চালকের সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share