Tag: Ola

Ola

  • Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওলা-উবেরের রমরমা শেষের পথে। ওলা বা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবকে টক্কর দিতে কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’ (Sahkar Taxi) পরিষেবা। খুব শীঘ্রই এই ক্যাব পরিষেবা আনা হবে বলে সংসদে ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমবায়-ভিত্তিক এই পরিষেবা ক্যাব চালকদের সরাসরি সুবিধা দেবে। ওলা এবং উবরের মতো অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবার আদলে তৈরি এই উদ্যোগটি সমবায় সমিতিগুলিকে চালকদের আয় থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কোনও কর ছাড়াই দু’চাকার যান, ট্যাক্সি, রিকশা এবং চার চাকার যানবাহন রেজিস্টারের অনুমতি দেবে।

    আসছে সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ অর্থাৎ সহযোগিতায় সমৃদ্ধিলাভের যে স্বপ্ন তাকেই সত্যি করে তুলবে এই পরিষেবা। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটা একটা স্লোগানমাত্র নয়। সমবায় মন্ত্রক গত সাড়ে তিন বছর ধরে একে সার্থক করে তুলতে চেষ্টা করে চলেছে। আর কয়েকমাসের মধ্যে এক প্রধান সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা (Sahkar Taxi) শুরু হয়ে যাবে। যা থেকে সরাসরি লাভবান হবেন চালকরা।” কেননা এক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী থাকবেন না। ফলে সরাসরি লভ্যাংশ তাঁদের কাছেই যাবে।

    কেন এই ভাবনা

    ওলা, উবরের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এই প্রকল্প আনছে কেন্দ্র সরকার। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে বুকিং করতে গেলে রাইডের ভাড়ায় তারতম্য হয় বলে সম্প্রতি এক অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান। এর পরই কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) সম্প্রতি উভয় কোম্পানিকে নোটিশ জারি করে। অভিযোগের জবাবে, ওলা বৈষম্যের দাবি অস্বীকার করেছে। সিসিপিএ-কে তাদের দাবি, “আমাদের সব গ্রাহকের জন্য সমমূল্য কাঠামো রয়েছে। ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে কোনও পার্থক্য করা হয় না।” উবেরও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, “দাম কোনও যাত্রীর ফোন মডেলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় না। আমরা কোনও যাত্রীর ফোন প্রস্তুতকারকের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করি না।” ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ধরনের বৈষম্যমূলক দাম নির্ধারণকে “অনৈতিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি” হিসেবে দাবি করেছেন।

  • Success Story: এক সময় রিকশও চালিয়েছেন, আজ অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থার মালিক

    Success Story: এক সময় রিকশও চালিয়েছেন, আজ অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থার মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টা মানুষকে যে জিরো থেকে হিরো বানাতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দিলখুশ কুমার (Success Story)। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম, রোজ দারিদ্রতার সাথে লড়াই, অভাব-অনটন এতটাই ছিল যে এক সময় রিকশও চালিয়েছেন। কিন্তু এত কষ্টের মাঝেও নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বিসর্জন দেননি তিনি।  আর এই সবকিছুকে কাটিয়ে তিনি আজ এক কোম্পানির সিইও। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা জানব সেই দিলখুশ কুমারের সম্বন্ধে, যাঁর গল্প বড় সিনেমাকেও হার মানাবে।

    দিলখুশের সংগ্রামের দিনগুলি (Success Story)

    বিহারের সহরসা জেলার বনগাঁও নামের একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম দিলখুশ কুমারের। এই গ্রাম থেকেই তিনি হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি দিলখুশ। তাঁর বাবা ছিলেন ট্রাক ড্রাইভার। পরিবারে উপার্জনের একমাত্র মানুষ ছিলেন তিনিই। তাই দিলখুশ নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজের খোঁজ নিতে থাকেন। কিন্তু অনেক ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও ভালো ফলাফল পাননি তিনি। তাই সিদ্ধান্ত নেন রিকশ চালানোর। তাই লোকালয়ে প্রথমে রিকশ চালানো শুরু করেন। কিন্তু এতে শারীরিক অনেক পরিশ্রমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন দিলখুশ (Success Story)। এর পরেই তিনি আবার কর্মজীবনে ফিরে আসেন। এবার তিনি বাজারে সব্জি বিক্রি করতে শুরু করেন। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেই তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে খামতি থেকে যাচ্ছিল। যদিও তাঁর প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল ব্যবসা করার। তাই তিনি যেমন করেই হোক ব্যবসার প্রতি মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলেন সারাটা জীবন।

    তৈরি করলেন নিজের ক্যাব সংস্থা (Success Story)

    তিনি কয়েক বছর ওলা, উবর-এর মতো কিছু ক্যাব সংস্থাতেও গাড়ি চালানোর কাজ করেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজস্ব একটি অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থা গড়ে তোলার। যেমন ভাবা তেমনই কাজ, তৈরি করে ফেললেন তাঁর প্রথম স্টার্ট আপ, নিজের প্রতিষ্ঠিত অ্যাপনির্ভর ক্যাব সংস্থা “রোডবেজ”। তবে ওলা কিংবা উবরের মতো যাত্রীদের গাড়ি সরবরাহ করে না তাঁর সংস্থা। দিলখুশের গ্রাহক পেশাদার গাড়ি চালকেরা। তাঁদেরকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে গাড়ি ভাড়া দেয় রোডবেজ। দিলখুশের (Success Story) প্রতিষ্ঠিত সংস্থা রোডবেজের বার্ষিক লেনদেন বেশ কয়েক কোটির কাছাকাছি। তিনি নিজেই ওই সংস্থার সিইও হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সারা বিহার জুড়ে দিলখুশের পরিবহণ সংস্থা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে, যেখানে তিনি বহু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, এমনকী আইআইটি ও এনআইটির ইঞ্জিনিয়ারদের নিজের কোম্পানিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Consumer Protection Authority: কড়া পদক্ষেপে ক্রেতা সুরক্ষা, কমবে অ্যাপ ক্যাব যন্ত্রণা?

    Consumer Protection Authority: কড়া পদক্ষেপে ক্রেতা সুরক্ষা, কমবে অ্যাপ ক্যাব যন্ত্রণা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপ ক্যাব বুক করেছেন। দেখাচ্ছে দশ মিনিটের অপেক্ষা কিন্তু সময় গড়াচ্ছে ঘড়িতে। বিশ-পঁচিশ মিনিট কেটে গেলেও গাড়ির টিকি নেই। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বার যে ঘটনা ঘটেছে তা হল, অ্যাপ ক্যাব ড্রাইভার ফোন করে জানতে চাইলেন কোথায় যাবেন? গন্তব্য শোনার পর ফোনটা স্রেফ কেটে দিলেন। সঙ্গে কেটে দিলেন বুকিং লিঙ্কটাও। সেই পুরানো ট্যাক্সি রিফিউজালের মত। আপনি স্তম্ভিত। কিন্তু পালাবার পথ নেই। কারণ ততক্ষণে আপনি অ্যাপ ক্যাব জালে বন্দি। কারণ অ্যাপ তখন ফের গাড়ি খুঁজছে। আপনার ডেস্টিনেশনে। আবার সেই  দীর্ঘতর অপেক্ষা এবং রিফিউজাল (Refusal) অথবা দেরি করে গাড়ি আসা। অ্যাপের ঘড়ি তখন আপনার ঘড়ির থেকে বহু ধীরে ঘুরছে।  

    অপেক্ষা আর প্রত্যাখ্যান তো আছেই। এমন আরও অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে নিত্য অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারীদের। যেমন, যখন তখন বাড়তি ভাড়া বা সার্জ-প্রাইসিং (surge pricing)। যাত্রী হতবাক। পিক আওয়ার নয় তবু অ্যাপ ক্যাবের চার্জ পিকে কেন? প্রশ্ন করলে উত্তর নেই! কিন্তু গন্তব্যে যাওয়ার বাধ্যতা আছে। এরই মধ্যে আবদার আছে, “একটু বাড়তি (Extra Fare) দিয়ে দেবেন। বোঝেনই তো তেলের দাম…” এমন হাবভাব যেন আপনি নিজেই তেলের দাম বাড়িয়েছেন! সে কারণেই বুঝি খয়রাতির দায়ও আপনার!

    অনেকের আবদার ‘তেল কম এসি চলবে না’। আপনিও মেনে নেন। আগে তো সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাই। ঠান্ডা হাওয়া পরে খেলেও চলবে। এসির তাড়নায় তেল আরও কমে গেলে মাঝরাস্তায় বিপদ!  এমন আবদারও শুনেছেন নিশ্চিত, ড্রাইভার যাত্রীকে বলছে, আপনি বুকিং ক্যানসেল (ride cancel) করে দিন। আমি করব না। আপনি ক্যানসেলও করলেন না আবার গাড়িও এল না। অন্য গাড়ি বুকিং-ও হল না।

    এমন হাজারো অভিযোগ আসছিলই। এবার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট অথরিটি জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর (CCPA)। ওলা (Ola), উবার (Uber) সহ সব অ্যাপ ক্যাবের প্রত্যাখান (refusal) বাড়তি ভাড়া নেওয়া (surge pricing) ঘোষিত পরিষেবা না দেওয়া নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলছে কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট অথরিটি (The Central Consumer Protection Authority) বা সিসিপিএ (CCPA)।

    মঙ্গলবার চিফ কমিশনার নিধি খারে বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাব কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠান। পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের ব্যাখ্যা চায়। জানা গেছে প্রায় অভিযোগের ৭১% বুকিং প্রত্যাখান নিয়ে। আর ৪৫% শতাংশের অভিযোগ প্রায় দেড় থেকে দুগুণ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন ড্রাইভাররা। ৩৮%-এর অভিযোগ যাত্রীকে ক্যানসেল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। জানা গেছে, অ্যাপ-ক্যাব কর্তৃপক্ষকে সার্জ প্রাইসিং ও রাইড বাতিল করা নিয়ে নতুন নির্দেশিকাও দিচ্ছে জাতীয় উপভোক্তা নিগম, যা মেনে চলতে হবে সব পক্ষকেই। অন্যথায় কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে উবার-ওলাকে।  

    সিসিপিএ (CCPA) ওলা-উবার পরিচালকদের কাছে ৩০ দিন সময় দিয়েছে। তারমধ্যেই রাইড বাতিল, বাড়তি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক হতে বলেছে। নিজেদের ডেটাবেস থেকে কত রাইড বাতিল হয়েছে কি কারণে বাতিল সব তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে যাত্রী হেনস্থার সমস্যার সমাধান না হলে উবার-ওলার ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের বড়সড় জরিমানার মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা নিগম।

     

LinkedIn
Share