Tag: Online Gaming Bill

  • Online Gaming Bill: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল

    Online Gaming Bill: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হওয়ার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাশ হল ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। বুধবার এই বিল লোকসভায় পাশ হয়। তার ঠিক পরদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, এটি রাজ্যসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিলটি পেশ (Online Gaming Bill) হতেই বিরোধীরা হৈ হট্টগোল শুরু করে। তবে তাতে আটকানো যায়নি। অবশেষে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমেই রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়ে যায়।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    বিল পাশের (Online Gaming) পর প্রতিক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন,
    “এই বিল সমাজে একটি ভারসাম্য তৈরি করবে। ইতিবাচক ও কল্যাণকর গেমিংকে উৎসাহ দেবে, আর যে গেমিং (Online Gaming Bill) যুব সমাজের জন্য ক্ষতিকর, তার থেকে রক্ষা করবে।” নতুন বিল অনুযায়ী, কোন ধরনের গেম উৎসাহিত করা হবে আর কোনটি নিষিদ্ধ— সে বিষয়ে সংসদে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, অনলাইন গেমিংকে উৎসাহিত (Online Gaming Bill) করা হলেও, যেসব গেম অর্থের বিনিময়ে খেলা হয় বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    অশ্বিনী বৈষ্ণব অনলাইন গেমিংকে তিন ভাগে ভাগ করেন

    ই-স্পোর্টস

    অনলাইন সোশ্যাল গেমস

    অনলাইন মানি গেমস

    মন্ত্রী জানান, ই-স্পোর্টসকে দেশের অন্যান্য খেলাধুলোর মতোই উৎসাহ দেওয়া হবে। অনলাইন সোশ্যাল গেমসকে (Online Gaming Bill) তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিমনস্কতার অংশ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    তবে নিষিদ্ধ হচ্ছে কোন গেমগুলো?

    মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ‘অনলাইন মানি গেমস’, অর্থাৎ যেসব গেমে আর্থিক বিনিয়োগ করতে হয় এবং যার মাধ্যমে মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ে ও সর্বস্ব হারায়—এমন গেমগুলোই নিষিদ্ধ হবে। এই গেমগুলোর অ্যালগোরিদম এমনভাবে তৈরি, যা ব্যবহারকারীকে বারবার বিনিয়োগে বাধ্য করে, কিন্তু বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পাওয়ার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেই অর্থপাচার, আর্থিক প্রতারণা এবং এমনকি সন্ত্রাসে অর্থ জোগান দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    গেমিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমেই প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতে

    কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমেই প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ভারতে। ফলে এই খাতে গত কয়েক বছরে হঠাৎ করেই অনেক ছোট-বড় সংস্থা গজিয়ে উঠেছে। এখন থেকে এমন অ্যাপ পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া হবে, জানিয়েছেন বৈষ্ণব। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এই বিল আইনে পরিণত হলে, বিল ভঙ্গ করলে ১ কোটি টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে। আর যারা সরাসরি জড়িত না থেকেও এই গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করছেন, তাদের উপর ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হবে।

  • Online Gaming Bill: সর্বনাশা অনলাইন গেম খেলে ফি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন দেশবাসী?

    Online Gaming Bill: সর্বনাশা অনলাইন গেম খেলে ফি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন দেশবাসী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বনাশা অনলাইন গেম (Online Gaming Bill) খেলে ফি বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন এ দেশের ৪৫ কোটি মানুষ। এর মধ্যে জুয়া এবং বাজির মতো খেলাও রয়েছে। লোকসভায় ২০২৫ সালের অনলাইন গেমিং প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ বিল পাশ হওয়ার (Illegal Betting Apps) ঠিক আগেই প্রকাশ্যে এল এই তথ্য।

    অনলাইন গেমিং (Online Gaming Bill)

    সরকারি সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং, বিশেষ করে যেসব খেলায় অর্থ লাগে এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু সাংসদ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকার জানিয়েছে, অনলাইন গেমিং ওয়েবসাইট থেকে রাজস্ব আয় করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জনগণের আর্থিক ও মানসিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে, গেম আসক্তির সমস্যা, গেম অপারেটর ও ডেভেলপারদের জালিয়াতি, এবং রাজ্যভেদে জুয়ার আইন নিয়ে অসঙ্গতি। এছাড়াও বিলটিতে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর কড়া নজরদারির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সেই সব গেম যেখানে আসল টাকার লেনদেন হয়, যেমন পোকার।

    অর্থপাচার কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্যও ব্যবহার

    উদ্বেগের আরও কারণ রয়েছে। এই সব লেনদেন অর্থপাচার কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্যও ব্যবহার করা হতে পারে। সূত্রের খবর, যাঁরা এই সব গেম খেলেন তাঁরা আসলে ভুক্তভোগী এবং তাঁদের শাস্তি হবে না। তবে যেসব ব্যক্তি প্রকৃত অর্থভিত্তিক গেমিং প্ল্যাটফর্ম চালান, লেনদেনের ব্যবস্থা করেন ইত্যাদি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই অবৈধ বেটিং অ্যাপ নিয়ে ফেডারেল তদন্তের প্রসঙ্গে যেগুলি ‘দক্ষতার খেলা’ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় যাতে সেগুলিকে জুয়াখেলা থেকে আলাদা মনে হয় – এই ‘বাজারে’র আকার ৮.৩ লক্ষ কোটি টাকা এবং এটি প্রতিবছর ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে (Online Gaming Bill)।

    কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থাপিত নয়া বিলে এই জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে জুয়ার অ্যাপ চালানোর জন্য জরিমানা আরোপের বিধানও রয়েছে (Illegal Betting Apps)। অনলাইনে অর্থভিত্তিক গেমিং সেবা আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি হিসেবে রয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয়ই। আর যাঁরা এই ধরনের গেমের বিজ্ঞাপন করবেন, তাঁরা দু’বছরের জেল এবং /অথবা ৫০ লাখ টাকা জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন (Online Gaming Bill)।

LinkedIn
Share