Tag: Operation Sindoor

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Conflict) জেরে আরও উত্তপ্ত হল পশ্চিম এশিয়া। ইজরায়েল ইরানে চালিয়েছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। তার পাল্টা ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’। রবিবার রাত (Operation Sindoor) থেকে দু’পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে, সোমবার সকালে ইরানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি হয়েছে ইরানের ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই। দুইয়ে মিলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা (Israel Iran Conflict)

    গত সপ্তাহেই ইরানের কোম শহরে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এর কাছাকাছি। ইরানের আগে ভূমিকম্পে কেঁপেছিল পাকিস্তান। সে দেশের সিস্তান এবং বালুচিস্তানের ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। জানা গিয়েছে, ইরানের ফরদোয় এদিন যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণও ঘটে একই সময়ে। এর পরেই উঠে আসে ভারত-পাক সংঘাতের জেরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র অনুষঙ্গ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময়ও ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল পাকভূম। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।

    ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

    এদিকে, ইজরায়েল হল প্রথম দেশ, যারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফরদোয় হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফার হামলায় নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে ইউরেনিয়াম পরিবর্তন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়। ফরদোয় হামলা চালানো হয় পরে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে (Israel Iran Conflict)।

    সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে, নাতাঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন, যার মধ্যে রয়েছে এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। এ থেকে স্পষ্ট হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা। সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। কারণ সামরিক অভিযানের পাশাপাশি রহস্যময় ভূকম্পনও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলি পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র সময় দেখা ভূকম্পন ও সামরিক হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

    রবিবার ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কেন্দ্রে আঘাত হানার পর ইজরায়েল তাদের আক্রমণের পরিসরও বিস্তৃত করেছে (Operation Sindoor)। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তারা রাতারাতি ইরানের রাজধানীর ৮০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণকের সদর দফতর এবং এসপিএনডি নামে পরিচিত পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যালয়ও (Israel Iran Conflict)।

  • PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত তিনি সাইপ্রাস, কানাডা এবং ক্রোয়েশিয়া সফর করবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য—কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সাইপ্রাস ও ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা।

    প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন

    বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়া পৌঁছাবেন। এই দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডিসের আমন্ত্রণে এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতেও যোগদান করবেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে (Operation Sindoor), ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্কের উন্নয়ন ছাড়াও এই সফর ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন কানাডা

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন কানাডা। ১৬ ও ১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস শহরে আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে তিনি অংশ নেবেন। খালিস্তান-সংক্রান্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণেই তিনি সেদেশে যাচ্ছেন। দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠক থেকেই ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে।

    প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন

    ১৭ জুন কানাডা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) রওনা হবেন ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে। তিনিই হতে চলেছেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের সময় মোদি ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

  • PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তুরস্ককে ‘বেইমানি’র জবাব দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে প্রথম ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দূরে থাক, উল্টে ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নির্লজ্জভাবে মুসলমান রাষ্ট্র তুরস্ক আর এক ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়! অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করে ইসলামাবাদকে। যদিও তুরস্কের সেই সব ‘হাতিয়ার’কে মাঝ আকাশেই ছিন্নভিন্ন করে দেয় ‘বিকশিত ভারতে’র উন্নততর প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র।

    মোদির সাইপ্রাস তাস (PM Modi)

    আপাতত (Cyprus) যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে পাকিস্তানের বন্ধুদেশকে জব্দ করতে এবার ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। যে সাইপ্রাসের একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে তুরস্ক, সেই সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েই আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)-কে বার্তা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফেরা যাক খবরে। জি৭ সামিটে যোগ দিতে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জ্বালানি ভরতে তাঁর বিমান থামবে সাইপ্রাসে। সাইপ্রাস হল ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র। এর সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক পাক-বন্ধু তুরস্কের। ২৩ বছর পরে তৃতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে দেশে পা রাখছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এহেন কূট চালে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তুরস্ক। এর একটা কারণও আছে। কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে বরাবর সমর্থন করে এসেছে তুরস্ক। এই তুরস্কই অবৈধভাবে কব্জা করে রেখেছে সাইপ্রাসের একাংশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে পা রেখে তুরস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছে মোদির দেশ।

    সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব

    দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। দেশটির একদিকে রয়েছে তুরস্ক, অন্যদিকে গ্রিস। তাই সাইপ্রাস কব্জা করতে পারলেই কেল্লাফতে। কারণ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সাইপ্রাস থেকে। এখানে বসেই নজরদারি চালানো সম্ভব পশ্চিম এশিয়ার ইজরায়েল, লেবানন এবং সিরিয়ার ওপর। তাই সাইপ্রাসের ওপর শ্যেনদৃষ্টি তুরস্কের পাশাপাশি গ্রিসেরও। ১৯৬০ সালে (PM Modi) ব্রিটিশ জমানার অবসান শেষে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাইপ্রাস। তার পরেই তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করে গ্রিস। ১৯৭৪ সালে চরমপন্থীদের অভ্যুত্থানে রাতারাতি ক্ষমতাবদল হয় সাইপ্রাসে। এই অভ্যুত্থানে পূর্ণ সমর্থন জুগিয়েছে গ্রিসের জান্তা সরকার। এথেন্সের (গ্রিসের রাজধানী) এই আগ্রাসী মনোভাবে প্রমাদ গোনে তুরস্ক। তাই দেরি না করে ওই বছরেরই ২০ জুলাই সাইপ্রাস আক্রমণ করে তুরস্ক।

    সাইপ্রাসের একাংশ দখল করে তুরস্ক

    সদ্য স্বাধীন হওয়া সাইপ্রাসের পক্ষে এই আক্রমণের মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাইপ্রাসের এক তৃতীয়াংশ জমি দখল করে নেয় আঙ্কারা। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও সাইপ্রাসের দখল করা এলাকা থেকে সেনা সরায়নি তুরস্ক। এই এলাকার পোশাকি নাম টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাস। একে স্বশাসিত এলাকা বলে তুরস্ক। আঙ্কারার দখলে থাকা এই এলাকাকে স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। সাইপ্রাসও একে তুরস্কের অবৈধভাবে কব্জা করা এলাকা বলে মনে করে। তবে এলাকাটি তাদের বলেই দাবি করে তুরস্ক। তাদের দাবি, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্র অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। তাই এর ওপর একমাত্র অধিকার থাকা উচিত কেবল আঙ্কারারই (Cyprus)।

    আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইপ্রাস। কাশ্মীর ইস্যুতে তারা বরাবর পাশে রয়েছে ভারতের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই এবার সাইপ্রাসে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৬২ সালে সাইপ্রাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে নয়াদিল্লি। ১৯৮৩ সালে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাইপ্রাস সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী। ২০০২ সালে এই দ্বীপরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এবার সে দেশে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারত-সাইপ্রাসের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০০২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সাইপ্রাস থেকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক

    সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) সদস্য। আগামী বছরের গোড়ায় এই ইউনিয়নের সভাপতি হবে সাইপ্রাস। সেক্ষেত্রে ইইউ এবং ভারতের মধ্যে আরও মজবুত হতে পারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভারত সফরে আসেন সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “আধুনিক যুগে আমাদের সম্পর্কের শেকড় প্রাক-স্বাধীনতা যুগে পৌঁছায়, যখন আমাদের জাতির পিতারা সাইপ্রাসের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেছিলেন। আর সাইপ্রাসও সব সময়ই বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সম্পর্কের প্রতিদান দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত সব সময় সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৪ সালে ভারত দৃঢ়ভাবে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ভারত সাইপ্রাসে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য পাঠিয়েছে। ভারত থেকে তিনজন ফোর্স কমান্ডার এই দায়িত্ব পালন করেছেন (Cyprus), এবং এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তাদের সবাইকে সাইপ্রাসে আজও সস্নেহে স্মরণ করা হয় (PM Modi)।”

  • S Jaishankar: ‘প্রয়োজনে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকেই মারব’! সন্ত্রাস দমনে কঠোর ভারত, বুঝিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘প্রয়োজনে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকেই মারব’! সন্ত্রাস দমনে কঠোর ভারত, বুঝিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে ‘ভৌগোলিক সীমারেখায়’ বাঁধা থাকবে না ভারত। সন্ত্রাসবাদীরা যদি পাকিস্তানের গভীরে গিয়েও লুকিয়ে থাকে, তাহলেও প্রত্যাঘাত হবে। পাকিস্তান নয়, লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। আর সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য ভবিষ্যতে আরও প্রবল প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটতে পারে ভারত। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন এবং ভাইস প্রেসিডন্ট কাজা কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া

    সন্ত্রাস দমনে কোনও ভূমিকা না নেওয়ায় পাকিস্তানকে ফের সরাসরি আক্রমণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার ব্রাসেলস সফরে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডন্ট কাজা কাল্লাসের সঙ্গে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানকে ‘টেররিস্তান’ বলে আক্রমণ করেন জয়শঙ্কর। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব হিসেবে না দেখে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা উচিত। এ বিষয়টিকে ‘ভারত বনাম পাকিস্তান’ না ভেবে ‘ভারত বনাম সন্ত্রাসিস্তান’ হিসেবেই দেখা উচিত।’ এই মন্তব্য করে তিনি সরাসরি পাকিস্তানকে একটি ‘সন্ত্রাসপ্রেমী রাষ্ট্র’ বলে আখ্যা দেন এবং সন্ত্রাস ও পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলার আহ্বান জানান। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজন।’’ এর পাশাপাশি পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধের আহ্বান জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহনশীলতা থাকা উচিত নয়। এটাও অপরিহার্য যে আমরা কখনওই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলের কাছে নতি স্বীকার করি না। গোটা বিশ্ব এটি একটি চ্যালেঞ্জ, এবং এই বিষয়ে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া থাকা অপরিহার্য।’’

    পাকিস্তানের একদম ভিতরে ঢুকে আঘাত

    বিদেশমন্ত্রী মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘যদি সন্ত্রাসবাদীদের তরফে কোনও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করা হয়, তবে ভারত এর পর পাকিস্তানের একদম ভিতরে ঢুকে আঘাত হানবে।’’ গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর জবাবে ৭ মে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ন’টি সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোয় হামলা চালিয়েছিল। ইউরোপীয় কমিশনের দুই শীর্ষ আধিকারিকের কাছে জয়শঙ্কর সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আর এই ধরনের হামলা সহ্য করবে না। যদি এপ্রিলের মতো বর্বরতা আবার হয়, তাহলে তার কঠিন জবাব দেওয়া হবে। সেই জবাব হবে শুধু জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, জঙ্গি নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও।’ তিনি সাফ জানান, ভারতের জবাব ‘ভৌগোলিক সীমারেখায়’ বাঁধা থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘ওরা যদি পাকিস্তানের গভীরে গিয়েও লুকিয়ে থাকে, আমরাও গভীরে ঢুকেই আঘাত করব।’ ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার পুনর্ব্যক্ত তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায়, যদি তারা আমাদের জনগণের ক্ষতি করে থাকে, তাহলে আমদের অধিকার রয়েছে তাদের জবাব দেওয়ার।’’

    পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ সন্ত্রাস

    জয়শঙ্কর বলেন, ‘পাকিস্তান সেই রাষ্ট্র যারা রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে সন্ত্রাসকে ব্যবহার করে।’ প্রশ্ন আসে, তাহলে কি উত্তেজনার পেছনে থাকা কারণগুলো এখনও জিইয়ে রয়েছে? জয়শঙ্করের জবাব, ‘আপনি যদি সন্ত্রাসের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে সংঘাতের উৎস বলেন, তবে হ্যাঁ, সেটা এখনও আছে।’ ভারতের পাল্টা আক্রমণ নিয়েও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি জানান, ‘আমার মতে, রাফালের কার্যকারিতা হোক বা ভারতের সামরিক ক্ষমতার প্রমাণ, পাকিস্তানের যে আটটি মূল বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে, তা গুগল স্যাটেলাইট চিত্রেও স্পষ্ট।’ জয়শঙ্কর আরও জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। কিন্তু ভারতের সমস্যা হল পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রকাশ্যে ব্যবহার করে। তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপে সন্ত্রাসবাদ ঘটে, কিন্তু কোনও প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশ সন্ত্রাসবাদকে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করে না।’’

    ছ’দিনের ইউরোপ সফরে জয়শঙ্কর

    ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগে ৩৩টি দেশের রাজধানীতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়, যাঁরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদতের তথ্য সহ ভারতের সংযত কিন্তু দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে অবগত করেন। এর পরে সোমবার ছ’দিনের ইউরোপ সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ-সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নেরর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করাই এই সফরের লক্ষ্য। সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি জয়শঙ্কর-উরসুলা বৈঠকে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

  • Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালায় ভারত। এর ফলে, পাকিস্তানের এই অন্যতম বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তানের ওই বিমান ঘাঁটিটি আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন যে বিমান ঘাঁটিটি (Noor Khan Airbase) সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের ওই বিমান ঘাঁটিতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতিও নেই।

    আমেরিকার বিমান ওঠানামা করছে সেখানে! (Noor Khan Airbase)

    ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করছেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে প্রতিমুহূর্তেই আমেরিকার বিভিন্ন বিমান দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিমানের মধ্যে কী রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একটি ভিডিওয় ওই বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করেন যে, একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা।

    একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের (Pakistan) বিশেষজ্ঞের এমন দাবি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদেশে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডের চাকলালায় অবস্থিত হল এই নূর খান বিমান ঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি।

    ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরেও ফিল্ড মার্শাল মুনির

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Noor Khan Airbase) সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। ষাট বছর পরে একজন জেনারেলকে এই পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে প্রত্যাঘাত খাওয়ার পরে এমন এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এক্ষেত্র উল্লেখ করা দরকার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এটি একটি পদ যা অসাধারণ নেতৃত্ব এবং যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরে মুনির কী ধরনের কৃতিত্ব দেখালেন (Noor Khan Airbase)! সে প্রশ্ন উঠছে।

  • Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিয়েছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, এনিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরাপত্তা বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে ৩ জুলাই থেকে। এই যাত্রা চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। সূত্রের খবর, ৩ জুলাই পুণ্যার্থীদের প্রথম বাসটি ছাড়া হবে শ্রীনগর থেকে (Terror Threat)। একারণেই তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না সরকার। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন শিব’।

    সর্বক্ষণের নজরদারি (Amarnath Yatra)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, দিনকয়েক আগেই (Amarnath Yatra) গত ২৯ মে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অমরনাথের যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং তৈরি করে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, যাত্রাপথ, বেসক্যাম্প সহ সব ক’টি স্পর্শকাতর এলাকাতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেনা মোতায়েন থাকবে পুণ্যার্থীদের আবাসস্থলগুলিতেও। নজরদারির জন্য সর্বক্ষণ ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে (Terror Threat) বলে জানিয়েছে সেনা। এ ছাড়াও ব্যবহার করা হবে বডি স্ক্যানার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা।

    পহেলগাঁওয়ের পরে অপারেশন সিঁদুর

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত। ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহও তৈরি হয়। পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। পরে দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি হয়।

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

LinkedIn
Share