Tag: Operation Sindoor

  • Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা শুরুর আগেই উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন মহাদেব’ অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পাকিস্তানি জঙ্গির। অনুমান করা হচ্ছে, মৃত এই তিন জঙ্গি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল। যদিও এই বিষয়ে সেনার তরফে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    কী হয়েছিল

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শ্রীনগরের দাচিগাম জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। সেনার চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অপারেশন মহাদেব এখনও চলছে। যে এলাকার অন্তর্গত এই ঘটনাস্থল,তা দাচিগাম নামে পরিচিত। সেখানের লিদওয়াসে এই গুলির লড়াই চলছে। ঘটনার আগে, পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ-র এক যৌথ বাহিনী দাচিগাম ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে একটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেই যৌথ অপারেশনের সময়ই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ দুইপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যেহেতু এই গুলির লড়াই মহাদেব পর্বত এলাকায় চলছে সম্ভবত সেই কারণেই এই অপারেশনের নাম ‘অপারেশন মহাদেব’।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা

    প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। অনুমান করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে তিন পাক জঙ্গি যুক্ত ছিল বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মৃত ৩ জঙ্গি সেই পাক জঙ্গি দলের কেউ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে সেনা।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবং তৎপরবর্তী যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Conflict) নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের তরফে এই প্রথমবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানো হল।

    কীর্তি বর্ধন সিংয়ের বক্তব্য (Operation Sindoor)

    বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চালু করা হয়েছিল পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের একটি নৃশংস জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে।” তিনি জানান, ৭ মে চালু হওয়া এই অভিযানের অধীনে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে থাকা ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এর পর পাকিস্তান ভারতীয় সেনা চৌকি ও অসামরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। যদিও ভারতীয় বাহিনী দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চরম ক্ষতি করে।” মন্ত্রী জানান, ১০ মে পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএমও) ভারতের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ জানান। ওই দিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমনের প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দেন তিনি। ভারত কি পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভারত নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তুলে চলেছে। ভারতের এই চেষ্টার ফলে পাকিস্তান-ভিত্তিক একাধিক জঙ্গি ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর ধূসর তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দে

    তিনি জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই ঘটনাটিকে কঠোর (Operation Sindoor) ভাষায় নিন্দা করে। তারা দোষীদের জবাবদিহিও চায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) (লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন)-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত (India Pakistan Conflict) করেছে।পাকিস্তানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ভারত সমস্ত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই বিষয়ে ওয়াশিংটন ও অন্যান্য বৈশ্বিক পার্টনারদের সঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” এদিন সরকারের তরফে তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ভারতের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও।

    বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর

    কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “পাকিস্তান-স্পনসরর্ড সন্ত্রাসবাদীদের একটি বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর শুরু করা হয়েছিল। এই অভিযান সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করার দিকে নজর রেখেই করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অসামরিক এলাকাগুলির পাশাপাশি সামরিক বেসগুলিকেও টার্গেট (Operation Sindoor) করার চেষ্টা করেছিল।” এদিকে, সোমবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা হতে চলেছে সংসদে। আগামী ২৮ ও ২৯ জুলাই এই আলোচনা হওয়ার কথা। সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে। এই অধিবেশনের সময় বিশেষ আলোচনার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১৬ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে (India Pakistan Conflict)।

    বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এবং নিশিকান্ত দুবেও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন (Operation Sindoor)। রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা হবে ২৯ জুলাই মঙ্গলবার। এতে অংশ নেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্য মন্ত্রীরা। রাজ্যসভায়ও এই বিষয়ে আলোচনা হবে ১৬ ঘণ্টা ধরে। জানা গিয়েছে, সংসদের উভয় কক্ষে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে।

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী তাকিয়ে বিশ্ব

    বিরোধীদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু আদৌ প্রধানমন্ত্রী সেদিন সংসদে থাকবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকারই কথা। বুধবার চার দিনের ব্রিটেন ও মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ সফর সেরে তিনি যাতে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন, তা মাথায় রেখেই (India Pakistan Conflict) তৈরি করা হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার সূচি (Operation Sindoor)। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, ভাষণ দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সে ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “সংসদে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হলে গোটা দেশের নজর থাকবে তার ওপর। আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন মহলও সেই আলোচনার (India Pakistan Conflict) ওপর নজর রাখবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন (Operation Sindoor) প্রধানমন্ত্রী।”

  • Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    Monsoon Session 2025: অপারেশন সিঁদুর, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা, শক্তিশালী ভারত! বাদল অধিবেশনের আগে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনকে (Monsoon Session 2025) বিজয়োৎসব হিসেবে অভিহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন। সোমবার অধিবেশন শুরুতেই দেশবাসীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাদল অধিবেশন দেশের উন্নয়ন, নীতিনির্ধারণ ও জনকল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতির একটি সুযোগ। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল অপারেশন সিঁদুর থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার সাফল্য। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাদল অধিবেশন আমাদের কাছে বিজয়োৎসবের মতো। এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভারতের পতাকা উড়েছে, সেটা প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে গর্বের বিষয়। তাই প্রত্যেক সাংসদ একসুরে এই কীর্তির প্রশংসা করবেন।”

    অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য

    বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) শুরুতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুরে ১০০ শতাংশ সাফল্য এসেছে। ভারতীয় সেনার শক্তি দেখেছে গোটা বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ মিনিটে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে ঢুকে তাদের নির্মূল করেছে ভারতীয় সেনা। এটি আমাদের সামরিক দক্ষতার জ্বলন্ত উদাহরণ।” মোদি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস গণহত্যা হয়েছে তাতে গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছে। দলগত স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে রেখে জাতীয় স্বার্থে সব দলগুলি দেশের হয়ে বিশ্বের দরবারে আওয়াজ তুলেছে। তাঁরা সকলে মিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল প্রচার করে এসেছেন। আমি সেই সকল সাংসদদের ভূয়সী প্রশংসা করি। আমি সেইসব দলকেও এই কাজে সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বের কাছে এখন পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বন্দুক ও বোমার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে আমাদের সংবিধান।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আজ বিশ্বের নজর কাড়ছে।”

    বিরোধীদের জবাব

    এদিকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনে ঝড় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিরোধী ইন্ডি ব্লক। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রবিবার সর্বদল বৈঠকে জানিয়ে দেন, সংসদের বাদল অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর সহ মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত সরকার। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে কি না, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির জন্য ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন কি না, এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন বিরোধী শিবির থেকে উঠেছে বিগত সপ্তাহগুলিতে। এই আবহে রিজিজু বলেন, সরকার লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। বিরোধীদের ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার পার্লামেন্টে উপযুক্ত জবাব দেবে।’ এরপরই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরুতে বিরোধীদের অস্ত্রেই বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

    মহাকাশে উড়ল তেরঙ্গা

    অধিবেশনের (Monsoon Session 2025) আগে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ঐতিহাসিক যাত্রার উল্লেখ করেন। এই মহাকাশ অভিযানকে জাতীয় গর্বের উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) প্রথমবারের জন্য ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে ঐতিহাসিক সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “এটি শুধু গর্বের মুহূর্ত নয়, ভারতের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিরও প্রতিফলন।”

    বর্ষা মানেই উদ্ভাবন

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্ষা মানেই উদ্ভাবন এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই সময় আমাদের নতুন শক্তি ও নীতির জন্ম হয়। দেশে ভালো বর্ষা হচ্ছে যা কৃষক ও কৃষিক্ষেত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। গত ১০ বছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি জল সঞ্চয় হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করবে।” নকশালপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের অনেক জেলা নকশাল মুক্ত হয়েছে। যেখানে আগে বন্দুকের ভাষা চলত, আজ সেখানে সংবিধানের জয় হচ্ছে। রেড করিডোর আজ সবুজ সম্ভাবনার অঞ্চলে রূপান্তরিত হচ্ছে।”

    আর্থিক অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (Monsoon Session 2025) জানান, “২০১৪ সালের আগে ভারত ছিল বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতি, আর আজ তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ার পথে। দেশবাসী আমাদের উপর যে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল, তা আমরা পালন করেছি। ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে, এবং মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই কমে গিয়েছে।” সাংসদদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “এই অধিবেশন হোক এক সুরে দেশগৌরবের প্রশংসা গাওয়ার উপলক্ষ। এতে দেশের জনগণ অনুপ্রাণিত হবে এবং বিশ্ব বুঝবে ভারতের প্রকৃত শক্তি।”

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন শত্রু পাকিস্তানের বুকে আতঙ্ক ধরিয়েছে ভারতের ‘ব্রহ্মস’ (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এর আঘাতেই চোখের নিমেষে ধূলোয় মিশেছে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির অন্তত ন’টি বায়ুসেনা ঘাঁটি। ফলে লড়াই থামতেই দুনিয়ার অস্ত্রবাজারে তুঙ্গে উঠেছে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা। বিশ্বের সমীহ কুড়িয়ে নেওয়া সেই মারণাস্ত্র এবার দেশের রাজকোষ ভরাতে চলেছে। আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান গেয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের ১৪-১৫টি দেশ।

    লখনউ থেকে রফতানি হবে ব্রহ্মস

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই এক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে আমি লখনউয়ে ব্রহ্মস এয়ারস্পেস ইন্টিগ্রেশন ও পরীক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছি। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে আমাদের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ব্রহ্মসের তাণ্ডবলীলায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এই মিসাইলের মারণ ক্ষমতা দেখার পর ১৪-১৫টি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রের কেনার আর্জি জানিয়েছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এখন লখনউ থেকে রফতানি করা হবে। আমি বিশ্বাস করি এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। আমাদের লক্ষ্য এখানে আরও শিল্প আনা যাতে লখনউয়ের পাশাপাশি রাজ্যের উন্নতি হয়।”

    ব্রহ্মস-এর নামকরণ

    ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’। এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের দুই নদী বিখ্যাত নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা। ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদনকারী সংস্থা হল ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট মারণাস্ত্রটির প্রযু্ক্তি তৈরিতে রয়েছে ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন’ বা ডিআরডিও এবং রুশ প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    ব্রহ্মস-এর শ্রেণিবিভাগ

    বর্তমানে ভারত যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার চারটি শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। স্থল, রণতরী, যুদ্ধবিমান এবং ডুবোজাহাজ থেকে একে ছোড়া যায়। প্রথাগত বিস্ফোরকের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু হাতিয়ার বহনেও সমান ভাবে সক্ষম। এর গতিবেগ তিন ম্যাকের সামান্য বেশি। সূত্রের খবর, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪,৯০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে ‘ব্রহ্মস’। ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকে এই ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। এর পাল্লার রকমফের রয়েছে। প্রায় সাড়ে আট মিটার লম্বা ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। এক একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন তিন হাজার কেজি। মারণাস্ত্রটি হাইপারসনিক শ্রেণিতে বদলে গেলে এর পাল্লা বেড়ে দাঁড়াবে দেড় হাজার কিলোমিটার। ভারতীয় সেনা এবং নৌবাহিনী যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার। অন্য দিকে এ দেশের বিমানবাহিনীর হাতে থাকা এই হাতিয়ার ৪৫০-৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতের ব্যবহৃত ব্রহ্মস সামরিক ট্রাক, যুদ্ধবিমান, ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। তবে স্থলভূমি ও যুদ্ধজাহাজ থেকে যে ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করা হয় তার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪০০ কিমি। ডুবোজাহাজে যে ব্রহ্মস ব্যবহার হয় তার তুলনায় এই পাল্লা কিছুটা কম।

    ভারতের অস্ত্র মন কেড়েছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মস হল সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটা শুধু হাতিয়ার নয়, একটা বার্তা। শত্রুকে প্রতিহত করার বার্তা। বর্ডার সুরক্ষিত করার বার্তা।” এরপর এ দিন রাজনাথ প্রসঙ্গ তোলের এ পি জে আবদুল কালামের। মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব শক্তিশালীদের সম্মান করে। ভীতুদের নয়। আমাদের শক্তি বাড়াতে হবে। দেশ শক্তিশালী না হলে কেউ সম্মান করবে না। আর ভারত অন্য়তম শক্তিশালী দেশ।” তবে শুধু ব্রহ্মস নয়, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও একাধিক মারণাস্ত্র ও প্রযুক্তি মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের বহু দেশের। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের কমিউনিকেশন সিস্টেম, অফশোর টহল জাহাজ, স্করপিন সাবমেরিন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও গরুড় বন্দুকের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই পদক্ষেপে বিরাট সাফল্য পাবে কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প।

     

     

     

     

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডওয়্যার চিন থেকে আসে। অস্ত্রও চিনের (China)। চিন তার অস্ত্রগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে।’ অপারেশন সিঁদুরের পর পরই একটি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেছিলেন জেনারেল রাহুল আর সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত ভারতের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নয়াদিল্লি। তখন বন্ধু দেশ পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল বেজিং।

    ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান (China)

    তার পরেও ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী হয় শাহবাজ শরিফের দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে চিনের অস্ত্রশস্ত্রের কার্যকারিতা। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের গাথা (Rafale Fighter Jet)। ভারতের এই অপারেশনে রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর পর বিশ্বের অনেক দেশই রাফাল কেনায় আগ্রহ দেখায়। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে চিন। রাফালের ক্ষমতা খাটো করতে বিশ্বজুড়ে প্রচার করে চলেছে চিন। অন্তত এমনই অভিযোগ ফরাসি গোয়েন্দা দফতরের। ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের নাম ডিজিএসই। এদের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, চিন তার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসকে ব্যবহার করে ফ্রান্সে নির্মিত রাফাল যুদ্ধ বিমান বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। কেন চিন বদনাম করছে রাফালের? এরও উত্তর রয়েছে ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে।

    চিনা যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানোর কৌশল

    গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তাদের দেশে তৈরি যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে ফ্রান্সে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাফালের বদনাম করতেই চিন তার দূতাবাসগুলিকে ব্যবহার করে এমন প্রচার চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাফাল-সহ বহু ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বিক্রি, ভালো ব্যবসা আনে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ইন্ডিস্ট্রিতে। একই সঙ্গে এই রাফালের সূত্রেই ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ভারত তো বটেই, বিশ্বের বহু দেশই ফ্রান্সে তৈরি রাফাল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্রান্সের সেই বাজারেই এবার থাবা বসাতে চাইছে ড্রাগন।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি

    ফ্রান্সের গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান ভারতের রাফাল (Rafale Fighter Jet) যুদ্ধবিমান নামিয়ে দিয়েছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সামনে রেখেই বহু দেশ ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা (China) কৌশল। যদিও রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের দাবিতে শিলমোহর দেয়নি ভারত। অপারেশন সিঁদুর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী রাফাল ভূপাতিত হওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ক্ষয়ক্ষতি যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিরই অংশ”। তাঁর এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, তিনি পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত করেননি, আবার অস্বীকারও করেননি।

    ফের রাফাল কিনছে ভারত

    ফ্রান্সের কাছ থেকে আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০২৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলিই অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি ফের ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত। রাফালের (Rafale Fighter Jet) এই চাহিদা রুখতে মাঠে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। ইন্টেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়ে যে দেশগুলির সঙ্গে ফ্রান্সের কথাবার্তা এগোচ্ছে, সেই দেশগুলিকে রাফাল না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিনের প্রতিনিধিরা। রাফালের পরিবর্তে চিনা যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। রাফাল যে কোনও কাজের নয়, তা বোঝাতে চিন ভাঙা যুদ্ধবিমানের ভুয়ো ছবি এবং ভিডিও দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ (China)।

    চিনের দাবি ভুয়ো

    অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনটি রাফাল-সহ মোট ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন অবশ্য পাকিস্তানের ওই দাবি ঠিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। সংস্থাটির তরফে এও জানানো হয়, এই বিষয়ে ভারত তাদের কিছুই জানায়নি। তবে তিনটি রাফাল গুলি করে নামানোর দাবি সঠিক নয় বলে জানান সংস্থার সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ার। ফ্রান্সের ওই সংস্থার দাবি, পাকিস্তান যে ছবি নিয়ে রাফাল ধ্বংসের কথা বলছে, তা কারসাজি করা দৃশ্য। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। আর সেই খবর ছড়াতে হাজারটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, যা দিয়ে প্রচার করা হয় যে চিনা প্রযুক্তি বেশি উৎকৃষ্ট। ইন্টেল জানিয়েছে, চিনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মীরা অন্যান্য দেশের প্রতিপক্ষ এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসবই (Rafale Fighter Jet) বলে বেড়াচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের দাবি অস্বীকার করেছে চিন (China)।

  • S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কামাল দেখিয়েছে এস-৪০০ (S-400 in South India)। এই ‘সুদর্শন চক্রে’-ই ধ্বংস হয়েছে একের পর এক পাক ড্রোন। ভারতের মাটিতে পাক ড্রোনকে আঁচও কাটতে দেয়নি এই এস-৪০০। ভারতের ‘রক্ষাকবচ’ তথা ‘সুদর্শন চক্র’ হয়ে কাজ করেছে এটি। তাই উত্তরে ভারত-পাক সীমান্তের পর এবার দক্ষিণ ভারতের সুরক্ষাতেও এস-৪০০ বসাতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোট পাঁচটি এস-৪০০ পুতিনের দেশের থেকে কিনেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত তিনটি ডেলিভারি হয়েছে। বাকি আরও দু’টি। ওই দুটিও খুব শীঘ্রই দিল্লির হাতে তুলে দেবে মস্কো। এছাড়া, আরও ২ এস-৪০০ রেজিমেন্ট অতিরিক্ত কিনতে পারে ভারত, এমন খবরও ঘোরাফেরা করছে। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ ভারতের কেরলে একটি নতুন রেডার কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানেই একটি এস-৪০০ মোতায়েন করা হবে।

    এস-৪০০ এর গুরুত্ব

    রাশিয়ায় তৈরি এই ‘সুরক্ষাকবচ’ আধুনিক যুদ্ধে বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অন্তত ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারে ‘সুদর্শন চক্র’। ৩৮০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। এস-৪০০ রাশিয়ার তৈরি দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। যা অত্যাধুনিক রেডার ব্যবহার করে আকাশে হুমকি শনাক্ত এবং ট্র্যাক করে, তারপর তা ধ্বংস করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি একটি বহু-স্তরযুক্ত ব্যবস্থা যার বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা বিমান এবং ড্রোন থেকে শুরু করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত লক্ষ্যবস্তুকে কভার করে।

    কেন দক্ষিণ ভারতে প্রয়োজন এস-৪০০

    এদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনা কেরলের কোঝিকোড় জেলার চালিয়ামে একটি উন্নত রেডার কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। ৪০ একর জমির এই কেন্দ্রটি বেয়পুর বন্দরের নিকটে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক প্রকল্পের অংশ। এখানে এমন রেডার স্থাপন করা হবে যা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এটি আইএএফ-এর সার্বভারতীয় নজরদারি ব্যবস্থার (IACCS) সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাম্বানটোটা বন্দরসহ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ভারতের প্রতিরক্ষা জোরদার করার এই পরিকল্পনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ভারত মহাসাগরে চিনের তৎপরতা বৃদ্ধি

    ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক সেই সময় ভারত মহাসাগরে নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে চিন। সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সন্দেহজনক সামরিক গতিবিধি ভারতীয় গোয়েন্দা এবং প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রথমবার বসানো হচ্ছে এক অত্যাধুনিক এবং উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন রেডার। যার মাধ্যমে নজর রাখা যাবে চিনা উপস্থিতির উপর। কেরলের কোঝিকোড় জেলার বেপোর সংলগ্ন চালিয়ামে ভারতীয় বায়ুসেনা এই শক্তিশালী রেডারটি স্থাপন করেছে। এর ফলে গ্বদর (পাকিস্তান) এবং হাম্বানোটাটা (শ্রীলঙ্কা) বন্দরের উপরে সরাসরি নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। জানা গিয়েছে, চিন ইতিমধ্যেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরকে ৯৯ বছরের জন্য লিজে নিয়ে সেখানে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং গুপ্তচর জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে, যা ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’-এর আড়ালে একটি সুপরিকল্পিত সামরিক তৎপরতা বলে মনে করছে ভারত।

    এস-৪০০-এ ভরসা ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের সময় এস-৪০০ মোতায়েনের ফলে ভারতের কোনও ক্ষতি না করেই কার্যকরভাবে পাক হুমকির সফল মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশা, ভবিষ্যতের আকাশ হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে এস-৪০০ (S-400 in South India)। ভারতের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এর সামরিক সম্পদ এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এস-৪০০-তে জ্যামিং প্রযুক্তিকে ঠেকানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। লক্ষ্যে আঘাত হানতে ছোট রেডার প্রযুক্তি রয়েছে। একটি কমান্ড এবং একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রয়েছে। ভারত, রাশিয়া, চিন, তুরস্ক, বেলারুসের মতো দেশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে। চিন এবং পাকিস্তানকে ঠেকাতে রাশিয়ার থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি কেনে ভারত। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর সেই মতো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সবমিলিয়ে খরচ পড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    চিনকে মাত দিতে ভারতের চাল

    চিনের যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের রেডার নেটওয়ার্ককে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—সত্যিই কি এস-৪০০ রেজিমেন্টগুলোর একটি কেরলে মোতায়েন করা হবে? যদি তাই হয়, তবে এটি চালিয়ামের প্রস্তাবিত রেডার কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভারতের আকাশ ও সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

  • Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর ছিল তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত। পাকিস্তানের খুঁটিনাটি তাঁর নখদর্পণে। ভারতের ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ বা র (R&AW) -এর পরবর্তী প্রধান হলেন ১৯৮৯-র ব্যাচের আইপিএস অফিসার পরাগ জৈন (Parag Jain)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি তাঁকে ‘র’ প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছে। এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় এই গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ছিলেন রবি সিং। মঙ্গলবার, ১ জুলাই থেকে টানা দুবছর এই নতুন দায়িত্ব সামলাবেন পরাগ।

    অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন তিনি ছিলেন ‘অ্যাভিয়েশন রিসার্চ সেন্টার’-এর প্রধান পদে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর মোদি সরকার পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাতের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু একদেশ থেকে আরেক দেশে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে প্রাণঘাতী আক্রমণ শানানোর মতো কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। সেই কঠিন কাজটি সহজ করে দিয়েছিলেন এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। তাঁর দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় বায়ুসেনা বিভাগ পাক পাঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে লক্ষ্যভেদী হামলা চালায়। পাকিস্তানের মাটি থেকে শুরু করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তার দেখানো পথেই পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ভারতীয় সেনা।

    পাকিস্তান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান

    জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত অভিজ্ঞতা রয়েছে পরাগ জৈনের (Parag Jain)। ‘র’-এর অন্দরে ‘পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পরিচিতি পরাগ। পূর্বে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস দমন অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার অপারেশন বালাকোটের সময় কাশ্মীর উপত্যকাতেই ছিলেন পরাগ। দেশের গোয়েন্দা মহলে পরাগকে ‘সুপার স্লিউথ’ বলে ডাকা হয়। পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁর তথ্যভাণ্ডার অনেক গুপ্তচরেরই ঈর্ষার কারণ। হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স-এর সঙ্গে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর সমন্বয়ের জন্য তাঁর খ্যাতি রয়েছে গোয়েন্দা মহলে। এর আগে তিনি পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি-র দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    দক্ষ অফিসার হিসেবে প্রসিদ্ধ

    পাঞ্জাব ক্যাডারের আইপিএস পরাগ জৈন। ক্যারিয়রের শুরু দিকে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা, হোশিয়ারপুর, মানসা এলাকায় পোস্টিং ছিল এই আইপিএস অফিসারের। খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসের মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। পরবর্তীকালে লুধিয়ানার ডিআইজি থাকাকালীন পাঞ্জাবে মাদক পাচার চক্র দমনেও দক্ষতার পরিচয় দেন এই আইপিএস অফিসার। তবে এবার সেখান থেকে উঠে এসে তার ওপর আরও বড় দায়িত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরণের আপোষ করা হবে না। সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই পথেই করা হল পদক্ষেপ।

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

LinkedIn
Share