Tag: Operation Sindoor

  • Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা ভীত-সন্ত্রস্ত কুকুর যেমন লেজ গুটিয়ে নেয়, পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতি চেয়ে সেভাবেই ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। একথা বললেন পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন (Michael Rubin)। বর্তমানে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা। এটা তারা অস্বীকার করতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক সবদিক থেকেই বিজয়ী হয়েছে।’’ তাঁকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ৭ মে ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) তিনি কী চোখে দেখেন? তখন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই জিতেছে এই যুদ্ধ। ভারতের কূটনৈতিক জয় এটা এই কারণেই যে সারা বিশ্বের এখন দৃষ্টি রয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা এদিকেই।’’

    পাকিস্তানে জঙ্গি-আইএসআই-সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, মত রুবিনের

    এরপর তিনি (Michael Rubin) এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের জঙ্গি, আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এখন সারা বিশ্ব দাবি জানাচ্ছে, পাকিস্তান যেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে সন্ত্রাসকে বাদ দেয়। একটা জিনিস আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, তা হল ভারতের সঙ্গে প্রতিটা যুদ্ধ পাকিস্তানই শুরু করে।’’

    পাকিস্তান শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে

    পেন্টাগণের এই প্রাক্তন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান যখন পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত তা রুখে দেয় এবং প্রত্যাঘাত করে। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিকে ভারত অকেজো করে দিতে সক্ষম হয়। এই সময়েই পাকিস্তান একটি ভীত কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য ছুটতে শুরু করে। তার কারণ হল ভারতের এমন প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ করার মত কিছুই ছিল না। তারা কেবল শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে (Operation Sindoor)।’’ এখন প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তান কী করবে! তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সমস্যা রয়েছে। বিতর্ক রয়েছে। তাদের সেনা প্রধান আসিফ মুনিরকে নিয়েও সমস্যা কম নয়!’’

    কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে (Operation Sindoor) নিজের কৃতিত্ব দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়েই মাইকেল রুবিন বলেন, ‘‘কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস। তাঁর কাছে ডানতে চাওয়া হলে, তিনি ইন্টারনেট আবিষ্কারেরও কৃতিত্ব নেবেন। তিনি বলে দিতে পারেন বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনিই। আবার তিনি ক্যান্সার নিরাময় করতেও সক্ষম, এমন দাবিও করে দিতে পারেন।’’ এ নিয়েই প্রাক্তন মার্কিন আমলার বক্তব্য যে, ভারতীয়রা ট্রাম্পকে যেন আক্ষরিক অর্থে কোনও গুরুত্ব না দেয়।

    ভারত-পাক উত্তেজনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে

    একইসঙ্গে রুবিন ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে (Operation Sindoor) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ যাতে না হয়, সেইই কারণে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হল অবাধ যুদ্ধ রোধ করা এবং যেকোনও ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধকে আটকানো। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবিষয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ– দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে, এটাই স্বাভাবিক।’’

    অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানের ফলে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা যায়। ভারতের এমন অভিযানের পরেই পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সেসব কিছুকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ভারত পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে রেডার পরিকাঠামো, বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি হয়।

  • BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের ১৬টি জায়গায় হামলার চেষ্টা চালায় পাক সেনা। এর প্রত্যাঘাত হিসেবে ১০ মে ভোররাতে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আকাশপথে পিন-পয়েন্ট অভিযান চালায় ভারত (Operation Sindoor)। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, সারগোধা এবং চুনিয়ান বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এয়ারবেস এবং সিয়ালকোট ও পারসুরে অবস্থিত রেডার স্টেশনেও।

    প্রথমবার লড়াইতেই বাজিমাত ব্রহ্মোসের

    একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কার্দু থেকে শুরু করে ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার এয়ারবেসগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনগুলিতে এও দাবি করা হয়, ওই ক্ষতির নেপথ্যে ছিল নাকি ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile)। সেখানে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। যদিও, ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলসা করা হয়নি। কিন্তু, ১১ তারিখ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি জানান, ব্রহ্মোসের ক্ষমতা টের পেয়েছে পাকিস্তান। এর পরই, একাধিক সংবাদমাধ্যমে জোরালো হতে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ সাফল্যের নেপথ্যে ব্রহ্মোসের ভূমিকার কথা।

    আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস

    পাকিস্তানে মোতায়েন চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এইচকিউ-০৯’ এবং ‘এইচকিউ-১৬’ ব্রহ্মোসের উপস্থিতি টেরই পায়নি। যদিও এই প্রথম নয়। মিয়াঁ চান্নুর কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। ২০২২ সালে ভারতের ব্রহ্মোস ভুলবশতঃ পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ভারত জানিয়েছিল, ওটা ‘মিসফায়ার’ হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমার ভিতরে মিসাইলটি প্রায় দেড় মিনিট ছিল। কিন্তু, ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কোনও মিসফায়ার নয়। উল্টে এটা ছিল একেবারে ক্যালকুলেটেড, প্রিশিসন স্ট্রাইক। নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই আঘাত। যাতে সম্পূর্ণ সফল ভারতের ব্রহ্মোস। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে একদিকে বিশ্বে চিনা প্রতিরক্ষা সিস্টেমের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেমন বিশ্বে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছে। তেমন উল্টোদিকে, এখন তামাম বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভারতের ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। চিনা এয়ার ডিফেন্সকে ভূপতিত করে রাতারাতি জায়ান্ট-কিলার হয়ে উঠে এসেছে ভারত-রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় তৈরি এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এতদিন বিশ্ববাসী শুধু ব্রহ্মোসের গুণগান শুনেছিল। এবার প্রথমবার তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করল। আর হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এও বলা হচ্ছে, ব্রহ্মোসে ঘায়েল হয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুঝে যান, ভারতকে রোখা অসম্ভব। আর কোনও উপায় নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউস নিবাসীকে ফোন করেন।

    ১৭টি দেশ কিনতে চায় ব্রহ্মোস

    ব্রহ্মোস নিয়ে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ মেতে উঠেছে, তা নিছক কল্পনা নয়, ঘোর বাস্তব। এর প্রমাণ মিলতে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশ ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা সকলেই ব্রহ্মোসকে ঘরে তুলতে চায়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এদের অনেককেই চিনের মোকাবিলা করতে হয়। ফলে, বিশ্বে স্পষ্ট বার্তা চলে গিয়েছে— চিনের মোকাবিলা করতে একমাত্র ভরসা ভারত, মায় ভারতের ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের মতো দেশকে ৩৭.৫ কোটি ডলারে ব্রহ্মোস বিক্রি করেছে ভারত। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আফ্রিকা থেকে লাতিন আমেরিকা— সকলেই ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে বিপুল উৎসাহ প্রকাশ করেছে। কে নেই সেই তালিকায়— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, মিশর, সৌদি আরব, আমিরশাহি, কাতার, ওমান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও বুলেগেরিয়া।

    উপসাগরীয় যুদ্ধ দেখায় প্রয়োজনীয়তা

    তবে, ব্রহ্মোসের এই বিশ্ব-জয় একদিনে আসেনি। আজকের এই সাফল্য ভারতের দুই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার চিন্তাভাবনা এবং কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile) ভাবনার পত্তন হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সে বছর শুরু হয় ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নেতৃত্বে এই প্রোগ্রাম চলাকালীন, ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা পৃথ্বী এবং অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছিলেন, যা বর্তমানে দেশের পারমাণবিক-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় অবদান রাখে। তবে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাশাপাশি অস্ত্রাগারে ক্রুজ মিসাইল থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ভারতীয় নৌসেনা এই প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল। ভারত মহাসাগীয় অঞ্চলে সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য অর্জন করা ভারতের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল। সেই সময়ে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাকে পাখির চোখ করেছিল, অবশ্যই তৎকালীন জোটনিরপেক্ষ নীতির সুক্ষ্ম ভারসাম্যকে ভেঙে না ফেলে।

    বাজপেয়ী-কালামের মানসপুত্র ব্রহ্মোস

    অতঃপর, ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ভারত ও রাশিয়ার সরকার যৌথ সংস্থা ব্রহ্মোস প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রহ্মোস হল দুই দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোর নামের প্রাথমিক অক্ষরের সংমিশ্রণ। রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ত্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) মধ্যে একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য একটি সমবায় সংস্থা গঠন হয় এবং ব্রহ্মোস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড (বিএপিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ব্রহ্মোস (BrahMos Missile) প্রকল্পের জন্য প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী ডঃ এপিজে আবদুল কালাম, যিনি তখন ডিআরডিও-র দায়িত্বে ছিলেন।

    ২০০১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    সেই সময় এই সংস্থার মূলধন হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদিত হয়েছিল, যার বর্তমান মূল্য ২,১৩৫ কোটি টাকারও বেশি। গবেষণার জন্য অনুমোদিত অর্থের ৫০.৫ শতাংশ ভারত থেকে এসেছিল, বাকি ৪৯.৫ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। অর্থাৎ, রুশ এবং ভারত সরকার যথাক্রমে ১২.৩৭৫ কোটি ডলার এবং ১২.৬২৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়। প্রকল্পটি সেই বছরই একাধিক ডিআরডিও এবং এনপিওএম ল্যাবে শুরু হয়েছিল। ঠিক ২ বছর পর, ২০০১ সালের ১২ জুন, প্রথমবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile)। ওড়িশার চাঁদিপুরের মিসাইল টেস্ট রেঞ্জের একটি ফিক্সড লঞ্চার থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেই বছরের অগাস্ট মাসে মস্কোর আন্তর্জাতিক এভিয়েশন শোয়ে আত্মপ্রকাশ করে ব্রহ্মোস। আরও ২ বছর পর, ২০০৩ সালে বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নৌ-সংস্করণের প্রথম পরীক্ষা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৪ সালে, মোবাইল গ্রাউন্ড লঞ্চার থেকে প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্মোস।

    আর ফিরে তাকাতে হয়নি…

    ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Missile) প্রথম অর্ডার দিয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আইএনএস রণবীর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে উল্লম্বভাবে (ভার্টিক্যাল লঞ্চ) উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ব্রহ্মোসকে। ২০০৫ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে, ২০০৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবং ২০১২ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য (এয়ার-লঞ্চ) সংস্করণটি অন্তর্ভুক্ত হয় বায়ুসেনায়।

  • India Pakistan War: ‘‘পাকিস্তান একে এখনও জয় বলবে?’’ ইসলামাবাদের দাবি খারিজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের

    India Pakistan War: ‘‘পাকিস্তান একে এখনও জয় বলবে?’’ ইসলামাবাদের দাবি খারিজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। তারই পাল্টা হিসেবে কৌশলগত সামরিক অভিযান অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। একশো জঙ্গি নিকেশ করা হয়। বে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চারদিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan War) সীমান্ত সংঘর্ষ ঘিরে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কে ‘জিতল’ ভারত-পাক সংঘাত? উল্লেখ্য, সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই পাকিস্তানে উল্লাসের আমেজ। এমনকী জয় ঘোষণা করে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। তবে এবার স্যাটেলাইট ছবি তুলে ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করেছে ভারত, তার ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান যে দাবি করছে, তার কোনও স্যাটেলাইট চিত্র নেই। এরপরই বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইসলামাবাদ যা দাবি করছে, তার অধিকাংশই ভুয়ো।

    উপগ্রহ চিত্রের বিশ্লেষণ

    নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক সাংবাদিক টুইটে উপহাসের সুরে লেখেন, “ভারতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না করে পাকিস্তান কি এখনও একে জয় বলবে?” মার্কিন সংবাদমাধ্যমের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ভারতীয় বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হলেও, পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন স্থানে তাদের হামলার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ যেসব আক্রমণের দাবি করেছেন, সেগুলির অনেকটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অপ্রমাণিত ফুটেজের উপর ভিত্তি করে। এমনকি পাকিস্তান (India Pakistan War) দাবি করেছিল তারা আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে, যা উপগ্রহ চিত্রে প্রমাণিত হয়নি। বরং, ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিক এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের বহু ড্রোন এবং বিমান আক্রমণ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, কোনও সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।” যার প্রমাণ মিলেছে উপগ্রহ চিত্রে।

    আকাশপথে হানা ও অসামরিক উড়ান ব্যাহত

    ভারতের (India Pakistan War) একাধিক শহর – জম্মু, উধমপুর, পাঠানকোট, অমৃতসর, ভাতিন্ডা, জয়সলমীর সহ ১২টিরও বেশি অঞ্চলে ব্ল্যাক আউট ঘোষণা করা হয় ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের হানার আশঙ্কায়। মে ৭ থেকে মে ১০ পর্যন্ত ওই অঞ্চলে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। ২০০-র বেশি অভ্যন্তরীণ উড়ান বাতিল ও একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের হামলায় সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। কিন্তু সন্ত্রাস দমনের জন্যেই লড়ছে ভারত। জঙ্গিদের খতম করার জন্যেই করা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। কোনও নির্দিষ্ট দেশের সেনা বা জনবসতি লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও আক্রমণ করেনি। তবে, সামরিক ঘাঁটি ও জনবসতি এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তান আক্রমণ করার কারণে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না ভারতীয় সেনা বাহিনী। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, নির্দিষ্ট কিছু পাকিস্তানি এয়ারফিল্ড উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। যার স্যাটেলাইট চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘যুদ্ধের আগে ও পরে উচ্চ রেজুলেশনের স্যাটেলাইট চিত্রে ভারতীয় হামলায় পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোর ‘স্পষ্ট ক্ষতি’ দেখা গিয়েছে।’’ ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘‘স্যাটেলাইট চিত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে ভারতের হামলা ব্যাপক ছিল। ভারতের হামলায় বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের সামরিক কেন্দ্রগুলোতে। হাই-টেক যুদ্ধের নতুন যুগে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে আক্রমণ চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। স্যাটেলাইট চিত্রে তারই প্রমাণ মিলেছে।’’

    পাকিস্তানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট কোনও চিত্র নেই

    ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘দ্বিতীয় দফার লড়াইয়ে প্রতীকী হামলা ও শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে একে অপরের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলির ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল ভারত ও পাকিস্তান। এই আবহে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা ও বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ভারত স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানের করাচি বন্দরের কাছে ভোলারি বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়েছেন।’’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের দাবি অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ভোলারি সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া, নূর খান বিমান ঘাঁটিকেও নিশানা করেছিল ভারত। নূর খান বিমান ঘাঁটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের তত্ত্বাবধান ও সুরক্ষা ইউনিটেরও কাছেই অবস্থিত।’’ ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা পাকিস্তানের কয়েকটি প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়েকে নিশানা করেছিল। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেই দাবি অনুযায়ী উপগ্রহ চিত্রে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট। এদিকে ১০ মে রহিম ইয়ার খান বিমানবন্দরে রানওয়ে চালু না থাকার কথা জানিয়ে নোটিশও জারি করেছিল পাকিস্তান। এছাড়া পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সারগোধা বিমানবন্দরের রানওয়ের দুটি অংশে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘যেসব জায়গায় পাকিস্তান (India Pakistan War) আঘাত হেনেছে বলে দাবি করা হয়েছে সেসব স্থানের স্যাটেলাইট ইমেজে সীমিত এবং পাকিস্তানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট কোনও চিত্র এখনও দেখা যায়নি।’’

  • Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২৩ মিনিটেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) সফল করতে সক্ষম হয়েছে। বুধবারই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবিষয়ে জানিয়েছে। পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করেই এই হামলা চালিয়েছে ভারত। এই ভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অভিযানে ভারতের কোনও সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়নি।

    কী বলা হল প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিবৃতিতে?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে (Operation Sindoor) বলা হয়েছে, ‘‘অপারেশন সিঁদুরে পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুকের মতো যুদ্ধ-প্রমাণিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ব্যাট্‌ল প্রোভেন এডি) ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবহৃত হয়েছে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র। ‘আকাশ’ একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, যা সংবেদনশীল এলাকাগুলিকে আকাশপথে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থলবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার সম্মিলিত সম্পদের মাধ্যমে গঠিত, যা দেশের আকাশে অভেদ্য দেওয়াল তৈরি করে দিয়েছিল। পাকিস্তান এর ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।’’

    দেশের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রুখে দেয় পাক হামলার প্রচেষ্টা

    প্রসঙ্গত, ৭ এবং ৮ মে রাতে পাকিস্তান ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র (Operation Sindoor) ব্যবহার করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ সহ বেশ কয়েকটি শহরে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। ভারতের (India) উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এগুলিকে অকেজো করে দেয়।

    ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ বা আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালায় ভারত

    ভারত (India) প্রত্যাঘাত চালানোর জন্য নিশানা করে পাকিস্তানের নূর খান এবং রহিমইয়ার খান বায়ুসেনা ঘাঁটিকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Operation Sindoor) জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলিতে হামলার জন্য ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ এক ধরনের আত্মঘাতী বা কামিকাজে ড্রোন, যা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছায়। এরপর আকাশে বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে বেড়ায়। তারপরেই হামলার উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে এবং আঘাত হানে।

    কোনও হামলাতেই ভারতের কোনও সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘কোনও হামলাতেই (Operation Sindoor) ভারতের সম্পত্তি ধ্বংস হয়নি। আমাদের প্রযুক্তি, পরিকল্পনা এবং নজরদারির কার্যকারিতা এর থেকেই প্রমাণিত হয়। ভারতের বায়ুসেনা চিনের দেওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা পাশ কাটিয়েছে এবং অকেজো করে দিয়েছে। সমগ্র মিশন ২৩ মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এর থেকে প্রমাণিত হয়।’’

    চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

    একইসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রমাণ সহ তুলে ধরেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাকিস্তানের হামলার চেষ্টার পরেই ভারতের মাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিনে তৈরি পিএল-১৫ মিসাইলের টুকরো। একইসঙ্গে তুরস্কের ইউএভি ‘ইহা’ এবং একাধিক রকেটও উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে কোয়াডকপ্টার ও ড্রোনেরও। এগুলি পাকিস্তান থেকে ছোড়া হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান যে প্রত্যাঘাতের চেষ্টা চালাবে তা আগেই আন্দাজ করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই অনুযায়ীই বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল সমস্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম। ভারতের সীমান্তের আকাশজুড়ে তৈরি ছিল ‘কাউন্টার আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’, ‘শোল্ডার-ফায়ার্‌ড অস্ত্র, লিগ্যাসি এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র এবং মডার্ন এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র। এমন বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।

    সাহায্য করেছে ইসরোর উপগ্রহ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একথাও নিজেদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরোর ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ অনবরত কাজ করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে সফল করতে। তাদের সাহায্যেই সমুদ্র ও ভারতের বিস্তীর্ণ উত্তর ভাগে নজরদারি চালানো হয়।

    আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ হিসেবে, পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুক এর মতো যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এর ফলেই ভারত রুখে দেয় পাকিস্তানের বিমান, ড্রোন ও মিসাইল হামলা। আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এতেই কুপোকাত হয় পাকিস্তানের হামলার প্রচেষ্টা। প্রসঙ্গত, আকাশ হল একটি স্বল্প-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। বিমান হামলা থেকে স্থানগুলিকে রক্ষা করে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এতে ইলেকট্রনিক কাউন্টার-কাউন্টার মেজারস (ECCM) বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার! চিন-তুরস্কের সোশ্যাল হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করল ভারত, কোপ বাংলাদেশের ৬টিতেও

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার! চিন-তুরস্কের সোশ্যাল হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করল ভারত, কোপ বাংলাদেশের ৬টিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার চিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক করল ভারত। ভারতীয় সেনা এবং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে, চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস (Global Times) এবং শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার এক্স হ্যান্ডেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। এর আগেও বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে গ্লোবাল টাইমস-কে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, ভুল তথ্য ছড়ানোর আগে যাচাই করে নিতে। বেশকিছু পাকিস্তান সমর্থিত প্রচারমাধ্যম লাগাতার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জনগনের সামনে ভুল তথ্য পরিবেশন করছে এবং জনমানসে ভুল ধারণা তৈরি করছে বলে অভিযোগ। চিনের প্রচারমাধ্যমের সঙ্গেই তুরস্কের প্রচারমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড-এর এক্স হ্যান্ডেলও নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে।

    কেন নিষিদ্ধ

    ‘গ্লোবাল টাইমস’ ভারতীয় সেনার অভিযান ‘অপরেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন ভারতীয় নাগরিককে হত্যার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলা নিয়েই চিনা মিডিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ করেছে দিল্লি। ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর মতোই অভিযুক্ত সংবাদসংস্থা ‘শিনহুয়া’র এক্স হ্যান্ডল। সেটিকেও ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    চিনের ‘ইগো হার্ট’ 

    চলতি সপ্তাহের শুরুতে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস নিন্দা করেছিল গ্লোবাল টাইমসের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। পাশাপাশি তাদের সম্প্রচার নিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল। দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, “প্রিয় গ্লোবালটাইমস আমাদের সুপারিশ হল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করার আগে তথ্য যাচাই করুন এবং তথ্যের উৎসগুলি যাচাই করুন।” পাশাপাশি দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডেলে আরও জানানো হয়, পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল একাধিক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ভারতীয় বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত ভিত্তিহীন দাবি প্রচার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্বের কথা এখন আট থেকে আশি সকলেরই জানা। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে একাধিক চিনা অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। তবে সেসবই ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তাতেই চিনের ‘ইগো হার্ট’ হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তাই এমন প্রচার বলে মনে করা হচ্ছে।

    নিষিদ্ধ বাংলাদেশের ৬টি ইউটিউব চ্যানেল

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরোধে ভারতে ছয়টি বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলও নিষিদ্ধ করেছে ইউচিউব। সেগুলি হল— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেল। সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচারও ভারত থেকে বন্ধ করা হয়েছে। চ্যালেনগুলি ওপেন করা হলে বলা হচ্ছে, ভারতে এগুলি দেখা যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার উদ্দেশে প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের বহু অভিনেতা ও নেটপ্রভাবীদের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে ব্লক করা হয়।

  • Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস, নিহত ৫০

    Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস, নিহত ৫০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে এবং সন্ত্রাস দমনে পাক-ভূমে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালায় ভারত। সাধারণ পাকিস্তানিদের কথা মাথায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে টার্গেট চিহ্নিত করে অপারেশন চালানো হয়েছে। খতম হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি। তবে এরপরই জঙ্গিদের হয়ে হাতিয়ার ধরে পাকিস্তানের সেনা। তারা ক্রমাগত সীমান্তে জনবসতি ও সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে। ভারতীয় আকাশসীমার অভ্যন্তরে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান প্রবেশ করায় পাকিস্তান। ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে। বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা হলেও সেগুলির মধ্যে বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়। কিছু আছড়ে পড়লেও সেগুলিতে বড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। এরপরই বাধ্য হয়ে পাক সেনা পরিকাঠামোয় হামলা চালায় ভারত, সেই হামলায় ৫০ জন পাকিস্তানি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয় পাকিস্তানের একের পর এক বায়ুসেনা ও সামরিক ঘাঁটি। পাকিস্তানের ১২টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটিতে ভারতের নির্ভুল স্ট্রাইক চালানোর ফলে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রায় ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

    ক্ষতি, মানল পাকিস্তান

    ভারতের প্রত্যাঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। প্রয়োজনীয় নথি, ছবি এবং উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তা পরিষ্কার করেছে ভারত। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে তাদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে, এমনটা প্রথমে মানতে চায়নি পাকিস্তান। কিন্তু ক্ষতির বহর এতটাই বেশি যে, শেষ পর্যন্ত ঢোঁক গিলেও মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের সেনা। পাক সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, অন্তত ১১ জন সেনা ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। পাকিস্তান সেনা ও বায়ুসেনার অন্তত ৭৮ জন জওয়ান আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের বায়ুসেনার ৫ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের নাম স্কোয়া়ড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান ঔরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুখ এবং সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির। ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক সেনার ৬ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম, নায়েক আব্দুল রহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইক্রামুল্লা, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাই মুহাম্মদ আদিল আকবর এবং সিপাই নিসার।

    কী কী ধ্বংস করা হয়েছে, জানাল ভারত

    তবে পাকিস্তান যাই বলুক ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, এই সংঘর্ষে পাকিস্তানের ৫০ জন সেনা নিহত হয়েছে এবং ভারত তার লক্ষ্য পূরণে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “পাকিস্তান যদি ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহস দেখায়, তবে তাকে তার জন্যও চরম মূল্য দিতে হবে।” তিনি জানান, সামরিক ঘাঁটি ও জনবসতি এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তান আক্রমণ করার কারণে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না ভারতীয় সেনা বাহিনী। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, নির্দিষ্ট কিছু পাকিস্তানি ডিফেন্স সিস্টেমের ঘাঁটি, এয়ারফিল্ড উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। তিনি জানান, এই আক্রমণের কারণে পাকিস্তানের এয়ারফোর্সের ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বেশ কয়েকটি এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। উল্লেখযোগ্যভাবে, সারগোধা এবং ভোলারি বিমান ঘাঁটি এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল। ভোলারি এয়ার বেসে চালানো হামলায় স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফসহ চারজন পাক বায়ুসেনা নিহত হন। সূত্র মতে, এই আক্রমণে একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনা ৯০ মিনিটের মধ্যে ১২টি ঘাঁটিতে হামলা করেছে। যার মধ্যে অন্যতম —

    ১) পাসরুর এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ২) চুনিয়া এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ৩) আরিফওয়ালা এয়ার ডিফেন্স রেডার স্টেশন
    ৪) সারগোদা এয়ার ফিল্ড (পাকিস্তানি সেনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এয়ারফিল্ড)
    ৫) রহিম ইয়ার খান এয়ারফিল্ড
    ৬) চাকলালা এয়ারফিল্ড
    ৭) সাক্কার এয়ারফিল্ড
    ৮) ভোলারি এয়ারফিল্ড
    ৯) জাকোবাবাদ এয়ারফিল্ড

    ভারতের সংযম প্রদর্শন

    এই প্রতিআক্রমণের অংশ হিসেবে ভারত চুনিয়ান, সিয়ালকোট, পাসরুর, মুরিদ (চকওয়াল), নূর খান (চাকলালা), রফিকি (শোরকোট), সুক্কুর, সারগোধা, স্কার্দু, ভোলারি ও জ্যাকবাবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি এবং গোলাবারুদের গুদাম লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এয়ার মার্শাল একে ভারতী বলেন, “আমরা নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানের কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করেছি, তবে সংখ্যাটি অনুমান করা কঠিন, কারণ তারা আমাদের সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।” তিনি যোগ করেন, “আমরা আমাদের সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করেছি এবং আমাদের সমস্ত পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এ পর্যন্ত অত্যন্ত সংযম প্রদর্শন করেছি। আমাদের পদক্ষেপ ছিল নির্দিষ্ট, পরিমিত এবং উত্তেজনাবর্জিত। কিন্তু ভারতের সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখণ্ডতা কিংবা নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রতি যে কোনো হুমকির জবাব আমরা দৃঢ়ভাবে দেব।”

  • S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    S-400: ‘সুদর্শন চক্রে’ কুপোকাত পাকিস্তান, রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ রক্ষাকবচ কিনছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করেছে ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সিস্টেম (S-400)। সুর্দশন চক্রের ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে পাক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বিমান। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে রাশিয়া। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদমপুরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পাকিস্তানের দাবি ছিল, তারা এই ঘাঁটিতে রাখা এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আদমপুরে বক্তব্য রাখার সময় মোদি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ-এর সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন।

    ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400)। আকাশে বিভিন্ন ধরণের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং ৩৬টি টর্গেটকে একসঙ্গে ‘লক’ করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এস-৪০০-এ। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি, চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস- ৪০০ (S-400) স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি এস-৪০০ ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে, বলে জানিয়েছে মস্কো। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তার জন্য পাঠানকোটে রয়েছে এস-৪০০। এছাড়াও রয়েছে রাজস্থান এবং গুজরাট সীমান্তে।

  • Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে ১৫ লক্ষ বার সাইবার হানার (Cyber Attack) চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি হ্যাকাররা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগের পক্ষ থেকে এমন সাতটি অ্যাডভান্সড পার্সিসট্যান্ট থ্রেট শনাক্ত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাইবার সেলের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হ্যাকারদের সাফল্য যৎসামান্যই। লক্ষ লক্ষ বার ভারতের ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করলেও মাত্র ১৫০টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে তারা। ব্যর্থতার হার ৯৯.৯৯ শতাংশ।

    ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ!

    মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের (Cyber Attack) তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবল পাকিস্তান থেকেই নয়, সাইবার হানা চালানো হয় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকেও। তদন্ত রিপোর্টটির নাম ‘রোড অফ সিঁদুর’। এই রিপোর্টে হ্যাকারদের বেশ কয়েকটি দাবিকেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টেই নোডাল সাইবার এজেন্সি জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু হ্যাকিং গ্রুপ সাইবার যুদ্ধ চালাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই রিপোর্ট সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কাছে পাঠানো হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং স্টেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ যশস্বী যাদব এ কথা জানিয়েছেন।

    ব্যর্থতাই সম্বল পাকিস্তানের

    এমন ৭টি পাকিস্তানি হ্যাকার (Cyber Attack) গ্রুপকে শনাক্ত করেছে সাইবার বিভাগ। এপিটি ৩৬, পাকিস্তান সাইবার ফোর্স, টিম ইনসেন পিকে, মিস্টিরিয়াস বাংলাদেশ, ইন্দো হ্যাকস সেক, সাইবার গ্রুপ হোয়াক্স ১৩৩৭ এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল সাইবার ক্রিউ। যে ১৫০টি ওয়েবসাইটে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা তাদের মধ্যে রয়েছে কুলগাঁও বদলাপুর মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট, জলন্ধরের ডিফেন্স নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট। তবে, হ্যাকাররা দাবি করেছিলেন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হয়েছে। তাঁদের তরফে এ-ও দাবি করা হয় যে, ভারতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাইবার হানা হওয়ায় বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছোচ্ছে না। এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

  • IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পিছনে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস)। সাংবাদিক বৈঠকে এসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী শেষ ভাবে উল্লেখ করেছিলেন আইএসিসিএস-এর (IACCS) কথা। বলেছিলেন এই অভিযানের নেপথ্যে থাকা নায়কদের কথা। শুনিয়েছিলেন পর্দার পিছনের কাহিনী। সোমবার তারই একটা ছবি প্রকাশ করে কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের তরফে ছবি প্রকাশ

    সেনা সূত্রে জানা যায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ওই সিস্টেম যে কক্ষ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, সোমবার কেন্দ্রের তরফে তারই একটি ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পিছনে বৃহদাকার এলইডি স্ক্রিনে নানা ভৌগোলিক হিসেবনিকেশ করা রয়েছে। তার সামনে মুখে মাস্ক পরে দাঁড়িয়ে সেনার কয়েক জন আধিকারিক। তাঁদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না-চলে আসে, সেই জন্যই প্রত্যেকের মুখ মাস্কের আড়ালে।

    আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর

    সেনার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সর্বদা সতর্ক এবং সজাগ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই আইএসিসিএস (IACCS)। বায়ুসেনার প্রতিটি কার্যকলাপে নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ চালায় এটি। এই আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর বা বিভাগ রয়েছে। একটি বিভাগ স্থল, জল এবং নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখে। আর একটি বিভাগ বিভিন্ন ধরনের রেডারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তার পর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টারে।

    ভারতের তিন বাহিনীর যৌথ অংশ গ্রহণ

    এই জটিল ও স্তরভিত্তিক এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাটি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার যৌথ অংশগ্রহণে গঠিত হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক সেন্সর ও অস্ত্রব্যবস্থা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘সফট-কিল’ ও ‘হার্ড-কিল’ কাউন্টার-ইউএভি ব্যবস্থা, এবং প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী। আইএসিসিএস (IACCS) ছিল এই প্রতিরক্ষা জালের কেন্দ্রবিন্দু, যা বিভিন্ন স্তরের অপারেশনকে সমন্বয় করেছে।

    আইএসিসিএস কী?

    আইএসিসিএস (IACCS) বা ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম হল একটি স্বয়ংক্রিয় এয়ার ডিফেন্স কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, যা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান অভিযানের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য তৈরি হয়েছে। আধুনিক নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধের যুগে ‘রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার’ (RASP) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিশেষ সিস্টেমে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সিভিল রেডার নেটওয়ার্কের মধ্যে বিশেষ সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় হয়। আইএসিসিএস (IACCS) বিভিন্ন ধরনের ২-ডি ও ৩-ডি রেডার, মোবাইল পর্যবেক্ষণ পোস্ট, এয়ার ফোর্স ঘাঁটি, সিভিল এজেন্সি, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করে এবং একটি সমন্বিত রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার তৈরি করে। এই পুরো সিস্টেমটি আইপি-ভিত্তিক ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের (WAN) মাধ্যমে সংযুক্ত।

    আইএসিসিএস-এর ভূয়সী প্রশংসা

    ভারত-পাক যুদ্ধ আবহে দেশের তিন বাহিনীর সাফল্য প্রসঙ্গে এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটা শক্তিশালী দেওয়ালের মতো দেশকে বাঁচিয়েছে ৷ শত্রুরা এই দেওয়াল ভেদ করতে পারেনি ৷ পাকিস্তানের নিরন্তর প্রচেষ্টা, প্রতিরোধ করেছে ভারতের বহুস্তরীয় ও সংহত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৷ ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌ-বাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন জায়গায় এই এডিএস স্থাপন করেছিল ৷” এই বিশাল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে বহু সংখ্যায় বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স সেন্সর এবং অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে৷ যেমন- লো লেভেল এয়ার ডিফেন্স গান, কাঁধে রেখে গোলা বর্ষণের অস্ত্র (শোলডার ফায়ার্ড ম্যান প্যাডস), স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (সারফেস টু এয়ার মিসাইল, এসএএমএস) ৷ এছাড়া এরিয়া ডিফেন্স ওয়েপন- যেমন এয়ার ডিফেন্স যুদ্ধবিমান, দূর পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ৷ পাকিস্তানের পাঠানো অসংখ্য ড্রোন, আনম্যান্ড ভেহিকলকে আকাশেই ধ্বংস করেছে ভারতের নিজস্ব সফ্ট ও হার্ড কিল কাউন্টার-ইউএএস সিস্টেম এবং ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষ আধিকারিকরা ৷ আর এই সবকিছুর সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) ৷

    মোদি সরকারকে ধন্যবাদ

    আধুনিক যুগের এই যুদ্ধ-ব্যবস্থার ক্ষমতা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তৈরি ৷ নতুন এডি সিস্টেমের পাশাপাশি পুরনো এডি সিস্টেমও এই সংঘাতে কাজ করেছে ৷ সর্বোপরি সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভারতের নিজস্ব আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত ৷ বিগত কয়েক বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের জন্য এই অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম-এ ভারত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) তৈরি সম্ভব হয়েছে বলে জানান এয়ার মার্শাল একে ভারতী ৷

  • Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেন নেকের (Chicken Neck) খুব কাছেই ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল জেল পালানো খালিস্তানি জঙ্গি-নেতাকে। অপারেশন সিঁদুরের আবহেই নিরাপত্তা এজেন্সির জালে ধরা পড়ল কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর সিং গালওয়াদ্দি ওরফে বলবীর সিং। যার মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর শুরু হতেই বাড়তি তৎপরতা শুরু হয় উত্তরবঙ্গ করিডরে। নেপাল-পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন অমিত শাহ। গত সপ্তাহেই নেপাল-বিহার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে চার চিনা নাগরিককে গ্রেফতারের করা হয়। এবার গ্রেফতার করা হল এই কুখ্যাত জঙ্গিকে। নেপালে বসেই ভারত-বিরোধী নানা কাজ করত কাশ্মীর, এমনটাই জানা গিয়েছে। এনআইএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের লজিস্টিক সাপোর্ট এবং হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পাঞ্জাবের একটি জেল ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা কাশ্মীর বব্বর খালসা ইন্টার ন্যাশানাল ও রিন্দা নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাসীরা নেপাল সীমান্ত ব্যবহার করেই বারবার কেন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে! এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

    কেন অনুপ্রবেশের জন্য উত্তর-পূর্ব করিডর (Chicken Neck) বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বাংলা ও বিহারের বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে নেপাল সীমান্ত। সহজেই নেপালে আশ্রয় নিয়ে থাকা যায় এবং প্রয়োজনে বাংলা ও বিহারে আসা যায়। এই জায়গাটাই কাজে লাগাতে চায় সন্ত্রাসীরা। সেই উত্তর-পূর্বের এই এলাকাকে (Chicken Neck) বেছে নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে চিন-পাক যোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়েও ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেছেন, “অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এই অনুপ্রবেশকারীরাই সীমান্তে জঙ্গিকার্যকলাপে নিযুক্ত হয়। আমাদের কাছে এমনও তথ্য রয়েছে যে, সেটা পাকিস্তানি সেনাও হতে পারে, যারা আমাদের পোস্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।” ভারতের ডিজিএমও-র এমন মন্তব্যের ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কুখ্যাত জঙ্গি গ্রেফতার হল চিকেন নেকের (Chicken Neck) কাছ থেকে।

    ২০১৬ সালে জেল ভেঙে পালায় কাশ্মীর

    পাঞ্জাবের পাতিয়ালার নাভাতে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যত তাণ্ডব চালায় খালিস্তানপন্থীরা। ওই দিন সকাল ৯ টা নাগাদ ২৪ জন সশস্ত্র জঙ্গি পাতিয়ালার উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন নাভা জেলে হামলা করে। এরপর গার্ডদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। সেদিন মোট ৬ কুখ্যাত অপারেটিভ, গ্যাংস্টারকে জেল থেকে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, যে ৬ জন সেদিন জেল ভেঙে পালিয়েছিল তারমধ্যে ছিল কুখ্যাত খলিস্তানি কাশ্মীর সিংও। ঘটনার সাড়ে ৮ বছর পরে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হল।

    খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য কাশ্মীর সিং

    জানা গিয়েছে, খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য হল এই কাশ্মীর সিং। তাকে গত ৮ বছর ধরে খুঁজে চলেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংক্রান্ত ঘটনায় রয়েছে এই খলিস্তানির যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। বহুদিন ধরেই দেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির কাছে সে ছিল ওয়ান্টেড। উল্লেখ্য, গ্রেফতার করার পরে ফের তাকে নাভা জেলেই আনা হচ্ছে বলে খবর।

    নেপালে সক্রিয় বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল গ্যাং

    ২০১৬ সালে নাভা জেল ভাঙা কাণ্ডে মোট ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। এদের মধ্যে ২ জন ছিল অফিসার পদ মর্যাদার। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল রমনজিৎ সিং রোমিকে। কুখ্যাত রোমিকে ২০২৪ সালে হংকং থেকে প্রত্যর্পণ করা হয় । তাকেও নাভা জেলে রাখা হয়েছে। তবে প্রথমে তাকে অমৃতসরের জেলে রাখা হয়। এর মাঝেই ২০২৫ সালে এল কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতারির খবর। নাভার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মনদীপ কৌর কাশ্মীরের গ্রেফতারির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা যাচ্ছে, জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার (Khalistani Militant) পরেই বহু খলিস্তানি নেতার সঙ্গে সংযোগ করতে থাকে কাশ্মীর। তাদের মধ্যে অন্যতম হল বিদেশে থাকা বব্বর খালসা নেতা হরবিন্দর সিং সান্ধু ওরফে রিন্দা। এক্ষেত্রে বলা দরকার, বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল শিবিরের রিন্দা গ্যাং খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতা চালিয়ে থাকে।

    খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং

    এই গ্যাং বর্তমানে নেপালে খুবই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। এরকম গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতার হল। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ঘটনা এনআইএর কাছে বড় সাফল্য। খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং। এমন খবর গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছিলেন বলে খবর। পাঞ্জাবের গোয়েন্দা হেডকোয়ার্টারে হামলার ঘটনাতেও উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। এছাড়া ভারত বিরোধী নানা কাজে উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। ২০২২ সালে খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতার ষড়যন্ত্রেও উঠে আসে তার নাম (Khalistani Militant)। এবার ফের তাকে ফিরতে হচ্ছে নাভা জেলে।

LinkedIn
Share