Tag: Order of the Most Ancient Welwitschia Mirabilis

  • PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ফের তাঁর মুকুটে নয়া পালক। এবার দক্ষিণ-পশ্চিম অফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। পাঁচ দেশ সফরের অন্তিম পর্যায়ে বুধবার নামিবিয়ায় (Namibia) পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এটি তাঁর প্রথম নামিবিয়া সফর। সেই দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনেও ভাষণ দেন মোদি (PM Modi in Namibia)। প্রায় আধ ঘণ্টার সেই ভাষণের পরে, সেখানকার সাংসদরা নিজেদের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদনও জানান।

    নামিবিয়ায় সর্বোচ্চ সম্মান

    নামিবিয়ায় (PM Modi in Namibia) সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ব্রাজিলের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। আর নামিবিয়ায় তিনি পেলেন সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অব দ্য মোস্ট অ্যানসিয়েন্ট ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিস’ (Order of the Most Ancient Welwitschia Mirabilis)। বুধবার, মোদির হাতে এই সম্মান তুলে দেন নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো নন্দী-নদাইতওয়াহ (Netumbo Nandi-Ndaitwah)। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা পায় নামিবিয়া। ১৯৯৫ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। অসামান্য কাজ, পরিষেবা ও নেতৃত্বের জন্য সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নামিবিয়ার এক জনপ্রিয় মরুভূমির গাছ ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিসের নামেই ওই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে। এই নিয়ে মোদির ঝুলিতে এল ২৭টি আন্তর্জাতিক সম্মান।

    নামিবিয়ান ড্রাম বাজান মোদি

    ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবার আফ্রিকার দেশটিতে যান নমো (PM Modi in Namibia)। উইন্ডহোক-এর হোসিয়া কুটাকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে মোদিকে স্বাগত জানান নামিবিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা মন্ত্রী সেলমা আশিপালা-মুসাভ্যি। এক হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তে মোদি স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নামিবিয়ান ড্রাম বাজান, যা স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে। ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে নামিবিয়ায় অভ্যর্থনা জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

    চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর

    এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো বৈঠকে বসেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য এই দুটি দেশ চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নামিবিয়ায় একটি উদ্যোগ বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগ সহনশীল পরিকাঠামোর জন্য গঠিত জোট (CDRI)-এর আওতায় একটি কাঠামো এবং গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স-এর অংশ হিসেবে একটি কাঠামো। কূটনৈতিক মহল মনে করছে ভারত-নামিবিয়া (India-Namibia Relation) সম্পর্কে নতুন গতি আনবে এই পদক্ষেপ।

    হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক

    নামিবিয়া (India-Namibia Relation) বিশ্বের অন্যতম বড় হীরে উৎপাদক দেশ, আর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরে পালিশ শিল্পের কেন্দ্র। তাই দুই দেশের সম্পর্ক হবে হীরের মতো উজ্জ্বল। নামিবিয়ার সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নামিবিয়ার সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন গণতন্ত্র এবং নামিবিয়া ও ভারতের মধ্যে একাধিক বিষয়ে মিল থাকার কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব সময়ের দ্বারা পরীক্ষিত এবং মূল্যবোধ ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্নের দ্বারা সংযুক্ত। আগামী সময়েও, আমরা নিবিড় ভাবে কাজ করে যাব এবং উন্নয়নের পথে একসঙ্গে হাঁটব।

    সংসদে চিতা প্রসঙ্গ

    ভারতকে (India-Namibia Relation) উপহার হিসেবে চিতা দিয়েছিল নামিবিয়া। সেখানকার সংসদে দেওয়া ভাষণে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই চিতাকে ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং নামিবিয়ার মধ্যে সহযোগিতা, সংরক্ষণ এবং করুণার এক শক্তিশালী ইতিহাস রয়েছে। আপনারা আমাদের দেশে চিতা পুনঃপ্রবর্তনে সাহায্য করেছিলেন। আপনাদের উপহারের জন্য আমরা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ।’ এখন ওই চিতাগুলি ভালো আছে এবং তাদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির সফরের গুরুত্ব

    বিগত এক দশকে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) একের পর এক দেশ সফর করেছেন। পেয়েছেন একাধিক দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর যখন ভারত সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল, তখন দুই ভিন্ন মহাদেশে গিয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রাপ্তি কূটনৈতিকভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর বিশেষ করে আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

LinkedIn
Share