Tag: orders

orders

  • Murshidabad: দোকান বন্ধের ফতোয়া, তৃণমূলের হয়ে ভোটের ময়দানে সিভিক ভলান্টিয়ার!

    Murshidabad: দোকান বন্ধের ফতোয়া, তৃণমূলের হয়ে ভোটের ময়দানে সিভিক ভলান্টিয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানিনগর (Murshidabad) ১ নম্বর ব্লকের টেকা হাড়িভাঙ্গা এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ারের অত্যাচারের ঘটনায় সরব সাধারণ এক দোকানদার। সন্ধ্যা হলেই দোকান বন্ধের ফতোয়া দিচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। এলাকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ওই দোকানে চা খেতে আসেন বলেই নাকি দোকান বন্ধের নির্দেশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    এলাকায় (Murshidabad) চায়ের দোকান চালিয়ে নিজেদের সংসার চলে। এমনটাই জানালেন দোকানের মালিক এবং তাঁর স্ত্রী। স্ত্রী বলেন, একজন পুলিশ এবং সঙ্গে সাত-আট জন সিভিক দোকানে এসে গতকাল সন্ধ্যার পর হুমকি দেয়। হুমকি দিয়ে বলে, এখানে এত রাত পর্যন্ত কেন দোকান খোলা? অথচ আমরা দোকানের বাইরে বসে ছিলাম! দোকানদারের স্ত্রী আরও বলেন, আমাদের রাতের আশ্রয় এই দোকানেই। অথচ সিভিকরা হুমকি দেয়, দোকান ভাঙচুর করে দেবে! আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করে। ‘এখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এসে চা খান। সেই কারণেই দোকান খোলা যাবে না’-ঠিক এই ভাবেই দোকানদারের স্ত্রী দোকানে সিভিকের দৌরাত্ম্যের কারণ ব্যাখ্যা করেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি দুলাল মণ্ডল বলেন, সিভিকরা কোন আইনের বলে নির্বাচনের সময় এমন অভব্যতা করল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন সিভিকদের ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন? এছাড়াও তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কমিশনের কাছে যাবেন এবং প্রয়োজন পড়লে হাইকোর্টে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।

    দোকানদারের বক্তব্য

    দোকানদার (Murshidabad) নান্টু শেখ বলেন, গত দু’দিন ধরে সিভিকরা রাত ৮ টার সময় এসে দোকান বন্ধ করার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। গতকাল রাতে আমরা রাতের খাবার খেয়ে দোকানের বাইরে বসেছিলাম। বাইরে তেমন লাইট ছিল না। সে জন্য ঠিক কারা কারা এসেছিল, তাদের চিনতে পারিনি। তবে ওরা যে সিভিক ছিল, সেটা বুঝতে পেরেছি। একটাই কথা বলছিল তারা, ‘দেখবি সব ভাঙচুর করব? চিনিস আমাদের! জানিস আমরা কারা?’ এই ঘটনায় নান্টু শেখ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই অত্যন্ত আতঙ্কিত। নান্টু শেখ বলেন, হয়তো ভোটের সময় বলে এমন আচরণ করছে সিভিক। কিন্তু আমি তো কোনও রাজনীতি করি না। সিপিএম, তৃণমূল কোনওটাই করি না। তাহলে আমার সঙ্গে এমন করল কেন! তিনি আরও বলেন, পাশেই তৃণমূল করে এমন ব্যক্তির চায়ের দোকান রয়েছে। তাঁকে তো কোনও সিভিক গিয়ে দোকান বন্ধের ফরমান দিচ্ছে না। তাহলে আমার দোকানেই কেন? এরপর বলেন, আমার দোকানে যাঁরা চা খেতে আসেন, তাঁদের মধ্যে হয়তো অনেকে বিরোধী রাজনীতি করেন। আর তাই আমার দোকানকে টার্গেট করেছে সিভিক।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘অসুস্থ হলে বসে যান’’, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘অসুস্থ হলে বসে যান’’, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মানেননি। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তিনি অসুস্থতার কথা বলে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপরই বরখাস্তের নির্দেশ বদলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি।

    আদালতের নির্দেশ

    মঙ্গলবার প্রাথমিক সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি তথ্য চাওয়া হয়েছিল মধুসূদনের কাছে। তিনি পর্ষদের উচ্চপদস্থ কর্মচারীকে দিয়ে হলফনামা জমা দেন হাইকোর্টে। এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ, আদালতের নির্দেশ ছিল, শিক্ষকের স্থানান্তরের বিষয়টি চেয়ারম্যানকেই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। পর্ষদের চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Calcutta High Court) বলতে শোনা যায়, ‘অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন, অন্য লোক কাজ করবেন। আমি মনে করি, আপনি শারীরিক ভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ।’ এরপরই চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    ক্ষমা চাইলেন চেয়ারম্যান

    মঙ্গলবার মধুসূদন আদালতে জানান, তিনি করোনা এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। তাই নিজে সশরীরে এই কাজ না করে পদস্থ আধিকারিককে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। এ জন্য তিনি ক্ষমাও চান আদালতের (Calcutta High Court) কাছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রাথমিকে ‘পোস্টিং দুর্নীতি’ নিয়ে জেলে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের চার আধিকারিক। এর পর রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share