Tag: Osteoporosis

Osteoporosis

  • Arthritis Pain: তিরিশের চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই বহু মহিলা হাঁটু, পিঠ ও কোমরের যন্ত্রণায় কাবু!

    Arthritis Pain: তিরিশের চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই বহু মহিলা হাঁটু, পিঠ ও কোমরের যন্ত্রণায় কাবু!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হাড়ের রোগ। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে (Young Women) এই সমস‌্যা আরও বেশি। অনেকের হাড়ের শক্তি কমে যাওয়ার জেরে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই মহিলাদের মধ্যে হাড়ের রোগের এই বাড়বাড়ন্ত যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন মহিলাদের বাতের সমস্যা বাড়ছে? (Arthritis Pain)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ভারতীয় মহিলা অস্ট্রিয় পোরেসিস সহ একাধিক হাড়ের রোগে আক্রান্ত। এর মূল কারণ ভিটামিন ডি -র অভাব। অধিকাংশ মহিলার দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকছে না। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা বংশানুক্রমিক হচ্ছে। তবে জীবনযাপনের ধরন বাতের সমস্যা কিংবা যে কোনও হাড়ের রোগকে আরও জটিল করে তুলছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলাদের খাদ্যাভ্যাস অস্বাস্থ্যকর। অনেক সময়েই তাঁরা দীর্ঘ ব্যবধানে খাবার খান।‌ আবার পরিমাণও ঠিকমতো থাকে না।‌ অর্থাৎ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিনের মধ্যে ঠিকমতো ভারসাম্য থাকে না। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাতের সমস্যাও কাবু করে। পাশপাশি ঘরের কাজ অধিকাংশ সময়েই মহিলারা বেশি করেন। এর জেরে সিঁড়ি দিয়ে বারবার ওঠানামা করা, ভারী জিনিস তোলার মতো কাজ লাগাতার করার জেরে হাড়ের শক্তি ক্ষয় হয়। তাছাড়া মা হওয়ার পরে শরীরে মারাত্মক ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধ পাওয়া যায় না। এর জেরেই দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি বাড়ে। এবার দেখা যাক, কোন পাঁচ অভ্যাস মহিলাদের বাতের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবে?

    সময় মতো ব্যালেন্স খাবার জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস জরুরি। পাশপাশি কী খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। পেট ভরানোর জন্য শুধু ভাত কিংবা রুটি খেলেই শরীর সুস্থ থাকবে না। হাড় মজবুত করতে (Arthritis Pain) জরুরি নিয়মিত পরিমিত প্রোটিন ও ভিটামিন জাতীয় খাবার। তাই ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে নিয়মিত সবুজ সব্জি, ডিম, মাছ, মাংস খেতে হবে। এতে হাড়ের শক্তি বাড়বে। নিয়মিত দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। পনির কিংবা দই নিয়মিত খেলে হাড় প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সহজেই পাবে‌। এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হলে বাতের সমস্যার মোকাবিলা সহজ‌ হবে।

    স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Arthritis Pain)

    মহিলাদের আরেকটি বড় শারীরিক সমস্যা হল অতিরিক্ত ওজন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই স্থূলতার সমস্যায় কাবু হন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এই রোগ আরও বাড়িয়ে তোলে। দেহের ওজন বেড়ে গেলে হাঁটু ও কোমরে মারাত্মক চাপ পড়ে। অনেক সময়েই সেই ওজনের জেরে বাতের‌ সমস্যা বাড়ে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাতে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ‌ হয়।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলারা ঘরে-বাইরে পরিশ্রম করেন। কিন্তু শারীরিক কসরত অনেক সময়েই নিয়মিত করেন না। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের কাজ ঠিকমতো হয় না। বাতের ব্যথার মতো একাধিক রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে (Arthritis Pain)। বিভিন্ন পেশি সক্রিয় থাকে।‌ আবার জয়েন্টগুলো সচল থাকে।

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি

    মহিলাদের ঘুমের জন্য বরাদ্দ সময় যথেষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলার দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।‌ এর প্রভাব স্নায়ু, পেশি এবং হাড়ের উপরে মারাত্মক ভাবে পড়ে। শরীরের বিশ্রাম জরুরি।‌ তবেই শরীর শক্তি সঞ্চয় করে আবার কাজ করতে পারবে। তাই নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনো দরকার।‌ তবেই হাড়ের শক্তি বাড়বে।

    ঘরের কাজের সময়ে সাবধানতা জরুরি (Arthritis Pain)

    মহিলারাই অধিকাংশ সময়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করেন। এই কাজের জন্য তাঁদের বারবার ওঠাবসা করতে হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাও হয় একাধিকবার। এর জেরে অস্থিসন্ধি অর্থাৎ কোমর, হাঁটুর বিভিন্ন জয়েন্টের কাজ বাড়ে। বারবার এই ধরনের কাজ করার ফলে এই অস্থিসন্ধি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন ব্যথা বাড়ে। তাই এই ঘরোয়া কাজ করার সময় খেয়াল রাখা জরুরি। প্রয়োজন মাফিক বিশ্রাম জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Women’s Health: চল্লিশের পরই বাড়ছে রোগ! কোন তিনটি উপাদানের হেরফেরে মহিলাদের এই ভোগান্তি? 

    Women’s Health: চল্লিশের পরই বাড়ছে রোগ! কোন তিনটি উপাদানের হেরফেরে মহিলাদের এই ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের চৌকাঠের সঙ্গে রোগের মাপকাঠি সব সময় মেলে না। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট একটি বয়সের পরেই বাড়ছে নানান শারীরিক ভোগান্তি। চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছেন, শরীরে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, আর তার জেরেই অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন উপাদানের হেরফের হয়। ফলে অনেক সময়েই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের দোড়গোড়ায় পৌঁছে মহিলাদের মধ্যে নানান রোগের (Women’s Health) ঝুঁকি বাড়ছে। ত্বক, চোখের সমস্যার পাশপাশি হাড়ের সমস্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে‌। হাড় ক্ষয়, কোমরের সমস্যা, হাঁটুর যন্ত্রণা বাড়ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। কর্মশক্তি কমছে। এর পাশপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ছে। এর জেরে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের শরীরে চল্লিশ বছরের পরে নানান হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন হয়। এর জেরেই রোগের দাপট বাড়তে পারে। কিন্তু শরীরে তিনটি উপাদানের জোগান থাকলে বড় রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। দেখে নিন, কোন তিন উপাদানে নজর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    ম্যাগনেসিয়ামের জোগান বজায় রাখতে হবে (Women’s Health)

    চল্লিশের পরে অধিকাংশ মহিলা নানান স্নায়ুর সমস্যায় ভোগেন। পাশপাশি পেশিতে টান ও রক্তচাপ ওঠানামার মতো সমস্যাও দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে এই ধরনের সমস্যা বাড়ে। হাত ও পায়ের পেশিতে খিঁচুনি, হঠাৎ করেই শক্তি হারিয়ে ফেলার মতো অনুভূতি বেশি হয়। আবার হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ায় ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের জোগান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষত চল্লিশ বছরের উর্ধ্বে মহিলাদের নিয়মিত ৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম শরীরে প্রয়োজন। তাই তাদের কাঠবাদাম, কাজু, পেস্তার মতো বাদাম জাতীয় খাবার রোজ খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবার থেকে সহজে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।

    ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত জরুরি

    মহিলাদের শরীরে নানান রোগের (Women’s Health) অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের অভাব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে মহিলাদের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন হয়। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে হাড়ে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে সেই হাড় আরও দুর্বল হয়। এর জেরে কোমর, হাঁটু, দাঁত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাড় ক্ষয়ের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, চল্লিশের চৌকাঠ পেরিয়ে মহিলাদের নিয়মিত টক দই খাওয়া দরকার। এই খাবার একদিকে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়, আবার পাকস্থলী, অন্ত্রও সুস্থ রাখে। টক দই ছাড়াও নিয়মিত দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার, ডিম, লেবু খাওয়া দরকার। এই খাবারগুলো থেকে শরীরে সহজেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়।

    ভিটামিন ডি-র অভাব যেন না থাকে (Women’s Health)

    মহিলাদের শরীরে নানান জটিল রোগের কারণ হল ভিটামিন ডি-র অভাব। স্নায়ু, পেশি কিংবা হাড়ের একাধিক রোগের কারণ ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত না থাকা। তাই ভিটামিন ডি-র জোগানে সজাগ থাকা জরুরি। পালং শাক, সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম নিয়মিত খেলে ভিটামিন ডি-র জোগান পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcium: শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে! মোকাবিলা করবেন কীভাবে? 

    Calcium: শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে! মোকাবিলা করবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে কমে ক্যালসিয়াম। এমন ধারণা এখন বদলে যাচ্ছে। তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়েই অনেকের কমছে ক্যালসিয়াম (Calcium)। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। আর এর জেরে বাড়ছে নানান রোগের ঝুঁকি। তাই সতর্কতা জরুরি। কারণ, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের অভাব শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কম বয়স থেকে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে দীর্ঘমেয়াদি একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়।

    কী কী রোগের প্রকোপ বাড়ায়? (Calcium)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের হাড় ও স্নায়ুর একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। পেশির জোর কমে। এর ফলে শিশুদের মধ্যে দুর্বলতা দেখা যায়। হাত ও পায়ে মাঝে মধ্যে খিঁচুনি হতে পারে। এমনকী অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যা পরবর্তীতে নানান জটিল রোগের কারণ হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের অস্টিওপেনিয়া, রিকেটের মতো রোগ হতে পারে। এর ফলে শিশুর হাত ও পায়ের গঠন ঠিকমতো হয় না। দীর্ঘমেয়াদি স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। 
    তরুণ বয়সে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে হাড়ের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সি বিশেষত মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে অস্ট্রিয়পোরেসিসের সমস্যা। এটা এক ধরনের হাড়ের ক্ষয় রোগ। ক্যালসিয়ামের (Calcium) অভাবের জেরেই এই রোগ হয়। 
    এছাড়াও, দাঁতের সমস্যার কারণ ক্যালসিয়ামের অভাব। অনেকেই দাঁতে ব্যথা অনুভব করেন। মাড়িতে নানান সংক্রমণ ঘটে। এগুলোর কারণ, শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না থাকা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পড়ে গেলে অনেকের হাড় ভেঙে যায়। সামান্য দুর্ঘটনাতেও তাই ভোগান্তি বাড়ে। ক্যালসিয়ামের অভাব থাকলে হাড় দুর্বল হয়। এর জেরেই সামান্য আঘাতেও হাড় ভাঙার মতো বিপত্তি ঘটতে পারে। ছোটদের পাশপাশি বড়দেরও শরীরে দুর্বলতা বা ক্লান্তি বাড়ায় ক্যালসিয়ামের অভাব।

    কীভাবে সহজে মিটবে ক্যালসিয়ামের অভাব? (Calcium)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সহজেই ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করা সম্ভব। তাছাড়া শিশুরা খাবার থেকেই প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পেতে পারে। তাই ছোট থেকেই খাবারে নজরদারি করলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেবে না।‌ 
    নিয়মিত দুধ, পনির বা দই  খাওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও দুগ্ধজাত খাবার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে‌। মহিলারা নিয়মিত টক দই খেতে পারেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাব বেশি দেখা যায়‌। তাই দুধের পাশাপাশি দই খেলে হাড় মজবুত হবে। 
    রোজ যে কোনও এক ধরনের বাদাম খাওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম হোক কিংবা কাজুবাদাম, নিয়মিত যে কোনও ধরনের বাদাম খাদ্যতালিকায় রাখা দরকার। কারণ, বাদাম ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস। নিয়মিত বাদাম খেলে কমবে ক্যালসিয়ামের (Calcium) ঘাটতি। 
    ডিম এবং লেবু ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। তাই শিশুর আট মাস বয়স থেকেই নিয়মিত ডিম খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পাশপাশি যে কোনও এক ধরনের লেবু নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হবে। 
    পালং শাকের মতো সবুজ সবজিও শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন, দুধের পাশপাশি এই ধরনের সবুজ সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তবেই শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    Back Pain: সন্তানের পিঠের ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা? খেলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে? কীভাবে কমবে সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাঁতার কেটে ফেরার পরে কিংবা বিকেলে মাঠে খেলাধুলোর শেষে বাড়িতে ফিরতেই ক্লান্তি গ্রাস করে। একরত্তির চোখ বুজে আসে। টানটান করে পড়তে বসতে চায় না পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য। আবার, মাঝেমধ্যেই কোমরে কিংবা পিঠের ব্যথায় কষ্ট হয়। স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই পিঠে ব্যথার (Back Pain) সমস্যায় ভুগছে।‌ এমনকি হাতে-পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অনেক শিশু। দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাবা-মায়েরা সতর্ক না হলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সন্তানের ক্লান্তিভাব বাড়লে, অতিরিক্ত হাত-পায়ের যন্ত্রণা কিংবা ঘনঘন কোমরে আর পিঠে ব্যথায় কষ্ট পেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশু ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে। এমনকি খুব কম বয়স থেকেই অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অভিভাবকেরা কীভাবে সতর্ক হবেন? (Back Pain)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাচ্চারা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে অভিভাবকদের বাড়তি নজরদারি দরকার। মাঠে খুব বেশি খেলাধুলো করলে বা দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটার মতো শারীরিক কসরত করলে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ সব সময় থাকলে তা বিপজ্জনক। একেবারেই পড়াশোনায় মনোযোগ করতে না পারলে বুঝতে হবে, সমস্যা বাড়ছে। পাশপাশি, পিঠ টানটান করে বসতে না পারলে, লাগাতার পিঠে ও কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, দশ বছরের কম বয়সি শিশুদের অনেক সময়েই হাতে-পায়ে গ্রোইং পেন হয়। অর্থাৎ, এই বয়সের ছেলেমেয়েদের শরীর বড় হয়। তাই পেশিতে তার প্রভাব পড়ে (Back Pain)। তাই অনেক সময়েই বিশেষ করে রাতে হাতে ও পায়ে যন্ত্রণা অনুভব হয়। তবে যদি হাতে-পায়ে লাগাতার যন্ত্রণা অনুভব হয়, তাহলে কিন্তু বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, চিকিৎসকের কাছে দ্রুত যাওয়া জরুরি। সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ সম্ভব? (Back Pain)

    শিশুদের শরীরে বাড়তি ক্যালসিয়াম সব সময় জরুরি। কারণ বাড়ন্ত শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি থাকে। তাই শিশুদের পুষ্টিতে বাড়তি নজরদারি দরকার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। আবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা রয়েছে (Back Pain)। অধিকাংশ শিশু চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ায় বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। তাই সন্তানের ডায়েট নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    ১) পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সন্তানকে নিয়মিত দুধ খাওয়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দুধ। তাই নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড় মজবুত হয়। আবার ক্লান্তি কমে। তাই নিয়মিত ডায়েটে রাখতে হবে দুধ। 
    ২) দুধের পাশপাশি ছানা এবং পনির খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পনীরের একাধিক পদ তৈরি করা যায় (Back Pain)। তাই শিশুদের একঘেয়ে লাগবে না। নিয়মিত পনীর খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া ছানা‌ ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়ার পাশপাশি এনার্জি জোগাতে বাড়তি সাহায্য করবে। 
    ৩) নিয়মিত অন্তত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তবে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিদ্ধ ডিম সহজপাচ্য। তাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। 
    ৪) মুসুর গাল, মটর, ছোলার মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন এই ধরনের খাবারে শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ফাইবারের ঘাটতিও পূরণ করে। তাই পেশি ও হাড় মজবুত হয়। 
    ৫) সন্ধ্যা কিংবা সকালের জলখাবারে সন্তানকে চাউমিন, এগরোলের পরিবর্তে সিদ্ধ ডাল, ভিজে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব সহজেই পূরণ হবে (Back Pain)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bone Diseases: তিরিশের চৌকাঠেই কোমর আর পায়ে ব্যথা! হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে না তো?

    Bone Diseases: তিরিশের চৌকাঠেই কোমর আর পায়ে ব্যথা! হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর ল্যাপটপে কাজ করার পরে কোমর সোজা করে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যায়। আবার চেয়ারে বসে বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পরেই পায়ে ব্যথা। এমনকী কয়েক পা হাঁটলেও গোড়ালিতে যন্ত্রণা। প্রৌঢ় বয়সে নয়, তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই এমন একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর চল্লিশের পরে সিঁড়ি দিয়ে নামা-ওঠা, প্রয়োজনে মেঝেতে বসা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। হাঁটু, পা আর কোমরের ব্যথায় কাবু তরুণ প্রজন্মের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের ক্ষয়ের (Bone Diseases) জেরেই বাড়ছে এই ধরনের সমস্যা।

    কেন বাড়ছে হাড়ের ক্ষয়-রোগ? (Bone Diseases)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের ক্ষয়-রোগের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র অভাবেই এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। শিশুদের মধ্যেও হাড়ের শক্তি ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে, ভবিষ্যতে আরও বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টির ভারসাম্য না থাকার জেরেই এই সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। কিন্তু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার শরীর পর্যাপ্ত পাচ্ছে না। তার জেরেই স্থূলতা বাড়ছে। দেহের ওজন ধরে রাখতে পারছে না হাঁটু এবং পা‌। ফলে হাড়ের সমস্যা (Bone Diseases) আরও বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চা, এই দুই অস্ত্রেই কাবু হবে হাড়ের ক্ষয়-রোগ (Bone Diseases)। তাঁদের পরামর্শ, রুটিনমাফিক জীবনযাপন কমিয়ে দেবে হাড়ের রোগের দাপট। বিশেষত কোমর, পায়ের যন্ত্রণা কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক দিন অন্তত একটানা তিরিশ মিনিট হাঁটলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় হবে। এতে স্থূলতার সমস্যা এড়ানো যাবে। পাশপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোমর, পিঠ, হাত এবং পায়ের পেশি সচল থাকবে। ফলে, ব্যথা কাবু করতে পারবে না। পাশপাশি, একটানা চেয়ারে বসে থাকা বা ল্যাপটপে কাজ করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, অন্তত তিরিশ মিনিট অন্তর একটু হাঁটাচলা করা জরুরি। তাতে ব্যথা কমবে। তাছাড়া, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ দিনের একটা বড় সময় এয়ারকন্ডিশন ঘরে থাকে। সূর্যের আলোতে বিশেষ সময় কাটানো হয় না। কিন্তু দিনের কিছুটা সময় রোদে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে শরীরে ভিটামিন‌ ডি পাওয়া যায়। ফলে, শরীর সুস্থ থাকে।

    খাবারে বিশেষ নজরদারি (Bone Diseases)

    তবে, হাড়ের ক্ষয়-রোগ রুখতে খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, এতে দেহে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, হাড়ের ক্ষয় রুখতে নিয়মিত ডিম খেতে হবে। দিনে অন্তত একটা ডিম খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত ডিম খেলে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এছাড়া, কলা, লেবু জাতীয় ফল, বাদাম এবং গাজর, পালং শাক, ব্রকোলির মতো সব্জি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে শক্তিশালী (Bone Diseases) করতে সাহায্য করে। পাশপাশি তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এতে থাকে ওমেগা থ্রি। এছাড়াও ভিটামিন ডি। যা শরীরের জন্য উপকারী। নিয়মিত ডাল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, ডালে থাকে প্রোটিন। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vitamins: ভিটামিন ডি-র অভাব? হতে পারে হাড়ের মারাত্মক ক্ষয় রোগ!

    Vitamins: ভিটামিন ডি-র অভাব? হতে পারে হাড়ের মারাত্মক ক্ষয় রোগ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাত্র তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই কমছে হাঁটুর শক্তি। একটানা বসে থাকলে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। বিশেষত মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাড়ের শক্তি কমছে। হাড়ের ক্ষয় রোগ বাড়ার জেরেই পা, কোমর, হাঁটুর সমস্যা বাড়ছে। আর পিছনে রয়েছে ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাব!

    ভিটামিন ডি (vitamins) কেন সমস্যা বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি হাড়ের শক্তি বাড়ায়। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। আর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি (vitamins) থাকলে, সেই ক্ষয় হয় না। হাড়ের ক্ষয় রুখতে ভিটামিন ডি বিশেষ সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় রুখতে পারলেই হাঁটু, কোমরের যন্ত্রণা কমবে। পাশপাশি হাঁটা বা বসে থাকতেও কষ্ট হবে না। হাড় মজবুত না হওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

    তবে, ভিটামিন ডি শুধু হাড় মজবুত করে না। ভিটামিন ডি-র অভাব আরও নানা রকম সমস্যা তৈরি করে। ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাবে দাঁতের সমস্যাও দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দাঁতের যন্ত্রণা কিংবা অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পাশপাশি শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে চুল পড়ে যায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে পারে ভিটামিন ডি-র (vitamins) অভাবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহের যে কোনও জায়গায় ঘা হলে, তা শুকোতে দেরি হয়। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিও থাকে।

    কোন খাবারে ভিটামিন ডি-র (vitamins) ঘাটতি পূরণ সম্ভব? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, খুব কম বয়স থেকেই খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে যাতে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সচেতনতা দরকার। তাঁদের পরামর্শ, প্রতি দিন অন্তত দশ থেকে পনেরো মিনিট সূর্যের আলোয় কাটাতে হবে। শরীরে নিয়মিত রোদ লাগালে ভিটামিন ডি-র (vitamins) চাহিদা সহজে পূরণ হয়। 
    তবে, এটাই যথেষ্ট নয়, খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ভিটামিন ডি-র অভাব বেশি দেখা যায়। তাই ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরে অর্থাৎ পোস্ট মেনোপজ পর্বে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। খাবারের তালিকায় নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম আর দুধ রাখতে হবে। কারণ, এই খাবারগুলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। তাছাড়া, কড লিভার অয়েল যুক্ত যে কোনোও খাবার খেতে হবে। কারণ, এই খাবার ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। 
    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেলে এবং নিয়মিত ডায়েটে নজরদারি রাখলে দ্রুত ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করা যায়। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক ভাবে জীবন যাপন করলে অনেক সমস্যারই সহজে সমাধান করা সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Osteoporosis: আপনার হাড় কি দুর্বল! জেনে নিন এই রোগে আক্রান্ত কি না

    Osteoporosis: আপনার হাড় কি দুর্বল! জেনে নিন এই রোগে আক্রান্ত কি না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্টিওপরোসিস, বর্তমান শতাব্দীর সর্বপেক্ষা আলোচিত রোগগুলোর একটি। এটি এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানুষের শরীরকে ধরে রাখে যে হার তারই নাম মেরুদণ্ড আর এই রোগে মেরুদণ্ডের মধ্যে কশেরুকার হাড়, হাতের হাড়, এবং কোমরের হাড় সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গার প্রবণতা থাকে। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখের বেশি মানুষ এর  অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত। 

    সাধারণত এই রোগ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি ও মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে মহিলাদের বেশি হয়। এছাড়া যাঁদের আগে হাড় ভাঙার ইতিহাস রয়েছে, বা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ অথবা খিঁচুনির ওষুধ সেবন করেছেন, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপানও এই রোগের কারণ হতে পারে। যেহেতু হাড়ের ঘনত্ব কমা এই রোগের প্রধান কারণ, আর ক্যালসিয়ামের ঘাটতিই হাড়কে দুর্বল করে, সেহেতু কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন, কায়িক শ্রমের ঘাটতি রয়েছে—এমন ব্যক্তিদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া কিছু বাতজনিত রোগ, থাইরয়েড ও প্রজনন গ্রন্থির রোগ, খাদ্যনালী থেকে পুষ্টি ও ভিটামিন শোষণে সমস্যা ইত্যাদি কারণেও অস্টিওপোরোসিস হতে পার।।

    তবে বিশেষজ্ঞরা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির  কিছু উপায় দিয়েছেন…

    ১) সব ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ :  ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে সুপরিচিত কিন্তু ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখার জন্য অত্যাবশ্যক।
    এছাড়া অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 

    ২) সূর্যালোকে কিছুটা সময়: আমাদের সাধারণত প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন, আর সূর্যালোকে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা আমরা সরাসরি সূর্যালোক থেকে সংগ্রহ করতে পারি। তার দিনের কিছুটা সময় থাকুন সূর্যালোকে। 

    ৩) কোলাজেন বৃদ্ধি : বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের দেহে কোলাজেন হ্রাস পেতে থাকে। কোলাজেনের অভাব হাড় ভাঙার অপর একটা কারণ। তাই প্রতিনিয়ত কোলাজেন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।

    ৪) হাঁটা ও ব্যায়াম: বিশেষজ্ঞের মতে নিয়মিত ব্যয়াম আর প্রাতঃ কিংবা সান্ধ্যভ্রমণ শরীর ও মনের মধ্যে স্ফুর্তি আনার পাশাপাশি হাড়ের দৃঢ়তা প্রদান করে। তাই নিয়মিত ব্যয়াম কিংবা হাঁটা অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

    ৫) অ্যালকোহল যুক্ত পাণীয় ত্যাগ: অ্যালকোহল কিংবা যেকোনও নেশা জাতীয় পানীয় এবং সকল ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share