Tag: Padma Shri

Padma Shri

  • Mohan Yadav: বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করলেন পদ্মশ্রী দুর্গা বাই ব্যাম, জানালেন মোহন যাদব

    Mohan Yadav: বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করলেন পদ্মশ্রী দুর্গা বাই ব্যাম, জানালেন মোহন যাদব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোপাল নিবাসী পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত আদিবাসী শিল্পী দুর্গা বাই ব্যাম (Durga Bai Vyam) রবিবার বিজেপিতে যোগদান করেছেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব (Mohan Yadav) এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, ‘‘গত শনিবার ২০২২ সালে ভারতের শীর্ষ সম্মান পাওয়া দুর্গা বাই আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। এরপর তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন। জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি হয়ে তাঁর অবদান দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। বিজেপি আরও সমৃদ্ধ হবে।” উল্লেখ্য লোকসভার পর বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা সদস্য অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর থেকে দেশব্যাপী চলছে সদস্যপদ গ্রহণের অভিযান।

    নরেন্দ্র মোদির কাজে মুগ্ধ দুর্গা বাই যাদব (Mohan Yadav)

    রবিবার দিনের বেলায়, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব যাদব (Mohan Yadav), দুর্গা বাই ব্যামের (Durga Bai Vyam) বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই তাঁকে বিজেপি সদস্যতার জন্য নাম নথিভুক্ত করান। দুর্গা বাই-এর এই বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কে মোহন যাদব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে চলেছেন, তাকে তিনি সমর্থন করেছেন। সারা দেশে জনজাতি সমাজের সার্বিক বিকাশ এবং উন্নয়নের জন্য মুগ্ধ হয়েছেন আদিবাসী শিল্পী দুর্গা বাই ভ্যম। তিনি একাধারে অসামান্য চিত্র শিল্পী। তিনি গোন্ডদের নানা পৌরাণিক এবং লৌকিক কাহিনীর উপর পটচিত্র নির্মাণ করেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ পাঁকে পড়েছে অর্থনীতি, ভারত সফরে উল্টো সুর ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচার চালানো মুইজ্জুর

    সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষের কাছে বিজেপি

    মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব আরও বলেন, “বিশিষ্ট গোন্ড জনজাতি সম্প্রদায়ের এই কীর্তিমান শিল্পী (Durga Bai Vyam) আমাকে বলেছিলেন, হিন্দু রানী দুর্গাবতীর গৌরব এবং সুশাসন বাড়ানোর জন্য আমাদের দেশের এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে এই জনজাতি সমাজের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন, তাতে আমরা আপ্লুত। রানী দুর্গাবতী ছিলেন গোন্ডা রাজবংশের একজন কিংবদন্তী রানী, যিনি ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁর কৃতিত্ব এবং গৌরব গাঁথা মধ্য-ভারতের নর্মদা নদী উপত্যকার কেল্লাগুলিতে সঞ্চিত রয়েছে। পরবর্তীতে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে গোন্ডা সম্প্রদায়ের বিরাট অবদান ছিল। ভারত মায়ের সেবায় এবার দুর্গা বাই ব্যামের যোগদান ভীষণভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হবে।” বিজেপি এই সদস্যার অভিযানে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষের কাছে গিয়ে যে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে, সেকথা ওয়াকিবহাল বহল একান্তভাবেই মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় ও হিমালয় পাদদেশের পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শিলিগুড়ির বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা। দীর্ঘ ৪০ বছরের গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছেন। এই আনন্দের দিনেও পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের শুভেচ্ছা আসার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে। আনন্দের এই আবহেও  তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে ছেলেখেলা করা ঠিক হচ্ছে না। সম্প্রতি সিকিমের যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, পাহাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। এর চরিত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া মারাত্মক ভুল এবং বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    কীভাবে উত্তোরণ? (Padma Shri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কাকা কে সামনে রেখে একলব্য শর্মার পথ চলা শুরু। কাকা টিকারাম শর্মা ছিলেন খ্যাতনামা পরিবেশবিদ। পরিবেশ রক্ষায় তিনি গবেষণা করেছেন। কাজেই ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে থেকে দেখেছেন। এই আবহে কাকাকে আদর্শ করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন একলব্য শর্মা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে, তাঁর জন্ম কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ের সেন্ট আলফানসো স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে পিএইচডি করেন। তারপর নেপালের কাঠমান্ডুতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তারপর সিকিমের জিবি পন্থ ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের মুখ্য গবেষক পদে যোগ দেন। একলব্য শর্মা ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাকাদেমির একজন অন্যতম গবেষক। পরে তিনি দিল্লির টেরি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরাখন্ডের জিপি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।

     বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের অভিনন্দন

    একলব্য শর্মাকে (Padma Shri) তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই কৃতি বিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা খুব খুশি। কারণ, উত্তরের এক বিজ্ঞানী তথা পরিবেশবিদ পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। হিমালয় তথা হিন্দুকুশ পর্বতের উপর তাঁর গবেষণা এক অনন্য নজির। আগামীতে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকবে।

    কী বললেন একলব্য শর্মা?

    হিমালয়ের ওপর সামগ্রিক আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁর গবেষণা। কোথাও প্রাকৃতিক কারণে হিমালয়ের ক্ষতি। কোথাও বা মানুষের দ্বারা ভূমি, বন, জীবজন্তুর ওপর আঘাত তিনি মেনে নিয়ে পারেননি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর হিমালয়কে রক্ষা করার জন্যই তিনি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সবাই “হিমালয়ের পাহারাদার” বলে ডাকেন। একলব্য শর্মা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে আমার লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা। পদ্মশ্রী সম্মান পাব ভেবে ভালো লাগছে। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মান মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধরকে, খুশির মাঝেও আক্ষেপ পরিবারে

    Purulia: মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মান মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধরকে, খুশির মাঝেও আক্ষেপ পরিবারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হল পুরুলিয়ার (Purulia) মুখোশ শিল্পী প্রয়াত নেপালচন্দ্র সূত্রধরকে। নিজের জীবন দিয়ে ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণের শিল্পে বিশেষ অবদান রেখে গিয়েছেন তিনি। এটা তারই স্বীকৃতি। ভারত সরকারের ২০২৪ সালের পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এই খবরে পরিবারের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস। কিন্তু সেই সঙ্গে রয়েছে আক্ষেপও।

    মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে মুখোশ বানাতেন (Purulia)

    নেপালচন্দ্র সূত্রধর পুরুলিয়ার (Purulia) চড়িদা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র আট বছর বয়স থেকে নিজের হাতে ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণের কাজ করতেন। তাঁর নির্মিত মুখোশ দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল। পরিবারে গত তিন পুরুষ ধরে এই মুখোশ বানানোর কাজ চলে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রশিক্ষকের কাজ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর এই সম্মাননাতে পরিবারের মধ্যে খুশি সবাই। কিন্তু সেই সঙ্গে যিনি এই সম্মাননার অধিকারী, তিনি আজ এই পৃথিবীতে নেই, এটা ভেবেই আক্ষেপের সুর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

    ২০২৩ সালের নভেম্বরে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর

    পুরুলিয়ার (Purulia) এই খ্যাতনামা শিল্পী ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণে বিরাট পারদর্শী ছিলেন। অপরূপ চোখ ধাঁধানো মুখোশ নির্মাণে ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এবার এই শিল্পীকে মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করল ভারত সরকার।

    পরিবারের বক্তব্য

    উল্লেখ্য ছৌ নাচ হল পুরুলিয়ায় (Purulia) খুব বিখ্যাত একটি লোকনৃত্য শিল্প। দেশে-বিদেশে এই লোকনৃত্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নেপালচন্দ্র সূত্রধরের নাতি জয়ন্ত সূত্রধর বলেন, “আমরা দাদুর এই সম্মানে পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে খুশি। দাদু আজ জীবিত থাকলে এই সম্মানে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হতাম।” এলাকাবাসীর বক্তব্য, “ছৌ নাচের জন্য এই মুখোশ একান্ত অপরিহার্য। নেপালবাবু এই মুখোশের জন্য অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন। গ্রামের এই শিল্পী হিসাবে তাঁর সম্মান জেলাবাসীর কাছে শিল্পীর মুকুটে নয়া পালকের সমতুল্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “এত বড় সম্মান কোনওদিন ভাবতে পারিনি”, পদ্মশ্রী পেয়ে গীতা ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    Cooch Behar: “এত বড় সম্মান কোনওদিন ভাবতে পারিনি”, পদ্মশ্রী পেয়ে গীতা ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাওয়াইয়া গান একটি ব্যাপক জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত। এই গানের বিশিষ্ট গায়িকা গীতা রায় বর্মণকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মশ্রী সম্মান। গতকাল বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের কথা শুনে অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়েছেন তিনি। কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায় এই নিয়ে খুশির আবহ। পুরস্কারের কথা শুনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    ছোটবেলা থেকে গান করেন গীতা(Cooch Behar)?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙ্গার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গীতা রায় বর্মণ। ছোটবেলা থেকেই ভাওয়াইয়া গানের মধ্যে দিয়ে তাঁর বেড়ে ওঠা। ১৯৯৭-৯৮ সালে রাজ্য ভাওয়াইয়া উৎসবে প্রথম স্থান পেয়েছিলেন তিনি। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আকাশবাণীতে গান গেয়ে চলেছেন তিনি। বর্তমানে রেডিও সেন্টারের এ গ্রেডের শিল্পী। তাঁর দুই ছেলে। স্বামী মনোরঞ্জন বর্মণ পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক।

    কী বললেন গীতা?

    পদ্মশ্রী সম্মানের কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত এবং অভিভূত এই সঙ্গীত শিল্পী। গীতা (Cooch Behar) বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমার শরীর কাঁপছিল। এত বড় সম্মান কোনও দিন ভাবতে পারিনি। এই ভাওয়াইয়া গানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার একমাত্র স্বপ্ন। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যাতে এই গানকে বাঁচিয়ে রাখে, সেই দিকে আমার নজর থাকবে। সকল সঙ্গীতের গুরুকে আমার বিনম্র প্রণাম জানাই। তাঁদের আশীর্বাদই আমার চলার পথকে সুগম করেছে।”

    প্রজাতন্ত্রের আগের দিন পদ্ম পুরস্কার ঘোষণা

    প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগের দিন ভারত সরকার পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। এবার সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মবিভূষণ দেওয়া হচ্ছে মোট ৫ জনকে। পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হচ্ছে মোট ১৭ জনকে। এর মধ্যে বাংলার রয়েছে মোট ৩ জন। পদ্মশ্রী পুরস্কারে দেশে মোট রয়েছেন ১১০ জন। যার মধ্যে বাংলার রয়েছেন ১১ জন। এই ১১ জনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের (Cooch Behar) শিল্পী গীতা রয়েছেন। পদ্মভূষণ সম্মান বাংলা থেকে পাচ্ছেন বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং সঙ্গীত শিল্পী ঊষা উত্থুপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: ‘গাছ পাগল’ দুখু মাঝির অতি কষ্টের জীবনে সুখ এনে দিল পদ্মশ্রী সম্মান

    Purulia: ‘গাছ পাগল’ দুখু মাঝির অতি কষ্টের জীবনে সুখ এনে দিল পদ্মশ্রী সম্মান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গাছ পাগল’ দুখু মাঝির অতি কষ্টের জীবনে সুখ এনে দিল পদ্মশ্রী সম্মান। গত ১০ থেকে ১২ বছরে পাঁচ হাজারের বেশি গাছ লাগিয়েছেন। এখনও সেই কাজ করে চলেছেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গাছ লাগাবেন, এমনটাই ইচ্ছে। এলাকায় তিনি ‘গাছ দাদু’ নামে পরিচিত। পুরুলিয়ার (Purulia) এই গাছপ্রেমীকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী পুরস্কার দিতে চলেছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই খবরে এলাকায় খুশির আবহ।

    সিন্ডরি গ্রামে সাজো সাজো রব (Purulia)

    পুরুলিয়ার (Purulia) সিন্ডরি গ্রামের বাসিন্দা দুখু মাঝি। তাঁকে এতদিন সকলে গাছ পাগল বলতেন। এখন তাঁর পদ্মশ্রী সাম্মনে মাতোয়ারা গোটা গ্রাম। এজন্য গোটা গ্রামে সাজো সাজো রব। নিজের খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে কেবল গাছই লাগান তিনি। নিজের ছেলেমেয়েকে অনেক কষ্ট করে বড় করে তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। বাড়িতে একমাত্র আয়ের উৎস হল চাষবাস। তাঁর গাছ লাগানোর প্রচেষ্টার মধ্যে যে দেশের বড় সম্মান লুকিয়ে ছিল, তা আজ সকলে বুঝতে পারছেন।

    কী বলেন দুখু মাঝি?

    ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মানের কথা শুনে দুখু মাঝি (Purulia) বলেন, “আমার খুব ভালো লাগছে। জীবনে কখনও ভাবিনি এই ভাবে আমাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। তবে গাছ লাগানো আমার একটা বড় নেশা। পুরস্কার আমার আশার বাইরে ছিল। গত ১০-১২ বছর ধরে আমি গাছ লাগিয়ে চলেছি। এক সাহেব বলেছিলেন, একদিন দেশে অক্সিজেনের অভাব হবে। এই কথা ভীষণ ভাবে আমার অন্তরকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। পুরুলিয়ায় অনেক গাছ আমি লাগিয়েছি। আরও গাছ লাগাবো।”

    গাছ লাগানোর অনুপ্রেরণা

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘গাছ লাগাও প্রাণ বাঁচাও’ এই কথার অর্থ বুঝতে খুব একটা দেরি হয়নি দুখুবাবুর। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে গাছ লাগাতে শুরু করেন এবং আজ ৭৮ বছরেরও থেমে নেই তিনি। সাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। ফাঁকা জায়গা দেখলেই গাছ বসিয়ে দেন। একটা সময় লাক্ষা চাষের জন্য কুসুম, কুল গাছ লাগিয়েছেন। এছাড়াও বট, আম, জাম, পলাশ, কাঁঠাল, কৃষ্ণচূড়া সহ প্রছুর গাছ লাগিয়েছেন। গাছ লাগিয়ে কেবল ছেড়ে দিতেন না। সেই সঙ্গে  গাছের পরিচর্যাও করতেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anand Kumar: সমাজের নীচু তলার মানুষরাও পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন! বললেন ‘সুপার ৩০’-এর প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ কুমার

    Anand Kumar: সমাজের নীচু তলার মানুষরাও পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন! বললেন ‘সুপার ৩০’-এর প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজের নীচু তলার মানুষরাও তাঁদের কাজের নিরিখে পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন যা তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার। বুধবার নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পদ্মশ্রী সম্মান গ্রহণের পর এমনই বললেন ‘সুপার ৩০’-এর প্রতিষ্ঠাতা গণিতবিদ (Celebrated tutor) আনন্দ কুমার (Anand Kumar)। বুধবার মোট ৫২ জনকে পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পদ্মবিভূষণ, পাঁচ জন পদ্মভূষণ এবং ৪৫ জন পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন। 

    কী বললেন আনন্দ ?

    পদ্মশ্রী পেয়ে আনন্দ (Anand Kumar) বলেন, ‘পদ্মশ্রী পাওয়ার খবর শোনার পরই আমার মনে হয়েছিল যেন আমার প্রয়াত বাবা রাজেন্দ্র প্রসাদ ওপর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন এবং আমাকে বলছেন, তিনি খুশি; কিন্তু আমাকে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। আমি যে সম্মান পেয়েছি তা শুধু আমার স্বীকৃতি নয়, এটা দেশের সেই সমস্ত শিক্ষকদের স্বীকৃতি, যারা তাদের ছাত্রদের জীবনে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেন। এই সম্মান আমাকে আরও শক্তি দিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে। যারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখে এই দিনটিকে সম্ভব করেছেন, আমি তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ 

    আরও পড়ুন: ‘আপনি আমাকে ভুল প্রমাণিত করলেন…’ ! প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতঙ্গ শিল্পী রশিদ আহমেদ কাদরি

    কে এই আনন্দ ?

    ৩০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে পড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে ২০০২-এ এই সুপার ৩০ প্রোগ্রাম বা অ্যাকাডেমি প্রথম চালু করেন বিহারের আনন্দ কুমার (Anand Kumar)। ৩০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে প্রতিবছর আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে অঙ্ক শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়াদের থাকা এবং খাওয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন। অ্যাকাডেমি চালু করার প্রথম বছরেই আনন্দের ৩০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১৮ জন আইআইটি-তে সুযোগ পেয়েছিলেন। পরের বছর সেই সংখ্যা আরও বাড়ে। লম্বা লাইন পড়ে আনন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে। যার জন্য সেই বছর থেকেই লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বাছতে হয় আনন্দকে। ২০০৪-এ ৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন সুযোগ পায় আইআইটি-তে। তাঁকে নিয়ে বলিউডে ‘সুপার ৩০’ ছবি তৈরি হয়। ছবিতে আনন্দের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন হৃতিক রোশন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asha Parekh: দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন আশা পারেখ

    Asha Parekh: দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন আশা পারেখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke) পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন ‘লাভ ইন টোকিও’-র নায়িকা আশা পারেখ (Asha Parekh)। সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য ভারতীয় চলচ্চিত্রের (Indian Films) সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে তাঁকে। এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে এর আগে ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মানেও (Padma Shri) ভূষিত করেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে অভিনেত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই পুরস্কার। শেষবার ২০১৯ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। গত দু’বছর করোনার জন্য এই অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবছর দাদাসাহেব ফালকের পুরস্কার বিতরণী উৎসব ঘিরে এক ভিন্ন উন্মাদনা চলচ্চিত্র জগতে।

    ১৯৫২ সালে ‘আসমান’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে হাতেখড়ি। তখন তিনি বেবি আশা পারেখ নামেই পরিচিত ছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই অভিনয় যাত্রার শুরু তাঁর। মাঝে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য কিছুদিন অভিনয় থেকে বিরতি নেন তিনি। পরে নাসির হুসেন পরিচালিত ছবি ‘দিল দেকে দেখো’ ছবির হাত ধরে পুনরায় প্রত্যাবর্তন হয় আশার। এরপর ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘দো বদন’, ‘ক্যারাভান’ এর মতো হিট ছবির নায়িকা হিসেবে দেখা মিলেছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: হটস্টারে ফিরছে রহস্যময় ‘লোকি’, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের

    তিনি প্রায় ৯৫টি সিনেমায় কাজ করেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ফিল্ম (Film) সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন আশা পারেখ। ১৯৯৫ সালে অভিনয় জীবন থেকে অবসরের পর গত কয়েক দশকে সেভাবে দেখা মেলেনি আশা পারেখের। তবে ফিল্ম ও টিভি সিরিয়ালের প্রযোজনা শুরু করেন তিনি।

    জাতীয় পুরস্কারের কমিটিতে রয়েছেন চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। যেমন বিপুল শাহ যিনি বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদে আসীন। এছাড়াও রয়েছেন ধর্ম গুলাটি, শ্রীলেখা মুখোপাধ্যায় (Sreelekha Mukherji) , জিএস ভাস্কর, এস থাঙ্গাদুরাই, সঞ্জীব রত্তন, কার্তিক রাজা, ভিএন আদিত্য, ভিজি থামপি, থাঙ্গাদুরা, নিশিগন্ধা এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

    প্রসঙ্গত ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রথা ভেঙে ১৩৭ জন পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে শুধুমাত্র নির্বাচিত ১১ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন। এর প্রতিবাদে ২০১৮ সালে প্রায় ৫০ জনের বেশি পুরস্কার প্রাপক ৬৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে (National Film Festival) যোগদান করেননি। যদিও ন্যাশানাল ফিল্ম ডেভলপম্যান্ট কর্পোরেশনের (NFDC) কর্ণধার রবিন্দর ভাকর জানিয়েছেন, ঐতিহ্য বজায় রেখে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু (President Draupadi Murmu) এই বছর পুরস্কার প্রাপকদের হাতে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share