Tag: Pahalgam Attack

  • Operation Sindoor: বদলা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উদ্দেশ্য বিচার, ভিডিও প্রকাশ ভারতীয় সেনার

    Operation Sindoor: বদলা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উদ্দেশ্য বিচার, ভিডিও প্রকাশ ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত চালায় ভারত। শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সেনাবাহিনী, নৌ সেনা, বায়ুসেনার একযোগে এরপর শুরু করে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত। এবার নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করল ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা সাফ জানাল, বদলার মনোভাব থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান নয়, এর পিছনে উদ্দেশ্য একটাই- বিচার।

    ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে (Operation Sindoor)

    ওয়েস্টার্ন কমান্ড- ইন্ডিয়ান আর্মির (Indian Army) এক্স হ্যান্ডেলে ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তারই ক্যাপশনে লেখা, পরিকল্পিত, প্রশিক্ষিত এবং বাস্তবায়িত। ভিডিও-র শুরুতে দেখা যাচ্ছে একদল সেনাকে। তাঁদেরই একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জেরে এর (অপারেশন সিঁদুর) শুরু হয়েছে। রাগ ছিল না, একটাই লক্ষ্য ছিল, এবার উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে যাতে আগামী দিনে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখবে (Operation Sindoor)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ড (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর (Indian Army) হামলা চালায় জঙ্গিরা। এর জেরে মৃত্যু হয় ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দার। এই হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এরপরই ৬ ও ৭ মে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাল্টা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। যদিও সবকটি হামলা প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ১০ মে পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়।যদিও সেদিনই আবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। প্রসঙ্গত,পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরেই ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার দেশের সাংসদরা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে যাবেন পাকিস্তানের মদতে চলা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পর চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভারতের, আরও চাপ বাড়বে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রভাগা নদীর ওপর খাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও বেশি জল ঢুকবে ভারতে। সিন্ধু চুক্তি (Indus Waters Treaty) অনুযায়ী, সিন্ধু নদের এই উপনদীর জল পাকিস্তানই ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত। এই আবহে চন্দ্রভাগার খাল সম্প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রভাগার ওপর এই খালটির নাম ‘রণবীর’। সেটাই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি।

    বাড়বে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (Indus Waters Treaty)

    ভারত সরকারে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্রভাগা নদীর জল ভারত খুব একটা ব্যবহার করতে পারে না। সামান্য জলই পাওয়া যায়, এটি সেচের কাজেই লাগে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) হওয়ার পর নদীর জল আরও বেশি করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই জল ব্যবহার করা গেলে, এদেশে বিদ্যুতের চাহিদাও মিটবে। জানা যাচ্ছে, এভাবেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি।

    রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা হবে

    ইতিমধ্যে সমীক্ষার (Indus Waters Treaty) পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমাদের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনা হল, চন্দ্রভাগার উপর রণবীর খালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা। তবে এ সব কাজ তো সময়সাপেক্ষ। আমরা সকলকে বলেছি, যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া শুরু করতে।’’ খাল সম্প্রসারণের পাশাপাশি কাঠুয়া, রবি, পরাগওয়ালের মতো খালগুলিতে পলি সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। এতে নদীগুলির জলধারণের ক্ষমতা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসে পাকিস্তানের যোগ উঠে আসে। তখনই স্থগিত করা হয় সিন্ধুচুক্তি। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের সমর্থনে ব্যাটিং পাক-অভিনেতাদের! বলিউডের তিন খান কেন নেই সেনার পাশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটককে বেছে বেছে খুন করা হয়। হত্যা করার আগে তাঁদের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। ধর্ম নিশ্চিত করা হয়। নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল ধর্ম নিশ্চিত করতে। নৃশংসভাবে এই হত্যালীলা চালানোর পরেও হামলা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি (Operation Sindoor) বলিউডের তিন খান। তিন খানের কাছ থেকে কোনও রকমের প্রতিবাদ না আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হিন্দু পুরুষদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে, তারপরে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। সারা দেশ সহানুভূতি জানিয়েছিল। সমবেদনা জানিয়েছিল। সেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে কোনওরকমের সমবেদনা জানায়নি কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ থেকেছে বলিউডে (Bollywood) তিন খান। অতীতের যে কোন ইস্যুতে যাঁরা আওয়াজ তুলেছেন। গলা ফাটিয়েছেন, তাঁদের এই নীরবতাতে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে।

    ১৯৪৮ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ করে পাকিস্তান

    তবে ১৯৪৮ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে, তখন রাজ কাপুর, আইএস জোহর, গীতা বালি, নার্গিস, কামিনী কৌশলের মতো অনেক বড় অভিনেতারা ভারতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ নেমেছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের কিশোর কুমার, সুনীল দত্ত, নার্গিস, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রেহমান এনারাও (Bollywood) ভারতের সৈন্যদলের মনোবল বাড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা সেই সময় অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন সেনার জন্য।

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অর্থ সংগ্রহ করে বলিউড

    একই চিত্র সামনে এসেছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও। এই সময়ে কিশোর কুমার, শাম্মি কাপুর, লতা মঙ্গেশকর, ওয়াহিদা রহমান, কল্যাণজি-আনন্দজি, নার্গিসের মতো অভিনেতারা বাংলাদেশের জন্য ত্রাণ কমিটি গঠন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে বলিউডের তারকাদের (Operation Sindoor) মধ্যে এতটাই ক্ষোভ ছিল যে নানা পাটেকার সৈন্যদের সমর্থন করতে সরাসরি গিয়েছিলেন সেখানে।

    ২০২৫ সালে নিশ্চুপ থেকেছে বলিউড

    এবার আমরা যদি ২০২৫ সালের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও অনেকেই। এমন সময় ভারতবর্ষের (Operation Sindoor) বলিউডের অভিনেতারা এনিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেন নি। তাঁরা নিজেদের কাজেই মনোনিবেশ করেছেন। এরাই সেই বলিউড অভিনেতা, যাঁরা ২০১৮ সালে কাঠুয়া মামলায় গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ছবি তুলেছিলেন কিন্তু চুপ রয়েছেন পহেলগাঁওকাণ্ডে। বলিউড অভিনেতারা দেশের জন্য দুটি লাইন লিখতে পারেননি।

    পাকিস্তানের অভিনেতারা দেশের পাশেই

    অন্যদিকে পাকিস্তানের নামী অভিনেতারা, তাঁদের দেশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেক অভিনেতা আবার ভারতে কাজও করেছেন। যেমন ‘সনম তেরি কসম’- এই ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন যাঁরা সেই ফাওয়াদ খান, হানিয়া আমির, মাহিরা খানরা ভারতকে কাপুরুষ বলেও তোপ দেগেছেন। সবথেকে আশ্চর্যজনক কথা হল, পাকিস্তানি এই অভিনেতাদের ভারতেও প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। তার চেয়েও আশ্চর্যজনক কথা হল, বলিউডের অভিনেতারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি।

    ছবির প্রচারে জন্য ভারতের প্রশংসা করছে আমির খানের টিম!

    একইভাবে আমির খানও দীর্ঘদিন চুপ করে ছিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন ছবি আসছে ‘সিতারে জামিন পর’। এই আবহে দিন কয়েক আগে তাঁর টিম ভারতের প্রশংসা করতে শুরু করে। একই পথে হেঁটেছেন তুষার কাপুরও। নিজের সিনেমার প্রচারের জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় তাঁকে তুরস্কের বয়কট সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তবে তা তিনি এড়িয়ে যান। তবে শুধু এটুকু বলেন যে ভারতের সঙ্গে তিনি আছেন।

    যুদ্ধ বিরতি নিয়ে পোস্ট, নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সলমন

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হতেই বলিউড অভিনেতা সলমন খান অভিনন্দন জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন। এনিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই তিনি টুইট ডিলিটও করেন। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখে কোনও কথা না বললেও যুদ্ধ বিরতিতে সরব হন সলমন। এক্স হ্যান্ডেলে সলমন খান লেখেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’ এরপরই এক্স ব্যবহারকারীদের একাংশ অভিনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেতা। এখন সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে হঠাৎ কেন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন? ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে একটাও টুইট নেই কেন?’’, ‘‘আপনি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি!’’, এমন অনেক মন্তব্য আসতে থাকে তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে।

  • India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়, যাতে এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই হামলার পর থেকে ফের পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।

    পুরনো ছবি ব্যবহার করে প্রচার

    পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন যে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব বিমান আকাশে সক্রিয় রয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব হামলা ভারতের নিজস্ব আকাশসীমা থেকেই পরিচালিত হয়েছে। ভারতের সামরিক অভিযানে তাদের য মুখ পুড়েছে, সেই লজ্জা ঢাকতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো নানা মিথ্যা প্রচার চলছেই, পাক সরকার ঘেঁষা সংবাদমাধ্যমগুলিও একই প্রচার করে চলেছে। কোথাও কোথাও রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপারেশন সিন্দুর-এর পাল্টা নাকি পাকিস্তান শ্রীনগর এয়ারবেসকে টার্গেট করেছে। কিন্তু, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘একটা ভিডিয়ো একাধিক পাকিস্তানপন্থী হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করছিলেন। মিথ্যে করে বলা হচ্ছিল পাক বিমানবাহনী শ্রীনগর এয়ারবেসকে নিশানা করেছে। কিন্তু পিআইবি জানিয়েছে, এই ভিডিও ভারতের নয়। এটি ২০২৪ সালের পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখাওয়ার একটা সংঘর্ষের ভিডিও।

    পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ টিভি’ জানিয়েছে, “ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী এবং দুইটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।” একইভাবে, পাকিস্তানের ‘এআরওয়াই নিউজ’ পুরনো ছবি ব্যবহার করে সেগুলোকে বর্তমান ঘটনার ছবি বলে প্রচার করছে। আবার, পাকিস্তানি সোশ্যাল হ্যান্ডলে এও দাবি করা হয়, ভারতের মধ্যে ১৫টি জায়গায় পাল্টা আঘাত হেনেছে পাকিস্তানি সেনারা। এমনকী এর সঙ্গে ভারতীয় সেনার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করেছে পাকিস্তানি সেনারা। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। পিআইবি জানিয়েছে যে, এই ধরনের যাচাই না করা তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সঠিক তথ্যের জন্য শুধুমাত্র ভারত সরকারের সরকারি উৎসের উপরে নির্ভর করা দরকার।

    রাফাল নয় মিগ ২৯ 

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার আবহে এক ভুয়ো ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তুমুল হারে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান একটি ভারতীয় রাফাল জেট ভেঙে ফেলেছে পুঞ্চ সেক্টরের কাছে। কিন্তু এই দাবি একেবারেই মিথ্যা। ভারতীয় সেনা প্রমাণ করে দিয়েছে, এটি রাজস্থানের বারমের জেলায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনায় পড়া একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের ছবি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এটিকে বর্তমান অভিযানের ছবি হিসেবে ভুলভাবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের দাবি বর্তমান ভারতীয় অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এয়ারস্ট্রাইকটি ছিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তরে একটি জবাব, যা মূলত সীমান্তপারে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হয়।

    বিভ্রান্তি ছড়ানোই লক্ষ্য

    পাকিস্তানের অনেক সাংবাদিক ভারতের বিমান হামলার পর ইয়েমেনের সানায় হওয়া বিমান হামলা, গাজায় ইজরায়েলি হামলা এবং সিরিয়ায় হওয়া ধ্বংসযজ্ঞের ছবি শেয়ার করছেন। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় কান্নারত শিশু এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, যারও কোনও ভিত্তি নেই। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে এবং অকারণে আতঙ্ক ছড়ায়। সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে—যে কোনো ভিডিও বা তথ্য যাচাই করে তবেই শেয়ার করুন।

  • PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইচ্ছাতেই নদীর জল বইবে এবং থামবে। ভারতের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে সেই জল। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল (PM Modi on Indus Water Treaty) করা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ভারতের জল বইবে ভারতের স্বার্থেই। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তান শুকিয়ে মরলেও সিন্ধুর জল নিয়ে আগে দেশবাসীর কথা ভাববে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ চাপানউতর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল।

    প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে নদী সংযুক্তিকরণ শুরু করেছে। কেন-বেতোয়া সংযুক্তিকরণ, পার্বতী-কালীসিন্ধ-চম্বল সংযুক্তিরণের কাজ চলছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজকাল তো সংবাদমাধ্যমে জল নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। আপনারা খুব দ্রুত বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন। আগে ভারতের হকের জল বাইরে যেত। কিন্তু এখন ভারতের জল ভারতের কথায় বইবে। যদি কোথাও থামাতে হয়, সেটাও দেশের স্বার্থে থামানো হবে। ভারতের জল শুধু ভারতেরই কাজে লাগবে।’’ পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। আগামী দিনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে যে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসবে না নয়াদিল্লি, সেটা মোদির কথাতেই স্পষ্ট। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি ভারত মানছে না। ভারতের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চুক্তির উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। সেকারণেই এই চুক্তি বাতিল করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছেন জলশক্তি মন্ত্রী

    ভারতের জল যাবে না পাকিস্তানে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বিস্তারিত রোড ম্যাপ তৈরির পরই এই ঘোষণা করেছেন জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল (CR Patil)। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী দিনে ভারত থেকে এক ফোঁটা জল পাবে না পাকিস্তান। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিআর পাটিল বলেন, ‘‘হোম মিনিস্টারের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান যাতে ভারতের থেকে এক ফোঁটা জল না পায়, সেই জন্য কম, মাঝারি ও দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নদীর পলি তোলার কাজ শুরু করে গতিপথ পরিবর্তন করা হবে।’’

    সিন্ধু জলচুক্তি কী

    ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত। এবার পহেলগাঁও হামলার পরে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত চরম পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছে কাশ্মীর

    সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬০ সালের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি কাশ্মীরের জন্য সবথেকে বৈষম্য়মূলক একটি নথি। অবশেষে ভারত সরকার পদক্ষেপ করল। আমরা কখনওই এই চুক্তির সঙ্গে সহমত ছিলাম না। কাশ্মীরবাসী বরাবর এই চুক্তির বিরোধিতাই করেছে। এক্ষেত্রে আমরা মোদি সরকারের পাশ আছি।’’

    দেশবাসীর স্বার্থই সবার আগে

    এদিনের অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যর্থতা এবং তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগের সরকার বড় পদক্ষেপ করতে পারত না। চিন্তা করত দুনিয়া কী ভাববে? ভোট পাওয়া যাবে কি যাবে না? কুর্সি থাকবে কি থাকবে না? ভোট ব্যাঙ্ক ধসে যাবে না তো? কিন্তু আমরা সংস্কার করেছি, নানা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই তিন তালাক প্রথা রদ করার কথা উল্লেখ করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের সরকারি সিদ্ধান্তও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে অন্যেরা ভারতকে কেবল একটি বাজার হিসাবে দেখত। কিন্তু এখন ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে। তা কেনে অন্য দেশ। নিজের জোরে ভারতের কাছে এখন রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস নীলগিরির মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ।’’ তিনি আরও দাবি করেন, গত এক দশকে ২৫ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের সীমার বাইরে আনা হয়েছে। ‘মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে ছোট উদ্যোক্তারা সরকারী ঋণ পেয়ে নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, যা গণতন্ত্রের কার্যকারিতার দৃষ্টান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একমাত্র নীতি হওয়া উচিত দেশ সবার আগে।’’

  • India Pakistan Conflict: যুদ্ধের আবহে বুধে দেশজুড়ে মক ড্রিল! বাংলার কোথায় কোথায় মহড়া, কী কী হবে বলল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    India Pakistan Conflict: যুদ্ধের আবহে বুধে দেশজুড়ে মক ড্রিল! বাংলার কোথায় কোথায় মহড়া, কী কী হবে বলল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে (India Pakistan Conflict) কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না, সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতার পাঠ দিতে দেশ জুড়ে মক ড্রিল (MHA Orders for Mock Drill) হতে চলেছে বুধবার। দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি জেলার ৩১টি জায়গাও। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। দেশের সব রাজ্যকে পাঠানো নির্দেশে মূলত বিমান হামলা হলে কী ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিশেষ নজর উত্তরবঙ্গে

    বাজবে সাইরেন। নিভে যাবে সব আলো। যুদ্ধ শুরু হলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবে জনগণ? সেই বিষয়েই মানুষকে সর্তক করতে বুধবার অর্থাৎ ৭ মে, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আগামিকাল রাজস্থান, গুজরাট, পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সীমানা এলাকায় মহড়া বা মক ড্রিলে বিশেষ জোর দেবে শাহের মন্ত্রক। মহড়া চলবে বাংলার একাধিক এলাকাতেও। বিশেষ নজর থাকবে উত্তরবঙ্গে। সাধারণ ভাবেই, নানা সময় সন্ত্রাসবাদীদের ট্রানজিট রুট এই উত্তরবঙ্গই হয়ে থাকে, সেই ভিত্তিতেই বাংলার ‘মাথায়’ বেশি জোর দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    কোথায় কোথায় মক ড্রিল

    সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশের পর মঙ্গলবার সকালে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবেরা। তার পরই কোথায় কোথায় মক ড্রিল হবে সেই জায়গার তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম, ওড়িশা, আন্দামানেও হবে মক ড্রিল। এই মক ড্রিল-তে মূলত তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন গুজরাটের সুরাট, ভদোদরা এবং কাকরাপার প্রথম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। মহারাষ্ট্রের মুম্বই, উড়ান এবং তারাপুরকেও মহড়ার ফার্স্ট ক্যাটাগরিতেই রাখা হয়েছে। কী ভাবে এই মহড়া পরিচালন করা হবে তা নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ রাজ্যের প্রশাসনকে দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    বাংলার কোন কোন জায়গায় মহড়া

    তালিকায় রয়েছে বাংলার ৩১টি এলাকা। সেগুলি হল— কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফারাক্কা-খেজুরিয়াঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়ং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ। মোট তিনটি বিভাগ, ক্যাটেগরি এক, দুই এবং তিনে ভাগ করে মহড়া চালাতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরির সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডেরা। এ ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের।

    মহড়ার সময় কী কী জিনিস সঙ্গে রাখবেন

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলেছে, তার মধ্যে রয়েছে— বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা, নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সাধারণ মানুষ, বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে, হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান হামলার সাইরেন এবং ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে কী করতে হবে সেই বিষয়েই মহড়ায় নির্দেশ দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। যেমন এমন পরিস্থিতিতে হাতের কাছে টর্চ এবং মোমবাতি সহ চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে। ব্ল্যাক আউটে যাতে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা সমস্যায় না পড়েন তার জন্যেও প্রস্তুতি আলোকপাত করবে এই মক ড্রিল। একইসঙ্গে অনলাইন পেমেন্টে অভ্যস্ত নাগরিকদের এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় নগদ টাকাও তুলে রাখার বিষয়ে সতর্ক করা হবে। কারণ এমন পরিস্থিতিতে যদি এটিএম, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হয় সেক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।

    সিভিল ডিফেন্স প্রোটোকল সম্পর্কে শিক্ষা

    রাজ্যগুলিকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী বুধবারের মহড়ায় খতিয়ে দেখে নিতে হবে যে, বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না। পাশাপাশি রাতে হামলার ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়া মাত্র যাতে হঠাৎ করে সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়ে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ করে শত্রু বিমানবাহিনীকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যায়, তারও মহড়া সেরে রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে সম্ভাব্য হামলা থেকে যথাসম্ভব ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন, সেতু, তেলের ডিপো, রেলস্টেশন বা বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো আগে থেকেই ঢেকে দেওয়া বা সেগুলিকে যথাসম্ভব লুকিয়ে ফেলার প্রস্তুতিও সেরে রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। এ ছাড়া সিভিল ডিফেন্স বা অসামরিক প্রতিরক্ষা প্রোটোকল সম্পর্কে নাগরিক ও পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, হামলার সময়ে বা জরুরি অবস্থায় নাগরিকদের যথাসম্ভব সমন্বয় রেখে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রশ্নে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বানিয়ে তা অভ্যাস করে রাখতেও বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এ জন্য জেলাশাসক, অসামরিক প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক, হোমগার্ডদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

  • Sunil Gavaskar: এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়তে পারে পাকিস্তান! পহেলগাঁও হামলা প্রভাব ফেলবে পাক ক্রিকেটে, দাবি গাভাসকরের

    Sunil Gavaskar: এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়তে পারে পাকিস্তান! পহেলগাঁও হামলা প্রভাব ফেলবে পাক ক্রিকেটে, দাবি গাভাসকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়তে পারে পাকিস্তান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা পাক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, এমনই দাবি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar)। এমনকী তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে ফেলার পক্ষেও সওয়াল করেছেন।

    কী বললেন গাভাসকর?

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে গাভাসকর (Sunil Gavaskar) বলেন, ‘‘বিসিসিআই সবসময় ভারত সরকারের কথা অনুযায়ী চলে। তাই আমি মনে করি না এশিয়া কাপের ক্ষেত্রেও এর কোনও বদল হবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আয়োজক। তাই এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হবে তার উপর। আমি তো কোনওভাবেই পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের অংশ হতে দেখছি না। আসলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কেমন থাকে, তার উপর অনেককিছু নির্ভর করছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যা ঘটছে তাতে যদি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে যায়, তবে মোটেও অবাক হব না। যদি দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির থাকে, তবে দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন।’’

    কী বললেন গাভাসকর?

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করছেন। কিন্তু এর পরিণতি পাকিস্তানকে ভোগ করতে হতে পারে। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বিসিসিআই-ও পাহেলগাঁও আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে পারে। আসলে, এশিয়া কাপ এই বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং এর আয়োজক দেশ ভারত। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। সন্ত্রাস আর ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না বলে অভিমত সানির। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহ দুই দেশের ক্রিকেটের ওপরেও বড়ো প্রভাব ফেলেছে। এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে লড়াই করতে দেখা যাবে কিনা তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই আসন্ন এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) আয়োজনের বিষয়টিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে ভারত। এইরকম আবহে সুনীল গাভাস্কারের (Sunil Gavaskar) গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যে চাপের মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট। তার করা বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।

  • UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জেরে তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এহেন আবহে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এদিনের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার কোনও যোগ রয়েছে কিনা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।

    পাকিস্তানের অনুরোধেই বৈঠক(UNSC)

    বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। সূত্রের খবর, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান (UNSC)। পাকিস্তানের অনুরোধেই ওই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক চলে ঘণ্টা দেড়েক ধরে। বৈঠক শেষে বিভিন্ন দেশের দূতেরা আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

    জঙ্গি হামলার নিন্দা

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এদিনের বৈঠকে জঙ্গি হামলার নিন্দা করা হয়েছে। জঙ্গিরা যেভাবে পর্যটকদের হত্যা করেছে, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকদের অনেকে। পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলছে বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে, তাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মিটমাট করার জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈবা হল একটি পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। এই লস্করেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ওই জঙ্গি সংগঠন। পরে ফের নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি বিবৃতিও দেয় তারা। তাতে জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার দায় তাদের নয়। এই আবহেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লস্কর সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “এখনই চূড়ান্ত সংযম প্রদর্শনের সময়। উভয় দেশের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এটাই আমার বার্তা ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই (Pahalgam Attack)। কোনও সামরিক সমাধানই প্রকৃত সমাধান নয় (UNSC)।”

    পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ বৈঠকের পরে বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমরা একাধিক ইস্যু উত্থাপন করেছি। ভারত এক তরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের বিরুদ্ধেই (Pahalgam Attack)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারত নিজেরাই এই হামলা করিয়ে থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির কোনও সদস্যই ইসলামাবাদের দাবি মানতে চায়নি। উল্টে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি এই জঙ্গি হামলার দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। এমনকি, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুর বন্ধু যে চিন, তারাও এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে এড়িয়ে যায়।

    ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন?

    পহেলগাঁওয়ে যে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিও ওঠে (UNSC)। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান কেন ক্রমাগত মিসাইল টেস্ট করে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কিছু দেশ। বস্তুত, ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে বৈঠক ডাকতে জোরাজুরি করেছিল পাকিস্তানই। সেই বৈঠকে নিজেই চাপে পড়ে গেল ভারতের পড়শি এই দেশটি। এদিন বৈঠক শেষে তিউনিসিয়ার নেতা খালেদ মহম্মদ খিয়ারি বলেন, “আলোচনা ও শান্তি বজায় রেখে বিবাদ মেটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।” খালেন খিয়ারি হলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাকে তিনি অস্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন (UNSC)। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা এক রুশ কূটনীতিক বলেন, “আমরা উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছি।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর থেকে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও। ভারতকে (Pahalgam Attack) বিপাকে ফেলতে নানা পদক্ষেপ করেছে ইসলামাবাদও। তার পরেও সোমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (UNSC)।

  • India Pakistan Conflict: সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী পোস্ট? নেটপ্রভাবী, প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    India Pakistan Conflict: সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী পোস্ট? নেটপ্রভাবী, প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India Pakistan Conflict) আবহে জাতীয় স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরে কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বা সমাজমাধ্যম প্রভাবী দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মনে করছে সরকার। সম্প্রতি এমনটাই বলল সংসদীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই কমিটির মাথায় আছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই ধরনের ইনফ্লুয়েন্সার এবং প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সে সম্পর্কে জানতে দুটি মন্ত্রকের কাছে বিশদ বিবরণ চেয়েছে প্যানেল।

    জাতীয় ঐক্যে ফাটল নয়

    কমিটির আশঙ্কা, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ও প্রভাবশালী (influencers) এমন কনটেন্ট ছড়াচ্ছেন যা সহিংসতা উস্কে দিতে পারে এবং জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে। তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড বর্তমান সাইবার আইন এবং নৈতিক মিডিয়া নীতিমালার লঙ্ঘন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে কমিটির তরফে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রককে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির মাধ্যমে আইটি আইন, ২০০০ এবং তথ্য প্রযুক্তি (মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা এবং ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) বিধি, ২০২১-এর অধীনে এই ইন্ফুলেন্সারদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। পিটিআই সূত্রে খবর, চিঠিটি দুই মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ৮ মে-র মধ্যে বিশদ তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

    ডিজিটাল কথোপকথনের উপর নিয়ন্ত্রণ

    সংসদীয় কমিটির এই পদক্ষেপ সরকারের ডিজিটাল কথোপকথনের উপর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করার অভিপ্রায় স্পষ্ট করছে, বিশেষ করে জাতীয় সংকটের (India Pakistan Conflict) সময়ে। ব্যবহারকারীদের পোস্ট ছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর কনটেন্ট মডারেশন নীতি, প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা ও ভারতীয় আইনের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের একাধিক ইউটিউব চ্যানেল, সংবাদ পোর্টাল, ইনফ্লুয়েন্সারদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ভারতে। তথ্য যুদ্ধে পাকিস্তানকে মাত দিতে ভারতীয় মিডিয়ার উদ্দেশে নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার। তাতে বলা হয়েছে, কোনও ভাবে যেন সেনার কোনও অবস্থান বা গতিবিধি সোশ্যাল মিডিয়া বা খবর আকারে প্রকাশ না করা হয়। এর ফলে শত্রুপক্ষেরই সুবিধা হবে। এছাড়া ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলিতে যাতে ‘ভারত বিরোধী’ পাক অতিথিদের আমন্ত্রণ না জানানো হয়, এই জন্যে নির্দেশিকা জারি করেছে এনবিডিএ।

  • India Pakistan Conflict: যুদ্ধের সাইরেন বাজলে কী করবেন? একাধিক রাজ্যে মক ড্রিলের দিন ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    India Pakistan Conflict: যুদ্ধের সাইরেন বাজলে কী করবেন? একাধিক রাজ্যে মক ড্রিলের দিন ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু যুদ্ধ-প্রস্তুতি! ১৯৭১-এর পরে এই প্রথম! একাধিক রাজ্যকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহরা চালানোর নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA Orders for Mock Drill)৷ আগামী ৭ মে, বুধবার ওই সমস্ত রাজ্যকে মহড়া (India Pakistan Conflict) দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷ যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য রাজ্য প্রশাসন ঠিক কতখানি প্রস্তুত তা যাচাই করার জন্যই এই নির্দেশ বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রের খবর৷ কার্যত কোনও হামলা হলে তার জন্য কী করতে সেটাই জানা যাবে এই মক ড্রিলে। সেটাই শিখে নিতে হবে সাধারণ মানুষকে। তার জন্যই আগাম অনুশীলন।

    কোন কোন রাজ্যকে নির্দেশ

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে (MHA Orders for Mock Drill) খবর, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে অমিত শাহের মন্ত্রক বেশ কয়েকটি রাজ্যকে আগামী ৭ মে, অর্থাৎ বুধবার মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজস্থান, গুজরাট, পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিমান্ত এলাকায় এই মহড়া চালানো হতে বারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চলবে। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। গত সপ্তাহে নৌসেনা এবং বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন সরকারি সূত্রে দাবি, জঙ্গিদমনে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি হিসাবেই প্রতিরক্ষা বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, তার পরেই কয়েকটি রাজ্যকে মহড়ার নির্দেশ দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। বুধবারের মক ড্রিলের আগে, আজ অর্থাৎ, মঙ্গলবার ৬ মে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। ওই বৈঠকে রাজ্যগুলির অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারাও যোগ দেবেন। এছাড়া, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রেল বোর্ডের কর্তারা এবং আকাশ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    কী কী হবে এই মক ড্রিলে?

    ১) এয়ার রেড সাইরেনকে কার্যকরী করতে হবে।

    ২) যে কোনও সময় ব্ল্যাক আউট করে এই মকড্রিল করা হতে পারে।

    ৩) বিশেষ বিশেষ কারখানাকে, সংস্থাকে ক্যামোফ্লেজের আওতায় রাখার কথা বলা হয়েছে।

    ৪) যে কোনও হামলার সময় নিজেদের নিরাপদে সরিয়ে বাঁচানোর জন্য সাধারণ নাগরিক এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া

    ৫) সাধারণ মানুষকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই প্ল্যান তৈরি ও তার রিহার্সাল

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় (MHA Orders for Mock Drill) বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরির সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডেরা। এ ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর শুধু জঙ্গি নয়, যারা সন্ত্রাসবাদের মদত দেয়, তাদেরও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘যারা বন্দুকের ট্রিগার চেপেছিল এবং যারা সেই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল— কাউকে রেয়াত করা হবে না!’’ এ-ও বলেছেন, ‘‘জঙ্গি হামলার কঠোর জবাব দেবে ভারত। আমার বিশ্বাস পহেলগাঁওয়ের ঘটনা দেখে প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে।’’ সোমবার, প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ফিরোজপুরে মকড্রিল

    ইতিমধ্যেই গত রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্য়ে প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য় পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে সব আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট ড্রিল’ করেছে সেনাবাহিনী। সেই সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। যতক্ষণ এই ড্রিল চলে ততক্ষণ হুটার বাজছিল। এই সময়ের মধ্য়ে কোথাও ইনভার্টার বা জেনারেটর চালানো হয়নি। পুরো অন্ধকারে ডুবে ছিল এলাকা। আগাম অনুরোধ করেই এটা করা হয়। রাস্তায় গাড়ির আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ছিল পুলিশের পাহারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আগে থেকেই এ নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, তাঁরা যেন আলোকিত বা দূর থেকে চোখে পড়ে এমন কোনও বস্তু বা আলো ব্যবহার না করেন ওই সময়টুকু। সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা বিপক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে বিস্তীর্ণ এলাকার আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস

    পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব কড়া ভাবেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। রবিবার দিল্লিতে আয়োজিত সংস্কৃতি জাগরণ মহোৎসব অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জানেন, ওঁর কাজের ধরন ও দৃঢ়তার সঙ্গেও সকলে পরিচিত। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যা আপনারা চাইছেন, তা নিশ্চিত ভাবেই হবে।’’ পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পহেলগাঁও হামলার কড়া জবাব দেওয়া তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও দাবি করেছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব হল সেনার সঙ্গে মিলে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা এবং যারা আমাদের দেশে হামলা করার সাহস দেখায়, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া।’’

    যুদ্ধ সময়ের অপেক্ষা!

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারত পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (India Pakistan Conflict) চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে৷ গত ২২ এপ্রিল থেকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাতে ‘ব্ল্যাকআউট’ ড্রিলের পরে বাসিন্দারা স্বাভাবিক ভাবেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। তাহলে কি যুদ্ধ যে কোনও সময়েই লাগতে পারে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশিকায় তেমনই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল৷

LinkedIn
Share