Tag: Pahalgam attack victims

  • Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। প্রয়োগ করা হয়েছে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপক বেড়েছে এরপরেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারতের সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মূলত, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমানা রয়েছে সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করেন শান। তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও।

    পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোন কোন রাজ্য ছিল বৈঠকে?

    এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং সচিবরাও হাজির ছিলেন। কেন এই বৈঠক আয়োজিত হল? জানা যাচ্ছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান সেনা ক্রমাগত গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এমন সময় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে আনার নির্দেশ দেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন এই সময় সমাজমাধ্যমে দেশবিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই তার বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী, বিএসএফ প্রধান, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অমিত শাহ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) নিয়মিত ভাবেই বিএসএফ-র প্রধান দলজিৎ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবারই ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরও পাকিস্তান জঙ্গি দমনের কোনওরকমের চেষ্টাই করেনি। সেই কারণেই প্রয়োগ করা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ওই সাংবাদিক বৈঠকে এও জানানো হয়, এই অভিযানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি।

  • Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারগুলি অপারেশন সিঁদুরকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ করার জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শহিদ পরিবারগুলি। তাঁরা আরও বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর তাঁদের ভরসা ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহতদের পরিবারগুলি ভারত সরকারের প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। সবমিলিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন।’’

    প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বলছেন পহেলগাঁওয়ে নিহতের কন্যা

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হন সন্তোষ জগদল। তাঁরই মেয়ে আশাভরি জগদল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) অনেকেই নিজেদের স্বামী এবং তাঁদের বাবাকে হারিয়েছেন। কিন্তু তা বৃথা যায়নি, ভারত নিহতদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর নাম শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আশাভরি জগদল

    আশাভরি জগদল আরও বলেন, ‘‘ভারত পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিশোধ নিতে পেরেছে। এই মিশনের নাম অপারেশন সিঁদুর শুনে আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে এসেছিলেন নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেসময় দেখেছিলাম স্বামীহারা মহিলার কান্নাকাটি করছিলেন। হাহাকার করছিলেন। আমার মনে হয় এই কারণেই অভিযানের সঙ্গে এমন নাম যুক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৫ দিনের মধ্যে এই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের পরে ভারত-পাকিস্তানের এতটা ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন সন্তান হারা পিতা

    অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় এক নিহতের পিতা মনোজ দ্বিবেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অবশেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। ২২ এপ্রিল যখন আমাদের সন্তানের (Pahalgam Attack) জীবন যায়, তখনই আমরা বলেছিলাম যে প্রত্যাঘাত আসতে চলেছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে কঠোরতম পদক্ষেপ করবেন। আজ সেনাবাহিনী আমাদের সন্তানকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং তার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’

    পহেলগাঁওয়ে নিহত লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়ালের মা কী বলছেন?

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী (Pahalgam Attack) হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এই অভিযানের মাধ্যমে।’’

    মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমরা চুপ করে বসে থাকব না

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সন্তোষ জগদলের দলের স্ত্রী প্রগতি জগদল বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমার মনে হয় অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাবেন।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। তারা জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করার জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কোনও রকমের পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি।

    সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি

    বুধবার সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দারা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয় প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা দেশের সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সত্যি কৃতজ্ঞ।’’ বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর-এ অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে দেখান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

LinkedIn
Share