Tag: Pahalgam Attack

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে পাক সেনায় বিদ্রোহের খবর মিলেছে! বুধবার মধ্যরাতে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত আক্রমণ করবেই। এর পরেই একাধিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেনাপ্রধান মুনিরকে ঘিরে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে সেদেশে। সূত্রের খবর, পাক সেনায় গণ-ইস্তফার হিড়িক লেগে গিয়েছে। ইতিমধ্যে, ২৫০ অফিসার ও সাড়ে ৪ হাজার জওয়ান ছুটি চেয়েছেন বা ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পাক প্রশাসন। ইস্তফা রুখতে জরুরি নির্দেশ জারি করেছে সেনা-আইএসআই। এদিকে, আকাশপথে ভারত আক্রমণ করতে পারে ধরে নিয়েই, সীমান্তে রেডার সিস্টেম বসিয়েছে (Pahalgam Attack) পাকিস্তান।

    ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই বিপুল সংখ্যক পদত্যাগের ফলে প্রচুর সামরিক পদ পাকিস্তানে খালি হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই সৈন্যদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত তাদের দ্বাদশ কোরের ২০০ জন অফিসার এবং ৬০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন (Pahalgam Attack) বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে নর্দার্ন কমান্ড এরিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি অফিসার এবং ৫০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মঙ্গল কোরের ৭৫ জন অফিসার এবং ৫০০ জনেরও বেশি সৈন্য পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন।

    ভাইরাল গোপন চিঠি

    এমন গণপদত্যাগের খবরের মধ্যেই একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অন্দরে। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তাতেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলেই পদত্যাগের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। ওই চিঠিতে সৈন্যদের ভয় না পেতে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনার (Indo Pak War) উদ্দেশে বলা হয়েছে, তারা যেন এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মনোবল অক্ষুন্ন রাখে। ওই চিঠিতেই আহ্বান জানানো হয়েছে, সৈন্যরা যেন অর্ধচন্দ্র এবং তারার নিচে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। ওই চিঠিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তোমরা আমাদের শহিদের উত্তরাধিকারী। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে যারা পদত্যাগ করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, যাঁরা পদত্যাগ করতে চাইবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের পাকিস্তান সেনা আইনের অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ফাঁস করল কারা?

    কিন্তু পাকিস্তানের এমন গোপন চিঠির ফাঁস হলই বা কীভাবে? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Pahalgam Attack) ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই কারণে এমন ফাঁসের খবর সামনে এসেছে। বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং প্রাক্তন জেনারেল ফাইজ আহমেদ ও কামার জাভেদ- এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিভেদের কারণেই চিঠি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। একদিকে ভারতের প্রত্যাঘাতের তীব্র আশঙ্কা, তারপর দেশের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা, বেহাল অর্থনীতি, খাদ্য সংকটের পরে এবার জুড়ল এই পাকিস্তান (Indo Pak War) সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ অসন্তোষ।পহেলগাঁও হামলার পরপরই একের পর এক গরম গরম কথা বলতে শোনা গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রীকে। পরমাণু হামলার হুমকিও দিতে দেখা গিয়েছে তাদের। তার মধ্যেই এই ঘটনায় স্পষ্ট যে তাঁরা সবাই ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছিলেন। কারণ ময়দানে তো নেতা মন্ত্রীরা যুদ্ধ করবেন না। লড়াই করবে পাক সেনা। তারাই এখন পিছিয়ে যাচ্ছে ভয়ে।

    দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভূ রাজনৈতিক অস্থিরতাও বাড়িয়ে তুলেছে পহেলগাঁও হামলা

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের পরেই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় (Pahalgam Attack)। শুধু তাই নয়, এই হামলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। এই আবহে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। সীমান্ত বন্ধ করেছে। এর ফলে ইসলামাবাদকে কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই আবহে বুধবারই এক উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। কোথায় কখন হামলা হবে তা ঠিক করতে।

    পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে

    এখন একটা প্রশ্নই উঠছে বারবার,পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জওয়ানরাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও গণইস্তফা দিচ্ছেন। এখন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে, তা পরিচালন করবে কে, তা নিয়েই চিন্তিত পাকিস্তান। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এক মাস আগেই পাকিস্তানি সেনার জুনিয়র অফিসার ও সেনারা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, আসিম মুনিরের নেতৃত্ব ভালো লাগছে না তাঁদের। শুধু তাই নয়, তাঁকে পদ থেকে না সরালে, বিদ্রোহ শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাক সৈন্যদের একাংশ। এবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর যেখানে দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ আবহ তৈরি হয়েছে, সেখানেই পাক সেনার গণইস্তফা একদিকে চিন্তা, অন্যদিকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে।

    আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের, সীমান্তে বসছে রেডার সিস্টেম

    অন্যদিকে, আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের। তারা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও করেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলার ঠেকাতে সীমান্তে রেডার বসাচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী শিয়ালকোট সীমান্তে রেডার সিস্টেমগুলিকে বসাচ্ছে। ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলা ঠেকাতে সেদেশের চোর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান টিপিএস-৭৭ রেডার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এই চোর ক্যান্টেনমেন্ট হল নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলার পরে এই আবহে টানা পঞ্চম বার পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালাল। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারতের যুদ্ধ মহড়া চলছেই। একসঙ্গে স্থলবাহিনী নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তীব্র উত্তেজনার মাঝে সেদেশের যুদ্ধ বিমানগুলিকে করাচি থেকে লাহোর এবং সে দেশের উত্তরের রাওয়ালপিণ্ডির দিকে ঘাঁটির দিকে রওনা হতে দেখা গিয়েছে। গত সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ জানিয়েছিলেন, ভারত সামরিক হামলা চালাবেই।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

  • India: ‘একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’! হাতিয়ার পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, রাষ্ট্রসংঘে ইসলামাবাদকে তুলোধনা ভারতের

    India: ‘একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’! হাতিয়ার পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, রাষ্ট্রসংঘে ইসলামাবাদকে তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিশ্বের দরবারেও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা করে তাকে ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করল। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ টেলিভিশনে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন ও অর্থায়নের কথা কবুল করেছেন। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিদের ওই হামলায় রক্তাক্ত হয় ভূস্বর্গ। হত্যা করা হয় ২৮ জনকে। এঁদের মধ্যে ২৬ জনই হিন্দু। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিম যুবকও। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন এক খ্রিস্টানও।

    জঙ্গিদের মদত (India)

    সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্ক (ভোটান) চালুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি যোজনা প্যাটেল সরাসরি স্কাই নিউজকে সাক্ষাৎকারে দেওয়া পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, “সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ কীভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও সমর্থন করার পাকিস্তানের ইতিহাস স্বীকার করেছেন, তা গোটা বিশ্বই শুনেছে।”

    খাজা আসিফের স্বীকারোক্তি

    প্যাটেলের এই মন্তব্যের আগে (India) স্কাই নিউজে খাজা আসিফের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা প্রায় তিন দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে এই নোংরা কাজ করেছি। এবং ব্রিটেনসহ পশ্চিমি দেশগুলির (United Nations)। এটা ছিল একটি ভুল। এজন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যদি আমরা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরে ৯/১১-পরবর্তী যুদ্ধে যোগ না দিতাম, তাহলে পাকিস্তানের রেকর্ড ছিল সম্পূর্ণ নির্দোষ।”

    ভারতের প্রতিনিধি পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে বারবার প্রচার ছড়ানো এবং ভারতের বিরুদ্ধে অকারণ অভিযোগ তোলার অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এটি ২০০৮ সালের ভয়াবহ ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে সর্বাধিক সংখ্যক বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনা (India)।”

    এই ঘটনার পর বৈশ্বিক সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের জন্য পটেল কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, “এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জিরো টলারেন্সের প্রমাণ। আমরা আবারও জানাচ্ছি, যে সন্ত্রাসবাদের যে কোনও রূপকে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করতে হবে (United Nations)।”

  • Pahalgam Attack: রাত দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন! ভারতের ভয়ে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাদের

    Pahalgam Attack: রাত দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন! ভারতের ভয়ে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাস হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাশ্মীরে আরও বড় ধরনের হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা। মঙ্গলবার জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বস্তুত, তার পরেই আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাঁচ পদক্ষেপের জেরে এমনিতেই বেকায়দায় পড়েছে দুর্বল অর্থনীতির দেশ পাকিস্তান। এবার ভারত সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড খেলতে দেওয়ায় আক্ষরিক অর্থেই ঘুম উবে গিয়েছে পাক কর্তাদের। যার জেরে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, “আমরা নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, যা থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক হামলা চালাতে পারে।”

    মধ্যরাতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট (Pahalgam Attack)

    মধ্যরাতে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি পোস্টও করেন। লেখেন, “পাকিস্তান বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েছে ভারত চাইছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা সংক্রান্ত অ্যাকশনে নামতে পারে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার ভিত্তিহীন ও সাজানো অভিযোগের অজুহাতে তা হতে চলেছে।” পাকিস্তানের ওই মন্ত্রী তাঁর পোস্টে দাবি করেন, “একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান খোলাখুলিভাবে সত্য নিরূপণের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি নিরপেক্ষ কমিশন দ্বারা একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তির পথ অনুসরণ করার পরিবর্তে ভারত স্পষ্টতই অযৌক্তিকতা এবং সংঘাতের বিপজ্জনক পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার পরিণতি সমগ্র অঞ্চল এবং তার বাইরেও ভয়াবহ হবে।”

    কী বললেন পাক মন্ত্রী

    বরাবরের মতো এবারও ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তারার বলেন, “পাকিস্তান নিজেও বহুবার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। তাই এই বিষয়ের যন্ত্রণা আমরা ভালোই জানি। আমরা সব সময়ই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সেটা যেখানেই হোক না কেন।” তিনি বলেন (Pahalgam Attack), “ভারত এখন বিচারক, জুরি আর শাস্তিদাতা হয়ে গিয়েছে। অথচ আমরা চাই, নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা স্বচ্ছ তদন্ত হোক। এতে (Pakistan) সত্যিটা সামনে আসবে।” পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে আমরা আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্পের কথা ফের মনে করিয়ে দিচ্ছি ভারতকে।”

    মোদির হুঙ্কারে থরহরি কম্প পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিহার থেকে পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জঙ্গিদের বেঁচে-বর্তে থাকা জমিও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় চলে এসেছে।” এরপর মঙ্গলবার রাতে তিনি সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড খেলার অনুমতি দিয়ে দেন। তার পরেই প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। ভারত যে ক্রমেই পাকিস্তানের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে, তা সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলে ফেলেছেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খ্বজা মহম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, “যে কোনও দিনই পাকিস্তানে ঢুকে পড়তে পারে ভারতীয় সেনা। বিষয়টা অবশ্যম্ভাবী পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সেই কারণে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানও।”

    রাষ্ট্রসংঘের কাছে কান্না পাকিস্তানের

    সোমবার ইসলামাবাদে নিজের কার্যালয়ে বসে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বজা মুহম্মদ আসিফ বলেন, “আমাদের সেনা সামরিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। কারণ এটা (ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ) এমন একটা বিষয়, যা এখন অবশ্যম্ভাবী। তাই এমন সময় কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, সেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে (Pahalgam Attack)।” এদিকে, ভারতের হামলা করার পরিকল্পনার পর পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “এ সংক্রান্ত স্পষ্ট তথ্য পাওয়া গিয়েছে।” পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের হস্তক্ষেপও চেয়েছে (Pakistan)।

    অন্যদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমেরিকা উভয় দেশকে পরিস্থিতি আরও জটিল না করতে অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে তাদের বন্ধুদেশগুলিকেও অনুরোধ জানিয়েছে (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ৪৮টি পর্যটন স্থল। সব মিলিয়ে এখানে রয়েছে ৮৭টি পর্যটন স্থান। তারই একটা বড় অংশ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৮। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এমন আবহে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, পহেলগাঁওয়ে হামলা সফল হওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে জঙ্গিরা। তাই সক্রিয় হয়েছে উপত্যকায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কিছু স্লিপার সেল। তাদের অপারেশন শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওপর মহল থেকে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি কাশ্মীরি নন, এমন ব্যক্তিদেরও লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মারফত এমন খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তার জেরেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৪৮টি পর্যটনস্থলের দ্বার।

    বাড়ছে জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা! (Pahalgam Attack)

    গোয়েন্দা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই শ্রীনগর ও গান্ডেরবাল জেলায় বিশেষ করে স্থানীয় নন এমন ব্যক্তি, সিআইডি কর্তা-কর্মচারী এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করেছে (Jammu and Kashmir)।পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীরে ৯ জন জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর পরেই জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা আরও জোরালো হয়েছে। সেই কারণেই এবার তারা শুরু করেছে আরও বড় ধরনের হামলা চালানোর সলতে পাকানোর কাজ। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রেল পরিকাঠামোর সংবেদনশীলতা ও উপত্যকায় স্থানীয় নন এমন রেলকর্মীদের ব্যাপক (Pahalgam Attack) উপস্থিতির কারণে রেলওয়েকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই কারণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তাঁদের নির্ধারিত ক্যাম্প ও বারাকের বাইরে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিয়েছে।

    এই জায়গাগুলি ঝুঁকিপূর্ণ

    কাশ্মীর প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হল পর্যটকদের নিরাপত্তা। সে কথা বিবেচনা করেই আগেভাগে পদক্ষেপ করা হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ৪৮টি জায়গাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলি হল, শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ, বাদামওয়ারি, রাজোরি কাদল হোটেল কানাজ, আলি কাদল জেজে ফুড রেস্তোরাঁ, আইভরি হোটেল, পদশপাল রিসর্ট এবং রেস্তোরাঁ, চেরি ট্রি রিসর্ট (ফকির গুজরি), নর্থ ক্লিফ ক্যাফে এবং স্টে প্যাটার্ন দ্বারা রিট্রিট, ফরেস্ট হিল কটেজ, ইকো ভিলেজ রিসর্ট, আস্তানমার্গ ভিউ পয়েন্ট, আস্তানমার্গ প্যারাগ্লাইডিং, মামনেথ এবং মহাদেব পাহাড়, বৌদ্ধ মঠ, দাচিগাম – বিয়ন্ড ট্রাউট ফার্ম / ফিশারিজ ফার্ম এবং আস্তানপোরা (বিশেষ করে কায়াম গাহ রিসর্ট এবং লাচপাত্রি)।

    দ্বার বন্ধ

    বারমুল্লা জেলার যে পর্যটন স্থলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে, তার মধ্যে রয়েছে, উলার / ওয়াটল্যাব, রামপোরা এবং রাজপোরা, চেয়ারহার, মুন্ডিজ-হামাম-মারকুট জলপ্রপাত, খাম্পু, বসনিয়া, ভিজিটপ, বাবরেশি, শ্রুঞ্জ জলপ্রপাত, কামানপোস্ট, নাম্বলান জলপ্রপাত (Pahalgam Attack), ইকোপার্ক খাদনিয়ার, গোগলদারা, হাব্বা খাতুন পয়েন্ট, রিঙ্গাওয়ালি এবং বদরকোট। বদগাঁও জেলায় যেসব স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল ইউসমার্গ, তৌসিময়দান এবং দুধপাথরি (Jammu and Kashmir)। অনন্তনাগ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সূর্য মন্দির, ভেরিনাগ গার্ডেন, সিন্থান টপ, মারগানটপ এবং আকদ পার্ক। কুলগাঁও জেলায় বন্ধ করা হয়েছে আহরবাল এবং কাউসারনাগের দরজা। কুপওয়াড়া জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঙ্গুস, কারিওয়ান ডুবুরি চান্দিগাম এবং বাঙ্গুস ভ্যালি। গান্ডেরবাল জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাং পার্ক এবং নারানাগ। পুলওয়ামা জেলায় বন্ধ করা হয়েছে একটিমাত্র পর্যটনস্থল। সেটি হল সাঙ্গারওয়ানি।

    এনআইএ-র তদন্ত

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেও ভূস্বর্গে আসছেন পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়েও বেড়াতে আসছিলেন পর্যটকরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা রাজ্যজুড়ে জোরালো জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে। আটক করা হয় শতাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলকে (Pahalgam Attack)। গোয়েন্দারা জেনেছেন, পহেলগাঁওকাণ্ডে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের রাস্তা চিনিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় এক জঙ্গি। সেই কারণেই আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের। দুরমুশ করে দেওয়া হয়েছে ৯ জঙ্গির বাড়ি। এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণ করেছে। এনআইএর আধিকারিকরা স্থানীয় কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন। গুজরাটি পর্যটক ঋষি ভট্টের মতো যাঁরা সেদিন বেঁচে ফিরেছেন পহেলগাঁও থেকে এবং যাঁর (Jammu and Kashmir) ভিডিও ফুটেজে জঙ্গিদের ছবি ধরা পড়েছে, তাঁদেরও জেরা করা হবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার জেরে ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ (Bangladesh)। ভারতের এহেন পদক্ষেপের জেরে ভীত বাংলাদেশ সরকারও।

    বিপজ্জনক খেলা (Indus Water Treaty)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশকে ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকি দেওয়ার বিপজ্জনক খেলা বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানের আইএসআইকে মুক্ত হস্তে কাজ করতে দেওয়া এবং ভারতের শিলিগুড়ি করিডর ও সুন্দরবনের মংলা বন্দরের কাছাকাছি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে চিনকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো থেকে ঢাকাকে সরে আসতে হবে। নাহলে দিল্লি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল কিংবা আরও কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্প বন্ধ করার চেয়েও ঢের বেশি কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবতে পারে। ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে বাংলাদেশ সহ নিম্নাঞ্চলের দেশগুলিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই চুক্তি তিনটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (কার্গিল সহ) এবং ২০০৮-এর মুম্বই হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছিল। তাই এই উদ্বেগ যুক্তিসঙ্গত, বিশেষত যখন আগামী বছর ৩০ বছরের পুরানো গঙ্গা জল চুক্তি নবীকরণের কথা রয়েছে।

    ভারতের শতাধিক নদী বাংলাদেশে গিয়েছে

    গঙ্গার বাইরে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র-সহ বারাক, ফেনির মতো শতাধিক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৯ সালে ভারত ফেনি নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে কোনও চুক্তি নেই। যদিও তাতে উদ্বেগ কমেনি। ভারত ঢাকার সঙ্গে সঠিক সময়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য, বন্যা সতর্কতা আদানপ্রদান করে। এই তথ্য প্রবাহে সামান্য বিঘ্নও বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে (Indus Water Treaty)। দিল্লি জল বা আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই পারে। কারণ উত্তর ভারতের বেশিরভাগ প্রধান নদীর উৎপত্তিই হয়েছে তিব্বতে। যখনই রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়, তখনই বেজিং থেকে তথ্যপ্রবাহ ধীর হয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ এই নদীগুলির প্রধান জলাধার রয়েছে ভারতেই। তাছাড়া, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারত সতর্কও রয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসাবে, দিল্লি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশাল জলাধার সহ একাধিক বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। এগুলি উজানের প্রবাহে অপ্রত্যাশিত ওঠানামা মোকাবিলায় সাহায্য করবে (Bangladesh)।

    ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে

    আসল কথা হল, বাংলাদেশকে বুঝতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য সহযোগীর ওপরও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে পারে, তবে কোনও সম্পর্ক বা চুক্তিই যাচাই-বাছাইয়ের ঊর্ধ্বে নয়। ভারত কঠোর শক্তি ব্যবহার এড়িয়ে চলে কারণ সে তার উন্নয়নের গতিপথ থেকে বিচ্যুত হতে চায় না। ১৯৯১ সালে উদারীকরণের পর থেকে ৬ শতাংশেরও বেশি গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম (Indus Water Treaty)। ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিনিময়ে ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তার চরম মূল্য দিতে হবে ইউনূসের দেশকে। শেখ হাসিনা এটি বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন। এর সুবিধা শুধু এই অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বিমস্টেক উপঅঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছিল। ২০১৫ সালে গঠিত এই গোষ্ঠীটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কের অকার্যকর প্রক্রিয়া এড়িয়ে অগ্রগতির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

    সার্কের ব্যর্থতা

    দুর্ভাগ্যবশত, মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই ধারাকে উল্টে দেন। তিনি কখনও বিবিআইএন (BBIN)-এর উল্লেখ করেননি। বরং বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে মজবুত করার দিকে ঝুঁকেছেন। মাত্র আট মাসের মধ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছায় – এমনকি ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্য পরিবহণের শক্তি যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তাও বাতিল করে দেয় (Bangladesh)। সার্কের ব্যর্থতা ও এর পিছনের কারণগুলি সকলেই জানেন। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশ বা এই অঞ্চলের লাভকে উপেক্ষাই করা যায়। তবুও ইউনূস ইসলামাবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে রাজনীতিকীকরণের লক্ষ্যেই কেবল সার্ককে সমর্থন করছেন (Indus Water Treaty)। এটি একটি দশক প্রাচীন পরিকল্পনা, যা বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক, যেখানে ভারত বৈশ্বিক মহাশক্তির অবস্থান জোগাড় করতে তৎপর। বুধবার, মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সকল পাক নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড়ের স্কিমও বাতিল করা হয়েছে।

    ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণ

    ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে। সম্প্রতি তিনি দিল্লিকে স্টেকহোল্ডার না করে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বাজার দখলের লক্ষ্যে বাংলাদেশে চিনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সন্ত্রাসের সঙ্গে খেলাধুলা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশের। একসময় উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্রের মামলা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে সমর্থনের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। ইউনূস প্রশাসন সেই মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই মুক্তি দিয়েছে (Bangladesh)। মারণাত্মক সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের প্রধান এখন মুক্ত। নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরিরের পোস্টার বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। আল-কায়েদার পতাকা চোখে পড়ে ঢাকার যত্রতত্র। এগুলো কি ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনার অংশ?

    ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন নির্দেশ করে। এই পরিবর্তন শুরু হয় ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর। কাশ্মীর হামলা এই দৃঢ়সংকল্পকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করা যায়, বাংলাদেশ এটি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করছে (Indus Water Treaty)। প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আলোচনার ধারা নিয়ন্ত্রণে আনতে এক অভিনব কৌশল নিয়েছে। প্রচলিত মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের রুটিন কাজের অংশ হলেও, আসল দক্ষতা দেখিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে। সরকারের প্রায় সবাই ফেসবুকে নিজেদের দফতরের দায়িত্বের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে জটিল ও বিস্তারিত মতামত শেয়ার করছে। যে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য জবাবদিহিতা ছাড়াই এই পরিকল্পনাটি সযত্নে পরিকল্পিত করা হয়েছে, তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এগুলোর মুখোমুখি হলে তারা পোস্ট মুছে দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকবে। তবে স্ক্রিনশটের মাধ্যমেই আলোচনা চলতে থাকে। একজন শীর্ষ মন্ত্রী ভারতের উত্তর-পূর্বকে ছিনিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। কাশ্মীর হামলার পরেও তারা একই কাজ করেছিল।

    কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আইন অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে সাধারণত জুলাই মাসের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে তিনি ইউনূস মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। ২৩ এপ্রিল তিনি মোদি সরকারকে কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বর্ণনা করে কলকাতাভিত্তিক এক কংগ্রেস সমর্থকের একটি পোস্ট শেয়ার করেন (Indus Water Treaty)। পোস্টটির ভূমিকায় নজরুল লিখেছিলেন, “আমি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করছি। তবে কে এর পেছনে আছে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।” নজরুলের এই বক্তব্য দ্রুত ডিজিটাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দৈনিক ইনকিলাবের মতো পাক-সমর্থিত ইসলামিস্ট মিডিয়া একে লিড নিউজ করে। পরে তিনি পোস্টটি মুছে দেন (Bangladesh)। তারপর থেকে বাংলাদেশকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি নিম্ন অববাহিকার দেশ। ফলে ভারতের ছোটখাট কোনও সিদ্ধান্তেরও চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে বাংলাদেশকে (Indus Water Treaty)।

  • Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন। তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” সোমবার কথাগুলি বললেন সাংসদ বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে মন্তব্যের জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস (Congress) নেতা সৈফুদ্দিন সোজের উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ হেনে অনুরাগ বলেন, “কংগ্রেসের আসল চেহারা প্রতিনিধিত্বকারী সোজের মতো ব্যক্তিরা সরকারের সিদ্ধান্তে বিচলিত।”

    অনুরাগের অভিযোগ (Anurag Thakur)

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে অনুরাগ অভিযোগ করেন, “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা যাঁরা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন, তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অভ্যাসগতভাবেই অপরাধী, যা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে নিয়ে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করতে ও বিশ্বকে বিপদে ফেলতে উৎসাহিত করে। তাই তাদের জবাবদিহি করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, শত্রুতার বিনিময়ে আতিথেয়তা আশা করো না।”

    নিশানায় কংগ্রেস

    অনুরাগ আরও লিখেছেন, “মোদি সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপ, যা পাকিস্তান ও তার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংযমের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে, তাকে সমগ্র দেশ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজের মতো লোকেরা, যাঁরা কংগ্রেসের আসল চেহারা তুলে ধরেন, তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্তে কষ্ট পাচ্ছেন। পাকিস্তানের পক্ষে নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে তাঁদের হৃদয় এই দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের জন্য ব্যাকুল।”

    বিজেপি সাংসদ (Anurag Thakur) বলেন, “পাকিস্তান যদি এই ধরনের হামলা চালাতেই থাকে, তবে ভারত এক ফোঁটা জলও দেবে না। পাকিস্তান ও তার বন্ধুদের ক্লাবকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিই যে তোমরা আমাদের রক্তের এক ফোঁটা ঝরালে, ভারত জল দেবে না এক ফোঁটাও।”

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সৈফুদ্দিন বলেন, “ভারতের উচিত নয় এতদূর যাওয়া, কারণ সিন্ধু জলচুক্তি যুদ্ধের সময়ও ভালোভাবে কাজ করেছে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। প্রত্যেক ভারতীয়ের উচিত (Congress) প্রধানমন্ত্রী যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তা মেনে চলা (Anurag Thakur)।”

  • Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) পর এক সপ্তাহও কাটেনি। এবার জোরালো বিস্ফোরণ হল পাকিস্তানের (Pakistan) দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে। সোমবারের ওই বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান।

    শান্তি কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরণ (Pahalgam Attack)

    এদিন দুপুরে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে স্থানীয় শান্তি কমিটির বৈঠক চলছিল একটি বহুতলে। আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাড়িটি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। পাক পুলিশের আধিকারিক উসমান ওয়াজির বলেন, “ওয়াজিরিস্তানের একটি ভবনে শান্তিবৈঠক চলছিল। বিস্ফোরণের ফলে ওই বহুতলের একটি অংশ ধসে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় সাতজনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েকজন। এই হামলার নেপথ্যে কারা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”

    নেপথ্যে কি টিটিপি

    বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে চলে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারী দলকে সাহায্য করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলাটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। এলাকাটি পাক তালিবানদের গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। এদিন দুপুরে সেখানকারই প্রধান শহর ওয়ানায় সরকারপন্থী এক শান্তি কমিটির দফতরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়। অতীতে বিভিন্ন সময় টিটিপির বিরোধিতা করেছিল এই শান্তি কমিটি (Pahalgam Attack)। তাই বিস্ফোরণের নেপথ্যে তাদের হাত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রবিবারই পাকিস্তানের হাসান খেল এলাকায় পাক সেনা ও আফগান অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়।

    সামরিক মিডিয়া উইংয়ের মতে, এবছর ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে রাতের বেলায় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের কথা জানতে পারে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই দুপক্ষে হয় গুলি বিনিময়। পাক সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “আমাদের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।” সোমবারের (Pakistan) বিস্ফোরণে এদের হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান পাক সেনার (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডে (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে পাকিস্তান। যার চড়া মূল্য চোকাতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলেও, পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই চাহিদা সামাল দিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় পণ্য আমদানি চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য চড়া মাশুল গুণতে হবে। জিটিআরআই জানিয়েছে, সীমান্ত বন্ধে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য থেমে গেলেও, চাহিদা কমেনি। পাকিস্তান ভারতীয় পণ্য উচ্চমূল্যে ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে।”

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি (Pahalgam Attack)

    ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মোস্ট ফেভার্ড নেশন মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং পাকিস্তানি পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। জবাবে পাকিস্তান ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে সকল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে কেবল মাঝে মধ্যে ওষুধের মতো মানবিক পণ্য রফতানি হয়েছে পাকিস্তানে। ভারত পাকিস্তান দুই দেশের এই তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক সত্ত্বেও, সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে ৪৪৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের (Pakistan) পণ্য রফতানি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১১০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফার্মাসিউটিক্যালস, ১২৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, ৮৫.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিনি, ১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অটো পার্টস এবং ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সার (Pahalgam Attack)। এদিকে, পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি নগণ্য – মাত্র ০.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ছিল ডুমুর, তুলসি ও রোজমেরির মতো কৃষিজাত পণ্য।

    জিটিআরআইয়ের অনুমান

    জিটিআরআইয়ের অনুমান, আনুষ্ঠানিক পুনঃরফতানি পথে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে এখনও প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয় দুই দেশের মধ্যে। এর মধ্যে ভারতীয় পণ্য ছিল, ফার্মাসিউটিক্যালস, রাসায়নিক দ্রব্য, চা ও কফি, তুলা ও রং, লবণ, চিনি, লোহা ও ইস্পাত, অটো পার্টস এবং পেঁয়াজ, টমেটোর মতো পচনশীল পণ্য। জানা গিয়েছে, এই একই পথে পাকিস্তানের যেসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করে, তার মধ্যে রয়েছে, সৈন্ধব লবণ, খেজুর, খোবানি ও বাদামের মতো শুকনো ফল (Pahalgam Attack)। ভারতের এই বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানে সরবরাহ শৃঙ্খলে জটিলতা ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটি ইতিমধ্যেই আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক ও ফিচ রেটিংসের মতো প্রতিষ্ঠানের সতর্কতা সহ অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি রয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতের বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে পাক সরকার যে আরও বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট

    জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা পাক রাজনীতিবিদদের। কারণ পাকিস্তানে ওষুধের কাঁচামালের সিংহভাগই যায় ভারত থেকে। সেই সরবরাহ বন্ধ হতেই বিপাকে ইসলামাবাদ (Pakistan)। গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান। তার পরেও ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়তে পারে ভেবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে পাক সরকার (Pahalgam Attack)।

    ভারত-পাক সম্পর্কে অবনতির জের

    উনিশ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও অবনতি হয়েছিল ভারত-পাক সম্পর্কে। সেই সময়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাণিজ্য। যার জেরে ওষুধের সঙ্কট সৃষ্টি হয় পাকিস্তানে। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আগেভাগেই তার ব্যবস্থা করে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের এক আধিকারিক বলেন, “২০১৯ সালের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে আমরা এই প্রস্তুতি শুরু করেছি। ওষুধের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা বিকল্পের খোঁজ করছি।” পাক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “আমরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ওষুধ ভারত থেকে আমদানি করি। ক্যান্সার থেরাপি, বিভিন্ন ভ্যাকসিন, সাপের বিষের প্রতিষেধক ভারত থেকে পাকিস্তানের বাজারে আসে।” তাঁর আশঙ্কা শীঘ্রই বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব পড়তে চলেছে ওষুধের বাজারে। জানা গিয়েছে, আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন, রাশিয়া এবং ইউরোপের একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পাকিস্তান। ওই সব দেশ থেকে ওষুধ কেনার কথা ভাবছে (Pakistan) পাক সরকার। যদিও ঠিক কোথা থেকে ওষুধ কেনা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share