Tag: Pahalgam Attack

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

  • NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Aerror Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হত্যা লীলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবার পেহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য পুরো এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০ এপ্রিলের আগেই জঙ্গিরা হামলার স্থান রেকি করে যায়।

    জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকে পর্যবেক্ষণ করছে এনআইএ (NIA)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। এনআইএ-র (NIA) ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিটেনডেন্টের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই এনআইয়ের দল পেহেলগাঁওয়ে অবস্থিত বৈসরনে যেখানে হামলা চালানো হয় সেখানে তদন্তে নামে। এনআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যাঁরা নিজেদের চোখের সামনে এই হত্যালীলা সংঘটিত হতে দেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্তকারী দলগুলি বৈসারনে জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকেও পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ফরেনসিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে, যাতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করা যায়।

    ২০ এপ্রিলের আগেই পহেলগাঁওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জঙ্গিরা

    এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত পর্যটক পহেলগাঁও হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে জেলে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। আতস কাচের তলায় রয়েছে অসংখ্য সহযোগী, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় জড়িতদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই কাজে একসঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এনআইএ-র তরফ থেকে তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০ এপ্রিলের আগেই পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Aerror Attack) বৈসরনে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি চালিয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

    পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে

    ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুজাফফরবাদ এবং করাচির কিছু জায়গায় যোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসী হামলায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পাকিস্তানের হাত স্পষ্টভাবেই রয়েছে। ঠিক যেমনটা ২৬/১১ তে মুম্বাই হামলার সময় পাকিস্তান করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যে তথ্য অনুযায়ী, চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের কাছে অত্যাধুনিক মাধ্যমের যোগাযোগ যন্ত্র ছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক পোশাকও পরেছিল এবং হাতে ছিল একে-৪৭। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে পাকিস্থানে বসে থাকা এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের। মুজাফফরবাদ এবং করাচিতে বেশ কিছু জায়গায় এমনই ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে

    শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং মার্চ মাসে এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তখনই উঠে আসে এমন তথ্য।
    এনআইএ-র সন্দেহ ভারতে প্রবেশের পরে স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, এনআইয়ে নিজেই মার্চ মাসে একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা কাঠুয়া, উধমপুর, ডোডা, কিস্তোয়ার এবং পুঞ্চে উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

    চিহ্নিত আরও ১৪ সন্ত্রাসবাদী

    ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ গত শুক্রবারই তিনজন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। এরা হল আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। স্থানীয় জঙ্গি আদিলের নাম রয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম কুড়ি লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুসা জম্মু কাশ্মীরের আগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ের ওপর অতর্কিত হামলাতেও সে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন জৈশ-ই-মহম্মদের এবং ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের।

  • IWT: পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি স্থগিত, নয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ভারত! চলছে একাধিক বিকল্পের পরীক্ষা

    IWT: পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি স্থগিত, নয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ভারত! চলছে একাধিক বিকল্পের পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে এই পদক্ষেপ করেছে (IWT) ভারত। এতে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। তেমনি অন্যদিকে, আখেরে লাভ হয়েছে ভারতের। সিন্ধু অববাহিকার তিন পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাবের জল আরও ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য একাধিক বিকল্প সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে ভারত। এর মধ্যে চেনাব (চন্দ্রভাগা) নদী থেকে রাভি (ইরাবতী) নদীতে জল স্থানান্তরের জন্য ১০-১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে। ইন্ডাস ওয়াটার্স ট্রিটি (আইডব্লিউটি) অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলো –শতদ্রু, ইরাবতী এবং বিয়াসের (বিপাশা) জল ব্যবহারের দাবিদার। আর পাকিস্তান পেয়ে থাকে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির জল ব্যবহারের অধিকার।

    ভারতের অধিকার (IWT)

    পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে এখন সব জলের ওপর কায়েম হয়েছে ভারতের অধিকার। চেনাব নদীতে একটি টানেল নির্মাণের প্রস্তাবটি উঠে এসেছে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। এই বৈঠক দুটির একটি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, অন্যটি হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে। দুই বৈঠকেই আলোচনা হয়েছে তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীর জল কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে। বৈঠকগুলিতে উপস্থিত ছিলেন পিএমও, স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ এবং জলশক্তি মন্ত্রক-সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা।

    জোড়া বৈঠক

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “এটি বিবেচনাধীন একটি বিকল্প। চেনাবে টানেল নির্মাণের প্রযুক্তিগত ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ জলশক্তি মন্ত্রককে দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র যদি এটি সম্ভবপর বলে প্রমাণিত হয়, তবেই আমরা প্রকল্পটি এগিয়ে নেব। সমীক্ষা শেষ হলে কী পরিমাণ জল এবং কোন জায়গা থেকে সরবরাহ করা যাবে – এসব তথ্যই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “চেনাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে কিশতোয়ার জেলায় অবস্থিত চারটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৮৫০ মেগাওয়াট রাতলে, ১ হাজার মেগাওয়াট পাকাল দুল, ৬২৪ মেগাওয়াট কিরু এবং ৫৪০ মেগাওয়াট কওয়ারের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর এক সরকারি কর্তা বলেন, “পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে চারটি প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (IWT)।

    সুড়ঙ্গ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ

    এগুলির মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত ১ হাজার ৮৫৬ মেগাওয়াটের সাওয়ালকোট, ৯৩০ মেগাওয়াটের কীরথাই-২ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটের দুলহাস্তি পর্যায়-২ এবং ২৪০ মেগাওয়াটের উরি ১ পর্যায় -২ প্রকল্প।” সুড়ঙ্গ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ যে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, তা স্বীকার করে নেন বৈঠকে উপস্থিত কর্তারা। তিনি বলেন, “এগুলিতে সময় লাগবে। তবে বর্তমানেই পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে আমাদের পরিকাঠামোর ক্ষমতা বাড়ানো শুরু করা উচিত বলে মনে করা হয়েছে।” স্বল্পমেয়াদে ভারত পূর্বাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে যে জলাধারগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং বা পলি অপসারণ পদ্ধতি পরিচালনার কথাও বিবেচনা করছে। সিন্ধু জল চুক্তি অনুযায়ী জলাধারে ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং নিষিদ্ধ। ফ্লাশিং না করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলাধারে পলি জমে দীর্ঘমেয়াদে সেগুলি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ওই কর্তা বলেন, “যেহেতু আইডব্লিউটি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে, ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলির জলাধারেও ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং করতে পারবে, যা চুক্তি অনুযায়ী অনুমোদিত নয় (IWT)।”

    ইন্ডাস জল চুক্তি

    ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্ততায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ইন্ডাস জল চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতকে ইরাবতী, বিয়াস ও শতদ্রুর পূর্বাংশের জল ব্যবহারের সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে, যা সিন্ধু নদ ব্যবস্থার মোট জলের প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাংশের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর জল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা সিন্ধু নদের প্রায় ৮০ শতাংশ জল বহন করে। এই চুক্তি অনুসারে, ভারত এই তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীর জল “অ-খরচযোগ্য” উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। যেমন, নদীর প্রবাহভিত্তিক জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি ও গৃহস্থালির কাজে এই জল ব্যবহার করা যেতে পারে। “রান-অফ-দ্য-রিভার” প্রকল্প বলতে বোঝায় এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র যেখানে জলাধার নির্মাণ ছাড়াই সরাসরি নদীর প্রবাহ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

    জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রভূত সম্ভাবনা

    ভারত পূর্বের নদীগুলির নিজের ভাগের প্রায় ৯৫ শতাংশ জল বাঁধের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবহার করলেও, পশ্চিমের নদীগুলির জল ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। পশ্চিমের তিন নদীতে ভারতের নির্মিত প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাগলিহার, সলাল ও কিশনগঙ্গা (IWT)। এক সরকারি আধিকারিকের মতে, “বর্তমানে আইডাব্লুটি স্থগিত থাকায় ভারত এই সুযোগে পশ্চিমের নদীগুলিতে থাকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে দ্রুত শেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জল সংরক্ষণের নতুন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমের নদীগুলি থেকে ভারত যে জল ব্যবহার করতে পারে, তা দিয়ে ১৮ হাজার ৫৬৯ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে (IWT)।

  • Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানিদের এদেশ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। তথ্য বলছে, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি। এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে এই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে ফিরেছেন ৬২৯ জন নাগরিক। জানা যাচ্ছে, এঁদের মধ্যে ১৩ জন কূটনীতিক এবং আধিকারিক রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত ছেড়েছেন ১৯১ জন পাকিস্তানি। অন্যদিকে শনিবার ওই পথে ভারত ছেড়েছেন আরও ৮১ জন। আবার শুক্রবার ওই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে এ দেশে ফিরেছেন ২৮৭ জন ভারতীয়। শনিবারে দেশে ফিরেছেন ৩৪২ জন ভারতীয় (India)।

    সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি (Pakistan) মহারাষ্ট্রে

    জানা যাচ্ছে, স্বল্পমেয়াদি ভিসায় ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি ছিলেন মহারাষ্ট্রে। এই সংখ্যাটা প্রায় ১০০০। জানা যাচ্ছে, এমনিতে মহারাষ্ট্রে রয়েছেন প্রায় ৫,০৫০ পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক। এঁদের বেশির ভাগই দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন। এর ফলে তাঁদের ভিসা বাতিল হয়নি। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার পুলিশ প্রধান জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, সে রাজ্যে পাকিস্তানির সংখ্যা ২০৮। তাঁদের মধ্যে ১৫৬ জন দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন।সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু পাকিস্তানি বিমানবন্দর দিয়েও ভারত ছেড়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু নেই। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তাঁরা পাকিস্তানে ফিরতে পারেন।

    গুজরাটে থাকা পাকিস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু

    অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের পাকিস্তানির (Pakistan) সংখ্যা ২২৮। সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে, বেশিরভাগই পাক নাগরিকই বর্তমানে চলে গিয়েছেন নিজেদের দেশে। ওড়িশায় রয়েছেন ১২ জন পাকিস্তানি। সরকারি তথ্য বলছে, গোয়ায় রয়েছেন তিন জন পাকিস্তানি নাগরিক।অন্যদিকে গুজরাটে স্বল্পমেয়াদি ভিসায় রয়েছে সাত জন পাকিস্তানি নাগরিক। দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন ৪৩৮ জন। তবে গুজরাটে থাকা পাকস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগজনই হিন্দু (India) বলেই জানা গিয়েছে। যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছেন।

  • Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান তথা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও বড় প্রত্যাঘাতের খবর কি সামনে আসতে চলেছে? এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে। কারণ রবিবার বিকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) বাড়িতে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন দেশের সিডিএস অনিল চৌহান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর উপত্যকায় ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে ভারতীয় সেনা। প্রশাসন শুরু করেছে অভিযান। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ জঙ্গি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। এবার এই আবহেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সিডিএস অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)।

    কোন কোন ইস্যুতে বৈঠক জানা যায়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ শুরু হয় এই বিশেষ বৈঠক। তবে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Rajnath Singh) তরফে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, মূলত কোন লাইনে এগোবে ভারত সে নিয়েই আলোচনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের হামলার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। একাধিক লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ করা হয়েছে, তো কোনও জঙ্গির বাড়িতে চালানো হয় বুলডোজার।

    শনিবার মধ্যরাতেও নিয়্ন্ত্রণ রেখায় গুলি চালায় পাকিস্তান, পাল্টা জবাব দেয় ভারত

    শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা  জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিবাদে আজ রবিবার দিল্লিতে আক্রোশ যাত্রার ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিনোদ বনসল জানিয়েছেন আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে দিল্লির পূর্ব কৈলাসে অবস্থিত ইসকন মন্দির থেকে। অন্যদিকে, আরও একটি আক্রোশ যাত্রা (Pahalgam Attack) শুরু হবে দিল্লির বদরপুর থেকে। ইসকন মন্দিরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল পাঁচটা থেকে। বদরপুরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল ৫টা ৪৫ থেকে।

    দিল্লির সন্ত নগরে হবে যজ্ঞ (Pahalgam Attack)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক এখন সমস্ত কিছু ভুলে গিয়েছেন এবং তাঁরা এ দেশ থেকে দেশদ্রোহীদের বিতারণ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে আর্য সমাজ মন্দিরে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লির সন্ত নগরে হওয়া ওই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করবেন পহেলগাঁও হামলার ক্ষতিগ্রস্তদের (Pahalgam Attack) বেশ কয়েকটি পরিবার। এদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার সময় এসেছে বলে মনে করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা।

    পহেলগাঁও হামলা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল থেকে কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই সময়ই তারা পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। যারা হিন্দু বলে শনাক্ত হন, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের স্কেচ এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীরা এই আক্রমণকারীদের আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা নামে চিহ্নিত করেছে। নিজেদের বয়ানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে জঙ্গিরা। আরও দাবি ছিল, নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে। এমন বয়ানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য। অর্থাৎ, জঙ্গিরা নির্দিষ্ট করেই হিন্দু পুরুষদের হত্যা করতেই এসেছিল। সেটাই ছিল হামলার মূল ছক। তদন্তে উঠে এসেছে ২০জন পর্যটকের প্যান্টের চেইন খোলা হয় শুধুমাত্র ধর্ম যাচাই করতে।

  • PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ন্যায় মিলকে রহেগা (ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে)।” রবিবার ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) ১২১তম পর্বে পহেলগাঁওকাণ্ডে এই আশ্বাসই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভারী। তবে এটা জেনে রাখুন, এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী ও অপরাধীরা কঠোরতম প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।” এর পরেই তিনি আশ্বাস দেন, ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।

    আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি যখন আপনাদের সঙ্গে হৃদয়ের কথা বলছি, আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা দেশের প্রতিটি নাগরিককে মর্মাহত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি প্রতিটি ভারতীয় গভীর সমবেদনা অনুভব করছে। তাঁরা যে কোনও রাজ্যের বা কোনও ভাষার মানুষই হোন না কেন, এই হামলার ছবি দেখে প্রতিটি নাগরিক রাগে জ্বলছে বলে আমি বুঝতে পারছি।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের এই কাজ তাদের দুর্বলতা ও ভীতিরই প্রতিফলন। ভারতীয়রা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করবে (PM Modi)।”

    কাশ্মীরের উন্নয়ন শত্রুরা মেনে নিতে পারেনি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে যখন শান্তি ফিরে এল, দেশের শত্রু ও জম্মু-কাশ্মীরের শত্রুরা তা মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গি ও তাদের প্রভুরা কাশ্মীরকে আবার ধ্বংসস্তূপে দেখতে চায়। তাই এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, তাতে দেশের ঐক্যই হল এর সবচেয়ে বড় শক্তি।” এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশবাসীকে তাদের সংকল্প দৃঢ় করার আহ্বানও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অঞ্চলটিতে (পহেলগাঁওয়ে) পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি, মানুষের রোজগার বাড়ানো এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার বিষয়গুলো হামলার পিছনে থাকা শক্তিগুলো মেনে নিতে পারছিল না।”

    তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে এই হামলা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মরিয়া হয়ে ওঠার লক্ষণ। এটি তাদের কাপুরুষতা প্রকাশ করে। যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, নির্মাণকাজ অভূতপূর্ব গতি পেয়েছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল, পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছিল, মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছিল, যুবসমাজের জন্য (Mann Ki Baat) নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল – দেশের শত্রুরা, জম্মু ও কাশ্মীরের শত্রুরা এসব সহ্য করতে পারেনি। তাই এই হামলা (PM Modi)।”

  • Pahalgam Attack: মোদিকে সমবেদনা বিশ্বনেতাদের, দিলেন সন্ত্রাসবাদ দমনে পাশে থাকার বার্তাও

    Pahalgam Attack: মোদিকে সমবেদনা বিশ্বনেতাদের, দিলেন সন্ত্রাসবাদ দমনে পাশে থাকার বার্তাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় (Pahalgam Attack) পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করেছেন একের পর এক বিশ্ব নেতারা। জঙ্গি হামলার নিন্দা করার পাশাপাশি তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে সমবেদনাও জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের প্রচেষ্টায় সমর্থনও জানিয়েছেন তাঁরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য সমবেদনা জানান। তিনি হামলার নিন্দাও করেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান।

    কী বললেন ট্রাম্প(Pahalgam Attack)

    এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রক জানিযেছে, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য গভীর সমবেদনা জানান। তিনি এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একত্রে দাঁড়িয়েছে।”

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রপতির বক্তব্য

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) রাষ্ট্রপতি মোহামেদ বিন জায়েদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে জম্মু ও কাশ্মীরে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, “উভয় নেতাই একমত হন যে সন্ত্রাসবাদের সব রূপ ও প্রকাশকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ও তাদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার ভারতের দৃঢ় সংকল্পের কথা (Pahalgam Attack) জানান।”

    অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-ও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, শোক প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় ভারতকে সমর্থন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রক লিখেছে, “অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে জম্মু-কাশ্মীরের নৃশংস জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে তিনি শোক প্রকাশ করেছেন এবং (PM Modi) এই দুঃসময়ে ভারতের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন।” ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই বৈধতা দেওয়া যায় না (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে ভারতকে সব ধরনের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিল ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। সমাজ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক কাশ প্যাটেল। ওই পোস্টে এফবিআই পরিচালক লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার সকল ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি এফবিআই সমবেদনা জানাচ্ছে। ভারত সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’’ সন্ত্রাসবাদের কুফলের কারণে বিশ্ব যে ক্রমাগত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, এই ঘটনা তাও স্মরণ করিয়ে দেয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

    আগেই ভারতকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় (Pahalgam Attack)। এখানেই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জন পর্যটকের। অভিযোগ বেছে বেছে হিন্দুদের হত্য়া করা হয়। ওই হামলার পরেই ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়াতে একথা জানানোর পাশাপাশি তিনি টেলিফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে। তখনই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (Pahalgam Attack) ভারতকে সব রকমের সাহায্য করার কথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    আগেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    প্রসঙ্গত , শুক্রবারই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ান মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ।জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড  নিজের সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

  • Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা (Indian Army) জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Pakistan)

    ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’ এদিকে, শনিবারই সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে আসতে থাকে। শনিবার রাতে ফের চলে গুলি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে প্রতিবার। এই হামলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবার গ্রেফতার করা হয় ২ জঙ্গিকে

    জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

LinkedIn
Share