Tag: Pahalgam incident

  • Pahalgam Attack: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে দুই কাশ্মীরি তরুণ গ্রেফতার

    Pahalgam Attack: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে দুই কাশ্মীরি তরুণ গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে (Pahalgam Attack) শনিবার গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত (Jammu Kashmir Police) দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে।

    দুই কাশ্মীরি তরুণ ধৃত (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

    ১৪ জন জঙ্গি চিহ্নিত!

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এরা এখনও সক্রিয়। এই জঙ্গিদের বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে। পাক জঙ্গিদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে কাশ্মীরের এই জঙ্গিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

    এদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে এদিন উত্তর কাশ্মীরের সেদোরি নালা মুস্তাকবাদ মছিলের জঙ্গলেও অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে কেউ গ্রেফতার না হলেও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ। এদিন যেসব আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি হল, পাঁচটি একে ৪৭ রাইফেল, আটটি একে ৪৭ ম্যাগাজিন, একটি পিস্তল, একটি পিস্তল ম্যাগাজিন, একে ৪৭ এর ৬৬০টি কার্তুজ এবং এম৪ বন্দুকের ৫০টি কার্তুজ (Pahalgam Attack)। অন্যদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডে এক সন্দেহভাজন জঙ্গি আটক। বান্দিপোরা থেকে ইজাজ আহমেদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া ছবির সঙ্গে মিল থাকায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারণে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সব মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ২৮ জন। এঁদের মধ্যে একজন নেপালি। একজন স্থানীয় মুসলিমও রয়েছেন। তিনি এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুকটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই হামলায় যুক্ত থাকার সন্দেহে চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে এনআইএ। যদিও হামলাকারীদের কেউই শনিবার সন্ধে পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। সেই কারণেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir Police) বিভিন্ন জেলায় চলছে সেনাবাহিনীর চিরুনি তল্লাশি (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, তাতে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তারা আশা করছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “ভারত পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জন্য দোষীদের যোগ্য জবাব দেবে। এই সপ্তাহের শুরুতে ওখানে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন।”

    হামলার কড়া জবাব (Pahalgam Attack)

    শ্রীমন্ত দাগদুশেঠ গণপতির কাছে প্রার্থনা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, “সমগ্র দেশ আশা করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন এলাকায় পর্যটকদের নিশানা করে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করে। এক নেপালি সহ মোট ২৮জনের মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলিম যুবক। ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই প্রসঙ্গেই এদিন নাড্ডা বলেন, “দেশ যেন দৃঢ়তার সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এবং হামলায় দোষীদের যোগ্য জবাব দেয়।” সেজন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি। বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে গণেশজির আশীর্বাদ, তাঁর প্রজ্ঞা এবং শক্তিতে দেশ এই কঠিন সময় পার করবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দোষীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”

    ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ!

    এদিকে, বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি (Pahalgam Attack) বলেন, “হামাস-স্টাইলের হামলা ঘটলে ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। জঙ্গি এবং জিহাদিরা যদি ধর্মহীন হয়, তাহলে তারা ধর্ম জিজ্ঞেস করে মানুষ হত্যা করছে কেন? ১৪০ কোটি ভারতবাসী এই প্রশ্ন সেই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের কাছে করতে চায়।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন (BJP), তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যার কথা তারা কল্পনাও করতে পারবে না (Pahalgam Attack)।”

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) হামাসের হাত! এই হামাসই (Hamas) প্রথমে আক্রমণ করেছিল ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর। সেই হামাস এবং অন্যান্য সংস্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিয়ে জঙ্গি-জাল তৈরি করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই নেটওয়ার্কই বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলেছে। চালাচ্ছে হিন্দুনিধন যজ্ঞ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জঙ্গি-জাল অবিলম্বে ছিন্ন করতে না পারলে কিংবা জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে না পারলে, তামাম বিশ্বের পক্ষেই তা হবে সাক্ষাৎ যমদূত স্বরূপ। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার বলি হন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। এঁদের মধ্যে আবার দুজন বাদে বাকি ২৬ জনই হিন্দু। জঙ্গি হামলায় একমাত্র যে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়েছিলেন বলে। এছাড়া, এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও মৃত্যু হয়েছে।

    বিস্ফোরক সব তথ্য (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ভারত। তার পরেই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। এই তদন্তেই জানা যায়, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। হামাস একটি মুসলিম জঙ্গি সংগঠন। মুসলিম অধ্যুষিত প্যালেস্তাইনের গাজায় তাদের প্রধান ঘাঁটি। সেখান থেকেই ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস। পরে প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলও। বছর দুয়েক আগে যে কায়দায় হামাস হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে, তার সঙ্গে পহেলগাঁওকাণ্ডের যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, পাকমদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে যেভাবে হামাসের নয়া সমীকরণ গড়ে উঠেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছেই উদ্বেগের।

    হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইএসআই!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে (Pahalgam Attack) পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পহেলগাঁওয়ে যে চার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের নাগরিক, বাকি দুজন কাশ্মীরের। এরা প্রত্যেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সূত্রের খবর, সেখানেই লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের পরিকাঠামো ব্যবহার করে আইএসআইয়ের মদতে তরুণদের জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে হামাস (Hamas)। কেন্দ্রের এক সূত্রের দাবি, যুদ্ধ বিরতির শর্ত মেনে ইজরায়েল যে হামাস নেতাদের সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছিল, পাক সরকারের আমন্ত্রণে তারাই আসে পাকিস্তানে। তার পরেই তাদের রীতিমতো এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেখানেই লস্কর ও জৈশ জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করে হামাসের ওই নেতারা।

    জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর

    সূত্রের খবর, পাকিস্তান হামাস জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর করেছে। হামাস জঙ্গিরা পাকভূমে পা দেওয়ার পরে রাওয়ালকোট থেকে শোভাযাত্রা সহকারে তাদের নিয়ে যাওয় হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেই শোভাযাত্রায় হামাস নেতাদের ঘোড়ার পীঠে চাপিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হয়। শোভাযাত্রায় যাদের ঘোড়ায় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারা হল হামাস মুখপাত্র খালিদ কোয়াদ্দৌমি এবং নাজি জাহির। হামাসের দুই শীর্ষ নেতা মুফতি আজম এবং বিলাল আলসাল্লাতকেও পাকিস্তানের তরফে দেওয়া হয়েছিল ওই রাজকীয় অভ্যর্থনা। এই শোভাযাত্রায়ই ছিল লস্কর ও জইশের একাধিক শীর্ষ কমান্ডার এবং মাথারাও। সেই শোভাযাত্রা থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল, প্যালেস্তাইনের মতোই কাশ্মীরও একই ধরনের ইসলামিক জেহাদের অংশ (Pahalgam Attack)। ভারত এবং ইজরায়েলকে একই বন্ধনীভুক্ত করে এই দুই দেশের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া হয় জঙ্গিদের ওই শোভাযাত্রায়।

    কী বলছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রুভেন আজারের। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে গণহত্যা চালায় হামাস। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গিরা হামলা করে ২২ এপ্রিল। গোয়েন্দাদের মতোই এই দুই হামলার কৌশলের মধ্যে অদ্ভূত মিল খুঁজে পেয়েছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। রুভেন আজার বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের স্বীকার করতে হবে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে। পহেলগাঁও হামলা এবং ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইজরায়েলে যা ঘটেছিল, তার মধ্যে মিল রয়েছে। তাতে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। ঠিক সেইভাবেই সময় বেছে পর্যটকে ভরা বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করেছে হামাস প্রতিনিধিরা (Hamas)। তার পরেই পহেলগাঁওয়ে এহেন হত্যালীলা।” তাঁর মতে, এর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে ইজরায়েলে হামাস আক্রমণ ও পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলা একই ষড়যন্ত্রের এপিঠ-ওপিঠ।

    মোদির প্রশংসা

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ভারত সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ এখন জবাব দিতে মরিয়া।” তিনি বলেন, “এই অবস্থায় ভারতবাসীকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন, এবং জঙ্গিদের ওপর চরম আঘাত হানার বার্তা দিয়েছেন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই দরকার ছিল।” ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, “বহু দেশই টাকা, অস্ত্র, ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে জঙ্গিদের (Pahalgam Attack) মদত দিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদের মদত খুব বড় অপরাধ। তাই এবার জবাব দিতেই হবে।”

    বাংলাদেশেও হামাসের হাত!

    শুধু পাকিস্তান কিংবা পাক অধিকৃত কাশ্মীর নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও হামাস নেতারা পা রেখেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। গত ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ওই দিনই বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার পরে পরেই কয়েকজন হামাস নেতাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছন আইএসআইয়ের কর্তারা। উদ্দেশ্য, হামাসের ভাবধারা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। ঢাকায় ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ইসলামিক সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি শহিদুল ইসলাম চরমপন্থী ইসলামি হিসেবেই পরিচিত। আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হামাসের একটি দল সম্প্রতি বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর পরিদর্শন করে। দলটি পাক সেনার নয়া উদ্বোধন করা পাকিস্তান আর্মি ফেসিলিটিও পরিদর্শন করে। এখানেই রয়েছে পাকিস্তানের যুদ্ধ সিমুলেশন কেন্দ্র।

    পাকিস্তান দাদা!

    হামাস দলটি যে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিল, সেখানেই রয়েছে বাহাওয়ালপুর কোর। রাজস্থান সীমান্তের কাছে হওয়ায় এই সামরিক গঠনটির প্রধান দায়িত্ব হল সীমান্ত রক্ষা ও দ্রুত সেনা মোতায়েন। গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত বছর জানুয়ারিতে হামাসের মুখপাত্রকে পাক সংসদে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময় এক পাকিস্তানি আইনপ্রণেতা ভারত ও ইজরায়েলের পরিকল্পিত ইন্ডিয়ান মিডল ইস্ট ইউরোপিয়ন করিডরের উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, “গাজার ধ্বংসস্তূপের নীচে এখন সেই পরিকল্পনা চাপা পড়েছে।” জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ১৫ জন প্যালেস্তাইন বন্দিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে হামাসের (Hamas) মুখপাত্র। পাকিস্তানকে ‘দাদা’ হিসেবেও সম্বোধন করে তিনি।

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিতে সামরিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। এর পাশাপাশি তারা সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে কূটনৈতিক দিক দিয়ে গোটা বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও শুরু করেছে নয়াদিল্লি (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share