Tag: Pahalgam Terror Attack

  • Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে শুরু হওয়া ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কেবলমাত্র তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়নি, বরং এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা হয়ত ভাবছেন ১০ মে যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে; না, তা নয়। এটি আরও অনেক দিন ধরে চলেছে, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার সবকিছু বলা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, সীমান্তে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাস এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

    সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি

    শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে জেনারেল দ্বিবেদী জানান, সিঁদুর অভিযানের প্রভাব সীমান্তে কতটা পড়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়াও চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির উপরে সিঁদুর অভিযানের প্রভাব কতটা পড়েছে, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাস কি বন্ধ হয়েছে? আমি মনে করি না। কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। আমরা সকলে জানি, কত জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, কত জন পালিয়ে গিয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, তার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। অবশেষে ১০ মে পাকিস্তানের (Pakistan) অনুরোধেই দুই দেশের ডিজিএমও (DGMO) স্তরে বৈঠক হয়। তারপরই সংঘর্ষ বিরতি হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কী কী হয়েছিল, তা নিয়েই বই প্রকাশ করলেন সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সেখানেই তিনি জানালেন যে ১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত শেষ হয়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব ইন্ডিয়া’জ ডিপ স্ট্রাইক ইনসাইড পাকিস্তান’ শীর্ষক বইটি প্রকাশিত হয় শুক্রবার। এই বইটি লিখেছেন প্রাক্তন সেনা কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিলন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই অভিযান শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার সামরিক অভিযানই ছিল না, একইসঙ্গে সেনার সাহসিকতা, পেশাদারিত্বকেও তুলে ধরেছিল। জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “এই দিকগুলি সাধারণত না শোনা, না বলা থেকে যায়, কারণ উর্দিধারীরা এই কথাগুলি বলতে পারেন না। নিয়ন্ত্রণ রেখায় এই ধরনের সংঘাতে আমরা অভ্যস্ত কিন্তু আমরা বুঝি না যে এর অনুভূতি, ক্ষতি, লাভ ও কী কী প্রতিবন্ধকতা থাকে। অপারেশন সিঁদুরেও না বলা কাহিনি ছিল।”

    বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়

    সিঁদুর অভিযানের সময় ভারতের বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয়েরও প্রশংসা করেছেন দ্বিবেদী। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক বাহিনীর আধিকারিকেরা নিজেদের নির্দেশ নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে অবহিত ছিলেন। সেই মতো পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। তিনি বায়ু, নৌ এবং স্থলসেনাকে এক কমান্ডারের অধীনে (থিয়েটারাইজেশন) নিয়ে আসার বিষয়েও সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, কাজ সম্পাদনের জন্য এক জন কমান্ডার থাকা প্রয়োজন। অভিযান চলাকালীন তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়কে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন এবং ভারতীয় সেনার সমন্বিত অগ্রযাত্রাকে “একটি ছন্দময় তরঙ্গের মতো” বলে আখ্যা দেন, যেখানে “প্রত্যেকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বিত ছিল এবং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল।” তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে, যেখানে তিন বাহিনী ছাড়াও অসামরিক ও সাইবার সংস্থাগুলো যুক্ত থাকে, সেখানে একীভূত কমান্ড কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “এত সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হলে থিয়েটারাইজেশনই সমাধান। ঐক্যবদ্ধ কমান্ড অপরিহার্য; কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য একজন মাত্র কমান্ডার থাকা প্রয়োজন।”

    জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত

    কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। ড্রোনের উপরে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন জেনারেল দ্বিবেদী। জেনারেল দ্বিবেদী সাম্প্রতিক জিএসটি সংস্কারকে সেনার আধুনিকীকরণে ত্বরান্বিত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ড্রোনে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা “বৃহৎ পরিসরে ক্রয়” সম্ভব করবে। তিনি আরও বলেন, এই সংস্কার প্রতিরক্ষা করিডরগুলিকে শক্তিশালী করবে এবং ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির অংশগ্রহণ বাড়াবে। “আমাদের প্রতিরক্ষা করিডরগুলো বড় ধাক্কা পাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপগুলো, যাদের প্রায়ই সীমিত সম্পদ থাকে, তারা এই জিএসটি কাট থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।”

  • SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে (SCO Summit) কোনঠাসা পাকিস্তান। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলি গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিও উঠল। তবে সরাসরি পাকিস্তানের নামোল্লেখ নেই বিবৃতিতে। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে থেকে নাম না-করে পাকিস্তানকে ফের এ বিষয়ে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এসসিও-র বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা

    তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এসসিও সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ধরনের ‘দ্বিমুখী নীতি’ বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই জোটের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সদস্য রাষ্ট্রগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তারা।” ঘটনাচক্রে, ভারত, চিনের পাশাপাশি এই বহুদেশীয় জোটে পাকিস্তানও রয়েছে। তিয়ানজিনে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সামনেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে নাম না-করে ইসলামাবাদকে বিঁধেছেন মোদি।

    ভারতের কথা মানল এসসিও

    সাম্প্রতিক অতীতে এসসিও-র সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীদেরও বৈঠক হয়েছে তিয়ানজিনে। সেখানেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিবৃতি ঘিরে জটিলতার জেরে গত জুন মাসে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, ভারত চায় বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এসসিও-র বৈঠকে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’

    সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই

    বৈঠকশেষে যৌথ বিবৃতিতেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা প্রতিহত করার দিকেও জোর দিচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলি।” সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এসসিও সেই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের উদ্যোগকে স্বীকৃতি

    সোমবার, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই নেতা একই গাড়িতে যাত্রা করেন, যার ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে মোদির এই চিন সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের উদ্যোগকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- এই ধারণাকে সমর্থন জানানো হয়।

  • SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সম্মেলনের (SCO Summit) মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) উপস্থিতিতেই সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা থাকতে পারে না। সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। এই হুমকি যতদিন থাকবে, ততদিন কোনও দেশ বা সমাজ নিরাপদ নয়। তাই সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবে সহ্য করা যায় না, অভিমত প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    খোলাখুলি সন্ত্রাস-কে সমর্থন

    সোমবার চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তান-সহ মোট ২০টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে সম্মেলনের আগে মোদি একান্তে কথা বলেন। তার পরেই মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হন। বলেন, ‘‘কোনও কোনও দেশ যে ভাবে খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, তা কি আমরা মেনে নিতে পারি? প্রশ্ন ওঠে।’’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন মোদি। আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের নামও করলেন। জানালেন, সন্ত্রাসের জন্য শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের ক্ষতি হচ্ছে।

    পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা

    পহেলাগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে আমরা সন্ত্রাসবাদের একটা খুব খারাপ, উগ্র রূপ দেখেছি। আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি। অনেকে অনাথ হয়ে গিয়েছে। গত চার দশক ধরে ভারত এই সন্ত্রাসবাদের শিকার। যে সমস্ত দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের ধন্যবাদ।’’ মোদির এই ভাষণের সময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফও।

    সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ

    সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে মোদি (PM Modi At SCO Summit) বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বের জায়গা নিয়েছে ভারত। আল কায়েদা এবং তার সহযোগী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আমরা লড়়াই করেছি। অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার বিরোধিতা করি আমরা।’’ মোদি সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়টি “গভীর উদ্বেগের” বলে উল্লেখ করেন এবং এসসিও সদস্য দেশগুলোকে চরমপন্থা ও মৌলবাদ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

    এসসিও গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপস না-করার অনুরোধ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা মানবতার জন্য যৌথ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ থাকলে কোনও দেশ, কোনও সমাজ সুরক্ষিত বোধ করতে পারে না। নিরাপত্তা সকল দেশের অধিকার।’’

    ভারতের পাশে চিন, চাপে পাকিস্তান!

    এসসিও সম্মেলনের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে সোমবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগে রবিবার চিনের প্রেসিডেন্টের (Xi Jinping) সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সীমান্তপারের সংঘাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বোঝান যে, এই সন্ত্রাসবাদ ভারত এবং চিন, দুই দেশকেই প্রভাবিত করছে। তাই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ রুখতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে ভারত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নয়াদিল্লির নিশানায় থেকেছে ইসলামাবাদ। তবে জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উত্থাপন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বরাবরই বেশ মসৃণ। এমনকি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ও পাকিস্তানকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। এই আবহে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের কথা বলে ভারত পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিল, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবারই ভারতে ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০ জনেরও বেশি পাকিস্তানের সেনা নিহত হয়েছে। এই খবর উঠে এসেছিল পাকিস্তানেরই এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে। যদিও দ্রুত সেই খবর সরিয়ে ফেলা হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কোনওভাবেই দুর্বল পাকিস্তানের ছবি সামনে আনতে চায় না ইসলামাবাদ। সব সময়ই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি গোপন করার চেষ্টা করছে শাহবাজ শরিফের সরকার। তা পাক যুদ্ধ বিমান ধ্বংসই হোক বা পাক সেনা ঘাঁটিতে হামলা।

    কী উঠে এল প্রতিবেদনে

    প্রকাশিত ও পরে মুছে ফেলা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের (India Pakistan) প্রেসিডেন্ট “অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস”-এ অংশগ্রহণকারী সেনাদের বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সামরিক পদক প্রদান করেছেন। কিন্তু সেই তালিকাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে—অনেক পদকপ্রাপ্ত সেনার নামের পাশে লেখা “শহিদ”, অর্থাৎ তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইমতিয়াজি সানাদ পেয়েছেন ১৪৬ জন শহিদ সেনা। এই সনদ সাধারণত কর্তব্যে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া হয়। তাছাড়া, তামগা-ই-বাসালাত পদক পেয়েছেন আরও ৪৫ জন, যাদের মধ্যে ৪ জনের পুরস্কার মরণোত্তর। উচ্চতর বীরত্বের জন্য দেওয়া সিতারা-ই-বাসালাতেও একজন শহিদের নাম ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়—তামগা-ই-জুরাত, যেটি ভারতের বীর চক্রের সমতুল্য, সেটি দেওয়া হয়েছে ৫ জনকে, যার মধ্যে ৪ জনই শহিদ।

    কূটনৈতিক মহলে আলোচনা

    এই তথ্য সামনে আসতেই কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকের মতে, এই ঘটনা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে পাকিস্তান তাদের মৃত সেনার সংখ্যা গোপন করেছিল। এমনকি অনেক শহিদের দেহ ফিরিয়েও নেওয়া হয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রে “গোপনীয়তা নীতি” বজায় রেখেই এই প্রতিবেদন দ্রুত মুছে ফেলা হয়েছে, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদি প্রতিবেদনটি সত্য হয়, তবে বলা যায় যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম বড় আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখনো পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তান, কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।

  • Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান তাদের একটি এফ-১৬ (Pak F-16) যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ৮৮ ঘণ্টার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিন মাস কেটে গেলেও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে না ওয়াশিংটন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতর সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, “এ বিষয়ে যা বলার পাকিস্তান সরকারই বলতে পারবে।”

    আমেরিকার কাছে তথ্য রয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pak F-16) ব্যবহার নিয়ে কঠোর চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে মার্কিন “টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম” সব সময় পাকিস্তানে থাকে। এই দল পাক এফ-১৬ (F-16) বিমানের অবস্থান, সংখ্যা এবং কার্যক্ষমতা সবসময় নজরদারিতে রাখে। এর ফলে আমেরিকার কাছে প্রতিটি বিমানের তথ্য থাকে। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের এফ-১৬ (F-16) ভূপাতিত করার দাবিকে আমেরিকা সরাসরি অস্বীকার করেছিল। তবে এবার, অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পর, এ নিয়ে ভারতের দাবিকে সরাসরি খন্ডন করেনি আমেরিকা।

    কেন কিছু বলছে না আমেরিকা

    সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাজ জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ওখানে একটি এফ-১৬ (Pak F-16) হ্যাঙ্গার ছিল, যার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সেখানে কিছু বিমান থাকতেই পারে।” ভারতের বায়ুসেনা (IAF) দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা ছয়টি পাকিস্তানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে — যার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় ইলেকট্রনিক বিমান রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে। তবে পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান আদৌ এফ-১৬ (F-16) হারিয়েছে কিনা — সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, আমেরিকার কাছে সমস্ত তথ্য থাকার কথা, কিন্তু তারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। এ থেকে কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পরোক্ষে চুপ থেকে ভারতের দাবিকে মৌন সম্মতি জানাচ্ছে ওয়াশিংটন।

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) সময়ে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এবং সেনা যে তথ্য পেয়েছে, তা থেকে প্রমাণিত যে ওই তিন জন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্র, করাচিতে তৈরি চকোলেট এবং একটি মেমারি কার্ড মিলেছে, যাতে তাদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড মিলেছে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকাশ করা রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য। শুধু তাই নয়, কবে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল তিন জঙ্গি, সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিন জঙ্গির কবে -কীভাবে ভারতে প্রবেশ

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ (Operation Mahadev)  নিহত হয় তিন জঙ্গি। তারা হল সুলেমান শাহ ওরফে ফয়জল জাট, আবু হামজা ওরফে আফগান এবং ইয়াসির ওরফে জিবরান। সুলেমান লস্করের এক জন এ প্লাস প্লাস কমান্ডার ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুলেমানই পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী। হামলার অন্যতম প্রধান বন্দুকবাজও ছিল। হামজা এবং ইয়াসির এ-গ্রেড লস্কর কমান্ডার ছিল। পহেলগাঁওয়ের হামলায় হামজা দ্বিতীয় এবং ইয়াসির তৃতীয় বন্দুকবাজ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে গুরেজ সেক্টর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল এই তিন জঙ্গি। হামলার আগের দিন বৈসরন থেকে ২ কিমি দূরত্বে একটি কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় তারা। হামলার দিন সকালে ট্রেকিং করে বৈসরনে যায় তিনজন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শেল কেসিং মিলে গিয়েছে ‘অপারেশন মহাদেবে’র পর উদ্ধার হওয়া একে-১০৩ রাইফেলের সঙ্গে। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে মিলেছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড-ও। জঙ্গিদের পকেটে ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরবাদে তৈরি চকলেটের মোড়কও।

    তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা

    এএনআইয়ের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ভুল জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিকেশ করা হয় ‘অপারেশন মহাদেবে’র (Operation Mahadev) মাধ্যমে। তাদের থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড, চকলেট এবং বায়োমেট্রিক ডেটাবোঝাই মাইক্রো এসডি চিপ মিলেছে। সুলেমান এবং আফগানের পকেট থেকে পাওয়া ল্যামিনেট করা ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে, তারা যথাক্রমে লাহোর এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে একটি মেমরি কার্ড মিলেছে। ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই মেমরি কার্ডে রয়েছে এনএডিআরএ-র (ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) তথ্য। তা থেকে তিন জঙ্গির বায়োমেট্রিক তথ্যও মিলেছে। কী রয়েছে সেখানে? জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ, মুখের অবয়ব, পরিবারের বিষয়ে তথ্য, যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে যে, তিন জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। দু’টি ঠিকানাও মিলেছে সেই মেমারি কার্ড থেকে। একটি ঠিকানা কাসুর জেলার চাঙ্গা মাঙ্গার, দ্বিতীয়টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের কোইয়ান গ্রামের। এছাড়াও এসডি চিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও তিন জঙ্গির পাক নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। তারা সকলেই লস্কর-এর সদস্য, তার প্রমাণও মিলেছে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। তিনজনের কেউই স্থানীয় কাশ্মিরি জঙ্গি নয়।

  • PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারত যে কোনওরকম ‘ব্ল্যাকমেল’ সহ্য করবে না, সংসদে (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে তা ফের স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বিকেলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে পাকিস্তান, জঙ্গি, বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি তিনি সংঘর্ষবিরতির নেপথ্যে ট্রাম্পের কৃতিত্ব নেওয়ার দাবিকেও নস্যাৎ করেলেন। এদিন বিরোধী কংগ্রেসকেও এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই সময়েও রাজনৈতিক স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের পাশে দাঁড়ায়নি।”

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারে। কিন্তু সেই পরমাণু অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে পাকিস্তান যদি মনে করে যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে অথবা সেই অস্ত্রভান্ডারের কারণে ভারত মেপে পা ফেলবে, তাহলে খুব বড় ভুল করছে ইসলামাবাদ। একথা মঙ্গলবার সংসদে ফের স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ‘‘পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানি সেনা বুঝেছিল, বড় কোনও পদক্ষেপ করা হবে। পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকালে ভারত যা স্থির করেছিল, তা করে। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। ২২ মে ২২ এপ্রিলের বদলা নেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে যাইনি, সেখানেও গেছি। পাকিস্তানের কোণে কোণে জঙ্গিদের আড্ডা ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ ভাবতেও পারবে না, কোথায় গেছি। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে। আমরা প্রমাণ করেছি যে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা চলবে না। তার সামনে ভারত মাথানত করবে না। পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এখনও কয়েকটি এয়ারবেস আইসিইউতে রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে।’’

    মেড-ইন-ইন্ডিয়া অস্ত্রেই ঘায়েল

    অপারেশন সিঁদুরে তিনি আত্মনির্ভর ভারতের জয় দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের প্রভুরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। ওরা জানত ভারত আসবে এবং মেরে চলে যাবে। এটাই ভারতের নিউ নরম্যাল। মেড ইন ইন্ডিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণ করে দিয়েছে। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি জবাব দিয়েছি।”

    বিরোধীদের বার্তা

    এদিন লোকসভায় (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সরাসরি আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘সদনে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি। অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেসের থেকে পাইনি। ভারতের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। নিরীহদের রক্তে রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। সেনার তথ্য নয়, ওরা পাকিস্তানের কথা প্রচার করে। বিদেশনীতি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে।’’

    ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেননি

    ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি প্রসঙ্গে এদিন ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনি এক ঘণ্টা চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেনার সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। তাই কলটা নিতে পারিনি। পরে আমি ফোন করেছিলাম। ফোনে আমাকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে বলে পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি পাকিস্তানের এমনই উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদি পাকিস্তান হামলা করে আমরাও বড় প্রত্যুত্তর দেব। এটাই ছিল আমার জবাব।’’

     

     

     

  • Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা ও তার ২ সহযোগীকে খতম করল ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় সোমবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঠিক যেই মুহূর্তে সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই উপত্যকা থেকে বড় খবর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছেই লিদওয়াসেতে দাচিগাঁওয়ের হারওয়ানের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর চিনার কোর। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)।

    সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি নিহত

    সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা এ দেশের বাসিন্দা নয়। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি মুসার। এই মুসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিল বলে খবর। সে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। শ্রীনগরের দাচিগাঁওয়ে সোমবারের সংঘর্ষে নিহত আর দুই জঙ্গির নাম হল আবু হামজা এবং ইয়াসির। এমনটাই বলছে একটি সূত্র। এই দু’জনও মুসার মতো পাকিস্তানের বাসিন্দা। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপার জিভি সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত তিন জন পাকিস্তানের। তাঁরা লস্করের জঙ্গি।

    কে ছিল এই হাসিম মুসা?

    হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনায় কমান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷ একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷ গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, মুসা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বদগাঁও, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।

    কীভাবে ফাঁদে ফেলা হয় জঙ্গিদের?

    সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও ৪ প্যারা ইউনিটের একটি যৌথ দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে। নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নীচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল। শ্রীনগরের কাছেই দাচিগাঁও ন্যাশনাল ফরেস্ট। তার কাছেই এক জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি জায়গায় ছিল ত্রিপল ঢাকা এক এলাকা। রিপোর্ট বলছে, সেই ত্রিপল ঢাকা এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে মুসার দেহ। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে নিরস্ত্র ২৬ জনকে নিকেশ করে জঙ্গিরা। দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট নামের এক জঙ্গি সংগঠন তার দায় নেয়। সামনে আসে ৪ জঙ্গির স্কেচ। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো সেই জঙ্গিদেরই মধ্যে একজন হল হাসিম মুসা। জঙ্গি দমনে এখনও অভিযান চলছে, আরও দুইজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। একটি জঙ্গিঘাঁটি সেনার নজরে এসেছে। সেখান থেকে অনেকগুলি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে ‘সেফ হাউস ও পি-৩’ শব্দ সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

LinkedIn
Share