Tag: Pahalgam Terror Attack

  • India Pakistan Conflict: বন্ধু চিনতে ভুল! ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই করাচিতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, কীসের ইঙ্গিত?

    India Pakistan Conflict: বন্ধু চিনতে ভুল! ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই করাচিতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ (India Pakistan Conflict) পরিস্থিতির মধ্যেই এবার করাচির বন্দরে ভিড়ল তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ (Turkey on India Pak Clash)। রবিবার পাক নৌসেনার তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দুই দেশের সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বুয়ুকডা পাকিস্তানে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় বড় সড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল দক্ষিণ পাকিস্তানের করাচি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তুরস্কের সি-১৩০ই হারকিউলিস সামরিক পণ্যবাহী বিমান অবতরণ করতেই দুনিয়া জুড়ে শুরু হয় হইচই। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই বিমানে বিপুল পরিমাণ হাতিয়ার, গোল-বারুদ এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম পাঠিয়েছে আঙ্কারা। এরপরই ভারতজুড়ে পাকিস্তানের চির বন্ধু তুরস্ককে বয়কট করার দাবি উঠেছে। তুরস্কের সঙ্গে সবরকম কৃটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলা হচ্ছে।

    করাচিতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ

    আরব সাগরে ভারতীয় নৌবহিনীর লাইভ ফায়ারিং এবং যুদ্ধ মহড়ায় পাকিস্তানের গলা শুকিয়ে গিয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত তুরস্ক একটি রণতরী পাঠিয়েছে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে। ‘টিসিজি বুইউকাদা’ নামক এই রণতরীর করাচিতে আগমনকে অবশ্য ‘রুটিন’ আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তান আবার এটিকে ‘গুডউইল ভিসিট’ আখ্যা দিচ্ছে। তবে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের (Turkish Navy Ship) করাচি আগমন মোটেই সহজভাবে দেখছে না তথ্যাভিজ্ঞ মহল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজের আগমন সাধারণ বিষয় নয়। বিশেষ করে ভারতের ভয়ে যখন পাকিস্তান চিন-সহ অন্যান্য বন্ধুদেশের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে। সম্প্রতি তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ইরফান নেজিরগুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই সাক্ষাতে পাকিস্তানের পাশে থাকার আবেদন জানান তিনি। সামরিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অন্যতম বড় সাহায্যকারী দেশ এই তুরস্ক। আগেও পাকিস্তানকে অগুস্তা ৯০বি ক্লাস সাবমেরিনের আধুনিকরণ, ড্রোন-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র দিয়েছে তুরস্ক। প্রায়শই যৌথ মহড়ায় অংশ নেই দুই দেশের সেনা। এবার যদিও পাক নৌবাহিনীর দাবি, করাচিতে থাকাকালীন তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। এই সফরের লক্ষ্য দুই নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও সামুদ্রিক সহযোগিতা বাড়ানো। কিন্তু সময় বলছে অন্য কথা!

    তুরস্কের হারকিউলিস বিমান করাচিতে

    ভারতের প্রত্যাঘাত সামাল দিতে বন্ধু দেশগুলির সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তাদের বন্ধু তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চিন ও তুরস্ক। যুদ্ধের জিগির তোলা রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা তুরস্কের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানে মোট ছ’টি সি-১৩০ই হারকিউলিস বিমান নামিয়েছে তুর্কি বায়ুসেনা। আরব সাগরের উপর দিয়ে সেগুলিকে উড়িয়ে আনা হয়। তা ছাড়া করাচি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নাকি সেগুলি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়েছিল। অন্যদিকে,  পাকিস্তানে কোনও হাতিয়ার বা গোলা-বারুদ পাঠানো হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে, করাচিতে মালবাহী বিমানের অবতরণের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তাঁদের দাবি, জ্বালানি ভরার জন্য একটি সি-১৩০ই হারকিউলিস বিমানকে সেখানে নামানো হয়। কিন্তু তার পরেও এ ব্যাপারে সন্দেহ দূর হচ্ছে না।

    তুরস্ক হল কাল-সাপ!

    ঐতিহাসিক ভাবে অবশ্য ইসলামাবাদ ও আঙ্কারার সম্পর্ক বেশ মধুর। বিশ্লেষকদের একাংশ তাই মনে করেন, যুদ্ধ বাধলে তুরস্কের ‘অন্ধ’ সমর্থন পাবে পাকিস্তান। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আগাম সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মহলের কথায়, সাপকে খাওয়ালেও, তারা বন্ধু হয় না। ছোবল মারবেই। তাই তুরস্ক ‘বন্ধু’ হবে বলে মিথ্যা স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। উল্টে পিঠে ছুরি বসানোর জন্য তৈরি হচ্ছে তারা। আগেও তুরস্কের থেকে হামলাকারী ড্রোন কেনার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল ভারত। কিন্তু, আঙ্কারা পত্রপাঠ না বলে দেয়। শুধু তা-ই নয়, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসলামাবাদ সফর করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ এর্দোগান। ওই সময় কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে সমর্থন করার আশ্বাস দেন তিনি। বছর কয়েক আগে পাক ফৌজকে অতিশক্তিশালী ‘বের‌্যাক্টার টিবি২’ এবং ‘আকিনসি’ নামের দু’টি ড্রোন সরবরাহ করে তুরস্ক। এর মধ্যে প্রথমটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, এই ড্রোন বাংলাদেশের বাহিনীর হাতেও বের‌্যাক্টার তুলে দিয়েছে আঙ্কারা। পাশাপাশি, ইসলামাবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘কান’ নামের পঞ্চম প্রজন্মের একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করছে তুরস্ক। গত বছর দুই দেশের মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। আগামী বছরের মধ্যে ‘কান’ লড়াকু জেটকে বিমানবাহিনীর বহরে শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে আঙ্কারার। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি হাতে পাবে পাক বায়ুসেনাও।

    ভারতের সাহায্যকে এড়িয়ে গিয়েছে আঙ্কারা

    ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। চোখের নিমেষে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই সময় বিবাদ ভুলে আঙ্কারার পাশে দাঁড়িয়েছিল নয়াদিল্লি। এশিয়া মাইনরের দেশটিতে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী পাঠান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় সেনা, বিমানবাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ। কিন্তু বিশ্লেষকদের দাবি, বিপদের সময়ে করা এই সাহায্যের প্রতিদান যে তুরস্ক পরবর্তী সময়ে দিয়েছে, তা নয়। গত দু’বছরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে সামান্য নরম বিবৃতি বা চুপ করে থাকা ছাড়া আর কিছুই করেনি তারা। উল্টে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার দিকেও এগিয়েছে আঙ্কারা। হামলাকারী ড্রোন সরবরাহ বা ‘কান’ যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ইসলামাবাদের অন্তর্ভুক্তি তার প্রমাণ।

    তুরস্ককে কূটনৈতিক জবাব দেওয়ার দাবি

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা অবিলম্বে তুরস্কের ইস্তানবুল হয়ে ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত অসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করার দাবি তুলেছেন। বর্তমানে উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোকে এই অনুমতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। ফলে টার্কিশ এয়ারলাইন্স অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের উচিত তুরস্কের প্রধান আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিসের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এটা অদ্ভুত যে ইস্তানবুলে এত বেশি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে এবং এথেন্সে কোনও ফ্লাইট নেই। প্রাক্তন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব কানওয়াল সিব্বল তুরস্কে বিমান স্থগিতের পরামর্শ দেন। তিনি জানান, আপাতত তুরস্কে ভারতের বিমান এবং ভারতে তুর্কি বিমান স্থগিতের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

    তুরস্কে পর্যটন নয়

    পাকিস্তান ও তুরস্কের (India Pakistan Conflict) মধ্যে দীর্ঘদিনেরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার তুরস্ক। নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ-ও সারেন ইসলামাবাদ ও আঙ্কারার আধিকারিকরা। ফলে দুই দেশের যে মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। এমনকি হাই-লেভেল স্ট্র্যাটেজিক কোঅপারেশন কাউন্সিল (HLSCC) নামে একটি মঞ্চও গড়েছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। পারস্পারিক নানা স্বার্থে সহাবস্থানের উদ্দেশ্যেই ২০০৯ সালে গড়ে তোলা হয়েছে এইচএলএসসিসি। দুটি দেশেই ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, শক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেয় এই কাউন্সিল। তাই ভারত-পাক যুদ্ধে সরাসরি ইসলামাবাদকে সমর্থ করবে যে দেশ তাকে এখনই বয়কটের ডাক উঠেছে ভারত জুড়ে। তুরস্কের পর্যটন ব্যবসাও ভারত নির্ভর। তাই ভারতীয়দের ইস্তানবুল ভ্রমণে যেতেও বারণ করছেন অনেকে। এই আবহে দিল্লি সরাসরি তুরস্কের বিপক্ষে কোনও পদক্ষেপ করে কি না তা-ই দেখার।

  • India Pakistan Conflict: ভারতীয় মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ নয়, বড় নির্দেশ তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের

    India Pakistan Conflict: ভারতীয় মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ নয়, বড় নির্দেশ তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তান থেকে ভারত বিরোধী (India Pakistan Conflict) মন্তব্য করা প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে কড়া বার্তা দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। দেশের বিভিন্ন বৈদ্যুতিন এবং ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে রবিবার মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যমে ‘ভারত-বিরোধী’ পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন (NBDA)। এই নির্দেশিকায় এনবিডিএ সদস্য চ্যানেলগুলিকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এমন কোনও বক্তা বা বিশ্লেষককে আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে যারা ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য পরিচিত।

    ভারতবিরোধী মিথ্যা প্রচার নয়

    নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের সদস্য চ্যানেলগুলির সম্পাদকদের উদ্দেশ্যে পাঠানো বার্তায় বলেছে, “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যে কিছু চ্যানেল পাকিস্তানের এমন বক্তাদের তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে যারা ভারত-বিরোধী মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন।” অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যে কোনও বিদেশি বক্তা, বিশেষ করে পাকিস্তানি প্যানেলিস্টদের নির্বাচন করার সময় সংবাদমাধ্যমকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যেন ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তার পরিপন্থী কোনও বক্তব্য না রাখেন। সংগঠনটি চ্যানেলগুলিকে আরও আহ্বান জানিয়েছে যে, তারা যেন প্রচারের ক্ষেত্রে “উচ্চমাত্রার সম্পাদকীয় বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা” প্রয়োগ করে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগ

    সূত্র অনুসারে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে আগেই নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনকে জানানো হয় যে, পাকিস্তানি বিশ্লেষকরা ভারতীয় নিউজ চ্যানেলগুলিকে “মিথ্যা প্রচারের প্ল্যাটফর্ম” হিসেবে ব্যবহার করছেন। সরকারি ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু চ্যানেল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এমন ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যারা পাকিস্তান থেকে এসে ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকদের উদ্দেশে মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের প্যানেলিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যেসব ব্যক্তি অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন বা ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন, তাঁদের কোনওভাবেই চ্যানেল বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত সংশ্লিষ্ট সম্পাদকীয় কর্মীদের মধ্যে যাতে এই বার্তা পৌঁছে যায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন একটা বিষয় নিশ্চিত করেন যে কোনও সম্প্রচার বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভারত-বিরোধী মিথ্যা প্রচারের মঞ্চ হয়ে না ওঠে।

    কোণঠাসা পাকিস্তান

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাকিস্তানকে কার্যত কোণঠাসা করে দিয়েছে ভারত (India Pakistan Conflict)। একের পর এক চালে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। পাকিস্তানকে ভাতে মারতে পহেলগাঁও হামলার পরই সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করেছিল ভারত। যা নিয়ে উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই আরও এক মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে দিল্লি। সিন্ধু প্রবাহের দিক বদলের আগেই ভারত চন্দ্রভাগা বা চেনাব নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রভাগার উপর দেওয়া হয়েছে বাগলিহার বাঁধ। এছাড়া, সিন্ধুর আরেক শাখা নদী ঝিলামের উপর কিষাণগঙ্গা বাঁধেও একই পরিকল্পনা করেছে মোদি সরকার। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হত্যালীলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জনই ছিলেন পর্যটক। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ওই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। বাতিল করা হয়েছে পাকিস্তানিদের ভিসা, পাকিস্তানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া-সহ একের পর এক পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অটারী সীমান্তও।

    জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক

    পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) থেকে ডাকযোগে আর কোনও চিঠি বা পার্সেল ভারতে পাঠানো যাবে না। শনিবার ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আকাশপথে বা স্থলপথে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের চিঠি এবং পার্সেলের এ দেশে ঢুকতে দেওয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাকিস্তানি পণ্য আর আমদানি করা যাবে না এ দেশে। শনিবার সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও পণ্যবাহী জাহাজ ভারতীয় বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। পহেলগাঁও কাণ্ড পরবর্তী উত্তেজনার মাঝে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এবার আরও এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করল ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যেন কোনওভাবে দেশের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর প্ল্যাটফর্ম না হয়ে ওঠে, সেদিকে দৃষ্টি দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। পাকিস্তান থেকে আগত বিতর্কিত বিশ্লেষকদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপ সেই কূটনৈতিক কৌশলেরই একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিদেশি বক্তাদের ভূমিকা নিয়ে সরকার এবং শিল্প মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে যখন তা জাতীয় নিরাপত্তা ও জনসচেতনতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

  • Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Shirdi Sai Temple) একমাসও হয়নি। এই আবহে এবার শিরডি সাই বাবা মন্দিরে (Bomb Threat) হামলার হুমকি। বোমা মেরে মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শুক্রবারই একটি ইমেল এসেছে বলে অভিযোগ। এরপরই মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই একটি অজ্ঞাত পরিচয় ইমেল আইডি থেকে হুমকি ইমেল আসে। সেখানেই মন্দির বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ ওই ইমেল পেতেই পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ইমেলে লেখা রয়েছে, প্রথমে পহেলগাঁও এরপরের টার্গেট শিরডি।

    আগত ভক্তদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে (Shirdi Sai Temple)

    বোমা হামলার পর থেকেই মন্দিরে আগত ভক্তদের (Shirdi Sai Temple) স্ক্রিনিং করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে সিসিটিভির ওপরেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। যেকোনও সন্দেহভাজন গতিবিধির ওপরেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি চিঠি পাওয়ার পরে ইতিমধ্যেই পুলিশ খুবই সতর্ক হয়েছে। কে, কোথা থেকে হুমকি ইমেলটি পাঠিয়েছে, তার উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য় জানায়নি পুলিশ

    তবে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া ওই ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানায়নি পুলিশ। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, সাই বাবা মন্দিরের (Shirdi Sai Temple) নিরাপত্তা আধিকারিক হলেন বর্তমানে রোহিদাস মালি। তিনিই শিরডি থানায় বোমা হুমকির এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছিল। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই  ভুয়ো হুমকি হিসেবেই তা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার আবহে এই হুমকি ইমেলকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে প্রশাসন। তাই মন্দিরের নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়েছে।

  • India Pakistan Conflict: প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

    India Pakistan Conflict: প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ – পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরাসরি হোক বা ঘুরপথে, পাকিস্তানি পণ্য কোনও ভাবেই এ দেশে প্রবেশ করতে পারবে না। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, সমস্ত আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত (India Pakistan Conflict)। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করেছে ভারত সরকার। এবার পাকিস্তান থেকে কোনওরকম পণ্য আমদানিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল মোদি সরকার। শনিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। ভারত আমদানি বন্ধ করায় পাকিস্তানের বাণিজ্য ও অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী বলা হল নিষেধাজ্ঞায়

    শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, “পাকিস্তানে উৎপন্ন বা রফতানি করা সমস্ত পণ্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আমদানি বা পরিবহণ, তা অবাধে আমদানিযোগ্য হোক বা অনুমোদনসাপেক্ষ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করা হল। জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার যে কোনও ব্যতিক্রমের জন্য ভারত সরকারের থেকে পূর্ব অনুমোদনের প্রয়োজন।” ইতিমধ্যেই লাগু হয়ে গিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্ত বন্দরও। বর্তমানে যে সব পণ্য ট্রানজিটে রয়েছে, তার উপরও এই নির্দেশ লাগু হয়েছে। বস্তুত, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দু’দেশের মধ্যে অন্যতম বাণিজ্যপথ ছিল। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে হামলার পর দিনই অটারী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    বিপদে পাকিস্তান

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হওয়া সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতের যোগসূত্র মিলেছে। হামলাকারীদের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি বলেও দাবি। হামলার নেপথ্যে হাফিজ সইদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। এমতাবস্থায় দুই দেশের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগেই পাক সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। তাতেও বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদই। এমনিতে পাকিস্তান একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের পণ্যের উপর নির্ভরশীল। তবে বাণিজ্য বন্ধের জেরে পাক বাজারে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার সংকট সবচেয়ে বেশি রয়েছে তা হল ওষুধ। ভারতের বাজার থেকে কাঁচামাল না গেলে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যেতে পারে বহু পাকিস্তানির।

    ঘুরপথেও বাণিজ্য নয়

    আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কে (India Pakistan Trade) ওয়াকিবহাল একাংশের মতে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব বেশি পণ্য ভারতে আসে না। তবে ঘুরপথে দুবাই হয়ে কিছু পণ্য ভারতে আসত। বিশেষত, পোশাক, মশলা বা ছোট যন্ত্রাংশের মতো কিছু পণ্য ঘুরপথে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করত। তা-ও খুব বেশি নয়। বাণিজ্যমহলের কারও কারও মতে, ঘুরপথেও যাতে কোনও পাকিস্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বস্তুত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করেছিল। ওই সময়ে ফল, সিমেন্ট, পেট্রোপণ্য, আকরিক-সহ পাকিস্তান থেকে আসা বেশ কিছু পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল ভারত। বাণিজ্যিক ভাবে ভারতের অন্যতম পছন্দের দেশ (মোস্ট ফেভার্‌ড নেশন)-এর তালিকা থেকেও পাকিস্তানকে সরিয়ে দিয়েছিল ভারত।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক তলানিতে

    গত কয়েক বছরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক (India Pakistan Trade) ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৪ লক্ষ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ভারত। এক বছর আগেও যে পরিসংখ্যান ছিল, তার থেকে ২০ লক্ষ ডলারেরও কম মূল্যের আমদানি হয়েছিল ওই সময়ে। এখানেই শেষ নয়, বহুজাতিক ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে দিল্লি। আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো ব্যাঙ্কগুলির কাছে ভারতের আর্জি যেন পাকিস্তানকে ঋণ না দেওয়া হয়। সন্ত্রাসে মদত দেয় ইসলামাবাদ- এই অভিযোগ তুলেই আর্জি জানাচ্ছে নয়াদিল্লি।

    পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরেও নিষেধাজ্ঞা

    পাকিস্তানি পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ শিপিং’-এর তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও জাহাজ ভারতীয় বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। একই রকম ভাবে কোনও ভারতীয় জাহাজও পাকিস্তানের কোনও বন্দরে যাবে না। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ভারতীয় সম্পদ, পণ্য ও বন্দর সুরক্ষার স্বার্থে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি এখনই কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

    পাকিস্তান থেকে আসা চিঠি বা পার্সেলেও জারি নিষেধাজ্ঞা

    শুধু তাই নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটি বড় পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তান থেকে ডাকযোগে পাঠানো কোনও চিঠি বা পার্সেল আর ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রক। ভারত সরকার জানিয়েছে, আকাশপথ বা স্থলপথে পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের চিঠি ও পার্সেলের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

  • Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    Russia’s Victory Day Parade: সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি! মোদির পর রাশিয়া সফর বাতিল রাজনাথের, ভারত থেকে যাচ্ছেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে আগেই রুশ সফর বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির পরিবর্তে রাজনাথের ৯ মে মস্কো সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও রাশিয়ার বিজয় দিবসের (Russia’s Victory Day Parade) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো যাচ্ছেন না। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। আগামী সপ্তাহেই রাশিয়ায় বিজয় দিবস পালন করার কথা। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। জানানো হয়, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই সফর বাতিল করতে চলেছেন রাজনাথ সিং। তাঁর জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বলেও খবর। জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    রাশিয়ায় বিজয় দিবসের গুরুত্ব

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী (MoS) সঞ্জয় শেঠ। মস্কোর ওই অনুষ্ঠানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ বিশ্বের প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা আছে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। যে কোনও সময় পাল্টা জবাব দিতে পারে নয়াদিল্লি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই রাজনাথও তাঁর মস্কো সফর বাতিল করতে চলেছেন। ইতিমধ্য়েই পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই হামলাকে নৃশংস অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার সমর্থন যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের পাশে রাশিয়া

    প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফর না করার সিদ্ধান্তের কারণ স্পষ্ট করেনি রাশিয়া (Russia’s Victory Day Parade)। রাশিয়ার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং সামরিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বছর দুবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। একবার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য এবং দ্বিতীয়বার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এই বছরের শেষের দিকে পুতিন দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত আসতে পারেন।

    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে টানা নবমবার বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গুলি ছুড়ল পড়শি দেশ। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর সেক্টরে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। পহেলগাঁও হামলার পরও নাগাড়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এই নিয়ে দিন তিনেক আগেই সতর্ক করেছে ভারত। তবে সোজা পথে আসার বান্দা নয় পড়শি দেশ। ফের চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে সে দেশের সেনা।

    প্রত্যাঘাতের দাবি

    পহেলগাঁওয়ে হত্য়ালীলার (Pahalgam Terror Attack) পর প্রত্যাঘাতের দাবি দেশজুড়ে। তিন বাহিনীও বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা আঘাত হানতে প্রস্তুত। নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিচ্ছেন, কল্পনাতীত শাস্তি হবে। বিরোধীরাও জোটবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পক্ষে!প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তানও। অজ্ঞাতবাস নিয়ে হইচই পড়ে যাওয়ার পর আচমকা প্রকাশ্য়ে এসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা প্রস্তুত। এদিকে, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের ১১ দিন পরেও অধরা হামলাকারী জঙ্গিরা। কিন্তু কোনওভাবেই কাউকে যে ছাড়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। বিভিন্ন জঙ্গলে ও দুর্গম এলাকায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। শ্রীনগরের আকাশ দিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিকে ঘন ঘন উড়ছে সেনাবাহিনীর চপার! শুক্রবারও উপত্যকায় ছিলেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে। এদিনও তিনি যান ঘটনাস্থলে। জরুরি বৈঠক করেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে।

    সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মানুষ যুদ্ধের ‘প্রস্তুতি’ শুরু করেছেন। উভয় পক্ষই নিজেদের বাঁচানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের দিকে চুরান্ডা এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠির মতো গ্রামগুলি সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় বাঙ্কার এবং সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারীদের দুই মাসের জন্য খাদ্যশস্য মজুত করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত ১৩টি নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের দু’মাস খাদ্যশস্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মৌলিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকেও মোতায়েন করা হচ্ছে। কার্যত সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছে প্রশাসন। পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিস্থিতি এমন যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০০ জঙ্গি ঘাঁটি বন্ধ করেছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাব থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বড় শহরগুলির আকাশসীমাও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পর্বে সাইরেনও লাগানো হচ্ছে। সদা সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাও।

  • Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ২৬ হিন্দু পর্যটককে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) দ্য হেগ শহরে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ একত্রিত হয়ে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। এই প্রতিবাদের আয়োজন করে গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (GHRD) এবং হেট লিখ্‌ট নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই প্রতিবাদে সমবেত হন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজিত এই সমাবেশের শুরুতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    ‘শান্তি ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক রাজধানী’ হিসেবে খ্যাত দ্য হেগ শহর। এখানেই পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাস দমনে একত্রিত হন বহু মানুষ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসারে একটি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা হয়। এরপর শান্তি মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আনেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ডাচ সরকারের কাছে সন্ত্রাস দমনে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানান এখানে উপস্থিত সকলে। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীর দ্বারা সীমান্ত পার সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার প্রদর্শন করেন। তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা পহেলগাঁওয়ে হামলার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেন। জোর দিয়ে বলেন যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের পৃথিবীতে কোনও স্থান নেই।

    মানবতার হয়ে সওয়াল

    একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “এটা শুধু প্রতিবাদ নয়, এটা ছিল মানবতার পক্ষ থেকে একটি সম্মিলিত আবেদন – আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং শান্তির বিজয় নিশ্চিত করতে চাই।” একজনের কথায়, “নীরবতা মানে অপরাধে অংশগ্রহণ। আমাদের এই প্রতিবাদ বিশ্ববাসীর জন্য একটি জাগরণী বার্তা – ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নিরীহ মানুষদের উপর এই ধরনের আক্রমণ আমরা মেনে নিতে পারি না।” মোমবাতির আলো ও শান্তি মন্ত্রের সুরে মোড়ানো এই প্রতিবাদ শুধু এক শোকসভা ছিল না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী এক দৃঢ় বার্তা দেয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোই আজকের সময়ের প্রয়োজন, বলে মন করে প্রতিবাদকারীরা।

  • Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর হুঙ্কার, ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে। কেউ যদি ভাবে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে জিতে যাবে, তাহলে তাদের মনে রাখা দরকার এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই একে একে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে

    বৃহস্পতিবারই নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলা আমাদের লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্য পূরণ হবেই। কেবল ১৪০ কোটি ভারতীয় নন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্র একজোট হয়ে ভারতের সঙ্গে আছে। আমি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যতদিন পর্যন্ত না সন্ত্রাসের মূল ধ্বংস হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    হামলার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে ছুটে যান অমিত শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) বৈসরানে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীনগরে ছুটে যান। ঠিক পরের দিন ২৩ এপ্রিল তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর সময় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।’’ সম্প্রতি, মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল। গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়। আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।’’

  • India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan Conflict) পশ্চিম সীমান্তে অত্যাধুনিক জ্যামার বসাল ভারত। এর ফলে পাকিস্তানি সেনার বিমান যে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ (জিএনএসএস) ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান স্থির করে, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতাও কমিয়ে দেবে। উপগ্রহ-নির্ভর নেভিগেশন সিস্টেমগুলো ব্যাহত হওয়ায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    ভারতের সর্বাধুনিক জ্যামিং প্রযুক্তি, বেকায়দায় পাকিস্তান

    নয়াদিল্লির একটি সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সেনাবিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য জিপিএস (আমেরিকা), গ্লোনাস (রাশিয়া), বেইডু (চিন)— এই তিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু এই তিন প্রযুক্তিকেই মাত দিতে পারে ভারতের জ্যামিং প্রযুক্তি, এমনটাই দাবি করছে ওই সূত্র। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পাকিস্তান সেনা তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে ব্যর্থ হতে পারে। সেই লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে যথাযথ তথ্য থেকেও বঞ্চিত হতে পারে তারা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগই হিন্দু পর্যটক। এরপরই ভারত ২০২১ সালের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। দ্রুত মোতায়েন করা হয়েছে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, যার মাধ্যমে জিপিএস, গ্লোনাস এবং ভারতীয় ‘নাবিক’-সহ বিশ্বব্যাপী ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিগন্যালকে ব্যাহত করা হচ্ছে।

    জ্যামারের কাজ কী

    ভারত-পাক সীমান্তে পাক খাচ্ছে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমানকেই আকাশ প্রতিরক্ষায় পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এফ-১৬ সহ একাধিক পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানকেও পাক খেতে দেখা গিয়েছে। ভারত হাত গুটিয়ে থাকার পাত্র নয়। সীমান্তে পাকিস্তানের জারিজুরি কৌশলকে আটকে দিতে এবং যুদ্ধবিমানে থাকা ফ্রিকোয়েন্সি যাতে সমস্যায় পড়ে, তার জন্য ভারতীয় সীমানায় মোতায়েন করা হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার সিস্টেম। জ্যামারের কাজই হল, বিমানের ফ্রিকোয়েন্সিকে আটকে দেওয়া। জ্যামার থাকলে বিমান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যায় পড়বে, আকাশে বিভ্রান্ত হয়ে পাক খেতে হবে। সীমান্তে এই উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার নিয়ে যাওয়ায় পাক বায়ুসেনা আকাশপথে অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    কীভাবে কাজ করে এই জ্যামিং সিস্টেম

    জ্যামার মূলত শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল নির্গত করে, যা উপগ্রহ থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রে (যেমন যুদ্ধবিমান বা ড্রোনে) পাঠানো জিএনএসএস তথ্যকে বিকৃত বা বিঘ্নিত করে। টার্গেটিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না, প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বা স্মার্ট বোমার সফলতা কমে যায়। রিয়েল-টাইম সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস বিঘ্নিত হয়।

    ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই আসল

    এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, “এলওসি বরাবর সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, কুপওয়ারায় সংঘর্ষ এবং গুজরাটের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (SEZ) কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা—এই সব কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতের যুদ্ধে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই নির্ধারণ করবে বিজয়ী পক্ষ।” ভারত ইতিমধ্যেই মোতায়েন করেছে ‘সম্যুক্তা’ ইডব্লিউ সিস্টেম (রেঞ্জ ২০০ কিমি), ‘হিমশক্তি’ হিমালয় ও উচ্চ-অঞ্চলে, রাফাল জেটে সংযুক্ত ‘স্পেকট্রা’ ইডব্লিউ স্যুট, নৌবাহিনীর ইডব্লিউ সিস্টেম, ‘কালী-৫০০০’ এবং ডিরেক্টেড এনার্জি অস্ত্র (ডিইডব্লু) ব্যবস্থা।

    চিনের সহায়তার আশায় পাকিস্তান

    অন্যদিকে পাকিস্তান চিনের সহায়তায় গঠিত ‘জারব’ উপকূলীয় ইডব্লিউ সিস্টেম, জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানে যুক্ত ইডব্লিউ প্ল্যাটফর্ম এবং বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ চিনা জ্যামার ব্যবহার করে ভারতীয় ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) তাদের ৫২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মধ্যে অর্ধেকই সরিয়ে নিয়েছে আরব সাগরের উত্তর উপকূলের পাসনি এয়ারবেসে, যাতে ভারতের রুশ-উৎপাদিত অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের রাডার কভারেজ থেকে দূরে রাখা যায়। সাউথ ব্লকের এক আধিকারিকের কথায়, “ভারতের সমন্বিত নজরদারি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঝুঁকি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে মূল্যবান বিমানসম্পদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।” জানিয়েছেন এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

  • India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ২৬ জন পর্যটকের নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সামরিক (India-Pakistan Military Strength) শক্তির তুলনা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর।

    সক্রিয় সেনাসংখ্যা

    স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সামরিক বাহিনীতে মোট সক্রিয় সদস্য ১৪ লক্ষ। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার, নৌবাহিনীতে ৭৫ হাজার ৫০০ এবং বায়ুসেনায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০, উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ১৩ হাজার ৩৫০। এছাড়াও ১৬.১৬ লক্ষ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছে। পাকিস্তানের মোট সেনাসংখ্যা ৭ লক্ষ, সেনাবাহিনীতে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার, বায়ুসেনায় ৭০ হাজার এবং নৌবাহিনীতে ৩০ হাজার। পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী ২.৯১ লাখ সদস্যবিশিষ্ট।

    অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে ৯ হাজার ৭৪৩টি কামান রয়েছে। পাকিস্তানের কামানের সংখ্যা ৪ হাজার ৬১৯টি। ভারতের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক রয়েছে ৩ হাজার ৭৪০টি, পাকিস্তানের ২ হাজার ৫৩৭টি। ভারতের রয়েছে ১,৪৩৭টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৯৯৫টি হেলিকপ্টার, ৭,০৭৪টি সাঁজোয়া যান এবং ১১,২২৫টি আর্টিলারি। পাকিস্তানে ৮১২টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৩২২টি হেলিকপ্টার, ৬,১৩৭টি সাঁজোয়া যান এবং ৪,৬১৯টি আর্টিলারি রয়েছে। সাঁজোয়া যানে ভারতে কিছুটা অগ্রাধিকার থাকলেও খুব বেশি পার্থক্য নেই।

    পারমাণবিক শক্তি

    ভারত মূলত স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এছাড়া আকাশপথেও পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে এবং সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক হামলার সক্ষমতাও গড়ে তুলছে। ভারতের কাছে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে এবং আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল পরীক্ষাধীন। ভারতের কাছে ১৮০টি ওয়ারহেড রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রে বা রকেটের যে অংশটিতে রাসায়নিক, জৈবিক বা পারমাণবিক বিস্ফোরক ভরে শত্রুপক্ষের দিকে ছোড়া হয়, সেটিকে ওয়ারহেড বলা হয়। পাকিস্তানের ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৭০। পাকিস্তান স্থলভিত্তিক ও আকাশপথে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। তাদের ছোট, মাঝারি ও নিকট পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক ক্রুজ মিসাইল ছোড়ার সক্ষমতা নেই পাকিস্তানের।

    বায়ুসেনা

    বিশ্বতালিকায় ভারতের বায়ুসেনার স্থান চতুর্থ। ভারতের কাছে রয়েছে ২,২২৯টি এয়ারক্র্যাফট। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে মাত্র ১,৩৯৯টি। শত্রুর বুকে আঘাত হানতে যে কোনও সময় ওড়ার জন্য প্রস্তুত ভারতের ৫১৩টি যুদ্ধবিমান। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ৩২৮টি। ভারতের হাতে অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান রয়েছে ১৩০টি, ৮৯৯টি হেলিকপ্টার ও ৮০টি অ্যাটাকিং কপ্টার। সেখানে পাকিস্তানের মাত্র ৯০টি অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান, ৩৭৩টি হেলিকপ্টার ও ৫৭টি অ্যাটাকিং কপ্টার।

    নৌসেনা

    নৌবহরের দিক থেকেও পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করতে তৈরি ভারত। দেশের একদিকে ভারত মহাসাগর, অন্যদিকে আরব সাগর। ফলে বিরাট সমুদ্র অঞ্চলে কড়া নজরদারি চালাতে ভারতের নৌবহর বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় বিরাট শক্তিশালী। নৌবহরে বিশ্বে ষষ্ঠস্থানে ভারত। আর পাকিস্তান ২৭ তম স্থানে। ভারতের কাছে যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে ২৯৩টি। সেখানে পাকিস্তানের ১২১টি। ভারতের রয়েছে দুটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার – আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। যা পাকিস্তানের নেই। এছাড়া ভারতের ১৮টি ডুবোজাহাজ, পাকিস্তানের ৮টি। ভারতের ১৩টি ডেস্ট্রয়ার, পাকিস্তান ০। ভারতের ফ্রিগেট ১৪টি, পাকিস্তানের ৯টি, করভেট রয়েছে ভারতের ১৮টি, পাকিস্তানের ৯টি। এবং টহলদারি ভেসেল ভারতের ১৩৫টি ও পাকিস্তানের ৬৯টি।

    প্রতিরক্ষা বাজেট

    ২০২৫ সালে ভারতের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৬.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সেনার আধুনিকীকরণের জন্য বরাদ্দ হয় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের মোট জিডিপি-র ১.৯ শতাংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ করে ভারত। আর বাজেটের ১৩.৪৫ শতাংশ। অন্য দিকে, ২০২৪ সালে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে ২.১২ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করেছিল, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৪ হাজার ৮২ কোটি টাকা। দেশের জিডিপি-র ১.৭ শতাংশ তারা প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করে।

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের চলতি বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান চতুর্থ। অন্যদিকে, গত বছরও বিশ্ব তালিকায় ৯ নম্বর স্থানে ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে চলতি বছরে পাকিস্তান নেমে গিয়েছে ১২ নম্বরে। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স (GFP)-এর তথ্যে ভারতের (PwrIndx) স্কোর ০.১১৮৪ এবং পাকিস্তানের স্কোর ০.২৫১৩। এখানে ০.০০ স্কোর সবচেয়ে ভালো বলে ধরা হয়।

    সামরিক আধুনিকীকরণ

    ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিল।স২০১৯ সালের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সামরিক আধুনিকীকরণে মনোযোগী হয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া প্রধান সরবরাহকারী হলেও, ভারত এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইজরায়েল এবং দেশীয় উৎপাদনের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে — যার মধ্যে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন এবং হেলিকপ্টার।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের খোঁজ চলছে। বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ এখনও চড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী যুদ্ধের সীমা না পেরিয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানার দিকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর দ্বিতীয় বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ

    এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC)-তে ছোট অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর “উস্কানিমূলক” গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডিজিএমও হটলাইনে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়া বার্তা দেয়। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান আবার উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পারগওয়াল সেক্টরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, “আমাদের বাহিনী সব ধরনের সংঘর্ষবিরোধ লঙ্ঘনের জবাব দ্বিগুণ শক্তিতে দিচ্ছে।” মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে সামরিক আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দেওয়ার ফলে এখন বিষয়টি আর “পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না” নয়, বরং “কখন নেওয়া হবে”—এই প্রশ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “পাল্টা জবাবের পরিকল্পনা ও ধাপে ধাপে প্রতিক্রিয়ার কৌশল প্রস্তুত রয়েছে। এটি কোনো আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া নয়, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে বরং হিসেব করে নেওয়া, বিশ্বাসযোগ্য এবং নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ।” বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে হানা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ তার বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করেছে—ফলে চমকের উপাদান প্রায় নেই। তা সত্ত্বেও, ভারতীয় সেনা ১৫৫ মিমি কামান, ১২০ মিমি মর্টার এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে আঘাত হানার উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

    দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার

    একজন কর্মকর্তা আরও জানান, “নিয়ন্ত্রণ রেখা না পার হয়েও দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব। পাকিস্তানি বাহিনী ১৫৫ মিমি গোলাবারুদের ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, যা তারা ইউক্রেনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রফতানি করছে।” এছাড়া, সীমিত স্থল অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা-স্পেশাল ফোর্স অংশ নিতে পারে—যেমন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, যেখানে চারটি আলাদা স্থানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছিল। বিমানে হামলা—যেমন ২০১৯ সালের বালাকোট স্ট্রাইক—এবারও বিকল্প হতে পারে, যদিও তা কিছুটা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এবার ভারতের হাতে রয়েছে আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল, ইসরায়েলি ক্রিস্টাল মেজ ও স্পাইস ২০০০-এর মতো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত।

    সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গ

    এছাড়া, ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের ওপর একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি হাই কমিশনের কার্যক্রম সীমিত করা এবং ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি)। নিয়ন্ত্রণরেখায় বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্ত থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বিপরীত প্রান্ত থেকেও গুলি চালিয়েছে পাক ফৌজ। তার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। প্রসঙ্গত, এলওসি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করতে ২০০৩ সালে একমত হয়েছিল নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছিল। খাতায়কলমে এই নিয়ম এখনও বহাল। কিন্তু, অতীতেও দু’দেশের সেনা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।

    উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

    কুলগাঁও, ত্রাল, সোপিয়ান-পুলওয়ামার মতো চারটি স্থানে সেনা অভিযান হয়েছে। ত্রালের অদূরে জঙ্গলে একটি জঙ্গিদলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। তাদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বৈসরনে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জন স্থানীয়কে গ্রেফতার করে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ধরপাকড়ের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গির বাড়ি নিরাপত্তাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।

    পহেলগাঁও প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপুঞ্জে

    পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে ‘দুর্বৃত্ত দেশ’ (রোগ স্টেট) বলে সমালোচনায় বিঁধেছে ভারত। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানাতেই সবচেয়ে বেশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ভারতের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়েছে।

LinkedIn
Share