Tag: pahelgam attack

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরে বৃহস্পতিবার সাতসকালে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের লাহোর (Lahore)। সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে লাহোর বিমানবন্দরের কাছেই এই জোরাল বিস্ফোরণ হয়। একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে এদিন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানের। এটাই কি বিস্ফোরণের (Lahore) কারণ? তবে ভারতের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনও যোগ নয়াদিল্লির নেই।

    লাহোর (Lahore) বিস্ফোরণে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত?

    আবার একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানি (Pakistan) বায়ুসেনা এদিন মহড়া চালাচ্ছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ হয়। বৃহস্পতিবার এই বিস্ফোরণের জেরে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাহোর (Lahore) ওল্ড বিমানবন্দর। লাহোর বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমেই তীব্র সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। তারপরেই একাধিক বিস্ফোরণ হতে থাকে। অনেকে আবার এই বিস্ফোরণের পিছনে বালোচ আর্মির হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অন্দরেই বিদ্রোহ শুরু করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। ট্রেন হাইজ্যাক থেকে শুরু করে আস্ত শহরও দখল করে নেয় তারা, দিন কয়েক আগে। এদিন আবার পাকিস্তানি সেনার কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালাল তারা।

    পাক সেনার কনভয় উড়িয়ে দিল বালোচ বিদ্রোহীরা , মৃত ১৪ জওয়ান

    ভারতের প্রত্যাঘাতে এমনিতেই কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল পাক সেনার কনভয়। বিদ্রোহীদের এই বিস্ফোরণে ১৪ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন, তাতে রয়েছেন স্পেশ্যাল অপারেশন্স কমান্ডার তারিক ইমরান, সুবেদার উমর ফারুখ। প্রসঙ্গত,গত ৬ মে বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। সেবারও বেশ কয়েক জন মারা যান।

  • Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    Operation Sindoor: ‘সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই ব্যবস্থা নিন’, বাংলা সহ ১০ রাজ্যকে নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। প্রয়োগ করা হয়েছে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপক বেড়েছে এরপরেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারতের সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মূলত, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমানা রয়েছে সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করেন শান। তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও।

    পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোন কোন রাজ্য ছিল বৈঠকে?

    এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং সচিবরাও হাজির ছিলেন। কেন এই বৈঠক আয়োজিত হল? জানা যাচ্ছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান সেনা ক্রমাগত গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এমন সময় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে আনার নির্দেশ দেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন এই সময় সমাজমাধ্যমে দেশবিরোধী কোনও পোস্ট দেখলেই তার বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী, বিএসএফ প্রধান, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অমিত শাহ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) নিয়মিত ভাবেই বিএসএফ-র প্রধান দলজিৎ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবারই ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরও পাকিস্তান জঙ্গি দমনের কোনওরকমের চেষ্টাই করেনি। সেই কারণেই প্রয়োগ করা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ওই সাংবাদিক বৈঠকে এও জানানো হয়, এই অভিযানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি।

  • Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারগুলি অপারেশন সিঁদুরকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ করার জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শহিদ পরিবারগুলি। তাঁরা আরও বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর তাঁদের ভরসা ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহতদের পরিবারগুলি ভারত সরকারের প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। সবমিলিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন।’’

    প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বলছেন পহেলগাঁওয়ে নিহতের কন্যা

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হন সন্তোষ জগদল। তাঁরই মেয়ে আশাভরি জগদল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) অনেকেই নিজেদের স্বামী এবং তাঁদের বাবাকে হারিয়েছেন। কিন্তু তা বৃথা যায়নি, ভারত নিহতদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর নাম শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আশাভরি জগদল

    আশাভরি জগদল আরও বলেন, ‘‘ভারত পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিশোধ নিতে পেরেছে। এই মিশনের নাম অপারেশন সিঁদুর শুনে আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে এসেছিলেন নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেসময় দেখেছিলাম স্বামীহারা মহিলার কান্নাকাটি করছিলেন। হাহাকার করছিলেন। আমার মনে হয় এই কারণেই অভিযানের সঙ্গে এমন নাম যুক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৫ দিনের মধ্যে এই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের পরে ভারত-পাকিস্তানের এতটা ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন সন্তান হারা পিতা

    অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় এক নিহতের পিতা মনোজ দ্বিবেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অবশেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। ২২ এপ্রিল যখন আমাদের সন্তানের (Pahalgam Attack) জীবন যায়, তখনই আমরা বলেছিলাম যে প্রত্যাঘাত আসতে চলেছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে কঠোরতম পদক্ষেপ করবেন। আজ সেনাবাহিনী আমাদের সন্তানকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং তার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’

    পহেলগাঁওয়ে নিহত লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়ালের মা কী বলছেন?

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী (Pahalgam Attack) হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এই অভিযানের মাধ্যমে।’’

    মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমরা চুপ করে বসে থাকব না

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সন্তোষ জগদলের দলের স্ত্রী প্রগতি জগদল বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমার মনে হয় অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাবেন।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। তারা জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করার জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কোনও রকমের পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি।

    সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি

    বুধবার সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দারা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয় প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা দেশের সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সত্যি কৃতজ্ঞ।’’ বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর-এ অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে দেখান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদত দেওয়ার পরিণাম কী হতে পারে মঙ্গলবার গভীর রাতে তা হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর ও সেদেশের পাঞ্জাব প্রদেশে নির্দিষ্ট জায়গায় ভয়াবহ হামলা (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনা। এদিন ভারত বেছে বেছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা চালায়। জানা যাচ্ছে, সাধারণ নাগরিকদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেই জন্য রাতের বেলাকে হামলার সময় হিসেবে বেছে নেয় বায়ুসেনা, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    আঘাত হানা হল যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিতে

    মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম টার্গেট ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে অবস্থিত মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি। জানা যায়, এটি আসলে জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা। এখান থেকেই তারা (Operation Sindoor) ২০১৯ সালে হওয়া পুলওয়ামা হামলার ছক কষেছিল।

    মার্কাজ তৈবা জঙ্গি ঘাঁটি

    জানা যাচ্ছে, এটিও লস্করদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এটি। এখানেই জঙ্গিদের নিয়োগ থেকে প্রশিক্ষণ সব চলত। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেই এটি অবস্থিত। ২০০০ সাল থেকেই এই ঘাঁটি সক্রিয় ছিল।

    সর্জল, তেহরা কালান

    পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারোয়াল জেলায় অবস্থিত হল এই ঘাঁটি। জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর এই ঘাঁটি সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় (Operation Sindoor) এখান দিয়েই জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে থাকে। আরও জানা গিয়েছে, কোনও হামলার পর তারা চোট পেলে সবার প্রথমে এখানেই চিকিৎসার জন্য এসে থাকেন।

    মার্কাজ আহলে হাদিথ বারনালা

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভিমবের এলাকায় তৈরি হয়েছে লস্করদের এই জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার সেটিও পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। প্রসঙ্গত, বারনালা হল পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তৈরি অন্য়তম কেন্দ্র।

    মাশকার রাহিল শহিদ

    এটিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরই অংশবলে জানা গিয়েছে। হিজবুল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠী চালাত এই ঘাঁটি।

    শাওয়াই নাল্লাহ ক্যাম্প

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ সালে এই ঘাঁটি তৈরি করে লস্কর গোষ্ঠী। জঙ্গি নিয়োগের কাজ চলত এখান থেকে।

    মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়

    ভারত (India)-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়। এটি ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটি। ১৯৯০ সাল থেকে এই মুরিদকে-তেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার। হাফিজ সইদের নেতৃত্বে চলত এই সেন্টার। ২০০৮ সালে এখানেই আজমল কাসভ ও হেডলির ট্রেনিং হয়েছিল বলে জানা যায়।

    সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাংধার সেক্টরে, সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা চালানো হয়েছে। এটিও একটি লস্কর-ই-তৈইবার ঘাঁটি। সোনমার্গ (২০ অক্টোবর, ২০২৪), গুলমার্গ (২৪ অক্টোবর, ২০২৪) এবং পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যোগ ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটির।

    গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতীয় সেনা

    নিয়ন্ত্রণ রেখার ৩৫ কিলোমিটার দূরে গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতে সেনা। গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিলে পুঞ্চে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের একটি বাসে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটি।এছাড়াও, আর তিনটি ঘাঁটি হল যথাক্রমে শিয়ালকোটে অবস্থিত মেহমুনা জয়া ঘাঁটি, কোটিলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস ও মার্কাজ সায়েদা বিলালেও হামলা চালিয়েছে ভারত।

    কোটলি ও বাহওয়ালপুরকে কেন হামলার জন্য বেছে নেওয়া হল?

    মোট দু’টি জায়গায় প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। একটি পাক অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের কোটলি, অন্যটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে। তবে বেছে বেছে এই দু’টি জায়গাতেই কেন আঘাত আনল ভারত? বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরে যে জঙ্গি নাশকতা সূত্রপাত, তা এই এলাকা থেকেই শুরু হয়েছে। ভারতের সীমানা সংলগ্ন এলাকা হওয়াতে (Operation Sindoor) প্রতি মুহূর্তে এই এলাকাগুলিতেই অনুপ্রবেশ চালিয়েছে জঙ্গিরা।

    বাহওয়ালপুর

    পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবে অবস্থিত হল বাহওয়ালপুর এই এলাকায় হানা দেয় ভারত।এখানেই ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের মূল ডেরা। যা গুঁড়িয়ে দিল ভারত। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে ভারতের সংসদে আক্রমণ ও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই হয়েছিল। এই জঙ্গি ঘাঁটি দেখভাল করত মাসুদ আজহার। বিশ্বের মোস্ট ওয়াটেড সন্ত্রাসীদের মধ্যে সে অন্যতম। সূত্রের খবর, মাঝে মধ্যেই বাহওয়ালপুরের সদর দফতরে আসত মাসুদ। শুধু তাই নয়, আরও জানা যাচ্ছে, এই বাহওয়ালপুরেই জন্ম মাসুদের। হামলার পরে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্য়মে পাকিস্তানি এক যুবকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ওই যুবককে দাবি করতে শোনা যাচ্ছে, ‘মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় ভয়াবহ হামলা হয়েছে। পরপর চারটি মিসাইল ফেলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাহওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে অদূরেই রয়েছে পাক সেনার ঘাঁটি। কিন্তু এরপরেও পাকিস্তান বলে যে তারা সন্ত্রাসে মদত দেয় না। সূত্রের খবর (Operation Sindoor), এই বাহওয়ালপুরেই রয়েছে একটি গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র।

    কোটলি

    কোটলিতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিও ধূলিস্যাৎ বিমান হামলায়। হাফিজ সইদের হাত ধরেই যাত্রা শুরু হয় লস্কর-ই-তৈবার। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী হাফিজ সইদ। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আঘাত হানার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর এই জঙ্গি নেতা।

  • Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত (India)। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী (Operation Sindoor)। ভারতের এই প্রত্যাঘাত অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। সেনার তরফ থেকে এয়ার টু সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে এই সফল হামলা চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভারতের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, সংখ্যাটা হতে পারে আরও কয়েক গুণ বেশি।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল (Operation Sindoor)?

    ● বাহওয়ালপুরের মারকাজে জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে

    ● মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● তাহরা কালানের সারজালে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● শিয়ালকোটের মেহমুনা জোয়ায়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মারকাজে আহলে হাদিসে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের শাওয়াই নাল্লা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্পে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    কতজন সন্ত্রাসী খতম (Operation Sindoor)?

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিধন হয়েছে। তবে, এটাই শেষ নয়। কারণ, ভারতীয় সেনা গোয়েন্দাদের সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই সব জঙ্গি ঘাঁটিতে ৯০০-র কাছাকাছি জঙ্গি ছিল। বাহওয়ালপুরে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। মুরিদকে ছিল ১২০ জনেরও বেশি জঙ্গি। মুজাফ্ফরাবাদে ১১০-১৩০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। কোটলিতে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। গুলপুরে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। ভিম্বারে ৬০ জন জঙ্গি ছিল। চক আমরুতে ৭০-৮০ জন জঙ্গি ছিল। শিয়ালকোটে ১০০ জন জঙ্গি ছিল। এই ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে, ধ্বংসস্তূপ সরলে সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। পাকিস্তান দাবি করেছে ৮ জন মারা গিয়েছে। এদিকে, সূত্রের খবর, বাহওয়ালপুরে নিহতদের মধ্যে জৈশ প্রধান আজহার মাহমুদের পরিবারেরই ১৪ সদস্য রয়েছে।  ফলে, পাক কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণিত।

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! পাকিস্তানের ১০০ কিমি ভিতরে ঢুকে চলল হামলা (Operation Sindoor)

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! অর্থাৎ ‘‘ঢুকে মারব’’। পহেলগাঁও হামলার পর বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা রেখেছেন তিনি। শুধু পাক-অধিকৃ ত কাশ্মীরই নয়, একেবারে পাকিস্তানের (Operation Sindoor) ভূখণ্ডেও এয়ারস্ট্রাইক চালাল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। ৯ জায়গায় প্রত্যাঘাত। ১৯৭১ সালের পরে পাকিস্তানের এত বেশি অভ্যন্তরে গিয়ে অভিযান চালাল ভারত।

    ১. বাহাওয়ালপুর – ১০০ কিমি ভেতরে
    ২. মুরিদকে – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৩. গুলপুর – ৩৫ কিমি ভেতরে
    ৪. সাওয়াই ক্যাম্প – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৫. বিলাল ক্যাম্প – দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়নি
    ৬. কোটলি ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে
    ৭. বার্নালা ক্যাম্প – ১০ কিমি ভেতরে
    ৮. সরজাল ক্যাম্প – ৮ কিমি ভেতরে
    ৯. মেহমুনা ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত। মঙ্গলবার মধ্য রাতেই প্রত্যাঘাত করল ভারতীয় সেনা। রাফালের হানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, খতম প্রায় ৯০০ জঙ্গি। জয়শ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর ৪টি ঘাঁটি, হিজবুল-মুজাহিদিনের ২টি ও লস্কর-ই-তৈবার ৩টি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে দুটো নাগাদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) শুরু করেছে। পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানে এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় শুধু মাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে।

    ‘‘সুবিচার হয়েছে, জয় হিন্দ’’, পোস্ট সেনার (Operation Sindoor)

    জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, মুজফফরাবাদে লস্কর-ই-তইবার ট্রেনিং সেন্টার সহ মোট নটি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই প্রত্যাঘাতের পরেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সুবিচার হয়েছে। জয় হিন্দ।’’ সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের কোনও মিলিটারির কোনও ক্যাম্পকে এক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ নির্দিষ্ট, পরিমিত বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতের কথা রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেনকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের (Operation Sindoor) বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথাও বলেছেন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের একটি ফাইটার জেট জেএফ১৭-কে গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সফল ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন। ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের কথা স্বীকারও করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের এই অভিযানের জেরে একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ইতিমধ্যেই ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে লাহোর- শিয়ালকোট বিমানবন্দর।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল?

    জানা যাচ্ছে, ভারতের এই বিমান হানায় (Operation Sindoor) মুজফফরবাদে লস্করের ট্রেনিং ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাহাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশের সদর দফতরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ট্রেনিং সেন্টারেও করা হয়েছে হামলা । যে জায়গাগুলিতে হামলা চলেছে, এর প্রতিটি ঘাঁটি থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে বলে খবর। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এর পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    ভারতের হাতে থাপ্পড় খেয়ে বদলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত মাতা কী জয়!’ এদিকে মঙ্গলবার রাতেই হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতের এই জঙ্গি দমন অভিযানকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে তোপ দাগা হয়েছে। ভারতের হাতে এমন বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় খেয়ে রেগে কাঁই হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই হামলার বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই হামলায় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধেরও অভিযোগ তুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সময়মতো এর যোগ্য জবাব দেবে পাকিস্তান। এদিকে, প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    কেন নামকরণ অপারেশন সিঁদুর?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোটা সন্ত্রাসী হামলার তদারকি করা হয় পাকিস্তানে বসেই। ২৫ হিন্দু মহিলার স্বামীকে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। এঁদের মধ্যে একজনের স্বামীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা বলেছিল, ‘‘মোদিকে গিয়ে বলো’’! এবার হিন্দু মহিলাদের সিঁদুর মোছার বদলা নিল ভারত।

  • Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই আবহে বুধবার (৭মে) সারা দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মহড়ায় (Mock Drill) সাধারণ নাগরিক, নেতা-কর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাল সর্বভারতীয় বিজেপি ও এবিভিপি। মঙ্গলবারই এনিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপির এক্স হ্যান্ডল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই নাগরিকদের মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই আবেদন রেখেছে এবিভিপি।

    নিজেদের বিবৃতিতে কী জানাল এবিভিপি (Mock Drill)

    যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহড়া নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা স্পষ্ট ভাবে বলছে, ‘‘এই মক ড্রিল কোনও সামান্য ব্যাপার নয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। যেভাবে আমাদের দেশে নিরাপত্তার হুমকি আসছে, তা প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন দেখা যাবে এই মক ড্রিলে।’’ এই সংগঠন আরও বলেছে, ‘‘দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর উপরেই নয়। দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেকটি সাধারণ জনগণকে নিতে হবে। বিশেষত যুব সমাজকে। আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, এই সমস্ত জায়গাতে এই সচেতনতা ছড়াতে হবে। সতর্কতা বাড়াতে হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার প্রস্তুতি চালাতে হবে।’’

    কী বললেন এবিভিপির (ABVP) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডক্টর বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। মক ড্রিল (Mock Drill) নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ স্বাগত জানাচ্ছে সিভিল ডিফেন্সকে। আমরা সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং দেশের আপামর জনগণের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়ায়। এভাবেই গড়ে উঠবে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত।’’ এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘‘মহড়ার প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে, আজকের ভারত যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে জবাব দিতে প্রস্তুত। প্রত্যেক নাগরিকের এটা স্মরণ করা উচিত। প্রত্যেক নাগরিক যেন মনে রাখেন দেশের এই সংকটের পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’’

    এবিভিপির আহ্বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় নাগরিক মক ড্রিল-এ (Mock Drill) অংশগ্রহণের জন্য এবিভিপির এমন আহ্বানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এবিভিপি তাদের যেকোনও আন্দোলনেই তুলে ধরে নেশন ফার্স্ট স্লোগান। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের এই আহ্বানে তাদের সেই নীতিই প্রতিফলিত হলে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় কর্তব্য পালনে এবং দেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করা ঠিক কতটা জরুরি, সেই বিষয়টিও এবিভিপি নিজেদের বার্তায় তুলে ধরেছে। প্রসঙ্গত, এই নাগরিক মহড়ায় সাইরেন যেমন বাজবে, তেমনই ব্ল্যাকআউটও করা হবে অর্থাৎ বড় বড় শপিং মল, বাড়ি-ঘর, শিল্প-কলকারখানা এই জায়গাগুলিতে আলো বন্ধ করা হবে। এর পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কীভাবে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া যায় সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ রেডার স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে এই ধরনের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মহড়ায় অংশ নিতে আবেদন এবিভিপির

    একই সঙ্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন পড়ুয়াদের উৎসাহিত করে মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে সেই আহ্বানও জানিয়েছে এবিভিপি। এই ছাত্র সংগঠনের মতে, এর ফলেই গড়ে উঠবে আত্মনির্ভরশীল এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত। প্রসঙ্গত, বুধবার সব মিলিয়ে দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। সারা দেশের পাশাপাশি, বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় ‘মক ড্রিল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এমন মহড়া হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের আগে। তারপরে ৫৪ বছর পরে তেমনটা হতে চলেছে বুধবার।

    সবার উপরে দেশ, স্মরণ করাল বিজেপি-এবিভিপি

    এই মহড়া (Mock Drill) মূলত হবে বিমান হামলা হলে নাগরিকরা কী ধরনের পদক্ষেপ করবেন সেটা নিয়ে। দেশের সব রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে বার্তা পাঠিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, বুধবারের মহড়ায় খতিয়ে দেখে নিতে হবে, বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না। এর পাশাপাশি রাতে যদি হামলা হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়ামাত্র হঠাৎ করে সমস্ত আলো বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে শত্রুপক্ষকে বিভ্রান্ত করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সবার উপরে দেশ এই কথা স্মরণ করিয়ে, নাগরিকদের যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানাল বিজেপি-এবিভিপি।

  • Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    Pakistan: ইস্তফা দিচ্ছে জওয়ানরা, সৈন্য খুঁজতে শশব্যস্ত পাকিস্তান, দৈনিক রোজে চলছে আম আদমি নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে টানা ১০ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিও চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনারা (Pakistan)। পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারত। এবার পাকিস্তানের কার্যকলাপের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আম জনতাকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান। বেতন নয়, দৈনিক রোজের ভিত্তিতেই এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এনিয়ে কটাক্ষের সুরে বলছেন, এবার কি তবে ১০০ দিনের কাজের মতো জওয়ান নিয়োগ করবে পাকিস্তান? প্রসঙ্গত, রবিবারই ফাঁস হয়েছিল পাকিস্তানের সেনা প্রধানকে পাঠানো একটি গোপন চিঠি। যেখানেই উঠে আসে পাক সেনার অভাবের চিত্র। সেনার হাত খরচ থেকে খাদ্য এমনকি অস্ত্র ভাণ্ডারেও ঘাটতি রয়েছে বলে সেনা প্রধানকে সেই চিঠিতে জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা।

    অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনা

    জানা যাচ্ছে, অধিকৃত কাশ্মীরে (Pakistan) অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করে দিল পাক সেনা। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সুধানৌতি এলাকায় চলছে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তদারকি করছে পাক সেনাবাহিনী। যুদ্ধের আবহে একেবারে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ। তাও আবার দৈনিক রোজের লোভ দেখিয়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় সীমান্তের পাখতুনখাওয়া সহ পার্বত্য অংশের সীমান্তের দায়িত্বে থাকা একাধিক ফ্রন্টিয়ার থেকে একাধিক সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছে বলে খবর। সেনা খুঁজতে তাই শশব্যস্ত পাকিস্তান। তাই নিয়োগ নয়, একেবারে স্থানীয় এলাকা থেকেই লোক টানতে চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)। নিয়োগের শর্তে পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, এই নিয়োগ আসলে চুক্তিভিত্তিক। কোনও স্থায়ীপত্র পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি, মানসিক চাপ ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে পাক সেনা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বা ছুটিতে গিয়েছেন এমন জওয়ানের সংখ্যা কয়েক হাজার। এই জওয়ানদের ধরে রাখতে আবার ১৯৫২ সালের সেনা আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে পাকিস্তান। এবার সেনার ঘাটতি মেটাতে সাধারণ মানুষকেই যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান। সামান্য টাকার বিনিময়ে।

    ভারতের ভয়ে খাদ্য মজুদ করছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারত যে প্রত্যাঘাত করবেই একথা একেবারে বুঝে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের যুদ্ধ মহড়া থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির তরফ থেকে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া- এসব কিছু থেকেই ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান (Pakistan Army)। এই আবহে অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার বেজায় চাপে পড়েছে। অর্থসংকটে ভোগা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাবারের জোগান রাখার কথা বলে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক নিজে বিধানসভায় জানিয়েছেন, ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে হবে। জানা যাচ্ছে, এর জন্য এক অর্থ কোটি টাকার জরুরি তহবিলও গঠন করা হয়েছে।

    ভীত পাকিস্তান, অধিকৃত কাশ্মীরে বন্ধ হাজারের বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

    পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলাতেও ভেসে এসেছে যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের সুর। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে যে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে এতটাই ভয় পেয়েছে পাকিস্তান যে পিওকে-র কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ১ মে থেকে ১০০০-এর বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়, সেনার অভাব এগুলি তো রয়েছেই। একইসঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের ফাঁকা আওয়াজ। সম্প্রতি, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। পাক সেনাপ্রধান এনিয়েই হুমকি দিচ্ছে, ভারত যদি সিন্ধুর জল আটকাতে কোনও কিছু নির্মাণ করে, তবে পাল্টা আক্রমণ করবে পাকিস্তান। পাক সেনা প্রধানের আরও হুমকি, ভারতের কোনও সেনা যদি দুঃসাহস করে, তাহলে নাকি কড়া জবাব দেওয়া হবে পাকিস্তানের তরফ থেকে।

    বিলাবলের ফাঁকা আওয়াজ

    একই সুরে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে ভারত বিদ্বেষী সুর। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্রবের বিষয়টি মেনে নিয়ে বিলাবল জারদারি ভুট্টো বলেছেন, ‘‘যদি ওরা (ভারত) সিন্ধুতে হামলা করে, ওরাও জানে, হয় এই সিন্ধু দিয়ে জল বয়ে যাবে, নইলে রক্ত বইবে।’’ বিলাবলের হুঁশিয়ারি, ‘‘ধমকি দিলে আমরাও যুদ্ধের জন্য তৈরি। তার জন্য চরম সীমায় যেতেও প্রস্তুত।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘অতীতে প্রতিটা যুদ্ধতেই ভারতের কাছে গোহারা ভাবে হেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)। সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরাসরি যুদ্ধের হিম্মত তাদের নেই। নেতা-মন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অন্যদিকে সেনা ইস্তফা দিচ্ছে। যুদ্ধের ময়দানে অসামরিক নাগরিকদের ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান।’’

LinkedIn
Share